Main menu

ব্রিটিশ বাংলায় গরু জবাইয়ের রাজনীতি (পার্ট ১) Featured

ব্রিটিশ আমলে মুসলমানদের গরু কোরবানি এবং হিন্দু জমিদারদের প্রতিক্রিয়া

ব্রিটিশ ভারতে গরু নিয়ে হিন্দু-মুসলিম বিতর্কের সূত্রপাত উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে। সূত্রপাতের সূচনা হিন্দু জমিদারদের মাধ্যমে। জমিদারি ব্যবস্থায় প্রজা জমিদারের হুকুম মানতে একপ্রকার বাধ্য‌ই ছিল। যদি জমিদারের হুকুম বে-আইনি হয় তাহলে প্রজা আইনের আশ্রয় নিতে পারতো। কিন্তু আইন কি আইনের গতিতেই চলে? ঔপনিবেশিক শাসনামলে ইংরেজের তৈরি আইনের সুশাসন/সুফল ভোগ করা কি অর্থবিত্ত আর ক্ষমতা ছাড়া সম্ভব ছিল? স্বাভাবিকভাবেই ইংরেজ সরকার ও তার কর্মচারী প্রাধান্য দিবে জমিদারকে। এবং তাই হয়েছিল। একজন প্রজার পক্ষে জমিদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা রীতিমতো অকল্পনীয় ব্যাপার ছিল। কারণ, একজন স্বাভাবিক বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের এই বোধটুকু ছিল যে, জমিদারের অর্থবিত্ত আর ক্ষমতার কাছে আইন মামুলি ব্যাপার। মাঝখান দিয়ে টাকা-পয়সা আর শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের বেহুদা খরচ!

জমিদার আর প্রজার দুয়েকটা কেস যে ইংরেজের দরবারে হাজির হয় নাই, তা না। তার রায়/মীমাংসা হয়েছিল কিভাবে তা দেখাতে, নজির হিসেবে দুয়েকটা কেস পরবর্তীতে পেশ করবো আমরা।

১৮৮৭ সালে মোম্বাইতে অনুষ্ঠিত হয় কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশন। সদস্য হিসেবে অধিবেশনে যোগ দেন রাজশাহীর তাহিরপুরের জমিদার শশিশেখর রায়। সেখানে তিনি গরু জবাইয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। কিন্তু সেই প্রস্তাব নাকচ হয়। বলা হয়, এই মুহূর্তে এই প্রস্তাব পাশ করলে তা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যাবে এবং তখন কংগ্রেসের মুসলিম স্বার্থবিরোধী একটি ভাবমূর্তি দাঁড়াবে যা কংগ্রেসের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ক্ষতিকর। প্রস্তাব নাকচ হলেও,মুসলমানদের গরু-জবাই ইস্যুতে জমিদারের মনোভাব পরিষ্কার হয়েছিল সেই অধিবেশনে। যে জমিদার এমন প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারে তার জমিদারির ত্রিসীমানায় যে মুসলমানরা নিরাপদে গরু জবাইয়ের স্বাধীনতা পাবে না তা হলফ করেই বলা যায়।

রাজশাহীর কেবল শশিশেখর নয়, অন্যান্য জমিদারদের অঞ্চলেও ছিল এক‌ই চিত্র। The Moslem Chronicle পত্রিকায় ১৭ মার্চ ১৮৯৫ সালের সংখ্যায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়, রাজশাহীর খোকসার অন্তর্ভুক্ত পানানগর ও অন্যান্য গ্রামের মুসলমানদের সাথে গরু জবাইয়ের কারণে দুর্ব্যবহার করা হয়। এবং কমিশনারের রিপোর্টের রেফারেন্স উল্লেখ করে বলা হয়, মুসলমান প্রজাদের গরু জবাই এবং গোশত খাওয়ার ব্যাপারে জমিদাররা সরাসরি হস্তক্ষেপ করে।

The Moslem Chronicle পত্রিকার ২০ মে ১৮৯৫ সংখ্যায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ময়মনসিংহের অম্বরিয়া, মুক্তাগাছা ও সন্তোষের জমিদারগণ কয়েকজন গ্রামবাসীকে গরু জবাইয়ের জন্য জরিমানা করেছিলেন। ময়মনসিংহে জমিদারের হস্তক্ষেপের ফলে গরু জবাইয়ের অলিখিত নিষেধাজ্ঞার কথা জানা যায় আবুল মনসুর আহমদের জবানেও। তিনি লিখেছেন: “বক্‌রা ঈদে গরু কোরবানি কেউ করিত না। কারণ জমিদারের তরফ হ‌ইতে উহা কড়াকড়িভাবে নিষিদ্ধ ছিল। খাশি-বকরি কোরবানি করা চলিত। লোকেরা করিত‌ও তা প্রচুর।” আবুল মনসুর আহমদের জন্ম ১৮৯৮ সালে। শৈশব থেকে সাবালক হ‌ওয়া অবধি— ১৯১০-২০ সালের দিকেও— ময়মনসিংহের এক‌ই চিত্র ছিল। অর্থাৎ, ১৮৯৫ সালে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের হেরফের পরবর্তী বিশ-ত্রিশ বছরেও হয়নি। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ এবং আবুল মনসুর আহমদের সাক্ষ্য থেকে বলা যায়, ময়মনসিংহে মুসলমানদের গরু জবাই এবং গোশত খাওয়ার উপর জমিদারদের নিষেধাজ্ঞা উনিশ শতকের শেষদিক থেকেই বলবৎ ছিল।
Continue reading

কিভাবে লেখতে হবে জুলাইয়ের ইশতেহার? Featured

[বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম]

এক.

১. আমি মনে করি, জুলাই প্রক্লেমেশনের বেইজ হওয়া উচিত ৪টা ডকুমেন্ট –

৬২২ সালের মদিনা সনদ
১৭৮৯ সালের ফ্রেঞ্চ রেভুলেশনের ডিক্লারেশন অফ হিউম্যান এন্ড সিভিক রাইটস

১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব
১৯৭১ সালের বাংলাদেশের ডিক্লারেশন অফ ইন্ডিপেন্ডেস

২. অই ডকুমেন্টগুলার যেই স্পিরিট সেই জায়গাগুলারে নেয়ার কথা বলতে চাইতেছি আমি –

মদিনা সনদের সমাজ ও রাষ্ট্রে বিভিন্ন দল ও মতের মানুশের ইউনিটির যেই জায়গা, সেইটারে নেয়া

ফ্রেঞ্চ রেভিউলেশনের ব্যক্তির যেই স্বাধিনতা

লাহোর প্রস্তাবের যেই রিজিওনাল ও কনফেডারেশনাল স্টেটসের ধারনা

এবং ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের সভ্রেনটির যেই শুরু

– এই চাইরটা জিনিসরেই নিতে পারতে হবে আমাদেরকে

৩. ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টের পিপল আপ-রাইজিং রাষ্ট্রের সেকেন্ড গড হয়া উঠার জায়গাটার এগেনেস্টেই রিভোল্ট, ব্যক্তির অধিকারের জায়গাটারে রিক্লেইম করার রিভোল্ট, যেই রিজিওনাল কো-হেরিয়েন্সের জায়গাটারে ইনডিয়ান হেজিমনি দখল করতে চায় তার বিরুদ্ধে রিভোল্ট, এবং সবচে জরুরিভাবে বাংলাদেশের স্বাধিনতা ও সভ্রেনটি ধইরা রাখার জন্য ছিল এই রিভোল্ট – এইটা মাইনা নিয়া, ব্যাকগ্রাউন্ডে রাইখা লেখার কাজটা করতে হবে বইলা আমি মনে করি

দুই.

এই বেইজটারে যদি আমরা রিকগনাইজ করতে রাজি থাকি, তাইলে ফিল করতে পারবো যে, এইখানে –

১. বাংলাদেশের মানুশের কথা থাকতে হবে, বাংলাদেশের মানুশের ওনারশিপের কথা থাকতে হবে, সুখ-শান্তি ও সভ্রেনটির কথা থাকতে হবে, অতীত, বর্তমান ও ফিউচারের কথা থাকতে হবে, কোন বেইজ থিকা এই বর্তমানে আসছি আমরা, আর কোন দিকে যাইতে চাইতেছি – তার একটা জার্নির কথা থাকতে হবে

আর এই যাওয়ার পথের দিশা যেন হইতে পারে এই ডকুমেন্ট’টা! খালি মঞ্জিল বা ডেস্টিনেশন না, বরং প্রসেসটাও জরুরি এইখানে! Continue reading

স্বাধীন জাতির, স্বাধীন উপলব্ধি – জিয়াউর রহমান

[২০২০ সালে ছাপানো “আমার রাজনীতির রূপরখো” বইয়ের ১০২-১১৫ নাম্বার পেইজ থিকা লেখাটা নেয়া হইছে।] 

আপনারা বাংলাদেশের ইতিহাস পড়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাস হাজার বছরের ইতিহাস, যদি না পড়ে থাকেন তাহলে এর সূত্রটা পাবেন না। গত দুই বাংলা, বঙ্গ। বঙ্গ বুঝতে বর্তমানে যে বাংলাদেশের এলাকা সেটাই বোঝাত।

কিন্তু আপনারা যারা ইতিহাস পড়েছেন তাঁরা জানেন। গত দু’হাজার বছরের ইতিহাস পড়তে হবে। বঙ্গ, বাঙ্গাল, বাংলাদেশ। দুনিয়ার অন্যান্য দেশে এই বাঙ্গাল কথাটার উল্লেখ আছে, আরব দেশে আছে, মধ্যপ্রাচ্যে আছে। বাঙ্গাল এমনকি ইন্দোনেশিয়াতেও আমি এই শব্দটি শুনেছি। যখন সূত্র খুঁজবেন তখন বাংলাদেশের সাথে এর সূত্র খুঁজে পাবেন। পশ্চিমবঙ্গের সাথে নয়। ওরা অন্য নামে পরিচিত। আমাদের জাতীয় সত্তা আলাদা এবং আমাদের ভাষা বাংলা ভাষা। আমাদের এখানকার বাংলা ভাষা হলো মূল বাংলা ভাষা। যেটা বাংলাদেশ থেকে পশ্চিম এবং পূর্বেও গেছে, আসামেও। যদি আসামী কথা শুনেন, আসাম রেডিও কিংবা গৌহাটি রেডিও যখন শুনবেন তখন আপনি অনেক কিছুই বুঝতে পারবেন। দেখবেন বাংলা ভাষার একটি ভগ্ন রূপ বা খণ্ডিত রূপ। তেমনিভাবে যখন পশ্চিম দিকে যাবেন বাংলা ভাষার রূপ বদলে যেতে থাকবে। বাংলাদেশ হলো বাংলা ভাষা, বাংলাদেশী সংস্কৃতি ও কৃষ্টির হেড কোয়ার্টার। এটা বুঝতে হবে। অনেকেই আপনারা বুঝেন না এবং শান্তি নিকেতনের কথা বললে আপনাদের আমাদের মনে-প্রাণে অনেক রকম অনুভূতি হয়। ওখানে যা কিছু নিয়ে গেছে, এখান থেকে নিয়ে সেটাকে আর একটা রূপ দিয়েছে। জিনিসটা বুঝতে হবে। তখন বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজ্য সৃষ্টি হয়েছিল। আপনি অতীতে চলে যান হাজার বছর তারও বেশি, বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের প্রভাব বিস্তার শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশের ইতিহাস প্রায় ৯/১০ সেঞ্চুরী থেকে। আমি আগেই বলেছি রাজনীতিতে ধর্মটা সবচেয়ে বড় কথা নয় কিন্তু ধর্ম একটা কথা হতে পারে। জাতিগতভাবে আমরা ভিন্ন। যেমন আপনারা দেখবেন মোঙ্গলীয় জাতি আছে। তাদের হেডকোয়ার্টার বলা যেতে পারে চীন দেশের যে কোন একটা মূল বিন্দু থেকে ধরে নিতে পারেন এবং সেখান থেকে বিভিন্ন দিকে এটা ছড়িয়েছে। যেমন করে দূরে ছড়িয়ে পড়ে জিনিসটা লঘু থেকে লঘু হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ এটা ক্রমশঃ বিস্তার লাভ করছে। বার্মাতে যে জাতি দেখা যায় তারা মোঙ্গলয়েড। মোটামুটি তাদের মধ্যে এবং চীনাদের মধ্যে পার্থক্য দেখবেন। আসামে তারা কিন্তু জাতিগতভাবে মোঙ্গলয়েড কিন্তু চীনাদের থেকে পার্থক্য দেখবেন। যদি আপনি বিভিন্ন জায়গা থেকে মোঙ্গলয়েড সব এক সাথে এক কামরার মধ্যে ভরে দেন তাহলে হঠাৎ মনে হবে যে- আরে এরাই তো সব একই লোক। আসলে কিন্তু এক লোক নয়। কেউ বার্মা, কেউ থাইল্যান্ড, কেউ মালয়েশিয়া, কেউ চীনা, কেউ মোঙ্গলীয়া, কেউ ভূটান, কেউ নেপাল, কেউ সীকিম, কেউ ভারতের পূর্বপ্রান্ত অর্থাৎ আসাম এলাকার। তেমনিভাবে কতকটা আমাদেরও অবস্থা। এটাই হলো আমাদের জাতি, আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের জাতীয়তাবাদের মূল অবস্থান। বাংলাদেশ এবং এখান থেকে চারপাশ আমাদেরই মাল-মশলা বিভিন্ন সময়-ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে আমরা বলতে পারি যে কোন এলাকার উপর আমাদের দাবি আছে। আমরা হয়তবা এটা বলতে পারব না। কিন্তু তারাও আমাদের উপর দাবি করতে পারে না। সেই জন্য এপার বাংলা ওপার বাংলা কথাটায় কোন বাস্তবতা নেই।

১৯৭১ সালে আমি কোন রাজনীতিবিদ ছিলাম না। ১৯৭১ সালে আমরা যে যুদ্ধ করলাম, কোন ক্ষমতার লোভ করি নাই। আমরা টাকা-পয়সার লোভ করি নাই। আমি জানিনা যে আমি যুদ্ধে নেমেছিলাম, আমি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে ছিলাম, ভালই ছিলাম, কিন্তু বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের চেতনা, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শ যার আদর্শ আমি ছোটবেলা থেকেই পেয়েছিলাম। আমি দেখলাম যে বাংলাদেশকে কিভাবে শোষণ করা হচ্ছিল এবং হচ্ছে। সেই সময় ১৯৭১ সালের আগে বর্তমানের বাংলাদেশকে কিভাবে শোষণ করা হয়েছে। কলকাতা কেন্দ্রিক শোষণ, দিল্লী কেন্দ্রিক শোষণ, লন্ডন কেন্দ্রিক শোষণ এবং অন্যান্য কেন্দ্রিক শোষণ। তার কারণ এই ছিল যে, আমাদের মধ্যে এই ভাবধারার চেতনা সম্পূর্ণভাবে বিকাশ করতে পারেনি, যে পর্যায়ে এটাকে একটা স্বাধীনতা হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আপনারা যদি ইতিহাসের পাতা উল্টিয়ে দেখেন, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী চেতনা আজকের নয়, শত শত বছর আগেকার। ইতিহাসের পাতায় পাতায় এগুলোর প্রমাণ পাবেন বিভিন্নভাবে এবং এটা গড়ে উঠতে অনেক সময় লেগেছে। এটা জাতীয় সত্তা গড়ে উঠতে শত শত বছর লাগে। তাহলে দেখা যাচ্ছে, আমাদের বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের চেতনা গড়ে উঠেছে শত সহস্র বছর ধরে এবং সেই যুগ যুগ ধরে আমাদের দেশে বিভিন্নভাবে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তন যেটাকে বলা যেতে পারে আমাদের জাতীয়তাবাদকে কেন্দ্র করে এই পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যেখানে এটা একটা সঠিক রূপ নিয়েছে।

১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় অবশ্য ভারত আমাদেরকে সাহায্য করেছিল কিন্তু তার সাথে তারা জুড়ে দিয়েছিল এপার বাংলা ওপার বাংলা তারপর আপনারা জানেন যে, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে শাসন চালাবার জন্যে তারা অভিজ্ঞ দল পাঠিয়েছিল কয়েক শত। এমন হাবভাব যে আমরা কিছুই জানি না। কিছুই করতে পারি না এবং তাদের সেই চেষ্টার উল্টো ফল হয়েছে। তার কারণ যদিও বাকশালীরা, তখনকার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে- বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের রাজনীতি ছিল না। সেখানে তারা মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। আসল কথা হলো যে আওয়ামী লীগ কেবলমাত্র পাকিস্তানের ক্ষমতার গদিতে বসতে চেয়েছিলো। কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ, ছাত্রগোষ্ঠি তারা স্বাধীনতা চেয়েছিল। নেতারা যারা ছিলেন তারা এই অনিশ্চয়তার মধ্যে যেতে চাইছিলেন না- এটা করতে গিয়ে যদি আমরা ক্ষমতা না পাই। কারণ আমরা তো অনেক দিন ধরে রাজনীতি করলাম, অনেক কাজ করলাম, আমাদের ক্ষমতায় যেতেই হবে। সেখানে তাদের একটা আত্মসংঘাত লেগে গিয়েছিল। ১৯৭১ সালে আমি যেটা লক্ষ্য করলাম মার্চ মাস থেকে আওয়ামী লীগের মধ্যে দুটো ডিভিশন হয়ে গিয়েছিল। যারা যুবসমাজের প্রতিনিধি তারা বলেছিল স্বাধীনতার কথা, বিভিন্নভাবে বলেছিল। অনেকে কিন্তু বুঝতো না স্বাধীনতার কথা, কেউ কেউ অটোনমির কথা বলেছে, কেউ স্বাধীনতার কথা। কিন্তু জনগণের মানসিকতা স্বাধীনতার জন্য ছিল। তারা বুঝে ফেলেছিল যে পাকিস্তান দিয়ে আমাদের কিছুই হবে না। আওয়ামী লীগ নেতারা চেয়েছিলেন ক্ষমতার আসন। যার ফলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কি করল? তারা চিন্তা করে দেখল আমাদেরকে এখানে ঝুঁকি নিতে হবে। আমাদেরকে এমন একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে হয় আগামী ১০/২০ বছর বাংলাদেশকে আমরা চালায়ে যাব গোলামের মত অথবা যেটাকে আমরা বলি এসপার-ওসপার। এদিক-ওদিক এবং সেভাবেই তারা পরিকল্পনা গ্রহণ করল এবং সেখানেই আবার তারা মস্ত বড় ভুল করলো। তাদের বোঝা উচিত ছিল যে, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের চেতনা এমন এক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যেখানে আর কিছু করা যাবে না। এটার সমাধান হলো বাংলাদেশকে স্বাধীনতা দিয়ে দেয়া একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে। যেহেতু তারা সবসময় স্বল্প মেয়াদে কাজ করে থাকে সেজন্য তারা এটার দীর্ঘ মেয়াদের গুরুত্ব বুঝতে পারল না এবং সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলো। আমরা যারা ছিলাম আমরা নিজেদের মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম, এভাবে যদি তারা হরতাল করে আমরা হরতাল ভঙ্গ করবো এবং সেটা চরম অবস্থায় চলে যাবে এবং চরম অবস্থা মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ। আমরা কিন্তু মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম তার জন্য। ২৫ মার্চের পরে আমাদের তরফ থেকে যে প্রতিক্রিয়া হলো এগুলো যদি পরীক্ষামূলকভাবে দেখেন তাহলে এটার সত্যতা যাচাই করতে পারবেন। তারপরে যুদ্ধকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে বারবার চেষ্টা হয়েছিল পাকিস্তানীদের সঙ্গে একটা সমঝোতা করে ক্ষমতায় আসা এবং ভারতও সেটাই চেয়েছিল। ভারতের চেষ্টাও ছিল অন্ততঃপক্ষে আমি যতদূর জানি সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত যে, পাকিস্তানের সাথে একটি সমঝোতা করে একটা কনফেডারেশনের মত করা যার মধ্যে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ এবং তাদেরই একজন যিনি আজকে ইসলামকে বগল দাবা করে চলছেন, তিনিও শেষ পর্যন্ত এর মধ্যে ছিলেন। Continue reading

গো-দেওতা কা দেশ – আবুল মনসুর আহমেদ

This entry is part 7 of 18 in the series বাংলাদেশি ফিকশন

দিনটাও ছিল বেজায় গরম, মেজাজটাও ছিল নিতান্ত চড়া। রাত না পোহাতেই বিবির সাথে ঝগড়া হওয়ায় প্রতিজ্ঞা করিলাম: আজ বাসায় থাকিব না; সারাদিন বাহিরে থাকিয়া বিবিকে একটু শাস্তি দিব।

কিন্তু যাই-ই বা কোথায় ছাই! জামা-কাপড় লইয়া আড়চোখে বিবির দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া লইলাম। বিবি ভ্রুক্ষেপও করিল না। রাগ আমার আরও বাড়িয়া গেল। জোরে জোরে পা ফেলিয়া রাস্তায় নামিয়া পড়িলাম।

বন্ধু রশিদের বাসায় আসিয়া দেখিলাম ও প্রচণ্ড আড্ডা, বিষম কোলাহল। আমাকে দেখিয়া সবাই একযোগে চিৎকার করিয়া উঠিল: চল, নৌকা ভ্রমণে যাওয়া যাক।

বাড়ির বাহিরে সারাদিন, চাই কি সারা সপ্তাহে, কাটাইয়া দিবার যে কোন সুযোগে আমার আনন্দিত হইবার কথা। কিন্তু নৌকা ভ্রমণের কথা শুনিয়া আমি শিহরিয়া উঠিলাম।

ছেলে বেলা এক বেটা গণক বলিয়াছিল যে, আমার মৃত্যু পানিতে ডুবিয়া! সেই হইতে আমি নদী তো চুলায় যাক, পুকুরে গোসল করিতাম না।

তারপর কলিকাতায় আসিয়া পুকুরের বদলে পানির কলের সুবন্দোবস্ত দেখিয়া স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলিয়াছিলাম।

নিতান্ত দায়ে ঠেকিয়া একবার বর্ষাকালে পল্লীগ্রামের বাড়িতে যাইতে হইয়াছিল; প্রায় পনর হাত প্রশস্ত এক নদীর খেয়া পার হইতে গিয়া অনেক ভাবিয়া চিন্তিয়া খোদার নাম লইয়া নৌকায় উঠিলাম। পাঁচ ছয় জন আরোহীর ঠিক মাঝখানে দাঁড়াইয়া আল্লাহর নাম যপ করিতে লাগিলাম। কিন্তু নৌকা যেই মাঝ নদীতে গিয়া পড়িল, অমনি হাঁটু দু’টি ঠকঠক করিয়া কাঁপিতে লাগিল। আমি মূৰ্ছিত হইয়া পড়িলাম।

নৌকা ভ্রমণের কথা শুনিয়া আমার সে কথা মনে পড়িয়া গা কাঁটা দিয়া উঠিল। মনটা নিতান্ত দমিয়া গেল।

কি করিব ভাবিতে লাগিলাম।

কিন্তু আমার জিদ হইয়াছিল বিবিকে শাস্তি দিতেই হইবে! কেন সে আসিবার সময় আমাকে বাধা দিল না? তাকে শাস্তি দিবার জন্য আমি আত্মহত্যা করিতেও প্রস্তুত আছি। কাজেই নিশ্চিত মৃত্যু জানিয়াও আমি বন্ধুদের জিজ্ঞাসার উত্তরে বলিলাম: নৌকা-ভ্রমণে যাইব।

এই বেফাঁস কথাটা বলিয়া ফেলিয়া মনটাই খারাপ হইয়া গেল। বন্ধুরা নৌকা-যাত্রার বিধি-ব্যবস্থার কথা আলোচনা করিতে লাগিল। আমার কিছুই ভাল লাগিল না।

বিকালে প্রস্তুত থাকিতে উপদিষ্ট হইয়া আমি মাতালের মতো টলিতে টলিতে বিদায় হইলাম।

বাসায় ফিরিয়া বিবিকে শুনাইয়া চিৎকার করিয়া আমার এই দুঃসাহসিক অভিযানের কথা চাকরকে জ্ঞাপন করিলাম। বিবির উদ্দেশ্যে রান্না-ঘরের দরজার দিকে দুই একটা কটাক্ষও করিলাম।

কিন্তু সে রান্নাঘর হইতে বাহির হইল না।

রান্নাঘরের সম্মুখ দিয়া বার সাতেক হাঁটাহাঁটি করিলাম, তথাপি সে একবার চাহিয়া দেখিল না। ছুরি হারাইয়া যাওয়ার ভান করিয়া বঁটিতে পেন্সিল কাটিবার জন্য রান্নাঘরে গেলাম এবং বঁটি খুঁজিয়া না পাওয়াতে বিবির কাছে জিজ্ঞাসা করিলাম। তথাপি সে কথা বলিল না, কেবল ইঙ্গিতে পার্শ্ববর্তী বঁটিটা দেখাইয়া দিল।

পেন্সিল কাটিবার কোনও দরকার ছিল না, ছুরিও সশরীরে টেবিলের উপর বিরাজ করিতেছিল। সুতরাং রান্নাঘর হইতে বাহির হইয়া পড়িলাম!

এইবার ঘরে আসিয়া পেন্সিলটা দূরে নিক্ষেপ করিয়া প্রায় কাঁদিয়া ফেলিলাম। বিছানায় চিৎ হইয়া শুইয়া-শুইয়া ভাবিতে লাগিলাম। চোখের পানিতে বালিশ ভিজিতে লাগিল।

আমি নৌকা-ভ্রমণে গিয়া পানিতে ডুবিয়া মরিলে বিবি কাঁদিবে কিনা, আবার বিবাহ করিবে কি না, করিলে কতদিন পরে করিবে, এবং কাকে করিবে, এই লইয়া মনে বিষম তোলপাড় আরম্ভ হইল।

চোখ বুজিয়া আকাশ-পাতাল ভাবিতে লাগিলাম। Continue reading

পলিটিকেল দিশা

This entry is part 19 of 19 in the series রকম শাহ'র বয়ান

পাবলিক ভার্ছিটির বামাচারি মাশ্টারদের একটা মস্ত দাবি আছে ৫ আগস্টের ব্যাপারে, মানে হাসিনা পালানিতে মস্ত কেরেডিট দাবি করে তারা। এনাদের ব্যাপারে আমার মনে বেশুমার মায়া থাকলেও এইটারে আমার অতি ফাও দাবি লাগে!

এই ব্যাপারে ডিছিশন নিতে দুইটা দিক বিচার করতে কইবো আমি:

১. এনারা কতোটা ঝুকি নিছিলেন?

পাবলিক ভার্ছিটির মাশ্টাররা কতো পোটেকটেড, খেয়াল করেন; ৫ আগস্টের পরে দুইটা ছেক্টর পুরাপুরি হাসিনার লোকজনে ভরা এখনো, একটা জুডিশিয়ারি, আরেকটা পাবলিক ভার্ছিটি। ভার্ছিটির একজন মাশ্টারের চাকরিও নট হয় নাই, হাসিনার আমলেও এই মাশ্টারদের তেমন কিছু হয় নাই, এমনকি বিম্পি-জামাতের একদম মুখচেনা মাশ্টাররাও মোটামুটি আরামে চাকরি কইরা গেছে।

এই মাশ্টাররা কি এইটা জানে না? আলবত জানে। ফলে ডিবি হারুনের দপ্তরে হাজির হাজির হইছিলেন ওনারা, তাতে কোন ঝুকি আছিলো না–না ছাছপেনশন, না গেরেপ্তার, না রিমান্ড, না কোন বেনামি মামলায় ঢুকাইয়া দেওয়া।

ওনাদের আরেকটা ছাইলেন্ট দাবি হইলো, ওনারা ডিবি অফিশে হাজির না হইলে নাহিদদের গুম কইরা ফেলতো হাসিনা।

খোদ এই আবদারের ভিতরেই হাসিনায় বামাচারিদের বাড়তি ভরশার আলামত আছে! এমন ভাবতে হইলে শুরুতেই হাসিনার কুরুয়েল্টি, ছ্যাডিজম, লোভ অনেক কমাইয়া দেখতে হয়। যারে গুম বা খুন করার ইচ্ছা বা দরকার হইতো হাসিনার, তা করতো শে, তাতে পিছাবার একমাত্র কারন থাকতো পাল্টা হার্ড পাওয়ার, ছেরেফ পাওয়ারে কুলাইতে না পারা, জে কোন মোরাল পেরেশার হাসিনারে কখনো থামাইতে পারে না, একটা ছিংগেল নজিরও নাই। হাসিনা একজন কমপ্লিট শয়তান, এই ব্যাপারে বামাচারিদের খুব শন্দেহ আছে, ছিপিবি-বাশদ তো দেখছিই আমরা, এমনকি আনু মুহাম্মদরাও তো খালেদা জিয়ারে লইয়া তেল-গ্যাশ মুভমেন্ট করতে নারাজ হইছেন, জারা কিনা হাসিনারে লইয়া আগে ফুলবাড়ি মুভমেন্ট করতে পারছেন আরামেই! ফেছিস্ট শয়তান হাসিনার ফেছিস্ট বাপে ওনাদের ভক্তি তো আমাদের শবারই জানা, জেইখানে জিয়া ওনাদের কাছে একজন ‘আর্মি ডিক্টেটর’।

নাহিদদের গুম-খুনের শম্ভাবনা হিশাব করতে ২০১৮’র কাহিনি দেখতে পারি; তখন নুর’দের গুম-খুন করার বদলে হাউশ মিটাইয়া পিটাইছে, তারপর কোটা বাতিল কইরা পরে তাদের পাট্টি করার মওকাও দিছে হাসিনা, জাতে বিম্পিরে নাই কইরা দিতে আরেকটু শুবিধা হয়! Continue reading

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
জীবিকার জন্য একটা চাকরি করি। তবে পড়তে ও লেখতে ভালবাসি। স্পেশালি পাঠক আমি। যা লেখার ফেসবুকেই লেখি। গদ্যই প্রিয়। কিন্তু কোন এক ফাঁকে গত বছর একটা কবিতার বই বের হইছে।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →