Main menu

চার্লস বুকোউস্কি’র কবিতা

১.
বুকোউস্কি’র কবিতা’তে একটা প্লেজার আছে এই স্টেটম্যান্ট দিতে পারার ভিতর যে, আমি তো খারাপ! মানে, উনার এই গিল্টি ফিলিংসটা যে নাই, সেইটা না; খুব ভালোভাবেই আছে, কিন্তু উনি যে ‘খারাপ’ এইটা বলার ভিতর দিয়া উনার খারাপ-হওয়াটা মাইনা নেয়ার স্পেইসটা ক্রিয়েট করতে পারতেছেন উনি; যে, আমি তো খারাপ! এই খারাপ হওয়াটা এতোটা খারাপও না আসলে, কারণ একটা ‘ভালো’ হওয়ারে অ্যাজিউম করে এই খারাপ-হওয়াটা যেই ‘ভালো’ এতোটা ভালো কিনা শিওর না, হয়তো যে ভালো সে খারাপ-ই, কিন্তু নিজেরে শে/সে বলতে পারে না; অথচ যে খারাপ, খারাপ হইলেও বুক ফুলায়া বলতে পারেন খারাপ, তখন মনে হইতে পারে এতোটা খারাপ না মেবি! মানে, উনি বলেন না, কিন্তু এইটা ইমপ্লাই করেন তো, বলার ভিতর দিয়া। বলাটা ‘খারাপ’ না অবশ্যই, কিন্তু একটা খারাপ-ভালো’র ভিতর এই যে আটকাইতে পারা – এইটাতে সাবস্ত্রাইব করাটাও টাফ তো আসলে। ‘আধুনিক’ একটা ব্যাপার। তো, বুকোউস্কি শেষমেশ, ‘আধুনিকতা’র ডিলেমার মধ্যেই আটকায়া থাকেন। ওই ডিলেমার একটা এক্সট্রিম এক্সপ্লোরেশন হয়তো।

অথচ প্রেম ভালোবাসা তো এমনেই অনেক প্রেসিয়াস জিনিস, কিন্তু দুনিয়াটা যখন খারাপ বা ভালো তখন ভালোবাসা টাইপ জিনিসগুলি আরো দামি হইয়া উঠতে পারে তো!

২.
শক্ত-পোক্ত প্রেমের কবিতাগুলিই স্ট্রেংথ চার্লস বুকোউস্কির। ব্যাপারটা হইতেছে যে, কোন না কোন কবি’র ওয়ার্ল্ড থিকাই আমরা বাইর হয়া আসি না, বরং নিজেদেরকে আমরা যেইখানে প্লেইস করতে পারি, দেখি যে, আরে, কোন না কোন কবি এইভাবে বইলা রাখছেন তো আগে! বলতে-পারাগুলি’র সাথে আমরা মিলাই আমরা আমাদেরকে। একটু এইদিক-সেইদিক হয় মনেহয়, কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই কবিতার রিয়ালিটির জুতায় সবচে ক্লোজলি আটাইতে পারি আমরা আমাদের ফ্যাণ্টাসিগুলা।

তবে বুকোউস্কির রিয়ালিটির টাইমটা পার হইছে মনেহয়। কবি হিসাবে নিজেরে সেন্টার পয়েন্টে তো রাখতেই হয়, কিন্তু যেই পাগলা, আন-সোশ্যাল, ক্র্যাক লোকটারে উনি রাখেন সেন্টারে, সে তার পাগলামি, রেভিউলেশন, ক্রাংকিনেসের ভিতরে যে নিজেরে সুপিরিয়র ভাবতে পারার এজেন্ডারে আপহোল্ড করতে পারে, সেইটা মেবি টাফ এখন। পসিবল না যে তা না। কিন্তু এই ফ্যাণ্টাসিগুলা তো ফেড-ই হইছে; যেমন সিক্সটিইজের হিপ্পিদের ফটো দেখলে যতোটা না ড্রিমি-বিপ্লবী তার চাইতে বিষন্নতার রোগী-ই লাগে কিছুটা। ওইরকম।

৩.
একটা বাদে (এক্সিলেটরে দেখা মেয়েটা) বাকি সব কবিতার ক্ষেত্রে “অ্যা চালর্স বুকোউস্কি রিডার” (হার্পার কলিন্স ১৯৯৩) বইয়ের টেক্সট ফলো করা হইছে।
—————————————————————

ফায়ার স্টেশন ।। যেই রাতে অরা হুইটনি’রে নিয়া গেলো ।। রেইন ।। হট ।। জেনের লাইগা: আমার যতো প্রেম আছিলো, যা এনাফ আছিলো না: – ।। জেনের লাইগা ।। মিনিস্কার্ট পরা মাইয়াটা আমার জানালার বাইরে বইসা বাইবেল পড়তেছে ।। কোনো ঝামেলা নাই ।। কেউ একজন ।। গোসল করা ।। আমি প্রেমে পড়ছি ।। বৃষ্টিতে ভিজা ফুলের মতোন ।। চুদায়া মুড়ি খাও ।। জাঙ্ক ।। আর্ট ।। রাস্তার বিলবোর্ডে একজন পলিটিক্যাল নেতার চেহারা ।। অলমোস্ট বানানো একটা কবিতা ।।  এক্সিলেটরে দেখা মেয়েটা ।। আমার আছে একটা নীল পাখি ।।

————————————————————–

 

ফায়ার স্টেশন

(জেনি’র লাইগা, ভালোবাসাসহ)

আমরা বার থিকা বাইর হয়া আসলাম
কারণ আমাদের টাকা শেষ হয়া গেছিল
কিন্তু আমাদের রুমে
কয়েকটা ওয়াইনের বোতল আছিলো।[pullquote][AWD_comments][/pullquote]

বিকাল ৪টা বাজে তখন
আর আমরা একটা ফায়ার স্টেশন পার হইতেছিলাম
আরে শে শুরু করলো
ক্রেজি হওয়া:

“একটা ‘ফায়ার স্টেশন’! ওহ, আমি খুবই পছন্দ করি
ফায়ার ইঞ্জিনগুলি, অরা এতো লাল আর
সবগুলি! আসো ভিতরে যাই!”

আমি ওরে ফলো করলাম
ভিতরে। “’ফায়ার ইঞ্জিন’!” শে চেঁচায়া উঠলো
তার বড় পাছা
নাচায়া।

অলরেডি শে ট্রাই করতেছিল একটাতে
উঠার, তাঁর স্কার্ট ধইরা শে কোমরে তুইলা
কাঞ্চি মাইরা বসার ট্রাই করতেছিল
সিটের উপরে।

‘খাড়াও, খাড়াও, আম্‌মারে হেল্প করতে দাও’ এক ফায়ারম্যান দৌড়াইয়া
আইলো।

আরেক ফায়ারম্যান হাঁইটা আইলো
আমার কাছে: “আমাদের নাগরিকদের আমরা সবসময় ওয়েলকাম জানাই,”
সে কইলো
আমারে।

অন্য বেটা’টা সিটের উপ্রে বইসা ছিল তাঁর
লগে। “তোমার কাছে কি ওই একটা বড় ‘জিনিস’ আছে?”
শে জিগাইলো তারে। “ওহ, হাহাহা! আমি বুঝাইতেছি ওই
বড় ‘হেলমেটগুলির’ কথা!”

“আমার নিজেরও একটা বড় হেলমেট আছে তো,” সে কইলো
তাঁরে।

“ওহ, হাহাহা!”

“তুমি কার্ড খেলতে পারো?” আমি জিগাইলাম ‘আমার’
ফায়ারম্যানরে। আমার কাছে ৪৩ সেন্ট ছাড়া আর টাইম ছাড়া
কিছুই নাই।

“পিছনের দিকে আসো,” সে
কইলো, “এমনিতে, আমরা তো জুয়া খেলি না
এইটা তো এগনেইস্টে
আইনের।”

“বুঝছি আমি,” আমি কইলাম
তারে।

আমি আমার ৪৩ সেন্টরে বাজি লাগাইলাম
এক ডলার নব্বই সেন্ট তক
যখন আমি দেখলাম যে শে উপরের ঘরে যাইতেছে
‘তার’ ফায়ারম্যানের লগে।

“ও আমারে দেখাইবো ওদের শোয়ার
কোয়ার্টারগুলি,” শে কইলো
আমারে।

“বুঝছি আমি,” আমি কইলাম
তারে।

যখন তাঁর ফায়ারম্যান নিচে নাইমা আইলো
দশ মিনিট পরে
আমি তারে দেইখা মাথা
ঝাঁকাইলাম।

“এইটার লাইগা ৫
ডলার”

“৫ ডলার
এইটার লাইগা?”

“আমরা তো কোন স্ক্যান্ডাল চাই না, তাই
না? আমরা’র দুইজনেরই হয়তো চাকরি
চইলা যাইবো। অবশ্য, আমি এখন
কাজ করতেছি না।”

সে আমারে দিলো এই
৫।
“বসো, তুমি হয়তো এইটা ফেরতও পাইতে
পারো।”

“কি্ ‌কি্‌ খেলতেছো?”
“ব্ল্যাকজ্যাক।”

“জুয়াখেলা তো আইন-
বিরোধী।”

“ইন্টারেস্টিং যে কোনকিছুই। আর তাছাড়া
তুমি কি কোন টাকা দেখতেছো
টেবিলে?”
সে বইলো।

ওরে নিয়া ৫ জন হইলাম
আমরা।

“কেমন ছিলো রে হ্যারি?” কেউ একজন জিগাইলো
ওরে।

“খারাপ না, খারাপ
না।”

অন্য বেটাটা উইঠা গেলো
উপরে।

ওরা আসলেই খুব বাজে প্লেয়ার আছিলো।
এমনকি ওরা দানটাও মনে রাখার দরকার মনে
করতেছিল না। ওরা জানতোও না যে
বড় নাম্বার আইতেছে নাকি ছোট নাম্বার। আর বেসিক্যালি ওরা অনেক উপরে হিট করতেছিলো
আর নিচে ধইরা রাখতে পারতেছিলো না
খুব একটা।

যখন আরেকটা বেটা নিচে নাইমা আইলো
সে আমারে দিলো
পাঁচ।

“কেমন আছিলো মালটা, মার্টি?”
“খারাপ না। মাইয়াটা… ভালো কয়টা
মুভমেন্ট জানে।”

“দরকার পড়লে মারেন আমারে!” আমি কইলাম। “ভালো ক্লিন মাইয়া। আমি
নিজে চইড়া দেখছি।”

কেউ কইলো না
কিছুই।

“কোন বড় আগুন আছে আর?” আমি
জিগাইলাম।

“নাহ্‌। কিছু নাই
তেমন।”

“বেটাদের দরকার আছে তো
ব্যায়াম করার। হিট করেন আমারে
আবার!”

এক লাল-মাথার ইয়াং-পোলা যে পরিষ্কার করতেছিল একটা
ইঞ্জিন
তার মুছানিটা ফালায়া দিলো আর
উপরে উইঠা গেলো।

যখন সে নাইমা আইলো সে আমারে ছুঁইড়া দিলো একটা
পাঁচ।

যখন ৪নাম্বার বেটা নাইমা আইলো আমি তারে
৩টা পাঁচ দিলাম একটা
বিশের লাইগা।

আমি জানি না কতোজন ফায়ারম্যান
আছিলো বিল্ডিংটাতে অথবা ওরা আছিলো
কই। আমার মনে হইছে কয়েকজন আমারে স্লিপ কইরা গেছে
কিন্তু আমি খুব ভালো মুডে আছিলাম
খেলার।

বাইরেটা আন্ধার হয়া আসতেছিলো
যখন এলার্ম
বাজলো।

ওরা দৌড়াদৌড়ি শুরু করলো।
বেটাগুলি নাইমা আইতেছিল
পোলটা ধইরা।

তখন শে নাইমা আইলো
পোলটা ধইরা। শে ভালো খেলতে পারতো
পোল নিয়া। একজন রিয়েল উইমেন। কিছুই নাই যার গাটস
আর
পাছা ছাড়া।
“চলো, যাইগা,” আমি কইলাম
তারে।

শে ওইখানে দাঁড়ায়া হাতা নাড়ায়া গুডবাই কইতেছিল
ফায়ারম্যানদেরকে কিন্তু ওদেরকে দেইখা
খুব একটা ইন্টারেস্টেট মনে হইলো না
আর।

“চলো আমরা ফেরত যাই আবার
বারে।” আমি কইলাম
তারে।

“ওওহ, তুমি পাইছো
টাকা?”

“পাইছি কিছু আমি আমি জানি না ঠিক
কতো…”

আমরা বারের একদম শেষদিকে গিয়া বইলাম
হুইস্কি আর বিয়ার
চেজার নিয়া।
“আমার মনেহয় একটা ভালো ঘুম
দরকার।”

“হ, বাবু, তোমার তো দরকার তোমার
ঘুম।”

“দেখো ওই নাবিকটারে যে আমার দিকে তাকায়া আছে!
ও মনেহয় ভাবতেছে যে আমি… একটা…”

“নাহ্‌, আমার এইটা মনেহয় না। রাখো, তোমার একটা
ক্লাস আছে না, রিয়েল ক্লাস। তোমার এমনকিছু আছে যেইটা দেখলে আমার এক
অপেরা সিঙ্গারের কথা মনেহয়। তুমি জানো, ওই প্রাইমা ডি’র মতোন।
তোমার ক্লাসটা তাকাইলেই বুঝা যায়
তোমার দিকে। মাল
খাও।”

আমি অর্ডার করলাম ২টা
আরো।

“তুমি জানো, আব্বু, তুমিই হইতেছো একমাত্র বেটামানুষ যারে আমি
‘ভালোবাসি’! আমি বুঝাইতেছি, সত্যি সত্যি… ভালোবাসি!তুম্‌মি
জানো?”

“হ, জানি তো। মাঝে-মধ্যে তো আমার মনেহয় আমি একজন রাজা
আমি যা আছি সেইটার পরেও।”

“হ। হ। ‘এই্টার’ কথাই আমি বলতেছিলাম, এইরকম একটাকিছুর
কথাই।”

মুততে যাওয়ার লাইগা উঠতে হইছিল আমারে। যখন আমি ফিরা আসলাম
ওই নাবিকটা আইসা বইসা ছিল আমার
সিটে। শে তার ঠ্যাংয়ে ঠ্যাং দিয়া চিপা মাইরা রাখছিল আর
সে কথা কইতেছিল।

আমি সামনে হাঁইটা গেলাম আর একটা ডার্ট গেইম খেলা শুরু করলাম
হ্যারি দ্য হর্স আর কর্ণারের
নিউজবয়টার লগে।

 

[youtube id=”tJKLeJcFLeM”]

 

যেই রাতে অরা হুইটিনিরে নিয়া গেলো

ছাড়া-ছাড়া স্বপ্ন আর ঠসা-উঠা ওয়ালপেপার
পাতলা ঘুমের লক্ষণ
এই ভোর ৪টার সময়। হুইটনি বাইর হয়া আসছিলো ওর রুম থিকা
(গরিবের সাত্বনা হইলো নাম্বারে
গরমের আফিমের মতোন)
আর সে চিল্লাইতে লাগলো হেল্প করো আমারে! হেল্প করো আমারে! হেল্প করো আমারে!
(হাতির দাঁতের মতোন শাদা চুল বুইড়া লোকটার)
আর সে রক্তবমি করতেছিল
হেল্প করো আমারে! হেল্প করো আমারে! হেল্প করো আমারে!
আর আমি তারে হলরুমে শুইয়া পড়তে হেল্প করলাম
আর আমি বাড়িওলি মহিলার দরজায় ধাক্কাইলাম
(শে হইতেছে সবচে ভালো ওয়াইনের মতোন ফ্রেঞ্চ, কিন্তু
একটা আম্রিকান স্টেইকের মতোন কঠিন) আর
তাঁর নাম ধইরা চেঁচাইলাম, মার্সেলা! মার্সেলা!
(দুধওলা আর একটু পরেই আইবো তার
ঠান্ডা লিলি’র মতোন খাঁটি শাদা বোতলগুলি নিয়া)
মার্সেলা! মার্সেলা! হেল্প করো আমারে হেল্প করো আমারে হেল্প করো আমারে
আর শে দরোজার ভিতর দিয়াই চিল্লাইলো:
পোলিশ বাইনচোত একটা, তুই আবার মাতাল হইছিস? তারপরে
দরজায় প্রমিথিউসের মতোন চোখটা আইলো
আর শে
তাঁর চৌকা ব্রেইনটা দিয়া লাল নদীটা শুইষা নিলো
(ওহ, আমি একটা পোলিশ মাতাল ছাড়া আর কিছুই না
নিউজপেপারে বাজে বাজে ঠেস-মারা চিঠি-লেখার রাইটার)
আর টেলিফোনে শে এমনভাবে কথা কইতেছিলো যেন একজন মহিলা ব্রেড আর ডিমের অর্ডার দিতেছিলো,
আর আমি ওয়ালটা ধইরা খাড়ায়া ছিলাম
বাজে কবিতাগুলি আর আমার নিজের মরা’র স্বপ্ন দেখতেছিলাম
আর তখন মানুষগুলি আইছিলো… একজনের মুখে সিগার, আরেকজনের শেভ করা দরকার,
আর অরা তারে খাড়া করাইলো আর সিঁড়ি দিয়া নামাইলো
তার হাতির দাঁতের মাথাটায় আগুন জ্বলতেছিলো (হুইটনি, আমার মদের পার্টনার-
সব গানগুলি, জিপসি গান, জিপসি হাসি, কথা কওয়া
যুদ্ধ নিয়া, মারামারিগুলি, ভালো মাগিগুলি,
ওয়াইনে পিছলাইয়া যাওয়া হোটলের তক্তাগুলা,
ক্রেজি কথাগুলির ভিতর ভাইসা যাওয়া,
শস্তা সিগার আর চেতগুলি)
আর পরী’রা আইসা নিয়া গেলো তারে, খালি লাল পার্ট’টা ছাড়া
আর বমি করা শুরু করলাম আমি আর ফ্রেঞ্চ নেকড়টা চেঁচাইলো
এই সবগুলি তোর সাফ করা লাগবো, সবগুলি, তোর আর হুইটনির!
আর নাবিকেরা জাহাজ ছাইড়া দিলো আর বড়লোক বেটাগুলি অদের ইয়টগুলিতে
কচি মাইয়াগুলিরে চুম্মাইতে লাগলো যারা অদের মেয়ে হইতে পারতো,
দুধওলা চইলা আসছিলো আর তাকায়া ছিলো
আর নিয়ন লাইটগুলি পিট পিট কইরা কিছু বেচতেছিলো
টায়ার অথবা তেল অথবা আন্ডারওয়ার
আর শে ঠাস কইরা তাঁর দরজা লাগায়া দিলো আর আমি একলা পইড়া ছিলাম
শরমে-মরা
এইটা ছিলো যুদ্ধ, সবসময়ের যুদ্ধ, যুদ্ধটা কখনোই শেষ হয় নাই,
আর আমি কানলাম ঠসা-পড়া ওয়ালগুলি ধইরা,
আমরার হাড়গুলির দুর্বলতা, আমরার মদ-খাওয়া হাফ ব্রেইনগুলা নিয়া,
আর হলরুমে হামাগুড়ি দিয়া ভোর আসতে শুরু করতেছিলো –
টয়লেটে ফ্লাশগুলির আওয়াজ, ওইখানে ছিলো বেকন, ওইখানে ছিলো কফি,
ওইখানে ছিলো হ্যাংওভারগুলি, আর আমিও
ভিতরে চলে গেছিলাম আর দরজাটা লাগায়া দিছিলাম আর বইসা ছিলাম আর ওয়েট করতেছিলাম সূর্য উঠার লাইগা।

 

রেইন

একটা অর্কেস্ট্রার সিম্ফনি।
একটা ঠাডা পড়লো তখন।
অরা বাজাইতেছিল ওয়েগনারের ওভারটিউন
আর মানুষজন গাছগুলির নিচে তাদের সিটগুলি ছাড়তেছিল
আর দৌড়ায়া ঢুকতেছিল প্যাভিলিয়নের ভিতর
বেটিগুলি খিকখিক করতেছিল, আর বেটাগুলি ভাব করতেছিল চুপচাপ থাকার,
ভিজা সিগ্রেটগুলিরে ফালায়া দেয়া হইতেছিল,
ওয়েগনার বাইজা যাইতেছিল, আর তখন সবাই চইলা আসছিল নিচে
প্যাভিলিয়নের। এমনকি পাখিগুলাও গাছগুলি থিকা বাইর হয়া আসলো
আর ঢুকলো প্যাভিলিয়নের ভিতর আর তখন বাইজা উঠলো লিজস্টের
হ্যাঙ্গেরিয়ান র‌্যাপসোডি #২, আর বৃষ্টি পড়তেছিল, কিন্তু দেখো,
একটা মানুষ একটা বইসা আছে বৃষ্টির ভিতর
শুনতেছে, অডিয়েন্স নোটিস করতেছিল তারে, অরা ঘুরলো
আর দেখলো। অর্কেস্ট্রা তার নিজের মতো বাইজা
যাইতেছিল। লোকটা বইসা ছিল রাতের বেলা বৃষ্টির ভিতর,
শুনতেছিল। তার কোন সমস্যা আছিলো মনেহয়,
তাই না?
সে শুনতে আসছিলো
মিউজিক।

 

হট

শে হট আছিলো, শে এতো হট আছিলো যে
আমি চাইতাম না আর কেউ তারে নিতে পারুক,
আর আমি যদি টাইমলি ঘরে ফিরতে না পারি
শে তো চইলা যাইবো, আর আমি এইটা নিতে পারতাম না…
আমি পাগল হয়া যাইতাম…
এইটা বেকুবি আমি জানি, পোলাপাইন্না ব্যাপার
কিন্তু আমি এর মধ্যে পইড়া গেছিলাম, ধরা খায়া গেছিলাম।
 
সবগুলি চিঠি আমি ডেলিভারি কইরা দিছিলাম
আর তারপরে হেন্ডারসন আমারে রাইতের পিক-আপের দৌড়ে লাগায়া দিলো
একটা পুরান আর্মি ট্রাকের,
আর এই বালের জিনিসটা অর্ধেক রাস্তাতেই হট হয়া যাইতে লাগলো
আর রাইত বাড়তেছিল
আমি ভাবতেছিলাম হট মিরিয়ামের কথা
আর লাফ দিয়া ট্রাকে উঠতেছিলাম আর নামতেছিলাম
চিঠির বস্তাগুলি নিয়া
ইঞ্জিনটা হট হইতে থাকতেছিল
টেম্পারেচারের কাঁটাটা একদম উপরে উইঠা গেছিলো
হ ট হ ট
মিরিয়ামের মতোন।

আমি ফাল দিয়া উঠলাম আর নামলাম
আর ৩টা পিক-আপ আর স্টেশনের ভিতরে গিয়া
আমার কাম শেষ, আমার গাড়ি
ওয়েট করতেছে আমারে মিরিয়ামের কাছে নিয়া যাওয়ার লাইগা যে বইসা আছে আমার নীল কৌচে
পাথরের উপরে স্কচ নিয়া
তার ঠ্যাংগুলি ক্রস কইরা আর গোড়ালিগুলি ঝুলাইয়া দিয়া
যেমনে শে বইসা থাকে
আর ২টা স্টপেজ…
ট্রাকটা একটা ট্রাফিক লাইটে থামছে, দোজখের অবস্থা
কিক কইরা যাইতেছে
আবার…
আমারে ৮টার মধ্যে ফিরতে হইবো বাসায়, মিরিয়ামের ডেডলাইন হইতেছে ৮টা।

লাস্ট পিক-আপের কামটা সারলাম আর ট্রাকটা দাঁড়ায়া ছিল সিগন্যালে
স্টেশন থিকা ১/২ ব্লক দূরে…
এইটা স্টার্ট নিতে পারতেছেন না, এইটা র্স্টাট নিতে পারবো না…
আমি দরজাগুলি বন্ধ করলাম, চাবিটা খুললাম আর দৌড়ায়া গেলাম
স্টেশনে…
আমি চাবিগুলি ছুঁইড়া মারলাম… সাইন-আউট করলাম…
তোমার বালের ট্রাক সিগন্যালে আটকাইয়া রইছে
আমি চিল্লাইয়া কইলাম,
পিকো আর ওয়েস্টার্নরে…
…আমি দৌড়ায়া হল’টা পার হইলাম, দরজার ভিতরে চাবি ঢুকাইলাম,
খুললাম সেইটা… তার মদের গ্লাসটা আছিলো সেইখানে, আর একটা নোট:

চুতমারানির পোলা:
খাওয়ার পরে ৫টা তক অয়েট করছি আমি
তুই আমারে ভালোবাসিস না
একটা চুতমারানির পোলা তুই
কেউ না কেউ তো আমারে ভালোবাসবোই
আমি সারাদিন ধইরা অয়েট করছি

– মিরিয়াম

আমি একটা মদ ঢাললাম আর টাবে পানি ছাইড়া দিলাম
শহরে ৫,০০০ বার আছে
আর বেশি হইলে ২৫টা তে
যাইতে পারি আমি মিরিয়ামের খোঁজে

অর পার্পল টেডি বিয়ারটা নোট’টা ধইরা রাখছে
একটা বালিশের উপর ঝুঁইকা পইড়া

আমি তারে একটা ড্রিংক দিলাম, আমি নিজে একটা নিলাম
আর ঢুইকা গেলাম গরম
পানিতে।

 

জেনের লাইগা: আমার যত ভালোবাসা ছিল তার সবসহ,
যা এনাফ ছিলো না: –

স্কার্টটা কুড়াইয়া তুললাম আমি,
আমি কুড়াইয়া তুললাম ঝিলমিল গুটিগুলি
কালা রংয়ের,
এই জিনিসটা ঘুরতো একসময়
শরীর জুইড়া,
আর আমি কইলাম খোদা একটা মিথ্যুক,
আমি কই
যা কিছু চলা-ফিরা করে
এইটার মতো
অথবা যে জানতো
আমার নাম
কখনোই মরতে পারে না
মইরা যাওয়ার কমন সত্যির ভিতরে,
আর আমি কুড়াইয়া
তুলি তার সুন্দর
ড্রেসটা,
তার সমস্ত সুন্দরতা চইলা গেছে,
আর আমি কথা কই
সব খোদাদের লগে,
ইহুদিদের খোদা, খ্রীস্টানদের খোদা,
জ্বলজ্বলা করা জিনিসগুলির কুচিগুলা,
মূর্তিগুলা, অষুধগুলি, ব্রেড
তলাগুলি, রিস্কগুলি
জাইনা-শুইনা সারেন্ডার করা,
ঝোলের মধ্যে পইড়া ২টা ইন্দুর পাগলা হয়া গেলো পুরা
কোন চান্স ছাড়াই
হামিংবার্ডের জ্ঞান, হামিংবার্ডের সুযোগ,
আমি এইটার উপরে ঝুঁইকা পড়লাম,
আমি এই সবকিছুর উপরে ঝুঁইকা পড়লাম
আর আমি জানি:
ওর ড্রেসটা আমার হাতের উপর
কিন্তু
তারা তো ফিরায়া দিবে না
তারে
আমার কাছে।

 

জেনের লাইগা

২২৫টা দিন ঘাসের নিচে
আর তুমি জানো আমার চাইতে বেশি।

তারা শুষে নিছে তোমার রক্ত অনেক আগে
তুমি শুকনা একটা কাঠি একটা ঝুড়িতে।

এইটা কি এইভাবে কাজ করে?

এই রুমটাতে
প্রেমের সময়গুলি
এখনো তৈরি করে ছায়াগুলি।

যখন তুমি চইলা গেলা
তুমি নিয়া গেলা প্রায়
সবকিছুই।

রাতগুলির ভিতর আমি হাঁটু গাইড়া বসলাম
বাঘগুলির সামনে
আমারে যা আর হইতে দিবে না আমি।

যা তুমি ছিলা
তা আর হইবো না আবার।

বাঘগুলি আমারে পায়া গেছে
আর আমি এইটা কেয়ার করি না।

 

মিনিস্কার্ট পরা মেয়েটা আমার জানালার বাইরে বাইবেল পড়তেছে

রোববার। আমি খাইতেছি একটা
জাম্বুরা। চার্চটা হইতেছে রাশান
অর্থডক্স
পশ্চিম দিকে।
শে ডার্ক
ইস্টার্ন টাইপের,
বড় বাদামি চোখগুলি বাইবেল থিকা উঠলো
তারপর নামলো। একটা ছোট লাল আর কালা
বাইবেল, আর যখন শে পড়ে
তাঁর ঠ্যাংগুলি নড়তে থাকে, নড়তে থাকে,
স্লো একটা রিদমে নাচতেছে শে
যখন পড়তেছে বাইবেল…

লম্বা সোনার কানের দুল;
প্রতিটা হাতে ২টা কইরা সোনার ব্রেসলেট
আর এইটা একটা মিনি-স্যুট, আমার মনেহয়,
জামাগুলি ওর শরীরটারে জড়ায়া ধইরা রাখছে,
সবচে হালকা তামা রংয়ের জামাটা
একপাশ থিকা আরেকপাশে উল্টায় শে,
লম্বা কচি ঠ্যাংগুলি গরম রইদে…

তার থাকাটা থিকা পালানোর কোন রাস্তা নাই
কোন ডিজায়ারও নাই এইখানে…
মিউজিক সিম্ফনি বাজাইতেছে আমার রেডিওটা
ওইটা শে শুনতে পাইতেছে না
কিন্তু যেমনে শে নড়তেছে সেইটা হুবহু মিলতেছে
রিদমগুলার সাথে
সিম্ফনিটার…

শে ডার্ক, শে ডার্ক
শে পড়তেছে গড’রে নিয়া

আমি হইতেছি গড।

 

কেউ একজন

গড আমার খুবই বাজে রকমের খারাপ লাগতেছিলো,
এই মহিলা ওইখানে বইসা ছিলো আর শে
কইলো
আপনি কি সত্যি সত্যি চালর্স
বুকোউস্কি?
আর আমি কইলাম
ভুইলা যান
আমার ভাল্লাগতেছে না
আমার বাজে বাজে লাগতেছে
আর এখন আমি যা চাই তা হইলো
তোমারে চুদতে

আর শে হাসলো
শে ভাবছিলো আমি ট্রাই করতেছি
চালাক হওয়ার
আর ওহ আমি ওর বেহেশতের লম্বা স্লিম ঠ্যাংগুলির দিকে তাকাইলাম
আমি ওর পাকস্থলি আর ওর কাঁপতে থাকা নাড়িগুলি দেখলাম
আমি দেখলাম ক্রাইস্টরে ওইখানে
একটা ফোক-রক মিউজিকে লাফাইতেছে

উপাস থাকার সবগুলি লাইন আমার ভিতরে
জাইগা উঠলো
আর আমি হাঁইটা গেলাম
আর তারে সোফার উপ্রে জাপটাইয়া ধরলাম
ওর মুখের পাশ দিয়া ধইরা জামাটা ছিঁইড়া ফেললাম

আর আমি কোনকিছু কেয়ার করি নাই
রেইপ নাকি দুনিয়ার শেষ এইটা
আরেকবার
থাকতে চাইছি ওইখানে
যে কোন খানে
রিয়েল ভাবে


ওর প্যাণ্টি পইড়া ছিলো
ফ্লোরে
আর আমার ধোন ভিতরে যাইতেছিলো
আমার ধোন আল্লা আমার ধোন যাইতেছিলো ভিতরে

আমি চালর্স
কেউ একজন।

 

গোসল করা

এর পরে আমরা গোসল করতে পছন্দ করি
(ও যেইরকম গরম পানি পছন্দ করে, আমি তার চাইতে একটু বেশি গরম চাই)
আর তাঁর মুখ সবসময় নরোম আর শান্তির
আর শে প্রথমে আমারে পানি দেয়
আমার বিচিগুলিতে সাবান মাখায়
উপ্রে তুলে
কচলায়,
তারপরে ধোনটারে ধুইয়া দেয়:
“আরে, এইটা তো এখনো খাড়ায়া আছে!”
তারপর তাঁর সবগুলি চুল ওইখানে ঝুঁইকা পড়ে, –
পেটে, পিছনে, ঘাড়ে, ঠ্যাংগুলিতে
আমি গোঙাই গোঙাই গোঙাই,
আর তারপর আমি তারে ধুইয়া দেই…
প্রথমে তাঁর যোনি, আমি
তাঁর পিছনে দাঁড়াই, আমার ধোনটা ওর পাছার দাবনা দুইটার মাঝখানে
আস্তে আস্তে ওর বালগুলাতে আমি সাবান লাগাই,
ধুইয়া দেই খুব ধীরে ধীরে,
যতোটা না দরকার তার চাইতে বেশি টাইম নেই আমি,
তারপরে ওর ঠ্যাংয়ে ধরি, পাছাটাতে
পিছনটাতে, ঘাড়ে, ঘুরাই তারে, চুমা খাই
বুকে সাবান লাগাই, চিপড়াই আর পেটে, ঘাড়ে
ঠ্যাংগুলির সামনেটাতে, হাঁটুতে, পায়ের পাতায়,
আর তারপর আবার যোনিতে, আরেকবার, ভাগ্য ট্রাই করি…
আরেকটা চুমা খাই আমরা, আর শে উইঠা যায় প্রথমে
টাওয়াল জড়ায়, অনেকসময় গান গায় যখন আমি
পানি’র গরম’টা আরেকটু বাড়ায়া দিয়া দাঁড়ায়া থাকি
প্রেমে’র অলৌকিক ভালো সময়টারে ফিল করি
তারপরে আমি বাইর হইয়া আসি…
বেশিরভাগ সময়ই এইটা বিকালবেলা আর শান্ত,
আর ড্রেস পরতে পরতে কথা কই আমরা
কি কি জিনিস হইতে পারতো,
কিন্তু এক লগে থাকাটাই বেশিরভাগ জিনিসের সমাধান কইরা দেয়,
ইন ফ্যাক্ট, সবকিছুরই সমাধান দেয়
আর যতক্ষণ পর্যন্ত জিনিসগুলির সমাধান থাকে
মাইয়া আর পোলাদের হিস্ট্রিতে, এইটা অন্যরকম প্রত্যেকের লাইগা
প্রত্যেকের লাইগা বেটার বা আরেকটু খারাপ কিছু –
আমার লাইগা, এইটা এইরকমের বিশাল একটা ভালো লাগা যে আমি মনে করতে পারি
আর্মিদের মার্চপাস্ট
আর ঘোড়াগুলিরে যারা হাঁটতেছে বাইরের রাস্তায়
আমি পার হইয়া যাইতেছি
পার হইয়া যাইতেছি পেইন, পরাজয় আর অসুখী-থাকার মেমোরিগুলি:
লিন্ডা, তুমি আমারে এই ফিলিংস দিছো,
যখন তুমি এইটা নিয়া যাবা
আস্তে আস্তে নিও আর নিও সহজ কইরা
এমনভাবে বানায়া নিও যেন আমি বাঁইচা থাকতে থাকতে মরতেছি না, মারা যাইতেছি
ঘুমের ভিতর, আমেন।

 

রাস্তার বিলবোর্ডে একজন পলিটিক্যাল নেতার চেহারা

এইখানে সে আছে:
খুব বেশি হ্যাং-ওভার হয় নাই তার
খুব বেশি ঝগড়া করে নাই সে মাইয়াদের সাথে
খুব বেশি টায়ার পাংচার হয় নাই
কোনদিনও সুইসাইড করার কথা ভাবে নাই

তিনটার বেশি দাঁত নড়ে না
একবেলার খানাও মিস করে নাই
কোনদিন জেলে যায় নাই
কোনদিন প্রেমে পড়ে নাই

৭ জোড়া জুতা আছে

একটা ছেলে পড়ে কলেজে

একটা গাড়ি এক বছরের পুরান

ইন্স্যুরেন্স পলিসিগুলি আছে

খুবই সুন্দর একটা গ্রীণ লন

গার্বেজ ক্যানগুলি ঢাকনা খুব শক্ত কইরা লাগানো

ইলেকশনে জিতবো সে।

 

বৃষ্টিতে ভিজা একটা ফুলের মতোন

আমি কাটলাম আমার মাঝখানের আঙুলের নখের
মাঝখানটা
ডাইন হাতের
অনেক ছোট কইরা
আর আমি তার যোনির আশেপাশে ঘঁষতে থাকলাম
যখন খাটের উপর শে বইসা ছিল
লোশন মাখতেছিল তার হাতে
মুখে
আর বুকে
গোসল করার পরে।
তারপরে শে সিগ্রেট ধরাইলো:
“এইটার কারণে তুমি থাইমা যাইও না,”
আর ধোঁয়া ছাড়তে লাগলো আর মাখতে লাগলো
লোশন।
আমি ওর যোনি হাতাইতে লাগলাম।
“তোমার কি আপেল লাগবো একটা?” আমি জিগাইছিলাম।
“শিওর,” শে কইছিলো, “আছে নাকি তোমার কাছে?”
কিন্তু আমি ওর উপরে উঠলাম-
শে পাঁক খাইতে শুরু করলো
তারপরে শে গড়াইয়া তাঁর পাশে সরলো,
শে ভিইজা যাইতেছিল আর ওপেন হইতেছিল
বৃষ্টিতে ভিজা একটা ফুলের মতোন।
তখন শে তাঁর পেটের উপর ভর দিয়া শুইলো
আর তাঁর সবচে সুন্দর পাছাটা
তাকাইলো আমার দিকে
আর আমি নিচের দিকে হাত দিয়া
যোনিটা আবার খুঁইজা পাইলাম
শেও নিচের দিকে খুঁজলো আর পাইলো আমার
ধোনটা, শে সইরা গেলো আর পাঁক খাইলো,
আমি উপ্রে উঠলাম
আমার মুখটা ডুইবা গেলো ভীড়ের মধ্যে
লাল চুলের, যেইটা ছড়াইয়া পড়ছিলো
তার মাথা থিকা
আর আমার মোটা হওয়া ধোনটা ঢুইকা গেলো
মিরাকলের ভিতর।
পরে আমরা হাসি-ঠাট্টা করলাম লোশন নিয়া
আর সিগ্রেট নিয়া আর আপেল নিয়া।
তারপরে আমি উইঠা গেলাম আর কিছু চিকেন নিয়া আসলাম
আর চিংড়ি-ভাজা আর ফ্রেঞ্জ ফ্রাইস আর বান
আর ম্যাস-পটেটো আর গ্রেভি আর
কলসলো, আর আমরা খাইছিলাম। শে আমারে কইছিল
কতো ভালো তাঁর লাগছিলো আর আমি তারে কইছিলাম
আমার কতো ভালো লাগছিলো আর আমরা খাইছিলাম
চিকেন আর চিংড়ি-ভাজা আর
ফ্রেঞ্জ ফ্রাইস আর বানগুলা আর
ম্যাস-পটেটো আর গ্রেভিটা আর
কল সলো’টাও।

 

চুদায়া মুড়ি খাও

আমি আসছি, শে কইলো, তোমারে কওয়ার লাইগা
যে, এইটা এইটুকই। আমি ফাইজলামি করতেছি না। এইটা
শেষ। এইটা এইটুকই।

আমি সোফা’তে বইসা দেখতেছি শে বান্ধতেছে
তার লম্বা লাল চুলগুলি আমার বেডরুমের
আয়নার সামনে দাঁড়ায়া।
শে তাঁর চুলগুলি মোচড়াইয়া জড়ো করলো আর
মুঠ কইরা তার মাথার উপ্রে তুললো-
শে তার চোখগুলিরে তাকাইতে দিলো
আমার চোখগুলির দিকে-
তারপর চুলগুলি ফালায়া দিলো শে আর
তাঁর মুখের সামনে দিয়া পইড়া যাইতে দিলো।

আমরা বিছনায় গেলাম আর জড়ায়া ধরলাম তারে
পিছন থিকা, কোন কথা না বইলা
আমার হাতগুলি দিয়া তাঁর গলা পেঁচায়া ধরলাম
তাঁর কব্জি আর হাতগুলি আমি ছুঁইলাম
তাঁর কনুইগুলি পর্যন্ত
আমি ফিল করলাম
তার পরে আর না।

শে উইঠা বসলো।

এইটা এইটুকই, শে কইলো,
চুদায়া মুড়ি খাও। তোমার
কাছে রাবার ব্যান্ড আছে কোন?

আমি জানি না।

এইখানে একটা আছে, শে কইলো,
এইটা দিয়াই হবে। ঠিকাছে,
যাই গা আমি।

আমি উইঠা বসলাম আর তারে আগায়া দিলাম
দরজা পর্যন্ত
জাস্ট যাওয়ার আগে আগে
শে কইলো,
আমি চাই তুমি আমারে
কিছু হাই-হিল জুতা কিইনা দাও
সরু লম্বা হিলের পা-ওলা,
কালো হাই-হিল জুতা।
না, আমার লাগবো
লালগুলি।

সিমেন্টের ওয়াকওয়েতে নাইমা যাওয়া পর্যন্ত আমি দেখলাম তারে
গাছগুলির নিচে
শে ঠিকঠাকমতো হাঁটতেছে আর
যখন লালপাতাগুলি ঝইরা পড়তেছে সূর্যের আলোতে
আমি দরজাটা বন্ধ কইরা দিলাম।

 

আর্ট

যখন
আত্মা
শুকায়
ফর্ম
টা
ভাইসা উঠে

 

 জাঙ্ক

একটা আন্ধার বেডরুমে ৩টা জাঙ্কির লগে বইসা রইছি
ফিমেইল ওরা।
ব্রাউন পেপার ব্যাগগুলি ট্রাশে ভরা
সবখানে।
এখন দুপুর দেড়টা বাজে।
অরা কথা কইতেছে পাগলা-গারদ নিয়া
হসপিটাল নিয়া।
অরা একটা ফিক্সের লাইগা ওয়েট করতেছে।
অদের কেউ কোন কাজকাম করে না।
রিলিফ আর ফুডস্ট্যাম্প আর
মেডি-কল এর উপরে আছে অরা।

পোলাগুলি হইতেছে ব্যবহার করার জিনিস
ফিক্স হওয়ার লাইগা।

এখন দুপুর দেড়টা বাজে
আর বাইরে ছোটগাছগুলি বাইড়া উঠতেছে।
অদের বাচ্চাগুলি এখনো স্কুলে।
মাইয়াগুলি সিগ্রেট খাইতেছে
আর উদাসীন হয়া টানতেছে বিয়ার আর
টাকিলা
যা আমি কিইনা আনছিলাম।

আমি অদের লগে বইসা আছি
আমি আমার ফিক্সের লাইগা ওয়েট করতেছি:
আমি হইতেছি একটা কবিতার জাঙ্কি।

অরা এজরা’রে রাস্তা থিকা উঠায়া নিয়া গেছিলো
একটা কাঠের খাঁচায়।
ব্লেক আছিলো খোদার লাইগা।
ভিয়ন আছিলো একটা ছিনতাইকারী।
লোরকা ধোন চুষতো।
টি.এস.এলিয়ট কাম করতো একটা ক্যাশিয়ারের খাঁচায়।

বেশিরভাগ কবি-ই হইতেছে রাজহাঁস,
সারস।

আমি বইসা রইছি ৩টা জাঙ্কির লগে
এখন দুপুর দেড়টা বাজে।

অরা উপরের দিকে ধোঁয়া ছাইড়া মুততেছে।

আমি ওয়েট করি।

মইরা যাওয়াটা কোন হাতি না।

মাইয়াগুলির একজন কইলো যে, তার পছন্দ হইছে
আমার হলুদ শার্ট।

আমি সহজ ভায়োলেন্সে বিশ্বাস করি।

এইটা হইলো
তার অল্প কিছু।

 

আমি প্রেমে পড়ছি

শে তো কচি, কইছিলো শে,
কিন্তু আমার দিকে দেখো,
আমার পায়ের গোড়ালিগুলি সুন্দর,
আর আমার কব্জিগুলির দিকে তাকাও, আমার
কব্জিগুলিও সুন্দর
ওরে আল্লা,
আমি ভাবছিলাম সবকিছু ঠিকঠাকমতোন চলতেছে,
আর এখন শে আবার ফিরা আসছে,
যখনই শে ফোন করে তুমি ক্রেজি হয়া যাও,
তুমি আমারে কইছিলা সবকিছু ওভার
তুমি আমারে কইছিলা এইটা শেষ হয়া গেছে,
শোনো, আমি এনাফ সময় বাঁইচা রইছি
একজন ভালো মেয়েমানুষ হওয়ার লাইগা,
তোমার কেন একটা খারাপ মেয়েমানুষ লাগবে?
তুমি টর্চাড হইতে চাও, তাই না?
তুমি ভাবো যে লাইফটা পইচা যাওয়া একটা জিনিস, যদি কেউ তোমারে
রদ্দিমালের মতো ইউজ করে, তাইলে সেইটা ঠিকাছে,
তাই না?
বলো আমারে, এইটা কি সেই জিনিস? তুমি কি চাও একটা
গু’য়ের দলার মতোন ট্রিটেট হইতে?
আর আমার পোলা, আমার পোলা তোমার লগে দেখা করতে গেছিলো।
আমি আমার পোলারে কইছি
আর সব প্রেমিকদেরকে বাদ দিছি।
একটা ক্যাফে’তে খাড়ায়া আমি চিল্লায়া চিল্লায়া কইছি
আ মি  প্রে মে প ড় ছি
আর এখন তুমি আমারে বেক্কল বানাইতেছো…

আমি সরি, আমি কইছিলাম, আমি সত্যি সত্যি সরি।

আমারে জড়ায়া ধরো, শে কইছিলো, তুমি কি একটু জড়ায়া ধরবা আমারে?

আমি কখনোই এইসব জিনিসের চক্করে পড়ি নাই আগে, আমি কইছিলাম,
এইরকম ট্রায়াঙ্গালারগুলিতে…

শে উইঠা একটা সিগ্রেট জ্বালাইছিলো, থরথর কইরা কাঁপতেছিলো
শে। আগ পিছ করতেছিলো আর ওয়াইল্ড আর ক্রেজি হয়া যাইতেছিল। ছোট্ট
একটা বডি ওর। হাতগুলি পাতলা, খুবই পাতলা আর যখন
শে চিল্লাইলো আর আমারে মারা শুরু করলো, আমি ওর
কব্জিগুলি ধরলাম আর তারপর ওর চোখের দিকে তাকাইলাম: খুবই কষ্ট পাওয়া,
একশ বছরের পুরানা সত্যি এইটা। আমি ভুল করছিলাম আর অসৎ আর
নোংরা আমি। যা কিছু আমি শিখছিলাম তার সবকিছুই বিনাশ হয়া গেছিলো।
আমার মতো ফাউল আর কোন প্রাণী নাই দুনিয়ায়
আর আমার সবগুলি কবিতা আছিলো
মিথ্যা।

 

কোনো ঝামেলা নাই

আমি আমার গার্লফ্রেন্ডরে তোমার লাস্ট কবিতা পড়ার প্রোগ্রামে নিয়া গেছিলাম,
শে কইছিলো।
তাই, তাই? আমি জিগাইছিলাম।
শে তো ইয়াং আর সুন্দরী, শে কইছিলো।
আর? আমি জিগাইছিলাম।
শে পছন্দ করে নাই তোমার
হাব-ভাব।

তখন শে এলাইয়া পড়ছিলো কৌচের উপর
আর টাইনা খুললো ওর
বুটগুলি।

আমার ঠ্যাংগুলি অতো সুন্দর না।
শে কইছিলো।

ঠিকাছে, আমি ভাবছিলাম, আমার কবিতাগুলিও তো এতো ভালো
কিছু না; ওরও নাই খুব সুন্দর
ঠ্যাং।

দুইটা মিলছে ভালোই।

 

অলমোস্ট বানানো একটা কবিতা

আমি দেখি তুমি পানি খাইতেছো একটা ঝর্ণা থিকা, তোমার পিচ্চি
নীল হাত দিয়া, না, তোমার হাতগুলি তো পিচ্চি না
অরা ছোট, আর ঝর্ণাটা আছিলো ফ্রান্সে
যেইখান থিকা তোমার শেষ চিঠিটা তুমি লিখছিলা আর
আমি উত্তর দিছিলাম আর তোমার কোন খবর পাই নাই এর পরে।
‘আল্লা’রে নিয়া আর ফেরেশতাদের নিয়া’ মাথা-খারাপ করা
কবিতা লিখতা তুমি, সব বড় হাতের অক্ষর দিয়া, আর তুমি
ফেমাস সব আর্টিস্টদের চিনতা আর অদের বেশিরভাগই
আছিলো তোমার লাভার, আর আমি ফিরতি চিঠি লিখছিলাম, ঠিকাছে সেইটা,
আগায়া যাও, তাদের লাইফে ঢুইকা পড়ো, আমি জেলাস না
কারণ আমরা তো কোনদিন দেখা করি নাই। একবার নিউ অর্লিন্সে
খালি কাছাকাছি চইলা আসছিলাম আমরা, হাফ ব্লক দূরে, কিন্তু আমাদের কখনোই দেখা হয় নাই, কখনোই
আমার টাচ করি নাই নিজেদেরকে। তো, তুমি তোমার ফেমাসদের সাথে চইলা গেছিলা আর লিখছিলা
ফেমাসদেরকে নিয়া, আর, অবশ্যই, তুমি দেখতে পাইছিলা যে
ফেমাসরা খালি চিন্তায় থাকে
অদের ফেইম নিয়া – অদের সাথে থাকা
বিছনায় কচি সুন্দর মাইয়াদেরকে নিয়া না, যারা অদেরকে এইটা দেয়া, আর তখন
সকালবেলা জাইগা উইঠা অরা বড় হাতের অক্ষরে কবিতা লেখে
‘আল্লা’রে নিয়া আর ফেরেশতাদের নিয়া’। আমরা জানি আল্লা মইরা গেছে, অরা কইছে
আমরারে, কিন্তু তোমার কথা শোনার পরে শিওর ছিলাম না আমি। হইতে পারে
বড় হাতের অক্ষরের লাইগা এইরকম মনে হইছিলো আমার। তুমি আছিলা
বেস্ট ফিমেইল পোয়েটদের একজন আর আমি পাবলিশারদের কইছিলাম,
সম্পাদকদের, “উনারে, ছাপেন উনারে, উনি পাগল একটা, কিন্তু উনার
ম্যাজিক আছে। উনার আগুনে কোন মিথ্যা নাই।” আমি তোমারে ভালোবাসছিলাম
যেইভাবে একজন বেটা একজন বেটি’রে কোনদিন না ছুঁইয়া ভালোবাসে, খালি
লেখে, অল্পকিছু ছবি-টবি রাখে। আমি হয়তো তোমারে
আরেকটু বেশি ভালোবাসতে পারতাম যদি আমি একটা ছোট্ট রুমে বইসা
একটা সিগ্রেট রোল করতে থাকতাম আর বাথরুমে তোমার মুতার আওয়াজ শুনতে পাইতাম,
কিন্তু এইরকম কিছু ঘটে নাই। তোমার চিঠিগুলি আরো করুণ হইতে থাকলো।
তোমার প্রেমিকরা তোমারে বিট্রে করছিলো। বাবু, আমি ফিরতি চিঠিতে লিখছিলাম, সব
প্রেমিকেরা বিট্রে করে। এইটাতে কোন কাজ হয় নাই। তুমি বলছিলা
তোমার কান্দার একটা বেঞ্চ আছে আর সেইটা ছিল একটা ব্রীজের পাশে আর
ব্রীজটা আছিলো একটা নদীর উপরে আর তুমি বইসা কানতা
ওই বেঞ্চটাতে, প্রতি রাতে আর ফুঁপাইয়া ফুঁপাইয়া কানতা প্রেমিকদের লাইগা, যারা
তোমারে কষ্ট দিছে আর ভুইলা গেছে তোমারে। আমি ফিরতি চিঠি লিখছিলাম কিন্তু কখনোই
শুনি নাই আর কিছু। এক ফ্রেন্ড আমারে লিখছিলো তোমার সুইসাইড করার কথা
এইটা ঘটার ৩/৪ মাস পরে। যদি তোমার লগে দেখা হইতো আমার
আমি হয়তো তোমার লগে বাজে কাজই করতাম অথবা তুমিও
আমার লগে। এইভাবেই বেস্ট আছিলো এইটা।

 

এক্সিলেটরে দেখা মেয়েটা

এক্সিলেটরে যখন যাইতেছি আমি
একটা ইয়াং পোলা আর একটা সুন্দরী ইয়াং মাইয়া
আমার সামনে আছিলো।
স্কিন-টাইট প্যান্ট আর ব্লাউজ পরা আছিলো শে।
যখন উপ্রে উঠতেছি আমরা, শে তার একটা ঠ্যাং
উপরের সিঁড়িতে রাখছে আর আরেকটা ঠ্যাং নিচে
সুন্দর একটা শেইপ দেখা যাইতেছে।

ইয়াং পোলাটা চারদিকে তাকাইতেছে, সে চিন্তায় পড়ছে
সে আমার দিকে তাকাইলো।
আমি অন্যদিকে তাকাইলাম।

না, বাচ্চা পোলা, আমি তাকাইতেছি না,
আমি তোমার মাগি’র পিছন দিকটা দেখতেছি না।
চিন্তা কইরো না, আমি তাঁরে রেসপেক্ট করি আর তোমারেও রেসপেক্ট করি।
ইন ফ্যাক্ট, আমি সবকিছুরেই রেসপেক্ট করি; যেই ফুল ফুটে, কচি মাইয়াগুলি,
বাচ্চারা, সব জন্তু-জানোয়ার, আমরার মহা মূল্যবান জটিল ইউনিভার্স, প্রত্যেক’রে আর সবকিছুরে।

আমি বুঝতে পারি ইয়াং পোলাটার ভাল্লাগতেছে এখন, আর আমি খুশি এর লাইগা।
অর সমস্যাটা আমি জানি: মাইয়াটার একটা মা আছে, একটা বাপ আছে, মেবি একটা বইন অথবা ভাই আছে,
আর নিঃসন্দেহে অনেকগুলি খারুজ রিলেটিভ আছে
আর শে নাচতে আর ফ্লার্ট করতে পছন্দ করে আর শে সিনেমা দেখতে যাইতে পছন্দ করে আর অনেকসময়
শে কথা কয় আর চাবাইতে থাকে একই সময়ে আর
না-খাস্তা টিভি শো-গুলি শে খুবই পছন্দ করে আর শে নায়িকাদের মতো দেখতে আর শে
সবসময় দেখতে এতোটা ভালো না আর তাঁর আছে একটা

বাজে-ধরণের রাগ আর অনেকসময় শে পুরা পাগলা হয়া যায়
আর শে টেলিফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা কইতে পারে আর সামনের কোন সামারে শে ইউরোপে যাইতে চায়
আর শে চায় যে তুমি তারে একটা নতুন-নতুন মার্সিডিজ কিইনা দাও আর শে প্রেমে পড়ছে
মেল গিবসনের আর তার মা হইতেছে একটা
মাতাল আর তাঁর বাপ একটা রেসিস্ট
আর অনেকসময় যখন শে বেশি মদ খাইয়া ফেলে
নাক ডাকে শে আর মাঝে-মধ্যে বিছনায় শে থাকে ঠান্ডা আর
তাঁর এক গুরু আছে, একটা লোক যার ক্রাইস্টের সাথে মোলাকাত হইছিল
একটা মরুভূমিতে ১৯৭৮-এ, আর শে একজন ড্যান্সার হইতে চায় আর তাঁর এখন কোন চাকরি নাই আর শে
প্রতিবার যখন শে চিনি বা চিজ খায়
তাঁর মাইগ্রেনের মাথা-ব্যথা শুরু হয়।

আমি দেখি সে তাঁরে উপরে নিয়া যাইতেছে
এক্সিলেটরে, তার হাত
মাইয়াটার কোমরে ধরা, যেন প্রটেক্ট করতেছে, ভাবতেছে সে
লাকি,
ভাবতেছে সে আসলেই স্পেশাল পোলা
ভাবতেছে দুনিয়াতে আর কারো এইটা নাই
যেইটা তার আছে।

আর ঠিকই, কঠিনভাবে
কঠিনভাবে ঠিক ভাবতেছে, তার হাত দিয়া
জড়ায়া ধরছে
গরম বালতিটা
পেটের নাড়ি-ভূঁড়ি,
ব্লাডার,
কিডনিগুলি,
ফুসফুসগুলি,
লবণ
সালফার
কার্বন ডাই অক্সাইড
আর
কফ।

মুড়ি খাও
গিয়া

 

[vimeo id=”163239886″]

 

নীলপাখি

আমার অন্তরে আছে এক নীলপাখি
যে বাইর হয়া যাইতে চায় খালি
কিন্তু আমি দেই না তারে
আমি কই, থাকো তুমি, আর কাউরেই তো
দেখতে দিবো না
তোমারে।

আমার অন্তরে আছে এক নীলপাখি
যে বাইর হয়া যাইতে চায় খালি
কিন্তু আমি তার মুখে হুইস্কি ঢাইলা দেই আর খাওয়াই
সিগ্রেটের ধোঁয়া
আর মাগিগুলা আর বারটেন্ডাররা
আর মুদি দোকানের কেরাণীগুলা
কখনোই জানে না যে
সে
আছে এইখানে।

আমার অন্তরে আছে এক নীলপাখি
যে বাইর হয়া যাইতে চায় খালি
কিন্তু আমি দেই না তারে
আমি কই,
থাকো না, তুমি কি আমার লগে
কাইজ্জা করতে চাও?
নষ্ট করতে চাও তুমি
কাজগুলা?
তুমি কি চাও আমার বইয়ের বেচা কইমা যাক
ইউরোপে?

আমার অন্তরে আছে এক নীলপাখি
যে বাইর হয়া যাইতে চায় খালি
কিন্তু আমি খুবই চালাক, আমি তারে বাইর হইতে দেই
মাঝে মধ্যে রাতের বেলায়
যখন সবাই ঘুমায়া পড়ে।
আমি কই, আমি জানি তুমি তো আছো এইখানে
তুমি মন-খারাপ
কইরো না।

তারপর আমি তারে ফিরায়া নিয়া আসি,
কিন্তু সে গান গায় একটু
ওইখানে, আমি তো চাই না সে
মইরা যাক
আর ঘুমাই আমরা একসাথে এমনভাবে
যেন
এইটা আমাদের
গোপন আঁতাত
আর এইটা এতোটাই সুন্দর যে
একজন মানুষ
কাইন্দা দিতে পারে, কিন্তু আমি
কান্দি না, কান্দো নাকি
তুমি?

 

The following two tabs change content below.
Avatar photo
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
Avatar photo

Latest posts by ইমরুল হাসান (see all)

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →