Main menu

তু.সা.র. তুষার-এর কবিতা

ডাবের শাঁসের মত নরম মিঠা সকালটারে
লাল
সূর্যের ভিত্রের থেকে চায়ের চামিস দিয়া কোরায় কোরায়
বাইর করে সময়।
রাইতে আমার খুব ভালো ঘুম হইসে…
আমি স্বপ্নে দেখসি কত কিছু….
দেখসি ফুলের বাগান… একটা রাস্তা…
দুইভাগ হয়্যা দুই দিকে যায়;
দেখসি আমার স্কুলের মাঠ….
দেখসি একটা বাথরুম নাকে পেশাবের তাজা গন্ধ….
তারপরে দেখি একটা খালি করিডর….
করিডরের নানান দিকে নানান ঘর….
কোনো ঘর উঁচা কোনো ঘর নিচা….
সিড়ি আর সিড়ি….সিড়ি আর সিড়ি….
কোনোডা উপ্রে উঠসে কোনোডা নিচে নামসে….
অন্ধকার আর আলো আর সিড়ি….
আমি পেশাব কইরা হাত ধুইতেসি আয়নায় তাকায় তাকায়
আয়নার ভিত্রের থেকে আমি দেখি যে আমি হাত ধুইতেসি
দেখি এক বন্ধুর বউ- লাল জামা পরা…
নসিলা খায়, চার চামিস দিয়া কোরায় কোরায়…
একটা নীল বাক্স….
তার ঠোঁট য্যান দুইটা নরম শুয়া পোকা…[pullquote][AWD_comments][/pullquote]

১২/২/২০১৮
সকাল ১১:০০ টা

 

মামা রং রং রং খালি চাইরদিকে রং মামা
রঙ্গীলা দুনিয়ার খোলে দেখবা শুধু মায়ের কোলে
জিন্দা হয়্যা বয়্যা থাকে নাদান বিচি গণ,
তারা রিং চিপ্স খাইতে চায় তারা চকোলেটে সায়
দিয়া তোমার আমার পকেট থিকা সময় লয়্যা যায়…
মামা কাগো কথা কই কওতো কইতে পারলে সই
দিমু তোমারে আমার থিকা এক প্যাকেট নতুন তাজা
ফেরেশ সকাল ভাজা- ঠান্ডা কুয়াশা দিয়া, হালকা আগুনের
উপ্রে- মুড়মুড়াইয়া ভাইজা দিমু তাজা মুরির লগে- তোমার
খায়া দিলখুশ আমার তাজা দিল তুষ, হয়্যা যায় যহন
দেখি রাজা টেরাম্প-বুশে মানুষ মাইরা হোতায়ালছে ইরাক- ইরাণ-
রুশে, আমগো কিছুই হয় না….তেইল্যার টাকে ত্যাল দিতে
শরম করেনা আমগো- ভালোই জানা ভাইরে এমন কত
টিরিক্স, মামু গোয়ার চামড়া তুইল্যা ফালাও মাইরা তাজা
শিরিষ- তবু মুখ খুলুম না আমরা নিজের ট্যাকের ট্যাক্সো দিয়া
ভালা রাস্তা ভাইঙ্গা দিয়া নতুন কইরা তৈরি করমু- উষ্টা খামু না-
আমরা সেইরকম মাল- মামু মাছ আমরা চুরি করিনা- চুরি করি
খাল- তবে সময় বুইঝ্যা কইরে তালই সময় বুইঝ্যা লই;
বাপে যহন মাসি চোদে, আমরা তহন শীতের রইদে- গোয়া তুইলা
আকাশ পানে নিচে চায়া রই কারণ বাপের হাতে ডান্ডা-
কইরা দিব ঠান্ডা যদি এহন কথা কই তাইতো চুপ কইরা রই;
একদিন বাপে পড়বো খাদে; আমরা বাড়ির ছাদে, বাপের নৌকা লয়্যা
বাইয়া যামু, ফরফরায়া চায়া রমু বাপে আমগো ডুইবা মরবো
সত্যি কথা কই। এই সব আমরা আগেই জানি দেখলাম কত
রাজা-রাণী আইলো গ্যালো মাঘে-পৌষে, আমরাই পইড়া রই।
তাইতো কথা বলি না, মায়ের কোলে বয়্যা থাকি
বড় পর্দায় ফিলিম দেখি, নাক টিপা দুধ খায়া সস্তা মজা লই।
কওতো কাগো কতা কই? মামু রং রং রং……

