আউলা
**ইশকুল ইশকুল খেলা বন্ধ যাদু।
আমাদের নাম লিখেছে রোদ্দুর, যদ্দুর পেরেছে —
আমরা উড়বো ঘুড়ি-সঙ্গে,
ঘুড়ি পতাকার অনেক উপরে… **
জীবনের একটা সময়, অনেক কিছু বদলানোর একটা বাসনা থাকে না? যেগুলো আমারও ছিলো, এখনও আছে। আবার এইটাও ঠিক, একটা সময়ে এসে বোঝা যায় যে, জীবদ্দশায় কিছুই আর বদলাবে না। মনের মধ্যে তখন নানান রকম চিন্তা-ভাবনা ঘুরপাক খায়। বাঙালি মুসলমান পরিবারে জন্মাইলে, শুরুতেই যেটা থাকে তা হলো, ধর্মীয় কিছু আইন মানতে হয়। আমার পরিবার থেকে অতটা চাপ ছিলো না। কিংবা সেইগুলারে আমার চাপ মনে হয় নাই। একটা সময় থাকে, তখন নিজের মধ্যে প্রশ্নও তৈরি হয় না যে, এগুলা কেন করতেছি। কিন্তু পরে যখন প্রশ্ন তৈরি হয়ে যায়, তখন এই চাপাইয়া দেওয়াটা আর ভাল্লাগে না। আর ভালো না-লাগা থেকেই বাইর হয়ে আসা। কিন্তু এই বাইর হওয়াটা আসলে ঘর থেকে বাইর হয়ে আসা না; সব নিয়ম থেকে বাইর হয়ে আসা। আর কোনো নিয়মের মধ্যে না ফেরা।
বাপের সঙ্গে কিছুটা দার্শনিক দ্বন্দ্ব থাকলেও পরিবারের আর কারও সাথে তেমন দ্বন্দ্ব হয় নাই আমার। কারণ ওই সময়ে ভেতরে লজিক—যুক্তি তৈরি হয়ে গেছে। ছোটবেলায় খুলনার দৌলতপুর রেলিগেটে আমরা যেভাবে এত অল্প বয়সে, এত সিনিয়রদের সাথে মিশছি, বড়দের সাথে মিশছি—এই মেশামিশির ভিতর দিয়াই অনেক যুক্তি তখন থেকেই তৈরি হইয়া যাচ্ছিলো। সেই যুক্তিগুলাই আসলে বাউণ্ডুলে বানাইয়া দিছে। আর কবিতা। বাঙালি ছেলে-মেয়ে, বিশেষ করে ছেলেরা, আমাদের সময়ের বাস্তবতার পর পর্যন্তও দেখছি—কেমন যেন একটা… হয়ে যায়! এই হয়ে যাওয়ার মধ্যে, নিজেকে প্রকাশ করার মধ্যে অন্যরকম একটা আনন্দ। কবিতা নিয়া কী কী যে হয়ে যায়! তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারতেছি না। আমিতো একবার একটা কবিতা এক লাইনের বেশি লিখতেই পারলাম না! মানে তখন আর হচ্ছে না। তখন ঐটাই রাইখা দিলাম। মানে ‘মেঘ দেখার পর আমি কিভাবে ফর্সা থাকি’—এই লাইনের পর আমি আর কী লিখি! যা বলার, তা তো লেখা হয়ে গেছে।
ছোটবেলায় বাংলা বইয়ে কবিতার সাথে কবির যে ছোট্ট জীবনী থাকতো—এগুলা দেখতে দেখতেই জিনিসটা ঢুকে গেছে। আর এই জিনিস একবার ঢুকে গেলে আর নামে না। জুনিয়র অবস্থায় সিনিয়রদের সাথে মেশার যে প্রভাব, তার কারণে শুরুতে কবিতাই লিখতে গেছি। আর এইসবে নর-নারী প্রেমের ব্যাপার যেটা থাকে, আমার শুরুতে এইটা ছিলো না। প্রথমদিকে মানুষের ভিতরের নানা রকম অসাম্যটা মাথার ভিতরে কাজ করতো। কারণ আমি বড় হইতেছিলাম এমন এক পরিবেশে, এমন সব মানুষের সঙ্গে—যারা সাম্যের কথা কইতো। শহর খুলনা, একটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকা। ঐখানকার পাটকল আর বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা, নানা দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করতো। সেই সব আন্দোলনে মানুষের মৌলিক চাহিদা আর সাম্যের ব্যাপার থাকতো। ওইগুলা থেকেই মনটা আউলাইয়া গেছিলো ছোটবেলায়।তারপর বাউণ্ডুলেপনা বা খামখেয়ালি জীবনযাপন। আইন-কানুনের ধারটার না ধাইরা নিজের মতো থাকা। আছে না—যে, এইভাবেই চলতে হবে, এটা করতে হয়, এই হয়ে যাচ্ছে, বিয়ে করতে হবে, বয়স হয়ে যাচ্ছে, এটা হয় নাই, চুল পেকে যাচ্ছে, পড়ে যাচ্ছে—এই যে ব্যাপারগুলা, এগুলাকে সুন্দরভাবে ইগনোর কইরা যাওয়া। এগুলা তো আছেই, এগুলা থাকবেই। এইসবে কোনো দোদুল্যমানতা নাই। আসল কথা হইলো প্রাকৃতিকভাবেই মানুষ একা। পরে অপ্রাকৃতিকভাবে এইটাকে জোড়াতালি দেওয়া হইছে। পারিবারিক জীবনটাও কিন্তু প্রাকৃতিক না। ওইটাও তৈরি করা হইছে; প্রয়োজনে। বিশেষ কইরা মানুষের। কারণ অন্যান্য প্রাণীর জীবন কিন্তু পুরাই প্রাকৃতিক। তাদের মধ্যে তথাকথিত কোনো শৃঙ্খলা নাই।
আরেকটা মজার ব্যাপার হইলো, অন্য কোনো প্রাণী কিন্তু আমগরে কয় নাই যে, আমরা সেরা। আমরা নিজেরাই, আপনাকে বড় বইলা, নিজেরে সেরা বানাইয়া, অন্যগুলারে আলাদা কইরা, অ-সেরা কইরা, নিজেরা কিন্তু অগরেই আবার খাইতাছি। পুরাটাই কিন্তু অপ্রাকৃতিক। প্রাকৃতিক থাকতে পারাটাই আসল। অনেকে আছে, ঘর-সংসার করেও জীবন-যাপনে সমস্ত কিছুতে বাউণ্ডুলে। কিন্তু বাউণ্ডুলে শব্দটা অনেক পশ লাগে। এর চেয়ে এইখানে আউলা শব্দটাই বেশি উপযুক্ত মনে হয়। এই যে আমি, অনিয়মিত হইলেও এতো কিছু করি। এখন যদি কেউ আমারে জিজ্ঞেস করে যে, আমি কী করি? কিংবা আপনার পেশা কী? এখন আমি কীভাবে বুঝামু? মানে পেশাডা কী জিনিস? আবার কিছু করি না—এই কথা বললে, বলবে যে, তাইলে চলেন কেমনে? আরে ভাই, প্রকৃতির কোনো প্রাণী তো অচল না। সবাই-ই তো চলতাছে। সে তো খ্যাপা! কারণ তার যুক্তিতে মিলতাছে না কিছুই। সে উত্তর জানে, কিন্তু অন্য লোকজন তার এই উত্তরগুলারে হিসাবে আনতাছে না।
আবার কাউরে কিছু বুঝাইতে গেলে, সামনে-পিছনে নানান রকমের নিষেধাজ্ঞা জুইড়া দিতাছে। ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক নানান ধরনের নিষেধাজ্ঞা। ধরেন, এখন আমরা এই যে কম্পিউটার ব্যবহার করি, এই কম্পিউটারটাও যে আসবো—এটারও পূর্বাভাস নাকি কোথাও ছিলো। এই যে এই ব্যাপারগুলা—এগুলা ভোগায় তো। এ জন্য তখন আর কোনো আইনটাইন মানতে ভালো লাগে না। তার মানে, আমি মিছিল-টিছিল কইরা, রাস্তায় নাইমা স্লোগান দিয়া কইতাছি যে, আইন মানি না—ব্যাপারটা তাও না। আসল ব্যাপারটা হচ্ছে, আমি এইটার সাথে ব্যালান্স করতে পারবো না তো। আমি এইটার সাথে যাবো না।
ধরেন যে, শৃঙ্খলা।
আমার কাছে এর মানে ‘শৃঙ্খল’। এই শব্দটার মধ্যে শিকল-বাকল এই সব ব্যাপার কিন্তু আছেই। শৃঙ্খলা মানেই হইছে শিকলে বান্ধা। এইটা তো তেমন কোনো আনন্দের শব্দ কিংবা ইতিবাচক শব্দ না। শৃঙ্খলা! শৃঙ্খলা বজায় রাখুন। মানে হালার চুপচাপ থাকো। তোমারে বাইন্ধা দেওয়া হইতাছে। তার মধ্যে আবার আছে, সুশৃঙ্খল। শৃঙ্খলা আবার ব্যাটা ‘সু’ হয় ক্যামনে! এইটা কিন্তু কোনো প্রাকৃতিক ব্যাপার না। এইটা হইলো বাইন্ধা দেওয়া। আর এই শৃঙ্খলা যে মানবে না, সে তখন আউলা হইয়া যাবে, বাউণ্ডুলে হইয়া যাবে, খারাপ হইয়া যাবে, অসামাজিক হইয়া যাবে।এই অসামাজিক শব্দটাও তো প্রাকৃতিক না। অসামাজিক আবার কী! সামাজিকতা মানেই হচ্ছে শৃঙ্খল, সীমানা। কিন্তু এই শৃঙ্খল ভাঙতে যাওয়ার অনেক রকম ঝামেলা।
আমি একবার শেরাটন হোটেলে একটা অনুষ্ঠানে গেছি। আমি গরমকালে ব্যাসিক্যালি যেভাবে চলাচল করি আর কি! পরনে একটা হাফ কার্গো প্যান্ট আর টি-শার্ট। অনেকের সাথে সৌজন্য আলাপ হচ্ছে। পাশেই এক ভদ্রলোক আমার দিকে কেমন কইরা জানি দেখতাছিলো। তার চোখেমুখে বিরক্তি। মুখে না বললেও বোঝা যাচ্ছে। একটু পরে বলেই বসলো, ‘সেদিন এক টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানেও আপনারে দেখলাম হাফ প্যান্ট পরা। আজকেও আপনি এই যে এভাবে আসছেন!’
আমি বললাম, এইটা তো আমার পোশাক। এইটা আমার চলাচল ভাই। এটা কোনো ব্যাপার না। আর আমার যে ইউনিফর্ম থাকতে হবে_ আমিতো ইউনিফর্মধারী কেউ না যে, আমাকে একটা নির্দিষ্ট কিছু পরতে হবে। আর এখানে কোনো ড্রেস কোড-ফ্রেস কোডেরও ব্যাপার নাই।ঠিক সেই মুহূর্তে আরও শর্ট একটা প্যান্ট আর স্লিভলেস গেঞ্জি পরা বিদেশি এক লোক লবি দিয়ে যাচ্ছিলো। আমি নগদে তারে দেখাইয়া দিলাম, ওই যে দেখেন। কইলাম, এইটা তো আমার দেশ ভাই। এই দেশে যদি আমার নিজেরে পরবাসী মনে হয়, তাইলে তো হইবো না ভাই! ওই লোকটা তো এইখানে বেড়াইতে আইছে। সে যদি এইখানে যে কোনোভাবে চলাচল করতে পারে, আমি ক্যান আমার দেশে পারমু না?
আমার কথা হইলো, কে কী পরবে না-পরবে সেইটা তার স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যাপার। আর ব্যাপারটা তো এমন না যে, আমি উলঙ্গ। এইটা আমার স্বাচ্ছন্দ্য হইতেই পারে। একজন বিদেশি, এই দেশে যে কোনো স্বাধীনতা নিয়া চলাচল করতে পারে; আমি পারব না আমার দেশে! এই যে নিজভূমে পরবাস, শামসুর রাহমানের সেই কবিতার বই।
আবার দেখা যায় যে, আমি ইচ্ছা করলেই অনেক রাতে ঘরে ফিরতে পারতেছি না। কিন্তু আমার ভিতরে কামড়াইতেছে। আমি পারতেছি না। কারণ আর কেউ বাইরে নাই। এবং অনেকেই হয়তো ফিরতে চায় নাই এতো তাড়াতাড়ি। এগুলা তো ঘটেই। তবে একটা জিনিস যে, সবার ভালো থাকার প্রশ্নে, মানুষের অধিকারের প্রশ্নে যে শৃঙ্খলা প্রয়োজন—আমি তার পক্ষে। হয়তো এখন আমার কিছু ধরন বদলাইছে। কিন্তু আমি শুরু থেকেই নিজের মতো, এই রকম। আর নিজের মতো এই রকম থাকতে পারলেই তো, নিজের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে না। আমি আমার নিজস্ব আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি না। আমার নিজের যুক্তি, নিজের ইচ্ছা, নিজের প্রশ্নগুলাকে মাইরা ফেলতে হচ্ছে না। মূলকথা হইলো—আমি আমার আনন্দটাকে বিসর্জন দিতে পারবো না। কোনোভাবেই দিতে পারবো না। এটা অনেকটা স্বার্থপর-টাইপ কথা হইতে পারে। কিন্তু কিচ্ছু করার নাই। এইটারে যদি এখন ‘আউলা’ বলা হয়, কোনো সমস্যা নাই। কারণ আমি জানি, আউলা আসলে কারা? আরেকটা কথা হইলো, জীবনযাপনটাওতো একটা শিল্প। আর শিল্প কি সব সময় একই রকম থাকে নাকি? শিল্পতো বদলাইবোই। একেক জনের জীবন একেক রকম হইবো—এইটাই স্বাভাবিক।
আমার একুশ বছরের ঢাকার জীবনে, নিজের বাসা নিয়ে থাকাটা খুব কমই হইছে। যখন যেখানে কাজ করছি, সেখানেই থাকছি। প্রথমদিকে নানা কারণে লাইফটা একবারে খরখরা হইয়া গেছিলো। আবার ঠিকও হইয়া গেছে। জীবনটাতো আসলে দিনে দিনে খরচ হচ্ছে। একদিন পুরাটাই খরচ হয়ে যাবে। এই খরচ হওয়াটাই স্বাভাবিক—এইটা নিয়া এতো ভাববার বা ভয় পাবার কিছু নাইতো! এসব বাধা-বিপত্তি, অনিয়মের মধ্যে আছি বইলাই আমরা টের পাই যে, আমরা মইরা যাইতাছি। নাইলে আমরা টের পাইতাম না তো। একদিন আপানাআপনি-ই মারা যাইতাম। আসলে অযৌক্তিক শিক্ষাদীক্ষা, খাবার, চিকিৎসা, এটা-ওটা নানাকিছু দিয়া মানুষকে অসুস্থ করে তোলা হয়। কারণ অসুস্থ না হইলে তো মানুষ টের পাবে না যে, সে মরে যাচ্ছে।
প্রেমের ব্যাপারটাও তাই—প্রাকৃতিক। যারে যার ভালো লাগে। যারে যার ভালো লাগবে না—লাগবে না! এইটা আসলে ঘটে যাওয়ার ব্যাপার। সবার সাথে ঘটে না তো। এইটা সবার সাথে হয় না। আমার হয় নাই। আর বিরহ থাকবেই। কেউ চলে যাবে, কারও ভালো লাগবে না, আরেকজন বিরহে থাকবে; এটাই স্বাভাবিক। বিরহ ভাল্লাগে তো। আমার এক বন্ধু, কিছুদিন আগে দাম্পত্যের প্রশ্নে একদিন বলতেছিলো, ‘দেইখো, পঁয়তাল্লিশের পরে গিয়া কিন্তু অনেক নিঃসঙ্গ হয়ে যাবা। অনেক সাফার করবা।’
হ্যাঁ, কেউ সাফার করলো—তাতে অসুবিধা কী? আছে না! সাফারেও মজা আছে না! মানুষ কত রকম সাফার করতেছে।
মানুষ জন্মের পর থেকেই আউলা।
একটা বাচ্চা যখন জন্মায় বা সে যখন হাঁটা শিখে; সে কিন্তু যে কোনো কিছু ধইরা বসে। আগুন ধইরা বসতাছে, নিজের গু নিজে খাইতাছে। এইটা নিয়া তার কোনো মাথাব্যথাও হয় না। তাকে পাহারা দিয়া রাখা হচ্ছে। কারণ, আসলে সে তখন আউলা তো। যখন সে বড় হইতাছে, নানান কিছু শিখতাছে আর তখনি তার মাথাব্যথাগুলা বাড়তাছে। মানুষতো আসলে প্রাকৃতিকভাবেই আউলা। বললাম না—এই সব আউলামির শুরুটা সেই মানুষে-মানুষে অসাম্য। এই অসাম্যটাই ছোটবেলা থেকে আমাদের ভোগাইতেছে। সব অসাম্যের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করতে করতে আউলা হইয়া গেছে মনটা।
ওই সময়ের খুলনায়, খুলনা পাবলিক লাইব্রেরিতে যাইতাম। কিছু কিছু বই ছিলো। তখন প্রচুর রাশিয়ার বই আসতো। যে বইগুলা আমাদেরকে অনেক স্বাভাবিক থাকতে সহায়তা করছে। বিশেষ কইরা ম্যাক্সিম গোর্কির বই। ভুপেনের গান।
আমি একটা গান লেখছিলাম,
**গোল্লায় নিয়ে যাচ্ছে আমায় হাওয়াই জলের গাড়ি
গোল্লা হলো তীর্থস্থান অশেষ উপকারী**
— এইটার মধ্যে আমার পুরা ফিলোসফিটা পাওয়া যায়। আউলা ফিলোসফি। ওই গানটারে আমার আত্মজীবনীও বলা যাইতে পারে।
নিজের জীবনের বিষয়-আশয়গুলাইতো আসলে লেখার ভিতরে উঠে আসে। আমার লেখা তাই আমার মতোই। আর গোল্লায় যাওয়ার ব্যাপারটাতো ছোটবেলা থেকেই শুনতেছি—আমি গোল্লায় যাচ্ছি। শুনছি, ‘এইডাতো শ্যাষ, এইডা গোল্লায় গেছে। এইডারে দিয়া কিচ্ছু অইবো না।’
আর এই গোল্লায় যাওয়ার জার্নিটাই হইলো আউলামি। যেইটা এই লেখায় বর্ণনা করা সম্ভব না। গোল্লায় আরেক দিন যাবনে। তবে এই যাওয়াটা ইতিবাচক, যেমন—
**গোল্লায় নেই রাজনিতি কিন্ত রাজা আছে
রাজাদের কাজ ঝুলে থাকা বাঁদরঝোলা গাছে
আমিও গিয়ে ঝুলতে থাকবো আহা রকমারী **
ওই যে বান্দর। এই বান্দরের যে ঝোলা—তাতো নানান রকমের। আমি গোল্লায় ছাড়া আর কোথাও যাইতে চাই না। বিভিন্ন দিক দিয়ে গোল্লায় যারা যাচ্ছে, তাদের সঙ্গে দেখা হবে।
/২০১২
মারজুক রাসেল
Latest posts by মারজুক রাসেল (see all)
- গান-ভাঙ্গা গান, লিরিক মারা লিরিক, সুর মারা সুর - জুন 15, 2021
- মারজুক রাসেলের কবিতা - মে 27, 2021
- আউলা - জানুয়ারি 27, 2021