Main menu

‘শোনার বাংলা’র এছথেটিক দলা Featured

ক।

আমার বউ আর আমার বড়ো মাইয়ার নাম পার্লিন অপার। ওর একটা পেন্সিল বাক্স আছিলো; শক্ত পেলাস্টিকের। ভাংছে। ও নিজেই হয়তো। জানি না। তাই ও আমারে এইবার বাক্সের বদলে ব্যাগ কিনতে বললো।

ইশকুল থিকা দুই মাইয়ারে লইয়া বাশার নিচে আইলাম, গেটে ওদের নামাইয়া আমি একটা বিড়ি ধরাইলাম [ 🙁 , ছাইড়া দিবো, কছম! ], তারপর গেলাম ইছলামিয়া লাইবেরিতে। কিনা ফেল্লাম একটা ব্যাগ, ১৮০ টাকার নিচে নামাইতে পারলাম না, ছ্যাড!

এই দোকানে এছি আছে, কিন্তু পরে একটা কাচা পেপে কিনতে হবে, তাই বের হইয়া আশতেছিলাম। তখন দেখলাম, ‘কিআ’। অনেকগুলাই, অক্টোবর২০২৪ ইশু। একবার ভাবলাম জিগাই–কেমন কেনে লোকে, কারা? বাদ দিলাম পরে; জবাব শুইনা মন খারাপ হইয়া জাইতে পারে! আর এইগুলা আমার ততো জানাও লাগে না, আমি মোটামুটি আন্দাজেই কাম চালাইতে পারি! জেইটা আন্দাজেই চলে, শেইটা জাইনা লাভ কি আর 🙂 ! আর লোকের জবাবে অতো ভরশাও পাই না আমি, মানুশ হইলো আর্টিশ, মোটিভ মোতাবেক বানাইয়া কইতে পারে কাহিনি, আশলে কয়টা বেচা হয়, শেইটা ব্যাপার না ততো!

এনিওয়ে, আমি ‘কিআ’ উল্টাইয়া দেখলাম একটু; বিজনেছ ভালোই মনে হইলো, মেলা অ্যাড, বেইচা পয়শা উশুল করা লাগে না ওনাদের, আন্দাজ করলাম!

তো, দেখলাম, এডিটর হইলেন আনিসুল হক বুয়েটিয়ান। বাকি রাইটারদের ততো চিনলাম না।

শুরুতে কিছু চিঠিপত্র, তারপরেই আনিসুল হকের লেখা; উনি আলো’র কাহিনি কইছেন দেখলাম; নাহ, বুয়েটিয়ান দেইখা ভাইবেন না জে, অপটিক্স–উনি আন্ধারের উল্টাদিকে আলো’র কাহিনি কইতেছেন, ঐ ‘আলোকিত মানুশে’র কেচ্ছা আর কি!

কইতেছেন জে, দেশের তরুনরা নাকি নয়া শুরুজ উঠাইছেন দেশে; কাভারেও একটা ছবি, বেশুমার তরুন বাংলাদেশের নিশান লইয়া চিল্লাইতেছে, শেই ছবি; এই তরুনদের মনে হইলো শবাই বাংলা মিডিয়ামের হইবেন–মানে এস্টেরিওটাইপ মোতাবেক ছবি একখান।

নজরুলের একটা কবিতা দিয়া শুরু করছেন উনি, একটু পরেই রঠায় চইলা গেছেন, তারপর আলো আর আলো। এইখানে খেয়াল করার ব্যাপার হইলো, এই জে নয়া শুরুজ/আলো, শেইটা কিন্তু কোন আন্ধারের পরে আশে নাই, আগে কোন রাইত আছিলো না, ডিফরেন্ট আলো আছিলো খুব শম্ভব। আরো মজার ব্যাপার হইলো, এই লেখার কোথাও আওমি লিগ নাই, হাসিনা নাই, বাকশাল নাই, ফেছিজম নাই, পুলিশ বা তাদের গুলি নাই, শহিদও নাই–এই আলো খুবই আছমানি ব্যাপার।

এইটার টার্গেট রিডার কারা? ১২/১৫ বছরের বাচ্চারা খুব শম্ভব, হাই ইশকুলের মাইয়াপোলারা হবার কথা। পরথম আলোর ‘বন্ধুশভা’র পোলামাইয়াপান হয়তো এইটা টার্গেট খদ্দের।

পরথম আলো নামের মিডিয়া হাউজের কায়কারবার খেয়াল করলে বুঝবেন জে, তারা আমাদের বাচ্চাদের লাইফের শবগুলা ছেক্টর কাভার করতে চায়–বন্ধুশভা বা ম্যাথ অলিম্পিয়াড বা কিআ’র মতো ব্যাপারগুলা তাই ওনারা ঘটায়, মদদ দেয়; লাইক মাইন্ডেড আরো কিছু পোতিশ্ঠান আছে–আবদুল্লাহ আবু সাইদের কেতাব কারখানা আছে, কেমনে কই জেন ডিবেটিং ঘটে, ঘটায়।

এইবার ভাবেন ১৯৮০-৯০ জুগে জারা ভার্ছিটিতে লেখাপড়া করছে, তারা কি ১৯৭৩ শালের ইলেকশনের ব্যাপারে জানতো? রক্ষি বাহিনি? ১৯৭৪ শালের আকাল? বাকশাল? শেখ শাবের শাশনের ব্যাপারে আদৌ কি কিছু জানতো তারা?

তখন মেইন মিডিয়া আছিলো মনে হয় ইত্তেফাক, শংবাদ, মতিউর রহমান কি তখন একতায়!? ১৯৮৫ শালের পরে ঐ জামানার কলেজ ভার্ছিটির পোলাপান শেখ শাব খুনের করুন কাহিনি জানা শুরু করে মনে হয়, ডিটেইলে; তার লগে আমেরিকার কন্সপিরেছি, শেখ শাবের শাশন জাতে কামিয়াব হইতে না পারে, শেই ব্যাপারে দেশি বিদেশি কন্সপিরেছি কেমনে তারে বাকশাল বানাইতে বাদ্ধ করে…ইত্তাদি। আর কি? উদিচি-ছায়ানট-বামাচারিদের রঠা-চর্চন ভোলা ঠিক হবে না কিন্তু আমাদের!

এখন দুইটা জামানার প্যাটার্ন মিলান। এখন আনিসুল হকেরা পাইকারি খুন, ডাকাতি, ইলেকশন তুইলা দেওয়া, রেপ, হাসিনোমিক্স, নয়া বাকশালের হাজারো জুলুম চাইপা জাইতেছেন, আলোর কেচ্ছা বানাইতেছেন হরদম।

একই কিছিমের চাইপা জাওয়া ঘটছে ১৯৭৫ শালের পরের আতেল-বয়াতি-মিডিয়া-একাডেমির কায়কারবারে।
দুই জামানাতেই এই একই কালচারাল এলিটের ভিতর দেখা গেছে রঠা-চর্চন।
এখন, রঠা-চর্চনের গুরুত্ত ঠিকঠাক বুঝতে হবে আমাদের। রঠা হইলেন বাংগালি নেশনালিজমের শবচে বড়ো, এমনকি একমাত্র কালচারাল আইকন; ওনার কাছে বাংলা মানে মা, শোনার বাংলা হইলো ওনার খোয়াব।

আজকে জেই মাইয়াপোলাপান হাসিনা-শেখ শাবের শাশন-বাকশাল-আওমি লিগ চিনবে না আদৌ, জাদেরকে হরদম রঠা-চর্চনে মজাইয়া রাখা হবে, তারা জখন ১০/১৫ বছর পরে শোনার বাংলার খোয়াব দেখানো কোন পলিটিকেল ফোর্ছের লগে মোলাকাত করবে, ‘জয় বাংলা’ শুনবে, ‘হাজার বছরের গোদা (শেরা) বাংগালি’ শুনবে, ৭ মার্চ শুনবে, ‘শাধিন বাংলা’ পড়বে মুনতাসির মামুনদের ঘটকালিতে…তখন শেই পলিটিকেল ফোর্ছকে নিজেদের অটোমেটিক ভ্যানগার্ড ভাববে কিনা? এখন বলেন তো, শেই পলিটিকেল ফোর্ছ হবে কোনটা? ইতিহাশ এমনে বানায়; আমলনামায় বেশুমার পাপ থাকলে তারে ভুলাইতে হয় এবং এমন একটা জিনিশ তখন খাওয়াইতে হবে জেইটা কমন (রঠা) আছে হিস্ট্রিওগেরাফির গোড়ায়।

এইবার খোদ ‘আলো’ জিনিশটাই বুঝতে কইবো আরেকটু। ‘পরথম আলো’ নামটা আশছে পুবের বাংলা থিকা কলিকাতায় হিজরত করা মোহাজের শুনিল গাংগুলির একই নামের নভেল থিকা।

শুনিলের ‘পরথম আলো’ কি? উনিশ শেন্চুরির কলিকাতায়, ইংরাজ খেদানির শাওতাল হুলের নায়ক ভুবনকে ডাকাত লেখা, ছিপাই রিভল্ট/হুলকে টেররিজম বইলা আতলামি করা লোকজনের কায়কারবার, জেইটারে ঐ শয়তানরা নিজেরাই নাম দিছে ‘রেনেছা’!

এইটার নায়ক হইলো রামমোহন, বিদ্দাশাগর, মধুশুদন এবং আখেরি আইডিয়াল রঠা। এনারা নায়ক, এবং শেইটা বানানো হইছে, ইতিহাশ ভুলাইয়া এবং বানাইয়া। এনাদের লইয়া জেই ইতিহাশ শুনিলের পরথম আলো বা মতিউর-আনিসুলের পরথম আলো/কিআ হরদম বমি কইরা আমাদের বাচ্চাদের মগজধোলাই কইরা জাইতেছে, তা বেশুমার মিছায় ভরা! এইখানে আমি দুয়েকটা কইতেছি, আগের অনেক লেখায় দেখাইছি আমি।

ধরেন, ১৮২৯ শালে শতিদাহ বন্ধে রামমোহনের নাম লয় ওনারা, কিন্তু এইটা ভুয়া। শতিদাহ ব্যান করে ইংরাজ ১৮১৩ শালে; এবং এইটা হিন্দুদের কয়েকটা শমিতির দাবি, রামমোহনে ঐ আলাপের শুরু না কোনভাবেই, উনি জাস্ট শেই শমিতিগুলার দাবির পক্ষে লিখছেন কিছু। এবং তা ১৮১৩ শালের পরে। ১৮১৩ শালে শতিদাহ ব্যান করার পরে শহমরন বাইড়া জায়, তখন ঐ শমিতিগুলা একটিভ হয় এবং রামমোহন তাতে জয়েন করেন পরে। কিন্তু রামমোহন লইয়া ঐ মিছা ইতিহাশের দায় ওনার নিজের না, পরের কলিকাতা ঐ মিথ/কাহিনি বানাইছে; উনি হিন্দুধর্মরে মনোথেইজম বানাইতে কাম করছেন, হিন্দু শমাজে তার গুরুত্ত আছে, কিন্তু পরের কলিকাতা এইটার বদলে বরং ওনারে মিছা নায়ক বানাইতেই তদবির করছে বেশি!

বিদ্দাশাগর হইলো কলিকাতার ইতিহাশের আরেক মিছা নায়ক। পার্মানেন্ট ছেটেলমেন্ট কইরা ইংরাজ লাখ লাখ কিশান খুন করছে, শেই চিরস্থায়ি বন্দোবস্ত খুব লাইক করতেন বিদ্দাশাগর, মর্ডান ইনডিয়ান ছোছাইটির ফাউন্ডেশন কইছেন উনি ঐটারে। নবাব শিরাজুদ্দৌলারে ডাকতেন ‘দুরাচার’ জালেম হিশাবে।

ওনারে লইয়া মিছা ইতিহাশ বানানিতে ভালো রোল নিভাইছেন রঠা; বিদ্দাশাগর হিন্দু কলেজে শুদ্র ভর্তিতে বাধা দিছেন, রঠা শেইটারে উল্টাইয়া কইছেন, উনিই নাকি শুদ্র ভর্তি করাইছেন পয়লা! ইশকুলে মাইয়া মাশটার নিতেও বাধা দিছেন উনি, শেই লোক হইছেন পরথম আলোর ‘নারি শিক্ষার’ গুরু!

মধুশুদন আছিলেন কালা বাংগাল, উনি কলিকাতায় হরেক জুলুমের ভিতর থাকতেন, পয়শা দিয়াও শেইটা উতরাইতে পারতেন না; এই ব্যাপারগুলা পুরা চাইপা জায় পরথম আলো, ফলে তার লিটারারি কায়কারবার বোঝা অশম্ভব কইরা রাখে এনারা (মেঘনাদবধে অনার্জ/কালা মেঘনাদ কেন নায়ক, এরিয়ানরা কেন ভিলেন?)।

আর শবচে বড়ো আইকন রঠা; উনি বিদ্দাশাগর লইয়া মিছা ইতিহাশ বানাইছেন, কইলাম আগেই। নিজে আছিলেন পাক্কা কনজার্ভেটিভ, বাপের ভক্ত, মিছোজিনিস্ট। তার ভাইঝিরা আট-কালচার করতো, এইটা তার ভালো লাগতো না, মাইয়ারা ছোশাল লাইফে অতো কেন জাবে, শেই আপত্তি আছিলো ওনার। ওনার ভাবি ৩ বাচ্চা লইয়া একলা জাহাজে বিলাত গেছিলো, শেই কারনে রঠার বাপ জিন্দেগিতে তাগো মুখ দেখতে রাজি হয় নাই আর, তারা কলিকাতায় আলাদা বাশা ভাড়া কইরা থাকতো; শেই বাপের ভক্ত হিশাবে উপনিশদের ভাব বাংলা তরজমা কইরা কবিতা লেইখা গেছেন। নিজেদের ৩ মাইয়ারে শিশু দশায় বিয়া দিছে, তাগো ভিতর ২ জন কয় বছরের ভিতরেই মরছে! উনি ঘরে বাইরে লিখছেন, জেইখানে জমিদার হইলো ভালো আর ধান্দাবাজ হইলো পলিটিশিয়ান। এইগুলার ব্যাপারে ডিটেইল পড়েন আমার আগের লেখায়…

তো, এইটারই নাম রেনেছা, এইটারই নিশান উড়াইতেছে পরথম আলো-কিআ’রা। এইটার ভিতর ইংরাজের দালালি বাদে রেনেছার কিছু জে নাই, তা এখনকার বহু ভাবুক বয়াতি কইছেন, এমনকি শেই উনিশ শেন্চুরিতেই বঙ্কিমও কইয়া গেছেন, উনি ‘বাংগালি’র রেনেছা কইছেন বাংলার শুলতানি আমলকে, জখন চৈতন্নদেব হাজির হইছেন ইতিহাশে। কিন্তু পরথম আলো ঐটারে রেনেছা হিশাবে হরদম মিছা ইতিহাশ গিলাইতেছে; পাকিস্তান আমল বা ১৯৭১ লইয়া মিছা কথা দিয়া ইতিহাশ বানাইতেছে হরদম।

আমরা তাইলে পরথম আলো লইয়া জেই ফ্যাছাদ শুরু হইছে, তারে কেমনে মোকাবেলা করবো, কোন পক্ষে খাড়াবো আমরা!?

আমাদের বোঝা দরকার পরথম আলোর ফাউন্ডেশন/বুনিয়াদটা কেমন; শেই বুনিয়াদকে ভাংতে না পারলে, মিছা ইতিহাশকে মোকাবেলা করা গেলে, গোড়াগুলা–মিছা নায়কেরা ঠিকঠাক বহাল থাকলে পরথম আলো’র না থাকা খুব কামে দেবে না, হয়তো বছর পাচেক পিছাইয়া দেওয়া জাবে বড়ো জোর!

উল্টাদিকে, পরথম আলোরে দেশের জার্নালিজমের খাম্বা হিশাবে দেখাটাও খুবই পাতলা চিন্তা আশলে! বাস্তবে জার্নালিজম পরথম আলোর মনজিলই না আদৌ, ঐটা ছেরেফ বাহানা এবং মিছা বয়ানের দরকারি ডাটা বানানির কারখানা মাত্র! ইতিহাশে কি কি লেখা হবে, শেইটা কনটোল করতে পরথম আলোর ঐ জার্নালিজম দরকার তাদের, ঐখানে ইতিহাশের ক্যাটালগ পাবার কোন উপায় নাই। ধরেন, ১০ বছর পরে হাসিনার শাশনের ডাটা পরথম আলোতে তালাশ করলেন আপনে, কি কি পাইবেন? ১৪/১৮/২৪ ইলেকশনের উপর একটা শাচ্চা রিপোর্ট পাইবেন? হাসিনা-রেহানা-জয় কিভাবে জনতারে ডাকাতি করছে, পাইবেন? এমনকি আদানির লগে চুক্তির ভিতর দিয়া হাসিনা কিভাবে ইনডিয়ান লবি ভাড়া করে, দিল্লির মোড়ল মোদির লোকাল মাফিয়া হিশাবে হাসিনা কেমনে বাংলাদেশের জনতার উপর পাইকারি গুলি চালায়, শেইটা পাইবেন? এইখানে মাহফুজ আনাম কেমনে খারাপ খারাপ পুলিশ কেমনে হাসিনারে ফেল করায় বইলা লিখছেন, শেইটা মনে করতে কইবো। পরথম আলোও তেমনি কইবে, কিআ এমনকি হাসিনার নামই উচ্চারন করবে না। কিছুদিন পরে পরথম আলো লিখবে–কিছু লোক, জারা ঠিক কেরেডিবল না, তারা বঙ্গবন্ধু কন্না শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শৈরাচারিতার অভিজোগ করে আওমি লিগের কির্তি ময়লা করতে চায়! কিন্তু ওরা জানে না, ইতিহাশের আগামি তরুনেরা ওদের শেই দুশমনির উচিত জবাব দেবে…

আর না লিখি… কিছুদিন আগের আরেকটা লেখা পড়তে কইবো এর পরে… বা আগে।

#রকমশাহেরবয়ান
৩নভেম্বর২০২৪

খ।

আগের আরেকটা লেখা
.

কালকে দুই দোস্তের লগে কতোগুলা আলাপ করতেছিলাম; আজকে ফেছবুকে হজরত মতিউর রহমানের পেপারের কিছু পুরানা কাভার দেখলাম, শেয়ার দিছেন অনেকে। শেই কাভারে খালি হাসিনা আর হাসিনা। হজরত মতি দাবি করবেন জে, ঐগুলা বাকশাল/হাসিনার অ্যাড, পয়শা বা চাপে ছাপাইতে হইছে।

হজরত মতির লগে হাসিনার আলবত কতক টেনশন আছিলো, ছহি আওমি লিগের লগে হাসিনার অমন টেনশন হইতো মাঝে মাঝে, শেখ শাহেবের লগেও হইতো–তাজউদ্দিন আর সোহেল তাজের কথা ভাবতে পারেন এই ব্যাপারে।

কিন্তু ইতিহাশে পলিটিক্সের লগে মিডিয়ার রিশতা বুঝতে এই টেনশনগুলারে পার হইয়া আরেকটু পিছে জাইয়া দেখতে হবে।

হজরত মতির লগে আওমি লিগের রিশতা বুঝতে হজরত এরশাদের পরে ৯১ শালের ইলেকশনে নজর দিতে হবে আমাদের।

৯১ শালের ইলেকশনে দেশের রুলিং এলিটের কাছে খালেদার বিম্পির জয় আছিলো মস্ত শকের ব্যাপার, মাথায় আছমান ভাইংগা পড়া জারে কয় আর কি! ইতিহাশের হাত দেখার ব্যাপারে হরেক আলামতের বদলে ওনারা বেশুমার ইমোশন এস্তেমাল করেন বইলাই অমন শক খাইছিলেন তারা!
মানে, এরশাদ খমতা দখল করলো ইলেকটেড বিম্পি শরকাররে হটাইয়া, তারপর খালেদা জে কোন লোভ আর আপোশ এড়াইয়া ৮/৯ বছর হুলাহুলি করতে থাকলেন, ৮৬ শালে হাসিনা-বাম-জামাতের বেইমানির পরেও খালেদা দমলেন না; তাইলে ঐ এরশাদরে জখন দেশের জনতা নামাইতে পারলো, কারে ভোট দেবে তারা–খালেদারে, নাকি হাসিনারে?

হিশাব বেশ শোজাই আছিলো; কিন্তু রুলিং এলিট/বামাচারি/মতিরা ইতিহাশের এই আলামত দেখলেন না; তারা ভাবলেন, ১৯৮০-৯০’র আখেরি পাটে এন্থনি মাছকারেনহাছ, শাহরিয়ার কবির গং, একতা ইত্তাদি মিডিয়া তো শেখ শাহেবের বাকশালের আকাম ঢাইকা ফেলতে পারছে, জিয়ারে তো ওনারা শামরিক শাশক বানাইয়া দিতে পারছেন, ৮৬’র বেইমানি আর এরশাদের লগে হাসিনার পিরিতে আমজনতা অতো কিছু মনে করে নাই–তাইলে ছোটলোকদের আখড়া বিম্পিরে কেন ভোট দেবে লোকে, হাসিনারে ঘিরা জেই মস্ত মস্ত খান্দান, তারাই তো জিতবে আলবত!
কিন্তু না, ওনাদের হামবড়া মাথার তুলনায় জনতার কালেকটিভ ছাইকি তো বহুত এলেমদার, জবাব দিয়া দিলো তারা ঠিকঠাক! জনতার এই জবাবটারেই আমি কইলাম ওনাদের মস্ত শক খাওয়া।

কিছু দিন মনমরা থাকার পরে এই শক শামাল দিয়া ওনারা ময়দানে নামলেন, গনআদালত ওনাদের পয়লা বড়ো হুলাহুলি। এই টাইমে ওনারা মস্ত একটা অভাব মালুম করতে পারলেন–মিডিয়া। তখন বড়ো পেপার মাত্র দুইটা–ইত্তেফাক আর ইনকিলাব। খেয়াল করলে দেখবেন, ইত্তেফাক ঠিক ইডিওলজিকেল পেপার না, কিন্তু ইনকিলাব ইত্তেফাকের ঠিক উল্টা, ইনকিলাব একটা লাইফেস্টাইল পেপার মোটামুটি। ইডিওলজিকেল কতকটা শংবাদও আছিলো, কিন্তু ঐ ব্যাপারটা ওনারা মনে হয় উইকলি (?) একতা দিয়া শারতে চাইতেন। বিচিত্রাও তো আছিলো। কিন্তু ইনকিলাবের লগে ঠিক জিততে পারতেছিলো না! ইনকিলাবের লগে পারতে হইলে একটা ডেইলি দরকার আছিলো। ডেইলি কিন্তু একটা অলরেডি হইছিলোও–আজকের কাগজ, কিন্তু ঐটা ঠিক টক্কর দিতে পারে নাই, অন্তত হজরত মতির ভাবনায় ঐটা কাফি না, ঐটা দিয়া জেতা জাবে না!

এই ব্যাপারটা মালুম হইতেই বাজারে আইলো হজরত সাবের-মতির ভোরের কাগজ! খেয়াল করলে দেখবেন, গনআদালত আর ভোরের কাগজ একই টাইমের ঘটনা, একটা আরেকটারে আগাইয়া দিলো এইভাবে। ইনকিলাব মাথায় রাখলে বুঝবেন, ভোরের কাগজ আশলে ইনকিলাবের নকল পেপার একটা!

তবে হজরত মতি ঐখানে বেশিদিন থাকতে পারেন নাই; আমরা ভিতরের খবর জানার বদলে বরং পরের ঘটনা দিয়া বোঝার তদবির করি। খেয়াল করেন, ভোরের কাগজের এডিটর হইলো জে শ্যামল দত্ত, অতোটা ভালগার তো না হজরত মতি; মানে আরেকটু ধুরন্ধর, ইডিওলজিকেল ফাইট জে আরেকটু ডিপার, এইটা তো বোঝেন হজরত মতি!

মোটামুটি ঐ টাইমেই জনকন্ঠও নামছে বাজারে, কিন্তু হজরত মতির ইডিওলজিকেল খোয়াবের পুরাটা দেখা গেলো পরথম আলো’তে।

এখন হজরত মতির খোয়াব আর তার লগে আওমি লিগের রিশতা বুঝতে হবে আপনের, নাইলে পলিটিক্সে মিডিয়ার রোল পুরা খোলাশা হবে না।
হজরত মতির ইডিওলজিকেল খোয়াবের ১ নাম্বার আদত হইলো, বাংগালি নেশনালিজম। এইটা আবার দুনিয়ার বাকি শব নেশনালিজম দিয়া বুঝতে পারবেন না আদৌ! দ্যাখেন, হজরত মতির লগে ইনডিয়ার রিলেশন বরাবরই ভালো; অথচ একটা শাচ্চা ডিভোটেড বাংগালি নেশনালিজম পছন্দ করার কোন কারন নাই ইনডিয়ার! ইনডিয়ার দখিনে জেই দেরাবিড় নেশনালিজম মাথাচাড়া দিয়া উঠছে, তাতে বিজেপিরা জেমন বিরক্ত তেমন বিরক্ত কেন হয় না ইনডিয়া হজরত মতির বাংগালি নেশনালিজমে? বাংলাদেশের বাংগালি নেশনালিজমের কাছে ইনডিয়ান বাংলা হারাবার ডর কেন হয় না ইনডিয়ার?

এর কারন হইলো, হজরত মতির বাংগালি নেশনালিজম ‘নিখিল ভারতের’ একটা মাইয়া ছেরেফ, তা তার মায়ের লগে মিলতে চায় হরদম! হজরত মতির কাছে শংস্কৃতের লগে বাংলার জেই রিশতা, শেই মডেলেই বাংগালি নেশনালিজমের লগে ‘নিখিল ভারতের’ রিশতা। কিন্তু দেরাবিড় নেশনালিজম তো তা না, ঐ শংস্কৃতরে দ্যাখে ইম্পেরিয়ালিস্ট হিশাবে, তামিল ভাশা নেটিভ, পুরানা, আর শংস্কৃত হইলো হানাদার তাদের কাছে!

বাংগালি নেশনালিজমের এই গোড়ার খাছলত মাথায় রাইখা হজরত মতির পজিশন বুঝতে হবে আপনের; তাইলে বুঝবেন, ‘দুই জাতি থিয়োরি’, ‘জিন্না’, ‘পাকিস্তান’, ‘দেশভাগ’–ইত্তাদি ইশুতে হজরত মতির পরথম আলোর ইডিওলজিকেল পজিশন। এবং এই পুরা পোজেক্টে হজরত মতির কাছে মছিহা হইলেন রঠা, হজরত মতির বাংগালি আর ইনডিয়ার তাবত মুশকিলের আছান দিতে পারে রঠা।

হজরত মতি হইলেন শেখ শাহেবের বাকশালের লোক। শেখ শাহেব নাই, পরে আওমি লিগ হইলো আবার। হজরত মতির পোজেক্ট কি তখনকার ইতিহাশের ঐ নয়া পাটে?

হজরত মতি তার বাংগালি নেশনালিজমের শকল খাদেমদের একটা পাটাতনে আনতে পারলেন, ইডিওলজিকেল রঠাবাদ বাংলাদেশের মানুশের মগজে ঢুকাইতে এই পাটাতনটা তার দরকার। খাদেমদের নামগুলা দ্যাখেন: মুনতাসির মামুন, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরি, আনিসুজ্জামান, সৈয়দ মনজুর, শাহরিয়ার কবির, বেরিস্টার আমিরুল, জাফর ইকবাল, আনিসুল হক, মাহফুজ আনাম, শাহাদুজ্জামান, মহিউদ্দিন আহমেদ, মিজানুর রহমান–এমন কতো কতো জন!

পরথম আলো একটা পরান-ভোমরা, বাংগালি নেশনালিজমের ‘আরএছএছ’, আওমি লিগ তার পলিটিকেল ভ্যানগার্ড। ইনডিয়ার আরএছএছের লগে হজরত মতির বাংগালি নেশনালিজমের আরএছএছের একটা বুনিয়াদি/ফান্ডামেন্টাল তফাত হইলো, ইনডিয়ার আরএছএছ তার জনতার মেজরিটির লগে ইডিওলজিকেলি এলাইন্ড, কিন্তু হজরত মতির আরএছএছ বাংলাদেশের মানুশকে ঘেন্না করে, এই দেশের মানুশ পাকিস্তান চাইছে, এরচে বড়ো পাপ আর কি আছে হজরত মতির কাছে! হজরত মতির বিচারে বাংলাদেশের এই পাপি জনতার একমাত্র বাংলাদেশবাদি পলিটিকেল ফোর্ছের নাম বিম্পি–জিয়া-খালেদা, আর এই রোশনাই দিয়াই পরথম আলোর ‘হাওয়া ভবন’ আর তারেক জিয়ারে বুঝতে হবে আপনার 🙂 ।

আওমি লিগের লগে হজরত মতির টেনশনের গোড়ায় আছে হজরত মতি/পরথম আলো নামের আরএছএছের ঐ এন্টি-পিপল পজিশন! হিশাব করলে বুঝবেন, হাসিনা জখন খেলাফত মজলিশের লগে মোর্চা বানায় ইলেকশনে জেতার বাশনায়, ঐটা আশলে বাংলাদেশের জনতার লগে আপোশের দিকে একটা কদম, আর ঠিক তখন খেইপা জায় হজরত মতিরা!

হজরত মতিদের ব্যাপারে হাসিনার কমপ্লেইন হইলো, তোমরা তো আমারে খমতায় নিতে পারতেছো না! হজরত মতিরা ছবর করতে কন হাসিনারে। হাসিনা পরে কাদের মোল্লা ইশুতেও জামাতের লগে আপোশের দিকেই জাইতেছিলো, হজরত মতিদের আরএছএছ তখন বাধা দিছে, এইবার তারা দিছে ‘গনজাগরন মন্চ’। এইবার হাসিনা ভরশা পাইলো; লগে মদদ দিছে ইউরোপ-আমেরিকার এন্টি-মোছলমান পজিশন আর ইনডিয়ান লবি তো আছেই! হাসিনা তখন তার বাপের অধরা খোয়াব পুরনে নামছে, বাকশাল কায়েম করতে পারলো তখন, ২০৪১ শাল তক হাসিনার খমতা পার্মানেন্ট কইরা দিলো হজরত মতিদের আরএছএছ।

গনজাগরন মন্চের কামিয়াবি, পরে ২০২৪ শালেই শেইটা ভাইংগা পড়া এবং এই দুইটা ব্যাপারে মিডিয়ার রোল লইয়া কম্পারেটিভ আলোচনা করতে হবে আমাদের, শেইটা করবো, পরের কোন লেখায়। আপাতত বরং দেখি, হজরত মতি আর তার বাংগালি নেশনালিজম, রঠা, আরএছএছ, ইডিওলজিকেল ফাইট কতোটা ছারভাইভ করে, আর কতো দিন, আওমি নামে তার ভ্যানগার্ডকে শে কেমনে কেমনে ফিরাইয়া আনে আবার… শুনছি, শ্যামলির এক মস্ত আতেল-বয়াতির বাশায় ৫ আগস্ট রাইত ২টা তক হজরত মতির ডানহাত বইশা ছিলো, মিটিং করছে ঘন্টার পর ঘন্টা… ঐ আতেল-বয়াতির পরামিশে বাংলাদেশের জনতার ইডিওলজিকেল ফাইটে হজরত মতি কতোটা শুবিধা করতে পারে, দেখা জাক।

#রকমশাহেরবয়ান ২৮ ছেপ্টেম্বর ২০২৪

গ।

‘এছথেটিক দলা’ জিনিশটা বুঝতে হবে আপনাদের। দল থিকাই দলা হয়, কিন্তু দলা জিনিশটা আরেকটু ঘন, জেইখানে ইউনিট আর হোলের বা বেক্তি আর কালেকটিভের শার্থে কোন টেনশন নাই, দলে জেইটা আছে। এক বস্তা বাদাম হইলো একটা দল, আর আপনের গু হইলো দলা।
এছথেটিক দলার ভিতর ঐ ব্যাপারটা ঘটে, তাগো খুব আলাদা লাগে পেরায়ই, দুর দুর জমিনে কতোগুলা ইউনিট খাড়াইয়া খুবই আলাদা আলাদা কাম করতেছে, কিন্তু তারা আশলে একটা দলা!

ওকে, আরেকটু কিলিয়ার করার টেরাই করি বরং। কতোগুলা দুর দুর ইউনিট ধরেন এমন: বাংলাদেশের নালন্দা-শহজপাঠ ইশকুল, ইনডিয়ান বাংলার শান্তিনিকেতন, সত্যজিত-মৃনালের ছিনামা, তানভির মোকাম্মেল, জাফর ইকবাল, শুনিল গাংগুলি, আবদুল্লাহ আবু সাইদ, বাতিঘর, পরথম আলো, ডেইলি এস্টার, একাত্তর টিভি, শাহাদুজ্জামান, রাখাল বালক আতিউর, গোলাম মুরশিদ, মহিউদ্দিন আহমেদ, সাজ্জাদ শরিফ, ছায়ানট, উদিচি, জয় বাংলা, শোনার বাংলা, সনজিদা খাতুন। কি মনে হয়, এগুলার ভিতর টেনশন কতোটা আছে? দুরের দুরের কতোগুলা কেপিটাল এগুলা বানাইছে, আলাদা আলাদা কাম করতেছে তারা, টেনশন নাই কোন বরং একটা আরেকটার জন্ন তারা কমপ্লিমেন্টারি–তারা একটা দলা, এছথেটিক দলা!

বাংলাদেশে বুনো মাশরুমকে কয় ব্যাঙের ছাতা; বনের কোন বান্দর ধরেন মুতছে কোথাও, পপুলার বিলিভ হইলো–শেই মুতা জমিনে ব্যাঙের ছাতা গজায়! তো, ঐ এছথেটিক দলার শরিকগুলা ধরেন একেকটা মাশরুম, কারো মুতা জমিতে গজাইছে, কার মুত হইতে পারে, ভাবেন তো! একটু ভাবলেই পাইয়া জাইবেন–রঠা 🙂 ।

বাংলাদেশের জমিন রঠার মুতে ছয়লাপ হয় পাকিস্তান আমলে, মার্শাল আইউব আছিলো ঐ ঘটনার হিস্ট্রিকেল কন্ডিশন। আনডেমোক্রেটিক দখলদার আইউবের রিয়েকশনে জেই কালচারাল মুভমেন্ট হয়, তার ছেন্টারের নাম রঠা এবং শেই জমিনেই এই মাশরুমেরা গজাইছে। এই জামানাতেই খুব শম্ভব বামাচারিদের কাছে ‘ইনডিয়ান’ মার্ক্স হইয়া ওঠেন রঠা; রঠার এগ্রি থিকা নদি, এডুকেশন ভাবনা লইয়া হরেক কেতাব/থিছিছ লেখা হইতেছে এখনো।

বাংলাদেশ পয়দা হওয়া মানে ঐ মাশরুমেরাই কালচারাল এলিট হইয়া উঠলো দেশে। পরথম আলোকে আপনার দেখতে হবে ঐ কালচারাল এলিট মাশরুম, ঐ এছথেটিক দলার মুখ আর হিস্ট্রিওগেরাফি হিশাবে, জিন্দেগির একটা টোটাল কোড অফার করতেছে ঐ এছথেটিক দলা।

ফলে পরথম আলোর ছার্কুলেশন, রিপোর্টিং কোয়ালিটি–এইগুলা এই কালচারাল এলিটের ভালো লাগার গোড়াটা ঐ এছথেটিক দলায়, পোরফেশনাল এক্সেলেন্সের দাবি পুরা বোগাছ। এবং দেশের অ্যাড মার্কেটে মস্ত দাপটের পিছে পরথম আলোর ছার্কুলেশনের ব্যাপার নাই কোন। বরং ঐ কালচারাল এলিটের লগে কেপিটালের কমুনিকেশনের রাস্তা হইলো পরথম আলো এবং কোন একটা বেরান্ডের ইজ্জত বানাবার কারিগরও তাই পরথম আলো। এই পরথম আলো (ডেইলি এস্টার হইলো ঐ কালচারাল এলিটের ইংরাজি শেখার চোথা মাত্র) নাকি ছেকুলার–এমন কিছু দাবি আছে, এইটা ভুয়া; কেননা, ঐ এছথেটিক দলার গোড়া উপনিশদে। আর পরথম আলোর ছার্কুলেশন জাস্ট ঐ এলিটের ছাইজ বোঝার মিটার মাত্র।
ছো, আমাদের আশলে ডিফাই করতে হবে, হারাইতে হবে ঐ কালচারাল এলিটেরে; রঠার দর্শন/ভাবনা জে পাতলা ইমোশন মাত্র, হিস্ট্রিওগেরাফি বেহুদা, রেছিস্ট এরিয়ান নেশনালিস্ট, রাজিনিতি জে এন্টি-পিপল, এন্টি-উইমেন, কমুনাল–এইটা এস্টাবলিশ করতে হবে।

এই কালচারাল এলিট, ঐ এছথেটিক দলারে হারাইতে পারলে পরথম আলো আর কোন বেরান্ডের ইজ্জত বানাইয়া দিতে পারবে না, ঐটা হইয়া উঠবে জেনজি’দের কাছে কলিকাতাই/রঠার বাংলায় লেখা পেমের চিঠির মতোই ফানি; তখন কেপিটালগুলাও ঐখানে আর অ্যাড দেবে না, পরথম আলো শুকাইয়া ধানমন্ডির রঠার কুয়ার মতোই পইড়া থাকবে কোথাও!

ঐ এছথেটিক দলাটা ডুইবা জাবার পরে চিপাচাপায় কারো কারো পেলেলিস্টে মমতাজ-শাকিরা-নুরান ছিস্টার্ছ-জেমস-ওয়ারফেজের লগে রঠারও দুই চারটা গান থাকবে হয়তো, কেউ কেউ পড়বে ওনার পাতলা পাতলা কবিতা, কিন্তু জিন্দেগির শকল ছেক্টরের নছিহত বা কোড অব লাইফ হিশাবে থাকবে না ঐ এছথেটিক্স, লাইফের বেলি-বাটনের রিং বা রানের ট্যাটু হইয়া ঘামে ভিজবে হয়তো–কি জায় আশে!

ছো, জারা কইতেছেন জে, আরেকটা পরথম আলো লাগবে, তারা ভুল; তারা ঐ এছথেটিক দলাটা মালুম করতে পারেন না এখনো, তারা আরেকটা পরথম আলোই হইতে চাইতেছেন এবং তা হইলে মতিউর রহমানের পরথম আলোর মরনে তার মন খারাপের কিছু থাকবে না, শেইটা আরেকটা খোলশ মাত্র, শাপটা একই থাকলো তাতে!

বাংলাদেশে আমরা এখনো তেমন কোন পোতিশ্ঠান বানাইতে পারি নাই, জেইটা আমাদের পোরফেশনাল এক্সেলেন্সের ছবক দিতে পারে, পরথম আলোও পারে না, তার তা নাইও। জাদের মনে হইতেছে আছে, তাগো নজর ঐ এছথেটিক দলাই বানাইয়া রাখছে, তারা নিজেরাও হয়তো জানেন না, শেই কারনেই পরথম আলোরে অমন লাগতেছে তাদের–পিয়ার কি রুপ…এমন একটা গান আছে না, তেমন আর কি, কাইন্ড অব 🙂 ! এনাদের ছেনেহো করি আমি, একটি টার্মও বানাইছি এনাদের ডাকতে–ন্যারেটিভের ইনোছেন্ট ভিকটিম।

এনাদের আজাদিই আমার মনজিলে মাকছুদ একটা…, এলাহি ভরশা।

জাস্ট মগজ মকশো করেন একবার: জিন্দেগির ছেক্টর ধইরা ভাবেন, আজকের রাজিনিতির ডিছিশন নিতে রঠারে লাগে আপনের? আর্ট-পোয়েট্রি? দর্শন? এগ্রিকালচার? কালচার? ছোছাইটি? ধর্ম? ইকোনমি? পেমপিরিতি–পেমের চিঠি? ছেক্স? প্যারেন্টিং? ফুড? ফ্যাশন? ছফর-ট্যুরিজম? আর্কিটেকচার? ইতিহাশ?

একটু ভাবলেই দেখবেন, এখন জেই অল্টারনেটিভগুলা হাজির হইছে ইতিহাশে, তার তুলনায় রঠা বেশ পাতলা। ধানমন্ডির রঠার কুয়ায় নাইমা তো আপনে দরিয়ায় ছেনান করার মজা পাইবেন না ওস্তাদেরা! এই তুমুল বাংলাদেশেও আইউবের রিয়েকশন দিয়া জিন্দেগি পার কইরেন না পিলিজ, দরিয়ায় চলেন এইবার…।

#রকমশাহেরবয়ান ৬নভেম্বর২০২৪

The following two tabs change content below.
Avatar photo

রক মনু

কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →