Main menu

প্রোফাইলিং, ইল্যুশন ও অন্যান্য আলাপ

বছরের শুরুর দিকে, আমেরিকা আসবার পরে একদিন ফেসবুকে ঢুকে দেখি হোমপেইজের অবস্থা বেসামাল। ঝাঁকে ঝাঁকে দেশীয় হারবাল ঔষধালয়ের অ্যাডে হোমপেইজ ছেয়ে গেছে। হাইড দেই, রিপোর্ট দেই, একটা বন্ধ হয় তো আরেক ভিডিও চলে আসে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নাদুসনুদুস নারীপুরুষ সোফায় বসে যৌনরোগের দুশ্চিন্তার আলাপ করে, তারপর স্ক্রীনে ভেসে ওঠে সেই হারবাল ঔষধ কী কী জটিল সমস্যা সমাধান করতে পারে, তারপর ঔষধ খেয়ে তাদের নানান ভঙ্গিমা শুরু হয়। বুঝতে পারলাম না, কোত্থেকে কী হচ্ছে, আইপি অ্যাড্রেস অনুযায়ী বাংলাদেশের কোনো অ্যাড এখানে দেখানোর কথা না। আইডি হ্যাক হয় নাই, তাইলে কি আমি ইনকগনিটো ছাড়াই ভুল করে কোনো বিশেষ সাইটে ঢুকে পড়ছিলাম? মনে পড়ে বেশ অনেক বছর আগের কথা, নতুন ইন্টারনেট নেয়ার আনন্দে নেটের স্পীড চেক করতে এক ট্যাবে পর্ন ওপেন করে মিউট রেখে অন্য ট্যাবে বসে আজেবাজে কবিতার স্তুপ গ্রুপের জন্য একটা নিম্ন শ্রেণীর ছড়া লিখতেছিলাম। তো হঠাত লক্ষ্য করলাম পেছনে এক সিনিয়র রিলেটিভ দাঁড়ায়ে আমার স্ক্রীনের ছড়াটা মনোযোগ দিয়ে পড়তেছেন। বিব্রত হয়ে তাড়াহুড়া করে পাশের ট্যাবে ক্লিক করতেই বিপুল বিক্রমে পর্ন চালু হয়ে গেলো, নতুন নেট নেয়ার সৌভাগ্যে অবশেষে কোনো বাফারিং ছাড়াই। আতঙ্কিত অবস্থায় ফ্রোজেন হয়ে সেইটা ক্যামনে ক্লোজ করবো বুঝতে পারতেছিলাম না। (সত্য ঘটনা, তবে পর্নোগ্রাফ নিয়ন্ত্রণ আইন পাশের আগের। আইন পাশের পর প্রত্যেকে আমরা ল এবাইডিং সিটিজেনে পরিণত হই, এবং এই ধরণের গর্হিত কাজ পরিত্যাগ করি।)

সেই অভিজ্ঞতার পর নরমাল ব্রাউজার দিয়ে ওই পথে যাবার আর প্রশ্ন ওঠে না। আন্দাজ করলাম ফেসবুক সম্ভবত আমার কনজিউমার প্রোফাইলিং করতেছে। যেহেতু সেই সময়ের আগে আমি বেশ রেজিস্টিভ মুডে ছিলাম থার্ড পার্টির কাছে পারসোনাল ডাটা বিক্রির ব্যাপারে, তাই মেজরিটি অভ দ্যা প্রডাক্ট সার্চ ইনকগনিটো মোডে গিয়ে করতাম, কুকিও রেস্ট্রিক্টিভ থাকতো, ফলে বুঝলাম তারা আমার কনজিউমার প্রোফাইল দাঁড় করাইতে পারতেছিলো না। সেইসব হারবাল অ্যাডের কবল থেকে বাঁচতে ওইদিনই গুগল প্রোফাইল থেকে নানান প্রডাক্ট সার্চ দিতে শুরু করলাম, আর যত ফিচার সাইটে কুকি অফার করলো, অ্যাক্সেপ্ট অল কুকিজ দেয়া শুরু করলাম। প্রোফাইল যখন বানাইবি অরিজিনালটাই বানা। ২ দিনের মধ্যে আমার হোমপেইজ থেকে হারবাল ঔষধের বিজ্ঞাপন হাওয়া।

তার কিছুদিন পরেই বিবিসির ড্রাগন’স ডেন-এ সেরা একটা পীচ দেখলাম, নিজের ডিজিটাল ডাটা বিক্রির মাধ্যমে টাকা কামানোর একটা উঠতি প্ল্যাটফর্মের। (ভিডিও লিংক নিচে।) ফলে ভেন্ডররা আপনার কী কী ইনফরমেশন পাবে সেইটা আপনার কন্ট্রোলে থাকলো, ইচ্ছা হইলে নিজের ইনফরমেশন নিজেই সিলেক্টেড মার্কেটারের কাছে বিক্রি করলেন। ইনফো বিক্রির জমানায় অ্যাড ব্লক এক্সটেনশন থেকে শুরু করে ইউটিউবকে মান্থলি টাকা খাওয়ায়ে বিজ্ঞাপণের অত্যাচার থেকে বাঁচতে পারছি। প্রায়। বাঁচতে পারি নাই ফেসবুক আর পর্নসাইটের ভেতরের বিজ্ঞাপন থেকে। বিবিধ ট্র্যাডিশনাল বিজ্ঞাপনের মাঝে একদিন অভিনব এক অ্যাড দেখলাম পর্নের পাশে, আপনি কি পর্ন অ্যাডিকশনে আক্রান্ত? তাহলে চলে আসুন আমাদের পর্ন অ্যাডিকশন রিহ্যাব সেন্টারে! একেবারে ফোকাস গ্রুপ পারফেক্ট প্লেসিং। তারপরও গুগল রিসেন্টলি ইনকগনিটোতে গেলে এক্সপ্লিসিট কন্টেন্ট ওয়ার্নিং দেখায়ে সেইফ সার্চ বেছে নিতে উৎসাহ দেয়। বুঝতে পারলাম, মানুষের মতো গুগলও কগনিটিভ ডিজোনেন্সে আক্রান্ত হয়।

এইটাকে কগনিটিভ ডিজোনেন্স বলা যায় কি না শিওর না, যেমন বিগত কয়েক বছর ধরে জর্ডান পিটারসনের হাইপার চার্জড সেলফ-হেল্প সাইকোএনালিটিকাল লেকচার এঞ্জয় করতেছি, আবার তার চেয়েও বেশী আনন্দ নিয়ে দেখি সেইগুলার ভালো কোনো রিবাটাল, বিশেষত ফিলোসফি টিউবের এবং আইরিশ প্রফেসর হান্স মোয়লারের। (https://www.youtube.com/watch?v=eBw_R6TJt90) ফিলোসফি টিউব পিটারসনের নিহিলিজমের প্রতি আক্রমণকে একাডেমিকালি ইনকারেক্ট প্রমাণ করে যে মূলত পিটারসন তার ক্যারিয়ার জুড়ে নিহিলিজম না বরং মোরাল রিলেটিভিজমের বিরোধিতা করছেন, এবং সব কিছু রিলেটিভ হইলে কোনো কিছুকেই আইডিয়াল ধরা যাবে না ফলে সোসাইটি কলাপ্স করবে তা বলে আসছেন।

যেহেতু পিটারসন অ্যাবসলুটে বিশ্বাস করেন এবং হায়ারার্কি মানেন, থর্ন এইখানে প্রশ্ন রাখতেছে তাইলে এই অ্যাবসলুট ডিসাইড করে কারা? হান্স মোয়লার ওইদিকে ফিলোসফি টিউবকে মুরুক্ষু/বাজারি ঘোষণা দিয়ে লেকচার দিছেন, তাও খুব আনন্দ নিয়েই দেখছি।

অবশ্য এতে কোনো পক্ষের প্রতি পছন্দ কমে যায় নাই। ফিলোসফি টিউব যখন এত ড্রামাটাইজড ছিলো না, ২০১৬ এর দিকে একটা ভিডিও পছন্দ হইছিলো, মিথ অফ সিসিফাস আর ওয়েইটিং ফর গোডোর কম্পারেটিভ এনালাইসিস।

দুই প্রিয় লেখা কাছাকাছি সময়কালে সিমিলার কনসেপ্টের একটা essay আর একটা নাটক, এইটা বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হইছিলো। মিথ অভ সিসিফাস যেখানে ডিসকাস করে আলটিমেট ‘অ্যাবসার্ড’এর সামনে দাঁড়ায়ে মানুষ কি কি করতে পারে, (আত্মহত্যা? ডিনাই/ধর্ম/ভোগ? অভিনয়? ক্ষমতা দখল? শিল্প?), এবং ওয়েটিং ফর গোডো এর চরিত্রগুলাও অনেকটা একইরকম অপশনের মধ্য দিয়ে যায়। গোডো যেমন কখনও আসে না, সিসিফাসের পাথর ঠেলাও কখনও শেষ হয় না। তবে ক্যামু প্রেসক্রাইব করেন অ্যাকসেপ্টেন্সকে, one must imagine Sisyphus happy.

তো বর্তমানে আমি ইস্ট কোস্টের যেই এলাকায় থাকতেছি এর নাম আবার Happy Valley, যদিও এলাকার লোকজনকে কখনও ভিনদেশীদের সাথে হাসিখুশিভাবে ইন্টার‍্যাক্ট করতে দেখি না, এমন কি দোকানের সেলসপারসন বা ক্যাশিয়ারকেও। এই এলাকায় থাকলে ইমানুয়েল কান্ট মানুষকে means to something else হিসাবে না দেখে end in themselves হিসাবে দেখার প্রয়োজনীয়তা নিয়েই আস্ত একটা বই লিখে ফেলতেন হয়তো। অন্য দিকে ওয়েস্ট কোস্ট গিয়ে এই দিক থেকে তাদেরকে অনেক উদার মনে হইলো। দোকানে ২টাকার জিনিষ কিনতে আসলেও তারা গালভরা হাসি নিয়ে কথা বলবে। যদিও সিয়াটল গ্লুমি, সারাবছর বৃষ্টি হয়; আর হ্যাপি ভ্যালিতে বছরের অধিকাংশ সময়ই আকাশ ঝলমলে, শীতকালটা ছাড়া। ফলে হঠকারী সিদ্ধান্তে উপনীত হইলাম যে, সুখের এলাকায় লোকজন একা একাই ভালো থাকতে পারে, ফলে অন্যদের বিষয়ে তাদের চিন্তা করার দরকার পড়ে না। কিন্তু জায়গা খারাপ হলে বা শেয়ারড গ্রীফ থাকলে অপরিচিত লোকজনের মধ্যেও মেবি কোনো এক নৈকট্য গড়ে ওঠে। নৈকট্য তৈরি হওয়া টাফ, একোয়েন্টেন্স তৈরি করা টাফ না। হ্যাপি ভ্যালির ড্রাই ল্যান্ডে নৈকট্যের আশায় কিছুদিন নেপাল আর পাকিস্তানের দুইজন স্টুডেন্টকে পড়ায় হেল্প করছিলাম, পরে বুঝতে পারলাম তারা হেল্প পর্যন্তই আগ্রহী, যোগাযোগে না। সম্ভবত গিভিং এন্ডে থেকে অন্যের নৈকট্য আকাঙ্ক্ষা করা মানুষের ডোরম্যাট তৈরির প্রাইম প্রসেস। যদিও মানুষ এই সব নিয়ে কনফ্রন্টেশনাল হয় না, আরেকটা সুন্দর দিনের আশায়, বা সেইটাও হয়তো এক ইল্যুশন।

ইল্যুশন বিষয়ে একটা এক্সপ্লেনেশন মেবি এইখানে দেয়া যায়। বিভিন্ন সময় আমাকে ফেসবুকের প্রোফাইল বায়ো বিষয়ে এই প্রশ্নটা শুনতে হইছে “মিথ্যা মোমো হয় না” এইটার মানে কী। কম জায়গাতেই আমি রিয়েল উত্তর দিছি। তো আমি যখন ইউল্যাবে পড়াই মোহাম্মদপুর যাবার রাস্তায় একটা দোকান পড়তো, ওখানে বড় করে লেখা ছিলো মিথ্যা মোমো হয় না। আমিও দেখে ভাবতাম, সত্যই তো বলছে, মোমো তো মিথ্যা হইতে পারে না। কারণ মোমো তো সত্য সত্যই আছে। দীর্ঘদিন পরে চোখে পড়লো ওখানে অ্যাকচুয়ালি লেখা “মিথ্যা মেমো হয় না”, এবং সেটা একটা স্টেশনারী টাইপ দোকান ছিলো। [এখন ছবিতে দেখতেছি মোটর পার্টসের দোকান।] নিজেও বুঝতে পারলাম না এদ্দিন একটা স্টেশনারী [মোটর পার্টসের] দোকানে মোমো বিষয়ক সাইনবোর্ড লাগানো আছে সেইটা আমি কেনো বিশ্বাস করছিলাম। এইগুলা পৃথিবীর ইল্যুশন।

ইল্যুশন সব সময় যদিও খারাপ না। This is your mind on plants বইয়ের উপর একটা লেখা পড়ছিলাম যে রিয়েলিটি পরিবর্তন করতে আমরা মানুষেরা বিনোদনের জন্য যেই ৩টা সাইকোঅ্যাক্টিভ সাবস্টেন্স ব্যবহার করি তারা মূলত আপার, ডাউনার এবং আউটার ক্যাটাগরিতে পরে ।

ক্যাফেইন একটা আপার/upper, (আপা বা ধন্যবাদাপার সাথে কোনো সম্পর্ক নাই), আপনার মস্তিষ্কের স্টেটকে ক্যাফেইন উপরে তোলে। অপিয়ামকে বলা হয় ডাউনার, শুরুতে কেউ কেউ হাইপার অ্যাক্ট করলেও সেবনের এক পর্যায়ে আলটিমেটলি এইটা ব্যক্তিকে শ্লথ করে। আর ফাইনালি হ্যালুসিনেটরি সাইকাডেলিক ড্রাগগুলা আউটার, সেবন করলে উপর বা নিচে না নিয়ে মস্তিষ্ককে তার জগতের বাইরে নিয়ে যায়। একটা ইন্টারেস্টিং আলাপ আছে এই বিষয়ে যে যেই সময় থেকে মানুষ এলকোহল বাদ দিয়ে ক্যাফেইনের দিকে আসলো, সেই সময় থেকে মেটাফিজিক্সের মৃত্যু শুরু এবং এনালাইটিকাল ফিলোসফির জন্ম। তো আপনি এই ৩ পদের মধ্যে কোনটাকে সঙ্গী করতে পছন্দ করেন সেইটাও আপনার মেন্টাল স্টেট ও তার চাহিদা জানান দেয়।

প্রোফাইলিং দিয়ে শুরু করছিলাম, প্রোফাইলিং দিয়েই শেষ করি। কমলা হ্যারিস এবং অথেনটিসিটি নিয়ে হান্স মোয়েলার কিছুদিন আগে একটা লেকচার ভিডিও রিলিজ করেন।

ওইখানে বলেন মানুষের আইডেন্টিটিতে পুরাতন শতকগুলা জুড়ে প্রাধান্য ছিলো সিনথিয়ারিটির। সমাজে যেই রেগুলেটেড নর্মগুলা ছিলো সেইগুলার সিনসিয়ার ফলোয়িইংই ছিলো সম্মানজনক ও স্বাভাবিক। এর পরে সময় আসলো অথেনটিসিটির। গত দুই শতকের লিটারেচার, ফিলোসফি, সিনেমা এগুলা লক্ষ্য করলে দেখা যাবে ইন্ডিভিজুয়ালের ভেতরের আইডেন্টিটি কনফ্লিক্ট – সে সিনসিয়ারিটির স্ট্রাকচারের বাইরে এসে অথেনটিক হয়ে উঠতে চাইতেছে। সিনসিয়ারিটিকে তখনও যারা বহন করে যাচ্ছে, তারা দাবী করে অথেনটিকেরা ইনসিনসিয়ার আর অথেনটিকরা দাবী করে যে সিনসিয়াররা মূলত কনফর্মিস্ট। যদিও অথেনটেসিটির দিকে যাওয়াও নিয়ারলি ইম্পসিবল ধারণা করা হয় এর ডাবল বাইন্ড সেলফ কন্ট্রাডিক্টরি নেচারের কারণে, যেমন আপনাকে জড়সড়ো দেখে কেউ যদি বলে “বি স্পনটেনিয়াস”, আপনি স্পনটেনিয়াস হইলেন তো সেইটা আর আপনার স্পনটেনিইটী থাকলো না। কমলা হ্যারিস একটা ক্লিপে বাচ্চাদেরকে বলেন never let anyone tell who you are কিন্তু উনিই বলে দিতেছেন এখানে। তেমনি আমাদের অথেনটিক হয়ে ওঠার যেই তাড়না সেইটা প্রেসক্রাইবড একটা বিষয় যা আর অথেনটিক থাকে না, যত বেশি চেষ্টা করা হয় জিনিষটা হয়ে ওঠে ততটাই ইনঅথেনটিক। তো দুইহাজার পরবর্তি ইন্টারনেট সময়ে বর্তমানে নতুন একটা আইডেন্টিটি ফর্ম তৈরি হচ্ছে, মোয়েলার যেইটাকে বলেন প্রোফিলিসিটি। তো এই পোস্ট-অথেনটিক প্রোফিলিসিটিতে ইন্ডিভিজুয়াল স্বেচ্ছায় নিজের একটা ইমেইজ ক্রিয়েট এবং প্রজেক্ট করতেছে, তার এই প্রজেকশন যে পারসিভড হইতেছে সেটাও সে অবজার্ভ করতে পারতেছে। সে স্বেচ্ছায় আর অথেনটিক নাই, যেমন আপনি কোন ইনফরমেশন কোন ভেন্ডরের কাছে বিক্রি কেন করবেন আপনার সিদ্ধান্ত, এখানে সিনসিয়ারিটির আলাপও নাই, আপনার অথেনটিসিটি থাকলো কি না তারও বিষয় নাই। আপনার ইমেইজ কন্টেক্সট ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হইতেই পারে। প্রোফিলিসিটির নানাবিধ সমস্যাও আছে প্রোফাইল পলিটিক্স, নিজেকে কমোডিটিতে পরিণত করা, প্রোফাইল অবসেশন ইত্যাদি। তো প্রোফিলিসিটির এই জমানায় উনি ৭টা রুল প্রেসক্রাইব করেন ট্র্যাপে না পড়তে –

1. Never let anyone tell you to define your identity for once and for all
2. Create multiple images of yourself
3. Never let anybody reduce you to your images
4. Never reduce yourself to your images
5. Appreciate the images of others
6. Never reduce others to their images
7. Never tell others to define their identity for once and for all

যেই হেতু ইনফরমেশন বিক্রিবাট্টা থামানোর কোনো কৌশল এখনও আমাদের হাতে নাই, তাই এই ইল্যুসরি রিয়ালিটিতে নিজের ও অন্যদের বিবিধ স্প্লিট ইমেইজকে গ্রহণযোগ্য জায়গা দেয়ার জন্য হয়তো কিছু সীমারেখা চিন্তা করা যায়।

The following two tabs change content below.
Avatar photo

রওনক মিরাশদার

ফলিত পদার্থবিজ্ঞানে লেখাপড়া। সময় কাটান আগ্রহের বিষয়আশয়ের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও সম্বন্ধ দাঁড় করায়ে। আপাতত বসবাস যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায়।
Avatar photo

Latest posts by রওনক মিরাশদার (see all)

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →