Main menu

ক্বারী আমির উদ্দিন ও মুর্শিদ-কাহিনী Featured

আসরের নামাজ পইড়া, মুগরিবের নামাজের আগ পর্যন্ত, আমি গ্রামের রাস্তায় হাইটা হাইটা সময় পার করতাম। কোমরের পিছনে হাতরে রুজু কইরা, ধীরে ধীরে হাটতাম। গাছপালার দিকে চাইতাম। এইরকম একদিন, আমরার গ্রামের মুজিব ভাইছাব আমারে কইলেন- ‘এহ, তুই দেকি আমির উদ্দিনর লাখান ছাইরে। বাটে লাগের অনকু গান গান্ধিলিবে!’ মুজিব ভাইছাবে আরো কইলা, উনি যখন বগলা ধরতে আমির উদ্দিনের গ্রাম আলম পুরের দিকে যাইতেন, তখন আমির সাবরে মাঝে মাঝে ট্যারা চউখে এইভাবে চাইতে দেখতেন।

আমির সাবের বাড়ি আমাদের বাড়ির কাছেই। উনার গ্রাম হইতে বিয়া বইয়া আইছিলেন আমার এক দাদি। সেই দাদির এক ছেলেও বিয়া করছিলেন এই গ্রামে। ছোট থাকতে আমি একবার এই চাচীর বাড়িতে গেছলাম। খালারা আমারে এত আপন করছিলেন, কয়েক ঘন্টার লাইগা, এত মায়া করছিলেন, যে মনে পড়তেছে, আমার মাথার উকুন পর্যন্ত বাইছা দিছিলেন উনারা! আমার শরম করতেছিল পরে, এই ভাইবা যে, কি এক কারণে, খালাদের একজনরে এর আগে আমাদের বাড়িতে আমি একটা থাবা মাইরা ফেলছিলাম। উনি এই রাগ রাখেন নাই!

আলম পুর এইরকম একটা উর্বর জায়গা। যেইখানে মানুষের চাষ হয়। মনের চাষ হয়। উনাদের বাড়ি আমাদের এত কাছে, তবুও, কিছু দূরে বটে! কারণ, উনারা ‘ফ’ রে ‘হ’’ বলেন। যেমন, ফাইঞ্জাবীরে কন হাইঞ্জাবী। ফেখরে বলেন হেখ। (আমরা সিলেটিরা ‘প’রে নরমালি ফ কই। মানে, ফাইঞ্জাবী হইল পাঞ্জাবী।) উনাদের গ্রামীন স্বভাব আরেকটু ভিজা, আদ্র।

মাস্টারিকালে, আমার অনেক ছাত্র আছিল এই গ্রামের। ক্লাস সেভেনের মেয়েদের বাংলা পড়াইতাম আমি। পড়ানির পাশাপাশি, এই ক্লাসে গান-টান, আবৃত্তি-টাবৃত্তিও করাইতাম। আলম পুরের এক মেয়ে, ক্লাস সেভেনের, কি একটা উপলক্ষ্যে আমারে কইল, ‘খরিম বেটার গান’। এই কথাখান শুইনা আমার ধাতস্থ হইতে বেশ সময় লাগল। মেয়েটা বাউল আব্দুল করিমের গানের কথা কইতেছে। কিন্তুক, করিমরে ‘বেটা’ কইতেছে। বাংলাভাষীদেরকে বেপারটা বুঝানো খুবই কষ্টের হইবে। কারণ, আমরা সিলেটিরা অনেক সময় পরিচিত, আপন-প্রায় মানুষদেরকে ‘বেটা’ বলি। আর, অপরিচিত বুঝাইতেও বেটা কই! এই ছোট্র মেয়েটা আব্দুল করিমরে ‘খরিম বেটা’ কইতেছে। তার মানে, তাদের গ্রামে/পরিবেশে বাউল আব্দুল করিম একটা ঘরোয়া ঘটনা!

ফকির ক্বারী আমির উদ্দিন সাহেব এই গ্রামের সন্তান। উনার এক (নাকি দুই?) ছেলে মাদ্রাসায় পড়ত। আমির সাহেবের লগে রিকশায় চইড়া তারা মাদ্রাসায় যাইত। আমার চাচাত ভাইয়ের লগে, আমিও মাদরেসায় যাইতাম। উনি আমারে আংগুল দিয়া দেখাইয়া কইতেন, ‘অউ রিশকাত যাইরা আমির উদ্দিন..’

আমরার মাদরেসাত সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান হইত। আলম পুরেরই এক ছেলে, আমার ক্লাসমেইট। জসীম উদ্দিন নাম। একটা সংগীত গাইত। ‘আরে ও মদীনা যানে ওয়ালা…’ এই গান যখন সে গাইত, তখন সবকিছু নিরব হইয়া যাইত। অবশ্য, এই গানের কর্তা কে, তখন জানতাম না। Continue reading

মায়া এঞ্জেলোর কবিতা Featured

দুর্দান্ত রমণী
~
সুন্দরী রমণীরা আমার গোপন রহস্য জানতে চায় মুগ্ধ হয়ে।
আমি তো কিউট পুতুল না কোন বা দেখতে ফ্যাশন মডেলদের মতও না।
অথচ আমি যখন তাদেরকে বলতে যাই,
তারা মনে করে, আমি বুঝি আজাইরা বাহাদুরি করতেছি।
আমি বলি,
এটা আমার হাতের নাগালেই থাকে,
আমার চওড়া পাছায়
আমার হাঁটার ভঙ্গিমায়
আমার ঠোঁটের কোণেই—
অবিশ্বাস্যরকমে
আমি একজন নারী।
দারুণ রমণী,
আর এটাই আমি।

আমি যখন কোন রুমে ঢুকি
সবাই এমনভাবে তাকায়ে থাকে যেভাবে তারা আশা করে।
আর পুরুষের ক্ষেত্রে হয় কি
দেখামাত্র বন্ধুরা দাঁড়ায়ে যায় বা
নিচু হয়ে বসে ওয়েলকাম জানায় (আমারে)।
তারপর তারা আমারে ঘিরে ধরে
যেন মৌচাকে উড়তে থাকা মৌমাছির দল।
আমি বলি,
এটা আমার চোখের আগুনে
আমার দাঁতের ঝিলিকে
আমার কোমরের দোলায়
আমার পায়ের তালেই—
অকল্পনীয়ভাবে
আমি একজন নারী।
দারুণ রমণী,
আর এটাই আমি।

পুরুষেরা নিজেরাই অবাক হয়ে ভাবে
তারা আমার মধ্যে কী এমন দেখে!
তারা বোঝার চেষ্টা করে
কিন্তু তারা আমার ভিতরগত রহস্যটি ছুঁইতে পারে না।
যখন আমি তাদের বুঝানোর ট্রাই করি
তারা তখনও বলে যে, সব মাথার উপ্রে দিয়ে যায়।
আমি বলি,
এটা আমার শরীরের বাঁকে
আমার হাসির ঝলকে
আমার মাইয়ের ঢেউয়ে
আমার স্টাইলের সৌন্দর্যেই—
অবিশ্বাস্যরকমে
আমি একজন নারী।
দারুণ রমণী
আর এটাই আমি।

এখন তুমি বুঝবা
কেন আমার মাথা নত হয় না,
কেন আমি চিল্লাফাল্লা করতে হয় না বা লাফাই না
অথবা কারো নজরে পড়ার চেষ্টাও করতে হয় না।
যখন তুমি আমারে দেখো হেঁটে যাইতে
এটা তোমারে প্রাউড ফিল করানোর কথা।
আমি বলি,
এটা আমার হাঁটার ঢঙে
আমার চুলের ভাঁজে
আমার হাতের উমে
আমার দরদের তাগিদেই—
অকল্পনীয়ভাবে
আমি একজন নারী।
দারুণ রমণী
আর এটাই আমি।

লাইফ ডাজ নট ফ্রাইটেন্ড মি
~
দেয়ালভরা ছায়া
আর দালান জুড়ে হৈচৈ
তবু জীবনরে আমি ডরাই না মোটেও।

নেড়িকুত্তার অহেতুক ঘেউ ঘেউ
কিংবা মেঘে মেঘ হয়ে থাকা অশরীরী কেউ
এমন জীবনরেও আমি ডরাই না একদম।

জালিম বুড়ি শাকচুন্নি
বা কোন সিংহ, হোক বন্য
কোনটারেই ডরাই না আমি।

হোক আগুনজ্বলা ড্রাগন
অন মাই কাউন্টারপেন
সেটাও ডরাই না আমি একদম।

আমি “ভেউ” দিই উল্টা
আমি খিলখিলায়ে উঠি
আর ওরা দৌড়ায়,
আমি কান্দি না
তাই তারা পালায়,
আমি জাস্ট হাসি
আর তারা আউলায়ে যায়।

জীবনরে আমি ডরাই না মোটেও।

তাগড়া ব্যাটারা মারামারি করে, করুক
রাতের অন্ধকারে নিজেরা একা একা।

জীবনরে আমি ডরাই না মোটেও।

পার্কে প্যান্থার
অচেনালোকভরা অন্ধকার’
না, কোনটারেই আমি ডরাই না।

ঐ নতুন ক্লাসরুম যেখানে
ছেলেরা আমার চুল টানে
কিংবা (কিসি বেবি গার্লস
উইথ দেয়ার হেয়ার ইন কার্লস)
কোনটারেই আমি ডরাই না মোটেও।

আমারে ব্যাঙ আর সাপও দেখাইতে আইসো না
আর যদি শুনেও থাকো আমার চিৎকার
যদি আমি ভীত হয়েও থাকি
সেটা শুধুমাত্র আমার স্বপ্নেই।

আমার কাছে এক জাদুমন্ত্র আছে
গুজায়ে রাখছি হাতার ভিতরে।
আমি দরিয়ার তলদেশেও হাঁটতে পারি,
আর শ্বাস না নিয়েও বাঁচতে পারি।

জীবনরে আমি ডরাই না মোটেও।
একটুও না।
একটুও না।
আমি জীবনরে ডরাই না মোটেও। Continue reading

আর্টিস্ট হিসাবে ক্রিটিক (১) – অস্কার ওয়াইল্ড Featured

তর্জমাকারের ইন্ট্রো

তখন ইংল্যান্ডে আছিলো ভিক্টোরিয়ার আমল। আর ভিক্টোরিয়ার আমলের বৈশিষ্ট্য হইলো নৈতিক জোশ আর উইটিলিটারিয়ানিজম বা উপযোগবাদ। ভিক্টোরিয়ান আমলের “নৈতিক জোশে”র একটা ব্যাপার হইলো তারা বিশ্বাস করতো আর্ট, সাহিত্য, আর বাদ বাকি মানুষের করার যা কিছু আছে সব একটা পাকাপাকি নৈতিক আখলাকরে, — সততা, পরহেযগারী, মেহনত আর সংযমরে — কায়েমের কাজে মশগুল থাকবো, থাকা লাগবো। এই জোশের দোসর উপযোগবাদ সবকিছুরে মাপতো জিনিসগুলা হাতেনাতে কতটুক কামে আসে বা সমাজের উপকারে আসে এই হিসাবে। এই দুই মাপকাঠি মিল্যা যেই একটা সামাজিক পরিবেশ কায়েম করছিলো সেইখানে আর্টরে মাপা হইতো আর্টের মোরাল মেসেজ আর সমাজের ‍উপকারের বিচারে। এই ধরনের চিন্তা-ধারা যদিও সংস্কার বা নিয়ম-কানুন জারি রাখার লাগি উপযুক্ত কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই আর্টের খেয়ালী, আয়েসী, সাফ এস্থেটিক গুণগুলার জন্য এই চিন্তা-ধারার মধ্যে কোনো জায়গা থাকে না।

এই দুইটা বৈশিষ্ট্যর এন্টিতে রিয়েকশন হিসাবে উনিশ শতকের শেষ দিকে উদয় হইলো এস্থেটিক মুভমেন্টের। এই আন্দোলনের মেইন “কলমা”-টারে প্রায় সময় এমনে কওয়া হয়, “আর্টের ওয়াস্তে আর্ট।” মানে আর্টেরে দাম দিতে হইবো তার সৌন্দর্য আর চামড়া-চক্ষেরে দেওয়া মজার হিসাবে, কোনো নৈতিক, পলিটিকাল, বা প্র্যাক্টিকাল উপকারের বিচারে না। পুরানা ক্লাসিক আর ডেকোরেটিভ আর্ট থিকা ইন্সাপায়ার হইয়া এই আন্দোলন পাক-সাফ করা স্টাইল, দেহাতি রূপ, আর আর্টিস্টিক এক্সপ্রেশনের আজাদীর জয় গায়া গেছে। এস্থেটিসিজমের সাথে জড়িত লেখক, পেইন্টার, ডিজাইনাররা আর্টরে আনন্দ, আবেগ আর কল্পনার মধ্যে দিয়া বাস্তবতা থেকে পলায়া যাওয়ার পথ হিসাবে তুইলা ধইরা শিক্ষামূলক হওয়ার পাবন্দি থেকে ছাড়া পাওয়ানের চেষ্টা করছেন।

সৌন্দর্যের কোনো জাস্টিফিকেশনের পাবন্দি নাই এমন ভাবঅলা কালচারাল পরিবেশের মধ্যে অস্কার ওয়াইল্ড আইলেন এস্থেটিসিজমের সবচেয়ে জ্বলজ্বলা নায়ক হিসাবে। এস্থেটিক মুভমেন্টের পাব্লিক ভয়েসের সবচেয়ে পরিষ্কার আহ্লাদী গলা হইলো অস্কারের। তার চাল-চলন, লেখালেখিত এই মতবাদেরই সব ডিটেইলরে এলান করে গেছে, সৌন্দর্যই হইলো সবচেয়ে উঁচা মঞ্জিল আর আর্টিস্টের কাম কাউরে উপদেশ দেওয়া না, বরং মোহিত করা। অস্কারের প্রবন্ধ, নাটক, আর উপন্যাস The Picture of Dorian Gray এই মুভমেন্টের আকিদাগুলারেই বার বার ফুটায়ে তুলে, স্টাইলের সুপ্রিমেসি, কারুকাজের মশক, আর নৈতিক শিক্ষামূলক আর্টের রিজেকশন। তার চাতুরি, ধাঁধা, আর চুটকি এস্থেটিসিজমরে হাতে গোনা কিছু আর্টিস্টের আকিদা থেকে বাইর করে আইনা সাধারণ মানুষের পছন্দ আর তর্ক-বিতর্কের বিষয় বানায়া দিছে, যেই কারণে “আর্টের ওয়াস্তে আর্ট” কথাটা তার নামের সাথে আজীবনের লাগি জুড়ে গেছে।

১৮৯১-এ বাইরইলো অস্কারের প্রবন্ধ সংগ্রহ Intentions আর এর একটা অংশ হইলো এই বই, The Critic as Artist বা আর্টিস্ট হিসাবে ক্রিটিক। আর্নেস্ট আর গিলবার্টের মধ্যে আলাপের ধাঁচে লেখা। আলাপে আলাপে দুই বন্ধু তখনকার চলতি ধ্যানধারণাতে আর্টের মধ্যে ক্রিটিসিজমের অবস্থানরে নীচা করে দেখারে চেলেঞ্জ করতেছে। আর্টরে কোনো চরিত্র ঠিক করার নছিহত হিসাবে ট্রিট করতে অস্বীকার কইরা মোরাল আর্ট মানে ভালা আর্ট হইবোই কিনা এমন খোলাখুলি প্রশ্ন তুইলা অস্কারের আর্গুমেন্ট ওই আমলের নৈতিক নিষ্ঠার মুখের উপ্রে চড় মারতেছে। তার আর্গুমেন্টগুলা ইউটিলিটারিয়ানিজমের আর্টরে সামাজিক উপকারের পাল্লায় মাপার দাবির উল্টা দাবি করে যে, সবচেয়ে উঁচা দরজার আর্ট পুরাই আকাইম্মাও হইতে পারে, যার অস্তিত্বের একমাত্র উপকার হইলো মনের আনন্দ আর কল্পনার উদ্দীপনা।

তার ওপর অস্কারের দাবি হইলো, ক্রিটিসিজম আর্টের উপ্রে বাঁইচা থাকা কোনো পরগাছা না, বা ধান ভানলে চালের সাথে বাইর হওয়া কুঁড়া না। ক্রিটিসিজম নতুন কোনো কিছু সৃষ্টি করার সমান মাপেরই কাজ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে যেই আর্টওয়ার্কের ক্রিটিসিমজ করে লেখা তার চেয়েও বেশি ইমেজিনিটিভ। অস্কারের কাছে, ক্রিটিক তার আপনা বিচারেই একজন আর্টিস্ট যে অর্থরে নতুন আলোতে দেখায়, না দেখা গভীরতাগুলারে তলায়ে দেখায়, সৃষ্টি হইয়া যাওয়ার পরেও আর্টওয়ার্কগুলার মধ্যে নতুন রুহু ফুঁকে দেয়। তখনকার চলতি ভিক্টোরিয়ান চিন্তা-ধারায় ক্রিটিকরে মামুলি বিচারক বা দাড়োয়ানের মত করে দেখা জায়গা থেকে এমনে সরে আসাটা আছিলো প্রায় উস্কানিমূলক। ভক্তরা এই আইডিয়ারে দেখছিলো আজাদী হিসাবে, আর্টের ফর্মের বদলে আর্টের সাথে ইন্টেলেকচুয়ালভাবে সাক্ষাত করারে উঁচা দরজা দেওয়া হিসাবে। হেটার্সরা, কিন্ত অস্কাররে ঠিকই অসংযমী আর আর্টিস্টের গুরুত্বরে ছোট করে দেখাইতে চাওয়ার দোষে দোষী কইছে। তার থিওরিরে অধপাতে যাইতে থাকা এস্থেটিসিজমের আরেকটা লক্ষণ কইয়া তুচ্ছ করছে।

এই প্রবন্ধ এস্থেটিক মুভমেন্টের সৈনিকরার উৎসাহের উৎস হওয়ার পাশাপাশি মুভমেন্টের আদর্শগুলার প্রতি সন্দেহবাদীরার মুখের উপ্রে কড়া জবাব। Continue reading

পলিটিকেল বাশনার মায়ের নাম ইতিহাশ

দেশে হরেক পলিটিকেল ফ্যাছাদ হাজির আছে, তাতে বহু পক্ষের বহু লজিক হাজির হইতেছে; কিন্তু আমি আন্দাজ করি, আমরা একটা বুনিয়াদি মুশকিলে পড়ছি এখন–ইতিহাশের বয়ানের মুশকিল; এক কথায় আমি এই টপিকটার নাম দিতে চাই, ‘রেশনালাইজিং বাংলাদেশ’।

ইতিহাশের এমন একটা খনে হাজির হইছি আমরা জেইখানে রাশ্টো হিশাবে বাংলাদেশকে রেশনালাইজ করার আওমি/বাওমি বয়ানটা বাতিল হইয়া গেছে, ঐ বয়ানকে দেশের বেশিরভাগ মানুশ এখন ইনডিয়ার ইতিহাশের ছাব-ছেকশন হিশাবে চিনতে শুরু করছে, বহু মিথ আর মিছা কুয়াশা উতরাইয়া শত্ত/টুরুথ উকি দিতেছে ইতিহাশে; ফলে ‘রেশনালাইজিং বাংলাদেশ’ একটা খুব নয়া পোজেক্ট হইয়া উঠছে এখন, একটা খুব বুনিয়াদি পোশ্নের জবাব দিতে পারতে হবে আমাদের, ইতিহাশের এই নয়া জামানায়–কেন বাংলাদেশ?

ইতিহাশের মুশকিলটা আরো খোলাশা করা জায় এইভাবে: ইতিহাশের আওমি/বাওমি/ইনডিয়ান বয়ানে ‘দুই জাতি’ থিয়োরি একটা ফ্যালাছি, জিন্না হইলেন ঐ ইতিহাশে ভিলেন, ঐ বয়ানে পাকিস্তান একটা ইলেজিটিমেট রাশ্টো, দুই পাট ১২০০ কিলো দুর দুর বইলা অ্যাবনর্মাল রাশ্টোও বটে! বাংলাদেশ হইলো শেই ফ্যালাছির কারেকশন, ‘দেশভাগের বেদনা’ উতরাইয়া ‘অখন্ড ভারত’ হইয়া ওঠার রাস্তায় ইতিহাশের কয়েক কদম আগাইয়া জাওয়া। আজকে ‘অখন্ড ভারত’ আইডিয়া খুব বিজেপি-আরএছএছের মিথিতিহাশ মনে হইলেও ঐটা কংগেরেছি/গান্ধির ‘ভারত’ রাশ্টো-ভাবনাই, বিজেপিরা গান্ধির বহু নিন্দা এখন করলেও তারা আদতে গান্ধির ‘ভারত-রাশ্টো’ পোজেক্টটাই আগাইয়া নিতেছে ছেরেফ।

ইতিহাশের এই আওমি/বাওমি/ইনডিয়ান বয়ান জদি আমরা বাতিল কইরা দেই, এই বয়ানটারে আমরা জদি বাংলাদেশে বাকশালি ফেছিবাদের হিস্ট্রিকেল শর্ত হিশাবে দেখতে পাই, টুরুথের বেশুমার ঠেলায় জদি ঐ বয়ান বাতিল কইরা দিতে হয় আমাদের, তাইলে জিন্না হইয়া ওঠেন ইতিহাশের একজন নায়ক, জিনি বিটিশ ইনডিয়ায় মাইনোরিটির ছিকিউরিটি লইয়া চিন্তা করছেন, গান্ধি তারে ‘অখন্ড ভারতে’র পিএম বানাবার লোভ দেখাইলেও জেই জিন্না বেক্তির বাশনারে কালেকটিভের (বিটিশ ইনডিয়ার মাইনোরিটি) শার্থে কোরবানি দিছেন এবং ইতিহাশের দরকারেই, পাকিস্তান হাছিল করতেই ‘দুই জাতি’ থিয়োরি দিয়া পাকিস্তানকে লেজিট রাশ্টো (রেশনালাইজিং পাকিস্তান) হিশাবে এস্টাবলিশ করতে চাইছেন এবং কামিয়াব হইছেন।

এইখানে তাইলে রাশ্টো হিশাবে বাংলাদেশ মস্ত একটা মুছিবতে পইড়া জাইতেছে; পাকিস্তান জদি লেজিট রাশ্টো হয়, জিন্না জদি ইতিহাশের নায়ক হয়, তাইলে বাংলাদেশকে রেশনালাইজ করবো কেমনে আমরা, কেন পাকিস্তানই আমাদের মনজিলে মকছুদ না?!

ইতিহাশে আরো কিছু টুরুথ এমনভাবে হাজির হইছে জে, ঐগুলার দরকারি ফয়ছালা বাদে ‘রেশনালাইজিং বাংলাদেশ’ পোজেক্টের মুশকিল আছান হইতে পারবে না। জেমন:

ক. ১৯৭০ ইলেকশনে জেতার পরেও শেখ মুজিবের হাতে খমতা দেয় নাই ইয়াহিয়া খান, এইটা কি জেনারেল খানের আনজাস্ট কাম, বেইনছাফি? তা জদি পোরমান করা না জায়, তাইলে বাংলাদেশকে রেশনালাইজ করায় মুশকিলে পড়বো আমরা। শাদা চোখে এইটা আলবত বেইনছাফি, কিন্তু ইতিহাশের নয়া টুরুথ হইলো, শেখ মুজিব আগরতলা কন্সপিরেছি করছে, ইনডিয়ার ঘুটি হিশাবে পাকিস্তানের ভিতরে পলিটিকেল মোড়ল হইয়া উঠছে; মুজিব জদি ইনডিয়ার মান্চুরিয়ান কেন্ডিডেট হয়, তবু কি তার হাতে পাকিস্তানের খমতা না দেওয়া বেইনছাফি হিশাবে ভাবতে পারবো আমরা? ঐ ইনডিয়ান কন্সপিরেছিতে জদি ভাশানিও থাকে এবং ইনডিয়ার লগে কনফেডারেশন বানাবার খোয়াব লইয়া ভাশানি জদি ইন্দিরারে চিঠি দেয় এবং শেইটা হাছিল করতেই জদি মুজিবেরে ভাশানি ইলেকশনের ময়দান ছাইড়া দেয়, তবু কি ইয়াহিয়া আনজাস্ট? বাংলাদেশ পক্ষের লজিক কি, কেন ইয়াহিয়া আনজাস্ট, শেইটা দেখাইতে না পারলে খোদ বাংলাদেশই ইতিহাশে রাশ্টো হিশাবে রেশনাল থাকতে মুশকিলে পইড়া জাইতেছে!

এই জিনিশগুলা বোঝাবুঝির বেলায় খোদ ইতিহাশ বোঝার একটা তরিকা বাদ দিতে হবে আমাদের; ইতিহাশ এমন একটা জিনিশ জেইটা কোন একটা মোমেন্টের কয়েকজন এক্টরের বাশনা দিয়া ডিটারমাইন্ড হয় না ছেরেফ; ইতিহাশে বেক্তি জেমন ভেলু অ্যাড করে, তেমনি বেক্তির হইয়া ওঠা, এমনকি কোন একটা মোমেন্টে বেক্তির বাশনা/খায়েশ কি হবে, তাও অনেকখানি বানাইয়া দেয় ইতিহাশ। Continue reading

পাকিস্তান ও তারপর – আব্বাসউদ্দিন আহমদ (১৯৫৯)

[‘আমার শিল্পী জীবনের কথা’ বইয়ের অংশ]

রেকর্ডিং এক্সপার্টের চাকুরী চালিয়ে গেলাম পাঁচ বছর। যুদ্ধের দামামা বেজে উঠল, খোলা হল সং পাবলিসিটি অর্গানাইজেশন।

সুরেশবাবু ও জসিম সছলেন যথাক্রমে সং পাবলিসিটি অর্থুনাইজার, ও এ্যাডিশনাল সং পাবলিসিটি অর্গানাইজার। দু’বছর পরে সুরেশবাবু জজ হলেন। জসিম তখন হল সং পাবলিসিটি অর্গানাইজার৷ যুদ্ধ তখন থেমে গেছে। অতিরিক্ত সং পাবলিসিটি অর্গানাইজার-এর পদটা খালি হয়েছে। আলতাফ হোসেন সাহেবকে বললাম পদটা আমাকে দিতে। তিনি বললেন, “এসব পোষ্ট তে! তুলে ফেলে দেওয়া হবে দু’তিন মাসের মধ্যেই। না আর হয় না।” আমি বললাম, “এখনো দু’তিন মাস আছে তো! দু’এক দিনের জন্য হলেও গেজেটেড পদ যদি পাই…”। আমার মুখের দিকে তাকিয়ে তিনি বোধ হয় আমার চাকুরী জীবনের ব্যথাটা কোথায় ধরতে পারলেন। সেই মুহুর্তে নথি তলব করে অর্ডার দিলেন। মনে পড়ে গেল গ্যাণ্ডারসন হাউসে বসে ডিরেক্টরের পি, এ, র সামনে বলেছিলাম, “চাকুরী যর্দি করি এ সাহেবের মত।” খোদা আমার অভিমানরুদ্ধ প্রার্থনা মনযুর করেছিলেন।

বৃহত্তর জীবনের স্বাদ এল। সারা বাংলার গ্রামে গ্রামে শহরে শহরে ট্যুর করবার অবাধ স্বাধীনতা। গেয়ে গেয়ে ফিরতে লাগলাম বাংলার শত সমস্যার সমাধানের বাণী।

যুদ্ধের দিনগুলিতে সারা কলকাতা রাতে ব্লাক-আউট, ব্যাফল্‌ ওয়ালে পথ চলতে হোঁচট খেতে হয়। এক একদিন সাইরেন বেজে ওঠে আর আমাদের গানের আসরে নেমে আসে কল্পিত বোমার শব্দ। হারমোনিয়াম, বাঁয়া তবলা ফেলে আশ্রয় নিই আশ্রয়স্থলে। মৃত্যুর যবনিকা নেমে আসে যেন ধীরে ধীরে। কারো মুখে কথা নেই, ইষ্টনাম সবারি মুখে মুখে। কেউ কেউ সে নামও ঝুলে যায়। কেউ বলে ওঠে, “ভাই, সুরা ইয়াসিনের প্রথম লাইনটা কি?” মহাদুঃখেও হাসি পায়। সাইরেন শেষ হয়, আশ্রয়স্থল থেকে বেরিয়ে পড়ি শুকনো মুখে। কারো মুখে তখন হাসি নেই। যাক্‌, এ যাত্রা বাঁচা গেল। পরের দিন খবরের কাগজে দেখি রেংগুনে বোমা পড়েছে। মনে করি হয়ত কলকাতার উপর দিয়ে বোমারু প্লেনখানা চিলের মত কাল একবার উড়ে গিয়েছিল, নইলে সাইরেন পড়বে কেন?

একটা কথা ইদানীং কানে এল। কালোবাজারে জিনিষ কিনতে গিয়ে দেখি এটা নাই। ওটা নাই, যেটা আছে সেটাও অগ্নিমূল্য। দোকানদার বলে, “মশাই নিতে ছলে এখুনি কিনে ফেলুন, কাল আর পাবেন না।” ব্যাফল্ওয়ালের আশে-পাশে কঙ্কালসার নরনারী এখানে ওখানে নজরে পড়তে লাগল। তারপর ঝাঁকে ঝাঁকে। শুনতে পেলাম দেশে ধান চাউল নেই। মহাদুর্ভিক্ষ। রাতে “’ফেন দাও ফেন দাও” বলে সেইসব কঙ্কালসার নরনারীর কী চীৎকার! পেটে আর ভাত যায় না। একবেলা খাই আর একবেলার ভাত পথের কাঙালীকে দিই। চোখের সামনে ইতস্ততঃ না-খেয়ে-খেয়ে-শুকিয়ে-মরা লাশ নজরে পড়তে লাগল। তারপর এ দৃশ্য দেখতে পেলাম যত্রতত্র। পুলিশের তৎপরতা বাড়ল। গাড়ীভর্তি করে কঙ্কালগুলোকে শহর থেকে কোথায় চালান দেওয়া শুরু করলে – কলকাতায় আর ভিখারী বা দুর্ভিক্ষ-প্রপীড়িত কঙ্কালসার মূর্তি চোখে পড়ে না।

এর পর ক্রমান্বয়ে ঘটে গেল আরও নানান্‌ ঘটনা। কুইট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট, নেতাজীর আসাম-সীমান্ত পর্যন্ত আগমন, যুদ্ধবিরতি, কলকাতায় রশীদ আলী দিবসে অভূতপূর্ব প্রাণোম্মাদনা, মন্ত্রীমিশনের পরিকল্পনা।

মিঃ সোহরাওয়ার্দী তখন বাংলার প্রধানমন্ত্রী । ১৯৪৬-এর ১৬ই আগষ্ট মুসলিম লীগ ডাইরেকট এ্যাকশন বা প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস ঘোষণা করল। আরম্ভ হল হিন্দু-মুসলমানে নিধন যজ্ঞ। সে দৃশ্য আমার দ্বারা বর্ণনা করা অসম্ভব। মানবতার অমন কলঙ্কময় ইতিহাস লিপিবদ্ধ করতেও চাই না, কারণ ভবিষ্যৎ বংশধররা একদিন আমাদের এই বর্তমান মানবগোষ্ঠীকে বর্বর আখ্যা দেবে। কলকাতার পথে পথে মোটরে মাইক লাগিয়ে গেয়ে ফিরতে লাগলাম, গান্ধীজিন্নার এই আবেদন, শোন গো দেশের সন্তান।” গেয়ে চললাম, “ও ভাই হিন্দু মুসলমান, তুল পথে চলি দোঁহারে দুজনে কোরো নাকো অপমান।”

ভারত ছেড়ে বৃটিশ চলে যাবে। কায়েদে আজমের নেতৃত্বে ভারতের মুসলমানের দাবী পাকিস্তান চাই – অবশেষে সে দাবী স্বীকৃতি পেল।

গ্রমোফোন কোম্পানীতে ফোন করে সোমবাবুকে একদিন বললাম, “পাকিস্তান তো হল, এই পাকিস্তানের গান রেকর্ড করবেন?” কোম্পানীর বড় সাহেব একদিন গ্রেট ইষ্টার্ণ হোটেলে আমার সাথে দেখা করলেন। গান রেকর্ড করতে রাজী হলেন। কিন্তু সমস্য দাঁড়াল এই যে গ্রামোফোন কোম্পানীর যন্ত্রীরা এ গানের সাথে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করল। অগত্যা ক্যাসানোভার ইংলিশ অর্কেষ্ট্রার সাথে গ্রান্ড হোটেলে গিয়ে গানের স্বরলিপি করিয়ে দিলাম। দু’খানা বাংলা দু’খানা উর্দু গান ঠিক করলাম। বাংলা গান দু’খানা কবি গোলাম মোস্তফার রচিত – “সকল দেশের চেয়ে পিয়ারা দুনিয়াতে ভাই সে কোন্‌ স্থান” ও “ঝিরঝির ঝিরবির পুবান বাতাসে ধাও!” উর্দু গানখানি দু’পিঠেই ফৈয়াজ হাশমী রচিত “জমি ফেরদৌস পাকিস্তান কি হোগি জমানেমে”। পাকিস্তানের উপর বাংলাদেশে এবং খুব সম্ভবতঃ পাক-ভারত উপ মহাদেশে এই প্রথম রেকর্ড। Continue reading

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জীবিকার জন্য একটা চাকরি করি। তবে পড়তে ও লেখতে ভালবাসি। স্পেশালি পাঠক আমি। যা লেখার ফেসবুকেই লেখি। গদ্যই প্রিয়। কিন্তু কোন এক ফাঁকে গত বছর একটা কবিতার বই বের হইছে।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →