জুলাই ২১, ২০২৪: রবিবার, সকাল ১০:২৬
ক্রনিকলস অফ কমপ্লিট শাটডাউন (১)
কারফিউ অনির্দিষ্টকালের জন্য একসটেনড করা হইছে। আজকে আর আগামিকালকে ‘সাধারন ছুটি’। সব কিছু বন্ধ কইরা দেয়া হইছে।
দুই দিন হইলো ইন্টারনেট কানেকশন নাই। বাংলাদেশি টিভি-চ্যানেলগুলাতে গতকাল (২০ জুলাই, ২০২৪) দুপুরের পর থিকা আর কোন খবর নাই, সরকারি-ভাষ্য প্রচার করে যাইতেছে। ১৬ পাতার জায়গায় ৮পাতার ডেইলি-স্টার ছাপা হইতেছে দুই দিন ধইরা; অইখানেও খবর বেশি নাই, কারন কোন ডেটা ট্রান্সফার করতে পারার কথা না। দেশে কত শত লোক খুন করা হইছে, সেইটা জানার কোন উপায় নাই।
“পলক” নামের এক স্ক্রাউনড্রেলের মেসেজ পাঠানো হইছে ‘গভ. ইনফো’ নাম্বার থিকা। মুশকিল হইতেছে আওমি-বাটপারগুলা দেশের মানুশ-জনরে মুর্খ মনে করে, তা নাইলে এই মেসেজ পাঠানোর কথা না। এর মানে হইতেছে, অরা আরো খুন করবে, আরো মানুশ গুম করবে, সিচুয়েশন ‘নরমাল’ করতে পারলে আরো মানুশরে ফাঁসি’তে ঝুলাবে। একটা কমপ্লিট ‘জরুরি অবস্থা’র দিকে দেশরে নিয়া যাবে।
একটা ইকনোমিক ডিজাস্টার’রে পলিটিকাল ডিজাস্টার বানায়া ছাড়বে। নাউ বাংলাদেশ ইজ আ কান্ট্রি উইথ নো হোপ!
২১ জুলাই, ২০২৪ রবিবার (বিকাল ৬:৩৫)
হাইকোর্ট-সুপ্রিমকোর্ট হইতেছে “জ্বী হুজুর” “ইয়েস স্যার” সিল মারার জায়গা; অযোগ্য এবং অর্থব লোকজনরে বড় বড় পজিশনে বসায়া রাখা হইছে, যাদের নিজেদের কোন বিবেক তো না-ই, বুদ্ধিও নাই কোন; স্বৈরাচার, নয়া বাকশাল অদেরকে যা করতে বলে, তা-ই করে, এইবারও তার কোন ব্যতিক্রম হয় নাই; যেইখানে ৩০% মুক্তিযোদ্ধা-কোটা রাখা হইছিল সেইখানে সব মিলায়া কোটা রাখার রায় দিছে আজকে ৭%; এখনো সরকারি গেজেট হয় নাই, চাইলে সরকার এইটা চেইঞ্জ করতে পারে
কিনতু ঘটনা এইটা না, ১২১ জন মানুশ খুন কইরাও শান্তি হয় নাই খুনি হাসিনার; হাজার হাজার মানুশরে গুম-খুন করার অভিযান চালু করছে কারফিউ দিয়া, ‘সাধারন ছুটি’ দিয়া, ইন্টারনেট বন্ধ রাইখা; উই আর ইন কমপ্লিট ডার্ক
কালো রঙের শাড়ি পইরা ভাষন দিতে আসছিল, যতদূতের মতো সারা বাংলাদেশ ব্ল্যাক-আউট কইরা দেয়া হইছে এখন; কেউ জানে না কখনো মুক্তি পাবো আমরা এই ব্ল্যাক-আউট থিকা…
সন্ধ্যার শেষে রাত আসতেছে, আজকে রাতে কতো মানুশ খুন করা হবে আমরা জানি না, আমরা কোনদিনও জানতে পারবো কিনা জানি না…
জুলাই ২২, সোমবার (সকাল ৯:৪০)
ক্রনিকলস অফ কমপ্লিট শাটডাউন (২)
ইন্টারনেট ছাড়া আজকে ৩দিন। বিষুদবার রাত থিকা সব ধরনের ইন্টারনেট কানেকশন অফ করে রাখা হইছে, বন্ধ কইরা দেয়া হইছে।
রাস্তায় লোক মারা শেষ, এখন ঘরে ঘরে ঢুইকা মানুশ খুন করা হবে। স্টুডেন্ট মুভমেন্টের ৩-৪জনরে জিম্মি কইরা নানান নাটক করা হইতেছে। কারফিউ আজকেও আছে, ‘সাধারন ছুটি’-ও। অরা ভাবতেছে ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে’ আসলে পরে কারফিউ উইথড্র করবে, এখনো ডরাইতেছে, কারফিউ উইথড্র করলে হাজার হাজার লোক আবার রাস্তায় নাইমা আসবে; ইন্টারনেট ওপেন কইরা দিলে বাংলাদেশের মানুশ আবার কথা-বলা শুরু করবে…
নয়া-বাকশালের হাত থিকা কনট্রোল ছুইটা গেছে, টিভির মিডিয়া-রিয়ালিটিতে কেউ আর বিলিভ করে না, এই সাজানো-গোছানো রিয়ালিটি তাদেরকে কবরে নিয়া যাইতেছে; তারা চাইতেছে সবকিছু কবরের মতো নিরব, সুনসান হয়া উঠুক; জীবনরে অরা ডরাইতেছে, চুপ করায়া দিতে চাইতেছে, কিনতু রাস্তায় নামতে না দিলেই মানুশের রেইজ কইমা আসবে না, কথা বলতে না দিলেই মানুশের চিন্তা-ফিলিংস মইরা যাবে না…
‘পরিস্থিতি’ কখনোই ‘নিয়ন্ত্রনে’ আসবে না; ইন ফ্যাক্ট ‘নিয়ন্ত্রনে’ ছিল না কখনোই, বরং মানুশরে ভয়-ভীতি দেখায়া চুপ করায়া রাখা হইছিল, এখন খুন করার ভিতর দিয়া সেই ভয়-ডর ভাইঙ্গা দেয়া হইছে, মানুশ ডরাইতে রাজি হইতেছে না আর, আর এইরকম যদি চলতে থাকে, আর দুই–চাইরদিন যদি কারফিউ চলে, মানুশ না খাইতে পাইরা বাধ্য হয়া রাস্তায় নাইমা আসবে…
২২ জুলাই ২০২৪ সোমবার (দুপুর ১২:১৬)
নয়া বাকশালের লোকজন নিজেরা যেইরকমের বলদ অন্যদেরকেও তা-ই মনে করে; যেইখানে মুভমেন্টের লোকজন ইন্টারনেট ওপেন কইরা দিতে বলতেছে, সেইখানে নিজেরা ইন্টারনেটের লাইন কাটতে যাবে কেন! মানে, এইসব গাঁজাখুরি জিনিস বলতেছে সারাক্ষন…
কারফিউ দিয়া কতোদিন মানুশরে বন্দি কইরা রাখতে পারবে এরা! কারফিউ দিয়া, ইন্টারনেট বন্ধ কইরা “জনমনে স্বস্তি” ফিরানোর কোন বেবস্থা হইতেছে না, বরং মানুশের ক্ষোভ আরো বাড়ায়া দেয়া হইতেছে, একটা অবৈধ-সরকারের শাসন টিকায়া রাখার জন্য বাংলাদেশের প্রতিটা মানুশরে সাফার করানো হইতেছে আজকে
২২ জুলাই ২০২৪ সোমবার (রাত ২০:১৩)
শেখ হাসিনার আক্রোশ থিকা এইটা ক্লিয়ার যে, এই মুভমেন্টের ব্যর্থতারে পুঁজি কইরা বাংলাদেশে বিরোধি-দল (যত ছোট-ই হোক) নিশ্চিহ্ন কইরা দেয়া হবে, কোন চিহ্ন আর রাখা হবে না
বাংলাদেশে এর পরে যদি কোন মুভমেন্ট হয়ও, সেইখানে মানুশ মারা গেলেও তাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো, কথা বলার মতো কেউ থাকবে না
বাংলাদেশে বিরোধিদল-বিহীন একটা টোটাল সাইলেন্স এসটাবলিশড করার সরকারি-নাম হইতেছে “জনমনে স্বস্তি ফিরায়া নিয়া আসা”
২৩ জুলাই ২০২৪, মঙ্গলবার (সকাল ১০:১২)
ক্রনিকলস অফ কমপ্লিট শাটডাউন (৩)
ইন্টারনেট ব্ল্যাক-আউটের আজকে ৫ নাম্বার দিন। ‘সাধারন ছুটি’ ও কারফিউ চলতেছে ৩ দিন ধইরা। হাজার হাজার মানুশ গ্রেফতার করা হইতেছে – এই নিউজ পত্রিকা আর টিভি’তেই বলা হইতেছে। ভয়’টা আরো ছড়ায়া দিতে চাইতেছে, আরো পাকাপোক্ত করার জন্য এই কাজ করা হইতেছে। মানুশের সাফারিংসের চাইতে, ইকনোমিক লসের চাইতে ক্ষমতায় থাকাটা বেশি জরুরি খুনি হাসিনার কাছে।
Continue reading →