Main menu

গণ-ফ্যাসিজম (Ur-Fascism) – উমবের্তো একো [ফার্স্ট পার্ট]

[১৯৯৭ সালে ইতালিয়ান ভাষায় লেখাটা ফার্স্ট পাবলিশ হইছিল, পরে ২০১১ সালে ইংলিশে ট্রান্সলেট করা হয়। ইতালিয়ান থিকা ইংলিশে ট্রান্সলেট করছেন Alastair McEwen.]

১৯৪২ সালে, যখন আমার বয়স দশ বছর, Ludi Juveniles -এ আমি ফার্স্ট প্রাইজ জিতছিলাম, যেইটা ছিল সব কিশোর ফ্যাসিস্টদের জন্য বাধ্যতামূলক একটা ওপেন কম্পিটিশন – যেইটারে বলা যায়, সব কিশোর ইতালিয়ানদের জিনিস। ‘মুসোলিনির সম্মানের জন্য আর ইতালির অমর মঞ্জিলের জন্য আমাদের কি মইরা যাওয়া উচিত হবে?’ – এই বিষয়ের উপরে রেটরিকে ভরা জবরদস্ত একটা রেসপন্স লিখছিলাম। আমার উত্তর ছিল হ্যাঁ-সূচক। আমি একটা চালাক বাচ্চা ছিলাম।

তারপরে ১৯৪৩ সালে আমি ‘ফ্রিডম’র মানে আবিষ্কার করলাম। আমি এই ভাষণের শেষের দিকে অই গল্পটা বলবো। অই সময়ে ‘ফ্রিডম’ মানে ‘স্বাধীনতা’ ছিল না।

আমি আমার জীবনের শুরুর দিকে দুই বছর এসএস, ফ্যাসিস্ট আর রেজিসট্যন্স যোদ্ধাদের দিয়া ঘেরা ছিলাম, যারা সারাক্ষণ একদল আরেকদলের দিকে গুলি ছুঁড়তেছিল, আর আমি শিখছিলাম কেমনে বুলেট থিকা বাঁইচা থাকতে হয়। খারাপ ট্রেনিং ছিল না সেইটা।

১৯৪৫ সালের এপ্রিল মাসে পাটিজানরা মিলান দখল কইরা নিলো। দুইদিন পরে অরা ছোট শহরটাতে চইলা আসলে যেইখানে আমি থাকতাম। একটা আনন্দের মুহূর্ত ছিল সেইটা। মেইন স্কয়ারে লোকজনের ভীড়, সবাই গান গাইতেছিল আর পতাকা উড়াইতেছিল, চিল্লায়া মিমো’রে ডাকতেছিল, যে ছিল লোকাল রেজিসট্যান্স মুভমেন্টের লিডার। কারাবিনিয়ারির (ইতালিয়ান মিলিটারি পুলিশ ফোর্সের) একজন ফর্মার সার্জেন্ট হিসাবে বাগডোলিও’র (পিয়েত্রো বাগডোলিও, সামরিক নেতা ও ইতালিয়ান এন্টি-ফ্যাসিস্ট সময়ের প্রাইম মিনিস্টার) ফলোয়ারদের সাথে অনেক ত্যাগ স্বীকার করছেন মিমো এবং শুরুর দিকের একটা লড়াইয়ে উনার একটা ঠ্যাং হারাইছিলেন। উনি টাউনহলের বারান্দাতে আইসা দাঁড়াইলেন, মলিন; এক হাত দিয়া উনি লোকজনরে থামানোর চেষ্টা করতেছিলেন। উনার বক্তৃতা শুরু করার জন্য আমি অপেক্ষা করতেছিলাম, আমার ছোটবেলা আমি কাটাইছি মুসোলিনির মহান ঐতিহাসিক ভাষণগুলা শুইনা, যার ইর্ম্পটেন্ট অংশগুলা স্কুলে আমাদেরকে মুখস্ত করতে হইতো। সবকিছু চুপচাপ। মিমোর ভয়েস ছিল ফ্যাঁসফ্যাঁসে, তারে শোনাই যাইতেছিল না। সে কইলো: “নাগরিকরা, বন্ধুরা। এতোদিনের যন্ত্রণাময় বলিদানের পরে… এইখানে আসছি আমরা। সম্মান জানাই তাদের প্রতি যারা ফ্রিডমের জন্য মারা গেছেন।’ এইটুকই ছিল এইটা। উনি ভিতরে চইলা গেলেন। লোকজন একটা চিল্লানি দিল, পার্টিজানরা অদের অস্ত্রগুলা উঁচায়া ধরলো আর উপরের দিকে গুলি করলো উৎসবের মতন। আমরা বাচ্চারা শেলগুলা কালেক্ট করার লাইগা দৌড়াদৌড়ি শুরু কইরা দিলাম, মূল্যবান জমানোর জিনিস এইগুলা, কিন্তু আমি এইটাও জানছিলাম, কথা বলার স্বাধীনতার মানে হইতেছে রেটরিক থিকা স্বাধীনতা পাওয়া।

কয়েকদিন পরে আমি ফার্স্ট আম্রিকান সৈন্য দেখলাম। যেই ফার্স্ট ইয়াংকি’রে আমি দেখছিলাম সে ছিল একজন কালা আদমী, জোসেফ, যে আমারে Dick Tracy আর L’il Abner’র আজব দুনিয়ার সাথে পরিচিত করাইছিল। অর কমিকসগুলা ছিল রঙিন আর গন্ধ ছিল ভালো।

অফিসারদের একজন (একজন মেজর বা ক্যাপ্টেন মাডি) একটা ভিলা’তে থাকতেছিল যেইটার মালিক ছিল আমার দুইজন ক্লাসমেটের ফ্যামিলি। এইটা ছিল আমার বাড়ির বাইরে আরেকটা বাড়ি, বাগানের মধ্যে ক্যাপ্টেন মাডি’র চারপাশে কিছু মহিলারা ভীড় কইরা থাকতো, ভুলভাল ফ্রেঞ্চে কথা কইতো। ক্যাপ্টেন মাডি ছিলেন একজন শিক্ষিত মানুশ এবং কিছু ফ্রেঞ্চ জানতেন। তো, আম্রিকান মুক্তিদাতাদের ব্যাপারে আমার ফার্স্ট ইমেজ ছিল, অইসব কালা শার্টগুলা বা ফ্যাকাশে চেহারাগুলার বাইরে, একজন ভদ্র কালা লোক যে হলুদ সবুজ ইউনিফর্মে বলতেছে: ‘Oui, merci beaucoup, Madame, moi aussi j’aime le champagne…’ আনফরচুনেটলি অইখানে কোন শ্যাম্পেন ছিল না, কিন্তু ক্যাপ্টেন মাডি আমারে ফার্স্ট চুইংগাম দিছিলেন আর আমি সারাদিন অইটা চাবাইতাম। রাতের বেলা আমি গামটারে একটা গ্লাসের পানিতে রাইখা দিতাম যাতে পরের দিন অইটা ফ্রেশ থাকে।

মে মাসে আমরা শুনলাম যে যুদ্ধ শেষ হইছে। শান্তি আমারে একটা কিউরিয়াস ফিলিংস দিল। একজন কিশোর ইতালিয়ান হিসাবে আমারে বলা হইছিল যে, সবসময় যুদ্ধের ভিতরে থাকাটা হইতেছে নরমাল ঘটনা। এর পরের কয়েকমাসে আমি টের পাইলাম যে, রেজিসট্যান্স একটা লোকাল ফেনোমেনা ছিল না বরং ছিল একটা ইউরোপিয়ান ঘটনা। ‘reseau’ ‘maquis’ ‘armee secrete’ ‘Rote Kapella,’ আর ‘Warsaw ghetto’র মত একসাইটিং নতুন শব্দগুলা আমি শিখলাম। হলোকাস্টের প্রথম ছবিগুলা আমি দেখলাম আর এই শব্দটা কি মিন করে সেইটা জানার আগেই আমি এইটা শিখলাম। আমি বুঝতে পারলাম এইটা হইতেছে সেই জিনিস যা থিকা আজাদ হইছি আমরা।

আজকে ইতালিতে অনেকে প্রশ্ন করে যে যুদ্ধের ঘটনাটাতে রেজিসট্যান্সের কোন রিয়েল ইমপ্যাক্ট আছে কিনা। আমার জেনারেশনের লোকজনের জন্য এই প্রশ্নটা ইরিলিভেন্ট: আমরা সাথে সাথেই বুঝতে পারছিলাম রেজিসট্যান্সের নৈতিক আর সাইকোলজিক্যাল সিগনিফিকেন্সটা। এইটা গর্ব করার মতো একটা ব্যাপার যে, আজাদ হওয়ার লাইগা আমরা ইউরোপিয়ানরা প্যাসিভলি অপেক্ষা কইরা ছিলাম না। আমি মনে করি যে, ইয়াং আম্রিকানরা যারা আমাদের আজাদি’র জন্য রক্ত দিছিল, তাদের এই জানাটা অহেতুক ছিল না যে, লাইনগুলার অইপারে ইউরোপিয়ানরাও আছে যারা এই ঋণ শোধ করতেছে।

এখন অনেক ইতালিয়ানরা বলে যে, রেজিসট্যান্স হইতেছে একটা কমিউনিস্ট মিথ্যা। এইটা সত্যি কথা, কমিউনিস্টরা রেজিসট্যন্সরে এক্সপ্লয়েট করছিল যেন এইটা তাদের নিজস্ব সম্পত্তি, যেহেতু তারা এইটাতে একটা প্রাইমারি রোলে ছিল; কিন্তু আমি মনে করতে পারি পার্টিজান’রা নানান রকমের রুমাল বাঁধছিলো নিজেদের মাথায়।

রেডিও’তে কান পাইতা, আমি রাতগুলা পার করতাম – জানালাগুলা বন্ধ রাইখা, ব্ল্যাক-আউটের কারণে রেডিও’র চারপাশটারে মনে হইতো দ্যুতির মতো – পার্টিজানদের জন্য রেডিও লন্ডন থিকা ব্রডকাস্ট করা মেসেজগুলা আমরা শুনতাম। অইগুলা একইসাথে ছিল সংকেতময় এবং কাব্যিক (‘তবুও সূর্য উঠে,’ ‘তবুও গোলাপ ফুটে’), আর বেশিরভাগই ছিল ‘ফ্রাঞ্চির জন্য মেসেজ।’ কেউ একবার আমারে ফিসফিস কইরা বলছিল যে, ফ্রাঞ্চি হইতেছে নর্থ ইতালির গোপন গ্রুপগুলার একজন পাওয়ারফুল লিডার, যার অনেক সাহসের কাহিনি ছিল। ফ্রাঞ্চি (যার আসল নাম হইতেছে Edgardo Sogno) ছিলেন একজন রাজতন্ত্রী, এইরকমের কঠিন এন্টি-কমিউনিস্ট যে যুদ্ধের পরে উনি একস্ট্রিম ডান-পন্থী দলে যোগ দিছিলেন আর একটা রক্ষণশীল ক্যু’র সহযোগী হিসাবে দোষী হইছিলেন। কিন্তু এতে কি যায় আসে? Sogno এখনো আমার ছোটবেলার স্বপ্ন।* (এইটা একটা শব্দের খেলা: ইতালিয়ান ভাষায়, Sogno মানে স্বপ্ন।) আজাদী হইতেছে একটা কমন অঙ্গীকার যেইটা নানান রংয়ের আলাদা লোকজন একসাথে হাসিল করে।

আজকে ইতালিতে অনেকে বলে যে আজাদীর লড়াই’টা ছিল ভাগ হয়া যাওয়ার একটা ট্রাজিক সময়, আর এখন আমাদের জাতীয় পুর্নমিলনের সময়। অইসব ভয়াবহ বছরের মেমোরিগুলারে চাপা দিতে হবে। কিন্তু অবদমন মানসিক রোগ তৈরি করে। যেইখানে মিলমিশ করার মানে হইতেছে দরদ দেখানো আর রেসপেক্ট করা সবার জন্য যারা একটা ভালো উদ্দেশ্য নিয়া যুদ্ধ করছে, সেইখানে মাফ কইরা দেয়া মানে ভুইলা যাওয়া না। আমি এইটাও স্বীকার করতে পারি যে, আইখম্যান তার মিশনে সত্যিকারভাবেই বিশ্বাস করতো, কিন্তু আমি ফিল করি না যে আমি বলতে পারবো: “ঠিকাছে, ফিরা যাও আর আবার অই কাজ কর।’ আমরা এইখানে আছি মনে করার জন্য যে কি হইছিল আর শপথ নিয়া বলার জন্য যে ‘অরা’ এই কাজ যাতে আর কখনোই করতে পারবে না।

কিন্তু এই ‘অরা’ কারা?

যদি আপনি আবার ভাবেন যে, সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ারের আগে ইউরোপে যে টোটালিটেরিয়ান গর্ভমেন্টগুলা ডমিনেন্ট করতো, আমরা খুব ভালোভাবেই বলতে পারি যে আলাদা রকমের হিস্টোরিক্যাল অবস্থাগুলাতে আগের ধরণে ফিরা আসতে পারবে না। মুসোলিনি’র ফ্যাসিজম দাঁড়ায়া ছিল একটা ক্যারিশমাটিক লিডারের আইডিয়ার উপর, কর্পোরোটিভিজমের উপর, ‘রোমের নিয়তি-নির্ধারিত মনজিলের’ ইউটোপিয়ার উপর, নতুন দেশ দখল করার সাম্রাজ্যবাদী ইচ্ছার উপর, জ্বালাময়ী জাতীয়তাবাদের উপর, একটা রেজিমেন্টেড কালা-শার্টের জাতির আইডিয়ার উপর, পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি বাতিলের উপর, আর এন্টি-সেমিটিজমের উপর। আমি স্বীকার করি Alleanza Nazionale, যেইটা Movimento Sociale Italiano থিকা বাইর হইছে, অবশ্যই একটা ডান-পন্থী পার্টি, কিন্তু পুরান ফ্যাসিজম নিয়া এর তেমন কিছু করার নাই। একইভাবে, যদিও আমি ইউরোপের এইখানে সেইখানে নানান ধরণের প্রো-নাজি মুভমেন্ট নিয়া চিন্তায় আছি, রাশিয়া সহ, আমি মনে করি না যে নাজিজম, তার আসল ফর্মে, কোন একটা জাতির মধ্যে একটা মুভমেন্ট হিসাবে ফিরা আসতে পারবে।

যা-ই হোক, যদিও পলিটিক্যাল শাসন উল্টানো যায়, আইডিওলজিগুলারে ক্রিটিসাইজ করা যায় আর বেআইনি বানানো যায়, একটা শাসনের আর তার আইডিওলজির পিছনে সবসময় এক ধরণের চিন্তা আর ফিলিং থাকে, একটা কালচারাল অভ্যাসের সিরিজ থাকে, একটা ঝাপসা প্রবৃত্তিগুলার নীহারিকা আর গভীর বাসনাগুলা থাকে। তাইলে কি ইউরোপ জুইড়া আরেকটা ভূত ঘুইরা বেড়াইতেছে (বলার দরকার নাই দুনিয়ার অন্য জায়গাগুলাতেও)?

Ionesco একবার কইছিলেন যে, খালি শব্দগুলারই দাম আছে আর বাকি সবকিছু হইতেছে আজাইরা জিনিস। লিঙ্গুইস্টিক অভ্যাসগুলা অনেক সময়ই না-বলা সেন্টিমেন্টগুলার ইম্পর্টেন্ট সিমটম।

তাইলে আমারে জিগাইতে দেন কেন খালি রেজিসট্যান্স না বরং পুরা সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ারই ফেসিজমের এগেনেস্টে একটা লড়াই হিসাবে ডিফাইন করা হয়। আপনি যদি হেমিংওয়ের ফর হুম দ্য বেল টুলস পড়েন, আপনি দেখতে পাইবেন যে রবার্ট জর্ডন তার শত্রুদেরকে ফ্যাসিস্ট হিসাবে দেখে এমনকি যখন সে স্প্যানিশ ফ্যালানগেনিস্টদের (Falangists) কথা ভাবে।

আমি ফ্যাঙ্কলিন ডেলিনো রুজভেল্টের কথা ছড়ায়া দিতে চাই: ‘আম্রিকান লোকজনের আর তাদের মিত্রদের বিজয় হইতেছে ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে আর স্বৈরাচারের অন্ধ মিত্র আর তারা যা রিপ্রেজেন্ট করে তাদের বিরুদ্ধে বিজয়’ (২৩শে সেপ্টেম্বর ১৯৪৪)

ম্যাকর্থি পিরিয়ডের সময়, স্প্যানিশ সিভিল ওয়ারের সময় যেইসব আম্রিকানরা অংশগ্রহণ করছিল তাদেরকে বলা হইতো ‘প্রি-ম্যাচিউর এন্টি-ফ্যাসিস্ট’ – এইটা আরেকভাবে বলা যে চল্লিশের দশকে হিটলারের বিপক্ষে লড়াই করা সব ভালো আম্রিকানদের নৈতিক দায়িত্ব, কিন্তু ফ্রাঙ্কোর বিরুদ্ধে লড়াই করাটা বেশি আগ বাড়ানো ছিল বইলা তিরিশের দশকে সন্দেহ করা হইছিল। একজন আম্রিকান রেডিক্যাল কেন “ফ্যাসিস্ট শুওর”র মতো এক্সপ্রেশনটা ইউজ করে এমনকি একজন পুলিশম্যানের প্রতি যে তারা যেই ধোঁয়া’টা উড়াইতেছে সেইটারে মাইনা নেয় না বইলা? কেন তারা বলতো না: ‘caugolard শুওর’, ‘Falangist শুওর’, ‘Ustasha শুওর’, ‘Quisling শুওর’, ‘Ante Pavelic শুওর’ অথবা ‘নাজি (Nazi) শুওর’?

মাইন ক্যাম্ফ একটা পলিটিক্যাল প্রোগ্রামের কমপ্লিট মেনিফেস্টো। নাজীজম ছিল রেইস আর আরিয়ানিজমের একটা থিওরি, entartete kunst (‘অবক্ষয়ের আর্ট’), ইচ্ছা আর ক্ষমতার আর Ubermensch’র একটা ফিলোসফি, নাজীজম ইচ্ছাকৃতভাবে ছিল এন্টি-খ্রিশ্চান আর নিউ-প্যাগান, যেইরকমভাবে স্ট্যালিনের Diamat (সোভিয়েত মার্ক্সসিজমের অফিসিয়াল ভার্সন) ছিল বস্তুতান্ত্রিক এবং নাস্তিক। যদি টোটালিটেরিয়ান দিয়া আমরা একটা শাসনের কথা বুঝি যেইখানে সব মানুশের কাজকাম রাষ্ট্রের কাছে আর তার আইডিওলজি’র কাছে বান্ধা থাকবে, তাইলে নাজীজম আর স্ট্যালিনিজম ছিল টোটালিটেরিয়ান শাসন।

ফ্যাসিজম অবশ্যই একটা ডিক্টেটরশীপ, কিন্তু এইটা পুরাপুরি টোটালিটেরিয়ান ছিল না – এইটার মডারেশনের কারণে না বরং এর আইডিওলজির ফিলোসফিক্যাল দুর্বলতার কারণে। কমনলি যা বিশ্বাস করা হয় তার বিপরীতে ইতালিয়ান ফেসিজমের নিজস্ব কোন ফিলোসফি ছিল না। Enciclopedia Treccani’র মুসোলিনি’র সাইন করা ফেসিজমের আর্টিকেলটা ছিল Giovanni Gentile’র লেখা বা মূলত তারে দিয়া ইন্সপায়ারড, কিন্তু অইটা ছিল ‘নৈতিক এবং সার্বভৌম রাষ্ট্রের’ লেট-হেগেলিয়ান নোশন, যেইটা মুসোলিনি কখনোই পুরাপুরি ধরতে পারেন নাই। মুসোলিনি’র কোন ফিলোসফিই ছিল না: তার যা ছিল তার সবটাই রেটরিক। সে শুরু করছিল একজন নাস্তিক জঙ্গি হিসাবে, খালি চার্চের লগে চুক্তি করার লাইগা আর বিশপদেরকে লগে রাখার লাইগা যাতে ফ্যাসিস্ট ব্যানারটারে অরা মদদ দেয়। তার পলিটিক্যাল ক্যারিয়ার শুরু করার আগে, এইরকম একটা বানানো কাহিনি মতে, সে একবার গড’রে কইছিল তারে অন দ্য স্পট মাইরা ফেলার লাইগা যাতে গড তার অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পারে। তো, দেখাই যাইতেছে গডের তখন অন্য কাজকাম ছিল। পরের বছরগুলাতে, মুসোলিনি সবসময় তার ওয়াজে গডরে সবসময় মেনশন করছে আর তার উপরে না, নিজেরে সে বলছে ‘দূরদর্শি লোক।’

এইটা বলা যাইতে পারে যে, ইতালিয়ান ফ্যাসিজম ছিল ফার্স্ট ডানপন্থী ডিক্টেটরশিপ যা ইউরোপের একটা দেশে ডমিনেন্ট করছিল, আর পরের একই ধরণের সব মুভমেন্টগুলা মুসোলিনি’র শাসনের মধ্যে আদর্শ খুঁইজা পাইছিল। ইতালিয়ান ফ্যাসিজম ছিল ফার্স্ট যারা একটা মিলিটারি জপমালা, একটা লৌকিকবিদ্যা, আর এমনকি একটা পোশাক তৈরি করছিল – যেইটা বিদেশে আরমানি, বেনিটন বা এখনকার সময়ে ভারসেজ যেইরকম তার চাইতে বেশি সাকসেস পাইছিল। তিরিশের দশকের দিকে গিয়া এই ফ্যাসিস্ট মুভমেন্ট ছড়াইতে লাগলো ইংল্যান্ডে, মুসিলের সাথে, আর লাটভিয়ায়, এস্তোনিয়ায়, লিথুনিয়ায়, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, স্পেন, পর্তুগাল, নরওয়ে, আর এমনকি সাউথ আম্রিকায়, আর বলার দরকা নাই, জার্মানিতে। এইটা ইতালিয়ান ফ্যাসিজম যা অনেক ইউরোপিয়ান লিবারাল লিডারদেরকে বিশ্বাস করাইছিল যে, কমিউনিস্ট থ্রেটের বিকল্প হিসাবে এই নতুন শাসন অনেক সামাজিক রিফর্ম করতে পারে একটা মডারেট বিপ্লবের ভিতর দিয়া।

যা-ই হোক, এই হিস্ট্রিক্যাল প্রাধান্যটা আমার কাছে যথেষ্ঠ মনেহয় না কেন ‘ফ্যাসিজম’ একটা দৃষ্টান্ত হয়া উঠছে, বিভিন্ন ধরণের টোটালিটেরিয়ান মুভমেন্টের একটা সাধারণ বৈশিষ্ট্য pars pro toto হয়া উঠে। এইটা অর্থহীন কথা হবে যদি বলা হয় যে, ফ্যাসিজম প্রতিটা টোটালিটেরিয়ান মুভমেন্টের উপাদানগুলারে এর মধ্যে ধারণ করে, বলতে গেলে, ‘একটা প্রাথমিক নিয়মের অবস্থা’। ঘটনাটা বরং উল্টাটা, ফ্যাসিজমের প্রাথমিক নিয়ম বইলা কিছু নাই, এবং এমনকি একটা সিঙ্গেল কোন ভাব। এইটা হইতেছে টোটালিটেরিয়ানিজমের একটা অস্পষ্ট ফর্ম। এইটা একটা কোন একপাক্ষিক আইডিওলজি না, বরং নানান ধরণের পলিটিক্যাল এবং ফিলোসফিক্যাল আইডিয়াগুলার একটা কোলাজ, কন্ট্রাডিকশনগুলারও একটা জট পাকানো অবস্থা। এইরকম একটা টোটালিটেরিয়ান মুভমেন্টের কথা কি আপনি চিন্তা করতে পারবেন যেইখানে রাজতন্ত্রী আর বিপ্লবীরা একইসাথে আছে, রাজকীয় আর্মি আর মুসোলিনীর প্রাইভেট মিলিশিয়া, চার্চের আর একটা রাষ্ট্রীয় শিক্ষা-ব্যবস্থারে একই অধিকার দেয়া হইতেছে গর্বিত ভায়োলেন্সের, টোটাল কন্ট্রোলের আর একটা ফ্রি মার্কেটের? ফ্যাসিস্ট পার্টি ক্ষমতায় আসছিল একটা নতুন বিপ্লবী ব্যবস্থা দিবে – এই দাবি কইরা, কিন্তু এর পিছনে টাকা ঢালছিল রক্ষণশীল জমির মালিকরা, যারা একটা কাউন্টাররেভিউলেশন চাইতেছিল। শুরুর দিকে রিপাবলিকান ফ্যাসিজম বিশ বছর ধইরা ধুঁকতেছিল, রাজকীয় ফ্যামিলির প্রতি এর লয়্যালিটি ধইরা রাখছিল, একজন ‘মহান’ সৈনিকরে একজন ‘রাজা’র সাথে কাঁধে-কাঁধ মিলায়া যুদ্ধের করতে দিছিল, যারে সম্রাট উপাধি দিছিল। কিন্তু ১৯৪৩ সালে রাজা যখন মুসোলিনীরে বরখাস্ত করলো, দুই মাস পরে পার্টি নতুনভাবে গোছানো হইলো, জার্মানদের হেল্প নিয়া, ‘সোশ্যাল’ রিপাবলিকের পতাকা নিয়া, এইভাবে তার পুরান বিপ্লবী হিসাবরে বদলাইলো, একটা আধা-জেকোবিন লাইনরে বাড়ানোর ভিতর দিয়া।

এইখানে খালি এক রকমে নাজি আর্কিটেকচার ছিল, আর একটা নাজি আর্ট। নাজি আর্ক্টিটেক্ট যদি হন Albert Speer, তাইলে এইখানে Mies van der Rohe’র কোন জায়গা থাকে না। একইভাবে, স্ট্যালিনের আন্ডারে, যদি Lamarck ঠিক থাকেন তাইলে এইখানে Darwin’র জন্য কোন জায়গা থাকে না। এর বিপরীতে, অবশ্যই ফ্যাসিস্ট আর্কিটেক্টরা আছেন, কিন্তু তাদের সুডো কলিজিয়ামগুলার (বড় স্টেডিয়াম বা থিয়েটারের) বাইরে গ্রোপিয়াসের আধুনিক রেশনালিজমের গোলাপি নতুন বিল্ডিংগুলাও আছে।

ফ্যাসিস্টের কোন Zhdanov নাই। ইতালিতে দুইটা ইম্পর্টেন্ট আর্ট প্রাইজ আছে – Premio Cremona হইতেছে Farinacci’র মতন একটা অভদ্র আর হিংস্র ফ্যাসিস্টদের দিয়া কন্ট্রোলড হয়, যেইটা প্রপাগান্ডা টাইপের আর্টরে প্রমোট করে (আমি মনে করতে পারি ছবিসহ অইরকম টাইটেলগুলার কথা Listening to the Duce’s Speech on the Radio and Mental States Created by Fascism); আর আরেকটা হইতেছে Premio Bergamo, ভদ্র এবং অপেক্ষাকৃত সহনশীল Bottai’র স্পন্সর করা, যারা আর্টের খাতিরে আর্ট’রে রক্ষা করতো, আর যেই নতুন আঁভা-গার্দ আর্ট জার্মাানিতে ব্যান করা হইছিল অসৎ আর চোরা-কমিউনিস্ট বইলা, Nibelugian kitsch’র বিপরীতে, একমাত্র আর্ট, যেইটা করার অনুমতি ছিল।

ইতালির জাতীয় কবি ছিলেন D’Annunzio, একজন ফুলবাবু, যে জার্মানি বা রাশিয়াতে থাকলে নিজেরে একটা ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে খুঁইজা পাইতো। অই রেজিমে সে এমনকি গীতিকবি’র মর্যাদায় আসীন ছিল তার জাতীয়তাবাদ আর হিরোজিমের কাল্টের কারণে – এর লগে ফ্রেঞ্চ অবক্ষয়ের সাথে একটা স্ট্রং হানাহানি তো ছিলই।

ফিউচারিজমের কথা ধরেন। এইটারে কন্সিডার করা হয় entartete Kunst’র (শিল্পের অবক্ষয়ের) একটা উদাহারণ হিসাবে, এক্সপ্রেশনিজম, কিউবিজম আর সুরিয়ালিজমের মতো। কিন্তু ফার্স্ট ইতালিয়ান ফিউচারিস্টরা ছিলেন ন্যাশনালিস্ট। এসথেটিক কারণে ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড ওয়ারে ইতালির যোগ দেয়াটারে সমর্থন করছিলেন; উনারা গতি, ভায়োলেন্স আর রিস্করে সেলিব্রেট করতেন, আর একভাবে এইসব জিনিস ফ্যাসিস্ট ইয়ুথের কাল্টের কাছাকাছি জিনিস মনে হইতো। যখন ফ্যাসিজম প্রাচীন রোমের সাথে নিজেরে মিলাইলো আর গ্রামীণ ঐতিহ্যগুলারে পুনারাবিষ্কার করলো, Marinetti (Filippo Tommaso Marinetti) – যে বলছিল একটা অটোমোবাইল Victory of Samothrace’র চাইতে বেশি সুন্দর, এমনকি চাইছিলো যাতে চাঁদের আলো না থাকে – তারে Accademia d’Italia’র একজন মেম্বার বানানো হইছিল, এমন একটা গোষ্ঠী, যারা চাঁদের আলো’রে খুব সম্মানের সাথে দেখে।

ভবিষ্যতে অনেক পার্টিজান আর কমিউনিস্ট পার্টির ইন্টেলেকচুয়ালরা GUF দিয়া শিক্ষিত হইছিল, যেইটা ছিল ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টদের ফ্যাসিস্ট এসোসিয়েশন, যেইটার হওয়ার কথা ছিল একটা নতুন ফ্যাসিস্ট কালচারের সুতিকাগার। অইসব ক্লাবগুলা ছিল ইন্টেলেকচুয়ালদের মেলামেশার মতো একটা জায়গা যেইখানে নতুন ধারণাগুলা ছড়ানো যাইতো কোন আইডিওলজিক্যাল কন্ট্রোল ছাড়াই; এই কারণে না যে পার্টি অফিসিয়ালরা সহনশীল ছিল, বরং কিছু লোকজনের ইন্টেলেকচুয়াল মালমশলাগুলা ছিল, অই ক্লাবগুলাতে নজর রাখার।

দুই দশকের এই অবস্থার ফলে, সো-কল্ড হারমেটিক স্কুলের কবিতা গাল-ভরা একটা স্টাইলে এই শাসনের প্রতিক্রিয়া দেখাইতো। এইসব কবিদেরকে তাদের আইভরি টাওয়ার থিকা সাহিত্যিক প্রটেস্ট বিশদ করার অনুমতি দেয়া হইতো। এই হারমেটিক কবিদের সেন্টিমেন্ট ছিল ফ্যাসিস্টদের কাল্ট আশাবাদ আর হিরোজিমের একদম উল্টা। এই প্রকাশ্য বিরোধিতারে এই শাসন সহ্য করতো, যদিও সামাজিকভাবে সূক্ষ মতবিরোধ দেখাইতো, কারণ এইটা আজাইরা জার্গনে যথেষ্ঠ মনোযোগ দিত না।

এর মানে এইটা না যে ইতালিয়ান ফ্যাসিজম সহনশীল ছিল। গ্রামসি মরার আগ পর্যন্ত জেলে ছিলেন, Matteotti আর Rosselli ভাইয়েরা খুন হইছিলেন, স্বাধীন প্রেসরে চাপায়া রাখা হইছিল, লেবার ইউনিয়নগুলারে ছত্রভঙ্গ কইরা দেয়া হইছিল, আর রাজনৈতকি প্রতিপক্ষদেরকে দূরের দ্বীপগুলাতে নির্বাসন দেয়া হইছিল। আইনি ক্ষমতা হয়া উঠছিল একটা লোক-দেখানি ঘটনা, আর গর্ভমেন্টের এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চ (যেইটা আদালত, আর এমনকি গণ-মাধ্যমগুলারে কন্ট্রোল করতো) সরাসরি নতুন আইনগুলা বানাইতো। (হলোকাস্টের প্রতি ইতালির ফরমাল সমর্থন।)

এই যে অসংলগ্ন চিত্র আমি এইখানে বর্ণনা করছি এইটা সহনশীলতার কারণে হয় নাই: এইটা হইতেছে পলিটিক্যাল এবং আইডিওলজিক্যাল একটা বিশৃঙ্খলা। কিন্তু এইটা ছিল ‘সাজানো বিশৃঙ্খলা’, বানানো সন্দেহ। ফ্যাসিজম ফিলোসফিক্যালি দুর্বল, কিন্তু একটা ইমোশনাল লেভেলে সার্টেন আর্কেটাইপের মধ্যে খুব শক্তভাবে নোঙর করা।

(টু বি কন্টিনিউ…)

The following two tabs change content below.
Avatar photo
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
Avatar photo

Latest posts by ইমরুল হাসান (see all)

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →