পাবলিক ডায়েরি ।। জীবনানন্দ দাশ ।।
মডার্ন বাংলায় এনভায়রনমেন্টালিজমের আম্মা
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
জীবনানন্দ একজন ভালো লোক আছিলেন, ধার্মিক এবং খুব ভালো একজন বিদেশি কবি। বাংলায় থাইকা তাঁর কবিতা ভালো লাগাইতে চিড়িয়াখানায় কিছুদিন ঘুরলে উপকার পাইবেন। জিরাফ বা জেব্রা বা উট বা সারস চেনা থাকা দরকার। ছোটখাট ব্যাপার অবশ্য বাংলা শালিক-পেঁচা দিয়াই চালাইতেন উনি। সংস্কৃত ভাষাটাও কিছু জানা থাকা দরকার।[pullquote][AWD_comments][/pullquote]
ধার্মিক ব্রাহ্ম হিসাবে উনি সবচে ঘেন্না করতেন জেনা করাকে। চতুর এবং বেদরদী লোকের শাসনে দুনিয়ারে দেইখাও আপসেট হইতেন। মাইয়াদের সাজগোজ খুবই অপছন্দ করতেন উনি, নিজের ব্রাহ্ম সাজে থাকাটাও যে সাজ সেইটা খেয়াল করতে পারতেন না। তবু ভালো লোক হিসাবে ওনার দিল খুব নরম আছিল, মানুষ এবং আর সব মাকলুকাত বা স্পেসিসের রিলেশন লইয়া ভাবতেন উনি, কখনো হয়তো মানুষের হিংস্রতা দেইখা মন খারাপ করতেন, স্যাড সেইসব মোমেন্ট অবশ্য কবিতায় কনভার্ট করতে পারতেন উনি। এই হিসাবে উনি মডার্ন বাংলায় এনভায়রনমেন্টালিজমের আম্মা।
উনি খুব হিসাবী লোক আছিলেন। হিসাবটা সব সময় অবশ্য ঠিক হইতো না।
পাকিস্তান আর ভারত হইবার পরে উনি পাকাপাকিভাবে কোলকাতায় মাইগ্রেট করেন। ওনার হিসাবে কোলকাতা বাংলা লিটারেচারের ক্যাপিটাল, সেইখানে ভিড়লেন আর কি…। ঢাকার তেমন সম্ভাবনা দেখেন নাই উনি। ওনার হিসাবে পাকিস্তানের পয়দা বাংলা লিটারেচারে ঢাকার সম্ভাবনা খতম কইরা দিছে। বিপরীতে, ভারতের ভিত্রে কোলকাতার সম্ভাবনার কোন ক্ষতি হয় নাই। ইতিহাস-ভাবুক হিসাবেও উনি ভারতের রাজধানী কোলকাতা থিকা দিল্লি চইলা যাওয়াটারে পাত্তা দেন নাই, কংগ্রেসে বাঙালি যে বিশেষ কিছুই না এইটারেও পাত্তা দেন নাই!
তবে অন্য হিসাব ভালো পারছিলেন। কংগ্রেসী হুমায়ুন কবীরকে বই ডেডিকেট কইরা কবীর সাহেবের পত্রিকার এডিটর হইবার হিসাব ঠিকই ছিল। পরে নিজের এবং বউয়ের চাকরি পাইতেও সুবিধা হইছে তাতে। কোলকাতায় টিকে থাকবার জন্য এছাড়া উপায় আছিল না তাঁর।
আগেই কইছি, ওনার কবিতা ভালো। ওনার কবিতা পড়লে ওনার আগের পাতলা সব কবিদের চেনা সোজা হয়। বাংলায় ভালো বিদেশী কবিতা লেখার জন্য তেমন কবিরা ওনারে আরো অনেকদিন মনে রাখবেন। বিদেশী নজরে দেখা বাংলার নেচার জীবনানন্দ এবং এইসব কবিদের এমন বিদেশী কবিতা লেখায় অনেক হেল্প করছিল, এখনো করে।
‘হৃদয়ের বোন‘
১৬ মার্চ ২০১৭
সজনীকান্ত জীবনানন্দের যতোটা বুঝতে পারেন নাই, আপনেরাও তো ঠিক ততোটাই বোঝেন নাই; হুদাই খালি সজনীকান্তরে কেন গালি দিতেছেন! বুঝতে যে পারেন নাই, সেইটা গোপন করতে পারতেছেন–এইটাতে আপনাদের এতো দেমাগ! নাকি সজনীকান্ত যেইটা নিতে পারেন নাই, আপনেরা সেইটা নিতে পারতেছেন?
সজনীকান্ত ইনসেস্ট নিতে পারেন নাই, তো আপনেরা কি পারছেন? আপনাদের ভিত্রে সবচে নাস্তিক লোকটাও কি পারছেন? না তো! তাইলে সজনীকান্তরে গালি কেন দেন!
হৃদয়ের বোনের লগে সেক্স-পিরিতের কথা লিখছেন জীবনানন্দ; সজনীকান্ত এই ইনসেস্ট নিতে পারেন নাই। আপনেরাও লইতে পারেন না। তো কী করলেন আপনে জীবনানন্দরে নিতে যাইয়া? হৃদয়ের বোন যেন বোনই না কোন, স্রেফ একটা লেখার ভঙ্গিমা, সিম্বল, বিয়ন্ড সোসাইটি কোন তুরীয় রোমান্স যেইখানে বোন কইয়া বুঝাইয়া ফেলছেন পিরিতের ওজন, কতটা ঘন সেই পিরিত!
কী খাড়াইলো? সজনীকান্তের মতোই জীবনানন্দরে বোঝেন নাই বালও! সজনীকান্ত তবু ইনসেস্ট হিসাবে চিনতে পারছেন, আপনেরা তো তাও পারেন নাই!
সজনীকান্ত এবং আপনেরা–সবাই জীবনানন্দের কবিতারে মানুষের কাহিনি হিসাবে দেখছেন, জীবনানন্দ আসলে যেমনটা লেখেনই নাই! আপনাদের মতো সবকিছু মানুষের কায়কারবার বানাইয়া ফেলেন নাই জীবনানন্দ। মানুষের বাইরে যেই মহা এনিমেল জগত আছে সেই জগতে হান্দাইয়া গেছেন জীবনানন্দ, নিজের কবিতা লইয়া, গাছ বা পাখি বা মাছ বা পশু–সব স্পেসিস/মাকলুকাতকে তার তার ইজ্জতে জায়গা দিছেন জীবনানন্দ। মানুষের গালি দিতে যাইয়া আর কোন মাকলুকাতের লগে তুলনা করছেন বইলা মনেই পড়ে না জীবনানন্দে (পরে আরেকজন ধরাইয়া দিছিল, আমারো মনে পড়লো জিদা’র কবিতায় শকুন-বিড়াল-কৃমির নেগেটিভ হাজিরার কথা। কিন্তু ঠিক যে, উনি মানুষের লগে অন্য সব মাকলুকাতের তুলনা করছেন, কখনো বা মানুষকে বেশি নেগেটিভ দেখছেন, কখনো বা সমান ভালো-খারাপ দেখছেন; মোটের উপর, মানুষকে আরেকটা মাকলুকাত ধইরা একটার লগে আরেকটার রিশতায় চোখা নজর দিছেন।) সুনীল যেমন মানুষের ভিতরের কুত্তা দেখতে কুত্তা হইয়া বইসা থাকেন, সাপ বা তেলাপোকা বা কেঁচো বা কাউয়া বা কচুরিপানা বা সোনালতা যেমন আপনারা মানুষেরে গালি দিতে এস্তেমাল করেন, জীবনানন্দ তেমন করেন নাই খুব; অন্যদের কাছে যা পশুর ‘খারাপি’, জীবনানন্দে সেইটা পশুর আদত, ‘ভালো’ হবার অপশন না থাকা, নেচারালি–তাই ‘খারাপ’ কইবার উপায় নাই, মানুষের বেলায় যেইটা আছে। জীবনানন্দে বাঘ বা চিল হইলেন চিল, দেবদারু হইলো দেবদারু, হরিণ হইলো হরিণ, জেব্রা বা সিংহ হইলো জেব্রা বা হরিণই। পেঁচা বা ইঁদুর হইলো তারাই, তাগো যেমন রিলেশন চান্দের লগে সেইটাই লিখছেন জীবনানন্দ। পেঁচার মতো মানুষের মুখ আঁকছেন কি?
তো ঘটনা সোজাই আসলে। হরিণকে যদি হরিণ হিসাবে নিতে পারেন, তাইলে ‘হৃদয়ের বোন’কে বোন হিসাবেই নিতে পারবেন। সজনীকান্ত হরিণ হিসাবে নিতে পারেন নাই, হরিণদের মানুষ বানাইয়া দেখছেন, আপনেরাও তাই দেখতেছেন।
এনিমেল ওয়ার্ল্ডে ইনসেস্ট অতো কম নাই। বিড়াল বা গরু বা হরিণদের মাঝে ইনসেস্ট আছেই, হরিণেরা এইটা পারে, নাস্তিক না হইয়াই পারে। জীবনানন্দ সেইটা বুঝছেন, আর আপনেরা সজনীকান্তের চাইতেও কম কমই বুইঝা রইছেন জীবনানন্দ। যারা বোঝে না, তারা ট্রাঙ্কের সব ডায়েরি পইড়া কেচ্ছা-কাহিনী লেইখা ফেললেও বোঝে কই? সেইটা আপনেরা মুখস্থ কইরা ফেললেও বুঝতে পারছেন? না তো :)।
সায়েন্সের ‘অবজেক্টিভ’ নজরে ‘বাইঞ্চোদ’ কি গালি, নাকি তারিফ!
২ মে ২০১৮
“হৃদয়ের বোন’ কইয়া জীবনানন্দ ঐ হরিণটারে যে ‘বাইঞ্চোদ (আর ঐ হরিণীরে ভাইচোদ)’ কইলো, এইটা কি গালি দেওয়া, নাকি তারিফ করা! আজকে এক ‘বিজ্ঞানমনস্ক’ দেখলাম ‘বাইঞ্চোদ’ লিখছে, পইড়া আমি টাসকি আর চা খাইলাম একলগে; বুঝতেছি না, সায়েন্সের ‘অবজেক্টিভ’ নজরে ‘বাইঞ্চোদ’ কি গালি, নাকি তারিফ!
‘অবৈধ সঙ্গম’ আর মরণ
২২ অক্টোবর ২০১৬
মানুষের লালসার শেষ নেই;
উত্তেজনা ছাড়া কোনো দিন ঋতুক্ষণ
অবৈধ সঙ্গম ছাড়া সুখ
অপরের মুখ ম্লান করে দেওয়া ছাড়া প্রিয় সাধ নেই।
–জীবনানন্দ দাশ
——————
জনাব দাশের কোন কবিতায় রেপে আপত্তি দেখছি বইলা মনে পড়ে না। ওনার আপত্তি ‘অবৈধ সঙ্গম’-এ :)।
অবৈধ যে কোনটারে কইলেন বোঝা শক্ত; ওনার বরিশাল-কোলকাতা সমাজ হিসাবে মনে হয় বিয়ার বাইরের সেক্সরেই অবৈধ কইছেন। আরো কংক্রিট ডেফিনিশন পাইতে পারি ওনার রিলিজিয়ন হিসাবে নিলে, উনি ধর্মে ব্রাহ্ম আছিলেন, ঐ ধর্মমতেই বিয়া করছেন; ব্রাহ্মধর্ম মানে রঠা যেই ধর্মের গান লিখছেন গীতাঞ্জলি বইতে, রামমোহনের ধর্ম, রঠা যেই ধর্মভাবে নিজের বাপরে সাধুপুরুষের রেস্পেক্ট দিছেন।
এই ধর্মের লোকেরা ‘অবৈধ সঙ্গম’রে খুব ডরাইতেন, সেই ডরে মনে হয় রঠা নিজের মাইয়াদের সেক্সি মন কাম মিন্সট্রেশন শুরু হবার আগেই বিয়া দিছেন।
মজা হইলো, জনাব দাশ ‘অবৈধ সঙ্গম’ করা লোকদের মুখ ম্লান কইরা দিয়াই সুখ পাইতেছেন দেখা যায় 🙂! এই কবিতার বাকিটাতে মনে হয় খুন-যুদ্ধ এইসবের কাতারেই উনি ‘অবৈধ সঙ্গম’রে রাখছেন!
এই জিনিসটা ওনারে এতোই ডিস্টার্ব করতো যে উনি এইটা একটিভলি ঠেকাইতে চাইতেন।
ফেমিলির দুরবস্থার টাইমে এক মহিলারে সাবলেট দিছিলেন ওনারা, সেই মহিলা অবৈধ সঙ্গম করতেন বইলা সন্দেহ করতেন জনাব দাশ। পরে মন্ত্রী হুমায়ুন কবিরকে বই ডেটিকেট কইরা টইরা নিজে কলেজে চাকরি পান, বউ স্কুলে; তখন সাবলেট দেওয়া সেই মহিলারে খেদাইতে চাইলেন, পারলেন না, মে বি মহিলার সেইসব ‘অবৈধ’ নাগরদের কারণে। জনাব দাশ তখন প্রেমেন্দ্র মিত্রের তালাশ শুরু করলেন, মিত্র মশাইর লগে কংগ্রেস সরকারের ভালো খাতির, ঐ মহিলারে খেদাইতে সুবিধা হবে।
বাট প্রেমেন্দ্র নাই কোলকাতায়, মোবাইল নাই, ইমেইল নাই! আরেকজনের ‘অবৈধ সঙ্গম’ জনাব দাশরে দিশাহারা কইরা দিল, সেই বিল্লিটা যে আন্ধারের ছোট ছোট বল দুনিয়ায় ছিটাইয়া দিছিল, তার একটা বল তাইলে জনাব দাশের ঘরেও পড়ছে দেখা যায়!
ব্রাহ্ম দাশ উপনিষদের অনার রাখতে না পারার বেদনায় ট্রামের হর্ন শোনেন নাই, এক মহিলার ‘অবৈধ সঙ্গম’ জনাব দাশকে মাইরাই ফেললো, মহিলা রেপড হইলে মরতেন না মনে হয়… সো স্যাড!
আমি আরো স্যাড কারণ, ফেসবুক ঘুইরা মনে হইলো, উনি এই ২২ অক্টোবরে মরছেন, যার ঠিক ৩৯ বছর পরে অনেক অনেক (১৪ ফলে পরিচয়) ‘বৈধ সঙ্গম’ কইরা আমার মুখ ম্লান করা মরণ মরলেন বাপ আমার…
কমলালেম্বুর বউ
১৭ জানুয়ারি ২০১৬
জীবনানন্দ, বুদ্ধদেব, শামসুর রাহমান লিটারেচারের ছাত্র, তাও ইংরাজি এবং ১০০-৬০ বছর আগের; এখনকার টাইমে লিটারেচারে পড়া লোকের মাঝে পড়ার বা কইবার মতো কবি কই!
চারুকলার লোকেরা অ্যাড ফার্মের ইলাস্ট্রেটর, পেইন্টার হইতে চারুকলার বাইরে থাকাই ভালো মনে হইতেছে!
ছায়ানট-উদিচী টাইপের কারখানার বাইরের লোকেরাই মনে হইতেছে বেটার মিউজিক করতেছে।
এমন আমাদের ইন্সটিট্যুটেরা। একাউন্টিং-এর লোকেরা ডাক্তারি শুরু করলে হয়তো ইন্ডিয়া যাবার দরকার কমতে পারে আমাদের!
এই জন্য পোলারা একটু কবি-টবি হইলে ভালো, বউদের আগলি সব কায়কারবার লইয়া কেচ্ছা-কাহিনি-কবিতা লেইখা খালাস পাইবেন, সুইসাইড না কইরা পারার তরিকা হইতে পারে লেখাজোখা…
জীবনানন্দ আর শাহাদুজ্জামানের ছবক লন, লগে পুরানা কবিতা পড়েন আমার…ধুরন্ধর বিবাহিত হিসাবে লেখার তালিম আছে আমারও 🙂 …
+++
কমলালেম্বুর বউ
————
যেহেতু সে ভালো
তাই লুকাইয়া রাখে যত আগলি।
কই লুকায়?
ডায়েরিতে :)।
যেহেতু তুমি তার বউ,
এবং তুমি আগলি–
তুমি আর মরতে পারবা না।
তার ডায়েরিতে বমি করে তার কলম,
গুগোল ড্রাইভে বমি কইরা দিল
তার কীবোর্ড।
বমি হইয়া গেল তার মেমোরি–
মানে তুমি,
মানে আগলি।
মরণ নাই তোমার।
তার মরণের পরে,
আর কোন ভালো
তোমারে বাইর করবে
তার ট্রাঙ্ক থিকা,
ডায়েরির ভিতর থাকা তার মেমোরি,
তার বমির ভিতর থাকা তুমি,
তোমারে তাজা করবে
নতুন এই ভালো,
আগলি তোমারে ছড়াইয়া দেবে
কত কত ভালোর মনে।
তারপর
তারা সবাই
ডায়েরি কিনতে যাবে বাজারে,
তারপর
তার তার বউরে বমি করবে
সেইসব ডায়েরিতে।
তারপর আরো কতো কতো ভালো
তাদের বায়োগ্রাফি লেখার ছলে
লিখতে থাকবে
তাহাদের বউদের মনের আগাপাশতলা,
তলপেটের আঁচিল,
বগলে
মোজার গন্ধ,
বেঢপ পাছা।
তাদের মেমোরিতে
নিজ নিজ বউদের স্কেচ,
ডায়েরিতে বমি করা থাকবে
বউয়েরা।
যেইসব বউদের তালাক দেয় নাই–
কেননা
ডায়েরি লিখতে ভালো লাগে,
ভালো লাগে বমি করতে,
মেমোরি লাগে বমি করতে,
আগলি তোমারে লাগে–
নাইলে কই পাবে মেমোরি!
তালাক দিলে লস–
বাকি রাখা দেনমোহর,
খোরপোষ,
মাস্টারবেশনে হাত ব্যথা করে,
খালি থাকে যদি ডায়েরির পাতা!
তার উপর
এইসব বউয়েরা
রান্ধেও ভালো–
ডায়েরি যারা লেখে
তাদেরো তো খাওয়া লাগে তিন ওয়াক্ত।
*ডেডিকেটেড টু জীবনানন্দ এবং শাহাদুজ্জামান
মার্চ ২০১৭
……………………………………..
এইগুলা ফেসবুকে আমার পাবলিক ডায়েরির কয়েক টুকরা।
রক মনু
Latest posts by রক মনু (see all)
- হিস্ট্রিওগেরাফি এন্ড পলিটিকেল লয়ালটি - অক্টোবর 18, 2024
- খলিফা হইয়া ওঠা - সেপ্টেম্বর 2, 2024
- আমাদের নিয়ত এবং বাংলাদেশের ফিউচার - আগস্ট 25, 2024