পলিটিকাল ডাইরি – ২০২৪ (তিন) Featured
অগাস্ট ০৫, ২০২৪
১.
বসুন্ধরা গেইট থিকা পুলিশ পালাইছে! দেশ স্বাধীন! বুক ভরে শ্বাস নেন!
২.
স্বাধিনতা তুমি আবরারের হাসি-মাখা মুখ
স্বাধিনতা তুমি আবু সাইদের চওড়া বিশাল বুক
স্বাধিনতা তুমি মুগ্ধ’র কপাল বাইয়া পড়া ঘামের ফোটা
স্বাধিনতা তুমি আবার আশায় বুক বাঁধা,
আবার হাঁটতে শুরু করা,
পথে পথে দেখা ফুটতেছে কতো ফুল
স্বাধিনতা তুমি নরোম-সরোম প্রেমের কবিতা
চুপচাপ বইসা থাকা, নিরবতার আওয়াজ শোনা
গাছের পাতাগুলা যেন বাতাসে গাইতেছে বাংলাদেশের গান, আবার…
/আ লং ওয়াক টু ফ্রিডম
৩.
যেই মিল-মিশের ভিতর দিয়া এই মুভমেন্ট হইছে, সেইটা নেকস্ট ইলেকশন পর্যন্ত কনটিনিউ করতে হবে; ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশে নানা মত নানা পথ থাকবে, কিনতু কেউ কারো শত্রু না।
মনে রাখবেন, বিপ্লবের চাইতেও সবচে ইম্পর্টেন্ট দিন হইতেছে বিপ্লবের পরের দিন!
আমাদের সেলিব্রেশন চলবে। তবে অনেকে নানান ধরনের সুযোগ নিতে চাইবে, অনেকে অতি-বিপ্লবী হয়া উঠতে চাইবে, কিনতু যে কোন কিছুর চাইতে ডেমোক্রেটিক থাকাটার দিকে আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে। ইনক্লুসিভ হইতে হবে যে কোন এক্টে, অ্যাকশনের জায়গাটাতে।
তবে অবশ্যই গনহত্যাকারী, তাদের সহযোগি ও এনেবেলারদের কোন মাফ হইতে পারে না, যত দ্রুত সম্ভব এদের বিচার করতে হবে; তা নাইলে ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশের দিকে আমরা আগায়া যাইতে পারবো না, কোনদিনই।
৪.
দেশে যেহেতু এখন কথা বলার সুযোগ তৈরি হইছে, অনেকে কথা বলবেন, সকলেই কথা বলবেন; তো, আপাতত আমার পয়েন্ট এই কয়টা –
১. অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কোন অবস্থাতেই, আই রিপিট কোন অবস্থাতেই ১৮০ দিনের বেশি হইতে পারবে না।
কারন নন-ইলেকটেড গর্ভমেন্টে ফেরেশতা বসাইলেও সে আরেকটা অটোক্রেট হয়া উঠবে।
২. এই সরকারের প্রধান একজন নন-মিলিটারি ও নন-পলিটিকাল পারসন হওয়াটা বেটার।
৩. এই সরকারের এটলিস্ট ৩০%, মানে ৯ জন মেম্বার থাকলে তার মধ্যে ৩ জন ছাত্র-প্রতিনিধি হইতে হবে।
৪. সেকুলার-লিবারাল ফ্রন্টের মেম্বার যেমন থাকা লাগবে ইসলামিস্ট-ঘরানার লোকজনরেও রাখা লাগবে; ইনক্লুসিভ হইতে হবে
৫. সরকারের প্রধান কাজ হবে দুইটা – ফ্রি-ফেয়ার ইলেকশনের বেবস্থা করা এবং এর জন্য যা করার দরকার সেইগুলা করা; এবং শেখ হাসিনা ও তার সহযোগিদের গনহত্যার বিচার করা
৬. এর বাইরে আরেকটা জিনিস নিয়া আমি সর্তক থাকার জন্য বলবো, যারা আওমি-লিগের সরাসরি সাার্পোটার ও বেনিফিশিয়ারি তাদের সবাইরেই আমরা মোটামুটি চিনি ও জানি; কিনতু যারা দুইদিন আগেও হাসিনার নাম মুখে নিতে গেলে ডরের চোটে পাদ মাইর দিতো, তারা অনেক ‘ভুল’ ধরতে আসবে, এমনকি ‘অতি-বিপ্লবি’ কাজ-কাম করার জন্য ‘জরুরি পরামর্শ’ দেয়া শুরু করবে – তাদের থিকা সাবধান থাকাটা বেটার
৭. কারন, এই ফ্যাসিস্ট নয়া বাকশালের পতন মানে সবকিছু বেহেশত হয়া উঠা না, বরং একটা নরমালিটির দিকে, ডেমোক্রেটিক অবস্থার দিকে যাওয়ার শুরু মাত্র, এর বেশি কিছু না
৮. এই আন্ডারস্ট্যান্ডিং’টা, যারা অনেক কিছু স্যাক্রিফাইস করছেন, তাদেরও থাকলে ভালো… হঠাৎ কইরা সবকিছু ভালো হয়া উঠবে না, কিনতু ভালো-মন্দ বিচারগুলা করাটা যেন আমরা শুরু করতে পারি, সেইটার দিকে যাওয়া
৯. প্রতিশোধ, রিভেঞ্জ কখনোই সমাধান না; বিচারের জায়গাটা তৈরি করতে পারতে হবে আমাদের, ন্যায়বিচার বা জাস্টিসের সমাজ তৈরি করার দিকে যাইতে হবে
Continue reading