৩০/১১/২০১৭
সকাল ১০:৫১

 

থকথকা সবুজ জেলি

যত যাই খাই না ক্যান,
যত তাজা অক্সিজেনই রক্তে যাক,
মাইনষের আজন্ম স্বভাব
কয়লা ধুইলেও ময়লা কখনই যাইবার নয়,
শুধু রং বদলায়, চামড়ার অনেক ভিত্রে
মিশা থাকে শরীলের লগে,
সুযোগ পাইলেই বাইর হয়,
মাইনষের লোভ….ছায়া –
বড় কঠিন জিনিস,
হাজার চেষ্টায় তারে বাগে আনা যায় না,
থকথকা সবুজ, পচা জেলির মতন
আমাগো ভিত্রে বইসা থাকে। আর
প্রায়ই আমি চামিস দিয়া কাইটা কাইটা ওরে খাই।

৪/১০/২০১৭
সকাল: ৯:৫১

 

পিছলা গ্রীজের আস্তর

নিজেরে যন্ত্র যন্ত্র লাগে মাঝে মাঝে,
যেমন আজকে সকালে-
কি সোন্দর একটা সূর্য উঠল পুবে
আমি গার জামা খুইলা সূর্যমূখির মতন
শরীল মেইলা দিলাম সূর্যের পাশে-
ভোরের রইদের একটা মিহি প্রলেপ
চামড়ার উপ্রে- পাতলা খাতার মত লাইগা রইসে,
দেখি শহরের বিল্ডিং গুলার গায়ও একই রইদ-
তাগো নানাবিনা রংয়ে শহরটাও য্যান একটা মায়াবতী নদী!
ভোরের তাজা বাতাসে নাক দিয়া শ্বাস নিলাম…..
ক্যামন জানি ডিজেলের গন্ধ আসে!
নিচে ছ্যাপ ফালাইতে গিয়া দেখি-
আমার আলাজিহ্বায় পিছলা গ্রিজের আস্তর!
আর তখনি দেখলাম একটা টুনটুনি পাখি……
ঠোঁটে কইরা একটা জীবন্ত পোকা ধইরা
খাইতেসে-
আর আমার দিকে কানায় কানায় চাইতেসে!

২/১১/২০১৭
সকাল ১০:৫২

 

পিয়াজ রইদে রস

পিয়াজের ছিলকার মতন পলকা লাল রইদে
তোমার গাল ভিজা রইসে, তোমার রসে টুপটুপা
গাল ভিজা রইসে লাল রইদে, আমি তোমারে
দেখি, তোমার জামার ভিত্রে তুমি বইসা রইস
কি সোন্দর; আমি তোমারে দেখি। তুমি য্যান রসে
ভিজা একটা খেজুর গাছ- তোমার তলে আমি
খাড়ায় থাকি…খাড়ায় থাকি…খাড়ায় থাকি সারা
জীবন-সারা সন্ধ্যা; জিহ্বা বাইর কইরা চায়া থাকি
তোমার দিকে, কখনে কয়েকটা মিষ্টি ফোটায় আইসা
আমারে ভিজায়…

১৫/১২/২০১৭
সকাল দশটা দশ

 

পুঁটি ফিশ

ঐ দ্যাখা যায় তাল গাছ ঐ আমাগো গাও
ঐখানেতে বাস করত এক কানা বগির ছাও….
সেই বগি এখন ফান্দে তার বিচি দুইডা কান্ধে
ট্রেনের ভিত্রে উইঠা বগি সকাল বিকাল কান্দে
টেরেন আহে ঢাকা, উপ্রে দিয়া ফিটফাট সব
ভিত্রে বগি ফাঁকা, বগির মনে বড় আশা- গেরাম
এহন ঢাকা হইবো, ফরফরায়া বানের জলে
পান্তাভাতের থালা-বাসন ভাইস্যা যাইব- ব্যাপক
ভালোবাসা। চারিদিকে নতুন পানি, নতুন
ট্যাকার ঝনঝনানি, বগির দ্যাশে উন্নতি আর
উন্নতিতে ঠাসা। এবার লোকে সভ্য হইব, দ্যাশ
বিদ্যাশে নাম কামাইয়া গেরামেতে নেতা হইব,
সাদা বগি চেয়ারম্যানের সিলে পাইব বাসা। আরে
সিল নিসে চিলে, আর কানের ভিত্রে ভুলে
পল্লিগীতির রিমিক্স ভার্সন হেডফোনে ঠাসা।
আমরা খুবই বেঙ্গলী…মামা তাল খেজুর বেল
পুদিনা এইসব আমরা আর চুদিনা, আমরা এখন
নতুন জলে পুঁটি ফিশ চুদি। তাই বগি এহন ফান্দে,
সকাল বিকাল কান্দে, লাইন ছাইড়া টেরেন উড়ে
কমলাপুরার নেশায়, বগি পুঁটি ফিশো পায় না,
আর পান্তা ভাতো পায় না, এহন একটা যদি পায়,
অমনি ধইরা গাপুস গুপুস খায়।

১৯/১২/২০১৭
সকাল দশটা একান্ন(১০:৫১)

 

ফাউন্ড অবজেক্টস

ডাইবর সাব, ডাইনে দিয়া বারায় যান মিয়া,
পুরা খালি রাস্তাডা ডাইনে থুইয়া
হুদাই সামনের বাসের হোগায় গুতান ক্যান?
.

.
ওই ডাইভার ওই, খাড়ায় রইছস ক্যা?
লোকজন্রে কি বাইত্তে ডাইকা লয়্যা আবি নি?
আগা ব্যাটা….কাম আছে না মাইনষের,
হারাদিন কি রাস্তাতি বয়্যা থাকুম নি?
তোর পিছের গাড়ি যায়গা তোরে করস কইরা
আর তুই ব্যাডা আন্ডা ঊম দ্যাস এহানে…
.
.
বাস বুস সব গ্যাতাসেগা তোর ডাইনে দিয়া
আর তুই লাল সিংগেলে ধরা খাইলিরে,
ব্যাডা বাস চালাস না ঠেলা গাড়ি….
হালায় মনে অয় নতুন চালায় বাই বুঝলেন….
টেনিং টুনিং কিছু নাইকা…..আছিল হেল্পার
অহনে অয়া গ্যাছে ডাইবার……
.
.
মামা, আগাও আগাও। সামনেত্তে তুইল্লো মানুষ।
.
.
ধুর মিয়ারা, হুদাই চিল্লাইন না। বয়া থাকলে থাকেন নাইলে নাইম্মা যান গা; সামনে আগামু কই?
দ্যাহেন্না পুরা রাস্তা বন্দ। ভি. আই. পি গ্যাতাসে।

২০-২১/১১/২০১৭
সকাল: ১১ টা

 

ফিলিপস বাত্তির দুনিয়া

আমার মাথার ভিত্রে বেরেন পোকায় গুন গুন গুন গুন
করে, আমার মাথাডা ক্যান ঘুরে,আবার জেলি ফিশের মত
যে সে ভাসে ক্যামন জলে; উড়াল-পঙ্খীর মত দেখি হঠাত
উড়াল মারে, এদিকে যায় ওই দিকে যায় গহিন বনে নিমেষে হায়-
উড়াউড়ির শ্যাষে আবার দমের উপ্রে বহে, আমার তহন ভালা
লাগে….আমার তহন ভালা লাগে…. এইযে এমুন
অচিন পাখি এমনে আহে যায়, কওতো কার ইশারায় মনা
কার তরিকায়? তোমগো রাস্তার ভিত্রে মর্দা কুত্তায় পাখির
গোয়া মারে দেইখা পর্ধানমন্ত্রীর পর্দার ভিত্রে সেই না কাঁপন
লাগে মনা লাগ ভেলকি লাগ, মনা কত তুক-তাক, মনা কাম-
রপের কামাক্ষায় মাগনা পাবি ভাতরে ভাই, নিজের আখের
গোছা আর নিজের চাবির গোছা লয়্যা তুই হাটতে থাক,
তোর কপালে নাই ভাত, তাই নাফ নালার ধার ধইরা সোজা
হাটতে থাক ডাইনে তোর খালার বাড়ি….তাগো অনেক ট্যাকা
কড়ি, তোরে নোবল কইরা গইড়া তুলব আমরা হিংসায় মরি,
মনু বেরেনে খুব দোষ, খালি ঘুঘু পাখির রোস্ট খাইব আমগো
মাথায় কাঠাল ভাইঙ্গা পর্ধানমন্ত্রীর মোষ, দেখবা ফেলাইওভার
দোহাই আল্লার কথা কইবা না, উন্নয়নের চোদনে আর রেহাই
পাইবা না, মনা গুম হইব শুধু, আর ঘুম হইব শুধু রে ভাই
কার ইশারায় মনা কার তরিকায়? এই যে তাইলে অচিন পাখি
এমনে আহে যায়? সইগো খুইজ্জা পাইবা না কাউরে ধরবার
পারবা না, খালি নিজের ভিত্রে ডুব দিবা চক্ষু খুলবা না….
দেখবা সব পরিষ্কার শালা একশ ওয়াট ফিলিপ্স বাত্তির
দুনিয়ায় আন্ধার-
তুমি খুইজ্জা পাইবা না না না…

২৯/১১/২০১৭
সকাল ১১:৪২

 

বিদ্যাশে প্রাকৃতজন
আষ্ট ঠ্যাং ষোল হাটু, মাছ ধরিতে যায় কাঠু
শূণের উপ্রে জাল বহাইয়া, মাছ ধরে কি চমতকার;
তার উপ্রে নি বইয়া সবে ফিশ ফ্রাই খায় দোতালার,
আলুর সালুন আহা জীবন কতই তুমি সোন্দর আর-
আমরা সেইসব দেখতে থাকি, মাছের আগে জিহ্বা
মাপি, বন্ধুর সনে হয়না কথা- বিদেশে যান জারেজার।
আমগো কপাল সকাল সকাল ফুইটা গ্যাসে স্বপনে
সাত ভাই চম্পারে তাই পারুলে ডাকে এহানে। তবু
কেউ আসে না, কেউ আইতে পারেনা, দমের দ্যাশের
ধার কেউ শোধ করবার পারে না। বিদেশ, বড় কঠিন
জাগা- আমগো বাইর হয়্যা যায় হাগা, তবু চুপচাপ কইরা
পইড়া থাকি মনে মনে স্বপন দেখি, চম্পারা সব আবার
মিলবো পারুলেরি বিয়াতে, নাচ হইবো গান হইবো
সাতটা পোলা বিয়াইতে- কষ্ট যাও হইব তা ভাই ভুইল্লা
যামু তফাতে-
তারপরে ভাই ইংরাজিতে বানামু সব স্নো-হোয়াইট
পারুলেগো মারে চুদব আবহমান ইংরাজি নাইট
তহন আমরা চিডি লেখমু সইর কাছে পাঠাইতে,
আমগো দুঃখ মুইছা যাইব, বড় বড় মানুষ হইবো
ইংরাজিতে ‘প্লিজ’ কইবো কালা চামড়ার চাড়ালে, ভুতুম
বাশের আড়ালে হাত মাইরা ভইরা দিসে সুইস ব্যাংকের
সকেটে, শেয়ার বাজার পকেটে, আমাগো বউ পলায়
যায়গা দেশি গুন্ডার হুন্ডা কইরা উড়াল মারা জ্যাকেটে…
তবু আমরা বিদেশ থাকি- মনে মনে ডিরিম দেখি, কালা
চাড়াল সাদা হইব ফেয়ারেন্ড লাভলির ঢাকাতে।

১১/১২/২০১৭
সকাল এগারোটা বিশ (১১:২০)

 

বিলাই

আগুন মাসের দুপুরে সূর্যডা হঠাত মেঘের ঘষায়
ঘোলা হয়্যা গ্যালো, পুরা আকাশ য্যান্ কারো ছানি
পড়া চোখ; এক পশলা বৃষ্টিও পড়ল গোলাপজলের
মত আমাগো শরীলে, আমি বয়্যা আছি ফোমের চেয়ারে,
একটা সাদা-কালো বিড়াল তহন কোইথ্যেকে কে
জানে আইসা তার ভিজা শরীল নিয়া আমার উরু
ঘেইষা বইল,আমার তর্জনি আর মধ্যমা দিয়া আমি
বিলাইর গলায় আদর কইরা দেই-এতো নরম জিনিস
আমি বহুদিন হাতাই নাই- বিলাইডা আমার
আরো কাছে চাইপা বসে- আমি ওরে আদর করি-
বাইরে বৃষ্টি পড়ে- আমি বৃষ্টি আর বিলাইর মাঝখানে
ঝুইলা থাকি- আদরের একফাকে বিলাইডা আমার
কোলের উপ্রে আইসা বসে, আমি তার মাথায় আদর
করি, গলায় আদর করি, ও চুপ কইরা আমার কোলে
পইড়া থাকে, সবগুলা নোখ খাপের ভিত্রে ভইরা রাখে-
আমি একটা ভিজা বিলাই আদর করতে থাকি, বাইরে
গোলাপজলের ম্যাঘে ভিজে সুপারির বন-পানের বরজ।

১০/১২/২০১৭
দুপুর দুইটা দুই(২:০২)

 

আমাগো আর বাপের দরকার নাই

একদিন আইলসা দুপুরে রইদেরা যখন
উড়া উড়া প্রজাপতি আর কইতরের বুকে
ঘাই দিয়া দিয়া নাই হয়্যা যায়, আমি তখন
আমার জানলার পাশে বিছনার উপ্রে শুয়্যা
শুয়্যা হুদাই ভাবতে থাকি কতকিছু; মাথার
ভিত্রে কইতর উড়ে নাকি মাথার বাইরে?
নাকি
সব ভানুমতির খেইল…. আল্লার লীলাখেলা;
নাকি বেইজ রিয়ালিটির ফ্যান্টাসি সব.…
ভাবতে ভাবতে কইত্থে যে কই কই
গেলাম গা…রগে রগে শিরায় শিরায় বায়া
বায়া এই গাছেরথে ওই গাছ- ওই গাছেরথে
আরেকটায় বান্দরের মত যাইতে যাইতে শ্যাষে
এমন এক জাগায় আইলাম যার পরে আর নাই!
যার পরে খালি নীলকুয়াশার জোসনা এই আছে
এই নাই…
আগে কহনো আমি এতো দূরে আসি নাই-
লাফ দিমু না দিমুনা, ফিরা যামু না যামুনা…
এই সব ভাবতে ভাবতে হঠাতে দেখি….
দূরে আমার বাপে খাড়ায় আছে! তার হাতে
রাস্তার ম্যাপ।
আমি গিয়া বাদাম গাছ তলে তার লগে দাড়াই!
বাপে ম্যাপ আমার হাতে দিয়া কইলো আর
যাওয়ার কোনো জাগা নাই। চল্ ফিরা যাইগা….
তখনে কুয়াশার ঐপাড়ে কি এক অচিনা পাখি
সুরে সুরে গান গায়। আমি বাপের চোখের ভিত্রে
তাকাই…. তার চোখগুলা এক ট্যাকার লজেন্স…..
আমার ছোডবেলা মনে পড়ে- তবু
বাপের বাঁ গালে চুমা দিয়া আমি বাতাসে ভাসাই আমার
কইতরী ডানা…

৫-১৭/০১/১৮

 

The following two tabs change content below.
Avatar photo

তু.সা.র. তুষার

দুনিয়া দেখিটেখি, ছবিও তুলি, লিখিও কবিতায়, গল্পও তো...

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →