Main menu

আবার কখোন আসবে বর্ষাকাল

[বিস্টি ও বর্ষাকাল নিয়া কবিতার একটা ইবুক বানাইছি আমি। অই বইয়ের কিছু কবিতা এইখানে ছাপানো হইলো।]

বাংলা-ভাষায় এইরকম কোন কবি মেবি নাই যিনি বিস্টি নিয়া কোন কবিতা লেখেন নাই; বিস্টি নিয়া লেখা অনেক ভালো-ভালো কবিতা পাইবেন, এমনকি এমন কবি অনেক পাইবেন যাদের সবচে ভালো-কবিতাটা বিস্টি নিয়া লেখা; মানে, বাংলা-ভাষায় কবি হইতে হইলে বিস্টি নিয়া কবিতা লেখতে পারতে হবে আপনারে, বা কবিতা লেখতে হয় আসলে…

বাংলাদেশে সবচে বড় ঋতুও বর্ষাকাল, যদিও ‘নিয়ম অনুযায়ি’ আষাঢ়-শ্রাবন (জুন-জুলাই-অগাস্ট) বর্ষকাল, কিনতু বিস্টি সারা-বছরই হয়, চৈত্র-বৈশাখে হয় ঝড়, শরত-হেমন্তেও বিস্টি হয় কিছু, এমনকি শীতকালেও দুই-একবার বিস্টি না পড়লে ঠান্ডা’টা ঠিকমতো পড়তে পারে না; সারা বছরই বিস্টি ও বর্ষা আমাদের মন’রে ভিজায়া রাখে, বিস্টির কবিতাও লেখা হয় বেশি

আমারও অনেকগুলা কবিতা লেখা হইছে বিস্টি ও বর্ষাকাল নিয়া, নানান সময়ে লেখা সেই কবিতাগুলা এইখানে থাকলো

২.
এর আগে হেমন্তকাল নিয়া “হেমন্তে আমি তোমার গান গাই”, শীত নিয়া “শীত আসে আমাদের বসন্ত মনে” বসন্ত নিয়া “বসন্ত বাতাস”, গরমের দিন নিয়া “আ ব্রাইটার সামার ডে” নামে চাইরটা কবিতার বই বানাইছি আমি, এইটা পাঁচ নাম্বার বই

এর পরে শরতকাল নিয়া আরেকটা বই বানাবো, ছয়টা ঋতুর ছয়টা বই

পরে কখনো হয়তো ছাপাইতেও পারি, আরেকটু এডিট-টেডিট কইরা

৩.
ইচ্ছা ছিল পয়লা আষাঢ়ে বইটা পাবলিক করার, কিনতু দেখলাম এই বছরে বর্ষাকাল একটু আগেই চলে আসছে; টাইমিংয়ের একটা বেপার তো আছেই, কিনতু অইরকম দিন-ক্ষন মাইনা তো ঋতু আসে না; কখনো একটু আগে চইলা আসে, কখনো একটু পরে, কখনো একটু বেশি সময় থাকে, কখনো অল্প কিছু সময়, কিনতু ফিল করা যায় সব সিজনের ভাইব-ই

আর ফিলিংস যে সবসময় একইরকম হয় – তা তো না, কখনো মনেহয় বিস্টি আসে না ক্যান, এতো গরম! কখনো মনেহয় এতো বিস্টি ভাল্লাগে না, প্যাঁক-কাদা, বেশি বিস্ট হইলে তো শুরু হবে বন্যা! কিনতু তাই বইলা কি বিস্টি হবে না? এইরকম নানান কিছু, প্যারাডক্স…

এইসবকিছুর ভিতর দিয়া আসে আমাদের বর্ষাকাল

বর্ষাকাল। সুদূরতম পাইন। আবার কখোন আসবে বর্ষাকাল। বিরহের গান। বৃষ্টি আর ডালিম গাছের কাহিনি। সিলেট শহর। পয়লা আষাঢ়। বিকাল আসতেছে ধীরে। আবিদ আজাদ। রেইন, রেইন।মিথ্যাবাদী রাখাল। এভারেজ কবিতা। সিন্ডারেলা। আমি আর আমার টেবিল। ভৈরববাজারে সন্ধ্যা।পরদেশি মেঘ। বৃষ্টি। বৃষ্টি সুন্দর। আমাদের লোহার আত্মাগুলি। দিওতিমা। একটা হাসি-খুশি বৃষ্টির কথা। আফটার রেইন। একটা গরু বিস্টিতে ভিজতেছে। শশীদল। দীর্ঘ ক্লান্ত বর্ষাকাল। ট্রাভেলগ। বিস্টি ভালো।

 

বর্ষাকাল

মৌন রাস্তা, কাদামাখা চোখ
তোমাকে দেখে আসন্ন সকাল;

বৃষ্টির ভিতর তিল তিল ফাঁক,
ক্যারাম খেলতেছে মানুষ;

স্বল্প আলো
দীর্ঘ, বিশাল ছায়া, নিভে যাইতেছে…

/১৯৯৬

 

সুদূরতম পাইন

পাইন, দীর্ঘ বাতাস তোমারে আলোড়িত করে। কান্নায় আর কেঁপে কেঁপে ওঠা আলোগুলি

মুগ্ধ চোখ নিয়ে দেখে, তোমার পুরানো ঘ্রাণ এখনো হয় নাই মলিন।
বিশুষ্ক ল্যাম্পপোস্ট অন্ধকারে, দাঁড়ায়া থাকে;
কেন আর কি করে পাইন, তুমি দেখবে শীর্ণ ও অতিকায়
রশ্মিগুলা নিয়া যায় আমাদের

তোমার গান আমরা শুনি, অন্ধকার নিরব হলে, দীর্ঘ বৃষ্টির পথে পথে
তোমার প্রতিরূপ; কবে, কে, তোমাতে ঠেস দিয়া দাঁড়ায়াছিলো
আজ তা সত্যি মনে হয়।

উদগ্রীব একটা শিশু গাছ, যে শুশ্রুষাহীন, ছোট আর নমনীয়
কান পেতে শোনে তোমারে;

পাইন, এই সন্ধ্যায়, বৃষ্টির অন্ধকারে, তুমিও শোনো একা;
যে কেউ-ই হারিয়ে যেতে পারে

/১৯৯৮

 

আবার কখোন আসবে বর্ষাকাল

অনেক সূর্যের দিন শেষ হইলো।
এখন বর্ষাকাল।

আকাশ নুয়ে আসে
লেকের পানিতে ভাসতেছে ছোট্ট নৌকা একটা
রাস্তায় হাঁটতেছে মানুষ, ভয়ে, তাড়াহুড়া কইরা
– এই চিহ্নগুলা মুইছা যাবে।

বৃষ্টি আসলেই ধুইয়া যাবে সব।

আর আমরা ভাববো যে, কেবলমাত্র একটা বৃষ্টির পরেই একটা নতুন শুরু সম্ভব!

সকালের আকাশের দিকে তাকাই, সন্ধ্যার আলোর মতো লাগে;
দুপুরের মলিন রাস্তা – মনে হয় বিকাল
সময় ভাঙতে থাকে
আর একটা বৃষ্টির পর আবারো অপেক্ষা করি, বৃষ্টি হোক তবে!

পানিতে ভরে থাক পথ-ঘাট
আজকে বাসায় ফিরা হয়ে উঠুক আরো অ্যাডভেন্চারাস…

ডুবন্ত শহরের ভিতর খাবি খাবি খাইতে খাইতে
মানুষের বন্দীত্ব জাইগা উঠুক, একটা ঘণ্টার জন্য করুক জেলখানার চিন্তা
তারপর বৃষ্টি থামলে, রাস্তার পানি নাইমা গেলেই মনে হবে, শেষ হইলো বর্ষাকাল!

অনেক সূর্যের নিচে আমাদের রৌদ্র-তপ্ত দিন
রাতের গরমের ভিতর, লোডশেডিং-এ বারান্দায় দাঁড়ায়া দেখা
অন্ধকার আকাশে ভুস ভুস উড়ে যায় বিমান
দীর্ঘশ্বাস আসে

আবার কখোন, আসবে বর্ষাকাল!

/২০১০

বিরহের গান

একটা নারিকেল পাতার মতোই দীর্ঘ ও করুণ – এই হাহাকার
বৃষ্টি শেষের বাতাসে দুলতেছে;
উড়তেছে তোমার দরজার পর্দাও, দূরে…
হিমশিম খাইতেছে
কই যাবে? কই যাবে?

এই বিকাল গড়াইতেছে সন্ধ্যার দিকে
ম্লান সূর্যের মলিন লাল আলো নিভে যাইতেছে আরো

হঠাৎ একটা বিকট চিৎকারের মতো ফাইটা গেলো রিকশার টায়ার
তারপর সবকিছু আবারো চুপচাপ

খেলা শেষে পড়ে আছে পিছলা কাদার মাঠ
কামরাঙ্গার গাছের নিচে পড়ে আছে ছোট ছোট পাতা
তারই পাশে, ভিজা মাটিতে গেঁথে যাইতেছে পায়ের ছাপ,
চলাচলের চিহ্ন; কোনটা যে ছিল কার পা…

মনেই করা যাইতেছে না

মনেই করা যাইতেছে না, কখোন এই কাহিনির সূত্রপাত
কখোন এর মরন!

শুরুতেই দ্বিখন্ডিত এবং তারপর ক্রমশঃ সরু…

নারিকেলের পাতাগুলা দুলতেছে বাতাসে

আর কখনোই তা উপড়ায়া ফেলা যাবে না

স্মৃতি-মুখ,মুহূর্ত-কণার ভীড়ে
একটা মুখের ছায়া

জাইগা উঠতে চাইলো আবার
আর কখনোই চাইবে না হয়তো আর

সূর্য ডুইবা গেলো,
বললো, বিদায়!

সমস্ত দৃশ্য মুছে গেলো

দিনশেষের অন্ধকার নিয়া
হেঁটে হেঁটে আসতেছে মৃদু রাত

গুটাইয়া নিতেছে সবাইরে শে
নিজের ভিতর

নারিকেল পাতাগুলা দুলতেই থাকলো
শূন্য, চক্ষুষ্মান…

/২০১০

 

বৃষ্টি আর ডালিম গাছের কাহিনি

ডালিম গাছের নিচে দাঁড়াই
গতরাতের বৃষ্টিতে ঝরে পড়ছে যেইসব পাতা ও ফুল
তাদের একসাথে করি

ময়লার ঝোপে ফেলে দিবে এঁদের
একটু পরে উঠান ঝাড়ু দিতে আসবে যে

তার আগে আমরা কয়েকজন
শোকচিহ্নগুলা নিজেরাই সরায়ে ফেলি

যারা যারা নাই এখন – তারা তো ভাববে
এতগুলা ডালিমের পাতা ও ফুল
একসাথে কেন পড়ে আছে?

ছোট্ট ডালিম গাছের নিচে
ভোরবেলায়, ৩জন কিশোর আর ১জন কিশোরী
গতরাতের বৃষ্টিরে সামাল দিতে দিতে
হিমশিম

কি জানি আর কি কি করি…

বৃষ্টি তো মনোটোনাস – এই আবিষ্কার যখন করি
তখন মাটি ভিজা আর আমাদের খালি পায়ের ছাপে
হয়া যাইতেছে কাদা কাদা

আবার যখন বৃষ্টি আসবে,
তখন তো বোঝা-ই যাবে না
কে কে হাঁটছিলো আর কে কে হাঁটে নাই…

কাদা-ভর্তি উঠানে বসবে সাপের মতো ইটের রাস্তা

তার পাশ দিয়াই ভাসতে ভাসতে ড্রেনের দিকে
ছুটে যাবে জমানো পাতা ও ফুল

ডালিম গাছের নিচে এতোক্ষণ যা করলাম
আবারো সেইটাই করতে হবে

বৃষ্টি থামলে পরে
বলতেছি আমাদেরকে আমরা;
আমাদের বলার ভিতর দিয়াই
যেন আমরা আরো অন্য কোথাও চলে যাইতেছি

পাতা ও ফুল একসাথে করতে গিয়া
ভিন্ন ভিন্ন প্যার্টান খুঁজে পাইতেছি
আবার হারায়া ফেলতেছি

এই যে একটাই কাজ,
অনেক রকম ভাবে মিলাইতেছি, আবার মিলতেছে না…

এর ভিতরই আমরা আটকা পড়ে যাইতেছি

অথচ ভাবছি খেলা,
খেলার নিয়মরে বানাইতেছি ডানা

খুব বেশি দূর কিন্তু উড়েও যাওয়া হয় না!

/২০১০

 

সিলেট শহর

ক্রমাগত বৃষ্টি একটা ইল্যুশন, সিলেট শহরের মতোন

কালিঘাট ত কাদার খাল, সুরমার এক্সটেনশন;
বন্দরবাজারের রাস্তায়, ভর দুপুরবেলা, সব রিকশা উধাও
জিন্দাবাজারে বন্ধ কসমেটিকস ষ্টোর, সাইবার ক্যাফেগুলা
বারুতখানায় হাঁটুপানি আর উপশহর আবারো সেই পুরানা বিল

এইরকম দিনের পর দিন, প্রায় সপ্তাহ ধইরা একইরকম যখন
তখন মনে হয়, এইটাই ত নরমাল
বৃষ্টির যে বাস্তবতা, সেইটাই আসল, সেইটাই পুরানা…

আর যা কিছু পুরাতন, তারাই ইল্যুশন
আবার রোদ ফিরা আসলে মনে হয়
এত যে ভীড়-বাট্টা, বৃষ্টির ভয়ে তারা ছিল তাইলে
বাস্তবতার ভিতর লুকাইয়া?

আসামের মেঘেরও লাগিয়া
উতলা হয়া ছিল কি আম্বরখানার মোড়
হাউজিং এসেস্টের দালানগুলা?

বছরে দুই একবার অন্তঃত তারা
আসে জিয়ারত করতে শাহজালালের মাজার

তারপর সারাদিন ঘুরাফিরা করে গলিতে গলিতে
ড্রেনের ভিতর গোপনে রাইখা যায় কয়েকটা কইমাছ

যখন আসে, আসতেই থাকে ঝাঁকে ঝাঁকে; যাইতে আর চায় না

ক্রমাগত বৃষ্টির ভিতর সিলেট শহর
আটকা পইড়া থাকে, দিন রাত
ধুসর কালার

একটা সময় বিরক্তি চইলা আসে,
বলি, “এইবার থামেন, আর মাতুইন না যে!”

মেঘের ভ্রমন যখন শেষ হয়, তখন মনে হয়
সিলেট শহর না থাকলে হয়তো
বুঝাই যাইতো না
ইল্যুশন কারে কয়? কারে বলে বাস্তবতা?

আর বাংলাভাষাটা যে কী রকম!
আর্ন্তজাতিক হইতে চায়, লোকাল টোনগুলা বাদ দিয়া

/২০১১

 

পয়লা আষাঢ়

ভৈরবে নামতে না নামতেই বৃষ্টি আইসা ধরলো,
“আসো, তোমারে ভিজাইয়া দেই”

কিন্তু আমি ত পলিথিনের পর্দা না থাকলে রিকশায় উঠতাম না;
যতোই কদম ফুলের গান তুমি আমারে শোনাও

আমি ফলের দোকানের শেড-এ দাঁড়াইয়া দেখবো:
ব্যস্ত মানুষদের পা, স্যান্ডেলগুলা তুলতেছে কাদার ছররা

প্যান্টের গোড়ালিতে ফুটতেছে অবিরাম কাদার কদমফুল
রাস্তা-ঘাট চলে যাইতেছে তোমারই দখলে, আরো…

তবু তোমারে আমার বিশ্বাস নাই;
আষাঢ় মাসেই কেন জাগবে শ্রাবণ?
বৃষ্টির জন্যই কেন তোলা থাকবে সকল মনোবেদনা?

আমি তাই ভিজবো না…

লগে শুভ্র থাকলে অবশ্য করা যাইতো অন্য কোন বিবেচনা

/২০১২

 

বিকাল আসতেছে ধীরে

বিকাল আসতেছে ধীরে, মেঘনার পাড়ে। বৃষ্টি আইসা ছুঁইলো তারে। বেড়ার হোটেলে, চায়ের কাপে সেও মিলতে চায়। মিলন হবে কতোদিনে! পুনম ধীলন কাঁদতেছে; তেরে মেহেরবানিয়া’তে। কুত্তাটা ভিজতেছে বাইরে। ইয়াং কবির মতো সাহসে। মারা-যাওয়া নায়কের কবরটাও নিশ্চয় আশেপাশেই আছে অথবা নতুন ব্রিজের প্ল্যানে অ্যাকোমোডেড করা যায় নাই আর, বাদ পইড়া গেছে।

/২০১৪

 

আবিদ আজাদ

তোমাদের উঠানে কি বৃষ্টি নামে?
আবিদ আজাদ থামে?

দুইটাকার বৃষ্টি তো নামলো আজকে নদ্দায়, বিশ্বরোডে

/২০১৪

 

রেইন, রেইন

আই লাভ, আই লাভ… শি সেইজ, শি সেইজ। শি ইজ টকিং লাইজ। টকিং লাইজ। ইটস ন্যাচারাল। আই টোল্ড হার। নো বডি গেটস হার্ট। ইউ নো দ্যাট। শি স্মাইলস। শি স্মাইলস। উইথ হার বিউটিফুল আইজ। শি ব্লিংকস। শি ব্লিংকস। লাইক দা রেইনড্রপস ফলিং অন দ্য ট্রিস।

/২০১৬

 

মিথ্যাবাদী রাখাল

মিথ্যার নদী সাঁতরাইয়া পার হইলাম
মিথ্যার পাহাড়ে উইঠা বইসা থাকলাম
মিথ্যার সাগর-পারে বইসা মিথ্যার সূর্যরে কইলাম, নিইভা যান…

মিথ্যার বৃষ্টিতে মিথ্যার রাস্তাতে হাঁটলাম
মিথ্যার সকালবেলায় নিজেরে একটা মিথ্যা বানায়া জাগায়া তুললাম…

মিথ্যার বাঘ আইসা বলবেন আমারে, ‘মিথ্যাবাদী রাখাল!
আরো অনেক অনেক মিথ্যা আপনি বলেন আমারে
যেন তারা সত্যি হয়
এইরকম সুন্দর সুন্দর মিথ্যার মতোন!’

/২০১৭

 

এভারেজ কবিতা

এভারেজ একটা দিনের শেষে এভারেজ একটা সন্ধ্যা
এভারেজ একটা বার, ঢাকা শহরের
এভারেজ কোন ড্রিঙ্কস
মানে যা যা হয় আর কি, যা যা হইতে পারে আর কি…

‘সবকিছুই অনুমান কইরা ফেলা যায়, বুঝছিস?’,
বিচার কইরা যাইতেছে পাশের টেবিলের কয়েকটা কিশোর মদখোর
আর বলতেছে অদের এভারেজ প্রেমিকাদের কথা…

এভারেজ টিভি’তে বাজতেছে এভারেজ হিন্দি গান
এভারেজ একটা শাদা কাপড়ে
লাল সুতা দিয়া করা এভারেজ একটা কাজ
এভারেজ একটা মেমোরি’র
এভারেজ একটা লাইন
এভারেজ একটা হলুদ দেয়ালে টানানো:
‘বন্ধু, ভুইলো না আমায়!’

এভারেজ কোন নাটকের এভারেজ কোন সিন
এভারেজ রাস্তায় এভারেজ বৃষ্টির পানি
এভারেজ কিছু প্রেমের কবিতার মতোন
শুকায়া যাবে যারা সকালের রইদে
এভারেজ আরেকটা দিনের ভিতর
এভারেজ কিছু টাইম, কথা-বার্তা, হল্লা-চিল্লা…

কে যে কার কথা শুনতেছে
কে যে কেউ কেউ হইয়া বইসা আছে
আমাদের এভারেজ মন, এভারেজ সেই কথা যেন জানতেই পারতেছে না
এভারেজ কোন প্রেমিকের এভারেজ কোন প্রেমিকার রেফারেন্স ছাড়া…

/২০১৭

 

সিন্ডারেলা

ছায়াবাণী সিনেমাহল থিকা ম্যাটিনি শো’তে ‘অবুঝ মন’ দেইখা বাইর হওয়ার পরে তুমি উদাস হয়া গেলা। বললা, “কি মজা হইতো, আমিও যদি হিন্দু হইতাম! কিন্তু শাবানার সাথে রাজ্জাকের মিলনটা হইতে পারতো তো, তাই না!” ডেইলি লাইফ বাদ দিয়া অনেকদিন পরে কথা বলার মতোন একটা সাবজেক্ট পাইছি আমরা। শাবানা আর রাজ্জাকের লাইগা খারাপই লাগতেছে আমরা’র, শওকত আর সুজাতা’র উপ্রে চেতও উঠতেছে কিছুটা। অরা তো স্যাক্রিফাইসটা করতেই পারতো!… গাঙিনার পাড়ে, সন্ধ্যাবেলা, কয়েকটা জুতার দোকান খোলা। জুতা কিনতে হবে তোমার। আমরা সিনেমাহল থিকা বাইর হয়া জুতার দোকানের দিকে যাইতেছি। তুমি শাড়ি পরছো, স্যান্ডেল পায়ে দিয়া। রাস্তায় প্যাঁক-কাদা। পা টিইপা টিইপা হাঁটতে হইতেছে তোমার, শাড়ি ধইরা। তোমার ভ্যানিটি ব্যাগ হাতে নিয়া আমি পিছনে পিছনে হাঁটতেছি। আবারো বৃষ্টি নামবো কিনা, বুঝতেছি না।

/২০১৯

 

আমি আর আমার টেবিল

আমরা বসে দেখতেছি, বৃষ্টি
বৃষ্টি পড়তেছে, রাস্তায়

আমি আর আমার টেবিল বসে বসে দেখতেছি

/২০১৯

 

ভৈরববাজারে সন্ধ্যা

সন্ধ্যা হইলেই আসে
মাগরিবের আজান,
বৃষ্টি, কাদায় ল্যাট-প্যাট
বাইন্নাপট্টির গলিতে জ্বলতে থাকে ধূপ

ফলপট্টির হাউকাউ কইমা আসতে থাকে
পোস্টঅফিসের সামনে টিনের চিঠির বাক্সের মতন
চুপ হইতে আরো অনেক সময় লাগবে ওর

ডাইলপট্টির অন্ধকারের মতন ফিসফিস করবে, তারপর
ঝিঁঝিঁ পোকাগুলাও নিরব হয়া আসবে,
জোনাকিগুলা পাছা দিয়া জ্বালাবে লাইট

হেই হেই রাইতের আন্ধার, তুমি কই যাও?
জিগাবে লাঠি হাতে নিউ মার্কেটের দারোয়ান

হুঁশ, হুঁশ কইরা তারে সাবধান করবে চাঁন
লাইটগুলা ভিজতে থাকবে মাঝরাতের বৃষ্টিতে, আবার…

/২০২০

 

পরদেশি মেঘ

আমাদের বুদ্ধিগুলা ভালো,
আমাদেরকে আইসা বলে, বুঝছো?

আমরা মাথা নাড়ি, হাসি
হাসির ভিতর দিয়া বুদ্ধিগুলা ঝইরা পড়ে
বর্ষাকালের ঝুম ঝুম বৃষ্টির মতো

ঝরঝর ঝর ঝর ঝরো ঝরো…

/২০২০

 

বৃষ্টি

বৃষ্টি
মাটির মতন
আমাদের মন’রে
নরোম করে

যেন কোন
বীজ
চারাগাছ
হয়া উঠতে
পারে

/২০২১

 

বৃষ্টি সুন্দর

যে কোন পুরান কথা
মনে না করতে পারার মতন

আবার নতুন কইরা দুঃখ না পাইয়া,
বরং দুঃখের কথা মনে কইরা হাইসা ফেলার মতন

বৃষ্টি, সুন্দর!

/২০২১

 

আমাদের লোহার আত্মাগুলি

বৃষ্টি আসলে সব পাতারা ভাইসা যাবে
বৃষ্টি আসার পরে আমরা তাকায় থাকবো জানালা দিয়া বাইরের দিকে,
বৃষ্টিতে গাছগুলা ভিজবে,
কয়েকটা কাক বইসা থাকবে ইলেকট্রিকের তারে,
শুয়ে শুয়ে বৃষ্টির শব্দ শুনতে শুনতে আমাদের মনে হবে,
বৃষ্টি যেন পড়তেছে কোন টিনের চালে
বৃষ্টি যেন পড়তেছে কোন সাউন্ড-প্রুফ কাঁচের দেয়ালের বাইরে,
আর আমাদের আত্মা জেগে উঠতে চাইতেছে
পুরান সব কথা, পুরান সব গানের সুর পার হয়া
একটা নিরবতার কাছে;
যেন বলতেছি মনে মনে
একজন আরেকজনরে আমরা, দেখো,
বৃষ্টি পড়তেছে!

আর সেই নিরবতার ভিতর ভিজে যাইতেছে,
বাতিল হয়া যাওয়া মালগাড়ির ওয়াগনের মতন
লক্কর-ঝক্কর আমাদের লোহার আত্মাগুলি…

/২০২১

 

দিওতিমা

দিওতিমা,
ভেসে যাইতেছে আমাদের মন
বৃষ্টির পানিতে চিড়া-চ্যাপ্টা হওয়া
কাগজের ফুলের মতন

আর তুমি বলতেছো আমারে,
আর কতোক্ষণ! আর কতোক্ষণ পরে
মারা যাবো আমরা!

/২০২১

 

একটা হাসি-খুশি বৃষ্টির কথা

বৃষ্টি সুন্দর
বৃষ্টির আগে মেঘ ডাকা সুন্দর
বৃষ্টির পরে বাতাসও সুন্দর

বৃষ্টি পড়তেছে,
কি সুন্দর বৃষ্টির আওয়াজ,
একটা ট্রান্সলেট না করতে পারা কবিতার মতো

বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা একটা কাকের মতো
ছাতা হাতে নিয়া মনে মনে ভিজতে থাকা একজন মানুশের মতো
বৃষ্টি, সুন্দর

একটা প্রেম শেষ হয়া যাওয়ার পরে প্রেমের স্মৃতির মতো
বৃষ্টি থামার পরেও বৃষ্টি সুন্দর

ঘাসগুলার হাসির মতো,
গাছের পাতাদের খুশির মতো,
রাস্তার প্যাঁক-কাদা’দের এনার্কির মতন
রইদে শুকায়া যাইতে যাইতে বৃষ্টি বলে,
ওকে! আজকের মতো তাইলে বিদায়, বস!

যদিও আমরা জানি, আবার বৃষ্টি হবে
বৃষ্টি আবার ফিরা ফিরা আসতেই থাকবে, সবসময়

/২০২১

 

বিস্টির কবিতা

ফাক বিস্টি ফাক
জোরে জোরে ফাক
পর্ন একট্রেসের ফেইক-মোনের মতো ফাক

অর্গাজম হয়া যাক মেঘ-শিশুদের
তারপর তারা অবাক হয়া যাক
হোয়াট দা ফাক!

দুই মিনিটের বিস্টি
আরো দুই দিনের মেমোরি হয়া থাক!
তারপরে, গরমের দিন আবার

নরমাল লাইফ
তার আগে বিস্টি
ইউ বিস্ট, ছোট ছোট কুত্তার মতো
ছোট ছোট বিলাইয়ের বাচ্চার মতো
রাস্তার উপরে নাচ!

/২০২৩

 

একটা গরু বিস্টিতে ভিজতেছে

বিস্টিতে গরুটা ভিজতেছে;
যেহেতু সে গরু, বিস্টিতে ভিজতে
তার কোন সমস্যা যেন হইতেছে না
যেন তার ফিলিংস নাই কোন
সে তো কষ্টে চিল্লাইতেছে না, খুশিতে নাচতেছে না!

সে তো একটা গরু!
একটা গরু বিস্টিতে ভিজতেছে একলা

আমার মনটা ভিজতেছে তার সাথে
কচুপাতাটার মতো, রিকশার পলিথিনটার মতো…

/২০২৩

 

শশীদল

কি যে এই ভালো লাগা
আমি ভু্লে গেছি

ব্রিজের গোড়ায় বিস্টিতে ডাইবা গেছে মাটি
আর আটকায়া যাইতেছে প্রাইভেট কার,
ব্যাটারি রিকশা আর সিএনজি
সন্ধ্যা নামতেছে তড়িঘড়ি

রাস্তার পাশে ঘনাইতেছে রাত্রির বন-জঙ্গল
শশীদল ইস্টিশনে যাইতেছে ইয়াং কাপল
ব্যাটারি’র রিকশা চামে দেড়শ টাকা ভাড়া চাইতেছে,
তারপরে বলতেছে, কত দিবেন বলেন তাইলে?
জামাই’টা কোন দাম বলতে পারতেছে না,
বউ’টা বলতেছে, আশি টাকা!
শুইনা ড্রাইভার চুপ কইরা গাড়ি দিল স্টার্ট;
বুঝলো এলাকার মাইয়া, তাফালিং করা যাবে না!

আরো আরো লোকজন হাঁটতেছে,
আন্ধারে হোঁচট খাইতেছে, বলতেছে, সরেন! সরেন না!
আমি বালুর মতো, মাটির মতো থেবড়ায়া যাইতেছি
অল্প কিছু ইট-সুড়কির অভাবে জাইগা থাকতে পারতেছি না

কি যে ভালো লাগতেছে আমার,
আমি ভুলে গেছি
বিস্টি-দিনের বাতাসের মতো
কি করতে আসছি আমি, আর কোথায় চলে যাইতেছি

সুপারি গাছের ছায়া লম্বা হইতে হইতে হারায়া যাইতেছে
বিস্টি শুরু হইতেছে আবারো
আমি ভিজে যাইতেছি
ভিইজা চিড়া-চ্যাপ্টা হয়া যাইতেছি

কোন একটা গানের সুরের মতো আমার ভালো লাগতেছে
কিন্তু গানটা আমার মনে নাই, আমি ভুলে গেছি

আমি ভুলে গেছি তোমারে, আমি ভুলে যাইতেছি আমারেও
টিপ টিপ বিস্টির ভিতর, টিপ টিপ বিস্টির ভিতর

/২০২৩

 

দীর্ঘ ক্লান্ত বর্ষাকাল

এখন দীর্ঘ ক্লান্ত বর্ষাকাল
হরিণটা চাটতেছে বাঘের গাল
বলতেছে, “জান, আমার জান!”

বারান্দা পর্যন্ত আইসা বিস্টির ফোঁটাগুলা
আছড়ায়া পড়তেছে, সময় ঝরে যাইতেছে
আঙুলের চিপা দিয়া আমাদের, ঝর ঝর ঝর

এখন দীর্ঘকাল, ক্লান্ত বর্ষাকাল
গাছগুলা নিরব আদর মেখে নিতেছে তাদের গায়
বাঘটা ঘুমাইতেছে, হরিণটা চেটে দিতেছে তার গাল

/২০২৩

 

ট্রাভেলগ

অরা আইসা জটিল হয়া জন্মাইলো,
তারপরে হইলো ইনোসেন্ট, কইলো
এর যে কি মানে, আমরা তো জানি না!

অদেরকে বুঝাইলো যারা কিছু জানে না,
কিন্তু জানে যে তারা জানতে চায়,
বিজ্ঞানে বিশ্বাস করে, তন্ত্র-মন্ত্রও জানে কিছু

তারপরে অরা ইনোসেন্ট থিকা ম্যাচিউর হইলো
বনে-বাদাড়ে ঘুইরা বেড়াইলো,
পানিতে হাঁটলো, ডাঙ্গায় সাঁতরাইলো
ক্লান্ত হয়া বইসা পড়লো আবার,
কইলো, আমি ডানা-ভাঙা-পাখি
টিকটিকির লেজটা আমার কোথায় যে ঝরে গেলো!

ঝরোঝরো ঝরোঝরো বিস্টির দিনে
যেন আমার জন্ম হইলো, জটিলতর…

/২০২৩

 

বিস্টি ভালো

বিস্টি ভালো, বাতাসও ভালো
ভালো শুয়ে শুয়ে জানালা দিয়া দেখা বিস্টি ও বাতাস

তোমার কথা-ভাবা আর কোনদিনই দেখা-না-হওয়া

/২০২৩

[ইবুক’টা ডাউনলোড করতে পারবেন এই লিংক থিকা: ইমরুল হাসানের কবিতা ও বই | বাংলা-ভাষায় এইরকম কোন কবি মেবি নাই যিনি বিস্টি নিয়া কোন ক?… | Facebook

The following two tabs change content below.
Avatar photo
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
Avatar photo

Latest posts by ইমরুল হাসান (see all)

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →