Main menu

অমৃতা প্রিতমের কবিতা

এইটা বেশ আনফরচুনেট একটা ঘটনাই যে, অমৃতা প্রিতমের (১৯১৯ – ২০০৫) কবিতা কখনো বাংলায় ট্রান্সলেট হয় নাই। (মানে, হইলেও আমার চোখে পড়ে নাই।) এর একটা কারণ তো অবশ্যই এইটা যে, রিজিওনাল ল্যাঙ্গুয়েজগুলা – পাঞ্জাবি, হিন্দি, উর্দু, অহমিয়া, তামিল, তেলেগু, মালয়ালম… আমরা জানি না এবং জানা’টারে তেমন ইম্পর্টেন্ট মনে করি না। (ঠিক হোক আর ভুল হোক) মনে করতে পারি যে, অইগুলাও একটা ইউরোপিয়ান থটেরই একটা অনুকরণ! যতক্ষণ না ইংলিশে ট্রান্সলেট হইতেছে ততক্ষণ পর্যন্ত ‘জাতে’ উঠতে পারবে না। 🙁 

মানে, পাঞ্জাবি ল্যাঙ্গুয়েজ আমরা (যারা বাংলা-ভাষায় সাহিত্য করি) জানি না এবং না-জানা’টারে একটা প্রাইড হিসাবেও নিতে পারি। এর ধারাবাহিকতায় অমৃতা প্রিতমের নাম আর মিথ কম-বেশি জানলেও উনার কবিতারে কম-ই জানি আমরা। মেবি উনার উপন্যাস নিয়া সিনেমা (“পিঞ্জর”, ২০০৩) হওয়ার কারণে নামে কিছুটা চিনি।…

অমৃতা প্রিতম ৯টা উপন্যাস, ৩টা অটোবায়োগ্রাফিসহ ২০টার মতো কবিতার বই ছাপাইছেন। কিন্তু একটা মাত্র ইংলিশ ট্রান্সলেশন পাইছি উনার কবিতার, কলকাতা থিকা প্রিতিশ নন্দী ছাপাইছিলেন, খুশবন্ত সিংসহ আরো কয়েকজনে ২০/২৫টা কবিতা ট্রান্সলেট করছিলেন। কিন্তু যে কোন ট্রান্সলেশনেই টোনটাই তো মেইন, কবিতা’তে তো আরো বেশি; তো, ইউটিউবে উনার কিছু কবিতা পাওয়া যায়, অনেকে পড়ছেন, অইগুলা শুনলে বোঝা যায় যে, পাঞ্জাবি থিকা বাংলায় অনুবাদ করলে ঘটনাটা যেইরকম হবে, ইংলিশ থিকা করলে অই টোনটা মোস্টলি মিসিং-ই থাকার কথা।

তো, আমি নিজেও পাঞ্জাবি জানি না। এই ইংলিশগুলা পইড়া এবং হিন্দি-পাঞ্জাবি’তে শুইনা একভাবে বাংলায় বলার ট্রাই করছি। উনার এংগুইশ আমার পছন্দ হইছে। যেহেতু উনার কবিতা খুববেশি পড়ি নাই, উনি গ্রেট পোয়েট – এইটা বলতে পারতেছি না, কিন্তু উনার আরো কবিতা পড়তে পারলে ভালো লাগতো, এইরকম একটা জিনিস মনে হইছে।… যেইটা ধরেন মালয়ালম ভাষার কবি কমলা দাসের (কমলা সুরাইয়া’র) কবিতা পইড়া ভাল্লাগছিলো। (উৎপলকুমার বসু ট্রান্সলেট করছেন, সাহিত্য একাদেমির কোন সরকারি প্রজেক্টের ঘটনা ছিল মেবি সেইটা।)

তো, অমৃতা প্রিতমের এই কয়টা কবিতা হয়তো উনার কবিতার ব্যাপারে কাউরে আগ্রহী কইরা তুলতে পারবে, এই একটা এক্সপেক্টশন নিয়াই কবিতাগুলারে এইখানে একসাথে রাখা।

ই. হা.

…………………………………………………………

।। বেটা মানুশ ।। ইমরোজ ।। ইক মোলাকাত ।। আমার ঠিকানা ।। তুমি আসলা না ।। নিজের সাথে একটা মিলন ।। মিলন আর বিচ্ছেদ ।। মে তেনো ফির মিলেঙ্গে ।। আজকে না ।।

……………………………………………………………

 

বেটা মানুশ

আমি বহুত টাকা কামাই করছি
আর খরচ করছি তার চে’ও বেশি
এখন যা আছে
তা হইতেছে আমার পুঁজি:
হিটলারের চাইর আনা
যিশুর চাইর আনা
মনু’র চাইর আনা
আর মজনু’র চাইর আনা

 

ইমরোজ

একটা ক্যানভাস
ছড়ায়া গেলো
আমার সামনের ইজেলটাতে

মনে হইলো
যেন রংয়ের টুকরাগুলা
আটকায়া গেলো ক্যানভাসের উপরে
বুনতে থাকলো
লাল কাপড়ের মতন

আর মানুশের ভিতরের জন্তুটা
তার শিং খাড়া করলো
তাড়া করলো
আর সবগুলা রাস্তা, মহল্লায় আর গলি নিয়া
রিং’টা তৈরি করলো
আর স্প্যানিশ প্যাশন
চেইতা উঠলো
আমার পাঞ্জাবি শিরায় –
গোয়া’র মিথটার মতো
ষাঁড়ের লড়াই করতে থাকলো
মরণের আগ পর্যন্ত

 

ইক মোলাকাত

আমি চুপচাপ, শান্ত, একা দাঁড়ায়া ছিলাম
আমার পাশে সাগরে তুফান ছিল একটা
তো, খোদা জানে, সাগরের কি মনে হইলো,
সে তুফানটারে পুটলিতে বাইন্ধা, আমার হাতে দিয়া
হাইসা, গেলো গা।

আমি তো হয়রান হয়া গেলাম,
কিন্তু এই চমৎকার জিনিসটারে নিলাম; আমি জানতাম যে
এইরকমের ঘটনা হাজার বছরে একবার ঘটে ।
অনেক কিছু মনে হইলো, অনেক কিছু ভাবলাম আমি
কিন্তু দাঁড়ায়াই থাকলাম,
তারে নিয়া আমার শহরে আমি কেমনে যাবো!

আমার শহরের সব গলি সরু
আমার শহরের সব ছাদ নিচা
আমার শহরের সব দেয়াল নোংরা

মনে হইলো যদি কোথাও তোমার সাথে দেখা হয়
তাইলে সাগরের মতন, এরে বুকের ভিতরে রাইখা
আমরা দুই কিনারার মতন হাসতে পারি
আর নিচা ছাদের আর সরু গলির শহরে
বাঁইচা থাকতে পারি।

কিন্তু সারা দুপুর গেলো তোমারে খুঁজতে খুঁজতে

আর আমার আগুন আমি নিজেই খায়া নিলাম
আমি একলা কিনারা, কিনারা ভাইঙ্গা পড়লাম

আর যখন দিন শেষ হয়া আসলো
সাগরের তুফানরে আমি সাগরের কাছেই ফিরায়া দিলাম

তারপর যখন রাত নাইমা আসলো,
দেখা হইলো তোমার লগে

তুমিও উদাস, চুপচাপ, শান্ত আর গোমড়া
আমিও উদাস, চুপচাপ, শান্ত, আর গোমড়া

খালি দূরের সাগরে একটা তুফান রয়া গেলো

 


আমার ঠিকানা

আজকে আমি আমার বাসার নাম্বার মুইছা ফেললাম,
আমি গলির মোড়ে যে রাস্তার নামটা লেখা ছিল, সেইটাও মুইছা ফেললাম।
কিন্তু যদি তুমি আমারে সত্যি সত্যি খুঁইজা পাইতে চাও
তাইলে নক কইরো
সব দেশের, সব শহরের
সব রাস্তার সব দরজায়।

এইটা একটা অভিশাপ, একটা আর্শীবাদও

আর যেইখানে তুমি দেখবা
ফ্রি স্পিরিটের একটা কণা
-জানবা, অইটা আমার ঘর।

 

তুমি আসলা না

বসন্ত জাইগা উঠলো আর ছড়ায়া দিলো তার হাত
ফুলগুলা বুনতে থাকলো অদের নরোম পাঁপড়িগুলা
রংয়ের উৎসবের লাইগা।
তুমি আসলা না।

বিকালগুলা দীর্ঘ হয়া উঠলো
লাল রং ছুঁইয়া গেলো আঙুরগুলারে
কাস্তেগুলা চুমা খাইলো গমের ক্ষেতে।
তুমি আসলা না।

মেঘগুলা জমতে লাগলো।
জমিন তার হাত খুইলা দিলো
ড্রিংক করার লাইগা আকাশের উদারতা।
তুমি আসলা না।

ঋতুগুলা পইরা নিলো অদের সৌন্দর্য্য।
রাত তার কপালে রাখলো
একটা চান্দের রাজমুকুট।
তুমি আসলা না।

তারাগুলা আবার কইলো আমারে
যে, আমার শরীরের ঘরে
সৌন্দর্য্যের একটা মোমবাতি এখনো জ্বলতেছে।
তুমি আসলা না।

সূর্যের সবগুলা রশ্মি সেজদা দেয়
সেই রশ্মি এখনো জাইগা আছে
রাতের মরণ ঘুমের ভিতরে।
তুমি আসলা না।

 

 

নিজের লগে মোলাকাত

এইখানে আমার বিছানা
কিন্তু তোমার জুতা আর জামার মতন
তোমার গতরটারেও খুইলা আসো
ঐখানে চৌকি’টার উপ্রে তারে রাখো

কোনকিছুই অস্বাভাবিক না –
একেকটা দেশের নিয়ম একেক রকম।

 

মিলন আর বিচ্ছেদ

আমাদের চোখ থিকা বসন্তের কান্না ঝইরা পড়ে।
এই শাদা আবরণের জমিনে
এই জমিনে, যেইখানে কিছুই জন্মায় না।

সব দিওয়ানারা অভিশপ্ত
কোন সুন্দর জিততে পারে না
রাতগুলা সব জাইগা থাকে সাক্ষী হয়া
কান্নাগুলার অপেক্ষায়, তারাদের দিকে তাকায়া।

এই নাটকের অভিনেতারা পাল্টায়।
মঞ্চে অরা আবার নতুন কইরা বলে,
কিন্তু কাহিনিটা একই
পুরানা সেই ট্রাজিক কাহিনি।

আমি জানি এইটা, তারপরও আমি ভাবি
যতদিন এই জীবন আছে তোমার মোহাব্বত থাকবে
কোন রহমত আমি পাইয়া যাবো
যেইখানে তোমার কথাগুলা হারায়া যাবে না।

কোনকিছু কখনোই ছাইড়া যায় নাই
কারো লগে দেখাও হয় নাই, দেখো
মিলন আর বিচ্ছেদ… দুইটা একসাথেই আছে।
চোখের পানি জড়ায়া ধরতেছে চোখের পানিরে।

 

 


মে তেনো ফির মিলেঙ্গে

তোমার লগে আমি মিলবো তো আবার
কই? কেমনে? জানি না।
হয়তো তোমার কল্পনার কোন ইমেজ হয়া
তোমার ক্যানভাসে উইঠা আসবো
হয়তো, নিজেরে ছড়ায়া দিবো
একটা রহস্যময় লাইনের ভিতরে
তোমার ক্যানভাসে, চুপ কইরা
আমি তোমার দিকে তাকায়া থাকবো।

হয়তো আমি একটা রশ্মি হয়া উঠবো, সূর্যের
তোমার কালারগুলারে জড়ায়া ধরার লাইগা,
আমি তোমার ক্যানভাসে নিজেরে আঁকবো
আমি জানি না, কখন? কেমনে?
কিন্তু তোমার লগে মিলবো, শিওর

হয়তো আমি একটা ঝর্ণা হয়া যাবো,
আর ঘষঁতে থাকবো ফেনাগুলা
তোমার শরীরে ঢইলা পড়বো পানির মতন,
তোমার জ্বলতে থাকা বুকে আমি আমার ঠান্ডা রাইখা দিবো।
আমি আর কিছুই জানি না
কিন্তু এই জীবন
হাঁটতে থাকবে আমার সাথে।

যখন শরীর হারায়া যায়,
সবকিছুই হারায়;
কিন্তু স্মৃতির তন্তুগুলা
বোনা হইতে থাকে জমতে থাকা কণাগুলি দিয়া।
আমি সেই কণাগুলারে তুইলা নিবো,
মালাগুলারে গাঁথবো
আর তোমার সাথে আমি মিলবো আবার।

 

আজকে না

আমি সবসময় ঠিক কাজ’টা করি
কিন্তু আজকে না।
লোকজন যা বলে আমি সবসময় তা করি
কিন্তু আজকে না –
না!
নীলচাঁদের জমিনে
যেইখানে কোনকিছুই পুরান হয় না
কিছুই বদলায় না
খুঁতহীন
তারাহীন
ঝড়হীন
আমার শিরার রক্ত টগবগ কইরা উঠে
আমি একটা ঝড় দেখতে চাই
আমার রক্তের মতন তেজের
বিশাল পাহাড়গুলা
দৈত্যের মতন পাথরগুলা
আমি দেখতে চাই মেঘগুলা
ভাইঙ্গা ফেলতেছে তাদের মাথা
আমি দেখতে চাই গভীর উপসাগরগুলা
পাপের সাগরগুলার মতো
আমি দেখতে চাই মেঘগুলা
অই উপসাগরগুলাতে কেমনে ঝইরা পড়ে
তাদের ঠ্যাংগুলা ফাইড়া যায়
আমার শুদ্ধ নীল আকাশ ভাল্লাগে না।
আমি সবসময় ঠিক কাজটা করি
কিন্তু আজকে না।

আমি জানি সোসাইটির একটা কড়া আওয়াজ আছে
কিন্তু আমার পার্সে টাকা ভরা
আমি আওয়াজটারে কিনতে পারি;

আমি জানি ধর্ম খেইপা যাবে,
কিন্তু আমি মাথা নোয়াবো একটু সময়ের লাইগা
আর সে ঠান্ডা হয়া যাবে।

আমি জানি, আমার আত্মার ভিতরে কোন জিনিস কানতে থাকবে
আর সাইকোলজি আমারে কোন না কোন ব্যাখা দিতে থাকবে
আর আমার আত্মা চুপ কইরা যাবে।

আমি সবসময় ঠিক কাজটা করছি
কিন্তু আজকে করবো না।

 

…………………….

অমৃতা প্রিতমের কবিতা নিয়া একটা লেখা:

https://scroll.in/article/935639/yours-amrita-remembering-poet-and-writer-amrita-pritam-on-her-100th-birth-anniversary

কলকাতা থিকা ছাপানো অমৃতা প্রিতমের ইংলিশ বইয়ের পিডিএফ লিংক:
http://apnaorg.com/books/english/selected-poems-amrita-pritam/selected-poems-amrita-pritam.pdf

The following two tabs change content below.
Avatar photo
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
Avatar photo

Latest posts by ইমরুল হাসান (see all)

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →