Main menu

ইন্টারভিউ: অক্টাভিও পাজ

লাতিন আমেরিকান লেখক হইলেও পাজ নিজেরে সরাসরি রাজনীতির থেকে দূরে রাখতেন। নিজেরে পাবলো নেরুদাদের মতো স্টেটসম্যান টাইপের কবি মনে করতেন না। নিজেরে কইতেন প্রান্তে দাড়ায়ে থাকা একজন সোশ্যাল আর পলিটিক্যাল ক্রিটিক। এইটা খুব মজার যে, পলিটিক্সে একজন লেখক কেমনে জড়াবে সেটা নিয়া বলতে গিয়া পাজ এলিয়টের কথা তুলছিলেন। যদিও এলিয়টের বিশ্বাসের লগে তার তেমন মিল নাই। তবে পাজ তার নিজেরে সেই অর্থে রাজনীতির থেকে দূরে রাখতে পারেন নাই। ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে লড়তে হইছিল তারে। মেক্সিকান ছাত্র আন্দোলনে সরকারের জালিমের মতো আচরণ করলে,  প্রতিবাদে দূতাবাসের চাকরি ছাইড়া দিছিলেন। আমাদের এখানে রাজনীতি,সাহিত্য,মোরাল পজিশন, লেখকের অবস্থান- এই জিনিসগুলা খুব ক্লিয়ারভাবে আলোচিত হয় না। অনেকসময় এই ক্যাটাগরিগুলারে খুব রিজিডভাবে আলাদা কইরা ধইরা নেয়। পাজের অভিজ্ঞতার জায়গা থেকে দেখলে, এটারে নতুনভাবে বিবেচনা করা যায়।

অভিজ্ঞতার কথা যখন কইতেছি , তখন এইটাও কইতে হয় যে- পাজের সাহিত্য বুঝতে হইলে তার অভিজ্ঞতার জায়গাটা বুঝা জরুরি।অভিজ্ঞতা ইটসেল্ফ একটা টুল। একজন লেখক কি লেখবে না লেখবে,কেমনে লেখবে- এইসব নির্ধারনে অভিজ্ঞতা একটা গুরুত্বপূর্ণ রোল প্লে করে। এমন এক সময়ে জন্মাইছিল পাজ, যখন তারে দুইটা বিশ্বযুদ্ধ আর স্পেনের গৃহযুদ্ধ দেখতে হইছে। তবে অন্যান্য অনেক ইউরোপীয় লেখকগো উপ্রে যুদ্ধের যে প্রভাব আছিল, সেটা পাজের ক্ষেত্রে ওইরকম ছিল না। তিনি কইছিলেন, ‘মানুষ একইলগে হিস্টরির বাইরে আর ভিতরেও।’  মানুষ হিস্টরির যেকোন পিরিয়ডেও বাইচ্যা থাকা, কাজ করা, প্রেম করা’র মতো নর্মাল কাজগুলা কইরা যায়। পাজের কথা থেকে এইখানে বুঝা যায় , হিস্টরি না, মানুষের লাইফই পাজের সাহিত্যে জরুরি বিষয়।

  পাজ দশ বছরেরও বেশি সময় দেশের বাইরে কাটায়ছিলেন। আম্রিকার ভ্রমণ তার কবিতার সামনে নয়া দুয়ার খুইল্যা দিছিল। আর ইন্ডিয়ার অভিজ্ঞতার জোর কত বেশি আছিল, ওইটা ওর পরের দিকের বইগুলা পড়লেই বুঝা যাইবো।  কোন রাইটারের লেখা পড়া মানে ব্যক্তিমানুষ হিসেবে লেখকের অভিজ্ঞতার লগে একধরণের ডিল করাও। পাজের অভিজ্ঞতার একটা বড় জায়গা জুইড়া লাতিন দেশগুলা, ইউরোপ, আম্রিকা আর এশিয়ার অভিজ্ঞতা জায়গা কইরা নিছে। ওর সাহিত্যের সবজায়গায়ই এটার প্রমাণ আছে।

কবিতার ক্ষেত্রে খুব কৌশলীই আছিলেন পাজ। ফর্ম নিয়া কাজ করছেন, কাজ করছেন বড় কবিতা নিয়া। কবিতা নিয়াও বিস্তর লেখালেখি করছেন। তার কাজগুলার উপ্রে সুররিয়ালিজমের প্রভাব ছিল। প্রথম যখন কোন একটা এক্সিবিশনে সুররিয়ালিস্ট পেইন্টিং দেখছিলেন, ওইটারে রিয়েলিজম হিসেবেই নিছিলেন। পাজের মনে হইছে আসলে রিয়েলিটির ব্যাপারটাও তো অনেকটা এমন। লাতিন আমেরিকার অনেক লেখকগো ক্ষেত্রেই দেখছি রিয়েলিটিরে এমনে দেখতে পাওয়ার ব্যাপারটা।

কবিতা ছাড়াও অন্যান্য অনেক বই লেখছেন। মেক্সিকোর ইতিহাস আর এর  ট্র্যাডিশনের পুরনো শিকড়গুলা নিয়া পাজ সবসময় আগ্রহী ছিলেন। তবে নিজেরে শেষ পর্যন্ত একজন কবি হিসেবেই পরিচয় দিতে পছন্দ করতেন। মনে করতেন, তার লেখা দুই তিনটা কবিতার জন্যই মানুষ তারে মনে রাখবেন। এও বলছেন, কবিতা ছাড়া কোন সোসাইটি টিইক্যা থাকতে পারে না। কারণ, কবিতা হইলো মানুষের লগে মানুষের সম্পর্কের ব্রিজ, একের লগে অপরের কম্যুনিকেশনের মাধ্যম।

তাসনিম রিফাত

যাত্রাবাড়ি    

………………………….

 

উচ্চতায় খাটো আর বয়স সত্তরের কাছাকাছি হইলেও, অক্তাভিও পাজের শার্প চোখ তার চেহারায় একটা জোয়ান মানুষের ছাপ দিছে। উনার পাণ্ডিত্যপূর্ণ,পলিটিক্যাল কবিতা আর গদ্যগুলাতে উইঠা আসছে মেক্সিকান ইতিহাস, বিশেষ কইরা ইন্ডিয়ান অতীতের মধ্য দিয়া এরে দেখার  ব্যাপারটা। একইসাথে ইরোটিক প্রেম দিয়া কেমনে মানুষের গভীর নিঃসঙ্গতাগুলারে ওভারকাম  করা যায়, সেইসব জিনিসও উইঠা আসছে পাজের সাহিত্যে। সিজার ভায়েহো আর পাবলো নেরুদার পাশাপাশি পাজরেও বিশ শতকের দক্ষিন আমেরিকার সেরা কয়েকজন কবির মধ্যে একজন হিসেবে ধরা হয়। এই ইন্টারভিউ নেওয়া হইছিল ১৯৯০ এর কলম্বাস দিবসে। এর তিনদিন পরেই পাজ নেরুদার লগে নোবেল লরিয়েটগো কাতারে নাম লেখান।

পাজ জন্মাইছিলেন ১৯১৪ সালে, মেক্সিকোতে। উনার বাপ ছিল উকিল, আর দাদা উপন্যাসিক। পাজের জুয়ান বয়সে কবি হইয়া উঠার পিছনে দুইজনেরই প্রভাব ছিল। পাজের বাপ ছিলেন মেক্সিকান বিপ্লবী এমিলিয়ানো জাপাতার (মেক্সিকান বিপ্লবী নেতা,দরিদ্র কৃষক জাপাতা ধনীগো জমি দখল নিয়া আন্দোলন কইরা জনপ্রিয় হইছিলেন)  উপদেষ্টা। বাপের কাছ থেকে তিনি সোসাইটির বিভিন্ন জিনিসের ভ্যালুগুলা নিয়া জানতে পারছিলেন আর উপন্যাসিক দাদার কাছ থেকে খোঁজ পাইছিলেন শব্দের দুনিয়ার। ছোট থাকার সময়ই পাজ তার দাদার বিশাল লাইব্রেরিতে ফ্রিলি ঘুইরা বেড়াইতে পারতেন। এর ভিতর দিয়াই তার সাথে স্পেনিশ আর লাতিন আমেরিকান সাহিত্যের বিশাল জগতের মোলাকাত হইছিল। মেক্সিকো ইউনিভার্সিটিতে লিটারেচার পড়তে গেছিলেন উনি, তবে ডিগ্রি না নিয়াই ভার্সিটি ছাইড়া দেন।

স্পেনে যখন গৃহযুদ্ধ ছড়াইয়া পড়তেছিল, পাজ তখন রিপাবলিকানদের সাপোর্ট দেন।  ১৯৩৭ সালের দিকে উনি স্পেন ছাইড়া চইলা যান। মেক্সিকোতে ফিরার পরে উনি  টলার ( ওয়ার্কশপ) আর এল হিখো প্রডিগো (‘দ্যা চাইল্ড প্রডিজি) নামে দুইটা সাহিত্য সাময়িকী বাইর করেন, যেগুলারে কেন্দ্র কইরা সেসময় নয়া প্রজন্মের অনেক মেক্সিকান লেখক বাইড়া উঠছিলেন। ৪৫ সালে মেক্সিকান ডিপ্লোমেটিক সার্ভিসে ঢুকেন। এর আগে  ৪৩ সালে উনি গাগেনহেইম স্কলার্শিপের আন্ডারে আমেরিকা ঘুইরা আসেন। ৪৭ থেকে ৫১ সাল পর্যন্ত পাজ প্যারিসে ছিলেন। প্যারিসে থাকার সময় উনি সার্ত্রে, ব্রেতো, কাম্যুসহ অনেক বুদ্ধিজীবীর লগে দেখা করেন। একইসময় এদের লেখা পাজের সাহিত্যে বড় প্রভাব রাখছিল। ৫০ এর দশকের প্রথমদিকে পাজরে ডিপ্লেমেটিক কাজে জাপান আর ইন্ডিয়ায় যাইতে হইছিল। সেখানেই উনি বুদ্ধিস্ট আর তাওয়িস্ট ক্লাসিকের লগে পরিচিত হইছিলেন। উনার মতে , বুদ্ধিস্টরা যে  সেল্ফরে একটা ইল্যুশন, বোধ, চিন্তা আর ডিজায়ারের  একটা যোগফল হিসেবে দেখছে – দুই হাজারে বছর পার হইয়া গেলেও, এটা ওয়েস্টার্ন কবিতার জন্য জরুরি। ১৯৬৮ সালের অক্টোবরের মেক্সিকো সিটির ছাত্র আন্দোলনের উপরে সরকারের নির্যাতনের প্রতিবাদে উনি ডিপ্লোমেসির জব ছাইড়া দেন।

১৯ বছর বয়সে পাজের প্রথম কবিতার বই ‘স্যাভেজ মুন’ বাইর হইছিল। এরপর মেক্সকোর জাতীয় চরিত্র নিয়া উনার সবচেয়ে প্রশংসিত বই ‘দ্যা ল্যাবিরিন্থ অফ সলিচ্যুড’ বাইর হয়। ১৯৫৭ সালে বাইর হয় বড় কবিতার বই ‘সান স্টোন’। জে এম কোহেন এই কবিতারে ‘পশ্চিমি দুনিয়ায়  ছাপা হওয়া শেষ কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ কবিতার একটা’ কইছিলেন। এই কবিতার ৫৮৪ টা লাইন ভেনাস গ্রহের ৫৮৪ দিনের চক্ররে রিপ্রেজেন্ট করছে। পাজের অন্যান্য কাজের মধ্যে আছে ইগল অর সান? (১৯৬৭), অলটারনেটিং কারেন্ট (১৯৫৬), দ্যা বো এন্ড দ্যা লাইয়ার (১৯৫৬), ব্ল্যাংকো (১৯৬৭), দ্যা মাংকি গ্রামারিয়ান (১৯৭১), আ ড্রাফ্ট অফ শ্যাডোজ (১৮৭৫), এ ট্রি উইত্থিন (১৯৫৭।পাজ উনার বউ মারিও-হোসের সাথে মেক্সিকো সিটিতে থাকেন। উনার বউ একজন আর্টিস্ট। অক্টাভিউ পাজ কবিতার জন্য ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যান্ড পিক্স,জেরুজালেম প্রাইজ, সেরভার্ন্তেস প্রাইজসহ অনেক পুরষ্কার পাইছেন।   

এই ইন্টারভিউ নেওয়া হইছিল নিউয়র্কের ৯২ তম গলি ওইয়াইএম-ওয়াইডব্লিউএইচে। পোয়েট্রি সেন্টারের উদ্যোগ ছিল। পুরা ইন্টারভিউতে পাজের নিজের আর তার কবিতার টিপিক্যাল এনার্জির দেখা পাওয়া গেছে। উনি জোর দিছিলেন যৌনতার মিস্টিক ব্যাপারগুলার, যেটা দিয়া ইন্ডিভিজ্যুয়াল আর সোসাইটির মধ্যে গ্যাপটা ফিলাপ করা যায়। পাজ এখানে অডিয়েন্সের লগে কথা বলার সুযোগটা ভালোভাবেই নিছিলেন।

 

ইন্টারভিউয়ারঃ অক্টাভিও, আপনে জন্মাইছিলেন ১৯১৪ সালে, আপনে সম্ভবত মনে করতে পারবেন…

পাজঃ অত বেশি না!

ইন্টারভিউয়ারঃ আপনার জন্ম হইছিল মেক্সিকান রেভ্যুলেশন আর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যে। যে শতকে আপনি বাইচা আছেন, প্রায় পুরাটাই গেছে যুদ্ধের উপর। তো, এই বিশ শতক নিয়া বলার মতো ভালো কিছু আছে?

পাজঃ আচ্ছা, আমি বাইচা গেছিলাম, আর মনে হয় এটায়ই এনাফ ছিল। হিস্টরি হইলো এক জিনিস, আর আমাদের লাইফ আরেক জিনিস । আমাদের এই সেঞ্চুরিটা ছিল মারাত্মক, পুরা মানুষের হিস্টরিতে সবচেয়ে মন্দার কালের মধ্যে একটা। কিন্তু, আমাদের লাইফ কইতে গেলে কমবেশি একই ছিল। প্রাইভেট লাইফ কখনো হিস্টরিক্যাল না। ফ্রেঞ্চ রেভ্যুলেশন বা আমেরিকান রেভ্যুলেশন, অথবা পারস্য আর গ্রীসের যুদ্ধসহ যেকোন বড় ঘটনার সময়ই হিস্টরি কন্টিনিউয়াসলি চেঞ্জ হইছে। কিন্তু মানুষ বাইচ্যা থাকে, কাজ করে, ভালোবাসে, মইরা যায়, অসুস্থ হইয়া যায়, বন্ধু বানায়, দুঃখ পায়- আর এর লগে হিস্টরির কানেকশন নাই। থাকলেও, খুব কম।

ইন্টারভিউয়ারঃ তো আমরা একইলগে হিস্টরির বাইরে আর ভিতরেও?

পাজঃ হ। হিস্টরি আমাদের জন্য একটা ল্যান্ডস্কেপের মতো, যেটার মধ্য দিয়া আমরা বাইচা থাকি। কিন্তু আসল নাটকটা আর আসল কমেডিটা আমাদের মধ্যেই থাকে। আর আমার মনে হয়, এই একই কথা আমি আগের শতকের বা ভবিষ্যত শতকের কারো ক্ষেত্রেও বলতে পারবো। লাইফ হিস্টরিক্যাল না, বরং সে অনেকটা নেচারের মত।

ইন্টারভিউয়ারঃ ভিজ্যুয়াল আর্টের সাথে আপনার সম্পর্ক নিয়া লেখা ‘প্রিভিলেজ অফ সাইটে’ আপনি বলছিলেন, “আমি আর আমার কোন বন্ধুই কখনো তিতিয়ান, ভেলাসকেজ অথবা সেজানের কোন কাজ দেখি নাই। তারপরেও, আমরা আর্টের অনেক কাজ নিয়া পাগল আছিলাম।” আপনি সেখানে আপনার ছোটবেলার শহর মিক্সোয়াক এর কথা বলছিলেন, আর বলছিলেন বিশ শতকের প্রথম দিকের মেক্সিকান আর্টের কথা।

পাজঃ আমার বাচ্চাকালে মিক্সোয়াক একটা ছোট গ্রাম ছিল, কিন্তু এখন এটা মেক্সিকো সিটির একটা  শহরতলীতে পরিণত হইছে। মিক্সোয়াক খুব পুরান, কলম্বিয়ান টাইমেরও আগের গ্রাম। মিক্সোয়াক নামটা আসছে, মিক্সকোয়াল গডের থেকে। মিক্সকোয়াল হইলো নাহুয়াল ভাষায় মিল্কি ওয়ের নাম। এইটা দিয়া ‘ক্লাউড সারপেন্ট’ (কল্পিত প্রাণী। দেখতে সাপের মতো এবং উড়তে পারে) বুঝায়, কারণ সাপের মতো মেঘ ছড়ায়ে থাকলে যেমন লাগে, মিল্কি ওয়ে দেখতে অনেকটা তেমন । সেখানে খুব ছোট একটা পিরামিড আর সতের শতকের কনভেন্ট ছিল। আমাদের পাশেই ছিল সান জুয়ান, আর এলাকার অন্যতম পুরানা ষোল শতকি একটা প্যারিশ চার্চ। ওইখানে আঠার আর উনিশ শতকের অনেক বাড়িও ছিল, যেগুলার সামনে ছিল বিশাল বিশাল বাগান। কারণ, আঠার শতকের শেষদিকে মিক্সোয়াক মেক্সিকান বুর্জোয়াদের জন্য সামার রিসোর্ট ছিল। আমার ফ্যামিলিরও একটা সামার হাউজ ছিল ওইখানে। তো যখন রেভ্যুলেশন শুরু হইলো, আমরা বাধ্য হইলাম (আমার মনে হয় খুশিমনেই) সেখানে চইল্যা যাইতে। ওইখানে আমরা প্রি-কলম্বিয়ান আর কলোনিয়াল সময়ের দুইটা জ্যাতা অতীতের স্মৃতি নিয়া বাইচা ছিলাম।

ইন্টারভিউয়ারঃ আপনি দ্যা প্রিভিলেজ অফ সাইটে মিক্সোয়াকের ফায়ারওয়ার্ক নিয়াও কথা বলছিলেন।

পাজঃ আমি ফায়ারওয়ার্ক খুব পছন্দ করি। এগুলা আমার ছোটবেলারই অংশ ছিল। এগুলা ওই শহরের অংশ ছিল যার কারিগররা ফায়ারওয়ার্কের মাস্টার ছিল একেকজন। সারা মেক্সিকোতেই ওরা খুব বিখ্যাত ছিল। ভার্জিন অফ গুয়াদেলুপে ভোজ, অন্যান্য ধর্মীয় উৎসব আর নতুন বছরের শুরুতেও ওরা শহরের জন্য ফায়ারওয়ার্ক বানাইতো। আমার এখনো মনে পড়ে উনারা কেমনে চার্চের সামনের অংশরে একটা জ্বলতে থাকা জলপ্রপাতের মতো বানাইছিলেন। এটা খুবই জোস একটা জিনিস ছিল। মিক্সোয়াক লাইফের এমনসব অভিজ্ঞতা নিয়া টিইক্যা ছিল, যেটা এখন আর কোন বড় শহরেই নাই।

ইন্টারভিউয়ারঃ আপনেরে মিক্সোয়াক নিয়া খুব নস্টালজিক লাগতেছে। যদিও আপনে মেক্সিকোর অল্প কয়েকজন  রাইটারদের মধ্যে একজন, যে মেক্সিকান সিটির একদম সেন্টারে থাকেন। খুব তাড়াতাড়িই এটা দুনিয়ার সবচেয়ে বড় শহর হয়া যাবে, কিন্তু দূষণ, ভিড়ভাট্টা, গরিবি হালতের কথা ধরলে, এই শহর একটা দুঃস্বপ্ন। এইজায়গায় থাকা কি একটা ইন্সপিরেশন নাকি ঝামেলা?

পাজঃ মেক্সিকো সিটির একদম মাঝখানে থাকা ইন্সপিরিশন বা ঝামেলা কোনটাই না। এটা আসলে একটা চ্যালেঞ্জ। আর এই চ্যালেঞ্জের লগে ডিল করার একমাত্র পথ হইলো এরে মোকাবিলা করা। আমি মেক্সিকোর অন্যান্য শহরগুলাতেও থাকছি। কিন্তু ওইগুলা যতোই সুন্দর হোক, শহরগুলারে একরকম অবাস্তব লাগে। তো একসময় আইস্যা, আমি আর আমার বউ সিদ্ধান্ত নিলাম এখন যে এপার্টমেন্টটায় থাকি, সেটায় চইল্যা আসবো। আপনি যদি মেক্সিকোতে থাকেন, আপনেরে আসলে মেক্সিকো সিটিতেই থাকতে হইবো।

ইন্টারভিউয়ারঃ আপনি কি পাজ ফ্যামিলি নিয়া কিছু কইতে পারবেন?

পাজঃ আমার বাপ ছিল মেক্সিকান, আর আম্মা স্প্যানিশ। আমার সাথে আমার একজন আন্টিও থাকতেন। উনি ছিলেন খুবই অদ্ভূত, এবসার্ড আর পোয়েটিক । আমার দাদা ছিলেন একজন উকিল আর জনপ্রিয় উপন্যাসিক। এইখানে একটা কাহিনী আছেঃ  একটা সময় আমরা উনার একটা বেস্ট সেলার বইয়ের বিক্রির টাকা দিয়া ফ্যামিলি চলতো । মিক্সোয়াকের বাড়িটাও উনারই ছিল।

ইন্টারভিউয়ারঃ বই নিয়া আপনার স্মৃতি কী? আমি প্রায়ই বোর্হেসের কথা ভাবি, বোর্হেস কইতো যে, সে তার বাপের লাইব্রেরি  কখনো বাইর হইতে পারে নাই।

পাজঃ লাইব্রেরি ব্যাপারটা নিয়া আমাদের দুইজনেরই খুব মিলে। আমার দাদার একটা সুন্দর  লাইব্রেরি ছিল। ওইটা ছিল মিক্সোয়াকের  বাড়িটার সবচেয়ে জোস জিনিস। ছয়-সাত হাজার বই ছিল ওইখানে, আর আমার যা ইচ্ছা তা পড়ার স্বাধীনতা ছিল। ছোটবেলায়ই আমি খুব খাওয়া টাইপের পাঠক ছিলাম। আমি কি পড়লাম না পড়লাম ওইসবে কারো তেমন আগ্রহ ছিল না। এইজন্য নিষিদ্ধ বইগুলাও পইড়া ফেলতাম। আমি যখন খুব ছোট ছিলাম, তখনই ভলতেয়ার পড়ি। সম্ভবত তখনই আমার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস উইঠা যায়। আমি এমন অনেক উপন্যাসও পড়তাম যেগুলা বেশ ইরোটিক ছিল, পুরাপুরি পর্নগ্রাফিকও না, জাস্ট ইরোটিক।

ইন্টারভিউয়ারঃ আপনি কি বাচ্চাদের কোন বই পড়তেন?

পাজঃ অবশ্যই। আমি সালগ্যারির প্রচুর বই পড়তাম। মেক্সিকোতে ইতালির এই লেখক খুব পপুলার ছিলেন। জুলস ভার্নও  পড়তাম। আমার কাছে অন্যতম গ্রেট হিরো ছিল আমেরিকান বাফেলো বিল। আমি আর আমার ফ্রেন্ড আলেকজান্ডার ড্যুমার থ্রি মাস্কেটিয়ার্স, কাউবয়- এসব নিয়া পইড়া থাকতাম। তবে আমাদের সেন্সে তখন এটা ছিল না যে, আমরা একইলগে হিস্টরিরও  মধ্যে হামাগুড়ি খাইতেছি।

ইন্টারভিউয়ারঃ আপনে একবার বলছিলেন, আপনি যখন প্রথম একটা সুররিয়ালিস্ট পেইন্টিং দেখছিলেন – একটা বাড়ির দেয়ালে আঙ্গুর গাছ প্যাচাইয়া আছে-আপনি এটারে রিয়েলিজম হিসেবেই নিছিলেন।

পাজঃ এটা সত্য। মিক্সোয়াকের বাড়িটা একটু একটু কইরা ক্ষয় হইয়া যাইতেছিল। আমাদের এক রুমের পর আরেক রুম এড়াইয়া চলতে হইত। কারণ, বাড়ির ছাদ আর দেয়ালগুলা ভাইঙ্গা পড়তেছিল।

ইন্টারভিউয়ারঃ ১৯৩০ সালের দিকে যখন আপনার ১৬ বছর বয়স ছিল, আপনি ন্যাশনাল প্রিপেটরি স্কুলে ভর্তি হইছিলেন। আপনি ওইখানে কি কি পড়তেন? আর স্কুলটা কেমন ছিল?

পাজঃ স্কুলটা খুবই জোস ছিল। এটা বানানো হইছিল সতের শতকের শেষের দিকে। ওইসময় মেক্সিকোর আর্কিটেকচারে বারোক যুগের রমরমা অবস্থা ছিল। স্কুলটা বড় ছিল। এর পাথর, কলাম আর করিডরের মধ্যে একটা গাম্ভীর্য আছিল। এইখানে আরেকটা এস্থেটিক জিনিস ছিল। বিশের দশকের দিকে, গভর্নমেন্টের উদ্যোগে ওরোজকো আর রিভেরার আঁকা একটা ম্যুরাল। রিভেরার প্রথম ম্যুরালটা আমাদের স্কুলেই আঁকা হইছিল।

ইন্টারভিউঃ তো,ওইসময় আপনি ম্যুরালিস্টদের কাজ নিয়া এট্রাক্টেড ছিলেন?

পাজঃ হ। ম্যুরালিস্টদের এক্সপ্রেসনিস্ট কাজগুলার লগে আমরা সবাই খুবই দোস্তি ফিল করতাম। কিন্তু আর্কিটেকচার আর পেইন্টিং এর মধ্যে একটা বিরোধ আছে। পরে মনে হইলো দালানগুলাতে যেসব ম্যুরাল আঁকা হইছিল সেগুলা আসলে এই শতাব্দীর লগে একবারেই যায় না, এবং এই জিনিসটা নিয়া আফসোসও হইছিল আমার।

ইন্টারভিউয়ারঃ স্কুলের কারিকুলাম কেমন ছিল?

পাজঃ এই স্কুলের কারিকুলাম গইড়া উঠছিল ফরাসি ট্র্যাডিশনের লগে আমেরিকান এডুকেশনাল থিওরি মিলাইয়া। এরমধ্যে জন ডুয়েই নামে এক আমেরিকান ফিলসফারের বিশাল প্রভাব ছিল। শিক্ষার দিক দিয়া প্রগ্রেসিভ স্কুলই ছিল এটা।

ইন্টারভিউয়ারঃ আপনি তো বিদেশি ভাষা হিসেবে ফ্রেঞ্চ শিখছিলেন?

পাজঃ আর ইংলিশ। আমার বাপ বিপ্লবের সময় পলিটিকাল পলান্তিতে ছিলেন। তারে মেক্সিকো ছাইড়া আমেরিকায় আশ্রয় নিতে হইছিল তখন। উনি যখন গেলেন, আমরা তখন উনার লগে ক্যালফোর্নিয়া আর লস এঞ্জেলেসে প্রায় দুই বছরের মতো ছিলাম। আমার স্কুলের প্রথম দিনেই, আমেরিকান ক্লাসমেটগো লগে ভেজাল লাগছিল। কাহিনী হইলো, আমি একটাও ইংলিশ শব্দ কইতে পারতাম না। তারা আমারে নিয়া হাসাহাসি করতো, কারন আমি লাঞ্চের সময় ‘স্পুন’ শব্দটা কইতে পারতাম না। কিন্তু যখন আমি ম্যাক্সিকোতে ফিরা আসলাম, স্কুলের প্রথম দিন আবারো ভেজাল লাগছিল। এইবার ভেজাল হইছিল আমার মেক্সিকান ক্লাসমেটগো লগে। কারণটা ছিল একই- আমি একজন ফরেইনার ছিলাম! তো আমি বুঝতে পারলাম যে আমি একইলগে দুই দেশেই আসলে ফরেইনার।

ইন্টারভিউয়ারঃ ন্যাশনাল প্রিপেটরি স্কুলের কোনো টিচার দিয়া আপনে প্রভাবিত  ছিলেন?

পাজঃ অবশ্যই। আমার ওইখানে মেক্সিকান কবি কার্লোস পেইর‍্যিসের লগে পড়ার সুযোগ হইছিল। ওর হাত ধইরা আমি ওর জেনারেশনের আরো কবিদের লগে দেখা করার চান্স পাইছিলাম। ওরা আধুনিক কবিতা নিয়া আমার চোখ খুইল্যা দিছিল। এইটা অবশ্যই উল্লেখ করা দরকার যে, আমার দাদার লাইব্রেরিতে বিশ শতকের প্রথম দিকে বাইর হওয়া বইগুলা পর্যন্তই ছিল। তো প্রিপেটরি স্কুলে পড়ার আগ পর্যন্ত আমি আসলে ১৯১০ সালের পর পাবলিশ হওয়া বইগুলা নিয়া জানতামই না। তখন প্রুস্ত আমার জন্য একটা আবিষ্কার ছিল। আমি একসময় ভাবতাম জোলার পরে আর কোন উপন্যাসই লেখা হয় নাই।

ইন্টারভিউয়ারঃ স্প্যানিশ কবিতার লগে তখন আপনের যোগাযোগ কেমন ছিল?

পাজঃ গারসিয়া লোরকা, রাফায়েল আলবেরতি, হর্হে গুইয়েনদের মতো ১৯২৭ এর জেনারেশনের কবিদের নিয়া আমার জানাশুনা ছিল। আমি আন্তোনিও মাচাডো আর হুয়ান রামোন হিমেনেথও পড়ছিলাম। ওরা ওইসময়ের কবিতার বস পাবলিক ছিলেন। ওইসময়ই বোর্হেসও পড়ছিলাম। বোর্হেস তখন ছোটগল্প লেখতেন না। তিরিশের প্রথম দিকে উনি ছিলেন কবি আর এসেয়িস্ট। তবে আমার লিটারারি লাইফের প্রথম দিকের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার ছিল পাবলো নেরুদার কবিতা।

ইন্টারভিউয়ারঃ আপনি ভার্সিটিতেও ভর্তি হইছিলনে। তবে, ১৯৩৭ সালের দিকে একটা বড় ডিসিশন নিছিলেন।

পাজঃ আচ্ছা, আসলে অনেকগুলা বড় ডিসিশনই নিছিলাম। প্রথমে আমি ইউকাটানে (মেক্সিকোর দক্ষিণ দিকের একটা ফ্রি স্টেট) গেছিলাম। ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া শুরু করছিলাম আমি, কিন্তু গ্রেজুয়েশনের আগেই ছাইড়া দিছি। আমি উকিল হওয়ার ইচ্ছা বাদ দিছিলাম। মেক্সিকান অন্যান্য মিডল ক্লাস ফ্যামিলির মতো আমার ফ্যামিলিও চাইতো হয় তাদের সন্তান ডাক্তার হইবো, আর নাইলে উকিল। আমি আসলে হইতে চাইতাম কবি, একইসাথে একজন বিপ্লবীও। বন্ধুগো লগে ইউকাটানে গিয়া শ্রমিক আর কৃষকদের পোলাপান পড়ানোর একটা সুযোগ পাইছিলাম। এটা আমার জন্য গ্রেট এক্সপেরিয়েন্স ছিল। আমি তখনই বুঝছি যে,আমি আসলে একটা শহুরে পোলা। আর মেক্সিকো নিয়া আমার অভিজ্ঞতা আসলে একদম সেন্টার আর হায়ারক্লাসের এক্সপেরিয়েন্সের মধ্যে সীমাবদ্ধ।

ইন্টারভিউয়ারঃ তো, আপনি জিওগ্রাফির দিক দিয়াও তো নতুন অভিজ্ঞতা পাইলেন?

পাজঃ যেসব লোকেরা নিউ ইয়র্ক অথবা প্যারিসে থাকে তারা প্রায়ই দেশের বাকি জায়গার তুলনায় বেশি প্রাদেশিকতা ফিল করতে পারে।  আমি ইউকাটানের খোঁজ পাইছিলাম, যেটা ছিল মেক্সিকোর দক্ষিন দিকের খুবই অদ্ভুত একটা স্টেট।  এটা মেক্সিকোই ছিল, কিন্তু মায়াদের ইনফ্লুয়েন্সে ইউকাটান খুবই আলাদা এক শহর ছিল। আমি বুঝতে পারলাম যে, মেক্সিকোর মেইন ট্র্যাডিশনের পাশাপাশি আমাদের আরেকটা শিকড় আছে। সেটা হইলো মায়া ট্র্যাডিশন। ইউকাটান খুবই অদ্ভুতভাবে কসমোপলিটান ছিল। কিউবা আর নিউ অর্লিন্সের লগে যোগাযোগ ছিল তার। একটা ব্যাপার হইলো, ১৯ শতকের দিকে ইউকাটান থেকে মানুষ যত বেশি মেক্সিকোতে ঘুরতে যাইতো, তার চেয়ে বেশি ঘুরতে যাইতো আমেরিকা অথবা ইউরোপে। তখন আমি বুঝতে পারলাম যে আসলে মেক্সিকো কত কমপ্লেক্স।

ইন্টারভিউয়ারঃ তো, এরপর আপনি মেক্সিকো সিটিতে ফিরা আসলেন আর স্প্যানিশ সিভিল ওয়ারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন?

পাজঃ আমারে একটা কংগ্রেসে ইনভাইট করা হইছিল। আমি ইনভাইটেশন নিছিলাম, কারণ আমি ওইসময় স্প্যানিশ রিপাবলিকের খুবই একটিভ লোক ছিলাম। আমি ইউকাটান স্কুল ছাড়লাম আর স্পেনে গেলাম গা। ওইখানে আমি কয়েক মাস কাটাইছিলাম। আমি স্প্যানিশ লয়ালিস্ট আর্মিতে যোগ দিতে চাইছিলাম। কিন্তু ওইটা সম্ভব হয় নাই, কারন ভলান্টিয়ার হিসেবে আমার একটা পলিটিক্যাল পার্টির সুপারিশ লাগতো। যেহেতু আমি কম্যুনিস্ট পার্টি বা অন্য কোন পার্টির সদস্য ছিলাম না, তাই আমার পক্ষে সুপারিশ করার কেউ ছিল না। আমারে রিজেক্ট করা হইছিল। তবে তারা কইছিল যে এটা তেমন ইম্পর্টেন্ট কিছু না। কারন আমি ছিলাম ইয়ং লেখক, পুরা কংগ্রেসে সবচেয়ে বেশি ইয়ং। এইজন্যই আমার উচিত মেক্সিকোতে ফিরা যাওয়া আর স্প্যানিশ রিপাবলিকের জন্য লেখা। আর আমি ওই কাজই করছিলাম তখন।

ইন্টারভিউয়ারঃ পলিটিক্স আর স্প্যানিশ রিপাবলিকরে ডিফেন্স করা বাদে আপনার স্পেন যাত্রা আর কোন কাজে লাগছিল?

পাজঃ আমি আমার ঐতিহ্যের আরেকটা দিকের দিশা পাইছিলাম । আমি অবশ্য স্প্যানিশ সাহিত্যের ট্র্যাডিশনের লগে পরিচিতই ছিলাম। আমি সবসময় স্প্যানিশ সাহিত্যরে নিজের হিসেবেই ধরছি। কিন্তু বই পইড়া জানা এক কথা আর নিজ চোখে মানুষ, মনুমেন্ট আর দৃশ্যগুলা দেখা সম্পূর্ণ আরেক জিনিস।…..

…………………………………..

ইন্টারভিউ’র এই পুরা বইটা অর্ডার করতে ক্লিক করতে পারেন এই লিংকে:
(1) ইন্টারভিউ সিরিজ – Posts | Facebook

ইন্টারভিউ সিরিজ-১৫ – অক্টাভিও পাজ | Buy Interview Series-15 – Octavio Paz online | Rokomari.com, Popular Online Bookstore in Bangladesh

The following two tabs change content below.
Avatar photo

তাসনিম রিফাত

জন্ম ১৯৯৮ সাল। ঢাকায় থাকেন। সাহিত্য ও নৃবিজ্ঞান নিয়া পড়াশোনা করতে পছন্দ করেন।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →