Main menu

পলিটিকাল ডাইরি – ২০২৪ (এক)

This entry is part 1 of 2 in the series পলিটিকাল ডাইরি

জুলাই ০৯, ২০২৪

মিডিয়া স্পন্সরড (বা মিডিয়া প্রমোট করতেছে, এমনকি জায়গা দিতে পারতেছে এইরকম) যে কোন ইস্যু নিয়াই সাবধান থাকাটা বেটার…


জুলাই ১৪, ২০২৪

কোটা নিয়া মুভমেন্ট করাটা কোন অবশ্যই কোন সমস্যা না, তবে সমস্যা হইতেছে শয়তানরে ফেরেশতা মনে করতে চাওয়াটা, জালিমরে উদ্ধার-কর্তা বা সেভিয়োর মনে করতে চাওয়াটা

এই আফসোস করতে চাওয়াটা যে, শয়তান কেন মানুশের ভালো করে না, মানুশের দুকখ বুঝে না! একটা ভালো-কাজ কি শয়তান করতে পারে না! এই মিনতি করা, যে সবার লগে শয়তানি করে করুক, কিনতু আপনার ক্ষতি যেন না করে… এইটা প্রবলেমেটিক

শয়তানরে যদি শয়তান মনে না করেন, জালিমরে যদি জালিম মনে না করেন সেইটা আপনার সমস্যা; কোটা আন্দোলনের এই সমস্যাটা আছে; উনারা শয়তানের কাছে ভালো-মানুশির দাবি করতেছেন, জালিমের কাছে করুনা চাইতেছেন; এই চাওয়াটা পলিটিকাল পজিশন হিসাবে যতটা না অন্যায় বা ভুল তার চাইতে বেশি ইন-এফেক্টিভ ঘটনা; কারন কোনভাবে বিপদে না পড়লে শয়তান সোজা হয় না, জালিমও নেগোশিয়েশন করে না


জুলাই ১৫, ২০২৪


এই সময়ে ‘বাঙালি’ হইতে চাওয়া,
(বাংলাদেশের সব মানুশরে পুরানা
কলোনিয়াল-ন্যাশনালিসট আইডেন্টিটিতে বাইন্ধা ফেলতে চাওয়াটা)
ইনডিয়ার দালালি করা ছাড়া আর কিছুই না

যারা বলে ‘বাঙালি’
তারা হইতেছে বাকশালি,
করে আসলে ইনডিয়ার দালালি

১৯৭১’র বাঙালি আর ২০২৪’র বাঙালি
একই ঘটনা না


কেন আপনি ‘রাজাকার’ হইতে ডরাইবেন না এখন

ব্রিটিশ-আমলে বিপ্লবীদেরকে বলা হইতো ডাকাত; উনারা যে ডাকাতি করতেন না – তা না, কিনতু ডাকাত বলার ভিতর দিয়া ডাকাত বানানোর ভিতর দিয়া উনাদের যেই ব্রিটিশ-বিরোধিতা সেইটারে আন্ডারমাইন কইরা রাখা হইতো, বাতিল করা হইতো… (আরো অনেক ক্রিটিকালিটি তো আছেই)

পাকিস্তান-আমলেও যারা পশ্চিম-পাকিস্তানের বৈষম্যের বিরুদ্ধে তথা সেন্টার-স্টেইটের বদলে কনফেডারেশনাল-স্টেইটের কথা বলতো, তাদেরকে ‘পাকিস্তান-বিরোধি’, ‘ইসলাম-বিরোধি’ বানায়া দেয়া হইতো; এগেইন, অই এলিমেন্টগুলা যে ছিল না একদমই – তা তো না, বরং ঘটনা হইতেছে লেজিটিমেট ক্লেইমটারে দমায়া রাইখা অন্য জায়গায় ফোকাসটা নিয়া যাওয়া…

মানে, এই যে তকমা লাগায়া দেয়া, এইটা সবসময়ই ছিল, আছে

এখনকার সময়ে যারা-ই বাকশাল-বিরোধি আছেন, ইনডিয়ান আগ্রাসন-বিরোধি আছেন তাদের পলিটিকাল পজিশনটারে মোকাবেলা না কইরা গু-মাখায়া দেয়ার গু’টার নাম হইতেছে – “রাজাকার”; কাউরে ‘ডাকাত’ ‘ইসলাম-বিরোধি’ বানাইতে পারলেই যেমন পলিটিকালি ডিল করা হয়া যাইতো, এখন এইরকম ‘রাজাকার’ বানাইতে পারলেই যেন হয়…

কিনতু এর আরেকটা মিনিং আছে আসলে এখন, আপনি ‘রাজাকার’ হইতে রাজি নাই এর মানে হইতেছে আপনি বাল (BAL) হইতে রাজি আছেন, বাম-বাটপার ও বাকশালি হইতে রাজি আছেন, ইনডিয়ার গোলামি করতে রাজি আছেন; এবং একমাত্র ‘রাজাকার’ হওয়ার ভিতর দিয়াই আপনি এইসব হওয়া থিকা নিজেরে বাঁচাইতে পারেন আসলে এখন…


Revolution will not be televisionized, will not be tweeted, will not be in facebook live…

আজকের দিনে, কোন মুভমেন্ট মিডিয়া-রিয়ালিটির বাইরে গিয়া যত অপারেট করতে পারবে,দম ধইরা রাখতে পারবে, ওয়ান টু ওয়ান ফিজিকাল নেটওয়ার্কের ভিতর দিয়া এফেক্টিভ থাকতে পারবে, সেইটা ততটাই সত্যিকারের মুভমেন্ট হয়া উঠার দিকে আগায়া যাইতে পারবে…

“তাব্বাত ইয়াদা আবি লাহাবিউ ওয়াতাব্ব”
“ধ্বংস হোক আবু লাহাবের দুই হাত এবং সে নিজেও ধ্বংস হোক”


১. প্রথমে আসবে ছাত্রলিগ, তারপরে আসবে পুলিশ, তারপরে নামাবে বিডিআর-আর্মি, তারপরও না থামাইতে পারলে আনবে ইনডিয়ান-আর্মি… ‘আরেকটা মুক্তিযুদ্ধের’ নামে গৃহযুদ্ধ না বাঁধায়া এই নয়া বাকশাল ক্ষমতা ছাড়বে না; অই একসটেন্ড পর্যন্ত ভাইবা নিয়া আগাইতে হবে…

২. নিজেদের মধ্যে এলায়েন্স তৈরি করতে পারতে হবে, বাইরে থিকা আম্রিকা, চায়না, বিদেশি-শক্তি আইসা আপনার-আমার অধিকার আদায় কইরা দিয়া যাবে না

৩. উন্নয়নের ভুয়া ডেটার মতো টিভি-পত্রিকার ফেইক নিউজ, ফেইসবুকের কন্ট্রোলড নিউজ-ফিডরে বিশ্বাস কইরেন না

৪. মনে রাখবেন, বাংলাদেশ আজকে আর কোন স্বাধীন দেশ না, ২০১৮ সালের ইলেকশনের পরে ইনডিয়ার দখলে চলে গেছে, ২০২৪’র ইলেকশনের পরে ইনডিয়ার ‘পুতুল সরকার’ উপর বইসা দেশ চালাইতেছে দিল্লীর দাদারাই; দেশের সেনাবাহিনি, প্রশাসন, মিডিয়া সবকিছুই ইনডিয়ার দখলে; লিটারালি একটা পরাধীন দেশে আমরা বাঁইচা আছি; আজকে যারা বলতেছে রাজাকার, মনে রাখবেন, অরা হইতেছে ইনডিয়ার গোলাম, র-এর মিলিশিয়া বাহিনি, কোলাবরেটর

৫. ইঞ্চি ইঞ্চি কইরা জায়গা আবার স্বাধীন করা লাগবে, একটা একটা গ্রাম, একটা একটা ওয়ার্ড, একটা একটা শহর মুক্ত করা লাগবে নয়া বাকশালের গোলামির জিঞ্জির থিকা; অন্যায়, অসত্য আর অসততার যেই নিয়ম-কানুন তৈরি হইছে, তার থিকা

৬. একটা বিজয় পাইতে হইলে অনেকগুলা পরাজয় পার হয়া আসতে হয়; যেই রক্ত, অপমান আর গ্লানির ভিতর আমরা বাঁইচা আছি আজকে, সেইটা যেন ভুইলা না যাই; এইটা যেন হয়া উঠতে পারে আমাদের ফ্রিডমের পথের রসদ

৭. বাংলাদেশে নয়া বাকশালের গোলামির শাসন যতই লম্বা হোক, আমাদের মন যেন গোলামিতে অভ্যস্ত না হয়া উঠে কোনদিন


জুলাই ১৬, ২০২৪


মুখ্যমন্ত্রি ই**য়ার
বাংলাদেশিদের বলে, রাজাকার!


এই মুভমেন্টের সিগনিফিকেনস হইতেছে সরাসরি নাম নেয়া যাইতেছে, আনু মুহাম্মদের কয়েন করা এবং বাম-বাটপারদের চালু করা তত্ত্ব – ‘উনাকে ভুল বুঝানো হয়েছে’ পার হয়া আসা গেছে; পিপল নো লংগার বিলিভ ইন দিস বুলশিট, কিনতু বলাবলির ভিতরে ছিল না, ভয়টা ছিল (এখনো আছে), কিনতু ভয়টা পার হয়া শয়তানরে শয়তান বলা যাইতেছে

আসল কালপ্রিটের নাম ধইরা বলাটা জরুরি এতোদিন (বিএনপি ও পলিটিকাল দল এবং ‘সরকারের সমালোচক’রা বললেও) আম-জনতা, পিপল এইটা খোলাখুলি বলতে পারে নাই

আজকে যে বলা যাইতেছে, সেইটার বেইজ তৈরি করে দিছে এখনকার মুভমেন্ট’টা, এই সিগনিফিকেনসটা খেয়াল করতে পারাটা দরকার আমাদের


বাংলাদেশের মিডিয়া-আউটলেটগুলা হইতেছে অবৈধ সরকারের মিলিশিয়া বাহিনি

ইন্দোনেশিয়ায় সুহার্তো’র সামরিক সরকার ১৯৬৫-৬৬ সালে ‘কমিউনিস্ট’ নাম দিয়া পাঁচ লাখ (হাঁ, ৫ লাখ) মানুশরে খুন করছিল তার মিলিশিয়া বাহিনি দিয়া; অইটা নিয়া একটা ডকুমেন্টারি বানানো হইছিল ২০১২ সালে, “দা এক্ট অফ কিলিং” নামে; অইখানে দেখায় যে, গোপন-প্ল্যানিং এবং ভিকটিমদের ইন্টারোগেশন চলতে একটা পত্রিকা অফিসে; মানে, যারা সাংবাদিক, তারা ছিলেন এর কোলাবরেট

বাংলাদেশে এই রিলেশনটা আরো অনেক ডিপ; এখনকার টিভি-চ্যানেলগুলান ৯০%-এর পারমিশন দেয়া হইছে আওমি-লিগ সরকারের আমলে, ২-৪টা যা বিএনপি-আমলের ছিল সেইগুলারও মালিকানা বদল কইরা নিজেদেরকে টিকায়া রাখতে হইতেছে; মানে, বাংলাদেশে বাকশালি মালিক ছাড়া কোন নিউজপেপার, টিভি-চ্যানেল, এমনকি নিউজ-পোর্টাল রেয়ার, এমনকি বাম-বাকশালি ছাড়া ‘জাঁদরেল’ কোন জার্নালিস্টও নাই (দুই-একজন একসপেশন ছাড়া…)

মানে, আমি বলতে চাইতেছি, মিডিয়া আউটলেটগুলা যে নয়া বাকশালের কোলাবরেটর এইটা ‘অবাক হওয়ার’ মতো কোন ঘটনা না, এর ইসটাকচার’টাই তৈরি করা হইছে এইভাবে, এইভাবেই অপারেট করতেছে এখন

কোন গোয়েবলস ছাড়া কোন হিটলার তৈরি হইতে পারে না, সারভাইব করতে পারে না; বাংলাদেশের গোয়েবলসদেরকে আইডেন্টিফাই না কইরা, শত্রু-জ্ঞান না কইরা এই হিটলার’রে যে সরানো যাবে না – এইটা মনে রাখাটা দরকারি

এখনো কিছু মানুশ আছেন যারা পত্রিকায় কলাম লেখা, টিভি’তে টক-শো করা জোকারগুলারে ‘বুদ্ধিজিবি’ ভাবেন, তাদের মুখের দিকে তাকায়া থাকেন সত্যি কথা শোনার লাইগা; এইটা হইতেছে অনেকটা রেডিও পাকিস্তান থিকা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষনা শোনার অপেক্ষার মতন; এরা বেকুব-বলদ কিছুই না, এরা অই বাটপারদেরই সঙ্গী, ডামি-জনতা; অদের হা-হুতাশগুলারেও মার্ক কইরা রাখাটা দরকারি ঘটনা

মিডিয়ার তৈরি করা মিডিয়া-রিয়ালিটির বাইরে গিয়াই অপারেট করতে পারতে হবে, নতুন পলিটিকাল বাস্তবতা তৈরি করতে চাইলে, এমনকি ফেইসবুক নিউজফিডের জাউরামিগুলারে মোকাবেলা করতে থাকতে হবে


মিডিয়ার কাজ হইতেছে ডর দেখানো
মানুশের কাজ হইতেছে সাহস নিয়া ঘুইরা দাঁড়ানো


হায় হোসেন! হায় হোসেন!
বাংলাদেশ আজকে হাজির,
কারবালার ময়দানে!


ফেইসবুকে অরা ফেইল মারছে, একটু পরে ইন্টারনেট স্লো কইরা দিবে, বন্ধ কইরা দিবে… সবকিছু নিরব কইরা দিয়া আরো মানুশ খুন করবে অরা


রিম্বেরার দিস স্পিরিট!
এইটা বাংলাদেশ!
আবু সাঈদের বাংলাদেশ!

যে গুলি করছে সে জানে না
মানুশরে মারা যায়, মানুশের আত্মাটারে না

হোসেনরে মারা যায়, কারবালা মরে না

রিম্বেরার দিস, বাংলাদেশ!

যতদিন আছে আবরার, আবু সাঈদ
বাংলাদেশ হারবে না!


‘স্টুডেন্ট লাইভস ম্যাটার’ যারা কইতেছে, তারা গাছের খায় তলারটাও কুড়াইতে চায়; ‘উনারে ভুল বুঝানো হয়েছে’র আপগ্রেডেড একটা ভার্সন; ‘নিরপেক্ষ’ সাজার ভড়ং… এরা সরাসরি কিছু বলতে ডরায় না, বরং জালিম আর মজলুমরে, যে গুলি করে আর যে বুক পাইতা দেয় তারে এক পাল্লায় মাপতে চায়… এইটা সুবিধাবাদিতার করুন উদাহারন


মোবাইল ডেটা স্লো কইরা দেয়া হইছে, বিজিবি নামনো হইছে, স্কুল কলেজ ভার্সিটি সব বন্ধ কইরা দেয়া হইছে, আরেকটা ২৫শে মার্চ লোডিং…


জুলাই ১৭, ২০২৪

১.
মুখ্যমন্ত্রির মুখে এখন কোন রা নাই, আরো মানুশ খুন করার পরে সংসদে দাঁড়ায়া বাপের মতন বলবেন, “কোথায় সিরাজ শিকদার!”

২.
ইভেন ছাত্রলিগ নামের গু-মুতগুলা যদি সাফ করা যায়, জালিমের একটা হাত ভাঙা যায়, এইটাও হবে একটা বড় এচিভমেন্ট এই মুভমেন্টের

মনে রাখবেন, কোন জালিম একলা কোন জুলুমের সিসটেম টিকায়া রাখতে পারে না, অনেকগুলা কোলাবরেট লাগে; আজকের দিনে কোন সুস্থ-স্বাভাবিক-সচেতন মানুশ ছাত্রলিগের সার্পোটার হইতে পারে না; শুধুমাত্র জালিমের ফুট-সোলজার হয়া নিজের আখের গোছানো ছাড়া কেউ ছাত্রলিগের দলে নাম লেখাইতে পারে না

আজকে বাংলাদেশের কলেজ-ভার্সিটিতে যেই ট্রেনিংয়ের ভিতর দিয়া জুলুমের রাজত্ব ধইরা রাখা হইতেছে, মানুশের মনে ডর-ভয়-ট্রমা ইনসার্ট করা হইতেছে, সেই টেররিস্ট অরগানাইজেশনের নাম হইতেছে ছাত্রলিগ

এরা পুচকে একটা ইউনিট পুরা সিসটেমের, তারপরও ক্রুশিয়াল; যেই কারনে ইভেন ছাত্রলিগ নামের গু-মুতগুলা যদি সাফ করা যায়, জালিমের একটা হাত ভাঙা যায়, এইটাও হবে একটা বড় এচিভমেন্ট এই মুভমেন্টের

এদেরকে পলিটিকালি ও সোশালি প্রটেস্ট করা লাগবে, যে ছাত্রলিগের নাম বলবে তারে সোশালি বয়কট করা লাগবে…
যে কোন ফর্মে এদের ফিরা আসা, রিভাইব করার চেষ্টাগুলারে ঠেকাইতে হবে, যেইটা হইতেছে সবচে বড় চ্যালেঞ্জ আসলে

৩.
সিন্ডিকেট ভার্সিটি ও হল বন্ধ করার আগে সিন্ডিকেটরে বাতিল ঘোষনা করেন; দালাল মেম্বার ও টিচারদেরকে ভার্সিটি ছাড়তে বলেন… নাইলে ছাত্রলিগরে রি-স্টোর করবে এরাই…

৪.
ছাত্রলিগ, পুলিশ লেলায়া দিয়া পারে নাই; এখন রেব, বিজিবি, আর্মি নামানো হইছে, গুম-গ্রেফতার শুরু হইছে, এইটা সেকেন্ড লেয়ার; হায়েনার দাঁত বাইর হয়া আসতেছে আবার…

৫.
আজ ১০ই মহরম, ২রা শ্রাবন, ১৭ই জুলাই
বাংলাদেশের কারবালা
এই এজিদেরকে, খোদা, তুমি মাফ কইরো না!

৬.
ডাইনি বুড়ি আরো মানুশ খুন করবে, ক্ষমতায় থাকার জন্য যা দরকার তা-ই করবে – সব কথার সামারি এইটাই

যমদূত আসে কালো পোশাকে; সিম্বল লুকানো যায় না

ভাষনটা ছিল আসলে ভার্সিটিগুলাতে ক্রাকডাউনের, ম্যাসাকারের সিগনাল


জুলাই ১৮, ২০২৪

১.
মোবাইল ডেটা অফ!
টাকা দিয়াও কোন সার্ভিস পাইবেন না। কারন আপনি গোলামের দেশের লোক, গোলাম হয়া থাকতে হবে আজীবন। (সকালের পোস্ট)

২.
শয়তানের কথা যেইরকম বিশ্বাস করা যায় না, এইরকম খুনি হা * নি’র কোন কথা বিশ্বাস করবেন না… শি ইজ দা ফেইস অফ ট্রু ইভিল, সত্যিকারের শয়তান

৩.
পুলিশ নামায়া পারে নাই, রেব-বিজিবি দিয়া পারে নাই; আর্মির লোকজন, আপনারা দেশের মানুশের সাথে বেঈমানি কইরেন না!


জুলাই ১৯, ২০২৪

পুলিশ গুলি করে মানুশ মারতেছে,
এক, দুই, তিন, চাইর…
দশ, বিশ, তিরিশ, চল্লিশ…

বিজিবি গুলি করে মানুশ মারতেছে
রেব গুলি করে মানুশ মারতেছে
হেলিকপ্টার থিকা স্নাইপার’রা টার্গেট কইরা গুলি করতেছে…

পাখির মতো ওরা মানুশ মারতেছে
তবু এনাফ মানুশ তো মারা হইলো না,
আর্মি ডেকে আনতেছে, বলতেছে, তোমরাও মারো না কিছু!

পুলিশ-বিজিবি-রেব-আর্মি অরাও কি মানুশ না?
না, অরা কিছু পোশাক, অরা জালিমরে বাঁচানোর জন্য
খুন করতেছে দেশের মানুশরে

বাংলাদেশের মানুশ বুক চিতায়া দাঁড়ায়া আছে,
গুলি করতেছে জালিমের পুলিশ-রেব-বিজিবি
গুলি কইরা পাখির মতো মারতেছে মানুশ
এক দুই তিন চাইর…
দশ বিশ তিরিশ চল্লিশ…

এতো মানুশ মাইরাও জালিমের রক্তের সাধ মিটতেছে না
“চক্ষে তাহার তৃষ্ণা, তৃষ্ণা যে বক্ষ জুড়ে…”
রিভেঞ্জ নেয়া তার শেষ-ই হইতেছে না

কারবালার মাতমে কোন এজিদেরই মন ভরে না

/বাংলাদেশ: জুলাই ১৯, ২০২৪

 

Series Navigationপলিটিকাল ডাইরি – ২০২৪ (দুই) >>
The following two tabs change content below.
Avatar photo
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →