Main menu

বদ্রিয়াঁ’রে ভুইলা যান

বদ্রিয়াঁরে ভুইলা যা

সিলভের্ লোত্রাঁজেজঁ বদ্রিয়াঁ

. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .

 

বদ্রিয়াঁ ১৯৭৭ সালে “ফরগেট ফুকো” নামে একটা লেখা ‘ক্রিটিক’ পত্রিকাতে ছাপানোর লাইগা পাঠান, মিশেল ফুকো তখন ওই পত্রিকার এডিটিং প্যানেলে আছিলেন। সেই লেখা ক্রিটিক-এ ছাপা হয় নাই আর ফুকো লেখাটার কোন রেসপন্সও করেন নাই। পরে বদ্রিয়াঁ ছোট বই বানাইয়া লেখাটা ছাপান। ১৯৮৩ সালে ‘ফরেন এজেন্টস’ সিরিজের আন্ডারে সেমিওটেক্সট পাবলিকেশন এইটা ইংলিশে ট্রান্সলেট কইরা ছাপানোর প্ল্যান করে, কিন্তু ১৯৮৪-তে ফুকো মারা যাওয়ার কারণে একটু লেইট কইরা ১৯৮৭ সালে একটা বই ছাপানো হয়; ‘ফরগেট ফুকো/ফরগেট বদ্রিয়াঁ নামে। বইয়ের একদিক দিয়া বদ্রিয়াঁ’র লেখা আরেকদিক দিয়া  কয়েকটা পার্টে বদ্রিয়াঁ’র একটা বড়সড় ইন্টারভিউ। ওই ইন্টারভিউ’টার লাস্ট পার্ট এইটা। ২০০৭ অনুবাদটা করছিলাম, এইখানে এডিট করলাম আবার।[pullquote][AWD_comments][/pullquote]

বদ্রিয়াঁ’র পজিশনটা ফুকো’র বেসিক প্রিমাইজগুলিরেই বাতিল কইরা দেয়। ফুকো যেইখানে এক একটা টাইমে এক একটা নরমালিটি’রে আইডেন্টিফাই করেন, সেইখানে বদ্রিয়াঁ’র পয়েন্টটা হইতেছে যে, নরমালিটি বইলা অ্যাজ সাচ কিছু নাই। যেইখানে একটা থিওরি’র সম্ভাবনার কথা ফুকো বলেন, বদ্রিয়াঁ’র কথা হইতেছে, থিওরি’র কোন দরকারই নাই; কারণ কোন একটা রিয়ালিটির কল্পনা ছাড়া থিওরি এগজিস্ট করতে পারে না, রিয়ালিটি বইলা তো কিছু নাই। রিয়ালিটি হইতেছে থিওরি’রই একটা সিমুলেশন। একটা রিয়ালাটির কল্পনা ছাড়া কোন থিওরি এগজিস্ট করতে পারে না।

যে কোন থিওরি’রেই তার একস্ট্রিম লেভেল পর্যন্ত নিয়া গেলে দেখা যায়, ওইটার কিছু থাকে না আর। থিওরিরে নিয়া  বদ্রিয়াঁ এই কাজটাই করেন, দেখান যে, থিঙ্ক অফ ইটস অউন বইলা কিছু নাই। আপনি বা আমি এর ক্ষেত্রে ফুকোর ইনকোয়ারিটা হইতেছে কোন কোন ডিসকোর্সের ভিতরে কিভাবে এইটা কনস্ট্রাক্ট হইতেছে; দেল্যুজ এই কনসেপ্টগুলির ফ্লোটিংনেসটারে তাদের মুভমেন্টগুলিতে লোকেট করতেছেন আর  বদ্রিয়াঁ তাদেরকে শেষ পর্যন্ত টাইনা নিয়া দেখাইতে চান এইখানে কোন আপনি বা আমি নাই।

মুশকিল হইতেছে, এই ‘না-থাকাটারে’ নিয়া কি করবো আমরা? তেমন কিছুই করার নাই আসলে। আছে বইলা যা ভাবি সেইটা যে কেমনে নাই হইতেছে সেইটা বুঝতে পারলে হয়তো ঘটনা কেমনে ঘটতেছে সেই জায়গাটার একটা আন্দাজ পাইতে পারি। আর বদ্রিয়াঁ’র রিডিং থিকা আমার আন্দাজটা এইরকম যে, ট্রুথ বলার ট্রাই করার চাইতে কি কি ইল্যুশনের ভিতরে আমরা আছি সেইটা বলাটা মোর এফেক্টিভ হইতে পারে।

————————————————

 

সিলভের্ লোত্রাঁজে: নিটশের মতে, ফিলোসফারের কাজ হইলো অ্যাকশনের অর্থ বাইর করা। তার কাজ হইলো সমাজের ভিতরের শক্তিগুলি একটা আরেকটার সাথে যে মোকাবিলা করতেছে সেইটারে অ্যাক্টিভলি ইভালোয়েট করা। অন্যদিকে, আপনি, কইলেন যে, “সামাজিকতা শেষ হইছে।” i একটা জটিল রিয়ালিটিরে আপনি একটা অ্যাবস্ট্রাকশনের ভিতর হাইপোথাইজ করলেন, অ্যাবস্ট্রাকশনটারে সাথে সাথে একটা আনরিয়ালিটি’তে ফেরত পাঠানোর লাইগা। কিন্তু আপনি সামাজিকতারে যদি একটা এম্পটি ফর্মের শেষ বইলা ভাবেন, তাইলে, থিওরি’র কি দরকার আর থাকে?

জঁ বদ্রিয়াঁ: সামাজিকতা যদি কখনো থাইকাও থাকে, এইটা সমাজের একটা রিপ্রেজেন্টেশন হিসাবে না, বা কোন পজিটিভ সেন্সেও না; বরং থাকে বিষয়গুলির রিয়ালিটির প্রতি একটা চ্যালেঞ্জ হিসাবে, একটা বিষাক্ত মিথ হিসাবে। জর্জ বাতাই এইভাবেই সোসিওলজি’রে দেখেছিলেন: সামাজিকতা আর সমাজের খাঁটি প্রকৃতির প্রতি একটা চ্যালেঞ্জ হিসাবে।

এল.: কিন্তু সামাজিক যদি এইরকম ওজনহীনই হইয়া থাকে, তাহলে মিথ কি আক্রমণ করে? আর কি কারণে করে?

বি.: আমি স্বীকার করি যে, থিওরি’র প্রশ্ন আমারে বিরক্ত করে। আজকে থিওরি কই? এইটা কি পুরাপুরি সেটেল হইছে? থিওরি কি ওই এলাকাগুলিতে ঘুরপাক খাইতেছে যেইখানে তার ফ্যাক্টগুলি নিয়া কিছুই করার নাই?  অ্যানালাইসিস কি জিনিস?

যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি ধইরা নিতেছেন যে, রিয়েল দুনিয়া বইলা একটা ব্যাপার আছে, ততক্ষণ থিওরি’র একটা জায়গা আছে, তর্কের খাতিরে বলা যাক একটা ডায়ালেকটিক্যাল পজিশন আছে। তাইলে একটা পয়েন্টে আইসা থিওরি আর রিয়ালিটি’রে অদল-বদল করা করা সম্ভব – আর এইটা হইতেছে আইডিয়াল ব্যাপার। এইক্ষেত্রে, এই দুইটার মাঝখানে তারপরও একটা কন্টাক পয়েন্ট থাকে: দুনিয়াটারে আপনি বদলাইতে পারেন, আর থিওরি দুনিয়ারে বদলাইতে পারে…

এইটা কোনভাবেই আমার পজিশন না আর। আরো কথা হইলো, এইটা কোনসময়ই আমার পজিশন আছিলো না। কিন্তু আমি এইটারে কোনসময়ই ফর্মুলেট করতে পারি নাই। আমার মতে, থিওরি হইতেছে রিয়ালের প্রতি সিম্পলি একটা চ্যালেঞ্জ; একটা চ্যালেঞ্জ দুনিয়ার থাকার লাইগা; অনেক সময়, এর অতিরিক্ত, গড-এর থাকার প্রতি একটা চ্যালেঞ্জ।

ধর্ম, প্রথমদিকে, তার খারেজি পর্বে, সবসময় ছিল একটা অস্বীকার – অনেক সময় ছিল একটা হিংস্র কিছু – রিয়েল দুনিয়ার প্রতি, আর এইটাই তারে শক্তি দিছিল। পরে, একটা আনন্দ বা রিয়ালিটির নীতির চাইতে ধর্ম হইয়া উঠছে মীমাংসার একটা প্রক্রিয়া। তো, এইটা থিওরি’র ক্ষেত্রেও সত্যি: একটা থিওরি রিয়ালিটির সাথে নিজের মিটমাট করার একটা চেষ্টা করতে পারে। আর তারপর এইখানে একটা নীতি আছে বিরোধিতার, কোনসময়ই না মিলাইতে পারার, অনেকটা মেনিশিয়ান বিরোধিতা। আপনি চ্যালেঞ্জের একটা পজিশন নিয়া থাকেন, যেইটা আনরিয়ালিটির চাইতে আলাদা।

এল.: তারপরও, আপনি কি একদম এইটাই করেন না: কোন সীমানারে লিমিটের দিকে ঠেইলা দিয়া তারে আনরিয়েল কইরা তোলেন না?

বি.: কিন্তু আমি রিয়ালিটির উপ্রে কোন পজিশনরে ধইরা রাখি না। রিয়ালিটি বইলা কিছু নাই। এইটা হইতেছে থিওরি’র পার না হইতে পারার একটা লিমিট।  জিনিসগুলির অবজেক্টিভ কোন অবস্থানটা রিয়ালিটি না, এইটা হইতেছে সেই পয়েন্ট যেইখানে থিওরি কিছুই করতে পারে না।

এই কারণেই খালি থিওরি ব্যর্থ হয় না। রিয়েল হইতেছে আসলে থিওরি’র প্রাসাদের প্রতি একটা চ্যালেঞ্জ। ওই পয়েন্টটাতে, থিওরি আর থিওরি থাকে না, সেইটা নিজেই ঘটনা। এইখানে কোন রিয়ালিটি নাই যার প্রেক্ষিতে থিওরি অনুগামী বা বিরোধী হইয়া উঠতে পারে। বরং, বস্তুর অবজেক্টিভিটি’টারেই আমাদের প্রশ্ন করা দরকার। এই অবজেক্টিভিটি’টা কি জিনিস? এই তথাকথিত “বাস্তব দুনিয়ায়”, ঘটনাগুলি কি একটা বিচ্যুতির মাধ্যমে, একটা ঘুরাপথে, একটা বাঁকানোর ভিতর দিয়া ঘটে না, যেইটা কোনভাবেই বিবর্তনের লিনিয়ার লাইনের মতো না? সিসমিক টার্মে কইতে গেলে, সর্বনাশগুলির থিওরি’র ভিতরেই থাকে, আমাদেরকে হয়তো সইরা যাইতে থাকা প্লেটগুলির একটা মডেল তৈরি করা লাগবে। এই সিসমিকটাই হইতেছে আমাদের ফর্ম, রেফারেন্সগুলির পিছলাইয়া যাওয়া আর সইরা যাওয়াটা, ইনফ্রাস্টাকচারের শেষটা। এইখানে  শিফট কইরা যাওয়ার নড়াচড়াগুলি ছাড়া আর কিছুই বাকি নাই, যেইটা খুবই শক্তিশালী, র ঘটনাগুলিরে জাগাইয়া তোলে। ঘটনাগুলিরে আর রেভিউলেশন হিসাবে বা সুপারস্ট্রাকচারের এফেক্ট হিসাবে দেখার কোন উপায় নাই, বরং ফাটা এলাকাগুলিতে, আন্ডারগ্রাউন্ড জায়গাগুলিতে পিছালাইয়া গিয়া ঘটনাগুলি ঘটে। প্লেটগুলির মধ্যে মহাদেশগুলি একটা আরেকটার সাথে মিইলা থাকে না, নিচ দিয়া ওরা পিছলায় আর একটা আরেকটার উপরে উইঠা যায়। জিনিসগুলির জিওগ্রাফিতে কি ঘটনা ঘটতেছে সেইটা বলার কোন রেফারেন্স সিস্টেম নাই। আমরা খালি একটা জিওসিমেট্রিক ভিউ পাইতে পারি। একটা সমাজের তৈরি’র ক্ষেত্রেও হয়তো এইটা সত্যি, একটা মানসিকতা, একটা ভ্যালু-সিস্টেম তৈরি’র ক্ষেত্রেও। জিনিসগুলি মুখামুখিভাবে মিলে না, অরা একটা আরেকটার উপরে পিছলাইয়া পড়ে।

সবাই দাবি করে  “রিয়ালিটির মধ্যে আছে”। কিন্তু রিয়ালিটি পরখ করার নিশ্চিত কোনকিছু নাই। রিয়ালের ভিতর কিছুই ঘটে না।

এল.: তাইলে আপনার কাছে, থিওরি হইতেছে তার নিজস্ব আর একমাত্র  রিয়ালিটি

বি.: একটা নির্দিষ্ট পয়েন্টে আমি ফিল করছিলাম – অনুমান করছিলাম যে, থিওরি এবং সোশ্যাল প্রাকটিসগুলি আসলে সেইখানে আছে – যেইটা আমি শুরু করছিলাম একটা ট্রাজেক্টরিতে, সেইটা আরো সইরা যাইতেছিল, অ্যাসিমপটিক, ii হয়া উঠতেছিল। রিয়ালিটির এই জিক-জ্যাক লাইনটারে ধরার চেষ্ট করাটা ভুল হবে;  এইটারে আপনার শেষ পর্যন্ত দৌড়াইয়া নিয়া যাইতে হবে। তখন, রিয়ালিটি নিয়া কোন একটা অভিযোগ আইসা পড়ে; আমরা পুরা যাচ্ছে-তাই একটা অবস্থায় পইড়া যাই, কিন্তু এইটার ভিতর থিকা এর একটা দরকার আছে যেইটা অস্বীকার করা যায় না।

এল.: আমি ভাবতেছি থিওরি’র নিজেরই এক রকমের স্থানীয় “পিছালাইয়া” কি নাই থিওরি যখন তার নিজের লজিক ফলো করে, নিজেরে মিলাইয়া ফেলতে পারে, তখন এইটা হারাইয়া যায় এইটা তার নিজের বাতিলের কাজটা শেষ করে    

বি.: হ, আমি বিশ্বাস করি যে এইটা সত্যি। থিওরি কি (আমি যা করছি সেইটা নিয়াই আমি কইতেছি) বানাইতে পারে, একটা মডেল না, একটা ঘটনার ইউটোপিয়ান, মেটাফরিক্যাল কোন রিপ্রেজেন্টেশন, যদি তার ট্রাজেক্টরি’র পুরা সাইকেলটা কমপ্লিট হয়ও? আমি বিশ্বাস করি, থিওরি’র একটা ডেসটিনি আছে, একটা বাঁক, যেইটা থিকা আমরা পালাইতে পারি না। আপনি জানেন, আমি সবসময় আইডিয়া নিয়া আসতে পারি, কিন্তু এরপরে তাদেরকে হারাইয়া ফেলার লাইগা আমি তাড়াহুড়া করি। এইটা সবসময়ই আছে গেইমটার মধ্যে। ভালো কইরা কইতে গেলে, একটা ঘোর-লাগা ছাড়া আর কিছুই থাকে না। যদি এই গেইমটা না থাকে তাইলে লেখালেখি করার, বা থিওরাইজ করার কোন আনন্দ নাই।

এল.: থিওরি, হারাইয়া যাওয়ার আনন্দ হিসাবে… কিছুটা আত্মঘাতী না, ব্যাপারটা?

বি.: এইটা আত্মঘাতী, তবে একটা ভালো দিক দিয়া। হারাইয়া যাওয়ার একটা আর্ট আছে, একটাভাবে এইটারে বান্ধা আর এইটারে শান্তির একটা জায়গাতে নিয়া যাওয়া। থিওরির ক্ষেত্রে আমি এই জায়গাটাতেই ওস্তাদ হইতে চাইছি।

এল.: থিওরি নিজের ভিতরেই ফাটে

বি.: থিওরি একমাত্র তখনই নিজের ভিতরে ফাটতে পারে যখন সে তার নিজস্ব অর্থরে আত্মস্থ করে, এরপরে সে তার নিজের হারাইয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে ওস্তাদিটা করতে পারে। আসলে, আমাদেরকে ফিরা ফিরা তাকায়া দেখতে হবে কি অর্থগুলি আমরা তৈরি করতেছি। একটা ভয়েড সৃষ্টি করা ইজি না, বাইরের চাপে ভিতর থিকা ফাইটা যাওয়ার লাইগা একটা গিট্টু লাগানোটা। আর এইটা ছাড়াও, এর চারপাশে বিপর্যয়গুলি তো আছেই। সুইসাইড পর্যন্ত না গিয়া আমরা কি রিয়েলের বিস্ফোরণটা ঘটাইতে পারি? অন্যদের সাথে আমাদের রিলেশনের ক্ষেত্রে, আমরা ক্রমাগত হারাইয়া যাওয়ার প্রসেসটা নিয়া খেলি, আমাদেরকে দুর্লভ করে তোলার মাধ্যমে না, বরং অন্যদেরকে চ্যালেঞ্জ করি আমাদেরকে আবার দেখার লাইগা। এইটাই হইতেছে “সিডাকশন”: ছড়াইয়া যাওয়ার বা জিতার কোন প্রসেস না, বরং খেলাটার ফাইটা পড়ার প্রসেস এইটা।

এল.: আপনি আসলে এমনভাবে থিওরাইজ করতেছেন যেভাবে জুয়ারীরা ক্যাসিনোতে যায়। কনসেপ্ট নিয়া খেলতে গিয়া মনে হইতেছে আপনি একটা ফাইজলামির আনন্দ পান, আপনি যে এইটার কারণে হাইরা যাইতে পারেন এইটা নিয়া কোন ফিলিংসই নাই একটা থিওরেটিক্যাল অবজেক্ট, যেমন ফুকো’তে iii আপনি ঝাঁপাইয়া পড়েন একটা ঠান্ডা প্রেম নিয়া আর সেইটারে তার নিজস্ব জায়গাটা থিকা পুরাপুরি বিচ্ছিন্ন কইরা দেন…

বি.: অবশ্যই, বাজি ধরার কিছু আনন্দ তো থাকতে হবে, যেইটা আসলে ভবিষ্যত দেখতে পারার আনন্দ না অথবা আমি মনে করি, পুরাপুরি বিনাশেরও না (ক্ষয় করার লাইগা ক্ষয় করা)। সংক্ষেপে, একটা বিকৃত আনন্দ। আসলে থিওরিরে অবশ্যই খেলতে হবে একটা চান্সের খেলা হিসাবে।

jean-baudrillard-sociologist-a-negative-judgment-gives-you-more

এল.: জুয়ার গোপন কথা, আমরা মানি যে, টাকা বইলা কিছু নাই। থিওরি’র সাথে সত্যের সর্ম্পকের ক্ষেত্রেও কি এই জিনিস খাটে?

বি.: থিওরি’র গোপন-কথা, অবশ্য যে, সত্য বইলা কিছু নাই। যে কোনভাবেই আপনি সত্যের মুখোমুখি হইতে পারবেন না, খালি কিছু উত্তেজনাকর যুক্তি নিয়া খেলতে পারেন। সত্য এমন একটা জায়গা তৈরি করে যেইটা কখনোই দখল করা সম্ভব না। পুরা স্ট্রাটেজীটা এইটারে দখল করারও না বরং এর চারপাশে কাজ করা যাতে অন্যরা এইটাতে ধরা পড়ে।

এল.: থিওরি যদি কোনকিছু দখল করতে না পারে, টা কি এটলিস্ট জিনিসগুলির বিপর্যয়ের দৃষ্টিভঙ্গিটারে  আন্দাজ করতে পারে বা আগাইতে আনতে পারে ?

বি.: রিলকে যেইরকম কইছেন, ঘটনাগুলি সবসময় আমাদের আগে চলে, যেই কারণে তারা সবসময় আনপ্রেডিক্টেবল। এইটারে আমরা কোনভাবেই এড়াইতে পারি না যেহেতু ডিসকোর্স সবসময় মেটাফোরের এলাকার মধ্যে আছে। আগের দেখা অস্পষ্ট জিনিসগুলিই ইউজ করতে বাধ্য আমরা। যখন আমরা একটা সত্যের দাবি করি, তখন আমরা খালি অর্থের প্রভাবগুলিকে একটা  আগে থিকা থাকা মডেলের ভিতর চূড়ান্ত দিকে ঠেইলা দেই।

এল.: সব ধরণের রেফারেন্স স্টিটেম থিকা আপনি নিজেরে বিচ্ছিন্ন করতেছেন, কিন্তু রেফান্সশিয়ালিটি থিকা নাআমি বিশ্বাস করি না যে, আপনি যেইটারে রিয়ালিটির প্রতি চ্যালেঞ্জ বইলা বর্ণনা করতেছেনসেইটা থিওরির ইন্টারনাল কোন চ্যালেঞ্জআপনি জেনোলজিক্যাল ভঙ্গিমাটার  (ফুকো) বা লিবিনাল অবস্থানটারে (গিলেজ দেল্যুজ, ফেলিক্স গুট্টেরী) সমালোচনা করেন নাই,, আপনি উনাদেরকে টপসের মতোন ফালায়া দিছেনযেই মুভমেন্টটা উনাদেরকে চালু রাখে আপনি পুরাটারে জড়ায়া ধরেন, তাদের কনসেপ্টগুলিরে সর্বোচ্চ পর্যন্ত অ্যামপ্লিফাই করেন, আপনার নিজস্ব ঘূর্ণি মধ্যে টাইনা তোলেনলেভি-ত্রস্ত মিথগুলির প্রতি যেই ট্রিটমেন্টটা করেন সেইরকম একটা অন্তহীন ঘূর্ণির মধ্যে আপনি তাদেরকে নিয়া আসেন, একটু একটু কইরা তাদের নিজেদের শেষ হওয়ার দিকে নিয়া যান

বি.: এইটা ঠিক কথা। থিওরি শেষ হইছে। এটার আর কোন মেয়াদ নাই। এইটা এক ধরণের মুইছা যাওয়া।

এল.: থিওরি’রে আপনি তার লিমিটের দিকে ঠেইলা দিয়া, আপনি তারে হাইপার-রিয়াল কইরা তোলেনথিওরির যদি কোন সারবস্তু থাকে আপনি সেইটারে বাইর কইরা নেন, আর তারপরে আপনি একটা ঝুইলা থাকা বডি’র মতো পিছনে রাইখা “এইটা্রে ভুইলা যাইতে” পারেন এমনকি আপনি রিয়েল’রে সিমুলেটও করেন না, খোদার উকিলের রোলটা প্লে করেন, থিওরির অশুভ প্রতিভা হিসাবে ফুকোর চাইতে বেশি ফুকোডিয়ান, উনার মাইক্রোফিজিক্সরে আপনি উবাইয়া দেন; দেল্যুজ আর গুট্টেরি’র চাইতে আপনি বেশি সিজো  [schizo], তাদের প্রবাহের মধ্যে আপনি দুই পা দিয়া দাঁড়ায়া থাকেন, কোন স্থির হওয়ার জায়গা দিতে অস্বীকার করেন আপনি সেই মেটাফিজিশিয়ান হইতে চান না যেইভাবে আপনি চান লোকজন আপনারে নিতে চায় – আপনি একজন মেটা-থিওরেশিয়ান থিওরি’র একট “সিমুলেটর” এইটা আজিব না যে থিওরেশিয়ানরা আপনারে একজন উস্কানিদাতা এজেন্ট  হিসাবে দোষ দেয়আপনি থিওরেশিয়ান না, আপনি বাজে। আপনি থিওরির সুরটারেই চেইঞ্জ করেন আর তারে অনিশ্চিত কইরা তোলেন। আপনি এইটারে একটা অনুগ্রহের মধ্যে ফালায়া দেন যার ভিতর দিয়া আপনি দুনিয়ারে বলেন আপনারে ফলো করতে

বি.: থিওরি নিজেই একটা সিমুলেশন। অন্তঃত যেইভাবে আমি এইটারে ইউজ করি। সিমুলেশন আর চ্যালেঞ্জ, দুইটাই।

এল.: কনসেপ্টগুলিরে আপনি তাদের নিজস্ব ফাঁদে ধইরা ফেলেন সততা দিয়া প্রতিটা নিশ্চিতিরে বাতিল কইরা দেন এইটা হইতেছে “হিউমার” এর পজিশন, দেল্যুজ যেইটারে থিওরাইজ করছেন আপনি যদিও হিউমার’রে থিওরাইজ করেন নাই, আপনি থিওরিরেই হিউমারাইজ করছেন আপনি চাকরের প্রায় না দেখতে পারার মতো ধৃষ্টতাটারে নেন যে তার মালিকরে (তার ইন্টেলেকচুয়াল মালিকদেরকে) চ্যালেঞ্জ করে তারে সিরিয়াসলি নেয়ার লাইগা

আপনারে ধাপ্পাবাজ বলার মানে আপনার গেইমের ফাঁদে জড়ায়া পড়া, কিন্তু আপনার চ্যালেঞ্জটারেড়াইয়া যাওয়া মানে আপনারে আরো আগাইয়া দেয়া যাদেরকে আপনি প্রেতাত্মা বানায়া দিছেন তাদেরকে আপনি “ভুইলা” যান, কিন্তু আপনি নিজেরে কখনো ভুলতে দেন না। এক্ষেত্রে আপনি হইতেছেন একদম মিডিয়ার মতো। এইটারে আপনি এতো ভালোভাবে বুঝতে পারেন কারণ আপনি নিজেও এর মধ্যে ইনক্লুডেডআপনারা দুইজনেই একই খেলাটা খেলেন, দুইজনে একই স্ট্রাটেজিটা ইউজ করেন। মিডিয়া নিয়া আপনি কিছু কন না, মিডিয়া আপনার ভিতর দিয়া কথা কয় খনই আপনি আপনার থিওরেটিক্যাল স্ক্রিণটা অন করেন, ইতিহাসের মহান মিথগুলি একটা সোপ অপেরা অথবা সিরিয়ালগুলিতে বদলাইয়া যায়, লেভি-তস্ত্র হয়তো এইরকম বলতেন। আপনি তাদেরকে এতোটা ভালোভাবে বিশ্লেষণ করতে পারেন যে, টিভি হলোকাস্টএর ভাগ্য শেয়ার করার জন্য তৈরি করেন।iv

বি.: ইতিহাসরে আমি অস্বীকার করি না। এইটা একটা বিশাল খেলনা।

এল.: হ্যাঁ, যদি আপনি আঠার মতো স্ক্রীণের সাথে লাইগা থাকেন, ইমেজগুলি দিয়ে চুষা হইয়া যান বা পাতলা ছ্যাবলামি দিয়া মুগ্ধ হয়া থাকে

বি.: মিডিয়া ইউনিভার্স হইতেছে আমাদের এন্টি-গন্তব্য। যেইখানে সত্যিকারভাবে ঘটনাগুলি ঘটতেছে সেই ফাটলগুলি বা সর্বনাশের জায়গাগুলিতে পৌঁছাইতে হইলে কেমনে যে মেন্টাল লাফটা দিতে হবে সেইটা আমি জানি না।  সম্মিলিতভাবে, আমরা ইনফরমেশনের রেডিও-অ্যাকক্টিভ পর্দার পিছনে আছি। এই পর্দার পিছনে চইলা যাওয়াটা আর সম্ভব না, এর চাইতে নিজের ছায়ার উপর লাফাইয়া পড়া যাইতে পারে।

এল.: আপনি সেইসব অল্প কয়েকজন চিন্তাবিদদের একজন যে মিডিয়ার গোরগোন-এর  ভিতরে থিকাই এর মুখোমুখি হইছেন, প্যারালাইজড হওয়ার ঝুঁকি নিয়াইএরপরও, আপনিও, আপনার নিজস্ব মোহটাতে ডুইবা থাকার লাইগা একটা বিপক্ষতারে চান। মিডিয়া এইটার পার্টনার হইতে পারে না, যেহেতু আপনি নিজেই স্ক্রীণটার পিছনে আছেন, রিয়ালিটিও হইতে পারে না, যেইটারে আপনি অনেক পিছনে রাইখা আসছেন থিওরিটাই হইতেছে পার্টনার থিওরিটারে হঠাৎ কইরা মোড় ঘুরাইয়া দেয়ার লাইগা আপনি প্যারাডক্সের চাষাবাদ করেন, এর ভিশনটারে তছনছ কইরা দেয়ার লাইগা, এর নিজের সিরিয়াসনেসের কার্ডগুলি খেইলা আর দেখাইয়া দিয়া একটা ক্রাইসিসরে নিয়া আসেন – যে, আমার মনেহয়, এইটা আপনার একটা আনন্দ, মেবি একমাত্র আনন্দ, বা একমাত্র সোশ্যালাইজেবল জিনিস…

বি.: আমি স্বীকার করি যে, এই হঠাৎ কইরা চেইঞ্জ করার ব্যাপারটারে জাগাইয়া তোলাতে আমি খুব মজা পাই। কিন্তু এরপরে লোকজন সাথে সাথেই জিজ্ঞাসা করে, “এইটা দিয়া আমরা কি করতে পারি?” সবকিছুর পর এইটা নির্ভর করে একটা অসামান্য চাতুরির উপরে। এইটা থিকা কিছুই পাওয়ার নাই।

 

 

The following two tabs change content below.
Avatar photo
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →