বাছবিচার এডিটোরিয়াল আলাপ (১): পাবলিক ও প্রাইভেট
সব কথা যে লেইখা বলতে হবে, এইটা তো সবসময় জরুরি না। তো, এই জায়গা থিকা আমরা ভাবছি যে, কিছু জিনিস কথা বইলাও বলতে পারি আমরা! এইজন্য কিছু আলাপ করবো আমরা। ফরম্যাট’টার ব্যাপারে এখনো ফাইনাল কিছু ভাবতে পারি নাই। ভাবছি যে, একটা টপিক নিয়া কথা কইতে পারলে বেটার।
আলাপের টপিক হিসাবে আমরা ঠিক করছিলাম – পাবলিক এবং প্রাইভেট। মানে, অনেককিছুই আছে যারে আমরা মনে করি পারসোনাল বা প্রাইভেট ঘটনা এবং অনেককিছু হইতেছে পাবলিক ইভেন্ট। কিন্তু বাউন্ডারিগুলা তো ফিক্সড না। দেখা যায়, পাবলিক জিনিসগুলা হাইড করা হইতেছে, আবার প্রাইভেট জিনিসগুলারে পাবলিক করা হইতেছে। এই জায়গাটারে সেন্টার কইরাই কথা বলা।
আলাপ করতেছি আমরা তিনজন – ইব্রাকর ঝিল্লী, রক মনু এবং ইমরুল হাসান।
ভিডিওটা আমাদের ইউটিউবে পেইজেও পাইবেন। এইখানে অল্প কিছু অংশ ট্রান্সস্ক্রাইব করা হইলো।
ই. হা.
… … …
ই. হা.: পাবলিক আর প্রাইভেট যে ঘটনা… কোনটা কি, অই এরিয়াটা নিয়া… এখনো ঝামেলা আছে, কন্টিনিউয়াসলি একটা ঝামেলা তৈরি হচ্ছে… এইখানে ইন জেনারেল একটা রুল প্রপোজ করাটাও একটু ঝামেলার। এইটা সবসময় হইতে পারে না। একটা ডিসটরশন তো তৈরি হইতেছে প্লেইস টু প্লেইস, ইভেন্ট টু ইভেন্ট। এইসব তর্কে যেইটা হয় একটা জেনারেল রুল আবিষ্কার করার চেষ্টা করা হয় যে, এইটা হচ্ছে নিয়ম! এইরকম জেনারেল রুল এস্টাবলিশ করার চেষ্টা করা হয়, এইটা একটা প্রব্লেমেটিক জায়গা আর কি! এইটা একটা ফার্স্ট কনসার্ন আমার।
রক মনু: যেইটার একটা লিগাল ফয়সালা আছে, সেইটাই ফ্ললড মনে হইতে পারে আমাদের। ধরেন, আমি রাস্তায় নামলাম, একজন ফটোগ্রাফার আমার ছবি তুললো। যে ছবিটা তুললো, কপিরাইট তার। এইটা হইতেছে লিগাল ফয়সালা। এখন কপিরাইট যদি তার হয়, সে তো এইটা ইউজ করতে পারে। কিন্তু ছবিটা তো আমার। স্পেইসটা পাবলিক, তাইলে প্রাইভেসির কি হবে? ডিরেক্টলি আমার প্রাইভেসিও তো না; জিনিসটা হচ্ছে আমার একটা ছবি। সেইটা তো ধরেন পাবলিকই। কিন্তু সেইটা হইতেছে এক পলক দেখলো আর কেউ সেইটা ক্যাপচার করলো। পরে সেইটারে ক্যাপিটালাইজ করলো।.. অইখানে আমার কিছু তো পাওনা হবে না।… ধরেন অইটা কোন প্রমোশনে ইউজ করা হইলো, তখন কি হবে?… যেই কোম্পানি এইটা করলো, সে পে করবে কাকে?… না করলে আমি কি কোন লিগাল স্টেপ নিতে পারবো? এইরকম কতগুলা ইস্যু আর কি!
মোস্ট প্রভাবলি কদ্দূর পর্যন্ত এর ফয়সালা আছে, কিন্তু সেইটা আবার কিছুদূর পর্যন্ত ফ্লড। মানে, আমার একটা ছবি সেইখানে আমার কোন রাইট নাই!… মানে, যদি আমি পারমিশন দিয়া থাকি তাইলে তো আমি আমার রাইট’টা ছাড়লাম।… কিন্তু যদি না দেই… জিনিসটা এবসার্ড লাগে না? পাবলিক প্লেইসে হাজির থাকা মাত্র আমি একটা গণ-প্রপার্টি হয়া যাবো?…
আমি আরো কয়েকটা ইস্যু’তে যাই… এইখানে পলিটিক্স, স্টেইট, এইরকম ইস্যু আসছে তো, ফলে একভাবে রিলেটেড। প্রাইভেট এবং পাবলিক যে ডিভিশন, সেই ব্যাপারে একমত হওয়া তো কঠিন। দুনিয়া একমত হওয়ার অবস্থাতে নাইও, কিন্তু একমত না হইয়াই আমরা কিছু ডিসিশান নিতে পারি কিনা। সেইখানে আমার একটা প্রপোজাল বা ভাবনা… প্রাইভেসি যদি আমরা একজন পারসনের হক হিসাবে দেখি, তাইলে কার কার সেই হক আছে, আর কারো সেইটা না-আছে কিনা। এইটা আমার একটা কনসার্ন।… যতক্ষণ পর্যন্ত আমি হইতেছি আমার রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাজ অ্যা পারসন, অন্য কাউরে কোথাও রিপ্রেজেন্ট করি না কোথাও, ততক্ষণ পর্যন্ত আমার এবসুলেট হক আছে আমার প্রাইভেসির উপরে। কিন্তু যখন আমি অন্য কাউরে রিপ্রেজেন্ট করি তখন আমার সেই হক রদ হবে।… এইখানে হইতেছে পলিটিক্সে মামলা। ধরেন একজন আমলা, স্টেটের একজন গোলাম, একজন মন্ত্রী বা উজির… সে তো নিজে নাই, তার ভিতরে অনেকেই মোর্চা হিসাবে আছে… সেইখানে তখন সে আর কোন প্রাইভেসির ক্লেইম করতে পারবে না।… সে স্টেইটের গোলাম হইতেছেই অই অর্থে যে সে আর এই হক ক্লেইম করতে পারবে না।
এখন চিন্তার বিষয় হইতেছে কদ্দূর পারবে না?… প্রাইভেসি ক্লেইম না করতে পারা মানে হইতেছে সে এক ধরণের পাবলিক সারভেলেন্সের মধ্যে থাকবে। পাবলিক যদি চায় তাইলে যে কোন সময় তারে দেখতে পারবে।… এখন তার বেডরুম পর্যন্ত কি দেখতে পারবে?… সে যখন তার পোলা, মাইয়া বা বউয়ের সাথে আছে… তাদের অই হক আছে বইলা সে সারভেলেন্সের বাইরে থাকতে পারতেছে… কাইন্ড অফ হিউম্যান শিল্ড। এইরকম।
এখন বাস্তবে আমরা যেইটা দেখি… যে হচ্ছে কাউকে রিপ্রেজেন্ট করে না, সে হচ্ছে ইন এভরি মোমেন্ট সারভেইলেন্সের মধ্যে আছে। আর যারা রিপ্রেজেন্ট করে তাদের উপরে পাবলিকের… সারভেইলেন্স করার কোন মওকাই নাই। বাস্তবে আমরা এইটা দেখি।… এই ঘটনা হওয়া উচিত পুরাপুরি উল্টা।…
আমাদের লিগাল স্ট্রাকচারে কোম্পানি যেমন একটা এনটিটি, স্টেইটও কিন্তু একটা এনটিটি। এখন এনটিটি হিসাবে আমাকে যে কোন সময় ভায়োলেট করা যায় এবং আমি ভায়োলেশনের ভিতরে আছি।… আর যার হচ্ছে সবচে বেশি নজরদারিতে থাকার কথা ছিল, সে (স্টেইট) হচ্ছে একস্ট্রিম প্রাইভেসি এনজয় করে।… লিগালি এইটা মওকা ধীরে ধীরে আরো বাড়ানো হইতেছে।… ডেমোক্রেসি সিস্টেম তো এই যে স্টেইট এবং পিপল – এই অপজিশনকে মিনিমাইজ করতে চায়।
ই.হা.: এইখানে আলাপের যেই বেইজটা আছে পাবলিক এবং প্রাইভেট, এই বেইজটারেই শিফট করা উচিত। যেইটা বলতেছিলাম যে, জেনারেল রুলস নাই, সেইখানে ক্যাটগরি-ওয়াইজ, সেগমেন্ট-ওয়াইজ কিছু রুলস এস্টাবলিশ করা যাইতে পারে। ধরেন, একটা পাবলিক অফিস, পাবলিক সার্ভেন্ট হিসাবে যারা কাজ করতেছেন, উনাদের কাজগুলা পাবলিক হওয়া উচিত, যেইটা আসলে প্রাইভেটলি হচ্ছে।… যেইটা আমার ইন্ডিভিজ্যুয়াল কাজ, পাবলিক কাজ না, সেইটাই দেখা যাইতেছে একটা হুমকির মধ্যে থাকতেছে।… নজরদারি তো চলতেছেই।…আমার ধারণা, পাবলিক কাজগুলা যখন আমরা পাবলিকলি করতে পারবো, তখন অই জায়গাগুলা কমার একটা রাস্তা তৈরি হইতে পারে।…
এইখানে সম্ভবত লজিক্যাল থিংকিং’র বাইরেও ভয়ারিজমের একটা ব্যাপার আছে। এইরকম ভয়ারিস্টিক ইন্সটিঙ্কট তো প্রত্যেকেরই আছে। আমার ধারণা এইখানে একটা ভয়ারিস্টিক ভ্যাকুয়ামও তৈরি হচ্ছে একটা ভিউয়ারশিপের কারণে। আমি খেয়াল কইরা দেখছি আমাদের দিনে এক-দুই ঘন্টার কিছু ভিজ্যুয়াল দরকার। লোকজন পত্রিকা পড়ে, এইটা একটা অভ্যাস। দুইটা টপিক লাগবে আমার, যেই দুইটা টপিক নিয়া আমি কথা বলবো। এই ভিজ্যুয়াল নিডও তৈরি হইছে যে, আমি পাবলিক ঘটনা দেখবো।…
ইব্রাকর ঝিল্লী: প্রাইভেসিরে প্রটেক্ট করলে হইলে আমাদেরকে বুঝতে হবে যে, কোন জিনিসগুলা প্রাইভেট। এইটারে তাত্ত্বিক জায়গা থিকা আমরা বুঝাইতে পারি, আরেকটা হইতেছে খুব এনেকডোটাল জায়গা থিকা বুঝাইতে পারি। লিটারেচার একটা বড় অংশ হইতেছে এই এনেকডোটগুলারে তুইলা ধরা যে এইটা হইতেছে প্রাইভেটের উদাহারণ বা দৃষ্টান্ত। এখন এই প্রাইভেটগুলা কার প্রাইভেট? সেইটা হইতেছে ডিফরেন্ট ফিচার। মানুশ তো সবাই টয়লেট করে, হাইগা দেখাইতেও পারে যে করতেছে, সিনেমাতে দেখাইতে পারে করতেছে। তার মানে এইটা না যে ডিরেক্টর তার টয়লেট করা শেয়ার করবে, বা নায়িকা সেইটা শেয়ার করবে।… প্রাইভেট ব্যাপারটা হইতেছে হিউম্যানের সাথে, ইন্ডিভিজ্যুয়ালের সাথে লাইগা আছে, জুইড়া আছে।
একটা কমন স্পেইসের ভিতরে প্রাইভেসির ডিমান্ড সবচে বেশি।… একটা কমিউনিটি তৈরি করার জন্যই কিন্তু প্রাইভেসির প্রশ্নটা আসতেছে।… বড় বড় হাইরাইজে মানুশ-জন ওপেন স্পেইসে শাওয়ার করতেছে, অইখানে প্রাইভেসির প্রশ্নই আসতেছে না, কারণ অইখানে কোন কমন স্পেইসই নাই।… পাবলিক বইলাই প্রাইভেট। কমন একটা স্পেইস আছে বইলাই আমি প্রাইভেসি চাইতেছি, যাতে কইরা কমন স্পেইসটারেও প্রটেক্ট করা যায়। আমার প্রাইভেসির দরকারই থাকতো না যদি কোন কমিউনিটি না থাকতো।
রক মনু: …বাংলাদেশে কিন্তু কমপ্লিটলি উল্টা ঘটনাও আছে। যে, এই এই জিনিস আমার প্রাইভেট না, আমার এই এই জিনিস আমার দেখাবো। অন্যরা বলতেছে, তুমি এইটা দেখাইতে পারবা না। প্রাইভেসি যে অন্যপক্ষ ভায়োলেট করতেছে – তা না, আমি যা যা প্রাইভেট মনে করি না, তারও অনেক জিনিস প্রাইভেট মনে করা হয়।…
…বাংলাদেশে সিচুয়েশনগুলা আরো জটিল এই কারণে যে, আমি যেইটা দেখাইতে চাই, সোসাইটি বা স্টেইট বলতেছে তোমার এইটা প্রাইভেট।… তো, এই কারণে বলতেছিলাম, অই জায়গাগুলা ডিসাইড না কইরাই কতগুলা জায়গা আমরা ফিক্সড করতে পারি কিনা।… পাওয়ারকে আমি অইভাবে দেখি, উপরটা যদি আপনি ঠিক করেন নিচেরটা অটোমেটিক্যালি ঠিক হইতে থাকবে। উপরের লোকজন যদি শেল্টার না দেই তাইলে নিচের লোকজন অইদিকে (খারাপ দিকে) যাইতে পারে না।
ইব্রাকর ঝিল্লী: অইদিকে যাইতে পারার চাইতে ছোট বা ইন্ডিভিজ্যুয়াল মানুশ যারা তাদের স্ফেয়ারটাই ছোট। স্টেইটের ইনফ্লুয়েন্স অনেক বেশি। পিপল যদি করেও, সেইটা যদি অন্যরে না ভোগায়, যতক্ষণ পর্যন্ত এইটা ইমপ্যাক্ট না ফেলতেছে ততক্ষণ পর্যন্ত এইটা কনসার্নেরই ব্যাপার না।…
রক মনু: অন্য আরেকটা জিনিস হইতেছে, কোনটা জাস্টা বা সহি, তার চাইতে ইম্পর্টেন্ট হইতেছে, একটা পাবলিক ডায়লগের ভিতর দিয়া আমরা যেই পিপল আছি, আমরা একটা কনট্রাক্টে যাইতে পারি কিনা।…সবারই হক আছে, সবাই কিছু কিছু ছাড় দিয়া আমরা একটা জায়গায় যাইতে পারবো। একটা ডায়ালগ, এই অ্যাওয়ারনেস বিল্ডিং, সেইটা অটোমেটিক ঘটাবে।
ই. হা.: মোটা দাগে লাইন না টাইনা দিতে পারলেও, একটা বাউন্ডারি ক্রিয়েট করা সম্ভব। এখন মুশকিল হচ্ছে, এই বাউন্ডারি আসলে কারা ক্রিয়েট করতে পারবে। দুইটা জায়গা আছে এইখানে। সমাজের ভিতরে পাবলিক এবং প্রাইভেট স্পেইস কিন্তু অলরেডি ক্রিয়েট হয়া আছে, ইভবলভ করতেছে। বাউন্ডারিগুলা শিফট করতেছে, মেইনটেইন হচ্ছে। ডিসরাপশনটা হচ্ছে পাওয়ারের জায়গাটাতে। পাওয়ার হচ্ছে নিজেরে এর উপরে বা বাউন্ডারির বাইরে রাখতে চাচ্ছে। যখন এই ইমব্যালান্সটা হচ্ছে তখন এই মুশকিলটা হচ্ছে। যখন ভিক্টিমাইজ করার দরকার পড়তেছে তখন বাউন্ডারিগুলারে সরায়া ফেলা হচ্ছে। বাজে জিনিস যেইটা হইতেছে, পিপলের রিলেশনশিপে একটা ডিসট্রাস্ট তৈরি হচ্ছে।
রক মনু: এমন একটা জায়গায় যাওয়া সম্ভব যেইটা আমার মনের মতো না, কিন্তু আমি এগ্রি করছি। এইটা হওয়া সম্ভব। সোশ্যাল রিলেশন তো এইটাই।… তালগাছ তো ভাগ করা সম্ভব।
ইব্রাকর ঝিল্লী: ইউরোপেও দেখা যায় ইন্টিমিসিের একটা লিমিট আছে। ন্যুডিটিরে ক্ষেত্রেও একটা লিমিট আছে। শাস্তির ব্যাপার আছে। একটা জেনারেল কনসেনশাস কিন্তু গইড়া উঠছে। পিডিএ (পাবলিক ডিসপ্লে অফ এফেকশন) যেইটা, সেইটা একটা কমন সেন্সের ভিতরে আছে। সমস্যা হইতেছে এই বিষয়গুলা নিয়া যখন আমরা কথা বলি অথরিটির লোকজন জায়গাগুলারে আনক্লিয়ার কইরা ফেলে। মনেহয় যেন মানুশ-জনের এই সেন্স নাই। কিন্তু এইগুলা তো আছে, বিল্ট-ইন। বরং অই আলাপগুলা ঢুকার কারণে এইগুলা আউলায়া গেছে। যদি সিস্টেমটা থাকতো তাইলে লোকজন কমপ্লেইনও করতো না। যারা স্টেইটের ক্ষমতায় আছে তারা সবকিছুরে নিজেদের ফায়দার কাজে ইউজ করতেছে। যদি সিস্টেম একটা থাকতো যেইটা ব্যক্তি-নির্বিশেষে কাজ করবে, তাইলে এইগুলা নিয়া আর্গুমেন্টও কম হইতো। … কোন পর্যন্ত কি কি করা যাবে, সোসাইটিতে এইগুলা মোটামুটি ক্লিয়ারই আছে। সোসাইটিতে যে ক্যাওসটা তৈরি হইছে সেইটা এইরকম আউটসাইড, চাপায়া দেয়া জিনিসগুলার কারণে। নরমাল সময় হইলে এইগুলা নিয়া কথাও হইতো না।
রক মনু: আমাদের দেশে কতকগুলা মানুশরে নিয়া যে একটা ঝামেলা, কমন-সেন্স জিনিসটারে তারা ইউনিভার্সাল ভাবে। এইটারে ইউনিভার্সাল ভাবায় যেই প্রবলেমটা হয়, সেইটা হচ্ছে আপনার দোস্ত আর দুশমন চিনতে ভুল করতে আপনি বাধ্য। আপনি যখন ইউরোপিয়ান বা এমেরিকান একটা কমনসেন্স, সেইটাকেই যখন আপনি কমনসেন্স হিসাবে দেখেন তখন এই জায়গার মানুশের যেই কমনসেন্স সেইটা তো এই জায়গার মানুশের বা কমনসের ভিতর থিকা তৈরি হওয়ার কথা, সেইটা মনেহয় ইল (ill), পলিউটেড, বারবারিয়ান। তখন যেইটা ঘটে, এখন আমরা যেই ধরণের রেজিমের সাথে আছি তার সাথে এক ধরণের রিলেশন পয়দা হয়। মনেহয় কি এরা আমার দোস্ত! আর এই যে কমনসেন্স কমনসের ভিতর দিয়া তৈরি হইছে, এরা আমার শত্রু। এইটা যে দখলদার তার দখলদারিরে পারপেচুয়েট করতে হেল্প করে। তার ভিতটাই আরো পোক্ত হয়।
যদি আমরা কোন পাবলিক ডিবেটের ভিতর দিয়া যাই, তাইলে তাদেরকে হয়তো বুঝানো সম্ভব যে, এই জায়গার কমনসরেই কমনসেন্স হিসাবে নিতে হবে।
ই. হা.: যে কোন জিনিস থ্রু এক্সাম্পল আসলে আমাদেরকে এস্টাবলিশ করতে হবে। কথার মধ্যে দিয়া ক্লিয়ার করা যায়ই, একটা লেভেল পর্যন্ত কনশাসনেস তৈরি করা যায়। কিন্তু যখন আমরা পাবলিক কাজগুলাকে পাবলিক কাজ হিসাবে হাইলাইট করতে পারবো, তখন সেইটা হবে। যখন আমরা এই কাজটা করতে পারতেছি না, তখন এই ভ্যাকুয়ামটা ফুলফিল করার জন্য আসলে ভয়ারিজমটা এন্টার করতেছে। যত আমরা পাবলিক স্পেইসটাকে ভরাট করতে পারবো, সেইটা একটা ওয়ে-আউট হইতে পারে।
ইব্রাকর ঝিল্লী: আমাদের পাবলিক ইনফরমেশনগুলা তো হাইড অবস্থায় আছে। যার ফলে অই জায়গাগুলারে আমাদের লিংক করতে হইতেছে মানুশের প্রাইভেট রিলেশনগুলার দিতে তাকায়া তাকায়া। মানুশ-জন বুঝার চেষ্টা করতেছে, এই যে অবস্থাটা, কেন এই অবস্থা?
প্রাইভেট জিনিসগুলা এখন সামনে আসতেছে কারণ পাবলিক বলতে যেই ঘটনাগুলা সেই ঘটনাগুলা নাই হয়া যাইতেছে।
রক মনু: এক নাম্বার জিনিস হইতেছে, পাবলিক ইন্সিটিটিউশন পাবলিক নজরদারিতে থাকবে। এইটা ঠিক করতে পারলে বাকি জিনিসগুলা ডিসকাশনের ভিতর দিয়া ঠিক করা যাবে। যতক্ষণ পর্যন্ত এইটা না করতে পারবো, ততক্ষণ পর্যন্ত কোন ডিসিশানই আমরা নিতে পারবো না।
ইব্রাকার ঝিল্লী: রিসেন্টলি বিচারের ব্যাপারে একটা জিনিস আমার মনে হইলো, নট অনলি পাবলিকরে দেখানো, দ্বিতীয় কথা হইতেছে, কোন তর্কের ভিতর দিয়া তারা একটা সিদ্ধান্তে আসতেছে, অইটাও শোনানো। … কোন আলাপের ভিতর দিয়া এই সিদ্ধান্তে আসতেছো, সেইটাও ওপেন করা।
রক মনু: কোর্টের ব্যাপারে আরেকটা জিনিস হইতেছে ল আর জুরেসপ্রুডেন্স, দুইটা তো দুই জিনিস। জুরেসপ্রুডেন্স হচ্ছে ফিলোসফি। জাস্টিস হচ্ছে একটা ফিলোসফির ফয়সালার মামলা। ল’ইয়ার যাদের কাম হইতেছে ল’এর দফা মুখস্ত করা এবং সেইটা দিয়া লজিক দেয়া, তারা হচ্ছে জুরেসপ্রুডেন্সের লোক হিসাবে বইসা রইছে। এইটা থাকবার কথা ছিল সোসাইটির অন্য যেইসব ডিসিপ্লিন, যারা দর্শন নিয়া কাজ করে, সোশ্যাল সায়েন্সের, ফিলোসফির যেই ডিসিপ্লিনগুলা আছে, পলিটিক্যাল সায়েন্স, এদের ডায়ালগের ভিতর দিয়া ডিসাইড হওয়ার কথা কোর্ট কেমনে চলবে। আমাদের এইখানে হইতেছে যে দফা মুখস্ত করে তার কাছ থিকা আমরা জুরেসপ্রুডেন্স শিখি। সে সংবিধান-বিশেষজ্ঞ।
ইব্রাকর ঝিল্লী: (আমি ভুলও বলতে পারি, পুরাপুরি জানি না) ইউরোপ-আম্রিকাতে কিন্তু জুরির ব্যাপার আসছে এই জায়গা থিকা।
রক মনু: হিস্ট্রিক্যালি জুরির সাথে ডেমোক্রেটিক সিস্টেমের একটা যোগাযোগ আছে।… আমাদের এইখানে কোর্ট হইছে শাসকের স্বার্থরক্ষার জন্য। হিস্ট্রিক্যালি সব জায়গা হয়তো তা-ই ছিল। একটা ডেমোক্রেটিক রেভোলেশনে পিপল তার স্টেইক দাবি করছে। স্টেইট যাকে জাস্টিস বলে আর পিপল যাকে জাস্টিস ভাবে, দুইটার যেই কন্ট্রাডিকশন, তার একটা ডায়ালগের ভিতর দিয়া কোর্ট একটা ফয়সালা করবে।
ইব্রাকর ঝিল্লী: ডকুমেন্টটা ইর্ম্পটেন্ট। কোন তর্কের ভিতর দিয়া এই ডিসিশানে আসা হইলো, সেইটা ডকুমেন্টেড রাখা। এইটা করা আমাদের এইখানে মুখ্য হইয়া দাঁড়াইছে।
ই.হা.: ব্রিটিশ আমলে আদালতের কাজ ছিল সন্ত্রাসী ঠেকানো। ইংরেজদের শাসনটাকে এস্টাবিশ করা। আদার দ্যান ন্যায়িচার ও অন্যান্য।
ইব্রাকর ঝিল্লী: ইন ফ্যাক্ট ন্যায়বিচারও ডেলিভার করা হইতো, অই যে খারাপ-বিচার অইগুলা নিয়া যেন কোশ্চেন না করে।
রক মনু: যেহেতু ইনহেরিয়েন্ট একটা রেসিজম ছিল, তাদের চিন্তায় ওয়েস্টার্ন যে এডুকেশন অইটা বাদে তো হইতে পারে না।… আমাদের তো বটেই, দুনিয়ার সব কোর্টই এমন একটা ভাব করতে চায় যে, মানুশ-জন জাস্টিসের কিছুই বুঝে না।
ইব্রাকর ঝিল্লী: এইটারে বলা যায়, আমাদের চিন্তাতে সবচে বড় কলোনিয়াল আছর যে, পিপল বুঝে না। পিপলের প্রতি হেইট্রেট’টা।
বাছবিচার
Latest posts by বাছবিচার (see all)
- আমি – জহির রায়হান (১৯৬৭) - অক্টোবর 31, 2024
- (বই থিকা) ঈশ্বর কোটির রঙ্গকৌতুক – কমলকুমার মজুমদার - অক্টোবর 12, 2024
- নজরুলের চিঠি: ফজিলাতুন্নেসা ও নারগিস’কে - জুন 13, 2024