Main menu

ইন্টেলেকচুয়ালস আর ক্ষমতা: মিশেল ফুকো এবং জিল দেল্যুজের আলাপ

এই আলাপটা বেশ পুরানই, ফরাসী পত্রিকা লার্ক-এ ছাপা হইছিল ১৯৭২ সালে। তখনো সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙে নাই। ভিয়েতনামও যুদ্ধ জিতে নাই। ইন্টারনেট নাই। এক জায়গা থিকা আরেকটা জায়গার ইস্যুগুলিরে কেমনে কাভার করবেন, এইসব নিয়া কথা কইতেছিলেন উনারা।… এমনিতে এই আলাপের ইংরেজী অনুবাদটা অনলাইনে অ্যাভেইলবেল। ২০০৬ সালের দিকে এইটা পড়ছিলাম। তো, পড়তে গিয়া মনে হইতেছিল এই জিনিসগুলি বাংলায় বলতে পারলে নিজের পড়াটা বেটার হইতে পারে। আর অনেকেই ফুকো, দেরিদা, লাঁকা, ব্রদিয়াঁ’র নাম নেন, উনাদের চিন্তা নিয়া আলাপ করেন, গালি-গালাজও করেন; কিন্তু উনাদের টেক্সটগুলি বাংলাভাষাতে অ্যাভেইলেবল না। ট্রান্সলেট করতে গেলে টেক্সট’টা পড়ার বাইরেও একটা বিচার যেমন করা হয়, আবার চিন্তাটারে ভাষার ভিতর ইনসার্টও করা যায় – এইরকমের অনুমান তো ছিলই।

আলাপটাতে কনফ্লিক্টের চাইতে সাপ্লিমেন্টই করছেন বেশি উনারা একজন আরেকজনরে, নিজেদের চিন্তার জায়গা থিকা। থিওরি তো আসলে নিজেই আরেকটা রিয়ালিটি; একটা টুল, যেইটা প্রাকটিক্যালি ইউজ না করতে পারলে সেইটা কোন থিওরি-ই হইতে পারে না। তো, একজন ইন্টেলকচুয়ালের কাজ কাউরে রিপ্রেজেন্ট করা না, মাইনষে তো বুঝে না, সো আমি বুঝাইয়া দিলাম – এইটা খুবই অপমানের একটা ব্যাপার, দুইদিক থিকাই। বরং ইন্টেলেকচুয়ালের কাজ হইলো ক্ষমতা যেই অবস্টেকলগুলা ক্রিয়েট করে, ইন্টেলেকচুয়ালিটি’টারে [বা ক্রিয়েটিভ অ্যাক্টগুলারেও] যে খাইয়া ফেলে [ব্ল্যাক মিরর-এর সিজন ওয়ান এর সেকেন্ড এপিসোড’টা দেখা যাইতে পারে, এইখানে; আরো এক্সাম্পাল আছে আসলে] সেই জায়গাগুলিরে মার্ক করা, এক্সপ্লোর করা, ডিফিউজ করা। বিপ্লব একটা ভালো ব্যবসা; রিফর্ম করাটাও, যখনই সেইটা একটা রিপ্রেজেন্টেশনের জায়গা থিকা করা হয়। ওইটা লিবারাল ইগোর কাজ। এমনিতে ফুকোর কি-ওয়ার্ড হইতেছে পাওয়ার বা ক্ষমতা আর দেল্যুজের কি-ওয়ার্ড হইতেছে ডিজায়ার। এখন ইন্টেলেকচুয়ালিটির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা এইরকম না যে, একটা আরেকটা এগেনেস্টে দাঁড়ায়; বরং একটা আইডিয়া আরেকটা আইডিয়ার চাইতে বেশি দূর পর্যন্ত এবং বেশি ভিতর পর্যন্ত ব্যাখ্যা করতে পারে। ক্ষমতা যেই ঘটনার মামলা, ডিজায়ার হইতেছে সেইটারে অ্যাক্টিভ রাখার মেশিন – এইভাবে হয়তো উনাদের বলার জায়গাটারে রাফলি লোকেট করা যাইতে পারে।  

বাংলা অনুবাদটা ২০০৬ সালে ‘কবিসভা নামে একটা ইয়াহু ওয়েব গ্রপে সার্কুলেট করা হইছিল, আর দৈনিক সমকালের ‘কালের খেয়া’তে ছাপা হইছিল ২০০৭ সালে। এইখানে ওই ভার্সনটারে এডিট করা হইছে। তারপরও অনুবাদে ভুল থাকেই; যতোটা না ভাষারে বুঝতে না-পারার  রণে, তার চাইতে বেশি যেই মিনিংগুলির ভিতর দিয়া ভাষাটারে রিড হয় সেই ধারণাটাই  একটা অবস্টেকলের ঘটনা হিসাবে থাকে। আর নিজের লেখা নিজে এডিট করতে পারাটা বেশ কঠিন কাজই। কিছু টার্ম পুরানই রইয়া গেলো বা মন-মতো হইলো না আর। হয়তো আবারও এডিট করা লাগবে। টিল দ্যান, এইটাই থাকলো। 

———————————————————————————–

 

ফুকো : একবার একজন মাওবাদী আমারে কইছিল যে, “সার্ত্রের মতলবটা আমি সহজেই বুঝতে পারি – কেন উনি আমাদের লগে থাকেন; উনার উদ্দেশ্য আর রাজনীতিতে যুক্ত হওয়াটা আমি বুঝতে পারি; আমি আপনার অবস্থানটাও কিছুটা বুঝতে পারি, যেহেতু আপনি জেলখানার সমস্যা নিয়া সবসময় চিন্তা করতেছেন। কিন্তু দেল্যুজ আমার কাছে পুরা একটা ধাঁধাঁ।’ তার এই কথা শুইনা আমি খুবই শকড হইছি, কারণ আপনার পজিশন আমার কাছে সবসময় খুবই স্পষ্ট মনে হইছে।[pullquote][AWD_comments][/pullquote]

 

দেল্যুজ : সম্ভবত থিওরি এবং প্রাকটিসের একটা নতুন সম্পর্কের অভিজ্ঞতার ভিতর দিয়া আমরা যাইতেছি। একটা সময়ে তো মনে করা হইতো যে, প্রাকটিস হইতেছে থিওরি’র একটা প্রয়োগ, একটা ফলাফল; আবার আরেকটা সময়ে, উল্টা একটা মানে আছিলো, ভাবা হইতো এইটা থিওরি’রে ইন্সপায়ার করে, ফিউচারের থিওরির ফর্মটা এইটা ছাড়া তৈরি হইতে পারে না। যে কোনো ঘটনায়, এদের রিলেশনটা বুঝা হইতো একটা টোটালাইজেশনের প্রসেসের দিক থিকা। কিন্তু, আমরা তো, এই প্রশ্নটারে অন্যভাবে দেখছি। থিওরি আর প্রাকটিসের সম্পর্কটা অনেক বেশি আংশিক আর টুকরা টুকরা টাইপের ব্যাপার। এক দিক দিয়া, থিওরি সবসময় লোকাল একটা ব্যাপার আর একটা লিমিটেড ফিল্ড নিয়া থাকে, আর এইটা এপ্লাই করা হয় অন্য আরেকটা জায়গার উপর, যেইটা কম বেশি এর থিকা আলাদা।  একটা তত্ত্বের তার ব্যবহারের সাথে যে সম্পর্ক তা কখনোই একইরকমের না। এইটা ছাড়াও, যখন একটা থিওরি তার প্রপার ডোমেইনে ঢুকে, তখন সে সামনাসামনি হয় বাধাগুলির, দেয়ালগুলির আর আটকাইয়া-যাওয়াগুলির তখন এইটার নিজেরে রিলে করার দরকার হয় অন্য ধরনের ডিসকোর্সগুলিতে (আর এইরকম অন্য একটা ডিসকোর্সে যাওয়ার ভিতর দিয়া ধীরে ধীরে অন্য আরেকটা ডোমেইনের ভিতর ঢুকে)।। প্রাকটিস হইতেছে একটা রিলে-করার সেট, একটা থিওরেটিক্যাল পয়েন্ট থিকা আরেকটা পয়েন্টে যাওয়ার; আর থিওরি হইতেছে একটা প্রাকটিস থিকা আরেকটাতে যাওয়ার রিলের ঘটনা। কোনো একটা দেয়ালের মোকাবেলা করা ছাড়া কোনো থিওরি তৈরি হতে পারে না, আর প্রাকটিসটা জরুরি সেই দেয়ালটাকে ছিদ্র করার লাইগা। উদাহারণ হিসাবে, আপনার কাজ শুরু হইছিল বন্দিত্ব নিয়া থিওরেটিক্যাল অ্যানালাইসিসে ভিতর দিয়া, বিশেষ কইরা উনিশ শতকের একটা পুঁজিবাদী সমাজে মানসিক হাসপাতালের কাজ-কর্ম নিয়া। তারপর আপনি সচেতন হইয়া উঠলেন যে, আটকানো মানুষজনের তাদের নিজেদের নিয়ে কথা বলাটা দরকার, একটা রিলে’র জায়গা তৈরি করা (আবার বিপরীতভাবে, এইটাও সম্ভব যে, আপনার কাজ প্রথম থিকাই তাদের সম্পর্কের একটা রিলে হয়া ছিল); আর সেই দলটারে পাওয়া গেলো হাজতে – সেই মানুষগুলি ছিল কয়েদে। আর এইটারে বেসিসে আপনি সংগঠিত করলেন ইনফরমেশন গ্রুপ অফ প্রিজনস (জি.আই.পি.),i যেইটার উদ্দেশ্য আছিলো এমন শর্তগুলি তৈরি করা যাতে কয়েদীরা নিজেদেরকে কথা বলার অনুমতি দিতে পারে। এইটা বলা সম্পূর্ণ মিথ্যা হবে, যেমনটা মাওবাদী লোকটি যেইটা বুঝাইতে চাইতেছিলেন যে, এই প্রাকটিসটা শুরু করতে গিয়া আপনি আপনার থিওরিটারে অ্যাপ্লাই করছেন। এইটা না আছিলো কোন প্রাকটিস, না ছিল রিফর্ম শুরু করার কোন প্রজেক্ট বা ট্রাডিশন্যাল সেন্সে কোন একটা ইনকোয়ারি। এর জোরটা ছিল পুরাপুরি আলাদা একটা একটা জিনিস: একটা বড় বলয়ের মধ্যে রিলেগুলির একটা সিস্টেম, একটা মাল্টিপ্লিসিটির অংশগুলির মধ্যে যেইটা একইসাথে থিওরেটিক্যাল এবং প্রাকটিক্যাল। আমাদের কাছে, একজন থিওরাইজিং ইন্টেলেকচুয়াল একটা সাবজেক্ট না আর, কনশাসনেসের রিপ্রেজেন্টেটিভ বা যে রিপ্রেজেন্ট করতেছে। যারা অ্যাক্ট করে আর লড়াই করে তাদেরকে একটা গ্রুপ বা একটা ইউনিয়ন, যারা নিজেদের বিবেকের কারণে অধিকারের পক্ষে দাঁড়ানোটারে জায়েজ মনে করে, তারা কেউ রিপ্রেজেন্ট করে না। কে কইতে পারে আর অ্যাক্ট করতে পারে? এইটা সবসময় একটা মাল্টিপ্লিসিটির ব্যাপার, এমনকি যেইটা মানুষটা কইতেছে আর অ্যাক্ট করতেছে, তার ভিতরেও। আমরা সবাই হইতেছি “গ্রুপোসকোলস” [groupuscules]।ii রিপ্রেজেন্টশনটা এগজিস্ট করে না; এইখানে খালি অ্যাকশন আছে – থিওরেটিক্যাল অ্যাকশন আর প্রাকটিক্যাল অ্যাকশন যেইটা রিলের কাজটা করে আর নেটওয়ার্কগুলি বানায়।  

 

[youtube id=”UTX88E9RizU”]

 

ফুকো : আমার কাছে মনে হইছে, ট্রাডিশন্যালি একজন ইন্টেলেকচুয়ালের পলিটিক্যাল ইনভলমেন্টরে দেখা হইছে তার কাজ-কর্মের দুইটা আলাদা রকমের প্রডাক্ট হিসাবে: বুর্জোয়া সমাজে একজন ইন্টেলেকচুয়াল হিসাবে তার পজিশন, পুঁজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থায় এবং যেই আইডিওলজি এইটা বানায় বা চাপায়া দেয় তার উপর (তার শোষণ, দারিদ্র, প্রত্যাখ্যান, র্নিযাতন, বিধ্বংসী কাজকামের অভিযোগগুলি, অনৈতিকতা, ইত্যাদি); আর তার ডিসকোর্স যদ্দুর পর্যন্ত একটা পার্টিকুলার ট্রুথ’রে খোলাসা করে, মানে যেই রাজনৈতিক সর্ম্পকগুলারে সন্দেহ করা হয় না, সেইটারে সে যতোটা বাইর করতে পারে। এই দুই ধরনের পলিটিসাইজেশন  একটা আরেকটাকে বাদ দিয়া চলে না, কিন্তু আলাদা রকম  হওয়ার কারণে, তারা আবার মিইলাও যায় না। কাউরে বলা হয় “বাদাইম্মা”, আবার অন্যদের বলা হয় “সোশ্যালিস্ট”।  অথরিটিগুলির অংশের দিকে ভায়োলেন্ট রিয়েকশনের সময়গুলাতে এই দুইটা পজিশন সহজেই মিইলা যায়: ১৮৪৮ এর পরে, কমিউনের পরে, ১৯৪০ এর পরে। ইন্টেলেকচুয়ালরে ওই মোমেন্টটাতেই বাতিল করা হয় আর নির্যাতন করা হয় যখন ফ্যাক্টগুলি খুবই স্পষ্টভাবে দেখা যায়, যখন এইটা বলাটা অবৈধ ছিলো, রাজার গায়ে কোন কাপড় নাই। ইন্টেলেকচুয়াল তাদেরকে ট্রুথ’টা বলতো যারা এখনো এইটা দেখতে পাইতেছে না, তাদের নামে বলতো যাদের ট্রুথ বলাটা নিষেধ ছিল: সে আছিলো বিবেক, সচেতনতা, আর কথা-বলার-ওস্তাদ। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় অভ্যুত্থানের পরেiii ইন্টেলেকচুয়াল’রা আবিষ্কার করলো যে, মাস-পিপলের জ্ঞান বাড়ানোর লাইগা তাদের আর দরকার নাই: ওরা কোন ইল্যুশন ছাড়া খুব ভালোভাবেই জানে, ওরা তার চাইতে অনেক বেটার এবং ওরা অবশ্যই পারে নিজেদেরকে এক্সপ্রেস করতে।   কিন্তু এইখানে একটা সিস্টেম আছে পাওয়ারের যা এই ডিসকোর্সরে ব্লক করে, নিষেধ করে, অকার্যকর করে আর এই জ্ঞান, একটা পাওয়ার যা খালি সেন্সরশিপের অথরিটির ভিতর দিয়া প্রকাশ পায় না, বরং এমন একটা জিনিস যা ব্যাপকভাবে, চালাকির সাথে পুরা সোশ্যাল সিস্টেমের মধ্যে ঢুইকা থাকে।ইন্টেলেকচুয়ালরা নিজেরাই এই পাওয়ার সিস্টেমের এক একজন এজেন্ট -তাদের “বিবেক”-এর প্রতি দায়িত্ববোধের ধারণাটা এই ডিসকোর্স সিস্টেমের কিছু অংশ তৈরি করে। একজন ইন্টেলেকচুয়ালের রোল’টা তারে আর এইরকম একটা জায়গাতে প্লেইস করাটা না যে, “একটু আগায়া থাকে আর পক্ষে থাকে” একটা সমবেতভাবে আটকাইয়া রাখা ট্রুথটারে এক্সপ্রেস করার লাইগা; বরং এইটা হইতেছে পাওয়ারের ফর্মগুলির এগেনেস্টে লড়াইটা যা তারে একটা অবজেক্ট হিসাবে আর “জ্ঞান”, “সত্য”, “বিবেক” এবং “ডিসকোর্স”-এর যন্ত্র হিসাবে ট্রান্সফর্ম করে।iv এইভাবে দেখলে, থিওরি কখনোই প্রাকটিসরে বলা, ট্রান্সলেট করা বা সার্ভ করে না: এইটা হইতেছে প্রাকটিস। কিন্তু এইটা লোকাল আর রিজওনাল, যেমনটা আপনি বলছেন, কোনো সামগ্রিক বিষয় না। এইটা হইতেছে পাওয়ারের এগেনেস্টে একটা লড়াই, একটা লড়াই যা খোলাসা করতে চায় এবং দুর্বল করতে চায় যেইখানে ক্ষমতাটা সবচেয়ে বেশি অদৃশ্য এবং প্রতারণার সাথে আছে। আমরা যেই লড়াইটা করতেছি সেইটা “বিবেক জাগাইয়া” তোলা না (মানুষজন অনেক সময় বুঝতে পারে যে,  সচেতনতা জ্ঞানেরই একটা ফর্ম; আর সাবজেক্টিভিটর বেসিসে কনশাসনেস বুর্জোয়াদেরই একটা বিশেষ অধিকার), বরং ক্ষমতাকে দুর্বল করা, ক্ষমতা দখল করা; এইটা এমন একটা অ্যাক্টিভিটি যা করা হয় তাদের পাশাপাশি, যারা পাওয়ারের লাইগা লড়াই করে, আর একটা নিরাপদ দূরত্বে থাইকা তাদের রোশনাই হিসাবে কাজ করে না। একটা “থিওরি” হইতেছে এই স্ট্রাগলের একটা রিজওনাল সিস্টেম।

 

দেল্যুজ : আসলেই। একটা থিওরি হইতেছে একটা বাক্সভর্তি যন্ত্রপাতি। এটা কী অর্থ নিয়া আসে তা দিয়ে কিছু করার নাই। এইটা ইউজফুল হইতে হবে। এইটা অবশ্যই ফাংশনাল হইতে হবে। সে শুধুমাত্র তার নিজের জন্যে না। কেউ যদি এইটা ইউজ না করে, থিওরেশিয়ান থিকা শুরু কইরা যে কেউ (কে আর তখন থিওরিশিয়ান হইতে চাইবে), তাইলে এই থিওরি কোনো কিছুই না অথবা সময়টা তার লাইগা ঠিক না। আমরা একটা থিওরিরে রিভাইজ করি না, বরং নতুন কিছু বানাই; অন্যগুলি বানানি ছাড়া আমাদের আর কোনো কিছু করার থাকে না। এটা খুব আশ্চর্যের ব্যাপার যে, প্রুস্ত, একজন লেখক যার একজন খাঁটি ইন্টেলেকচুয়াল হওয়ার কথা, খুব স্পষ্টভাবে এই কথা বলেছিলেন: আমার বইটাকে তুমি নিবা বাইরের দিকে তাক করা একজোড়া চশমার মতো; যদি এইটা তোমারে সুট না করে আরেক জোড়া খুঁইজা নাও; আমি এ্ইটা তোমার উপর ছাইড়া দিতেছি, তুমি নিজের মতো কইরা নিজের ইন্সট্রুমেন্ট খুঁইজা নাও, যেইটা যুদ্ধ করার লাইগা জরুরি একটা ইনভেস্টম্যান্ট। একটা থিওরি কখনোই টোটালাইজ করে না; এইটা মাল্টিপ্লিকেশনের একটা ইন্সট্রুমেন্ট আর এইটা নিজেরেও মাল্টিপাই করে। এইটা পাওয়ারের নেচার যা টোটালাইজ করতে চায় আর এইটা হইতেছে আপনার পজিশন আর আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত যে, বাই নেচার থিওরি পাওয়ারের বিপক্ষে থাকে। যখনই একটা পার্টিকুলার পয়েন্টে থিওরি নিজেরে জড়ায়া ফেলে তখন আমরা বুঝতে পারি যে, এইটার সামান্য প্রাকটিক্যাল গুরুত্ব্ও নাই যদি না এইটা পুরা আলাদা একটা এরিয়ায় গিয়া বাইর হইতে পারে। এইজন্যেই সংস্কারের ধারণা এতোটাই স্টুপিড আর ভন্ডামির ব্যাপার। হয় সংস্কারের ডিজাইনটা করা হয় সেইসব লোকদের দিয়া যারা নিজেদেরকে রিপ্রেজেন্টেটিভ বইলা ক্লেইম করে, যারা অন্যের লাইগা বলাটারে প্রফেশন হিসাবে নেয়, আর তারা পাওয়ার’রে ভাগ করার একটা জায়গাতে যায়, এই নতুন পাওয়ারের ডিস্ট্রিবিউশনের দিকে নিয়া যায় যেইটা আদতে আরো বাড়ে একটা ডাবল রিপ্রেশনের ভিতর দিয়া; অথবা যারা কনসার্নড তাদের কমপ্লেইন বা ডিমান্ড থিকা এইগুলি তৈরি হয়। এই পরের কারণটা একটা সংস্কার না বরং বিপ্লবী কাজ যেইটা প্রশ্ন করে (তার পার্শিয়ালিটি’টার পুরা ফোর্সটারে প্রকাশ করে) ক্ষমতার টোটালিটিটারে আর হায়ার্কিটারে যেইটা ক্ষমতা মেইনটেইন কইরা চলে। এইটা অবশ্যই হাজতে দেখা যায়: কয়েদীদের সবচেয়ে ছোট আর গুরুত্বহীন ডিমান্ডগুলিও প্লেভেন-এর লোক-দেখানো  সংস্কাররে পাংচার কইরা দিতে পারে।v যদি কিন্ডারগার্টেনে বাচ্চাদের প্রতিবাদগুলি শোনা যাইতো, যদি তাদের প্রশ্নগুলিতে মনোযোগ দেয়া হইতো, পুরা শিক্ষাব্যবস্থারে ধসায়া দেয়ার লাইগা সেইটা এনাফ ছিল। অস্বীকার করার তো কোনো উপায় নাই যে, আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় কোনো ধরনের সহনশীলতা নাই; এইটা সবদিক দিয়াই এর চূড়ান্ত ভঙ্গুরতাকে প্রমাণ করে আর গ্লোবাল রিপ্রেশনের ফর্মের লাইগা এইটা দরকার। আমার ধারণা, আপনি-ই প্রথম, আপনার বইগুলিতে দেখাইছেন এবং প্রাকটিক্যাল জায়গাটাতে পুরা ফান্ডামেন্টাল একটা জিনিস শিখাইছেন: অন্যদের লাইগা বলাটা অমর্যাদার একটা জিনিস। আমরা রিপ্রেজেন্ট করাটা নিয়া কৌতুক করতাম আর কইতাম যে, এইটা শেষ হইয়া গেছে, কিন্তু এই “থিওরেটিক্যাল” আলাপটার একটা পরিণতি টানতে ব্যর্থ হইছিলাম – এই থিওরেটিক্যাল ফ্যাক্টটারে অ্যাপ্রিশিয়েট করতে পারাটা যে, যারা সরাসরিভাবে জড়িত তারাই প্রাকটিক্যালি তাদের নিজেদের পক্ষ নিয়া কথা কইতে পারে।

 

মিশেল ফুকো। ছবি: গুগুল সার্চ থিকা নেয়া।

মিশেল ফুকো। ছবি: গুগুল সার্চ থিকা নেয়া।

 

ফুকো : আর যখন কয়েদীরা কথা কইতে শুরু করলো, হাজত নিয়া, পেনাল-সিস্টেম নিয়া, বিচার-ব্যবস্থা নিয়া তখন তারা একটা ব্যক্তিগত থিওরি নিয়া আসলো। এইটা এমন একটা ডিসকোর্স, যেইটা আল্টিমেটলি ম্যাটার করে, এইটা হইতেছে পাওয়ারের এগেনেস্টে একটা ডিসকোর্স, হাজতীদের একটা কাউন্টার-ডিসকোর্স আর এইগুলিরে আমরা অপরাধীদের জিনিস বলি – আর অপরাধ নিয়া কোনো থিওরি বলি না। জেলখানার সমস্যাটা লোকাল আর মার্জিনাল: বছরে ১০০,০০০ লোকের বেশি জেলখানায় যায় না। এখন ফ্রান্সে ৩০০,০০০ থিকা ৪০০,০০০ লোক জেলখানায় আছে। কিন্তু এই মার্জিনাল সমস্যাটাই সবাইরে বিরক্ত করতেছে। আমি খুব অবাক হইছি যে, অনেক লোক যারা জেলখানায় যায় নাই কোনদিন, এই সমস্যাটার ব্যাপারে ইন্টারেস্টেড হইছেন, অবাক হইছি যে যারা কোনদিন আটকাইয়া রাখার ডিসকোর্স নিয়া কিছু শোনে নাই তারাও এইটা খুব সহজেই বুঝতে পারতেছে। এইটারে আমরা কেমনে এক্সপ্লেইন করবো? এইটা কি এই কারণে না যে, পেনাল সিস্টেম হইতেছে সেই ফর্মটা যেইখানে পাওয়ার’রে সবচে স্পষ্টভাবে পাওয়ার হিসাবে দেখা যায়? একজনরে জেলখানায় রাখা, তারে খাওনের আর গরম-থাকার ব্যাপারে বঞ্চিত করা, বাইরে যাইতে না দেয়া, ভালবাসাবাসি করতে না দেয়া, ইত্যাদি – এইসবই হইতেছে ক্ষমতা সর্ম্পকে যা ভাবা যায় তার সবচাইতে খোলাখুলি প্রকাশ। আরেকদিন আমি এক মহিলার সাথে কথা বলতেছিলাম, যে একসময় জেলখানায় আছিল আর শে বলতেছিল : “চিন্তা করেন, চল্লিশ বছর বয়স আমার, আর আমারে একদিন কোনকিছু না দিয়া খালি শুকনা রুটি খাওয়ার শাস্তি দিল।” এই গল্পের সবচে স্ট্রাইকিং বিষয় ক্ষমতার শিশুসুলভ ব্যবহারটা না, বরং ক্ষমতারে যে ক্ষমতা হিসাবে ব্যবহার করা হইলো সেই হতাশা, সেইটার সবচেয়ে আদিম, ছ্যাবলা, বাচ্চামি’র ব্যাপারটা। একটা বাচ্চা হিসাবে আমরা বুঝতে পারি, রুটি আর পানি কমায়া দেয়া কী বোঝায়। জেলখানা হইতেছে একমাত্র জায়গা, যেইখানে ক্ষমতা তার নগ্ন রূপটাকে প্রকাশ করে, সবচেয়ে অপরিমিতভাবে করে আর যেইখানে এইটারে জাস্টিফাই করা হয় একটা মোর‌্যাল শক্তি হিসাবে।  “আমার অধিকার আছে তোমাকে শাস্তি দেওয়ার কারণ তুমি জান যে, কাউকে খুন করা বা ডাকাতি করা অপরাধ…” জেলখানার ব্যাপারে সবচেয়ে মজার বিষয়টা হইতেছে যে, একবারের লাইগাও, ক্ষমতা এখানে নিজেরে আড়াল করে না বা কোনো মুখোশ পড়ে না; সবচে ছোটখাট ডিটেইলেও ক্ষমতা নিজেরে জাহির করে; এইটা সিনিক্যাল আবার একই সময়ে শুদ্ধ আর পুরাপুরি “জাস্টিফাইড”, কারণ এর প্রাকটিসটা পুরাপুরিভাবে নৈতিকতার ঘোরটোপের মধ্যে ফর্মুলেট করা। এর নিষ্ঠুর নিপীড়নরে বারবার দেখানো হয় দেখানো হয় খারাপের উপর ভালো’র আর বিশৃঙ্খলার উপর শৃঙ্খলার শান্ত একটা বিজয় হিসাবে।

 

দেল্যুজ : হ্যাঁ, আর উল্টাটাও সমানভাবে সত্যি। শুধুমাত্র কয়েদীদেরকেই বাচ্চা হিসাবে দেখা হয় না, আবার বাচ্চাদেরকেও কয়েদী হিসাবে দেখা হয়। শিশুদেরকে একটা অপ্রাপ্তবয়স্কতার মধ্যে ঢুকানো হয়, যেইটা তাদের কাছে অপরিচিত। এইটার বেসিসে অস্বীকার করার উপায় নাই যে, স্কুলগুলি জেলখানার সাথে মিলে আর কারখানাগুলি হইতেছে এর কাছাকাছি একটা ব্যাপার। রেনাল প্ল্যান্ট এ ঢোকার রাস্তাটা দেখেন অথবা এইরকম যে কোনো জায়গাতেই: দিনে ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য তিনটা টিকিট দেয়া হয়। আপনি আঠারোশ শতকে জেরেমি বেন্থামের একটা লেখা পাইছেন জেলখানার সংস্কারের উপর; এইরকম মহান সংস্কারের নামে এস্টাবলিশ করা হয় একটা সার্কুলার সিস্টেমের যেইখানে সংস্কার করা জেলখানা একটা মডেল হিসাবে কাজ করে এবং যেইখানে একজন একের পরে এক যাইতে থাকবে – স্কুল থিকা কারখানায়, কারখানা থিকা জেলখানায়, আর উল্টাটাও। এইটাই হইতেছে সংস্কার করার মূল কারণ, রিপ্রেজেন্টশনের সংস্কার। অন্যদিক দিয়া দেখতে গেলে, যখন মানুষ নিজের লাইগা কথা বলা এবং কাজ করা শুরু করে, তখন তারা তাদের রিপ্রেজেন্টশনটার বিরোধিতা করে না (যদি উল্টাটাও হয়) অন্যকিছুর কাছে; তারা ক্ষমতার ভুয়া রিপ্রেজিন্টিভিটির তুলনায় একটা নতুন রিপ্রেজেন্টিভিটির বিরোধিতা করে না। উদাহারণ হিসাবে, আমি আপনার একটা কথা বলতে পারি যে, বিচারের বিপরীতে কোনো জনপ্রিয় বিচার নাই; এই হিসাবটা অন্য  একটা লেভেলের ঘটনা।

 

ফুকো : আমি মনে করি না এইটা খালি সরল আইডিয়াটা যে, আরো ভালো আর ন্যায্য বিচার পাওয়ার লাইগা মানুষ জুডিশিয়াল স্টিটেম, জাজ, কোর্ট আর জেলখানা’রে ঘৃণা করে, বরং এইটা বাদে আর যে কোনকিছুর আগেই একটা সিঙ্গুলার পারসেপশন আছে যে, মানুষের দামেই সবসময় ক্ষমতা ব্যবহার করা হয়। বিচার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যে লড়াইটা সেইটা হইতেছে ক্ষমতার বিরুদ্ধে একটা লড়াই আর আমি মনে করি না যে, এইটা বিচার ব্যবস্থার অন্যায়ের বিরুদ্ধে বা এই ইন্সটিটিউশনগুলির এফিসেন্সি বাড়ানোর কোনো লড়াই। বিশেষ কইরা, এইটা খুব স্ট্রাইকিং যে, দাঙ্গা-হাঙ্গামার সময় বা বিদ্রোহের সময় বা রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলনগুলির সময় ক্ষমতার অনান্য ইন্সটিটিউশনগুলি যেমন ফিন্সাসিয়াল স্ট্রাকচার বা আর্মির পাশাপাশি বিচার-ব্যবস্থারেও টার্গেট করা হয়। আমার হাইপোথিসিস হইলো – কিন্তু এইটা একটা হাইপোথিসিস-ই যে জনপ্রিয় আদালতগুলি, রেভিউলেশনের পরে যেইগুলি হয়, নিন্ম-মধ্যবিত্ত ক্লাসের একটা জিনিস, যারা মাস-পিপলের মিত্র হিসাবে থাকে, তারা ওইটারে বাঁচায়া রাখে আর ইনিশিয়েটিভ’টা নেয় বিচার-ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াইটারে পুনরায় দখল করার। এইটা অ্যাচিভ করার লাইগা, তারা প্রস্তাব করে একটা আদালত ব্যবস্থার যেইখানে ন্যায় বিচারের একটা সম্ভাবনা থাকে, যেইখানে একজন জাজ হয়তো দেখান যে উনি একটা ন্যায়বিচারের রায় দিতেছেন। এইরকমের আইডেন্টিফায়েবল আইনি-ব্যবস্থাটা বুর্জোয়া ধারণার ন্যায়-বিচারের মধ্যে থাকে।

 

জিল দেল্যুজ। ছবি গুগুল সার্চ থিকা নেয়া।

জিল দেল্যুজ। ছবি গুগুল সার্চ থিকা নেয়া।

 

দেল্যুজ : আমাদের এই একচুয়াল সিচুয়েশনটার উপরে ভর দিয়া, ক্ষমতা জোর কইরা একটা টোটাল বা গ্লোবাল ভিশন তৈরি করতে চায়। মানে, বর্তমান সময়ের সব ধরনের রিপ্রেশন (অভিবাসী কামলাদের প্রতি রেসিস্ট রিপ্রেশন, কারখানাগুলিতে, শিক্ষা ব্যবস্থার রিপ্রেশন এবং তরুণদের সাধারণ রিপ্রেশন) ক্ষমতার পয়েন্ট অফ ভিউ থিকা খুব সহজেই টোটালাইজ করা হয়।  মে’৬৮ এর রি-অ্যাকশনে যেই ঐক্যটা হইছিলো আমাদেরকে সেই ফর্মগুলি খুঁজলেই খালি হবে না, বরং কাছাকাছি ভবিষ্যতটারে একসাথে মিইলা অর্গানাইজ আর প্রিপেয়ার করা লাগবে, ফরাসী পুঁজিবাদ এখন নির্ভর করতেছে “প্রান্তিক” বেকারত্বের উপর এবং লিবারাল আর অভিভাবক হওয়ার মুখোশটা ফেলে দিছে যেইটা ফুল এমপ্লয়মেন্ট দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিতো। এই পারসপেক্টিভ থিকা, আমরা সমস্ত ধরনের রিপ্রেশনের ঐক্যটা দেখতে পাইতে পারি : ইমিগ্রেশনের উপর রেস্ট্রিকশনগুলি, যখন এইটা মাইনা নেয়া হয় যে, সবচেয়ে কঠিন আর থ্যাংকলেস কাজগুলি করানো হয় ইমিগ্রেন্ট কামলাদের দিয়া – কারখানাগুলির রিপ্রেশন এইটা, কারণ তা না হইলে ফরাসীদের আবার কঠিন কাজগুলি করার “টেস্ট”টা নিতে হইবো; তরুণদের বিরুদ্ধে লড়াই আর শিক্ষা ব্যবস্থার রিপ্রেশনটা চলে কারণ পুলিশের রিপ্রেশন অনেক বেশি অ্যাক্টিভ থাকে যখন ওয়ার্ক ফোর্সে নতুন লোকের দরকার কম পড়ে। একটা বিশাল রেইঞ্জের পেশাজীবীদের (শিক্ষক, মানসিক চিকিৎসক, সব ধরনের শিক্ষাবিদ, ইত্যাদি) দিয়া সেই কাজগুলি করানো হয়, যেইগুলি ট্রাডিশন্যালি পুলিশদের করার কথা। এই জিনিস আপনি অনেকদিন আগে অনুমান করছিলেন, আর সেই সময়ে এইটা অসম্ভব মনে হইতো: অবরোধের ভিতর সমস্ত শক্তিগুলিরে কাজে লাগানো। ক্ষমতার গ্লোবাল পলিসির বিপরীতে আমরা চালু করছি লোকালাইজ কাউন্টার-রেসপন্সগুলি, বিচ্ছিন্ন লড়াই, কার্যকর আর অকেশনালি আগাম প্রতিরোধগুলি। ক্ষমতার দিক থিকা যেইটা অপরিবর্তনীয়ভাবে টোটালাইজ করা আছে সেইটারে আমাদের টোটালাইজ করার কোনো দরকার নাই; একই কাজ যদি আমরা’রেও করা লাগে, তাইলে সেইটা তা সেন্ট্রালাইজ রিপ্রেজেন্টেটিভ ফর্মের মতোই হবে আর একটা হায়ারর্কি স্ট্রাকচাররেই খাড়া করবো। আমাদের অবশ্যই পাশাপাশি সম্বন্ধ তৈরি করতে হবে এবং নেটওয়ার্কের একটা পুরা সিস্টেম দাঁড়া করাইতে হবে আর সেইটা হইতে হবে পপুলার বেইজগুলির উপরে; আর এইটা খুবই কঠিন। ট্রাডিশন্যাল সেন্সে ক্ষমতার কম্পিটিশনের আর ডিস্ট্রিবিউশনের বেসিসে পলিটিক্সের একটা কন্টিনিউশন হিসাবে রিয়ালিটি’রে আমরা আর কোনভাবেই ডিফাইন করতে পারি না, কমিউনিস্ট পার্টি বা জেনারেল ওয়ার্কাস ইউনিয়নেরvi সো-কল্ড রিপ্রেজেন্টেটিভ এজেন্সির ভিতর দিয়া। রিয়ালিটির ঘটনাগুলি তো আসলে ঘটতেছে ফ্যাক্টরিগুলিতে, স্কুলগুলিতে, ব্যারাকগুলিতে, জেলখানাগুলিতে আর পুলিশ ফাঁড়িগুলিতে। আর অ্যাকশনগুলি একটা ভিন্ন ধরণের ইনফরমেশন যেইটা পত্রিকাগুলিতে যেই ধরণের ইনফরমেশন পাওয়া যায় তার থিকা পুরাপুরি আলাদা (এইটা ব্যাখ্যা করে এজেন্সি ডি প্রেস লিবারেশনvii কি ধরণের ইনফরমেশন নিয়া কাজ করে)।

 

ফুকো: এই যে স্ট্রাগলের উপযুক্ত ফর্মগুলি আমরা খুঁইজা পাইতেছি না এইটা কি এই কারণে না যে, ক্ষমতার সমস্যাটারে আমরা এখনো ইগনোর কইরা যাইতেছি? শেষমেশ আমাদেরকে উনিশ শতক তক ওয়েট করা লাগছে, শোষণের প্রকৃতি বোঝার আগ পর্যন্ত, আর আজ পর্যন্ত আমাদের এখনো ক্ষমতার ন্যাচারটারে পুরাপুরি বুঝার বাকি আছে। হয়তো মার্কস এবং ফ্রয়েড আমাদের বোঝার ব্যাপারটারে পুরাপুরি সন্তুষ্ট করতে পারেন নাই, যেই বিভ্রান্তিকর জিনিসটাকে আমরা ক্ষমতা বলি, যেইটা একইসাথে  দেখা যায় আবার দেখা যায় না, উপস্থিত  আছে আর লুকানো, সব জায়গাতেই। গর্ভমেন্ট নিয়া থিওরিগুলি আর তাদের মেকানিজম নিয়া ট্রাডিশন্যাল অ্যানালাইসিসগুলি সব ক্ষেত্রগুলির কথা বলতে পারে না যে, কোথায় ক্ষমতার ব্যবহার করা হয় এবং কোথায় এইটা কাজ করে?  ক্ষমতার প্রশ্নটা থাকে একটা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তি হিসাবে। কে ক্ষমতার ব্যবহার করে? এবং কোন ক্ষেত্রে সেইটা করে? আমরা এখন অবশ্যই যুক্তিপূর্ণভাবে জানি কে অন্যদেরকে শোষণ করে, কে মুনাফাগুলি পায়, কোন কোন লোক এর সাথে জড়িত এবং আমরা জানি কীভাবে এইসব ফান্ডগুলি আবার বিনিয়োগ করা হয়। কিন্তু ক্ষমতার ক্ষেত্রে… আমরা জানি যে, এটা তারা না যারা শাসন করে। কিন্তু, অবশ্যই “শাসকশ্রেণী”র ধারণাটা কখনোই ভালোভাবে ফর্মুলেট করা হয় নাই আর অন্যান্য টার্মগুলিও, যেমন “ডমিনেট করা… শাসন করা… নিয়ন্ত্রণ করা”, ইত্যাদি। এই ধারণাগুলি খুবই তরল আর এদের বিশ্লেষণ করা দরকার। আমাদের আরো ইনভেস্টিগেট করা দরকার ক্ষমতার ব্যবহারের উপর যেইসব লিমিট আরোপ করা হয় – যেই রিলেগুলির ভিতর দিয়া এইটা অপারেট করে আর হায়ারর্কির একদম ইনসিগনিফিকেন্ট জায়গাগুলিতে যেই ইনফ্লুয়েন্সটা জারি রাখে আর কন্ট্রোল, নজরদারি, নিষিদ্ধকরণ এবং বাধাগুলির ফর্মগুলার উপরে। সবখানে, যেইখানে ক্ষমতা এগজিস্ট করে, তার ব্যবহার করা হয়। স্ট্রিকলি বলতে গেলে, ক্ষমতার অফিসিয়াল অধিকার কারোরই নাই; তারপরও এইটা সবসময় একটা নির্দিষ্ট দিকে কাইত হইয়া থাকে; কিছু লোকরে একদিকে আবার কিছু লোকরে অন্যদিকে রাইখা। মাঝে-মধ্যে এইটা ঠিক কইরা বলা মুশকিল যে, কার ক্ষমতা আছে, কিন্তু এইটা সহজেই দেখা যায়, কার ক্ষমতা নাই। আপনার বইটা পড়া আমার কাছে যদি জরুরি মনে হয় (নিটশে থিকা যেইটা আমি এন্টিসিপেট করতে পারি ক্যাপিটালিজ অ্যান্ড সিজোফ্রেনিয়াতে)viii সেইটা এই কারণে যে, বইটা এই সমস্যাটারে অনেকদূর পর্যন্ত এক্সপ্লোর করতে পারছে: মিনিংয়ের এনশিয়েন্ট থিমের ভিতর, সিগনিফায়ার আর সিগনিফাইড, ইত্যাদি; আপনি ক্ষমতার প্রশ্নটারে, ক্ষমতার ইন-ইক্যুয়ালিটিটারে আর তাদের লড়াইগুলিরে ডেভেলাপ করতে পারছেন। প্রত্যেকটা লড়াই একটা বিশেষ ধরনের ক্ষমতার চারপাশ ঘিরা বাইড়া উঠতেছে (অসংখ্যের মধ্যে যে কোনো একটা, ছোট্ট সোর্সগুলি – অল্প-সময়ের বস, “এইচ.এল.এম.” এর ম্যানেজার, একজন জেলখানার ওয়ার্ডেন, একজন বিচারক, একজন ইউনিয়নের রিপ্রেজেন্টেটিভ, নিউজপেপারের এডিটর-ইন-চিফ)। আর এই সোর্সগুলিরে পয়েন্ট আউট করাটা – সমালোচনা করা আর প্রকাশ্যে বলাটা – যদি স্ট্রাগলের একটা পার্ট হইয়া থাকে, সেইটা এই কারণে এটা না যে আগে কেউ জানতো না। বরং এই বিষয়ে এইটা বলার কারণ ইনফরমেশনের ইন্সটিটিউশনালাইজড নেটওর্য়াকগুলিরে শুনতে বাধ্য করা, নামগুলি বলা, দোষীদের দিকে আঙুল তোলা, টার্গেটগুলিরে খুঁইজা বাইর করা; ক্ষমতার বিপরীতে প্রথম পদক্ষেপ এবং ক্ষমতার এগজিসটিং ফর্মগুলির বিরুদ্ধে স্ট্রাগলের শুরু হইলো এইটা। যদি জেলখানার বাসিন্দারা বা হাজতীদের ডাক্তারদের ডিসকোর্স নতুন ধরনের স্ট্রাগলের একটা ফর্ম বানায়, এর কারণ তারা দখল করতে পারে, খুব অস্থায়ীভাবে হইলেও, জেলখানার পরিস্থিতি নিয়া কথা বলার ক্ষমতাটারে – বর্তমানে, যেইটা জেলখানার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আর তাদের দোস্ত রিফর্ম গ্রুপগুলার একচেটিয়া সম্পত্তি। স্ট্রাগলের ডিসকোর্সটা আনকনশাসের বিপক্ষে না, বরং গোপনীয়তার বিরুদ্ধে। এইটা হয়তো এইরকম মনে হয় না; কিন্তু আমরা যা এক্সপেক্ট করি, যদি তার চাইতে বেশি কিছু হয়? ভুলবোঝাবুঝির একটা পুরা সিরিজ এই বিষয়গুলার সাথে জড়িত, যাদের “বিড করা হইছে” “রিপ্রেসড” আর “না-বলা”র ভিতরে আছে; আর এরা স্ট্রাগলের আসল অবজেক্টগুলির জায়গায় সস্তা “সাইকোএনালাইসিস”রে পারমিট দেয়। সম্ভবত একটা আনকনশাস জিনিসের চাইতে একটা গোপন জিনিসরে খুঁইড়া বাইর করাটা বেশি ডিফিকাল্ট। রিসেন্ট পাস্টে, দুইটা থিমই খুব ঘন ঘন সামনাসামনি হইতেছে, যে, “লেখালেখি রিপ্রেসেড উপাদানগুলিরে তুইলা ধরে” আরেকটা হইতেছে “লেখালেখি অবশ্যই একটা নাশকতামূলক কাজ”, যেইটা অনেক অপারেশনের ক্ষেত্রেই প্রতারণা করতেছে বইলা মনেহয়, এইটারে পুরাপুরি নিন্দা করা দরকার।

 

দেল্যুজ : আপনি যেই সমস্যার কথা কইলেন, সেইটার প্রতি সম্মান দেখাইয়া বলি: এইটা খুব স্পষ্ট যে, কে শোষণ করে, কে মুনাফা বানায়, আর কে শাসন করে, কিন্তু এইসব কিছুর পরেও ক্ষমতা এমন একটা কিছু যা সবদিকে ছড়াইয়া আছে। আমি বরং হাইপোথিসিসটা বলার ঝুঁকি নিবো: মার্কসিজম-এর ঝোঁকটা আছিল স্বার্থের দিক দিয়া আবশ্যিকভাবে বিবেচনা কইরা সমস্যাটারে ডিফাইন করাটা (শাসকশ্রেণী নিজেদের স্বার্থের কারণে ক্ষমতারে ধইরা রাখে)। সাথে সাথে যেই প্রশ্নটা আসে : যাদের স্বার্থ রক্ষা করা হইতেছে না তারা অ্যাকশনের একটা অংশ দাবি করার মাধ্যমে কেমনে বিরাজমান ক্ষমতা-ব্যবস্থাটারে কড়াকড়িভাবে সার্পোট করে? সম্ভবত ইকোনমিক বা আন-কনশাস যে কোন ইনভেস্টমেন্টই হোক, স্বার্থটাই শেষ উত্তর না; এইখানে ডিজায়ারের একটা ইনভেস্টমেন্ট আছে যেইটা আমরা স্বার্থ বলতে যা বুঝি তার চাইতে আরো গভীর এবং ব্যাপকভাবে ফাংশন করে। কিন্তু অবশ্যই, আমরা আমাদের স্বার্থের বিপরীতে গিয়া ডিজায়ার করি না, কারণ স্বার্থ সবসময় অনুসরণ করে আর নিজেরে খুঁইজা পায় সেইখানেই, যেইখানে ডিজায়ার রাখছে তারে। আমরা রাইখ-এর (Reich) চেঁচানিটা বন্ধ কইরা দিতে পারি না: জনগণের সাথে প্রতারণা করা হয় নাই; একটা পার্টিকুলার টাইমে তারা আসলেই একটা ফ্যাস্টিট শাসন চাইছিলো! এইখানে ডিজায়ারের একটা ইনভেস্টমেন্ট আছে যেইটা ক্ষমতার ছাঁচটারে তৈরি করে আর সেইটার ডিস্ট্রিবিউশন করে, এইভাবে এইটা যেমন একজন পুলিশের সম্পত্তিতে পরিণত করে, একই কাজ করে একজন প্রধানমন্ত্রীর লাইগাও; এই কনটেক্সটে পুলিশের আর প্রাইম মিনিস্টারের থাকা ক্ষমতার মধ্যে কোনো গুণগত পার্থক্য নাই। একটা সামাজিক গ্রুপের ভিতর ডিজায়ারের এইসব ইনভেস্টমেন্টের ন্যাচারটা ব্যাখ্যা করতে পারে কেন পলিটিক্যাল পার্টিগুলি বা ইউনিয়নগুলি শ্রেণী স্বার্থের নামে কি কি বিপ্লবী ইনভেস্টমেন্টগুলি করে বা করতে পারে, যেইটা বেশিরভাগ সময়ই রিফর্ম ওরিয়েন্টেট বা পুরাপুরি প্রতিক্রিয়াশীল ব্যাপার, ডিজায়ারের লেভেল থিকা।

 

[youtube id=”Ua4wrcS9u3A”]

 

ফুকো : আপনি যেইরকম বলছেন, নরমালি আমরা যেইরকম ভাবি ডিজায়ার, ক্ষমতা আর স্বার্থের সম্পর্কটা তার চাইতে অনেক বেশি জটিল, কিন্তু এইটা জরুরি না যারা ক্ষমতার ব্যবহার করে তাদের এর এক্সিকিউশন নিয়া একটা স্বার্থ থাকবে; বা এইটা সবসময় পসিবল না যাদের কায়েমী স্বার্থ আছে তারাই পাওয়ার এক্সারসাইজ করবে। তাছাড়া, ক্ষমতার ডিজায়ার ক্ষমতা এবং স্বার্থের মধ্যে একটা সিঙ্গুলার রিলেশন তৈরি করে। ফ্যাস্টিট পিরিয়ডের সময় এইটা হইতে পারে যে, জনগণ চাইছিলো কিছু লোকের কাছে ক্ষমতা যাক, সেই লোকগুলিকে তারা চিনতে পারে নাই, যারা জনগণের বিরুদ্ধে ক্ষমতার প্রয়োগ করেছিলো এবং তাদেরকে নিজেদের বিনিময়ে এর মূল্য দিতে হইছে, তাদের মরণ দিয়া, তাদের স্যাক্রিফাইস দিয়া, তাদের গণহত্যা দিয়া। তারপরেও, তারা এই বিশেষ ক্ষমতাটা চাইছিলো; তারা চাইছিলো যে, এটা এক্সারসাইজ করা হোক। ডিজায়ার, ক্ষমতা আর স্বার্থ-এর এই খেলাটা খুব একটা মনোযোগ পায় নাই। শোষণের বিষয়টা বুঝতে আমাদের অনেক সময় লাগছে; আর ডিজায়ারেরও ছিলো আর থাকতে থাকবে দীর্ঘ একটা ইতিহাস। এইটা সম্ভব যে এখন লড়াইগুলি চলতেছে আর এই লড়াইগুলি থিকা যেই লোকাল, রিজিওনাল, আর বিচ্ছিন্ন থিওরিগুলি আসতেছে আর যেইটা তাদের অবস্থা থিকা আলাদা করা যাইতেছে না, আমাদের আবিষ্কারের গোড়াতেই এই পদ্ধতিটাতে আছে যেইখানে ক্ষমতাটা ব্যবহার করা হইতেছে।

 

দেল্যুজ: এই জায়গাটাতে আইসা আমি আবার সেই প্রশ্নটাতে ফেরত যাইতে চাই: বর্তমান সময়ের বিপ্লবী আন্দোলনগুলি মাল্টিপল সেন্টার তৈরি করতেছে, আর সেইটা দুর্বলতা বা অপর্যাপ্ততার রেজাল্ট না, যেহেতু ক্ষমতার একটা বিশেষ ধরনের টোটালাইজেশন আর রিঅ্যাকশনের ফোর্সগুলি থাকতেছে। (যেমন ধরেন, ভিয়েতনাম, লোকালাইজ কাউন্টার-টেকটিকসগুলির একটা ভালো উদাহরণ)। কিন্তু আমরা নেটওর্য়াকগুলিরে কেমনে ডিফাইন করবো, এইসব অ্যাক্টিভ আর বিচ্ছিন্ন পয়েণ্টগুলির আড়াআড়ি লিংকগুলারে, একটা দেশ থিকা আরেকটাতে বা একটা দেশের ভিতরেই?

 

ফুকো: আপনি ভৌগলিক বিচ্ছিন্নতার যেই প্রশ্নটা তুলছেন, সেইটা হয়তো এই জিনিসটা বোঝায়: যখন আমরা শোষণের বিরুদ্ধে লড়াইটা শুরু করি, প্রলেতারিয়েতরা খালি লড়াইটারে লিডই দেয় না বরং টার্গেটগুলিও ঠিক করে, এর পদ্ধতিগুলি, এর জায়গাগুলি আর মোকাবিলার অস্ত্রগুলিও; আর প্রলেতারিয়েতদের মিত্র হওয়ার মানে তার অবস্থানগুলিরে, তার আদর্শরে আর লড়াই করার উদ্দেশ্যগুলিরে স্বীকার করা। এইটার মানে টোটাল একটা আইডেন্টিফিকেশন। কিন্তু এই লড়াইটা যদি চালানো হয় ক্ষমতার বিরুদ্ধে, তাইলে যাদের উপ্রে ক্ষমতার প্রয়োগ করা হইছিল, ক্ষতি করা হইছিল, যারা এইটারে অসহ্য মনে করছে, তাদের নিজেদের এলাকাতেই এর বিরুদ্ধে লড়াইটা শুরু করতে পারে, তাদের যথাযথ অ্যাক্টিভিটি (বা প্যাসিভিটির মাধ্যমে)। এইরকম একটা লড়াইয়ে জড়িত হওয়া যেইখানে তাদের নিজেদের স্বার্থ জড়িত, যার উদ্দেশ্যগুলি স্পষ্টভাবে বোঝা যাইতেছে আর যার পদ্ধতিগুলি তারা নিজেরা ঠিক করতে পারতেছে, তখন তারা একটা বিপ্লবী প্রসেসের মধ্যে ঢুকতেছে। তারা ন্যাচারালি প্রলেতারিয়েতদের মিত্র হইয়া যাইতেছে; কেননা ক্ষমতা ব্যবহার করা হয় পুঁজিবাদী শোষণ বজায় রাখার লাইগাই। যেইখানে তারা নিজেদেরকে অপ্রেসড হিসাবে দেখে সেই জায়গাগুলিতে লড়াই করার ভিতর দিয়া তারা আসলে প্রলেতারিয়েতের কজ’টারেই সত্যিকারভাবে সার্ভ করে। নারীরা, হাজতীরা, জোর কইরা সেনাবাহিনীতে নেয়া সৈন্যরা, হাসপাতালের রোগীরা এবং সমকামীরা এখন একটা বিশেষ ধরণের লড়াই শুরু করছে ক্ষমতার বিশেষায়িত দিকটার বিপরীতে, যে বাধাগুলি এবং নিয়ন্ত্রণগুলি তাদের উপর চাপানো হইতেছে তার বিরুদ্ধে। এই ধরনের লড়াইগুলি আসলে বিপ্লবী আন্দোলনগুলির সাথে জড়িত, যেইরকমভাবে তারা র‌্যাডিক্যাল, আপোসহীন এবং অ-সংস্কারমুখী, আর একই ক্ষমতার নতুন কোনো বিন্যাসের চেষ্টারে তারা অস্বীকার করে, না হইলে, শাসকদের একটা চেইঞ্জ তারা চাইতে থাকে। আর এই আন্দোলনগুলি প্রলেতারিয়েতদের বিপ্লবী আন্দোলনগুলির সাথে ততদূর পর্যন্তই সম্পর্কিত যতক্ষণ পর্যন্ত তারা নিয়ন্ত্রণগুলির এবং সীমাবদ্ধতাগুলির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, যেইগুলি ক্ষমতার সিস্টেমটারে সার্ভ করে। এই সেন্সে, লড়াইটার মোটামুটি যে চিত্রটা আমরা পাই, আপনি প্রথমে যে টোটালাইজেশন-এর কথা বলেছিলেন এইটা কিন্তু সেইটা না, এই থিওরেটিক্যাল টোটালাইজেশনটা তৈরি হইতেছে একটা “সত্য”-এর ভানের ভিতর। লড়াইয়ের সাধারণ রূপটা স্পেসিফেক্যালি বাইর হইয়া আসে ক্ষমতা ব্যবস্থার ভিতর থিকাই, যেই যেইভাবে ক্ষমতা কর্তৃত্ব করে আর এক্সাসাইরাইজড হয় তার সবগুলি ফর্ম থিকা।

 

দেল্যুজ: আর এর ছড়াইয়া যাওয়া কারেক্টারটারে খুইলা না দিয়া এর প্রয়োগের জায়গাগুলির দিকে আমরা যাইতেই পারি না, এইভাবেই আমাদেরকে আগাইয়া যাইতে হবে – ডিজায়ারের সবচে ইনসিগনিফিকেন্ট ডিমান্ডের বেসিসে, এইটারে পুরাপুরি ধসাইয়া দিতে হইলে। এইভাবে, প্রতিটা রেভিউলেশনারি এটাক অথবা ডিফেন্স, যতোই পার্শিয়াল হোক, ওয়ার্কারদের লড়াইয়ের সাথে যুক্ত থাকে।

 

[youtube id=”T4zQoQ3QUxI”]

 

 

The following two tabs change content below.
Avatar photo
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →