Writings Written While Not Writing
৫×৩০
২০ এপ্রিল ২০১৪
অসহনীয় উত্তাপ। অ্যাংস্ট আপাতত অনুপস্থিত। কালকে রাতে পুরানো পোকার কামড় আবার টের পেলাম। ডুব দিতে উদ্গ্রীব। উপদেশবাণীগুলার আমার প্রয়োজন ছিল না।
২১ এপ্রিল ২০১৪
দীর্ঘমেয়াদী অসুখ মানুষকে পরিবর্তন করে দেয় বোধহয়। ছোটবেলায় ওরা টিকটিকির ডিম বগলের নিচে রেখে বাচ্চা ফোটাত। এখন ওরা অনিশ্চিত। রাতটা লম্বা হবে। রুমটা অনেক ঠাণ্ডা।[pullquote][AWD_comments][/pullquote]
২২ এপ্রিল ২০১৪
গ্রেইট এক্সপেক্টেইশন্জ্। গ্রেইটার ডিসাপয়েন্টমেন্ট। জানালায় পর্দার বদলে বিছানার চাদর কাপড়ের ক্লিপ দিয়ে আটকানো। ফ্যান ঘোরে। ক্লান্ত।
২৩ এপ্রিল ২০১৪
পোস্টকলোনিয়াল থিওরি। আজকে জানালায় পর্দা আছে। মুভি দেখতে গিয়েও দেখলাম না। কলমটার কালি শেষ হচ্ছে না। একটা নীল রংয়ের কাঁচির আগমন।
২৪ এপ্রিল ২০১৪
ঘটনাহীন দিন। একখানে বেশিদিন থাকার অস্থিরতা। হোয়াইটবোর্ডে মার্কার। সবারই বোধহয় নিজস্ব কিছু সংগ্রাম থাকে। মিস্টার ব্যাংক্স্ই বেঁচে গেল মাঝখান দিয়ে।
[youtube id=”a5kYmrjongg”]
২৫ এপ্রিল ২০১৪
আমাদের সবার গন্তব্য এক ছিল কিন্তু উদ্দেশ্য আলাদা। কিংবা, একই। এবং আমরা সবাই জানতাম। মনে থাকবে না কারো। নিতান্তই ইনসিগনিফিক্যন্ট।
২৬ এপ্রিল ২০১৪
অপ্রত্যাশিত ইমেইল। প্রত্যাশিত বৃষ্টি। দরজা খুললাম কিন্তু বের এখনও হই নাই। গেইম অভ থ্রোন্স্। আমার খালি দাবার কথা মনে হচ্ছে।
২৭ এপ্রিল ২০১৪
দ্য ফ্যান্টম অভ দি অপেরা। হিরো অ্যান্টিহিরো। আমি জানি আমিও শয়তানের সাথে চুক্তি করতাম। অনিবার্য তাই। অর্থবহ তাই।
২৮ এপ্রিল ২০১৪
চিরন্তন বিষণ্নতা। মহাজাগতিক বিষণ্নতা। একদিন হয়তো সত্যিই বিষণ্নতায় পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। এবং কারো কিছু আসবে যাবে না তাতে। কলমটার কালি শেষ।
২৯ এপ্রিল ২০১৪
ডাইলেমাজ অ্যান্ড ডুয়ালিটিজ। ছোট্ট বাক্সে পেপার ক্লিপ আর স্ট্যাপলার পিন। এক প্যাকেট আচার। পছন্দ না তাও খাচ্ছি। যে-দিনটা এমনি এমনিই পার হয়ে গেল সে-দিনটার কী হবে?
৩০ এপ্রিল ২০১৪
আত্মমগ্ন। আত্মকেন্দ্রিক। আত্মকিছুএকটা। সরি হাচিকো তোমার সাথে দেখা হল না। আরেকদিন।
০১ মে ২০১৪
মাঝে মাঝে এত অকিঞ্চিৎকর সব উপলক্ষে লিবারেটেড লাগে যে লিবারেশনের ধারণা নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। ফাঁকা রাস্তা, ভরাট মাথা। একেকটা রাস্তার সাথে একেকজন মানুষকে অ্যাসোশিয়েট করা ঠিক না বোধহয়। তিনদফা হেলিকপ্টারে চড়লাম। ঐ এলাকাটা এত অন্ধকার কোনোদিন ছিল না।
০২ মে ২০১৪
অনেক উত্তেজনার পর অনেক ক্লান্তি। ব্যান্ড-এইড তোলার ব্যথা। কি কি অদ্ভুত সব উপায়ে আহত হই আমি। মাথাব্যথা। তোমার মৃত্যু নিয়ে কিছু লিখলাম না।
০৩ মে ২০১৪
কুকুরটাকে চাপা দিয়ে চলে গিয়েছিল কেউ। কাকেরা ঠোকরাচ্ছিল। মাঝরাস্তায়। আর আমি কুকুর পোষার সংকল্প করি। নাম ঠিক করি অবিদ্যমান কুকুরের।
০৪ মে ২০১৪
আমি তোমার গল্পগুলা নিয়ে নিব। তোমারও। প্রতিশোধ। আমি সিদ্ধান্ত নিব তারা কেমন হবে। আমার নিয়ন্ত্রণ।
০৫ মে ২০১৪
জমে থাকা ঘুম। মেঘ ডাকে। বৃষ্টি হয় না। অথচ ঝড় চাচ্ছিলাম। দুর্যোগ দেখার কত শখ।
০৬ মে ২০১৪
তুমি চলে যাচ্ছ। আবার। আমি বিক্ষিপ্ত হয়ে যাব। এবং বিক্ষেপ খুঁজে বেড়াব। আবার।
০৭ মে ২০১৪
ভেজামাটি। ফোটোগ্রাফ। গান। টেক্সট ড্রাফট। কেন্দ্র আর বিক্ষেপ বদলযোগ্য নাকি?
০৮ মে ২০১৪
যেন আমি চোখ বন্ধ করলেই সব শেষ হয়ে যাবে। অস্থিরতা। অনিশ্চয়তা। অশান্তি। আমি তাই-ই করব যা করার প্রয়োজন।
০৯ মে ২০১৪
ছেড়ে দিলাম। সাময়িক হলেও। জগতে কোনোকিছুই তোমার পরিকল্পনামাফিক হবে না। তারচেয়ে মাথায় গান নিয়ে ঘোরা ভালো। ‘সে কি জানিত না আমি তারে যত জানি’।
[youtube id=”rl8oxFahSuA”]
১০ মে ২০১৪
সবুজ ব্যাগের বদলে খয়েরি ব্যাগ। সবুজ না, শ্যাওলা রং। অসহ স্থবিরতা। চলা প্রয়োজন। চলে যাওয়া প্রয়োজন। কেউ কেউ একজায়গাতেই সারা জীবন কাটিয়ে দেয়।
১১ মে ২০১৪
স্বপ্ন দেখছি কিন্তু মনে থাকছে না। আবছায়া। ঢোকো আরও গর্তের ভিতর। থাকো আরও ওইখানে বের হয়ো না। ভালো হবে।
১২ মে ২০১৪
ল্যাম্পপোস্টে বাতিটা জ্বলে-নেভে। আকাশটা লাল। বাতাসটাও কেমন। সেই রাতে রাত ছিল। পূর্ণিমা না।
১৩ মে ২০১৪
আঙুল কেটে গেল। টের পেলাম না। আমার খালি কাটে আর আমি টের পাই না। সাইকোঅ্যানালিসিস। ‘গরম লাগে তো তিব্বত গেলেই পার।’
১৪ মে ২০১৪
আবার ভেজামাটি। এবার আকাশ কমলা। করিডরে রঙিন কাগজ, খুলে খুলে যায়। আমরা ওড়ার পরিকল্পনা করছি। পড়ে যদি যাই?
১৫ মে ২০১৪
বাথরুমে ঝিঁঝিপোকা। মাকড়শাটা দেখল না? সবাই ফিরে যাচ্ছে আজকে। আমি চলে যাচ্ছি। ঘর বিষয়ে সন্দিহান।
১৬ মে ২০১৪
ডেলিরিয়াম। রং চা। কনডেন্সড মিল্ক আর চিনি দেয়া প্রচুর মিষ্টি চা না। আমি ধাবমান বাসের সামনে দাঁড়িয়ে যাই। আমার সারা জীবনে কোনো ভৌতিক অভিজ্ঞতা নাই।
১৭ মে ২০১৪
কতকিছু করি না। কেউ মানা করে না তাও করি না। আরও কী কী বলবা তোমরা আমাকে? প্রত্যেকে? আমি জানি।
১৮ মে ২০১৪
টেবিলে বইয়ের স্তূপ। বুকশেলফে ধুলা। স্টিকি নোটে টু-ডু লিস্ট। হোয়াইটবোর্ডে না-মোছা লেখা। ওয়ান অভ দোজ ডেইজ।
১৯ মে ২০১৪
এলিয়েন দেশে। ইন সার্চ অভ লাইটনেস? পরিশেষে বিশাল বিল্ডিং, বরফ-শীতল ক্ষুদ্র রুম। প্রখর রোদে রাস্তা। আমরা যাচ্ছিলাম, আমরা আসছি।
লোস দিয়াস পের্দিদোস
Day 1
দুই সপ্তাহ ধরে ক্যাম্পাসে। মাঝখানে যে বাসায় যাই নাই তা না, কিন্তু মূলত এখানেই। ক্লাস করি, পরীক্ষা দেই। মুভি দেখি। অং কার ওয়াই। একবার দেখা মুভি আবার দেখি। বারবার দেখি। আচ্ছন্নের মতো। কাজ জমে থাকে, করি না। একই বিষয় নিয়ে ক্রমাগত ভাবতে থাকি। বারবার। পুরাতন বিষয়। আনরিসল্ভ্ড্ বিষয়। ওসিডি। আমার বোধহয় ওসিডি নিয়েও ওসিডি আছে। অদ্ভুত সব স্বপ্ন দেখি ইদানীং। কিছু মনে থাকে, কিছু তৎক্ষণাৎ মনে থাকে, পরে ভুলে যাই। বিকালবেলা দেখলাম খরগোশ ডিম পাড়ে, আমি একটা মাঠে বাস্কেট-হাতে খরগোশের ডিম খুঁজে বেড়াচ্ছি। কালকে লিংগুইস্টিক্স্ পরীক্ষা। খরগোশের ডিম।
Day 2
আজকে বাসায়। বিকালের বাসে ফেরার সময় বৃষ্টি হচ্ছিল। ক্যাম্পাসের এই একটা জিনিসই বোধহয় কখনও পুরানো মনে হবে না। যেই স্বপ্নগুলা ভুলে যাই সেইগুলা এইজন্য ভুলে যাই না যে ভুলে যাই, এইজন্য ভুলি কারণ মনে রাখি না, মনে রাখা প্রয়োজন মনে করি না। ইস্টার বানি তো ডিম পাড়ে। নাকি পাড়ে না?
Day 3
আমি মাঝে মাঝেই ভাবি উপন্যাস লিখব, কিন্তু কী নিয়ে লিখব ঠিক করতে পারি না। I never can figure out the plot. আমি মাঝে মাঝে এটাও ভাবি… আমার সব লেখা কি একই রকম? একই বিষয় নিয়ে একইভাবে কি আমি ঘুরায়ে-ফিরায়ে লিখে যাচ্ছি? বেশ ক্লান্তিকর হওয়ার কথা ব্যাপারটা।
Day 4
আজকে পরিত্যক্ত সুইমিং পুলে লাফ দিয়ে নামলাম। সিঁড়ি ছিল না। নামতে গিয়ে হাঁটু ছিলে গেল অবশ্য। হাঁটাহাঁটি করলাম কিছুক্ষণ। পানিবিহীন সুইমিং পুল। মাঠের মতো। উঁচু জায়গা থেকে লাফ দিতে ভয় লাগে না আমার। কিন্তু আজকে কেন যেন নামতে চাচ্ছিলাম না। কিন্তু নামলাম। মুভি দেখলাম রাতে। The Fault in Our Stars। I cry watching movies. I cry when I’m not watching movies. Have I any hope? কালকে বাসায় যাব। আবার বিকালের বাস। I often also laugh in the middle of crying. Perhaps I do have hope.
Day 5
কী কী জানি অনেককিছু লিখতে চাচ্ছিলাম, কিন্তু ঘুম পাচ্ছে খুব। ঘুমের চোটে সব এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।
Day 6
The Fault in Our Stars – মুভির মূল দুই চরিত্রেরই ক্যান্সার, দুইজনেই জানে সুনার অর লেইটার তারা মারা যাবে। আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, আমরা যদি জানতাম আমরা কবে মারা যাব, আমরা কী করতাম? একদম দিনতারিখ ঠিক করে, অমুকদিন এতটায়… কোনোকিছু কি আমরা ভিন্নভাবে করতাম, কিছু কি বদলাত? আমার ধারণা কিছুই বদলাত না। সব একই থাকত। The core, the essence of the person that we are, would still stay the same. We wouldn’t do anything differently. Everything would be the same.
[youtube id=”CvqyxgZMDXI”]
Day 7 – X
Day 8
০১
In Time আরেকটা মুভি আছে। সবাই জানে তারা কবে মারা যাবে, সবার কব্জিতে একটা করে ঘড়ি। রিভার্স টাইম দেখায়, তোমার হাতে আর কত সময় আছে। সময় কিনে নেয়া যায়, বিক্রি করা যায় প্রয়োজন পড়লে। এই সময় কেনাবেচা নিয়ে আবার একটা ক্যাপিটালিস্ট সিস্টেম।
আমার মনে হয়, হঠাৎ যদি এমন হয় যে আমরা সবাই জানব আমরা কবে মারা যাব, আমরা আসলে জানব না। আমাদের জানানো হবে না। অ্যানার্কি হবে তো। এক্সট্রিম মেলান্কলি কিংবা ইউফোরিয়া… সিস্টেম সেটা হ্যান্ডেল করতে পারবে না তো।
[youtube id=”fdadZ_KrZVw”]
০২
আমিও লিখতে পারছি না। বা, লিখছি না। না, লিখতে পারছি না। ভাবছি। কিন্তু ভাবনাগুলাও বিক্ষিপ্ত। আমি ফোকাস্ট্ না একদম আর, মাইন্ডফুল না। আশেপাশের কোনোকিছু সম্বন্ধেই আওয়্যার না, কারো সম্বন্ধেই না। রোজকার যা-যা করা প্রয়োজন সবই করছি, কিন্তু যেন আমি করছি না। যেন আমি এখানে নাই।
০৩
আবার পানিতে। সাঁতার কাটতে পারলাম না। খাবি খেলাম। তবে ডুবি নাই। বিপদ এখনও কাটে নাই অবশ্য। এখনও পানিতে।
০৪
জীবন তো অর্থহীন। বেঁচে থাকা… আওয়ার ভেরি এক্সিস্টেন্স… মিনিংলেস তো, না? তো সেটা তো ভালো হওয়ার কথা। অর্থহীনই যদি হবে তাহলে তো যা ইচ্ছা তা-ই করা যাওয়ার কথা। কিন্তু তা-ও তো করছি না। কী করছি?
Day 9
One of those days when you wake up in the morning and feel this hollow, this void, and you cannot for the life of you figure out why you’re feeling this way because everything was perfectly fine the night before. You feel restless (funny, standing in the face of nothingness you’re supposed to feel calm). Perhaps because you can’t figure out the reason why. Perhaps because you know the reason why.
Day 10 – X
Day 11
কালকে গভীর রাতে ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেল। গভীর রাত বলতে আড়াইটা। টর্চ জ্বালায়ে বাথরুমে গেলাম। পরে করিডরে এসে টর্চ নিভায়ে দিলাম। সারাদিন আকাশ মেঘলা ছিল, বৃষ্টি হয় নাই। রাতে আকাশ লালচে হয়ে থাকল, আর ঠাণ্ডা বাতাস। করিডর একদম অন্ধকার ছিল, একমাথা থেকে আরেকমাথা দেখা যায় না। টর্চ জ্বালালে ভৌতিক লাগে বেশ। হলের বারান্দা থেকে লাল আকাশের মাঝখানে বড় বড় গাছ দেখা যায়। সেগুলা পার হলে হাইওয়ে। বাস-ট্রাক যায়। দাঁড়ায়ে দাঁড়ায়ে মনে হল একটা হরর শর্টফিল্ম বানানো দরকার। আমিও কিম কি দুকের মতো দূরে কোথাও যেয়ে একা একা থাকব। সাথে বিড়াল থাকবে না অবশ্য, কুকুর থাকতে পারে। আর তিন বছর থাকব না। বোর লাগার কথা। কালকে দুপুরে বসে বসে আপেল খাচ্ছিলাম, এক ফ্রেন্ড বলল আপেলের বিচি খেলে মানুষ পাগল হয়ে যায়। আপেলের চারটা বিচি খেয়ে ফেললাম। পাগল হই নাই।
Day 12 – X
Day 13
A friend of mine once tried to hypnotize me. I pretended that it was working, I pretended to be hypnotized. She asked me questions and I answered, in an apparent hypnotic state. My friend was thrilled. My play-acting gave her goosebumps.
I cannot write. For now, for the time being, I cannot write. Maybe it’s for a reason, maybe there’s no reason at all. But whatever it may be, I need to try and make peace with it. I need to accept it. For now. For the time being. Perhaps it’ll pass, perhaps I’ll find some sort of an answer, an explanation. Perhaps time will tell. [Perhaps… Maybe… Perhaps… Will I ever be certain of anything?] Until then, I need to stop play-acting, no matter how much goosebumps it gives me or anyone else.
২৪ অগাস্ট ২০১৪-০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪
Latest posts by আনিকা শাহ (see all)
- নাউ প্লেয়িং: প্রোটোজে - আগস্ট 18, 2016
- ফিশ লাভ ।। আন্তন চেখভ ।। - জুলাই 24, 2016
- নাউ প্লেয়িং: লানা ডেল রেই - জুলাই 11, 2016