Main menu

বুকোউস্কির কবিতা ২

বুকোউস্কি’র কবিতা পড়তে গিয়া তিনটা জিনিস মনে হইছে।

পয়লা ব্যাপারটা হইতেছে, উনার বলা’টা; যেইসব জিনিস নিয়া উনি কবিতা লিখছেন। আমাদের মনে যেই একরকম ইনায়া-বিনায়া, পাতলা পর্দা দিয়া, ফুলে ফুলে টক্কর খাওয়াইয়া চুমা বুঝানো বা মিলিটারি বুট দিয়া পুতুল পাড়া দিয়া (ফানি) ‘নৃশংসতা’ মিন করার মতো ‘কবিতা’র বা ‘কাব্যিকতা’র ধারণা আছে, সেইগুলি কম বা নাই-ই এক রকম উনার কবিতায়। উনার কবিতা অনেকবেশি ডাইরেক্ট, হার্শ আর ‘রিয়েল-লাইফ’ ফিলিংসের ঘটনা।[pullquote][AWD_comments][/pullquote]

এইটা ভালো বা খারাপ – এইরকম না, এইটা ‘কবিতা’র ধারণা বা এক্সপেরিয়েন্সটারে এক্সটেন্ড করে একভাবে। এইরকমভাবেই কবিতা লিখতে হবে – তা না; এইরকমভাবেও কবিতা লেখা যাইতে পারে তো! এইরকম। 

দুসরা ঘটনা’টা হইলো, যেইভাবে উনি বলছেন, গল্প-কাহিনি’র মতো কইরা। উনার বেশিরভাগ কবিতাতেই কাহিনি আছে কোন, ঘটনা ঘটতেছে সবসময়, লাইভ একটা জিনিস। যার ফলে এক রকমের ‘প্রাণ’ আছে বইলা মনে হয়, মনেহয় কারেক্টারগুলি জ্যান্ত, বাঁইচা আছে, চলাফেরা করতেছে। উনার বলার বিষয়গুলিরে এইরকম বলার ফর্মটা আরো ভিজিবল কইরা তুলছে। 

তেসরা বা সবচে প্রমিনেন্ট মেবি যে, একজন স্ট্রং ইন্ডিভিজ্যুয়ালের প্রেজেন্স। একজন মানুষ আছেন, যিনি এই কবিতার কাহিনি’র ভিতরে আছেন, থাকতেছেন। উনার কবিতাগুলিতে এই ইন্ডিভিজ্যুয়াল হইতেছেন একজন গরিব বুড়া বেটা মানুষ। (কবিতা ইয়াং বয়সের জিনিস – এই ব্যাপারটাতেও একটু ধাক্কা লাগার কথা।) সোশ্যাল আইডেন্টিটি হিসাবে খুব রেসপেক্টবল কিছু না; বাদাইম্মা টাইপের একটা জিনিস। এইরকম একটা আইডেন্টিটি’র কারণেও মনে হইতে পারে যে, সোসাইটি জিনিসটারে উনি দেইখা ফেলতে পারতেছেন একভাবে, যেইটা সোসাইটির ভিতরের একটা আইডেন্টিটি থিকা দেখতে পাওয়াটা মুশকিলের হওয়ার কথা।

সবশেষে যেই কথা বলা’টা জরুরি মনেহয়, আমি বুকোউস্কি’র কবিতার আইডিওলজি’র ভক্ত বা সাবস্ক্রাইবার না। না – কেন? এইটা নিয়া ইনিশিয়ালি দুইটা পয়েন্টের কথা বইলা রাখা যায় – 

১. বুকোউস্কি’র কবিতা’তে একটা প্লেজার আছে এই স্টেটম্যান্ট দিতে পারার ভিতর যে, আমি তো খারাপ! মানে, উনার এই গিল্টি ফিলিংসটা যে নাই, সেইটা না; খুব ভালোভাবেই আছে, কিন্তু উনি যে ‘খারাপ’ এইটা বলার ভিতর দিয়া উনার খারাপ-হওয়াটা মাইনা নেয়ার স্পেইসটা ক্রিয়েট করতে পারতেছেন উনি; যে, আমি তো খারাপ! এই খারাপ হওয়াটা এতোটা খারাপও না আসলে, কারণ একটা ‘ভালো’ হওয়ারে অ্যাজিউম করে এই খারাপ-হওয়াটা যেই ‘ভালো’ এতোটা ভালো কিনা শিওর না, হয়তো যে ভালো সে খারাপ-ই, কিন্তু নিজেরে সে বলতে পারে না; অথচ যে খারাপ, খারাপ হইলেও বুক ফুলায়া বলতে পারেন খারাপ, তখন মনে হইতে পারে এতোটা খারাপ না মেবি! মানে, উনি বলেন না, কিন্তু এইটা ইমপ্লাই করেন তো, বলার ভিতর দিয়া। বলাটা ‘খারাপ’ না অবশ্যই, কিন্তু একটা খারাপ-ভালো’র ভিতর এই যে আটকাইতে পারা – এইটাতে সাবস্ত্রাইব করাটাও টাফ তো আসলে। বুকোউস্কি শেষমেশ, ‘আধুনিকতা’র ডিলেমার মধ্যেই আটকায়া থাকেন। ওই ডিলেমার একটা এক্সট্রিম এক্সপ্লোরেশন হয়তো।

২. ব্যাপারটা হইতেছে যে, কোন না কোন কবি’র ওয়ার্ল্ড থিকাই আমরা বাইর হয়া আসি না, বরং নিজেদেরকে আমরা যেইখানে প্লেইস করতে পারি, দেখি যে, আরে, কোন না কোন কবি এইভাবে বইলা রাখছেন তো আগে! বলতে-পারাগুলি’র সাথে আমরা মিলাই আমরা আমাদেরকে। একটু এইদিক-সেইদিক হয় মনেহয়, কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই কবিতার রিয়ালিটির জুতায় সবচে ক্লোজলি আটাইতে পারি আমরা আমাদের ফ্যাণ্টাসিগুলা। তো, বুকোউস্কির রিয়ালিটির টাইমটা পার হইছে মনেহয়। কবি হিসাবে নিজেরে সেন্টার পয়েন্টে তো রাখতেই হয়, কিন্তু যেই পাগলা, আন-সোশ্যাল, ক্র্যাক লোকটারে উনি রাখেন সেন্টারে, সে তার পাগলামি, রেভিউলেশন, ক্রাংকিনেসের ভিতরে যে নিজেরে সুপিরিয়র ভাবতে পারার এজেন্ডারে আপহোল্ড করতে পারে, সেইটা মেবি টাফ এখন। পসিবল না যে তা না। কিন্তু এই ফ্যাণ্টাসিগুলা তো ফেড-ই হইছে; যেমন সিক্সটিইজের হিপ্পিদের ফটো দেখলে এখন যতোটা না ড্রিমি-বিপ্লবী তার চাইতে বিষন্নতার রোগী-ই লাগে কিছুটা। ওইরকম।

তাই বইলা বুকোউস্কি’রে ‘বাতিল’ কবি বইলা মনেহয় না, উনার আউটস্পোকেননেস এখনো রিলিভেন্ট একটা প্যাটার্ন। কবিতা বা আর্ট হইতেছে আসলে উদাহারণ তৈরি করার ঘটনা, যতোটা না ব্যাখ্যা করার। এই জায়গা থিকা, বুকোউস্কি’র কবিতা এক রকমের কবিতারই উদাহারণ। 

যে কোন অনুবাদেই এডিট করাটা একটা ক্রুশিয়াল জিনিস বইলা আমি মনে করি। মুশকিল হইলো, এই অনুবাদগুলি তেমন একটা এডিট করা হয় নাই।  যার ফলে গ্রস কিছু মিসটেক থাইকা যাইতে পারে। একটা ভাষা থিকা আরেকটা ভাষাতে বা একটা  কালচার থিকা আরেকটা কালচারে আসার সময় ব্যাপারগুলি কিছুটা তো চেইঞ্জ হয় – এই সম্ভাবনার বাইরেও কিছু ভুল মনেহয় থাকলোই। 

ডিয়ার রিডার, এই রিস্কগুলিসহ আপনারে আবার বুকোউস্কি পড়ার দাওয়াত দিলাম।

 

ই. হা.

 

—————————————————————


।। ভিয়েতনামের হাতিগুলি ।। পেইন নিয়া ।। মেরি’রে বেক্কল বানানো ।। নরক একটা একলা জায়গা ।। পাপীদের প্লেজারগুলি ।। কেনোগা পার্কে যেই ইয়াং মহিলাটা থাকে ।। বাঁক ।। আমার অমরত্বের উপর একটা থ্রেট ।। এক পাঁক ।। লি পো ভুল কইছিলো? ।। ব্লু মুনও ব্লুউউউউউ মুওওওওন আমি যে কতো ভালোবাসি তোমারে! ।। মদখোর ।। যখন তুমি ওয়েট করতেছো ভোরের হামাগুড়ি দিয়া আসার, পর্দার ভিতর দিয়া ।। যেইভাবে একটা ছিনতাইকারী নিয়া যাবে আইসা তোমার লাইফ ।। হিউম্যান ন্যাচার ।। বড় রকমের চোদনা ।। সোসাইটির বুঝা দরকার ।। কবিতা ।। ম্যাজিকটারে ডিফাইন করা ।।  প্রেম আর সুনাম আর মরণ ।। গান ।। এখন শে ফ্রি ।। ওম্যান অন দ্য স্ট্রিট ।। চিঠিগুলি ।। ভীড়ের প্রতিভা ।। একটা প্রেমের কবিতা ।।

 

—————————————————————

 

ভিয়েতনামের হাতিগুলি

পয়লা তারা করতো কি, সে কইছিলো আমারে
গুলি করতো আর বোমা মারতো হাতিগুলিরে,
অন্য সব আওয়াজগুলি ছাপায়া অদের চিল্লানিগুলি শুনতে পাইতা তুমি,
কিন্তু মাইনষের উপরে বোমা ফালানোর লাইগা তোমারে অনেক উঁচাতে উঠা লাগতো,
তুমি কখনোই এইটা দেখতে পাইতা না,
খালি ছোট একটা ফ্ল্যাশের মতোন উপর থিকা
কিন্তু হাতিদের বেলায়
তুমি দেখতে পাইতা কেমনে এইটা ঘটতেছে
আর শুনতে পাইতা কেমনে অরা চিল্লাইতেছে,
আমি আমার দোস্তদের কইতাম, শোন, তোদের
এইটা স্টপ করা দরকার,
কিন্তু অরা হাসতো
যখন হাতিগুলি ছিটকায়া পড়তো
অদের শূঁড়গুলি ছুঁইড়া দিতো (যেন তাদেরকে উড়াইয়া দেয়া হইতেছে)
অদের মুখগুলি ভেটকায়া থাকতো
হা কইরা আর
অদের হাবা কেবলা ঠ্যাংগুলি লাত্থাইতো
যখন অদের পেটের বিশাল গর্তগুলি থিকা রক্ত বাইর হইতো

তারপরে আমরা ফ্লাইব্যাক করতাম,
মিশন কমপ্লিটেড।
সবকিছু পায়া গেছি আমরা
কনভয়, বাঁধগুলি, ব্রীজগুলি, মানুষ, হাতিগুলি আর
বাকি সবকিছু।

পরে সে কইছিলো আমারে, আমার
খারাপ লাগতো গো
হাতিগুলির লাইগা।

 

পেইন নিয়া

আমার পয়লা আর একমাত্র বউ
ছবি আঁকতো
আর শে আমারে কইতো
এইটা নিয়া:
“এইটা এতো পেইনফুল
আমার লাইগা, প্রতিটা স্ট্রোক হইতেছে
পেইন…
একটা ভুল আর
পুরা পেইন্টিংটাই হয়া যাবে
বরবাদ…
তুমি কখনোই বুঝবা না এই
পেইন…”

“শুনো, বাবু,”আমি
কইলাম, “কেন্নো তুমি সহজ কোনকিছু করো না –
কোনকিছু যা তুমি পছন্দ করো
করত্তে?”

শে জাস্ট আমার দিকে তাকায়া ছিলো
আর আমার ধারণা, এইটা ছিলো তাঁর
প্রথম আন্ডারস্ট্যান্ডিং
আমাদের একলগে থাকার
ট্রাজেডিটা নিয়া।

এইরকমের জিনিস সাধারণত
থাকে
কোন একটা জায়গায়।

 

মেরিরে বেক্কল বানানো

তাঁর লগে তার দেখা হইছিলো রেসের ময়দানে, একটা গোলগাল পাছাওলা স্ট্রবেরি
সোনালী-চুলের, ফোলা-বুক, লম্বা ঠ্যাং,
উঁচা নাক, ফুলের মতোন মুখ, পিঙ্ক ড্রেস আর শাদা হাই-হিল পরা।
শে তারে নানান ঘোড়া নিয়া জিগাইতে জিগাইতে
তার দিকে তাকায়া থাকলো তাঁর ফ্যাকাশে ব্লু চোখগুলি দিয়া।

সে কাছের বারের কথা কইলো আর তারা একটা ড্রিঙ্ক খাইলো, তারপরে
পরের রেসটা একলগে দেখলো।
সে সিক্সটি-টু-ওয়ান শটে ফিফটি-উইন হিট করলো আর শে
ফাল দিয়া উপ্রে উঠলো আর নামলো।
তারপরে শে তার কানে কানে কইলো,
“তুমি তো ম্যাজিক ম্যান! আমি চুদতে চাই তোমারে!”
সে মুচকি হাইসা কইলো, “আমিও চাই, কিন্তু
মেরি… আমার বউ…”
শে হাসছিলো, “আমরা একটা মোটেলে যামু!”

তো, তারা টিকেট ক্যাশ করলো, পার্কিং লটে গেছিলো,
তাঁর গাড়িতে উঠলো। “আমি তোমারে ড্রাইভ কইরা দিয়া যাবো
আমাদের কাম শেষ হইলে,” শে হাইসা কইছিলো।

পশ্চিম দিকে এক মাইল যাওয়ার পরে অরা একটা মোটেল পাইলো। শে পার্ক করলো, অরা বাইর হয়া আসলো, ৩০২ নাম্বার রুমে গেলো।

যাওয়ার পথে একটা জ্যাক ডেনিয়েলের বোতলের লাইগা
অরা থামলো। সে খাড়াইলো আর কাগজের মোড়ক থিকা গ্লাসগুলি বাইর করলো। যখন শে
ন্যাংটা হইতেছিলো সে দুই গ্লাসে ঢাললো।

অর ছিলো খুবই সুন্দর কচি একটা শরীর। শে বিছনার কোণায়
বইসা দেখতেছিলো যখন সে ন্যাংটা হইতেছিলো। তার অস্বস্তি লাগতেছিলো, মোটা আর বুড়া সে
কিন্তু সে জানতো সে আছিলো লাকি: এইটা হইতে যাইতেছে তার জীবনের
সবচে
সেরা দিন।
তখন সে তাঁর লগে বিছনার কোণায বসলো
তার জ্যাক ডেনিয়েল নিয়া। শে হুমড়ি খায়া
তার দুই ঠ্যাংয়ের মাঝখানে ধইরা বসলো, উল্টাইলো
আর তার নিচে চইলা গেলো।
সে তারে চাদরের নিচে টাইনা নিলো আর তারা
আরো কিছুক্ষণ খেললো।
শেষমেশ, সে তাঁর উপরে চড়লো আর এইটা ছিলো গ্রেট, এইটা ছিলো
পুরা মিরাকল, কিন্তু খুব তাড়াতাড়িই এইটা শেষ হয়া গেলো, আর যখন শে
বাথরুমে গেলো সে আরো দুইটা ড্রিঙ্কস ঢাললো
ভাবতেছিলো, ভালো কইরা গোসল করতে হবে, তাইলে মেরি
কখনোই
বুঝতে পারবো না।

শে বাইর হয়া আসছিলো আর অরা বিছনায় বইসা
এইটা সেইটা কইতেছিলো।
“আমি এখন গোসল করতে যাই,” তাঁরে সে কইছিলো
“তাড়াতাড়ি চইলা আসবো আমি।”

“ও.কে., সোনা,” শে কইছিলো।

সে গোসলে ভালো কইরা সাবান মাখতেছিলো, সব পারফিউম মুছে দিতেছিলো,
মেয়েলি-গন্ধগুলা।

“তাড়াতাড়ি আসো, ড্যাডি!” সে শুনলো শে কইতেছে।

“এই যে আসতেছি, বেবি!” সে শাওয়ার থিকা চিল্লাইলো।

সে বাইর হইলো, টাওয়াল প্যাঁচাইলো, তারপর বাথরুমের দরজাটা
খুললো আর বাইরে পা রাখলো।

মোটেল রুমটা খালি।
চইলা গেছে শে।

কোন একটাকিছু মনে হওয়াতে সে ক্লজেটে গেলো,
দরজা’টা খুইলা
ধরলো: কোট হ্যাঙ্গারগুলি ছাড়া আর কিছু নাই।

তখন সে দেখলো তার কাপড়গুলিও নাই,
তার আন্ডারওয়্যার, তার শার্ট, গাড়ির চাবি আর মানিব্যাগসহ তার প্যান্ট,
সব টাকাপয়সা, তার জুতা, তার মোজা
সবকিছু।

আবার কিছু মনে হওয়াতে বিছনার নিচে উঁকি দিলো
সে।
কিছুই নাই।

তখন সে দেখলো জ্যাক ডেনিয়েলের বোতল’টা
হাফ ভরা,
ড্রেসিংটেবিলের সামনে দাঁড়ায়া।
সে হাঁইটা গেলো আর একটা ড্রিঙ্ক ঢাললো।
যখন সে ঢালতেছিলো সে দেখলো হিজিবিজি কইরা লেখা
ড্রেসিংটেবিলের
আয়নায় পিঙ্ক কালারের লিপস্টিক দিয়া: ধইনচা!

সে হুইস্কিটা খাইছিলো, গ্লাসগুলি নামায়া
দেখতেছিলো নিজেরে
আয়নার ভিতরে, অনেক মোটা, অনেক টার্য়াড, অনেক বুড়া।
এরপরে কি করবে সে বুঝতেছিলো না।

সে হুইস্কিটা নিলো, বিছনায় ফেরত গেলো, বসলো
বোতলটা তুইলা ধরলো আর চুমুক দিলো সেইটাতে যখন
আলো আসতেছিলো
বড় রাস্তা থিকা জানালার ময়লা পর্দাগুলির ভিতর দিয়া। তখন সে খালি বইসা থাকলো
আর তাকায়া থাকলো বাইরে আর দেখতেছিলো গাড়িগুলি
চইলা যাইতেছে আর
আসতেছে।

 

নরক একটা একলা জায়গা

তার বয়স আছিলো ৬৫, তার বউয়ের ৬৬, ছিলো
আলঝাইমার রোগ।

তার ক্যান্সার আছিলো
মুখে।
হইছিলো
অপারেশন, রেডিয়েশন
চিকিৎসা-পাতি
যা হাড়গুলিরে ক্ষয়া দিছিলো তার
চোয়ালে
যেইখানে পরে লাগাইতে হইছিলো
তার।

ডেইলি সে তার বউরে রাখে
রাবারের ডায়াপারে
একটা বাচ্চার
মতোন।

ড্রাইভ করতে না পাইরা তার
এই কন্ডিশনে
তার ট্যাক্সি নেয়া লাগে
যাওয়ার লাইগা মেডিকেল
সেন্টারে,
কথা কইতে পারতো না,
লেইখা
দিতে হইতো ডিরেকশনগুলি।

লাস্ট বার ভিজিটের সময়
অরা তারে কইছিলো
আরেকটা লাগবো
অপারেশন: আরেকটু

বামদিকের
গালে আর একটু
জিহ্বাতে।

যখন সে ফিরা আসছিলো
সে চেইঞ্জ কইরা দিছিলো তার বউয়ের
ডায়াপার
টিভিটা ছাড়লো
ডাইনিংয়ে, দেখলো
সন্ধ্যার খবর
তারপরে গেলো
শোবার ঘরে, নিলো
পিস্তলটা, ঠেকাইলো তার
কপালে, গুলি কইরা দিলো।

শে পইড়া গেলো
বামপাশে, সে বসছিলো
সোফার উপরে
পিস্তলটা রাখলো তার
মুখে, টাইনা দিলো
ট্রিগারটা।

এই গোলাগুলি জাগায় নাই
পাড়া-প্রতিবেশীদের।

পরে
ডাইনিংয়ের পুড়া টিভিটা
করছিলো।

কেউ একজন আসছিলো, ধাক্কা দিয়া
খুলছিলো দরোজাটা, দেখছিলো
এইটা।

সাথে সাথে
পুলিশ আসছিলো আর
তাদের রুটিনের ভিতর দিয়া
গেছিলো, কিছু জিনিস
পাইছিলো:
একটা বন্ধ করা সেভিংস
অ্যাকাউন্ট আর
একটা চেকবুক যেইখানে
ব্যালেন্স আছিলো
$ ১.১৪

সুইসাইড, উনারা
সাব্যস্ত করলো।

তিন সপ্তাহের মধ্যে
এইখানে দুইজন
নতুন ভাড়াটিয়া আসলো:
একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার
নাম
রস
আর অর বউ
আনাতানা
যে শিখে
ব্যালে।

অদেরকে দেখতে লাগতো আরেকটা
উঁচাঘরের চঞ্চল
জোড়ার মতোন।

 

পাপীদের প্লেজারগুলি

পাপীদের প্লেজারগুলি
হইতেছে খালি ছোট্ট মোমেন্টগুলি
খুশির:
একটা কুত্তার চোখগুলিতে থাকা লুকটার মতোন,
মোমবাতির একটা চারকোণার মতোন,
সিটি হলে একটা আগুন লাগার মতোন,
গ্রাম-গঞ্চ,
মহাদেশ,
কুমারী আর মনস্টারদের
চুলে আগুন লাগার মতোন;
আর চিলগুলি উড়তেছে পিচ গাছগুলির উপরে,
তাদের নখগুলির মধ্যে দৌড়ইতেছে সমুদ্র,
সময়
মাতাল আর মনমরা,
সবকিছু ভিজতেছে,
সবকিছু পুড়তেছে,
সবকিছু ঠিকাছে।

 

কেনোগাপার্কে যেই ইয়াং মহিলাটা থাকে

শে খালি তারেই লাগায় যারে শে
বিয়া করতে চায় না।
অন্যদেরকে শে কয়
আমারে বিয়া করা লাগবে।
অথবা হইতে পারে শে তারেই চুদে যারে তাঁর
চুদতে ইচ্ছা করে?
শে খোলাখুলই এইটা নিয়া কথা বলে
আর শেষে একটা অ্যাপার্টমেন্টে থাকে
লাল-চুলওলা একটা ৯-বছরের পোলার লগে
আর একটা ৭-মাস-বয়েসী বাচ্চার লগে।
শে চাইল্ড সার্পোটের টাকা পায়
আর যখন শে চাকরি করে
শে চাকরি করে ফ্যাক্টরিগুলিতে অথবা একজন
ককটেল ওয়েট্রেস হিসাবে।
তার ৬০ বছর বয়েসী একটা বয়ফ্রেন্ড আছে
যে দিনে এক জগ ওয়াইন খায়
একটা ঠ্যাং ভাঙ্গা
আর ওয়াইএমসিএ’তে থাকে।
শে ডোপ নেয়, বেশিরভাগ গাঞ্জাই
বড়ি খায়
কালা চশমা পিন্দে
আর কথা কইতেই থাকে কইতেই থাকে কইতেই থাকে
আপনার দিকে না তাকায়া আর
একটা লম্বা গুটির নেকলেস নাড়াইতে থাকে তাঁর
চিকন
নার্ভাস আঙুলগুলি দিয়া।
রাজহাঁসের মতোন একটা গলা অাছে তাঁর,
হয়তো একটা মুভিস্টার হইতে পারতো,
দুইবার পাগলাগারদে ছিলো,
এক মা আছে পাগলাগারদে,
আর এক বইন আছে জেলখানায়।
আপনি কখনোই জানেন না কখোন শে হয়া যাইতে পারে

পাগল আবার আর
ছোট মুঠিগুলি ছঁুড়তে থাকবে
আর রাত ৩টার সময় আপনারে ফোন দিবো।
বাচ্চাগুলি চাকা-লাগানো খেলনা দিয়া ঘুরে অ্যাপার্টমেন্টে
আর শে চুদতে থাকে অথবা চুদে না,
একটা এক্সারসাইজ চার্ট আছে তার ওয়ালে
এইদিকে বা এইদিকে বেন্ড করার
পায়ের পাতা ধরার
ফাল দেয়ার
স্ট্রেচ করার আর এইরকম
কিছু। শে ডোপ থিকা ধর্মে যায়
আর ধর্ম থিকা ডোপে ফিরা আসে আর
কালা বেটাদের থিকা শাদা বেটাদের কাছে আর যায়
শাদা থিকা
কালায় আবার।

যখন শে তাঁর কালা চশমা খুলে
তাঁর চোখগুলি নীল
আর শে হাসার ট্রাই করে
যখন শে নেকলেসটারে টুইস্ট করতে থাকে
চারপাশে আর চারপাশে।
এইটার শেষে ৩টা চাবি আছে:
অর গাড়ির চাবি
অর অ্যাপার্টমেন্টের চাবি
আর আরেকটা নিয়া আমি কখনোই
জিগাই নাই তারে।
শে হাল ছাইড়া দেয় নাই,
শে এখনো মারা যায় নাই,
শে এমনকি বুড়াও হয় নাই,
অর এয়ারকন্ডিশনারটা কাজ করে না

আর এইসবকিছুই আমি জানি
অর সম্পর্কে কারণ আমি তাদের একজন
যারে শে চায়
বিয়া করতে।

 

বাঁক

ড্রাইভ কইরা পার্কিং লটে শে যখন আইলো
আমি আমার গাড়ির পিছনে হেলান দিয়া ছিলাম।
মাতাল আছিলো শে আর তার চোখগুলি পানিতে ভিজা
“শুয়োরের বাচ্চা, যখন তুই আমারে চুদতে চাস নাই
তখন চুদছস। আমারে বলছোস ফোন করার লাইগা
তোরে, আমারে বলছোস শহরের কাছে চইলা আসার লাইগা,
তারপরে তুই কইলি তোরে ছাইড়া যাইতে।”

এইটা অনেক ড্রামাটিক হইতেছে আর আমি এনজয় করতেছি
“আচ্ছা, ঠিকাছে, তাইলে কি চাও তুমি?“

“আমি তোমার সাথে কথা কইতে চাই, আমি তোমার ঘরে যাইতে চাই
আর কথা কইতে চাই তোমার লগে…“

“আমি তো এখন আরেকজনের লগে আছি। শে একটা স্যান্ডউইচ আনতে গেছে।“

“আমি তোমার লগে কথা কইতে চাই… সবকিছু কাটায়া উঠতে
একটু টাইম তো লাগে। আমার আরো টাইম দরকার।“

“ঠিকাছে। শে না আসা পর্যন্ত থাকো। আমরা তো আর
অমানুষ না। আমরা একলগে একটু মদ খাইলাম।“

“ছিঃ “শে কইলো“ ওহ, ছিঃ!“

শে ফাল দিয়া তার গাড়িতে উঠলো আর চইলা গেলো।

আরেকজন বাইর হয়া আসলো “কে ছিলো এইটা?“

“এক এক্স-ফ্রেন্ড।“

এখন শে চইলা গেছে আর আমি বইসা আছি এইখানে মাতাল হইয়া
আর আমার চোখগুলি মনে হইতেছে কান্দার পানিতে ভিজা।

খুব শান্ত একটা ব্যাপার আর আমার মনে হইলো একটা বর্শা
গিয়া বিধঁলো আমার নাড়িভূঁড়িতে।

আমি বাথরুমে হাঁইটা গেলাম আর বমি করলাম।

মাফ করা, আমি ভাবি, এই হিউম্যান রেইস কি
জানে কিছু
মাফ করা নিয়া?

 

আমার অমরত্বের উপর একটা থ্রেট

শে কাপড় খুলতেছিলো আমার সামনে
তার ভোদাটা আমার সামনে রাইখা
আর আমি একটা বিয়ারের বোতল হাতে নিয়া শুইয়াছিলাম
বিছানায়।

এই আঁচিলটা কেমনে হইলো
তোমার পাছায়? জিগাইছিলাম আমি।

এইটা আঁচিল না, শে কইছিলো,
এইটা একটা তিল, এক রকমের
জন্মদাগ।

এইটা দেখলে আমার ডর লাগে, আমি কইছিলাম
বাদ দেই
এইটা।

বিছানা থিকা উইঠা আমি
আরেকটা রুমে হাঁইটা গেলাম আর
দোলনা চেয়ারে বসলাম
আর দুলতে লাগলাম।

শে বাইর হয়া আসছিলো। এখন, শোন,
বুড়াভাম একটা। তোর তো সারা গায়ে
আঁচিল আর দাগ আর নানান জিনিসে ভরা।
আমার মনেহয় আমার দেখা সবচে কুৎসিত
বুড়া বেডাটা হইতোছস
তুই।

বাদ দাও, আমি কইছিলাম, আমারে আরো কিছু কও
তোমার পাছার তিলটা
নিয়া।

শে হাঁইটা আরেকটা রুমে চইলা গেলো
ড্রেস পড়লো আর আমার সাইড দিয়া দৌড়াইয়া গিয়া
ঠাস কইরা দরজাটা লাগাইলো
আর গেছিলো
চইলা।

আর ভাবছি
শে আমার সবগুলি বইও পড়ছে
কবিতার।

আমি জাস্ট ভাবলাম শে হয়তো কইবো না
কাউরে যে
আমি দেখতে সুন্দর আছিলাম না।

 

এক পাঁক

আমার বিছানা থিকা
আমি দেখতেছি
৩টা পাখি
একটা টেলিফোনের
তারের উপর।
একটা উইড়া
গেলো।
তারপরে
আরেকটা।
একটা বাকি থাকলো,
তারপরে
ওইটাও
গেলো গা।
আমার টাইপরাইটারটা
গোরস্তানের পাথর
চুপচাপ।
জাস্ট ভাবলাম আমি
তোমারে এইটা
জানায়া রাখি,
চুতমারানি।

 

লি পো ভুল কইছিলো?

তুমি জানো লি পো কি কইছিলো যখন তারে জিগানো হইছিলো
সে কি হবে
আর্টিস্ট নাকি ধনী?
“আমি বরং ধনী হবো,” সে জবাব দিছিলো, “কারণ আর্টিস্টদেরকে
এমনিতে পাওয়াই যায়
ধনীদের
দরজার সামনে বইসা থাকে।”

আমি বইসা থাকতাম কিছু দামি আর অবিশ্বাস্য ঘরগুলির দরজায়
নিজে
কিন্তু কোন না কোনভাবে আমি সবসময় অপদস্ত কইরা ফেলতে পারতাম নিজেরে আর/অথবা অপমান করতে পারতাম
আমার ধনী হোস্টরে
(বেশিরভাগ সময় তাদের ভালো মদগুলি অনেক পরিমাণ খাওয়ার পরে)
এমন কি হইতে পারে যে আমি ধনীদেরকে ডরাই?
তখন যা কিছু আমি জানতাম ছিলো গরিবি আর খুবই গরিব,
আর আমি এমনিতেই জানতাম যে ধনীদের এতো ধনী হওয়াটা ঠিক না,
যে, এইটা ছিলো ভাগ্যের
কোন চালাকি
যেইটা খুবই অসৎ আর
ঠিক না।
অফকোর্স, যে কেউ একই কথা কইতে পারে
গরিবদেরকে নিয়া,
আর এতো এতো গরিব মানুষ আছে, এইখানে
কোন সামঞ্জস্যই নাই।
আর এই কারণে যখন আমি, একজন আর্টিস্ট হিসাবে, যাই
ধনীদের বাড়িতে, আমার খারাপ লাগতো থাকতে
সেইখানে, আর আমি অনেকবেশি খাইতাম অদের ভালো ওয়াইনগুলি,
ওদের দামি গ্লাসের জিনিসগুলি আর অ্যাণ্টিক ডিসগুলি ভাঙতাম,
অদের পার্সিয়ান কার্পেটগুলিতে সিগ্রেটের পোড়া দাগ করতাম আর
অদের বউদেরকে ধইরা থ্যাঁতলাইতাম,
পুরা জঘন্য সিচুয়েশনটাতে বাজেভাবে রিঅ্যাক্ট
করতাম।

যদিও আমার কোন পলিটিক্যাল বা  সোশ্যাল সলিউশন ছিলো না।
আমি জাস্ট একজন বাজে মেহমান ছিলাম,
আমার মনেহয়,
আর কিছু সময় পরে
আমি নিজেরে আর ধনীদেরকে বাঁচায়া দিছিলাম
অদের দাওয়াতগুলি
কবুল না কইরা
আর সবাই ভালো ফিল করা শুরু করলো
এরপরে।
আমি আবার একলা একলা
মদ খাওয়ায় ফিরা গেলাম,
আমার শস্তা গ্লাসের জিনিসগুলি ভাঙতে থাকলাম,
রুমটা ভইরা তুললাম সিগার
ধোঁয়া দিয়া আর খুবই
ভালো লাগতো
ট্রাপড ফিল হওয়া,
ইউজড হওয়া,
মুতার জিনিস হওয়া,
চুদা খাওয়ার চাইতে।

 

ব্লু মুন, ও ব্লুউউউউউ মুওওওওন
আমি যে কতো ভালোবাসি তোমারে!

আমি তোমারে যতন করি, জান, আমি ভালোবাসি তোমারে,
আমি এল.’রে চুদছিলাম একমাত্র কারণ তুমি চুদছিলা
জেড.’রে আর এরপরে আমি আর.’রে চুদছিলাম আর তুমি চুদছিলা এন.’রে
আর যেহেতু তুমি এন.’রে চুদছিলা আমার চুদা লাগছিলো ওয়াই.’রে। কিন্তু আমি সবসময় তোমার কথা ভাবি, আমি ফিল করি তোমারে
আমার পেটের ভিতরে একটা বাচ্চার মতোন, প্রেম আমি বলি তারে,
যা কিছুই ঘটুক না কেন আমি তারে বলি প্রেম, আর তখন
তুমি সি.’রে চুদলা আর এরপরে আমি যাওয়ার আগেই
তুমি ওয়াই.’রে চুদলা, আর তখন আমার ডি.’রে চুদা লাগলো। কিন্তু
আমি তোমারে জানাইতে চাই যে আমি ভালোবাসি তোমারে, আমি ভাবি তোমার কথা
সবসময়, আমার মনেহয় আমি কাউরেই এমন কইরা ভালোবাসি নাই
যেইরকম আমি ভালোবাসি তোমারে।

বুউ ওউ বুউ ওউ ওউ
বুউ ওউ বুউ ওউ ওউ

 

আই লাভ ইউ

এই ঝুপড়ি’র দরজাটা আমি খুলছিলাম আর দেখছিলাম সেইখানে শে শুইয়া আছে
সেইখানে শে শুইয়া আছে
আমার প্রেম
একটা ময়লা গেঞ্জি-পরা একটা লোকের পিছনে।
আমি আছিলাম রাফ-টাফ টাকা-পয়সা-নিয়া-বিন্দাস (এইটাই আমি)
আর আমি অদের দুইজনরে জাগাইলাম
গডের মতোন
আর যখন শে জাইগা উঠছিলো
শে চিল্লানি শুরু করলো, “হ্যাঙ্ক, হ্যাঙ্ক!” (এইটা আমার আরেকটা নাম)
“এই চুতমারানির কাছ থিকা আমারে নিয়া যাও
আমি অরে হেইট করি আমি তোমারে ভালোবাসি!”

অবশ্যই, এইগুলি বিলিভ না করার মতো বুদ্ধি আমার
আছিলো আর আমি বসছিলাম আর কইছিলাম,
“আমার একটা ড্রিঙ্ক দরকার, আমার মাথা-ব্যথা করতেছে আর আমার একটা ড্রিঙ্ক দরকার।”

প্রেম এইভাবে কাজ করে, দেখেন আপনে, আর তখন আমরা সেইখানে বসলাম
হুইস্কি খাইলাম আর আমি একদম স্যাটিসফাইড ছিলাম
আর তখন সে খুঁইজা পাইতা একটা পাঁচ ডলার বাইর কইরা আমারে দিলো,
“ও যা আনছিলো তার থিকা এইটুকই বাঁচছে, এইটাই আছে খালি, তোমার থিকা যা শে আনছিলো।”

আমি সোনার ডানাওলা কোন ফেরেশতা না কূপনগুলি দিয়া ছিঁবড়া বানানো,
আমি পাঁচ ডলার নিয়া অদেরকে ওইখানে রাইখা চইলা আসছিলাম
আর আমি সরুগলি’টা দিয়া হাঁইটা
আলভারাডো স্ট্রীটে আইছিলাম
আর তারপরে বামে ঘুইরা
পয়লা বার’টাতে
ঢুকলাম।

 

 

“I was in love again. I was in trouble.”  C. B.

“I was in love again. I was in trouble.” C. B.

 

 

মদখোর

জেন, যে মারা গেছে ৩১ বছর আগে
জীবনে কোনদিন
ভাবতে পারে নাই যে আমি একটা সিনেমার স্ক্রীপ্ট লিখমু
আমাদের একলগে
মদ খাওয়া-খাওয়ির
দিনগুলি নিয়া
আর
এইটা নিয়া একটা সিনেমা বানানো হইবো
আর
একটা সুন্দরী মুভি স্টার তাঁর রোল করবো।

আমি শুনতে পাইতেছি জেন কইতেছে এখন: “একটা সুন্দরী মুভি স্টার? হাহ্,
হায় খোদা!”

জেন, এইটা হইতেছে শো’বিজ, সো ঘুমাইতে যাও, জান, কারণ
অরা যতোই ট্রাই করুক অরা
কোনদিনই খুঁইজা পাইবো না কাউরে
তোমার মতোন।

আর না কোনদিন পাবো
আমি।

 

যখন তুমি ওয়েট করতেছো ভোরের হামাগুড়ি দিয়া আসার, পর্দার ভিতর দিয়া
যেইভাবে একটা ছিনতাইকারী নিয়া যাবে আইসা তোমার লাইফ

পর্দার ভিতর দিয়া যেইভাবে একটা ছিনতাইকারী আইসা নিয়া যাবে তোমার লাইফ
সাপটা আস্তে আস্তে ঢুকে গেছিলো গর্তে,
আর শে কইছিলো,
তোমার নিজেরে নিয়া
কিছু বলো আমারে।
আর
আমি কইছিলাম,
আমি মাইর খাইছিলাম
অনেকদিন আগে
একটা গলিতে
আরেকটা
দুনিয়ায়।
শে কইছিলো,
আমরা সব
শুয়োরের মতোন
কোন না কোন গলিতে থাপ্পড় খাইতেছি,
আমাদের
ঘাসের ব্রেইনগুলি
গান গাইতেছে
ব্লেডগুলির
দিকে মুখ কইরা।
আল্লার
কসম,
তুমি তো একটা
আজব মাল,
আমি কইছিলাম।
আমরা
বইসাছিলাম ওইখানে
টানতেছিলাম
সিগ্রেট
৫টার
সময়
সকালবেলায়।

 

হিউম্যান ন্যাচার

কিছুদিন ধইরা এই ঘটনা’টা ঘটছিলো।
রেসের ময়দানে
যেইখানে আমি কফি খাইতাম সেইখানে এই ইয়াং ওয়েট্রেস আছিলো।
“দিন কেমন যাইতেছে তোমার?” শে জিগাইলো।
“অনেক জিততেছি আমি,” আমি উত্তর দিলাম।
“গতকালকেও জিতছিলা তুমি, তাই না?” শে জিগাইলো।
“হ,” আমি কইলাম, “আর তার আগের দিনও।”

আমি জানি না এইটা ঠিক কী জিনিস কিন্তু আমার
মনেহয় আমাদের পারসোনালিটি মিলে না
আর কি। ভিতরে ভিতরে সবসময় একটা শত্রুভাব
থাকে আমাদের কথা-বার্তার ভিতর।

“তুমি মনেহয় একমাত্র লোক এইখানে
যে খালি জিততেই থাকে,”
শে কয়, আমার দিকে না তাকায়া
অখুশি হইয়া।

“তাই নাকি?” আমি উত্তর দেই।

এইটা আজিব ব্যাপার একটা:
যখনই আমি হারি
তারে দেখি না
কোথাও।

হইতে পারে অর ওইদিন ছুটি থাকে বা অনেকসময় হয়তো শে
কাজ করে
অন্য কাউন্টারে?

শেও বাজি ধরে আর হারে।
শে সবসময় হারে।
আর যদিও হয়তো
আমাদের পারসোনালিটি মিলে না আমার খারাপ লাগে
অর লাইগা।
আমি ঠিক করলাম পরেরবার যখন অর লগে দেখা হইবো
আমি অরে বলবো যে আমি
হারছি।

সেইটাই করলাম আমি।
যখন শে জিগাইলো, “কেমন চলতেছে তোমার?”
আমি কইলাম, “আল্লা, আমি বুঝতে পারতেছি না,
আমি খালি হারতেছি, কোনটাই হিট করতে পারতেছি না, যেই ঘোড়াতেই আমি বেট ধরি
লাস্ট হয় সেইটা!”

“সত্যি?” শে জিগাইলো।
“সত্যি” আমি কইলাম।

এইটা কাজ করলো।

শে তাঁর চোখ নামাইলো
আর ভাইসা উঠলো আমার দেখা
তাঁর সবচে বড় হাসিটা, তার চোখমুখ
বড় বড় হয়া গেলো।

আমি কফিটা নিলাম, অরে বকশিস দিলাম, হাঁইটা
বাইর হয়া আসলাম
বাজির বোর্ডটা দেখার লাইগা।

যদি আমি ফ্রিওয়েতে একটা জঘন্য ক্রাশে মারা যাই
আমি শিওর শে পুরা এক সপ্তাহের লাইগা
খুশি থাকবো!

আমি কফিতে একটা চুমুক দিলাম।
এইটা কি?
শে পুরা একটা লার্জ শট ক্রিম দিছে!
শে জানে আমি ব্ল্যাক পছন্দ করি!

তার একসাইটমেন্টে
শে ভুইলা গেছিলো।
চুতমারানি।

আর মিছা কথা কওয়ার লাইগা এইটা পাইলাম আমি।

 

বড় রকমের চোদনা

ডেল মারে যাইতেছিলাম আমি আর আমার সিট থিকা উইঠা
বারের বগিতে গেছিলাম। একটা বিয়া নিয়া আসছিলাম আর ফিরা আইসা বসছিলাম।
“মাফ করবেন,” আমার পাশের সিটের মহিলা কইলো আমারে,
“আপনিআমার হাজব্যান্ডের সিটে বসছেন।“
“ও তাই নাকি?” আমি কইছিলাম। আমি আমার রেসিং ফর্মটা তুললাম
আর সেইটা দেখতে লাগলাম। পয়লা রেসটা খুবই টাফ
আছিলো। আর তখন একটা মানুষ আইসা দাঁড়াইলো সেইখানে।
“হেই, ভাই
আপনে আমার সিটে বসছেন!”
“আমি অলরেডি এইটা বলছি তারে,” মহিলাটা কইলো, “কিন্তু সে
পাত্তাই দিতেছে না।“
“এইটাআমার  সিট!” লোকটারে কইলাম আমি।
“এইটা খুবই বাজে কাজ সে আমার সিট দখল করছে,” লোকটা
আশেপাশে তাকায়া কইলো, “আর এখন সে আমার
রেসিং ফর্মটা পড়তেছে!”
আমি অর দিকে তাকাইলাম, অর বুকটা ধড়ফড় করতেছিলো।
“নিজের দিকে তাকায়া দেখেন,” আমি কইলাম, “আপনার এতো বড়
বুক তো ধড়ফড় করতেছে!”
“বেটা, তুই আমার সিটে বইসা রইছোস!” সে কইলো আমারে।
“দেখেন,” আমি কইলাম, “যখন ট্রেনটা স্টেশন থিকা ছাড়ছে
তখন থিকা আমি এই সিটটাতে বইসা আছি। যে কাউরে জিগান!”
“না, এইটা ঠিক না,” আমার পিছন দিক থিকা কেউ
একজন কইলো,
উনি এই সিটটাতে বসছেন যখন থিকা ট্রেনটা
স্টেশন থিকা ছাড়ছে!” “আপনে শিওর?”
“শিওর,আমি শিওর!”

আমি উইঠা পড়লাম আর হাঁইটা নেকস্ট বগিটাতে গেলাম।
ওইখানে আমার খালি সিটটা ছিলো জানালার সাথে আর ওইখানে ছিলো
আমার রেসিং ফর্মটা।

আমি ওই বগিটাতে আবার গেলাম। অই
লোকটা তার রেসিং ফর্মটা পড়তেছে।
“হেই,” আমি বলা শুরু করলাম…
“বাদ দেন,” লোকটা কইলো।
“আমরারে একলা থাকতে দেন,” তার বউটা কইলো।

আমি আমার বগিতে ফেরত আসলাম, বসলাম আর
এমনভাবে জানালা দিয়া বাইরে তাকাইলাম
যেন খুব মনোযোগ দিয়া বাইরের দৃশ্য দেখতেছি,
খুশিও হইছি যে, আমার বগির লোকজন তো জানে না
অন্য বগির লোকজন যা জানতো।

 

সোসাইটির বুঝা দরকার…

যখন জিনিসপত্র ঠিকঠাক মতো চলে না
আপনে কনসাল্ট করেন সাইকিয়াট্রিস্ট আর ফিলোসফারদের লগে
আর যখন সব ঠিকঠাক থাকে, যান মাগীদের কাছে।
মাগীরা আছে বাচ্চা পোলাপাইন আর বুড়া বেটাদের লাইগা; বাচ্চা পোলাপাইনদের অরা কয়,
“ডরাইস না, সোনা, তোর লাইগা এইখানে ঠিকমতো ঢুকায়া দিবো।”
আর বুড়া বেটাদের লাইগা
এমনভাবে কাম কইরা দেয়
যেন আপনে বাড়িতেই লাগাইতেছেন।
সোসাইটির বুঝা দরকার ভ্যালুটা
মাগীদের – মানে, যেইসব মাইয়া’রা সত্যি সত্যি  এনজয় করে
তাদের কামটা – যারা এইটারে অলমোস্ট বানায়া ফেলছে একটা
আর্ট ফর্ম।

আমি ভাবতেছি টাইমটার কথা
একটা মেক্সিকান মাগীপাড়ায়
এই মেয়েটা তাঁর ছোট্ট বোলটা আর তাঁর ন্যাকড়া নিয়া
আমার ধোনটা ধুয়ে দিতেছে,
আর সেইটা খাড়া হয়া গেছিলো আর শে হাসছিলো আমি হাসছিলাম আর শে
এইটাতে চুমা খাইলো, আস্তে কইরা আর ধীরে ধীরে, তারপরে শে হাঁইটা গিয়া
ছড়ায়া পড়লো
বিছনাতে গিয়া
আর আমি উপরে উঠলাম আর আমরা সহজভাবে কাম করতেছিলাম, কোন আয়াস ছাড়া, কোন
টেনশন ছাড়া, আর কেউ একজন দরজায় ধাক্কা দিয়া
চিল্লাইতেছিলো,
“হেই! এইখানে কি হইতেছে?
তাড়াতাড়ি কর!”
কিন্তু এইটা ছিলো মালহার রাগের মতোন – আপনার
তাড়াহুড়া
করার দরকার
নাই।

যখন আমার শেষ হইলো আর শে ফিরা আসছিলো, সেইখানে
বোলটা আর ন্যাকড়াটা আসলো আবার
আর আমরা দুইজনেই হাসছিলাম; তারপরে শে চুমা খাইলো এইটাতে
আস্তে কইরা আর
ধীরে ধীরে, আর আমি উইঠা পড়লাম আর আমার কাপড়গুলি পড়লাম আর
বাইর হয়া আসলাম –
“খোদা, তুই কি করতেছিলি, ভাই
ভিতরে?”
“চুদতেছিলাম,” আমি কইলাম ভদ্রলোকরে
আর হলরুম দিয়া হাঁইটা গেলাম আর খাড়াইলাম
বাইরে, রাস্তায় আর জ্বালাইলাম
মিষ্টি মেক্সিকান সিগ্রেটগুলির একটা, চান্দের আলোতে।
মুক্ত আর মানুষ হইলাম আবার
মাত্র ৩ ডলার দিয়া, আমি
ভালোবাসছিলাম রাতটারে, মেক্সিকো আর
আমারে।

 

 কবিতা

এইখানে
লাগে
অনেক অনেক

হতাশা

না-পারা

আর
না-পাওয়া

লিখ
তে

কিছু
ভালো
কবিতা।

এইটা
সবার
লাইগা না

এই
লেখাটা

বা ইভেন
এইটা
পড়তে পারাটা।

 

ম্যাজিকটারে ডিফাইন করা

একটা ভালো কবিতা হইলো ঠান্ডা বিয়ারের মতোন
যখন তোমার এইটা দরকার,
একটা ভালো কবিতা একটা গরম টার্কি স্যান্ডউইচ
যখন তোমার খিদা লাগে,
একটা ভালো কবিতা একটা বন্দুক যখন
ভীড়ের মানুষজন তোমারে কর্ণার করে ফেলতেছে,
একটা ভালো কবিতা এইরকম একটা কিছু
যা তোমারে মরণের রাস্তায় হাঁইটা যাইতে দেয়,
একটা ভালো কবিতা মরণরে গরম বাটারের মতোন গলাইয়া ফেলে,
একটা ভালো কবিতা মেজাজ-খারাপটারে একটা ফ্রেমে বান্ধায়া দেয়ালে ঝুলায়া ফেলতে পারে,
একটা ভালো কবিতা দিয়া তোমার ঠ্যাং টাচ করতে পারে চীন,
একটা ভালো কবিতা একটা ভাঙ্গা মন’রে উড়তে দিতে পারে,
একটা ভালো কবিতা দিয়া তোমার হাতগুলি মোজার্টের সাথে নড়তে পারে,
একটা ভালো কবিতা দিয়া তুমি আজাইরা জিনিগুলিরে গুলি করতে পারো
শয়তানের সাথে আর জিততে পারো,
একটা ভালো কবিতা প্রায় যে কোন কিছুই করতে পারে,
আর সবচে ইর্ম্পটেন্টলি
একটা ভালো কবিতা জানে কখোন
থামা লাগে।

 

প্রেম আর সুনাম আর মরণ

এইটা এখন বইসা আছে আমার জানালার বাইরে
যেইরকম একজন বুড়া বেটি যাইতেছে বাজারে;
এইটা বইসা থাকে আর আমারে দেখে,
নার্ভাস হয়া এইটা ঘামতে থাকে
তারের আর কুয়াশার আর কুত্তার ঘেউ ঘেউয়ের ভিতর দিয়া
যতক্ষণ না হঠাৎ কইরা
আমি স্ক্রীনটাতে একটা নিউজপেপার দিয়া বাড়ি মারি
যেমনে উইড়া যাওয়া মাছিরে মারি
আর এই চেচাঁনিটা আপনি শুনতে পাইবেন
এই শান্ত শহরের উপরে,
আর তারপরে এইটা চইলা যায়।

একটা কবিতারে যেমনে শেষ করা যায়
এইভাবে
চুপ হয়া গিয়া
হঠাৎ কইরাই।

 

গান

জুলিও আইছিলো অর গিটার নিয়া আর তার নতুন গানটা গাইছিলো।
জুলিও বিখ্যাত লোক, সে গান লিখতো আর
বইও ছাপাইতো ছোট ছোট ড্রয়িংস আর
কবিতার।
অইগুলিও ভালো
আছিলো।

জুলিও অর এখনকার লাভ অ্যাফেয়ারটা নিয়া একটা গান গাইছিলো।
ও গাইছিলো যে
এইটা এতো সুন্দরভাবে শুরু হইছিলো
আর তারপরে পুরা
দোজখের মতো হয়া গেছিলো।
ঠিক এইরকম শব্দগুলি ছিলো না
কিন্তু শব্দগুলির মিনিং এইরকমেরই ছিলো।

জুলিও গান গাওয়া
শেষ করলো।

তারপরে সে কইলো, “আমি এখনো ওর
কথা মনে করি, ওরে আমার মন থিকা
বাইর করতে পারি না।”

“আমি কি করবো?” জুলিও
জিগাইছিলো।

“মদ খা,” হেনরি কইছিলো,
মদ ঢালতে ঢালতে।

জুলিও ওর গ্লাসের দিকে তাকাইলো:
“এখন শে কি না জানি করতেছে?”

“হয়তো কারো লগে ওরাল
চুদাচুদি করতেছে,” হেনরি
সাজেস্ট করলো।

জুলিও তার গিটার’টা তার
কেইসে রাখলো আর
হাঁইটা গেলো
দরজার দিকে।

হেনরি জুলিও’রে তার গাড়ি পর্যন্ত আগায়া দিলো
যেইটা ড্রাইভের কাছে
পার্ক করা ছিলো।

সুন্দর চাঁদনি একটা
রাত।

যখন জুলিও তার গাড়ি স্টার্ট দিলো আর
ড্রাইভ থিকা বাইর হইলো
হেনরি তারে হাত নাড়ায়া
বিদায় জানাইলো।

তারপরে সে ভিতরে আইসা
বইসা
পড়লো।

সে জুলিও’র টাচ না করা ড্রিংকটা
খাইলো

তারপর সে
ফোন করলো
তারে।

“ও জাস্ট বাইর হয়া গেলো,” হেনরি কইলো
তারে, “ওর খুব খারাপ
লাগেতেছে…”

“এখন আমারে মাফ করো,”
শে কইলো, “কিন্তু আমি একটু বিজি আছি
এখন।”

শে ফোন রাইখা
দিলো।

আর হেনরি তার নিজের গ্লাসটা
ভরলো
বাইরে তখন ঝিঁঝিঁ পোকাগুলি গাইতেছিলো
তাদের নিজেদের
গান।

 

এখন শে ফ্রি

ক্লিও এইটা এখন কাটায়া উঠতে পারছে
তার সব ঝামেলা শে গুছায়া ফেলছে
বার্নি’র কাছ থিকা আলাদা হইছে
বার্নি ওর লাইগা ঠিক ছিলো না
একটা বড় অ্যাপার্টমেন্ট পাইছে শে
সুন্দর কইরা সাজাইছে
আর নতুন সিলভার ক্যামারো কিনছে
একটা ড্যান্স জয়েন্টে শে বিকালবেলা কাজ করে
রেডোন্ডো বিচ থিকা
৩০ মাইল ড্রাইভ কইরা  শে তার কাজে যায়
নাইট স্কুলে যায়
এইডস ক্লিনিকে হেল্প করে
আই চিং পড়ে
ইয়োগা করে
২০-বছর-বয়েসী একটা পোলার লগে থাকে
হেলদি ফুড খায়
বার্নি ওর লাইগা ঠিক ছিলো না
এখন শে তার সবকিছু গুছায়া ফেলছে
শে T.M.-এ আছে
কিন্তু শে  একই পুরানা ফূর্তিবাজ ক্লিও-ই আছে
ওর নখগুলিতে শে সবুজ রঙ লাগায়
একটা প্রজাপতির ট্যাট্টু করছে
গতকালকে আমি দেখলাম ওরে
ওর নতুন সিলভার ক্যামারো’তে
ওর লম্বা ব্লন্ড চুল উড়তেছিলো
বাতাসে।
বেচারা বার্নি।
সে জানে না যে সে কি জিনিস
মিস করতেছে।

………..
T.M. a specific form of mantra meditation

 

ওম্যান অন দ্য স্ট্রীট

তাঁর জুতাগুলাই
আমার রুমটাতে জ্বালায়া দিতে পারে
অনেকগুলি মোমবাতি

শে হাঁইটা যায় যেইভাবে সব জিনিসগুলি
ঝলমল করে গ্লাসে,
যেইভাবে সব জিনিসগুলি
একটা ডিফরেন্স তৈরি করে।

হাঁইটা হাঁইটা চইলা যায় শে।

 

চিঠিগুলি

ফ্লোরে বইসা আছে শে
একটা কার্ডবোর্ডের বক্স হাতরাইতেছে
পড়তেছে প্রেমের চিঠিগুলি, যেইগুলি আমি তারে লিখছিলাম
অর ৪ বছরের মেয়েটা শুইয়া আছে ফ্লোরে
পিংক একটা কম্বল দিয়া মোড়া আর
থ্রি-কোয়ার্টার পইরা ঘুমাইতেছে

একবার ছাড়াছাড়ি’র পরে আমরা একলগে হইছি আবার
আমি বইসা আছি অর বাসায়
একটা রবিবার রাইতে

বাইরে, গাড়িগুলি উঠতেছে আর নামতেছে পাহাড়ে
যখন আজকে রাতে আমরা একলগে ঘুমাবো
আমরা শুনবো ঝিঁঝিঁ পোকাদের আওয়াজ

বোকা মানুষগুলি কই যারা বাঁইচা থাকে না
আমার মতোই?

আমি ভালোবাসি অর দেয়ালগুলি
আমি ভালোবাসি অর বাচ্চারে
আমি ভালোবাসি অর কুত্তারে

আমরা শুনবো ঝিঁঝিঁ পোকাদের আওয়াজ
আমার হাত ঘুইরা বেড়ায় অর উরাতে
আমার আঙুলগুলি অর পেটে

এইরকম একটা রাইত জীবনরে হারায়া দেয়,
জোয়ারটা ছাপায়া যায় মরণরে

আমার প্রেমের চিঠিগুলি আমি পছন্দ করি
এইগুলি সত্যি

আহ্, অর আছে কি সুন্দর একটা পাছা!
আহ্, অর আছে কি সুন্দর একটা আত্মা!

 

এই এখন

পার্টি শেষ, রোস্টারটা করতেছে
কক্কক কক্কক, আর অরা কইলো
দান শেষ, ড্যান্স গার্লগুলি
নাক ডাকতেছে, ইন্দুরটা ঘুরতেছে
কাগজের কাপগুলির উপর, বান্দরটার
লেজে পিন মারা, উপকথাগুলি
গড়ায়া গড়ায়া মরণের দিকে যাইতেছে, প্রেম
ঢাইকা আছে ধূলায়, মন্দিরগুলি
খালি, উইড়া গেছে পাখি
খাঁচা থিকা, খাঁচার ভিতরে
একটা বামনের মন কানতেছে, স্বপ্নটা
একটা ডুব মারছে আর আমি বইসা
তাকায়া আছি আমার হাতগুলির দিকে, তাকায়া থাইকা
আমার হাতগুলির দিকে
শূণ্যতার আওয়াজগুলি শুনতেছি
মুর্হূতটার।

 

ভীড়ের প্রতিভা

এইখানে আছে এনাফ প্রতারণা, ঘৃণা
ভায়োলেন্স,
হাইস্যকর জিনিস অ্যাভারেজ মানুষের
মধ্যে
যে কোন আর্মিরে যে কোনদিন সাপ্লাই দেয়ার
লাইগা।
আ র খুন করার লাইগা অরাই বেস্ট
যারা এর এগেনেস্টে ফতোয়া দেয়।
আ র বেস্ট ঘৃণা করতে পারে অরাই
যারা প্রে মে র ফতোয়া দেয়
আ র যু দ্ধে অ রা ই বে স্ট
– ফা ই না লি – যা রা
ফ তো য়া দে য়
শা ন্তি র

যারা ফতোয়া দেয় আ ল্লা র নামে
অদের দ র কা র আল্লার
যারা ফতোয়া দেয় শা ন্তি র
অদের মনে শান্তি নাই।
যা রা প্রে মে র গা ন গা য়
অ দে র না ই কো ন প্রে ম
এ ই ফ তো য়া বা জ দে র থি কা সা ব ধা ন, সাবধান
যারা জানে।

সাবধান
অদের থিকা
যারা স ব স ম য়
প ড়ে
ব ই

তাদের থিকা সাবধান যারা হয় ঘৃণা করে
গরিবি’রে অথবা এইটা নিয়া গর্ব করে

সা ব ধা ন যারা খুব সহজেই প্রশংসা করে
কারণ তারা বিনিময়ে প্র শ ং সা চায়

সা ব ধা ন যারা খুব সহজেই নিন্দা করে:
অরা ডরায় অরা যা
জানে না

সাবধান অদের থিকা যারা সবসময়
ভীড় খুঁজে, অরা কিছুই না
একলা মানুষ

সাবধান
অ্যাভারেজ বেটাদের থিকা
অ্যাভারেজ বেটিদের থিকা
সা ব ধা ন অদের প্রেম থিকা

অদের প্রেম হইতেছে অ্যাভারেজ, আর খুঁজে
অ্যাভারেজ

কিন্তু অদের প্রতিভাটা হইতেছে অদের ঘৃণার ভিতরে এইখানে
এই পরিমাণ প্রতিভা আছে অদের ঘৃণার ভিতরে যা
খুন করতে পারে তোমারে, খুন করতে পারে
যে কাউরেই।

একলা-থাকাটারে না চাইয়া
একলা-থাকাটারে না বুইঝা
অরা চাইবো যে কোনকিছুরে ধ্বংস কইরা ফেলতে
যা কিছু আলাদা
ওদের নিজেদের থিকা

আর্ট ক্রিয়েট করতে
না পাইরা
অরা বুঝবো না
আর্ট কি জিনিস

অদের ফেইলওরটারে অরা মনে করে
ক্রিয়েটর হিসাবে
খালি একটা ফেইলওর
এই দুনিয়ার

পুরাপুরি ভালোবাসতে পারে না বইলা
অরা বি শ্বা স করে তোমার ভালোবাসা
হয় না
আ র ত খ ন অ রা ঘৃ ণা ক র বো
তো মা রে

আর তাদের ঘৃণাটা হইবো পারফেক্ট
একটা চকচক করা ডায়মন্ডের মতোন
একটা ছুরির মতোন
একটা পাহাড়ের মতোন
এ ক টা বা ঘে র ম তো ন
হেমলকের ম তো ন

অদের সবচে সুন্দর
আর্ট।

 

একটা প্রেমের কবিতা

সব মেয়েমানুষেরা
অদের সব চুমাগুলা
ডিফরেন্টভাবে অরা ভালোবাসে আর
কথা কয় আর চায়।

অদের কানগুলা অদের সবার আছে
কানগুলি আর
গলাগুলি আর ড্রেসগুলি
আর জুতাগুলি আর
মোটরগাড়িগুলি আর এক্স-
হাজব্যান্ডরা।

বেশিরভাগ
মেয়েমানুষেরা খুবই
গরম অরা আমারে মনে করায়
বাটার টোস্টের কথা যেইখানে বাটার
গইলা গইলা
পড়তেছে।

এইখানে আছে একটা তাকানো
চোখে: অদেরকে নিয়া নেয়া
হইছে অদেরকে বেক্কল বানানো
হইছে। আমি আসলে জানি না কি
করবো
অদের লাইগা।

আমি একজন
মোটামুটি রাঁধুনি একজন ভালো
লিসেনার
কিন্তু আমি কখনোই নাচতে
শিখি নাই – আমি বিজি ছিলাম
তখন বড়সড় জিনিসগুলি নিয়া।

কিন্তু আমি এনজয় করছি অদের আলাদা
বিছানাগুলি
সিগ্রেট খাওয়া
তাকায়া থাকা
সিলিংয়ের দিকে।  আমি প্রতিশোধ-পরায়ন ছিলাম না বা
আনফেয়ার কিছু করি না। খালি ছিলাম
একজন স্টুডেন্ট।

আমি জানি অদের সবার আছে
পা’গুলি আর খালি পায়ে অরা ফ্লোর দিয়া হাঁইটা যায়
আমি দেখি অদের লাজুক পাছাগুলি
আন্ধারে। আমি জানি অরা আমারে পছন্দ করে, কেউ এমনকি
ভালোবাসে আমারে
কিন্তু আমি ভালোবাসি খুব
অল্প কয়জন’রে।

কেউ কেউ আমারে দেয় কমলা আর ভিটামিন পিলগুলি;
অন্যরা চুপচাপ কথা কয়
বাচ্চাবেলার আর বাপেদের আর
সিন-সিনারি’র; কেউ কেউ রীতিমতো
ক্রেজি কিন্তু কেউই নাই কোন মিনিং
ছাড়া; কেউ ভালোবাসে
অনেক, অন্যরা ওইরকম
না; যারা সেক্সে বেস্ট সবসময় অন্য ব্যাপারগুলিতে
বেস্ট না; সবারই লিমিটগুলি আছে যেইরকম আমার
লিমিটগুলি আছে আর আমরা শিইখা নেয়
একজন আরেকজনরে
খুব তাড়াতাড়িই।

সব মেয়েমানুষেরা সব
মেয়েমানুষেরা সব

বেডরুমগুলি
এই কম্বলগুলি এই
ছবিগুলি এই
পর্দাগুলি, এইটা
এইরকম যেন একটা চার্চ খাল
অনেক সময় এইখানে থাকে
হাসিগুলি।

এই কানগুলি এই
হাতগুলি এই
ভ্র’গুলি এই চোখগুলি

তাকায়া থাকা, এই আদর আর
এই চাওয়াগুলি আমি ধরে
রাখতেছি আমি ধরে
রাখতেছি।

 

The following two tabs change content below.
Avatar photo
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
Avatar photo

Latest posts by ইমরুল হাসান (see all)

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →