Main menu

ডাকনামের পলিটিক্স Featured

This entry is part 14 of 14 in the series রকম শাহ'র বয়ান

বাংলাদেশের লগে শবচে বেশি বর্ডার শেয়ার করে জেই দেশ, তার নাম কি? ইনডিয়া। এইটাই তো নাম, নাকি? তাইলে বাংলাদেশের মিডিয়াগুলা ‘ভারত’ নামে একটা দেশ আছে বইলা লেখে, ঐটা কোন দেশ!? বাংলাদেশের বহু আতেল বয়াতিও কয়, আজকে হজরত জাহেদ নামে এক বয়াতির ইউটিউব বয়ান শুনলাম, উনিও বারবার ভারতের কথা কইতেছিলেন, কোনটা শেই দেশ!?

কোন একটা দেশকে কোন নামে ডাকা উচিত আমাদের? এই পোশ্নের জবাব খুব শোজা, ইউএন-এ জেই নামে কোন একটা দেশ মেম্বারশিপ নিছে, ঐটাই তার ইন্টারনেশনাল নাম। তাই ইউএছএ নামে ডাকা উচিত, আমেরিকা বলা/লেখার বদলে। ইউএছএ-কে আমেরিকা নামে ডাকার ভিতর দিয়া আমরা আশলে বেরাজিল বা চিলি বা কানাডারে গায়েব কইরা দেই; ওদিকে, ইউএন’কে হিশাবে রাখলে আমেরিকা বা ইউরোপ বা এশিয়া–এইগুলা অফিশিয়ালি কিছু মিন করে না, কেননা, ঐটা দুনিয়ার রাশ্টোগুলার অর্গানাইজেশন, কন্টিনেন্ট শেইখানে অফিশিয়ালি ব্যাপার না কোন! তবে, কোন কোন ব্যাপারে আমাদের ডিফরেন্ট মোরাল পজিশন থাকতে পারে, ইউএন’কে আমরা পেরেশার দিতে পারি তারে না মাইনা! জেমন ধরেন, প্যালেস্টাইনকে আমরা একটা ফুল রাশ্টো হিশাবে দাবি করতে পারি, ইউএছএ আর ইজরায়েল জেইটা হইতে দিতে নারাজ!

এখন তাইলে আমাদের ভাবা দরকার, ইনডিয়ার ব্যাপারেও কি তেমন কোন মোরাল পজিশন আছে আমাদের? ইউএছএ’র ব্যাপারে নাই খুব শম্ভব, ঐটারে আমরা আমেরিকা ডাকি ছেরেফ হেবিটের কারনে হয়তো, আর নামের ভিতরে আছেও তো, আবার ঐটাতে বাস্তবে তেমন কোন লাভ-লোকশান নাই, বেহুদা তর্ক! কিন্তু ইনডিয়ার ব্যাপারেও কি আলাপটা বেহুদা?

হজরত জাহেদ বা বাংলাদেশের মিডিয়া বা আতেল বয়াতিরা জখন ইনডিয়ারে ভারত কয়/লেখে, তখন কি ঘটে আশলে, এইটা লইয়া আমাদের কি মাথা ঘামানো আদৌ দরকার আছে, নাকি বেহুদা আলাপ!?

ইনডিয়া তার কন্সটিটুশনে আরেকটা নাম হিশাবে ‘ভারত’ লেইখা রাখছে শেই ১৯৫০ শালে, নিজেদের এই নামে ডাকে তারা, নিজেদের দেশের ভিতর, ইন্টারনেশনাল নাম জদিও ‘ইনডিয়া’। আরেকটা দেশ, দেশের মিডিয়া বা লোক হিশাবে আমরা কি আরেকটা দেশকে তার ইন্টারনেশনাল নামে ডাকবো, নাকি তার কন্সটিটুশন পইড়া তার ইন্টারনাল নামে ডাকবো? বাংলাদেশের হজরত জাহেদ বা আরো আরো লোক বা মিডিয়া দেখা জাইতেছে, ইনডিয়ার কন্সটিটুশন পইড়া তার ছেকেন্ডারি নাম, জেইটা কিনা একান্তই ইন্টারনাল, শেই নামে ডাকতেই আরাম পায়! কেন এমন? তাতে ঝামেলাটাই বা কি?

এইখানে আমাদের বুঝতে হবে, ‘ভারত’ কি। ‘ভারত’ হইলো ইতিহাশ ছাইড়া মিথের দিকে হাটা শুরু করা এবং মিথ মোতাবেক ইতিহাশ বানাবার ধান্দা। এইখানে শুরুতেই খেয়াল করা দরকার জে, আজকের ইনডিয়ার বিজেপি-শিবশেনাদের ইতিহাশভাবনা এবং পলিটিক্সের গোড়াটা জে কংগেরেছেই আছিলো, শেইটা পাওয়া জাইতেছে ঐ ১৯৫০ শালে কংগেরেছের বানানো ইনডিয়ার কন্সটিটুশনের ভিতরেই! কেননা, মিথ (মহাভারত) মোতাবেক ‘ভরত’ আছিলেন ‘আর্জাবর্তে’র বাদশা, হিমালয় থিকা শাগর তক আছিলো তার এম্পায়ার বা বাদশাহি এবং শেই বাদশাহির নামই ভারত। খেয়াল করেন, শুরুটাই হইতেছে রেছিস্ট জমিনে, এরিয়ান দেশ হিশাবে দাবি করা হইতেছে এইখানে, রেশিয়াল ছুপ্রিমেছিতে শুরু হইতেছে বয়ান।
Continue reading

ইবনে আরাবীর “দুই চোখের দৃষ্টিতে” জ্যাক দেরিদার ডিকনস্ট্রাকশন দর্শন – ইবরাহিম কালীন Featured

[জাঁ দেরিদাঁ ১৯৩০ সালের ১৫ই জুলাই তৎকালীন ফ্রান্স অধ্যুষিত আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স নগরীর আল-বিয়ার শহরতলিতে একটা ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করছিলেন।তার শৈশব কাটছিল মুসলিম-প্রধান দেশ আলজিরিয়ায়।

জাঁ দেরিদাঁ হইতেছেন একজন ফরাসি দার্শনিক।বলা বাহুল্য বিংশশতাব্দীর সেকেন্ড ক্লাশ দার্শনিকদের মধ্যে দেরি নিজের জন্য গুরুত্বপূর্ন একটা অবস্থান নিশ্চিত করছেন।

উল্লেখযোগ্য দার্শনিক ফ্রিডরিখ হেগেল হইতে শুরু করে সিগমুন্ড ফ্রয়েড,এডমুন্ড হুরসাল,মিশেল ফুকো,রোলঁ বার্ত,এমনকি জঁ-জাক রুশো অব্ধি দেরি পারি দিছেন। জাঁ দেরি এদের প্রত্যেকের দাঁড়াই প্রভাবিত হইছেন।

জাঁ দেরিদাঁর ”অবিনির্মাণ” তত্ত্বটা দর্শন সারা দুনিয়া জুড়ে ব্যাপক সাড়া পাইছে।দেরিদাঁর চিন্তা ও বিশ্লেষণ উত্তরাধুনিক দর্শনের সাথে জোড়ালোভাবে পঠিত হয়ে আসতেছে।দর্শন জগতে দেরির অভিমুখ উত্তর কাঠামোবাদী (post-structuralist)গুরুত্বপুর্ন কাজ হিসেবে পরিগণিত হইছে।দেরিদা তার বিভিন্ন লেকচারে এবং লেখালেখিতে স্ট্রাকট্রালিজম কাঠামোবাদের (structuralism) নানা দুর্বলতা,অসঙ্গতি ও অপর্যাপ্ততা নিয়া আলাপ করছেন।দেরিদা এইসব অসঙ্গতিগুলি চিহ্নিত করছেন দর্শনের আলোকে।

অন্যদিকে এলিভেন সেঞ্চুরির দিকে প্রাচীন আন্দালুস বর্তমানে স্পেনের মুরসিয়া শহরে জন্মগ্রহণ করেন একজন মুসলিম সূফি দার্শনিক। দা ফিনিক্স আরবী।এই সুফি ধর্মীয় সাধক হইলেও পুরোদস্তর একজন দার্শনিক ছিলেন।তাঁর মূল নাম হইতেছে মুহিউদ্দীন ইবনে আরাবি আর টাইটেল হইতেছে শেখ আল আকবর মানে সব শেখের বড় শেখ মুহিউদ্দিন ইবনু আল আরাবী।

তাছাড়া আল আরাবী আইনশাস্ত্র,অতীন্দ্রিয়বাদ নিয়ে বিস্তর লেখালেখি করছেন।ইউরোপ হইতে এশিয়া মুটামুটি সারা জাহান জুড়েই আরাবীর দার্শনিক তত্ত্ব বিভিন্ন উপায়ে পঠিত হয়ে আসতেছে,

সেই পরিপ্রেক্ষিতেই তুরস্কের একজন দার্শনিক ও রাজনিতিবিদ ফরাসি দার্শনিক জাঁ দেরিদাঁর বহুল প্রচলিত “অবিনির্মাণ বা ডিকনস্ট্রাকশন”তত্ত্বকে প্রাচীন মুসলিম সুফি দার্শনিক মুহিউদ্দীন ইবনে আরাবীর দার্শনিক তত্ত্ব “দুই চোখের দৃষ্টি”র আলোকে বিশ্লেষণ করছেন।বিশ্লেষণ ও প্রবন্ধে লেখক প্রমাণ করতে চাইছেন দেরিদাঁর মাধ্যমে আমরা বহু প্রশ্নের মুখোমুখি হইলেও ইবনে আরাবীর মাধ্যমে আমরা সেইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাইতে সক্ষম হইতে পারি।

লেখক ইব্রাহিম কালীন ইসলামী ফিলোসফার হইলেও ওয়েস্টার্ন ফিলোসফির উপরে হেফজ করছেন।আধুনিকতা ও এস্তেতিক দুনিয়া নিয়া ইংরেজি এবং তুর্কিতে তাঁর বহু কাজবাজ আছে, কালীন উত্তর আধুনিক ফিলোসফিরে সভ্যতার প্রাচীন পূর্ব ফিলোসফির সঙ্গে সম্মিলন ঘটান।

ইস্তানবুল ইবনে খালদুন ইউনিভার্সিটিতে আমার একটা কোর্সের ইন্সট্রাক্টর হওয়ার সুবাদে ইব্রাহিম কালিনের দার্শনিক আলাপ শোনার তাওফিক হইসিলো। বিগত দিনে সুফি দর্শন নিয়ে একটা গবেষণা পত্র দাখিল করতে গিয়ে ইব্রাহিম কালীনের এই প্রবন্ধ পাই সেই সাথে বাঙলা ভাষায় তর্জমা করার রুখসত জাগলে তর্জমা করে ফেলি,এর আগে সরাসরি তুর্কী ভাষা থেকে কবিতা তর্জমা করা হইলেও প্রবন্ধে এইটাই প্রথম।

এই প্রবন্ধের বাঙলা তর্জমা সম্পর্কে মূল রাইটার ইব্রাহিম কালীনের সাথে যোগাযোগ করা হইছে,প্রবন্ধটা ভালো লাগলে বাংলাভাষী পাঠকদের কাছে কালীনের দর্শন ও কেতাবাদী নিয়ে আরো অনেক তর্জমা করার কোশেশ রাখতেছি। ওমা তৌফিকি ইল্লা বিল্লাহ…

সুনান খান
ডিসেম্বর, ২০২৪]

 

***

বিখ্যাত ফরাসি দার্শনিক জ্যাক দেরিদা ২০০৪ সালে যখন মারা গেছেন,তখন তিনি এমন একটা চিন্তার ঐতিহ্য রাইখা গেছেন যা বুদ্ধিবৃত্তিক জগতে অভূতপূর্ব বিভাজন সৃষ্টি করছিল।

কেউ তারে পাশ্চাত্য সভ্যতার শেষ বুদ্ধিজীবী মহীরূহ হিশাবে শ্রদ্ধা করছেন,কেউ আবার তারে এক নিষ্ফল চিন্তাবিদ বইলা প্রত্যাখ্যান করছেন,যেনো এই লোক দর্শন যুক্তিবোধরে দুর্বল কইরা গেছেন,মৃত্যুর পরও একটা এখতেলাফ তৈয়ার করছেন।

জ্যাক দেরিদার জন্ম হইতেছে ১৯৩০ সালে আলজেরিয়ায়। আলজেরিয়া তখন ফরাসি উপনিবেশ আছিল। ১২ বছর বয়সে জাক জীবনের প্রথম বিশাল একটা আঘাত পাইছিলেন।

ভিশি সরকারের ইহুদি-বিরোধী আইন অনুসারে তারে স্কুল থিকা থেকে বাইর কইরা দেওয়া হইছিল।ইহুদি হিশাবে চিহ্নিত হওয়ার সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা সারা জীবন তারে চইষা বেড়াইছে।এই বিচ্ছিন্নতার অনুভূতিই হয়তো পরবর্তীকালে তার দর্শনের ভিত্তি রচনা করছে।

ডিকনস্ট্রাকশনের ধারণা

১৯৬০-এর দশকে দেরিদা একটা নয়া দর্শন চিন্তাধারা প্রবর্তন করেন,যেইটারে দেরিদা নিজেই “ডিকনস্ট্রাকশন” নামকরণ করছেন।এই ধারণাটা এতটাই জটিল যে একক সংজ্ঞায় এরে কাবু করা কঠিন।ডিকনস্ট্রাকশন কোনো নির্দিষ্ট পদ্ধতি না;এইটা বরং ভাষা,বাস্তবতা এবং তাদের পারস্পরিক সম্পর্করে বিশ্লেষণ করার একধরনের পন্থা।

দেরিদা বিশ্বাস করেন,টেক্সট বা পাঠ্যের মধ্যে কিছু “অকথিত” (unsaid) আসলে থাইকা যায়,যা কখনোই সরাসরি ব্যক্ত হয় না।আর এই অকথিত অংশটাই টেক্সটের প্রকৃত অর্থের জগৎরে উন্মুক্ত করে।
Continue reading

বিচারপতির স্কাইপি কনভারসেশন (২০১২): পার্ট ১ – ‘গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়া, তারা একটা রায় চায়’

[মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক (নাসিম) বিচারের নানাদিক নিয়া আহমদ জিয়াউদ্দিন এবং রায়হান রশিদের সাথে স্কাইপিতে কথা বলেন। ২০১২ সালের আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে বিভিন্ন দিনে মোট ১৭ ঘণ্টার কথা-বলার রেকর্ড থিকা কিছু অংশ দা ইকনোমিস্ট ও আমার দেশ পত্রিকায় ছাপা হয়।

ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন হইতেছেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ল’ইয়ার এবং ‘সেন্টার ফর বাংলাদেশ জেনোসাইড স্টাডিজ ইন বেলজিয়াম’-এর ল’ইয়ার এবং ‘সেন্টার ফর বাংলাদেশ জেনোসাইড স্টাডিজ ইন বেলজিয়াম’-এর ডিরেক্টর। উনি ব্রাসেলস ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষকতাও করতেন। রায়হান রশিদ যুক্তরাজ্যে থাকেন। বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম প্রায় নিয়মিতই সন্ধ্যার পর স্কাইপিতে আলোচনা করেন তাদের সঙ্গে। ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন এবং রায়হান রশিদের সঙ্গে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। তাদের স্কাইপি আলোচনা থেকেও এটা স্পষ্ট।

বিচারপতি নিজমুল হক নাসিম প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে স্কাইপি আলোচনার বিষয়টি স্বীকার করে দা ইকোনমিস্টের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন ২০১২ সালের ৬ই ডিসেম্বর। আমার দেশ পত্রিকায় এই কনভারসেনের অংশ ছাপানো শুরু করে ২০১২ সালের ৯ই ডিসেম্বর; ১১ই ডিসেম্বর বিচারপতি নিজামুল হক পদত্যাগ করেন। ডিসেম্বর ১৩, ২০১২ তারিখে আদালতের আদেশে এই কনভারসেশন ছাপানো নিষিদ্ধ করা হইলেও ২৬শে ডিসেম্বর সেই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা হয়, কিনতু আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোন মিডিয়া-আউটলেটে এই কনভারসেশন ছাপানো হয় নাই, যেইটা ছিল বাংলাদেশের বিচারবিভাগরে মেনিপুলেট করার সবচে ক্রুশিয়াল একটা এভিডেন্স।

এইরকম একটা ঘটনারে বাকশালি-মিডিয়া নানানভাবে ওভার-লুক করে গেছে এবং এখন ‘ভুলে গেছে’ 🙂 যেইটা বাংলাদেশি নিউজ-মিডিয়ায় একটা ট্যাবু ঘটনা। এমনকি, এই বিচার-কাজ নিয়া ঘটা অন্যায় ও গাফিলতির ঘটনায় কোন ইনভেসটিগেশন, বিচার ও শাস্তির ঘটনাও ঘটে নাই।…

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় ছাপানো সেই ৫০ হাজার শব্দের ডকুমেন্টস থিকা সিলেক্টিভ কিছু অংশ এইখানে রাখতেছি আমরা।]

 

১৪ অক্টোবর ২০১২

নিজামুল হক নাসিম : হ্যালো…।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কেমন আছেন, কেমন?
নাসিম : আছি ভালোই, আপনে কেমন আছেন?
জিয়াউদ্দিন : আছি ভালোই, আজকে আমরা তো একটু গণতন্ত্র চর্চা করে এলাম আর কি।
নাসিম : কী চর্চা…?
জিয়াউদ্দিন : গণতন্ত্রের চর্চা আর কি।
নাসিম : ও গণতন্ত্র!
জিয়াউদ্দিন : আজকে আমাদের এই লোকাল, স্থানীয় সরকার ও প্রাদেশিক সরকারের ইয়ে ছিল আরকি।
নাসিম : আচ্ছা…।
জিয়াউদ্দিন : ভোট ছিল।
নাসিম : ভোট ছিল, ভোট?
জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, ভোট।
নাসিম : বা… বা… বা খুব ভালো।
জিয়াউদ্দিন: কিন্তু এগুলো তো হচ্ছে, পানসা ভোট আসলে।
নাসিম : এ্যা…
জিয়াউদ্দিন : এগুলো পানসা-টানসা টাইপের ভোট আরকি।
নাসিম : তা তো বটে, ভোট হয় বাংলাদেশে। ওইসব ভোটে কোনো আরাম আছে—কেনো আরাম নাই।
জিয়াউদ্দিন : মানুষ যাচ্ছে ভোটিং সেন্টারে যার যার। একটা, দুইটা, তিনটা কইরা মানুষ যাইতেছে, চাইরটা কইরা যাইতেছে, আস্তে কইরা গাড়ি থেকে নাইমা চইলা গেল। আবার আস্তে… কোনো মানুষ নাই, কেউ রিসিভ করতেছে না, কেউ জিন্দাবাদ নাই… কোনো কিছু নাই।
নাসিম : ভালো…।
জিয়াউদ্দিন : এইবারে আরেকটু নতুন জিনিস করেছে আরকি। এর আগের বারে ইলেকট্রোনিক ভোটিংই ছিল, কিন্তু এইবার টাচ্ ইলেকট্রোনিক ভোটিংয়ের আরেকটা, সেফটি মেজার এইবার ইনট্রিডিউস করছে আরকি। তাতে হচ্ছে যে, এটা আরও সিকিউরড হইছে যে, আপনার ভোটটা ওরা আইডেনটিফাই করতে পারবে।
নাসিম : ও জাগায় তো ভোট দেয়া কম্পালসারি, না?
জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ কম্পালসারি দেইখাইতে যাইতে হয়, না হইলে তো মানুষ বোধহয় যাইতও না। এইবার একটু বেশি মনে হচ্ছে আমার কাছে, স্থানীয় নির্বাচনে একটু ইন্টারেস্ট থাকে মানুষের। কারণ এটা এই, এই লোকাল গভর্নমেন্টের তো, এখানে রাস্তাঘাটের প্ল্যানিং-ট্যানিং থেকে শুরু করে সার্ভিস-টার্ভিস সবই তো লোকাল গভর্নমেন্ট প্রভাইড করে। সেই জন্য একটা ইন্টারেস্ট আছে আর কি। বাট এ্যাঁ, এটা হচ্ছে যে, বাসায় বাসায় চিঠি পাঠাচ্ছে যে, চিঠি দিয়ে যাচ্ছে দুই-চারটা কেনডিডেট দেখি, দু-একটা পার্টির কেনডিডেট আসছেও আর কি। মানে চিঠি দিতে আসছে আর কি। সব কেনডিডেটই আসে আর কি। নিজে আইসা বাসায় বাসায় চিঠি দিয়া যায় আর কি। কিন্তু এতটুকুই আর কি, এর বেশি কিছু না। দুই-একজন বইলা গেছে, আমরা কিন্তু তোমার প্রতিবেশী।
নাসিম : হে, এ্যাঁ…।

জিয়াউদ্দিন : তা ঠিক আছে। আপনার আজকের দিন কেমন ছিল? আমি তো দেখলাম কয়েকটা নিউজ আজকে।
নাসিম : ভালোই, আর খবর-টবর কী?
জিয়াউদ্দিন : এ্যাঁ…, খবর তো আমরা কালকে নিজেরা কথা বলছি। সো… একটা চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে এগুলোর। আপনার সাথে কালকে যেটা কথা হইছে। কাল মালুম ভাইর সাথে কথা হয় নাই। কাজেই… আজকে ওই গোলাম আযমেরটা কতদূর আগাইছে?
নাসিম : গোলাম আযম ফার্স্ট হাফ হইছে। সেকেন্ড হাফে আবার সাঈদী ধরছিলাম। আগাচ্ছে আর কি। সাঈদীর তো ওই ডকুমেন্ট জমা হচ্ছে। ১৩ নম্বর সাক্ষী এখনও চলতেছে, চলবে…।
জিয়াউদ্দিন: উনাদের কারো সঙ্গে কালকে কথা হয় নাই অবশ্য। কালকে বোধহয় ছুটির দিন ছিল দেইখ্যা উনারা ব্যস্ত ছিলেন বোধহয়, এইজন্য স্কাইপি আসতে পারে নাই।
নাসিম : আইজকে তো… আচ্ছা দেখা যাক, সাঈদী এবং গোলাম আযম কেসই তো আগাচ্ছি।
জিয়াউদ্দিন: হ্যাঁ, ওই যে দুই নাম্বারের চক্করটা। এটা বুঝার জন্য আলোচনা কালকে রাত্রে হওয়ার কথা ছিল। আমি ধারণা করছিলাম হয়তোবা আজকে হবে। দেখা যাক, আমি মনে করি এইটা যে, দুই-তিনটা স্ট্র্যাটিজি হতে হবে। একটা হচ্ছে যে, একটা অলরেডি মেসেজ দেওয়া হইছে আর কি…। আইনমন্ত্রীকে দেয়া হইছে। মানে দেওয়ার কথা আজকে মেসেজ পৌঁছানোর কথা আছে।
নাসিম : মেসেজ দেলে কি কাজ হইবে…, মেসেজে? Continue reading

বাংলাদেশের হাসপাতালগুলায় কি সমস্যা বা কি করলে লোকজন দেশের বাইরে/ইন্ডিয়া যাবে না?

বাংলাদেশের হাসপাতালগুলায় কি সমস্যা বা কি করলে লোকজন দেশের বাইরে/ইন্ডিয়া যাবে না?

যারা যায়, তারা কেন যায়- এই প্রশ্নের উত্তর আগে লাগবে। কিছু পেশেন্টের যাইতে হয়, কারণ বাংলাদেশে সম্ভবত মেডিকাল রিসার্চ/এডভান্স লেভেলের ট্রিটমেন্ট যথেষ্ট হয় না। তবে, সেই ধরনের পেশেন্ট খুব বেশি থাকেও না, যে পরিমাণ পেশেন্ট বাইরে যায় তার তুলনায়। ডাক্তারদের বিভিন্ন গবেষণা এবং সারা দুনিয়ায় যেগুলা হইতেছে, সেই বিষয়ে এডভান্সড নলেজ এবং টেকনোলজির সাপোর্ট দেয়া লাগবে। সরকারি আর্থিক সাপোর্ট দেয়া লাগবে।

এখন, সব লোক সিরিয়াস সমস্যা নিয়ে যায় না। সাধারণ সমস্যায়ও যায়। কেন? ফার্স্ট অফ অল, ব্যাড ইম্প্রেশন এবং ইনকনফিডেন্স।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলায় কি সমস্যা হয়? সব ধরনের টেস্ট করা যায় না অথবা রোগীর প্রেশারে দ্রুত করানো যায় না। অর্থাৎ ইনভেস্টমেন্টের ইস্যু আছে। পরীক্ষা নিরীক্ষার জিনিসপত্র/মেশিন সাপ্লাই দিতে হবে। সেই পরিমাণ লোকবল থাকতে হবে। চারশো রোগীর সাপ্লাই দিতে আটশো লোক হ্যান্ডেল করা সম্ভব না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই যত বেশি সম্ভব সার্জারি বা এডভান্সড ট্রিটমেন্ট লাগবে,যাতে ঢাকায় যাইতে না হয়। ঢাকার চার পাঁচটা হাসপাতালে বাকি তেষট্টি জেলার পেশেন্ট সামলানো সম্ভব না। মেডিকেল কলেজ হসপিটালগুলারও ক্যাপাসিটি বাড়াইতে হবে।

ডাক্তারের রোটেশন প্রয়োজনে বাড়ানো যাইতে পারে। দরকার হলে বেশি ডাক্তার নিয়োগ দেয়া যাইতে পারে।

হাসপাতালের বড় সমস্যা স্টাফ/নার্স এবং দালাল সমস্যা। লোকজনের ধারণা আছে যে, হাসপাতাল ডাক্তারেরা চালায়। এইটা বেশ ভুল ধারণা। দেখবেন, ডাক্তারেরা মেডিকেলে সবচেয়ে কোণঠাসা৷ আমি মেডিকেল প্রশাসনের স্ট্রাকচার জানি না। এইসব স্টাফের এসিআর/সার্ভিসবুক ইত্যাদি যারা নির্ধারণ করে, তাদের চেঞ্জ হইতে হবে। রোগীর লোকজন ডাক্তারের কাছে খারাপ ব্যবহার পায়, এমন ঘটনা কম। দেখবেন, ম্যাক্সিমাম এগুলা দারোয়ান/পিয়ন/নার্স ইত্যাদি সেক্টর থেকে আসে। এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রশাসনিকভাবে দূর্বল। কেন? সেই কারণে হাত দিতে হবে।
Continue reading

ভীতু মধ্যবিত্তের ৫ আগস্ট

এই লেখাটা আমি ২৪ এর আগস্টের ৬ তারিখ থেকে লিখতে চাইতেছিলাম। কিন্তু সেই সময়ে চারদিকে যে ঝড়তুফান চলতেছিল আর একই সাথে নিজের ভিতরে যে অস্থিরতা এবং বিজয়ের আনন্দ পাশাপাশি বিরাজমান ছিল তাতে সেই মেমোরি লেখা হয়ে উঠে নাই। আর এমন লেখার মাঝে আবেগের যেই উথালপাথাল, তাতে এইটা দ্রুত লেখার ক্ষেত্রে আতিশয্যের কিছু রিস্ক থাকে। সেইটা বাদ দিতে কিছু সময় পেরোতে দেওয়া সেইফ। তাতে অবশ্য কিছু স্মৃতিভ্রমের ঝুঁকিও থাকে। কিন্তু মাত্র চার মাসের মাথায় এই মুহূর্তে যে কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে চারদিকে, প্রতিদিন নতুন নতুন যেসব বয়ান, ন্যারেটিভ পড়ছি, দেখতেছি, শুনতেছি, নায়ক, খলনায়ক বানানোর প্রবণতা দেখতেছি তাতে কিছুদিন পরে মনে হবে আমি মনে হয় ৫ আগস্টে কল্পনায় ছিলাম। বা ছিলামই না। ফলে লেখাটা জরুরি। অন্য কারও জন্য না হলে নিজের জন্যই জরুরি।

ইন্টারনেট শাট ডাউনের সময়ে বা কারফিউ চলাকালে কাগজে কলমে প্রচুর লিখেছি। সেগুলো এই আলোচনার মুখ্য বিষয় না। প্রাসঙ্গিকভাবে আগের পরের কিছু ঘটনা আসতে পারে। মূলত ৫ তারিখ নিয়েই লিখব। তখনকার জ্ঞানের আন্দাজে লিখব। তখনো যা জানিনা, পরে জেনেছি, সেই তথ্য সেইভাবেই আনব।

এটা একেবারেই ব্যক্তিগত লেন্সের একটা নির্দিষ্ট সময়ের লেখা। ফলে বৃহৎ প্রেক্ষাপটের বিশ্লেষণ আশা করলে হতাশ হবেন।

আমি ১ তারিখ থেকে মাঠে, রাস্তায়, শহীদ মিনারে ঘুরতেছি। কখনো একা, কখনো পরিচিত ছোটভাইদের বা অন্য কোনো সার্কেলের সাথে। আমার কাছের দোস্ত বা সমসাময়িকরা কেউ ঢাকার বাইরে, কেউই দেশের বাইরে কিংবা পরিস্থিতি মেনে নিয়ে খুনী হাসিনাকে তীব্র ঘৃণা করে নিজের বাস্তবতা মেনে বাসায়। আমার পরিচিত সেকেন্ডারি সার্কেলের (পরিচিতের পরিচিত) অন্তত ১৫/২০ জনের নিহত হওয়ার খবর আছে। সবচেয়ে প্যাথেটিক খবরটা ছিল এক পরিচিত ছোটবোনের বান্ধবীর যার জানালা দিয়ে ঢোকা টিয়ারশেলের ধোঁয়ায় বাসার সবাই প্রাণে বেঁচে গেলেও সপ্তাহখানেক বয়সের নবজাত সন্তান মারা গেছে। জাস্ট ইমাজিন! এরই মাঝে মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচী এক দিন এগিয়ে ৬ তারিখের বদলে ৫ তারিখে এগিয়ে আনা হয়েছিল। এমেজিং মুভ। সম্ভবত সরকারকে হতচকিত করতেই এই মুভ।

১৬ তারিখে আবু সাঈদের শহীদ হওয়ার ভিডিও দেখার পর থেকেই আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে হাসিনার দিন শেষ। সেই সময়ে কারফিউয়ের মাঝে যাদের সাথে মোবাইলে কথা বলে মাথা ঠিক রাখার চেষ্টা করেছি তাঁদের মাঝে জনাকয়েক লেখক, প্রকাশক, বন্ধু ও আত্মীয়স্বজন আছেন। (তাঁদের কয়েকজনকে ট্যাগ করলাম) ১৭ তারিখ থেকে আমি যা বলেছি সেইটাই ৪ তারিখে পোস্ট করেছিলাম ফেসবুকে। আমার ওয়ালে এখনো আছে। পোস্ট টা কপি করি এখানে –

“রোগীর আত্মীয়স্বজনকে ডাক্তার বলে দিছে, হাসপাতালে রাইখা লাভ নাই। বাড়িতে নিয়া যান। যা খাইতে চায় দেন।
এই মুহূর্তে এই সরকারের অবস্থা সেই রোগীর মতো।
প্রশ্ন শুধু এইটা, কখন?
৩ ঘন্টা, ৩ দিন, নাকি ৩ সপ্তাহ নাকি ৩ মাস…
ইটস অন দ্য কার্ড। আল্লাহ্‌ ভরসা।”
Continue reading

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →