আবুশ হাশিমের পলিটিক্যাল পজিশন
আবুল হাশিম (১৯০৫ – ১৯৭৪) ছিলেন ব্রিটিশ আমলের শেষদিকের [১৯৩৭ – ১৯৪৭] মুসলিম লীগের নেতা। আবুল হাশিম এবং শরৎচন্দ্র বসু (সুভাষচন্দ্র বসু’র মেজভাই এবং কংগ্রেসের নেতা) ১৯৪৭’র শেষদিকে ইন্ডিয়া ও পাকিস্তান রাষ্ট্র ভাগাভাগির সময়টাতে ‘যুক্ত বাংলা’ করার ট্রাই করছিলেন, এইটা উনার পলিটিক্যাল ক্যারিয়ারে সবচে সিগনিফিকেন্ট ঘটনাগুলার একটা।
এমনিতে এখন উনারে অনেকে বদরুদ্দীন উমরের (১৯৩১) বাপ হিসাবে চিনেন। তবে আবুল কাশেমের (১৮৭২ – ১৯৩৬) পোলা হিসাবে যারা চিনতেন, তাদের কেউ বাঁইচা নাই আর। আবুল কাশেম পশ্চিম-বাংলা’র বর্ধমান এলাকার পলিটিশিয়ান ছিলেন। আবুল কাশেম মারা যাওয়ার পরে, উনার পলিটিক্যাল লিগাসি ভিতর দিয়া আবুল হাশিম রাজনীতিতে আসেন। ১৯৩৬ সালে বর্ধমান থিকা আইনসভার মেম্বার হিসাবে ইলেক্টেড হওয়ার পরে ১৯৩৭ সালে মুসলিম লীগে জয়েন করেন। ১৯৪৩ সালে “বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের” জেনারেল সেক্রেটারি হন।
১৯৪৩ – ১৯৪৭ সাল, উনি পলিটিক্যালি কিছু ক্রুশিয়াল রোল প্লে করেন। মেইনলি এই সময়টা নিয়াই উনি একটা বই লেখছেন “In Retrospection” নামে, যেইটা উনার ছোট ছেলে শাহাবুদ্দীন মহম্মদ আলী “আমার জীবন ও বিভাগপূর্ব বাংলাদেশের রাজনীতি” নামে। [ইন্টারেস্টিং না বাংলা নামট! 🙂 ]
বাংলাদেশে যারা রাজনীতি নিয়া খোঁজ-খবর রাখেন, তাদের কাছে বইটা পরিচিত। ১৯৭৮ সালে মেবি ফার্স্ট ছাপা হয় বাংলাদেশে। আমি অ্যাডর্ন পাবলিকেশন থিকা ছাপানো ২০১৮ সালের বইটা ফলো করছি। বইটা পড়তে গিয়া, তিনটা জায়গাতে আবুল হাশিমের পলিটিক্যাল পলিটিক্যাল পজিশন নিয়া কথা বলার দরকার আছে বইলা মনে হইছে আমার।
২.
একটা জায়গা নিয়া বলছিলাম কিছুটা, ইউরোপের আদলে ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিন্টের কথা উনি যেইখানে বলতেছেন। উনার কথা’টা আগে পড়েন:
“জিন্নাহ দ্বিজাতিতত্ত্ব প্রচার করেছিলেন এবং এ তত্ত্বকে তিনি তাঁর রাজনীতির ধুয়ো হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। আমি জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বে বিশ্বাসী ছিলাম না এবং বাংলায় আমি সেটা প্রচারও করিনি। আমি প্রচার করেছিলাম বহুজাতিতত্ত্ব। আমি মনে করি ভারতবর্ষ কোনো একটি দেশ নয়। এ হলো একটি উপমহাদেশ। ভারতবর্ষ বিভিন্ন দেশ ও জাতির সমন্বয়ে গঠিত। আমার কাছে ইউরোপ বলতে যা বোঝায় ভারতবর্ষ বলতেও তাই বোঝায়। ফ্রান্সের নাগরিক যখন বলে সে একজন ফরাসি সেটাও যেমন সত্য, আবার যখন বলে সে একজন ইউরোপীয় সেটাও তেমনি সত্য। ভারতবর্ষের ক্ষেত্রেও সেই একই ব্যাপার।”
/আমার জীবন ও বিভাগপূর্ব বাংলাদেশের রাজনীতি, আবুল হাশিম (পেইজ ৩৮)
কথা হিসাবে তো খুবই সুন্দর। কিন্তু ১৯৪০ সালে যদি উনি এইরকমই ভাবতেন, এইটা একটু ডাউটফুল লাগতেছে আমার কাছে। অবশ্যই বাংলা বইলা আলাদা দেশ চাইছেন উনি, যেই কারণে পাকিস্তান আমলে উনি পলিটিক্যালি ‘বিশ্বাসযোগ্য’ কেউ হইতে পারেন নাই। কিন্তু ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্টরে যদি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কনটেক্সটে ভাবতেন, তাইলে তো দুইটা রাষ্ট্র না, ৫/৭টা দেশের কথাই কইতেন না! কোন জায়গায়, কোনভাবে? কিন্তু সেইটা তো নাই। মেবি এইটা ১৯৭০-৭৪ সালের দিকের একটা রিফ্লেকশন হইতে পারে উনার। লজিক্যালি।
মানে, অইরকম কোন আলাপ উনার থাকলেও, ইন্ডিয়ারে ইউরোপ বানাইতে চাওয়াটা বেটার জিনিস মনে হইলেও, সেইটা রাষ্ট্র ধারণাটারে কোনভাবে নড়চড় না কইরা ভাবতে পারার কথা না। আমার কথা হইতেছে, বড় কোন রাষ্ট্র-ব্যবস্থা বেশিদিন সাসটেইন করতে থাকলে সেইটা মানুশ-জনরে জুলুম না কইরা টিইকা থাকতে পারার কথা না। চায়নাতে যা হইতেছে, ইন্ডিয়াতেও তা-ই হইতে থাকবে, লিনিয়ার হওয়ার চাপ বাড়তে থাকবে, যতক্ষণ না এইটা ভাইঙ্গা পড়তেছে। তখন রিজিওনাল রাষ্ট্র না হয়া, কো-এগজিসটেন্সের একটা স্পেইস তৈরি করতে পারলে বেটার। আবুল হাশিম সাহেব হয়তো সেইটা করতেও চাইছেন একভাবে। কিন্তু যেই বেইজ থিকা উনি ভাবতেছেন, সেইখানে এইরকম একটা জায়গাতে যাইতে পারাটা খালি কঠিন-ই না, বরং ইম্পসিবলই হওয়ার কথা।
৩.
সেকেন্ড জিনিসটা ইম্পর্টেন্ট একটা ঘটনা। উনার পলিটিক্যাল উদ্দেশ্য হিসাবেও অনেকবার বলছেন যে, উনি মুসলিম লিগ’রে একটা পিপলস পার্টি বানাইতে চান। কিন্তু এইদিকের মুসলিম লিগ তো ছিল আসলে ঢাকার নবাব, খান বাহাদুর আর মুসলিম-অভিজাতদের পার্টি। উনি এইভাবে বলছেন:
“ঢাকা জেলা মুসলিম লীগ প্রকৃত অর্থে ঢাকা নওয়াব পরিবারের প্রধান আবাসস্থল আহসান মনজিলের চার দেওয়ালের গন্ডিতে আবদ্ধ ছিল। আরও স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগ আহসান মনজিলের খাজাদের পকেটভুক্ত ছিল। ঢাকা নওয়াব পরিবারের ন’জন সদস্য ছিলেন বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য।” (পেইজ ৪১)
উনার এই কথাটারে আমি সত্যি বইলা ধইরা নিতেছি, হিস্ট্রিক্যাল কারণেই। কারণ ধর্মের জায়গা থিকাই আমার ক্লেইম হইতেছে যে, মানুশের যখন একটা ল্যান্ডে সেটেল হওয়ার সময় আসছে, পশু-পালন ও কৃষিকাজ শুরু হওয়ার সময়, সেই সময়ের একটা ঘটনা এবং সবাই এর অংশ ছিল না। এখনো আমরা জানি যে, “জংলীদের” কোন ধর্ম নাই! মেশিনের যুগেও এই ধর্ম-প্রশ্নটা নিজেরে আপডেটেড না কইরা ভ্যালিড থাকতে পারে না। এই অঞ্চলে “আদিতে সবাই হিন্দু ছিল না”, বরং হিন্দু জিনিসটা ধর্ম হিসাবে এমার্জ করছে অনেক পরের দিকে আইসা, যখন একজন রাজা’র জন্য ধর্ম-পরিচয়টারে মাস্ট কইরা তোলা হইছে। কোন ধর্ম পরিচয় ছাড়া কোন রাজা থাকতে পারে না, তারে বৌদ্ধ না হইলে হিন্দু হইতে হবে। (খ্রিস্টান না হইলে প্যাগান।) বাকি লোকজনের ধর্ম ছিল না – তা না, কিন্তু ধর্ম-পরিচয়’টা জরুরি ছিল না, যতোটা জরুরি ছিল জাত-পাত, পেশা-কাজ। অইটারে কোন সুখ-শান্তির ইউটোপিয়া ভাবলে ঝামেলাই হবে, বরং কম-বেশি ঝামেলার জিনিসই হওয়ার কথা। পরে যখন বাইরে থিকা মুসলমান-রাজারা আসলো, সবাই তো আর মুসলমান হইতে পারে নাই, লোকজন। তখন হিন্দু-ধর্ম এমার্জ করে আসলে পুরাপুরি। ভূদেব, বঙ্কিম, বিবেকানন্দ আসলে কলম্বাসের মতো হিন্দু-ধর্মের রেজারেকশন না, আবিষ্কারই করতেছিলেন। যা-ই হোক… (এইখানে অনেক বড় আলাপ আছে একটা, যেইটা আমি হিস্ট্রির বইটাতে লেখবো, ইচ্ছা আছে।)
তো, আমার কথা হইতেছে, ধর্ম যেমন একটা সময় পরে গিয়া সমাজের কমন আইডেন্টিটি হয়া উঠছে, পলিটিক্যাল দল অইরকম গণ-মানুশের জিনিস কখনোই ছিল না, ইনিশিয়ালি এইটা সমাজের অভিজাত ও বুর্জোয়া-ক্লাসের ঘটনাই ছিল। (এখনো এই স্ট্রাগলটা আছে, পলিটিক্যাল দলগুলার।) পাকিস্তান হওয়াটারে এখন যেইভাবে দেখানো হয় যে, বাংলার মুসলমান’রা চাইছিল বা হিন্দু-ষড়যন্ত্রের ঘটনা ছিল, এর ‘তর্কের’ বাইরেই এইটা টোটালি অভিজাত ও বুর্জোয়া ক্লাসের ডিসিশান ছিল। রাষ্ট্র ও পলিটিক্স জিনিসটা এখনো এইরকমই আছে, মেজর কোন চেইঞ্জ এইখানে নাই। এক ধরণের ইনক্লুশনের ভিতর দিয়া সার্কেল মেবি একটু ওয়াইডার হইতেছে, কিন্তু যে কোন পলিটিক্যাল দল মানেই হইতেছে একটা বুর্জোয়া আইডেন্টিটির ঘটনা। (আমি বিএনপি করি, অধিকার-পরিষদ করি, এইরকম জায়াগা যাইতে পারাটা।) এই কারণে বিপ্লবীদের কোন পলিটিক্যাল দল হয় না, খুব কম সময়ের গেরিলা-সংগঠন হইতে পারে বড়জোর, যেইটা আবার কয়দিন পরে পরে ভাইঙ্গা যায়, এই বুর্জোয়ানেস এমার্জ করার জায়গাটাতেই। একটা পলিটিক্যাল দলও আলাদা কইরা দুই-চাইরজন বিপ্লবীর বাইরে কাউরে নিজেদের সংগঠনের ভিতরে ধইরা রাখাটা এফোর্ড করতে পারে না।…
আবুল হাশিমও, আমার ধারণা, বেইজটারে চেইঞ্জ করতে চাইছেন – এইরকম না, উনি ওয়াইডারই করতে চাইছেন। এইটারে আমি পলিটিক্যালি ছোট একটা ঘটনা বইলা ভাবি না, কিন্তু এখনকার কনটেক্সটে ইন-সাফিশিয়েন্ট তো অবশ্যই।
৪.
আবুল হাশিমের এই জায়গাটারে আমি অনেক ইম্পর্টেন্ট মনে করি, যেই জায়গাটারে আমাদেরকে এক্সপ্লোর করতে পারাটা দরকারি, এখনো। উনি খুব রাইটলি আইডেন্টিফাই করছেন যে, বাংলার ইসলাম আসলে পারস্য হয়া আসছে। পারস্যের ইসলাম কালচারালি যতোটা একসেপ্টেড জিনিস, আরবের ইসলাম এতোটা না, বরং অনেক দূরের ঘটনা। উনার কথাগুলা আগে শুনি:
“ভারত উপমহাদেশে ইসলাম সরাসরি মদিনার খোলাফায়ে রাশেদীন থেকে আসেনি। তা এসেছিল ইরানের মাধ্যমে আরব সাম্রাজ্যাবাদের রাজধানী বাগদাদ থেকে। আরবরা ইরান জয় করেছিল এবং ইরানিরা সংস্কৃতির দিক দিয়ে আরবকে জয় করেছিল। ফলস্বরূপ ইরানের প্রাক-ইসলামিক সম্প্রদায় ইরান থেকে প্রাপ্ত বাগদাদের বিকৃত ইসলাম প্রচার ও অনুশীলন করে এসেছে এবং তাদের মতে মদিনার ইসলাম হচ্ছে কম্যুনিজম। এজন্যই খাজা নাজিমুদ্দীন মনে করতেন যে, ইসলামকে আশ্রয় করেই আমি কম্যুনিজম প্রচার করতাম।” (পেইজ ৭২)
আমার ধারণা, আবুল হাশিমরে কম্যুনিস্ট মনে করার করার একটা কারণ হইলো এই ‘আরবের ইসলাম’-ও সরাসরি আসে নাই, আরব > স্পেন > ইউরোপ > ইন্ডিয়া (থ্রু কলোনিয়ালিজম) – এইরকম ঘুইরা-ফিরা আসছে। বাংলাদেশে লিবারালিজম আর কম্যুনিজমের মধ্যে ফারাক খুব কমই, বা নাই-ই আসলে। দুইটাই ইউরোপিয়ান চিন্তা হিসাবে এগজিস্ট করে। এখন এর লগে রাজনীতিতে ইসলামের যেই ক্রিটিক্যাল থিংকিং যোগ হইছে, অইটা জিন্নাহ সাহেবের কন্ট্রিবিউশনই একভাবে; যেই কারণে উনার রেফারেন্স চইলা আসে।
আমি বলতে চাইতেছি, ইসলামের এই যে দুইটা ট্রাডিশন – এইটা খেয়াল করতে পারাটা দরকারি। পারস্য আমাদের কাছে কাছের জিনিস, আপনা জিনিস; রবীন্দ্রনাথের বাপেও পারস্য-সাহিত্য তরজমা করছেন, কোরান শরীফ যে বাংলায় তরজমা করছিলেন গিরীশচন্দ্র সেন, সেইটা আসলে ফার্সি-সাহিত্যের ঘটনা এক রকমের। প্রি-কলোনিয়াল আমলে শিক্ষিত মানে ছিল ফার্সি জানা। এখন যেমন ইংরেজি-লিটারেচার আমাদের সবচে স্ট্রং রেফারেন্স, অনেক অনেক দিন (এটলিস্ট দুই-তিনশ বছর) সেইটা ছিল ফার্সি-সাহিত্য। যেই কারণে, বাংলাদেশে যেইটা ‘ক্রিটিক্যাল ইসলাম’, সেইটা আরবের ঘটনা মানে ইউরোপিয়ান লিগ্যাসির ঘটনা হয়া উঠে, কালাচারাল কোন ব্রিজিং এইখানে নাই।
এইটা আবুল হাশিম সাহেব যে খেয়াল করছেন, সেইটা দেখতে পারার জন্য শুকরিয়া আদায় করা দরকার আমাদের।
৫.
বোনাস ১:
নিচের কথাগুলা উনার রণনীতি বা পলিটিক্যাল এক্টিভিটির বেইজ। ভালো আছে জিনিসটা।
“নিজেদের আদর্শের ভিত্তিতে পার্টিকে সুসংহত করা
যতদূর সম্ভব মিত্র সংগ্রহ করা
যাদের মিত্র করা সম্ভব নয় তাদের নিরপেক্ষ রাখা
বিপক্ষ দলের পালের বাতাস কেড়ে নেওয়া, তাদের বোঝানো যে তাদের উদ্দেশ্য সঠিক নয়
এবং পরিশেষে শক্রুকে বিচ্ছিন্ন করে সরাসরি সংগ্রাম করে তাকে পরাভূত করা”
কিন্তু মুশকিল একটাই, যেই গর্তে উনার বড় ছেলে বদরুদ্দীন উমরও পতিত হইছেন, সেইটা হইতেছে আইডিওলজিক্যাল মাস্কের জায়গাটা। ইসলাম, কম্যুনিজম… এইগুলা বাজে-জিনিস না, কিন্তু পলিটিক্সে এইগুলা যে এক ধরণের মাস্কিং, এই চিন্তা থাকাটা দরকারি ঘটনা। এইটা অ-দরকারি না। কিন্তু পলিটিক্স মানে হইতেছে কাজ। ঠিক-কাজ যেমন কাজ, ভুল-কাজও কাজ।
মানে, চিন্তা করাটা ভুল না, বা করা যাবে না – তা না, কিন্তু অই চিন্তা থিকা যেই কাজটা আমি করতেছি, সেইটা হইতেছে পলিটিক্সের ঘটনা। একটা ঠিকঠাক পলিটিক্যাল-পলিসি নিয়া আপনি ফেইল মারতে পারেন, আবার মোটামুটি ঠিকঠাক একটা বেইজ থিকাও দেখা যাবে অনেক সাকসেসফুল হওয়া যাইতেছে। যে কোন পলিটিক্যাল কাজের বেইজ-রিয়ালিটি যদি কাজের মধ্যে না থাইকা চিন্তার মধ্যে থাকে তাইলে সেইটা পলিটিক্যালি খুববেশি রিলিভেন্ট থাকতে পারে না। পাকিস্তান রাষ্ট্র হওয়ার পরেই আবুল হাশিমের রাজনীতি আর ভ্যালিড থাকে নাই। বাংলাদেশ হওয়ার পরেও সেইটা আর রিগেইন করতে পারে নাই। এখনো অই চেষ্টাটা আছে, ‘বিভাগ-পূর্ব’ নামের ভিতর দিয়া। কিন্তু এইটা যেই রিয়ালিটিরে রেফারেন্স হিসাবে ইউজ করে, সেইটাতে ফিরা যাওয়াটা কখনোই ঠিক হবে না। হিস্ট্রিতে যা ঘইটা গেছে, তারে আন-ডু করতে পারি না আমরা। কিন্তু রি-ক্রিয়েট তো করতেই পারতে হবে আমাদেরকে। আর এর ভিতরেই আছি আমরা, সবসময়।
Latest posts by ইমরুল হাসান (see all)
- পলিটিকাল ডাইরি – ২০২৪ (তিন) - নভেম্বর 15, 2024
- পলিটিকাল ডাইরি – ২০২৪ (দুই) - সেপ্টেম্বর 17, 2024
- পলিটিকাল ডাইরি – ২০২৪ (এক) - সেপ্টেম্বর 4, 2024