জন আপডাইকের বই রিভিউ করার ৬টা সাজেশন
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ।। হোর্হে লুইস বোর্হেস ।।
…………………………………..
২০১২ সালে উনার প্রোজ কালেকশনের বই পিকড-আপ পিসেস এর ইন্ট্রু’তে সাহিত্য-বিচার করার সময় যেই ৫টা জিনিস খেয়াল করেন, তার কথা বলছিলেন জন আপডাইক; তো, উনার নিয়মগুলা মানতে হবে – ব্যাপারটা এইরকম না; বরং অনেক বই রিভিউ করছেন এইরকম একজন লোক রিভিউ সময় কি কি জিনিস খেয়াল করতেন – সেইটা বাংলা-ভাষায় এখন যারা বই রিভিউ করেন, খেয়াল করতে পারেন। উনি ৫টা জিনিস পয়েন্ট কইরা বলছেন, আর শেষে একটা কথা অ্যাড করছেন। তো, উনার সাজেশনগুলা এইরকম :
১. বুঝার চেষ্টা করবেন, লেখক কি করতে চাইছেন, আর উনি যেইটা করার চেষ্টা করেন নাই সেইটা না পারার জন্য উনারে ব্লেইম দিয়েন না। [pullquote][AWD_comments][/pullquote]
২. যতোটা পারেন, সরাসরি কোটেশন দিবেন – এটলিস্ট একটা বড় প্যাসেজ – যাতে কইরা রিভিউ যারা পড়তেছেন তারা যাতে বইয়ের গদ্যের ব্যাপারে নিজের বুঝ’টা তৈরি করতে পারেন, নিজের টেস্ট পাইতে পারেন।
৩. বইটা নিয়া যেই বর্ণনা দিতেছেন সেইটা বইয়ের একটা কোটেশন দিয়া কনফার্ম করবেন, অস্পষ্ট টুকরা দিয়া না, বরং কিছু বাক্যের অংশ দিয়া।
৪. প্লট সামারি’টা ধীরে ধীরে বলবেন, আর শেষটা বইলা দিয়েন না।
৫. বইটারে যদি অসম্পূর্ণ বইলা জাজ করেন, এর লগে এইরকমের একটা সাকসেসফুল উদাহারণও দিবেন, অই লেখকের কাজকাম থিকা বা অন্য কোন জায়গা থিকা। ফেইলওর’টারে বুঝতে চেষ্টা করেন। আপনি শিওর তো যে, এইটা তার ফেইলওর, আপনার না?
এই পাঁচটা স্পষ্ট জিনিসের সাথে ছয় নাম্বার একটা জিনিস অ্যাড করতে পারি, যেইটা দিয়া প্রডাক্ট আর যাচাইকারী’র মধ্যে একটা কেমিক্যাল বিশুদ্ধতা বজায় রাখা যাইতে পারে। যেই বইটা আপনি আগে থিকাই অপছন্দ করেন, বা ফ্রেন্ডশীপের কারণে পছন্দ করতে বাধ্য, এইরকম বইয়ের রিভিউ কইরেন না। কোন ট্রাডিশনের কেয়ারটেকার হয়া যাইয়েন না, কোন পার্টি স্ট্যান্ডার্ডের জিম্মাদার, কোন আদর্শগত লড়াইয়ের যোদ্ধা, বা যে কোন রকমের একটা কারেকশন অফিসার। কক্ষণোই, কক্ষণোই… লেখকরে “তার নিজের জায়গায়” ফেলে দেয়ার চেষ্টা কইরেন না, অন্য রিভিউয়ারদের লগে কনটেস্ট করার লাইগা তারে একটা বন্ধকী মাল হিসাবে দেইখেন না। বইটার রিভিউ করেন, রেপুটেশনের না। যা কিছু বলা হইছে, দুর্বল বা ভালো, সেইটারে দেখেন। ব্লেইম বা ব্যান করার চাইতে তারিফ করা আর শেয়ার করা বেটার। রিভিউয়ারের লগে তার পাবলিকের আলাপের বেইজটা হইতেছে একটা কিছু পড়ার সম্ভাব্য আনন্দের অনুমান, আর আমাদের সব বাছবিচার অই এন্ডিংয়ের দিকেই যাওয়ার দরকার।
Latest posts by ইমরুল হাসান (see all)
- পলিটিকাল ডাইরি – ২০২৪ (দুই) - সেপ্টেম্বর 17, 2024
- পলিটিকাল ডাইরি – ২০২৪ (এক) - সেপ্টেম্বর 4, 2024
- ধর্ম প্রশ্নে পুরান কমিউনিস্টদেরকে ইনডেমনিটি দিতে চাওয়াটা অনেকটা ইন্টেলেকচুয়াল অসততার ঘটনা: ফরহাদ মজহারের ‘মোকাবিলা’ (২০০৬) বই নিয়া আলাপ - আগস্ট 9, 2024