ইমেজ রিডিং নিয়া কয়েকটা কথা
সাভারে রানা প্লাজা বিল্ডিংটা ভাইঙ্গা পড়ার পরে তসলিমা আকতার একটা ছবি তুলছিলেন, খুব ছড়াইছিলো ছবিটা, প্রাইজও পাইছিলো মনেহয় একটা বা কয়েকটা। [pullquote][AWD_comments][/pullquote]
তো, অই ছবিটা’তে একজন বেটা একজন বেটিরে জড়ায়া ধইরা ছিলো। ছবি’র অ্যাঙ্গেলটা দেইখা পয়লাই মনে হবে, পিরীতের ছবি এইটা। (মরণ কালে যেন বন্ধু একবার তোমায় পাই… মুজিব পরদেশী’র এই গানও মনে হইতে পারে। যেন সাকসেকফুললি স্যাটিসফাইড হইতেছে, গানের ডিজায়ার। মানে, গানের উথাল-পাতাল ইমোশনটার একটা প্রজেকশন পাইতে পারেন ছবিটাতে, এইটা খুবই পসিবল হইতে পারে। ) ফটোগ্রাফার মেবি নাম দিছিলেন – “Final Embrace”। কিন্তু উনি এমনিতে যা-ই কন বা ক্যাপশন দিয়াও যা কইবেন তার চাইতে বেশি তো কইতে চাইবেন উনার ক্যামেরা দিয়াই। এমনিতে একটা সাইটে ক্যাপশন দিছে – A couple holding each other while collapsed under Rana Plaza.
অ্যা কাপল! 🙂
ইমেজের মিনিং তো একটা স্ট্রাইক করবে আপনার মনে অ্যাজ অ্যা ভিউয়ার, অ্যাজ অ্যা অডিয়েন্স। তো, একটু ডিফেন্সিফ হইলে বা পিরীতি নিয়া না ভাবতে চাইলে ‘মানবতা’র (হাসির ইমোটা দিবো কিনা কনফিউজড একটু) ছবি হিসাবেও হয়তো ভাবা যাইতে পারে। যে, মরা’র সময় দুইজন দুইজন’রে আঁকড়াইয়া ধরছে। একটু ডিফিকাল্টই এই ইমাজিনেশনটা। অবশ্য তারাশঙ্করেরই মনেহয় একটা গল্প আছিলো, তারিনী মাঝি বা এইরকম কোন নাম (সরি, ঠিক রেফারেন্স দিতে পারতেছি না বইলা, কিন্তু এইরকম একটা গল্প যে উনার আছে, আমি শিওর), যেইখানে বিলাভেড বউ নৌকা ডুইবা যাওয়ার টাইমে যখণ জামাইরে ধরতে গেছে বাঁচার লাইগা তখন তারে চুবায়া না মারলেও জোর কইরা তারে ছাড়ায়া নিছিলো জামাই বাঁচার লাইগা। [আওয়ামী ইন্টেলেকচুয়াল’রা আবার পইড়া রাখতে পারেন, গল্পটা।] তো, মরা’র সময় পিরীতি ছাইড়া দিয়াও যখন কেউ বাঁচতে চাইতেছে, তখন ‘মানবতা’র কথা ভাইবা, ‘লও, এক লগে জড়াজড়ি কইরা মরি’ ব্যাপারটা ঠিক যুইতের হওয়ার কথা না।
[youtube id=”HMU1r4LUvNw”]
বা পিরীতি না, মানবতাও না, কলিগই উনারা, খুবই দরদী দোস্ত না হইলেও। পাশাপাশি মেশিনে বইসা কাজ করতেছিলেন। বিল্ডিং ভাঙ্গার পরে এমনে পইড়া রইলেন, মরা। কিন্তু ব্যাপারটা অ্যাকসিডেন্টাল বইলা ভাবলে সেই ফিলিংস ক্রিয়েট করতে পারা’র কথা না, যেইটা পিরীতি বা মানবতার ভাবনাটা যতোটা ইনটেন্স করতে পারে। বরং এইরকম ভাবতে পারাটা ছবিটারে আন-অ্যাট্রাক্টিভ কইরা তোলার কথা, অনেক বেশি।
তেসরা, গার্মেন্টেসের ওয়ার্কিং এনভায়রনমেন্টের ফ্যাক্টগুলির কথা যদি ভাবেন, সেক্সুয়াল হ্যারেসমেন্ট, আ-কথা, কু-কথা শোনানো, গায়ে হাত দেয়া… এইরকম কোন মোমেন্টের কথা ভাবতে রাজি করানোটা খুবই মুশকিলের হওয়ার কথা, পারর্ভাশনও মনে হইতে পারে যে, এই ইমাজিনেশন যে করবো তারে। মানে, নিজেরে কি রাজি করাইতে পারবো আমরা, এইরকম ভাবার লাইগা? আমরা কি কি ভাবতে পারি, সেই ভাবনার সীমানাটা কদ্দূর? সোশ্যাল স্টিগমাগুলি তো আছে। অতদূর তক কি যাইতে পারবো আমরা? যাওয়াটা কি ঠিক হবে? এইটা ভাবতে পারা’র এনাফ ফ্যাক্ট থাকার পরেও ভাবলে নরমাল বইলা কি ভাববো আমাদেরকে, লোকে (মানে, লোকজনের যে ধারণা’টা আছে আমাদের মনে, সেইটা থিকা)?
অথচ, সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ারের ছবিটার কথা ভাবতে পারেন যেইখানে একজন সোলজার একজন নার্সরে কিস করতেছে। রোমান্টিক প্রেমের জিনিস হিসাবেই পারসিভড হইছে ওইটা, মলেস্টেশনের ঘটনা না। এইখানে ওয়ার হিস্ট্রির ইমেজটাও কন্সিডার করা দরকার। এই ছবিটার মিনিং আছিলো সেলিব্রেশন অফ ওয়ার। মরা মানুষের ছবি দিয়া ওয়ার হয় না। জিইতা ফিরা আসা দিয়াও হয় না। ফিরা আইসা কাউরে চুমা খাইয়া সেইটারে সেলিব্রেট করা লাগে।
নটিংহিল সিনেমার লাস্ট সিন’টাও দেখতে পারেন, যেইখানে নায়ক নায়িকা’র ‘মিলন’ হয়া যাওয়ার পরে, মানে, তারে ‘পাইয়া’ গেছে (আজিব এক ঘটনা এই ‘পাইয়া’ যাওয়াটা) এইটা কনফার্ম হওয়ার পরে নায়কের এক বেটা ফ্রেন্ড লগে দাঁড়ানো এক জার্নালিস্ট বেটিরে চুমা খায়া ফেলে। ওই বেটি একটু থতমত খায়, তারপরে বুঝতে পারে, সেলিব্রেশন যে, ‘প্রফেশনাল’ ফ্রেন্ডলি বিহেভ করার ট্রাই করে। কারণ, সেলিব্রেশন করা লাগে তো, এইভাবে। ইমেজে, সিনেমাতে দেখতেছি তো আমরা!
[youtube id=”xn4u-guwxfs”]
এখন হলিউডি সিনেমা’তে যেইরকম সেলিব্রেশন, টাইম ম্যাগাজিনের যেই ওয়ারের সেলিব্রেশন সেইটা নেসেসারিলি আমাদের সোসাইটিরও সেলিব্রেশন হইতে হবে, সেইটা ভাবার কোন কারণ নাই। মুসলমানি বা হিন্দু বিয়ার কথা বাদ দেন, ইভেন খ্রীষ্টানি বিয়াতেও এই দেশে ‘নাউ ইউ মে কিস দ্য ব্রাইড’ কইয়া পাবলিকলি চুমা খায় কিনা, আমি ডাউটফুল। (আনফরচুনেটলি দেশের গীর্জাতে বিয়া করছে বা দেখছে এইরকম কোন খ্রীষ্টান ফ্রেন্ড আমার নাই, থাকলে জিগায়া নিতে পারতাম।) মানে, এইটা রীতি-রেওয়াজ হিসাবে আমাদের সোসাইটি’তে অড-ই হওয়ার কথা। বা ধরেন, খ্রীষ্টান হইতে পারলে বউ’রে পাবলিকলি চুমা খাওয়া যায়, এই কারণেও অনেকে খ্রীষ্টান হইতে চাইতে পারতেন তো! কিন্তু সেইটা না করতে পাইরা সোসাইটি’রে বে-দরদী ভাবতে হয়।
[বাছবিচারের এই লেখাটা মেবি রিলিভেন্ট হইতে পারে, এই জায়গাটায়।]
রেগিংও তো সেলিব্রেশন, একস্ট্রিম যদিও। কিন্তু যে কোন সেলিব্রেশনই কোন না কোন পজেশনের ভিতর দিয়াই ঘটে, এই পজেশনের জায়গায় রিলেশনশীপও খালি ইনক্লুডেডই না, সিগনিফিকেন্ট একটা ইলিমেন্ট, বরং।
—————————————————-
এইটা নিয়া ভাবছিলাম কয়দিন আগে ছাত্রলীগের (ছাত্র শিবিরের চাইতেও বাজে একটা নাম হইতে যাইতেছে এইটা…) পোলামাইয়া’রা যখন ঢাকা ইউনির্ভাসিটি’র ভিসি’রে বাঁচাইতে গেলো। তখন মেবি একটা নিউজে আইছিলো যে, ছাত্রলীগের কেউ একজন কইতেছে, কেন তারা (চন্দ্রবিন্দু দেয়া যাইতো, দিলাম না) ‘বাম ছাত্র-সংগঠনের’ (বালের বাংলা-ভাষা) পোলাদেরকে পছন্দ করে না; কারণ, তারা মাইয়াদের সাথে মিশতে পারে, আড্ডা দিতে পারে… মানে, শোয়া বা ফ্রি-সেক্সের কথাই বলতে চাইছে আসলে। মানে, সলিড পোলা হইয়াও অরা এই বেনিফিট পায় না, কিন্তু বেইট্টা টাইপ পোলাগুলি এইটা পায় আর পাইতেই থাকে!
২.
এইটার পয়লা ‘দোষ’ আমি অস্কার ওয়াইল্ড’রে দিতে চাই। উনার একটা ডায়ালগ আছে যে, ‘যারে ভালোবাসে কেউ, সে গরিব কেমনে হয়!’ মানে, ট্যান্জিবল টাকা-পয়সা বা পাওয়ার’রে ইন-ট্যান্জিবল রিলেশনশীপের কম্পিটিটর বানায়া ফেলেন উনি, এইভাবে। অবশ্য রিলেশনও এতোটা ইন-ট্যান্জিবল না আসলে বা টাকা-পয়সা বা পাওয়ার’রে যতোটা টান্জিবল ভাবা যায়। এই ইন্টার-সেকশনটা রিভিল করার লাইগা উনারে মাফ কইরা দেয়া যায়।
কিন্তু যেইভাবে জিনিসগুলি ইন্টার-অ্যাক্ট করে একটা আরেকটার সাথে, সেই জায়গাগুলি ইন্টারেস্টিং। এক তো হইলো পাওয়ার থাকলে এইসব রিলেশন আপনে পাইতেই পারেন; দ্যান আগেরদিনের বাংলা-সিনেমার করুণ ভিলেনদের কথা ভাবেন, যাঁরা (চন্দ্রবিন্দু দিলাম ছদকা হিসাবে) নায়িকা’র শরীর পাইতে গিয়া মন যে আর পাইতে পারতেছেন না, সেইখানে গিয়া তব্দা লাইগা যাইতেন।
এই ‘পাওয়া’র জিনিসটা রিলেশনশীপের জায়গাটাতে আইসা কল্পাস করতেছে না, কিন্তু আরেকটা রুলস অফ গেইমের মধ্যে চইলা আসতে হইতেছে তারে। পাওয়ার সরাসরি অপারেট করতে পারে না আর, রিলেশনশীপে। এই না পারা’টা এক ধরণের ফেইলওর হিসাবে পারসিভ করা লাগে তখন। যার ফলে পাওয়ার এক ধরণের ‘অ্যাক্টিভ উইমেন’-এর ধারণা’রে প্রমোট করতে হেল্প করার কথা। যেইখানে পাওয়ারের নিজেরে আর সিডিউস করতে হইতেছে না, বরং এতোটাই পাওয়ারফুল হয়া উঠতে পারতেছে যে, পাওয়ার’রে সিডিউস করা লাগতেছে।
তো, এই ধারণা’র মুশকিলটা হইতেছে যে, অ্যাক্টিভ উইমেন জিনিসটা উইমেনই বানায়া রাখে; (যেমন, ম্যান ইজ রেশনাল এনিমেলের মধ্যে এনিমেল ইনক্লুডেড) যে, সাবমিসিভ টু পাওয়ার না হইলেও সিডাক্টিভ টুওয়ার্ডস পাওয়ার। রাষ্ট্রে যেইরকম পোষা বিরোধীদল দরকার, এইরকমভাবে ‘অ্যাক্টিভ উইমেন’-এর ধারণাটা আরেকটা ট্রাপই মনেহয় আমার। উইথ-ইন দ্য প্রসেস, উইথ-ইন দ্য স্ট্রাকচার।
মার্চ ০৮, ২০১৮
—————————————————-
এখন ধরেন বউ নাই আপনার বা গার্লফ্রেন্ড, তখন রাস্তায় মলেস্টেশন করাটারে পিরীতি বইলা দেখতে চাইতে পারে যে আম পাবলিক বা আম পাবলিক যে এইটাই চায়, এইরকম কানেক্ট করতে চাইবো না ফটোগ্রাফার? আর্ট সিনেমার ডিরেক্টরের টিভি অ্যাড বানানোর চিন্তার মতোন?
তো, এইরকম একটা অসাম একটা চিন্তার লাইগা মলেস্টেশন’রে পিরীতি ভাবতে রাজি তো হইতেই পারেন আপনে, না-জানার বেনিফিট অফ ডাউট দিয়া। মানে, ‘আমি জানি না’ – এইটা একটা এস্কেইপ পয়েন্ট যে হইতে পারে – তা না, বেশিরভাগ সময় এইটাই হইতে পারে।
আমাদের দেখাগুলি’রে অ্যালাইন করা লাগে বেশিরভাগ সময় ডিফরেন্ট জানা বুঝাগুলির লগে।
রানা প্লাজা’র ছবিটা যে তা, সেইটা না। উনারা কাপল কি কাপল না – এই কোশ্চেনটাই করা লাগে না। কোন ফ্যাক্ট জানার আগেই, তারে পিরীতের ঘটনা বইলা ভাবতে পারতেছি তো আমরা! কারণ ‘আমরা জানি না’। 🙂
২.
এই জিনিসগুলির সাথে মনে হইতেছিলো, সৈয়দ মুজতবা আলী’র এই লাইনগুলির কথা। যেইখানে উনি, দেখতেছে, বলতেছেন। উনি না কইলেও দেখতে পাইতেছি আমরা পিরীতি’টা!
মানে, সৈয়দ মুজতবা আলী যেমন দেখতেছেন, আমরাও দেখতেই তো চাইতেছি।
—————————————————-
“দু’জোড়া কপোত-কপোতী নিত্যি নিত্যি দেখতে পাই। একে অন্যকে পেয়েই তারা খুশী। সে খুশী তাদের বসাতে, চলাতে, তাদের হাত-পা নাড়া-চাড়াতে যেন উপছে পড়ে। এক জোড়া সমুদ্রের পারে পারে পা-চারী করে – ছেলেটা যেমন ছ’ফুট ঢ্যাঙা, মেয়েটিও তেমনি পাঁচ ফুটের কমতি। ছেলেটার কর্ম, মেয়েটার দুই জুতো এক ফিতেতে বেঁধে কড়ে আঙ্গুলে ঝুলিয়ে দোলাতে দোলাতে লম্বা লম্বা পা ফেলে এগিয়ে চলা; মেয়েটা শুধু-পায়ে ভিজে বালির উপর দিয়ে চড়ুই পাখীর মত লাফ দিয়ে দিয়ে নেচে চলে যায় – ঢেউ তাড়া করে এলে লাফ দিয়ে এক পাশে সরে যায়, চলে গেলে বেঁকে গিয়ে জলের দিকে এগোয়। খাটো করে পরা ফ্রক, পা দু’টি সুডৌল ঘন শ্যামবর্ণ। কথাবার্তা কখনো কইতে শুনি নি – একে অন্যের দিকে তাকায় পর্যন্ত না। এগুতে এগুতে তারা আডায়ার পর্যন্ত চলে যায়, তবু দূর থেকেও তাদের চেনা যায় – ঢ্যাঙা আর বেঁটে। ঢ্যাঙা নাক বরাবর সোজা চলেছে, মেয়েটি এঁকে বেঁকে।
আরেক জোড়া সমস্তক্ষণ বসে থাকে ডাঙ্গায় তোলা একটা নৌকোর আড়ালে কুন্ডলী-পাকানো জালের বস্তায় হেলান দিয়ে। সমুদ্রের দিকে তাকায় না, পিছনের সূর্যাস্তও জালের বস্তায় ঢাকা পড়ে। সমস্তক্ষণ গুজুর গুজুর। কখনো খুব পাশাপাশি ঘেঁষে বসে, ছেলেটা মেয়েটির কোলে হাত রেখে, কখনো দেখি মেয়েটির হাত ছেলেটার কোমড় জড়িয়ে। বেড়ায় না, ডাইনে বাঁয়ে তাকায় না। রাত ঘনিয়ে এলে একই সাইকেলে চড়ে উত্তরের দিকে চলে যায়।”
– পুলিনবিহারী, পঞ্চতন্ত্র।
সৈয়দ মুজতবা আলী
——————————————————————–
আমরা দূর থিকা দেখতেছি। কিন্তু দেখতে তো পাইতেছি, কোন সন্দেহ ছাড়াই! 🙂
৩.
স্টিফেন হকিংয়ের বিয়ার এই ছবিটাও দেখতে পারেন। ছবি আর ছবি’র ধারনা হিসাবে।
বামপাশেরটা স্টিফেন হকিংয়ের বিয়ার ছবি, লাইফের; আর ডাইন পাশেরটা সিনেমা’তে। লাইফে একটু জড়োসড়ো, হাত ধইরা রাখছে খালি (আর এইটাও পয়লা চোখে পড়ে না, একটু পরে খেয়াল হয়) আর হাসিটা মাপা-মাপা টাইপ, বাট সিনেমায় রিলেটিভলি ক্লোজ অনেক। পয়লা ছবি’টা যদি সিনেমা’র ছবি হয়তো তাইলে হয়তো মেকি বা বানানো মনে হওয়ার চান্স বেশি থাকতো। মানে, আমার মনে হইলো আর কি।… সিনেমার ছবিটা অনেক ইনটেন্স, মোর লাইভলি।
সিনেমা মোর রিয়ালিস্টিক্যালি বিয়ার আইডিয়া’রে পোর্টেট করতে চাইছে মেবি। এইরকম একটা ব্যাপার হইছিলো, ভাগ মিলখা ভাগ সিনেমা’তে; লাইফের যে মিলখা সিং নাকি খুবই ইমোশনাল হয়া গেছিলেন সিনেমা দেইখা। যে, উনি এইরকম সিনেমাটিক! – এইটা তো তারে স্পেলবাউন্ড কইরা দেয়ার কথা।
ইমেজ বা সিনেমার ভিতর দিয়া ‘রিয়েল’ জিনিসটা মোর রিয়েল হিসাবে পারসিভড হইতে চাইতছে বা পারতেছে।
এইখানে সিনেমা’র ইমেজটারে মোর ‘রিয়েল’ মনে হওয়ার কথা। লাইফেে ইমেজটাই যদি সিনেমায় দেখানো হইতো এতোটা ‘রিয়েল’ মনে হইতো না মেবি। সিনেমা তো আসলে একটা ‘ধারণা’রে প্রজেক্ট করে। তো, সিনেমাতে যেহেতু মোর অর্গানাইজড একটা ব্যাপার থাকে, বেটার ওয়ে’তে রিফ্লেক্ট করতে পারে, লাইফের মতো এতোটা কেওটিক না; বা কেওটিক বানাইতে গেলেও অন্য আরেকটা কিছুই হয়; মানে, এইরকমই তো হওয়ার কথা।…
৪.
আরেকটা ছবি’র কথা মনে হইলো, রেফারেন্স দিতে পারতেছি না বইলা সরি, কিন্তু বইলা রাখতে চাইতেছি কেউ হয়তো ছবিটা খুঁইজা পাইতে হেল্প করতে পারেন আমারে। (পরে একজন কমেন্টে আসলেই হেল্প করছেন বইলা শো করা গেলো।)
এইখানে আছে যে, দুইটা মানুষ, বেটা আর বেটি, ইয়াং, রাস্তায় ক্রস করতেছে, কিন্তু উনাদের রাস্তায় ক্রস করার ঘটনাটা সাইডের ওয়ালে এইরকমভাবে রিফ্লেক্টেট হইছে যে, মনেহয় একজন আরেকজনরে কিস করতে যাইতেছে। ফিগারগুলি ডিসট্যান্ট কিন্তু ফিগারের ছায়াগুলি ক্লোজ অনেক। তো, এইটা দেইখা আপনারে শিখতে হবে আসলে ছবি কেমনে দেখতে হয়। 🙂
দুইটা অ-চিনা মানুষ রাস্তায় ক্রস যে করতেছে, ছবি সেইটা না। ছবি হইতেছে, ওয়ালে যেই ছায়া পড়ছে, সেইটা। মেবি একজন আরেকজনের শরীরের গন্ধের কারণে কাছে আইতে পারতেছে না। কিন্তু সেইটা যদি ভাবেন, ছবি’টারে নিয়া ফাইজলামি করলেন আপনে। পিরীত কি জিনিস, আর্ট কি জিনিস, ইভেন লাইফ কি জিনিস, সেইটা বুঝলেনই না!
৫.
ইমেজ ইজ মোর রিয়েল, এই কথা তো আছেই। যেইখানে একটা রিয়ালিটি ক্রিয়েট হইতেছে থ্রু অ্যাপিয়েরেন্স। তার চাইতে বেশি যেইটা হইতেছে, ইমেজ আসলে রি-কনর্ফামেশনের একটা প্রসেস হিসাবে অ্যাপিয়ার করতেছে, এগজিসটিং ধারণাগুলির।
Latest posts by ইমরুল হাসান (see all)
- পলিটিকাল ডাইরি – ২০২৪ (দুই) - সেপ্টেম্বর 17, 2024
- পলিটিকাল ডাইরি – ২০২৪ (এক) - সেপ্টেম্বর 4, 2024
- ধর্ম প্রশ্নে পুরান কমিউনিস্টদেরকে ইনডেমনিটি দিতে চাওয়াটা অনেকটা ইন্টেলেকচুয়াল অসততার ঘটনা: ফরহাদ মজহারের ‘মোকাবিলা’ (২০০৬) বই নিয়া আলাপ - আগস্ট 9, 2024