Main menu

মনুর এক গোছা কবিতা

———————————

।। তুষারের দড়ি ।। টিভি ।।  ফোরপ্লে ।। সাবান ।। চলো প্রেমিক, বিয়া করি ।।  দিনদুনিয়া ।। বাছুরেরা ।। স্মার্টফোন ।। গোস্বা ।। খাড়াইয়া থাকা নদী… গরম ।।

———————————

তুষারের দড়ি

সোনাবন্ধু, তুষার চেনো নাকি? আমি তো চিনি না!
শুনছি কুয়াশার চাইতেও ঘন,
তুলার মতো নরম–
গুড়া গুড়া বরফ,
সাদা সাদা
একলগে অযুত কোটি।
গায়ে গা লাগাইয়া শুইয়া থাকতে চায় তারা
শীতের দুনিয়ায়!
আসমান থিকা কাতারে কাতারে নামে তাই
গাছের পাতায়,
ছাদে,
পুকুরের ঘাটে,
মাঠে মাঠে,
গাড়িচাপায়
মরা কুত্তাটারে বিছানা বানায়!
তোমারে বান্ধিবো বন্ধু
সেই তুষারের দড়ি দিয়া!
বিদেশি দড়ি সোনাবন্ধু
তোমার আলতো বেখেয়াল টানেও
ছিড়া যাইতে চায়…!
হইতে কি পারবা বন্ধু অইটুক বেখেয়াল,
তোমারে যে বান্ধিলাম তুষারের দড়িতে!
তুমি কি পারবা বন্ধু ছিড়া যাইতে
আমার পিরিতের তুষারদড়ি!

১৭ ডিসেম্বর ২০১৬[pullquote][AWD_comments][/pullquote]

 

টিভি

টিভির লগে খাপে খাপ তুমি–
১০ মিনিট পর পর
একই কথা
১ মাস…
না শুনলে মগজে ঢোকে না তোমার,
কানের পাশ দিয়া যায়।
যে তোমারে যতই হক কথা কইতেছে–
একবার যদি কয়
দুইবার যদি কয়…
পরশ পায় না তোমার–
তুমি তো টিভির লগে খাপে খাপ,
তুমি তো
ক্রিকেটের ওভারের মাঝে
একই অ্যাড দেখা লোক–
সাড়ে ৩ ঘন্টায় ৫০ বার।
ভাবছো ইগোতে লাগবে আমার,
গোস্বা কইরা চুপ মারবো?
তোমার দশা দেইখা মন খারাপ করবো?
ভাইঙ্গা ফেলবো তোমার টিভি?
কর্পোরেট হেডকোয়ার্টারে ঘুষি মারবো দুইটা?
মনের দুঃখে দড়ি লইয়া
জাফর ইকবাল হইয়া যাবো?
না, নো, নেহি।
মিনিটে মিনিটে কইতে থাকবো আমি,
আমার ভলিউমের রিমোট নাই তোমার হাতে,
তোমার কানের কাছে আমার মুখ যায়,
তুমি ঘুমাইয়া পড়লেও
গুতা দিবো আমি,
কইতে থাকবো–
১ মাস, বছর, জিন্দেগি।
আরো বড়ো টিভি হবো আমি
কার্ভি স্ক্রিন
এইচডি
থ্রিডি–
কারেন্ট যায় না আমার,
আইসি পোড়ে না।
জগতের কয়লাগুলা যদি হীরা হইয়া যায়,
ইন্ডিয়ান কনফেডারেশন যদি ভাইঙ্গাও যায়,
রাশিয়া যদি ইউক্রেনের দখলে চইলা যায়,
না হয় যদি রূপপুর-রামপাল…
মিনিটে মিনিটে
এই টিভি তবু চলবে।

২২জুন ২০১৭

 

ফোরপ্লে

এই রিক্সাঅলারে একটু বোঝান আপনে;
এমন উল্টাপাল্টা দাবি তাঁর!
আমি তারে কইলাম–
এইটা আপনার লগে আমার ফোরপ্লে না,
সে তো বিশ্বাসই করে না!
বাজারের সবজিবেচা লোকটাও করে নাই;
মাছঅলা বা মেয়ের জন্য কমলা কিনি–
সেই লোকটাও বেশ ঝামেলা করলো–
বাজার নাকি চরম!
বেশি বেশি নিতে চাইলো সবাই!
কে বা কারা যেন কইয়া দিছে সবাইরে–
ইদানিং আমি যাই করি,
সবই আপনার লগে ফোরপ্লে–
মাছের গায়ে আপনার ঘামের ঘ্রাণ,
পাতাকপির গায়ে আপনার আলগা কাপড়,
রিক্সার চাকাগুলি আমারই গোল হইয়া থাকা–
আপনার ভাজে ঘুরবো বলে,
চায়ের কেতলির গায়ে আপনার নাক–
আমার মিছামিছি রাজি না হওয়ায়
গরম হইয়া উঠছে আপনার শ্বাস!
ইভেন মরা গাছের ওই বেঞ্চটা–
গোস্বা কইরা আমার উপুড় হইয়া থাকা;
ইভেন এই রাস্তাগুলি
আপনার মাঝে যতটা ঘুরলাম
ততটা মাত্র–একলা পইড়া আছে–
কখনো যদি ফিরি আমি,
তাই ওয়েট করতেছে;
একটা থাইমা থাকা মটর সাইকেল–
একটু জিরাইতে থাকা আমারই লিবিডো।
ভালো লাগছে;
এসব কিছু আপনার লগে আমার ফোরপ্লে–
সবাই জাইনা ফেলছে আমার ভালো লাগা,
সবাই আরামে ঠকাইতেছে আমারে।

২৭ ডিসে. ২০১৪

 

সাবান

তারেই দিছে বেশি…
মন খারাপ আপনার!

ভইরা দিছে তারে, আর আপনারে?
ব্যাগের তলায় পইড়া রইছে–
আপনারে দিছে এত্ত কম!
গোস্বা হইতেছে?

🙂 উহু, চাইয়া দেখেন–
তার ব্যাগে সাবানের ফেনা,
ফুলছে ব্যাগটা কত!
হালকা তবু,
সাবানের ফেনায় ওজনের কমতি…
ভাসতে ভাসতে হাতির ঝিল দিয়া
বনশ্রী ছুইয়া বালু নদীতে যাইতে পারবে সে–
ব্যাগটারে ভেলা বানাইয়া!

চাইয়া দেখেন ভালো কইরা,
আপনের ব্যাগে পুরা সাবানটাই–
দিয়া দিছে–
গলায় বাইন্ধা হাতির ঝিলে নামলে
ডুইবা মরবেন কিন্তু!

কত কত ফেনা জনমের আগের ঘুমটা
ঘুমাইতেছে আপনের ব্যাগে–
সাবানের ভিত্রে!
ফুলতে চাইতেছে বাবল–
আপনের ঘষায়,
আমগাছে বইয়া আছে কাউয়াগুলা–এন্তেজারি!
বাবল বানাইবেন আপনে,
বাবলের ভিত্রে ঢুকতে চায় ওরা,
আজকের কুয়াশায় ভিজতে চায় না আর…

পানি নাই আপনের, জাস্ট কিছু পানি?

 

চলো প্রেমিক, বিয়া করি

বিবাহিত বান্ধবী গল্প করে–
কী করে কী হয়
কিভাবে কিভাবে কী করে; বা
করবার কথা যদি ভাবে
করা হইয়া যায় কখোন!
হায়, বাকি থেকে গেলো ভাবা; বলে–
হায়, ভাবার সুখ কি পাবো না এ জনমে!
আমি শুনি
অবাক চোখ দেখাই, বলি—
লজ্জা লজ্জা মুখে বলি, যাহ্।
এই বিধেয় এই দেশে, শোনো আমার প্রেমিক।
তোমার স্মৃতি আসে মনে
তোমার স্মৃতিই তাজা বলে হয়তো,
নাকি তোমারেই ভালবাসি বলে, জানি না ঠিক।
বান্ধবীর কাছে লুকাই, লুকানো কি সহজ খুব?
তোমার কাছেই লুকাইতে পারছি কি কোনদিন?
শরীরে যখন আসো
তার থেকে মনে আসা কি কম শারীরিক!
বান্ধবীরো মনে আসে বুঝি তার স্বামী
চাইয়া থাকে স্বামীর নড়াচড়ায়—
এই স্বামীর স্বার্থপরতা নাই কোন,
এই স্বামী মনে গড়া।
আমার প্রকাশ দ্যাখে না বুঝি তাই;
ভাবো প্রেমিক—
মনে যদি আসো একবার,
তখন তোমার সঙ্গে যা করতে থাকি আমি,
তার চাইতে তা লুকাবার চেষ্টার দৃশ্য কতো কুৎসিত!
তারপরো লুকাইতে হয়।
ভাবো প্রেমিক—
তোমারে লুকাইতে হয় আমার, আরো বেশি
লুকাইতে হয় আমারেই! কেননা, এই বিধেয়।
বিবাহিত বান্ধবী বলে, আমি শুনি, আর লুকাই—
তোমারে, আমারে, আমাদের করাকরিরে…
অথচ, কত কি শেখার বাকি আমার বান্ধবীর!
তোমারে, আর বান্ধবীরে শিখাইবার ইচ্ছা মনে নিয়া
মুখের সামনে না বোঝা মুখ ঝুলাইয়া শুনে যাই,
চোখের সামনে ঝুলাইয়া রাখি না দেখা চোখ…
হায় গোপনতা—
চলো প্রেমিক, বিয়া করি;
বলবার মুক্ততা পাই তবে,
বান্ধবীরে বলি
তারো শেখার বাকি আছে কিছু…

২১ ডিসেম্বর ২০১১

 

দিনদুনিয়া

এমন না যে, কথা নাই;
বা দেখতেছি না দুনিয়ার হালচাল,
বা এমন না যে, রৌদ পোহানো কাছিমের মতো
গলা বাড়াইয়া দেখি না গলির ঐ মাথা–
কে কার হাসিতে নাইয়া নিলো আজকে,
কার গা ধোয়া বাতাস
কে লইয়া যায় কোকের বোতলে!
সবই দেখতেছি, আগের মতোই–
বেজির মতো একটা ইন্দুর লইয়া
মিটিং করে তিনটা বিলাই,
পিরিতে মেসমার মালিকের বেখেয়ালে
জার্মান কুত্তিটা গাভীন হইলো
দেশি কুত্তার উছিলায়…
মালিকের হুশ কি হবে!
অ্যাবর্শন,
নাকি কুত্তির বাচ্চাগুলার চোখ ফুটবে
সহি ছালামতে…!
জনম যদি বা লয় তারা–
কি আছে তাগো নসীবে,
মালিকের মনে যদি
না মেলে জাতের হিসাব!
আগের মতোই
মাথায় আসে এইসব ভাবনা
কিছুই কই না তবু–
কিছুই কইবার দরকার মালুম হয় না–
জগতের এইসব কায়কারবার
পুচকে লাগে খুব,
রান্ধা পুঁটিমাছের চোখের মতো
মরা, গোল, ছোট, শক্ত–
ফালাইয়া দেবার মতো ময়লা একটা সাবু দানা!
দুনিয়াটা বাতাসে ভরা একটা বেলুন আছিল যেন,
কে যেন ফুটা কইরা দিল,
কই যে চইলা গেছে সব বাতাস…
আমার মাইয়ার অসুখ হইলে
এতোই চুপসানো আর ছোট লাগে দুনিয়া।
বড় হওয়া প্যান্ট পায়ের কাছে একটা ভাজ দিয়া
হাঁটি মাঝে মাঝে,
বাসায় আইসা দেখি–
কিছু ধুলাবালি
জইমা আছে ভাজে–
খুললেই নিচে পড়ে…
এই ধুলাবালির মতো,
ছোট,
আমার মনের বাড়তি ভাজে
আটকাইয়া আছিল যেন–না চাইতেই…
ফালাইয়া দেবার মতো মনে হয়
এইসব
দিন আর দুনিয়া
আর তার তাবত ইস্যু…
আমার মাইয়ার অসুখ
এমনই এক চিজ!

৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

 

বাছুরেরা

মরমীর পায়ে এলার্জি।
অপার হয়তো একটু মুখচোরা।
মরমী কোলে ঘুমাইতে চায়,
কোলে নিয়া দোলাইতে হবে,
হাঁটতে হাঁটতে গানও গাইতে হবে।
অপার গোস্বা করে,
মরমী জোর করে।
একই জিনিস লইয়া টানাটানি করে–
সেই একই জিনিস হইতে পারে মোবাইল,
মায়ের হাত, বাবার কোল।
————————-
মরমী অপার আমার দুই মাইয়া।
হাসপাতালে হবার পরে পাল্টায়া ফেলার চেষ্টা করা যাইতো।
অপারের হাত-পা দুর্বল,
আমার মতোই অনেকটা,
ঘন ঘন ঠান্ডাও লাগে।
আরেকটু পোক্ত শরীলের কোন বাচ্চার লগে পাল্টাইয়া ফেলা যাইতো।
সমাজে ফর্সা মাইয়ার ইজ্জত বেশি,
আর কারো ফর্সা বাচ্চার লগে
ওদের নাম্বার পাল্টাইয়া ফেলতে পারলেই হইতো!
এখনো কি ট্রাই করা যায় না!
যদিও বাচ্চা আমারে ততো টানে না।
বাচ্চাদের থিকা দূরে দূরেই থাকি আমি।
তবু কোন একদিন জানা গেলো,
ওদের মায়ের পেটের ভিতর বড় হইতেছে ওরা!
পারমিশন লয় নাই একজনও!
সময় মতো বাইরে আনলো ডাক্তার।
এখনো ওরা চাইতে থাকে,
খাইতে থাকে,
শরম নাই,
বড় হইতে থাকে।
বাচ্চা আমারে ততো টানে না।
তবু মরমীর ঘুম ভাঙার পরে
আমি ওরে ইশারায় ডাকি,
দৌঁড়াইয়া আসে মরমী,
আমি কোলে লইয়া চুমাই।
স্কুল ফেরত রিক্সায় বইসা
অপারের মাথায় চুমা দিলাম দুইটা।
ঐদিন নাইবার পরে ভেজা মরমী
বিছানায় উঠে পড়ে, ভিজাইয়া দেয় বিছানা। খায়, ঘুমায়।
বিছানা শুকাইয়া যায়।
ঘুম ভাঙে বিকালে,
খোঁজে মরমী, পায় না, কান্দে–
‘আমার ভিজা, আমার ভিজা…!’
আমি হাসি, বুঝাবার চেষ্টা করি–
কেমনে ভেজে দুনিয়া, কেমনে শুকায়।
কারে কয় ভিজা, সে কেন থাকে না বিকালেও–
যেমন থাকলো এই তোশক-চাদর!
বুঝাইতে কি পারি আমি, ভুলাইয়া রাখি–
চকলেট দিলে যদি ভোলে!
মরমীকে পাল্টাইয়া ফেলা যাইতো আগে,
আরেকটু বুঝদার মাইয়া পাইতাম বুঝি!
তবু এই না বোঝা,
ভালো লাগে আমার!
বিছানা শুকাইয়া যাবার নিয়ম না জানা
আমারে দেখাইয়া দেয়
দুনিয়ার ভিতরে না দেখা দুনিয়া!
কেমনে
না দেখার ছবক লইয়া লইয়া
বানাইছি আমার নজর,
কেমন আন্ধা আছি বড়োর দেমাগে!
পাল্টানো হয় নাই,
আমার মাইয়াদের পালি আমি, লালি আমি।
লালন মানে না দেখার ছবক দিতে থাকা।
একদিন এতো বেশি বুঝবে না ওরা,
একদিন বড়ো হবে।
একদিন ওদের মনে জব্বর দুঃখ দিবো আমি–
মরণ হবে আমার,
মরমীর ভিজার মতোই
শুকাইয়া যাবো আমি।
একদিন ঐ ভিজা হারাইয়া ফেলার মতো
মন খারাপ হবে মরমীর,
অপারের,
কানবে–
‘আমার বাবা, আমার বাবা…!’।
তখনো কি বাঁইচা থাকবে আমার মা!
আমারে দুঃখ দেবে না বলে
আমার পরে মরতে চায় সে?
মনে হয় না।
যেমন এই ভাষা যত না আমার মা
তারচে বেশি আমার বাছুর!
আমি তারে পালি,
আমি তারে লালি।
ব্যাঙের যেমন কুয়া
তেমন কুয়া আমি,
আমার ভিত্রে পোনা দেবে আমার বাছুরেরা।
আমার বাছুরের মনে জব্বর দুঃখ দিয়া
মরণ হবে আমার।

২ মার্চ ২০১৭

 

স্মার্টফোন

দুনিয়া দেনাদার
তোমার আর আমার কাছে।

মনে আছে তোমার?
ঐ যে, তোমার পরশে থরথর কাঁপছিলাম আমি,
খাড়াইয়া গেছিল গায়ের পশম আমার,
জ্বইলা উঠছিলাম আমি
তোমার ছোট্ট একটা টিপে,
আমারে কেমন খুইলা ফেলছিল
সুবে সাদিকের বকুল ফুলের মতো–
তোমার সুরতের রোশনাই!

এইসব এখন স্মার্ট ফোনের ফিচার!

আমাদের দেইখা ফেলছিল নাকি সেই কারিগর!
সবাই জানে এখন তোমার পরশের কানুন,
আমারে নকল করা মোবাইলগুলি
যে কারো পরশে কাঁপে এখন…

আমাদের পিরিতির ফিচারে দুনিয়া সয়লাব,
হাটে হাটে খদ্দের–
আমাদের পিরিতি কেউ পকেটে,
কেউ বা ব্যাগে লইয়া বাড়ি যাইতেছে।

পকেটে আর ব্যাগে
মানুষের মনের কাছেই পিরিতের ছবক,
আমাদের পিরিতের তরজমা করবে তারা, করবে না…!

তোমার কি মন খারাপ, আমারো মনে হয়!
আমাদের পিরিতের এমন মরণ!
নাকি একদিন
আমাদেরো লাগতে পারে এই ছবক,
আমাদের জামানার ওই পারে–
কোন দিন নিজেরাই যদি ভুইলা যাই
বেসামাল দুনিয়ার লোভে…
বা ধরো, আমাদের মরণের পরে
আমাদের পিরিতি ঘোরে দুনিয়ার হাটবাজারে–
মানুষের মনের ধারেকাছে,
মানুষের মনে জিন্দেগির কামড় দেবে আমাদের পিরিত!

১৮ অক্টোবর ২০১৬

 

গোস্বা

এইখানে আসছিল একবার
দরিয়ার তুফান,
আর তো আসে না!
পার্মা মরমী কান্দে,
গোস্বাভরা কান্দনে কয় মরমী–
“আসতেছে না ক্যান!”।
সেই তুফান ভিজাইয়া গেছিল মরমীর পা,
আঙুলের ফাঁকে দিয়া গেছিল কিছু বালি।
আর তো আসে না,
কান্দে মরমী–
তুফানেরে ফিরাইয়া দেবে
এ বালি কেমনে!
এমনো গোস্বা পারে মরমী!
তুফানের লগে গোস্বা–
দরিয়ার লগে গোস্বা নাই কোন,
অথবা আর কারো লগে।
কে এই বড় গামলাটারে ধইরা নাড়ে,
বাতাস?
খোদার ইশারা?
মরমীর গোস্বা মানে না কারণ,
বাবার হাতের লগে গোস্বা করতে পারে মরমী,
বাবার কোলের লগে,
পইড়া যায় বইলা
মায়ের চশমার লগে গোস্বা করতে পারে পার্মা মরমী।
মায়ের লগে গোস্বা না কইরাই বা
বাবার লগে।
হাত মরে, আমার কোল মইরা যায় শরমে,
আমারে বাঁচাইয়া রাখে মরমী।

২৯ ডিসেম্বর ২০১৬

 

খাড়াইয়া থাকা নদী… গরম

এই শীতে
গরম পানির নদীর মতো
খাড়াইয়া আছেন।
না, খেলুম না!
আপনে বরং
শীতে কাহিল একটা মাছ হবেন আজ,
আজকে গরম পানি হবো আমি।
নাহ্।
মাঝে মাঝে নিজেদের
রোলও প্লে করতে পারি আমরা;
আপনি যদি আপনিই থাকেন,
আজ আমার ড্রেস
যদি হই আমি-ই,
তারপর ঘষাঘষি যদি করি
তবুও চলে যাবে শীত
অন্য অন্য অভিনেতার কাছে–
এমনটাই জানাইলো শীত আর ফিজিক্স।

২০ ডিসেম্বর ২০১৪

 

The following two tabs change content below.
Avatar photo

রক মনু

কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →