Main menu

পলিটিকাল ডাইরি – ২০২৪ (তিন) Featured

This entry is part 3 of 3 in the series পলিটিকাল ডাইরি

অগাস্ট ০৫, ২০২৪

১.
বসুন্ধরা গেইট থিকা পুলিশ পালাইছে! দেশ স্বাধীন! বুক ভরে শ্বাস নেন!

২.
স্বাধিনতা তুমি আবরারের হাসি-মাখা মুখ
স্বাধিনতা তুমি আবু সাইদের চওড়া বিশাল বুক
স্বাধিনতা তুমি মুগ্ধ’র কপাল বাইয়া পড়া ঘামের ফোটা

স্বাধিনতা তুমি আবার আশায় বুক বাঁধা,
আবার হাঁটতে শুরু করা,
পথে পথে দেখা ফুটতেছে কতো ফুল

স্বাধিনতা তুমি নরোম-সরোম প্রেমের কবিতা
চুপচাপ বইসা থাকা, নিরবতার আওয়াজ শোনা
গাছের পাতাগুলা যেন বাতাসে গাইতেছে বাংলাদেশের গান, আবার…

/আ লং ওয়াক টু ফ্রিডম

৩.
যেই মিল-মিশের ভিতর দিয়া এই মুভমেন্ট হইছে, সেইটা নেকস্ট ইলেকশন পর্যন্ত কনটিনিউ করতে হবে; ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশে নানা মত নানা পথ থাকবে, কিনতু কেউ কারো শত্রু না।

মনে রাখবেন, বিপ্লবের চাইতেও সবচে ইম্পর্টেন্ট দিন হইতেছে বিপ্লবের পরের দিন!

আমাদের সেলিব্রেশন চলবে। তবে অনেকে নানান ধরনের সুযোগ নিতে চাইবে, অনেকে অতি-বিপ্লবী হয়া উঠতে চাইবে, কিনতু যে কোন কিছুর চাইতে ডেমোক্রেটিক থাকাটার দিকে আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে। ইনক্লুসিভ হইতে হবে যে কোন এক্টে, অ্যাকশনের জায়গাটাতে।

তবে অবশ্যই গনহত্যাকারী, তাদের সহযোগি ও এনেবেলারদের কোন মাফ হইতে পারে না, যত দ্রুত সম্ভব এদের বিচার করতে হবে; তা নাইলে ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশের দিকে আমরা আগায়া যাইতে পারবো না, কোনদিনই।

৪.
দেশে যেহেতু এখন কথা বলার সুযোগ তৈরি হইছে, অনেকে কথা বলবেন, সকলেই কথা বলবেন; তো, আপাতত আমার পয়েন্ট এই কয়টা –

১. অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কোন অবস্থাতেই, আই রিপিট কোন অবস্থাতেই ১৮০ দিনের বেশি হইতে পারবে না।

কারন নন-ইলেকটেড গর্ভমেন্টে ফেরেশতা বসাইলেও সে আরেকটা অটোক্রেট হয়া উঠবে।

২. এই সরকারের প্রধান একজন নন-মিলিটারি ও নন-পলিটিকাল পারসন হওয়াটা বেটার।

৩. এই সরকারের এটলিস্ট ৩০%, মানে ৯ জন মেম্বার থাকলে তার মধ্যে ৩ জন ছাত্র-প্রতিনিধি হইতে হবে।

৪. সেকুলার-লিবারাল ফ্রন্টের মেম্বার যেমন থাকা লাগবে ইসলামিস্ট-ঘরানার লোকজনরেও রাখা লাগবে; ইনক্লুসিভ হইতে হবে

৫. সরকারের প্রধান কাজ হবে দুইটা – ফ্রি-ফেয়ার ইলেকশনের বেবস্থা করা এবং এর জন্য যা করার দরকার সেইগুলা করা; এবং শেখ হাসিনা ও তার সহযোগিদের গনহত্যার বিচার করা

৬. এর বাইরে আরেকটা জিনিস নিয়া আমি সর্তক থাকার জন্য বলবো, যারা আওমি-লিগের সরাসরি সাার্পোটার ও বেনিফিশিয়ারি তাদের সবাইরেই আমরা মোটামুটি চিনি ও জানি; কিনতু যারা দুইদিন আগেও হাসিনার নাম মুখে নিতে গেলে ডরের চোটে পাদ মাইর দিতো, তারা অনেক ‘ভুল’ ধরতে আসবে, এমনকি ‘অতি-বিপ্লবি’ কাজ-কাম করার জন্য ‘জরুরি পরামর্শ’ দেয়া শুরু করবে – তাদের থিকা সাবধান থাকাটা বেটার

৭. কারন, এই ফ্যাসিস্ট নয়া বাকশালের পতন মানে সবকিছু বেহেশত হয়া উঠা না, বরং একটা নরমালিটির দিকে, ডেমোক্রেটিক অবস্থার দিকে যাওয়ার শুরু মাত্র, এর বেশি কিছু না

৮. এই আন্ডারস্ট্যান্ডিং’টা, যারা অনেক কিছু স্যাক্রিফাইস করছেন, তাদেরও থাকলে ভালো… হঠাৎ কইরা সবকিছু ভালো হয়া উঠবে না, কিনতু ভালো-মন্দ বিচারগুলা করাটা যেন আমরা শুরু করতে পারি, সেইটার দিকে যাওয়া

৯. প্রতিশোধ, রিভেঞ্জ কখনোই সমাধান না; বিচারের জায়গাটা তৈরি করতে পারতে হবে আমাদের, ন্যায়বিচার বা জাস্টিসের সমাজ তৈরি করার দিকে যাইতে হবে

অগাস্ট ৬, ২০২৪

১.
আবারো একদল বিএনপি কার্ড নিয়া মাঠে নাইমা গেছে, এবং বুইঝা বা না-বুইঝা অনেকে এই ফান্দে পাড়া দিতেছেন; বিএনপি’র ক্ষোভ থাকতে পারে আওমি-লিগের লোকজনের প্রতি, যারা এতোদিন অত্যাচার-নির্যাতন করছে (সেইটাও আর্মি হ্যান্ডেল করবে), কিনতু মন্দিরে কেন আক্রমন করবে? কমনসেন্সেই তো এইটা কাজ করার কথা না…

আর হাসিনার পতনের পরের দিন দেশে ভ্যান্ডালিজম হইলে কার লাভ? যারা এইগুলা করতেছেন আইন-শৃঙ্খলা অবস্থার সুযোগ নিয়া যদি কইরা থাকে তাইলে সেইটা ঠিক করা লাগবে; কিনতু যারা ইচ্ছা কইরা পুরান আওমি-নেরেটিভ’টারে এসটাবলিশ করতে চাইতেছেন, তারা ইনোসেন্টলি করতেছেন – এইটা বিশ্বাস করাটা কিছুটা কঠিনই আমার কাছে

স্বৈরাচারের পতন হইলেও স্বৈরাচারে ভূত (পড়েন, নেরেটিভ) এতো তাড়াতাড়ি মরবে না

২.
একটা জিনিস মেবি অনেকে খেয়াল করেন নাই, গনহত্যাকারী শেখ হাসিনা পরাজিত হইছেন আসলে পিপলস সারভেলেন্সের (surveillance) কাছে; গনহত্যার যেই ফুটেজগুলা আমরা দেখছি এর ৯৫%-ই ‘সাধারন’ মানুশের তোলা ছবি ও ভিডিও, বাকশালি-মিডিয়া এই পিপলস সারভেলেন্সের কাছে পরাজিত হইছে, কোন ভুয়া-নেরেটিভ আর তারা তৈরি করতে পারে নাই; সোশাল-মিডিয়ার বটগুলাো এই পিপল আপ-রাইজিংয়ের সামনে টিকতে পারে নাই

তো, একই জিনিস এখনকার সময়ের জন্যও প্রযোজ্য; যারা বলতেছে মন্দির আক্রমন হইতেছে, হিন্দুদের বাড়ি আক্রমন হইতেছে তারা অবশ্যই ভুল-কথা বলতেছেন না, কিনতু ভুল-কনসার্ন দেখাইতেছেন এইভাবে যে ঠিক-প্রশ্নটা উনারা করতেছেন না যে, কারা করতেছে এইগুলা?

যারা-ই করতেছেন তারা আন-আইডেন্টিফাইড কোন গ্রুপ না, এদের অবশ্যই একটা পলিটিকাল পরিচয় আছে, আর এইখানেই পিপলস সারভেলেন্সের জায়গাটা; যারা করতেছে তারা নিজেদেরকে আন-আইডেন্টিফাইড রাখতে চায় যাতে কইরা বিম্পি-জামাত, ‘আমরাই খারাপ’ এই ধুয়া তুইলা গন-অভ্যুত্থানের পরের দিনই তারে ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ কইরা স্বৈরাচারের পক্ষে সাফাই গাইতে পারে…

দল হিসাবে বিএনপি’কে অবশ্যই একটা স্ট্রং স্ট্যান্ড নিতে হবে, যদি মন্দির ভাঙার সাথে কোন নেতা-কর্মির ইনভলবমেন্ট খুঁইজা পাওয়া যায় তারে ইমিডিয়েটলি দল থিকা বাইর করতে হবে; কিনতু এই বিপ্লব বিএনপি’র বিপ্লব না, ছাত্র-জনতার বিপ্লব, এবং পিপলস সারভেলেন্সের ভিতর দিয়াই এই বিজয়রে ধইরা রাখতে হবে

৩.

১৯৪০’র দিকে একটা বিতর্ক হইছিল কলকাতার পত্র-পত্রিকাতে যে, পত্রিকা কি মালিকের ইচ্ছা-মতো চলবে নাকি এডিটরের, সাংবাদিকদের প্রেফারেন্স দিয়া চলবে? মানে, মালিক যদি ব্রিটিশ-সরকারের সহযোগি বা প্রো-কংগ্রেসি হয় তাইলে এডিটর’রা, সাংবাদিকরা ব্রিটিশ-বিরোধি বা প্রো-মুসলিম লিগের প্রচার-প্রচারনা চালাইতে পারবেন কিনা? বা মুসলিম-লিগ করেন এইরকম কোন সাংবাদিক কি প্রো-কংগ্রেসি পত্রিকায় মুসলিম-লিগের পক্ষে লেখতে পারবেন কিনা? এইরকম…

তো, অই বিতর্কে মোটামুটি সব এডিটর’রাই সংবাদপত্রের এবং সাংবাদিকদের স্বাধিনতার পক্ষে কথা কইছিলেন, উল্টা-কথা কইছিলেন আবুল মনসুর আহমেদ; যে, দেখেন, এইটা তো চাওয়া যাইতেই পারে, কিনতু পসিবল না… কোন প্রো-মুসলিমলিগ সাংবাদিক যদি সাংবাদিকতার ভিতর দিয়া অই দলের এবং আইডিওলজির পক্ষে কাজ করতে চান তাইলে বেটার হইতেছে অইরকম মালিকের কোন পত্রিকাতে কাজ করা; কারন অন্যরকম উনারা চাইতেই পারেন, কিনতু মালিকের বাইরে গিয়া সেইটা করাটা সম্ভব হবে না… (আবুল মনসুর আহমেদ উনার ‘আত্মকথা’ বইতে এই নিয়া ডিটেইলস বলছেন)

এইটা খালি নিউজপেপার না, এখনকার টিভি-চ্যানেল বা অনলাইন নিউজপোর্টালগুলার বেপারেও সত্যি; অইসব নিউজ-আউটলেটগুলার রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে গিয়া তাদের অপারেট করতে পারার কোন কারন নাই…

এইখানে আসল কথা হইতেছে, বাংলাদেশের এই নিউজ-আউটলেটগুলার মালিক কারা? মোটামুটি ৯৯%-ই হইতেছেন আওমি-লিগের মন্ত্রি এমপি, বিজনেস-পারসন যাদেরকে আওমি-লিগের লগে রিলেশন রাখতে হয়, বা প্রো-ইনডিয়ান লোকজন… যার ফলে ট্রাডিশনাল নিউজ-আউটলেটগুলাতে এই পলিটিকাল এজেন্সির বাইরে আর কোন নেরেটিভ পাইবেন না, মালিক যেইরকম চায়, সেইরকম রিয়ালিটি প্রডিউস করতে থাকেন উনারা

সেকেন্ড কথা হইতেছে, অইখানে যারা চাকরি করেন তাদেরও ৯০% হইতেছেন অই আইডিওলজিরই লোক, হোক হার্ড-লাইনার বা সফট-কোর; মানে, ‘পেটের দায়ে’ কেউ সাংবাদিকতার চাকরি করেন না – তা না, কিনতু মিনিমাম একটা লেভেলে একমত না হইতে পারলে বেশিদিন কনটিনিউ করতে পারাটা বা টপ-লেভেলে পৌঁছাইতে পারাটা টাফ; ফ্রাংকলি স্পিকিং, বাংলাদেশে ‘স্বাধিন সাংবাদিকতা’ হইতেছে আসলে মন-পছন্দমতো মালিকের নিউজ-আউটলেটে কাজ করতে পারার ঘটনা..

কিনতু যারা সত্যিকার অর্থেই সাংবাদিকতা করতে চান, তাদের পক্ষে ইনডিপেনডেন্ট জার্নালিজম ছাড়া আর কোন রাস্তা খোলা নাই আসলে (বাংলাদেশে এবং বাকি দুনিয়াতও)… মানে, কেউ সৎ-সাংবাদিকতা করতে পারতেছেন না – বেপারটা এইরকম না, অই জায়গাটাই তেমন একটা এগজিস্ট করে না আর; আরো ১০টা-৫টা চাকরির মতো চাকরি করা-ই হয়া উঠছে বেপারটা, আর এতে অনেকে যে মনে কষ্ট নিয়া আছেন – সেইটাও ঘটনা না আর কি এতোটা

যেইটা হইছে, বাংলাদেশের কোন প্রফেশনেই মিনিমাম প্রফেশনালিজমের জায়গাটা খুব ন্যারো, জার্নালিজমের ফিল্ডে সেইটা নন-এগজিসটেন্টই অনেকটা

২.
যমুনা টিভি নিয়া একটা হাইপ উঠছে কয়েকদিন আগে থিকা যে উনারা অনেক ‘পজিটিভ নিউজ’ করছেন; তো, এইটা উনারা করতে পারছেন, মালিক নন-আওমিলিগ এবং পাওয়ারফুল বিজনেস এনটিটি বইলাই… মানে, এইটা যে একটা বড় ফ্যাক্টর, সেইটা কন্সিডার করতে পারাটা বেটার

এখন অন্য দেশগুলাতে যতটুক ‘স্বাধিন ও নিরপেক্ষ সংবাদ-মাধ্যম’ আছে সেইটার কারন অনেক বেশি আইডিওলজিকাল; অই দেশগুলাতে মিনিমাম লিবারাল ডেমোক্রেসি আছে যারা নানান ধরনের পলিটিকাল গ্রুপগুলার মাউথ-পিস হিসাবে এগজিস্ট করতে পারেন, যেইটা অনেকটাই ‘স্বাধিন’ কিনতু খুব কমই ‘নিরেপক্ষ’… এমনকি আইডিওলজিকালি ‘নিরপেক্ষ’ বইলা কিছু হয় না আর কি

কিনতু বাংলাদেশের ঘটনাটা ডিফরেন্ট, এক হইতেছে, এইগুলা পলিটিকাল-আউটলেটের বাইরেও বিজনেস-আউটলেট, মালিকের অনুগত দল 🙂 সেকেন্ড হইতেছে পলিটিকাল সেন্সের জায়গাটাও এইখানে খুব লিনিয়ার – ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ বা ‘প্রো-ইনডিয়ান’ নেরেটিভের বাইরে তেমন কিছুই নাই

৩.
তো, আমার কথাটা কি আসলে? 🙂 আমার কথা হইতেছে, ট্রেডিশনাল নিউজ-আউটলেটগুলার উপরে খুব বেশি ভরসা কইরেন না; উনারা কয়দিন আগে বাকশালের দালালি করছেন, এখন আর্মি-এলিট ক্লাসের পা চাটবেন, উনাদের মালিকের কথা মতো, এইটাই এক্সপেক্ট করাটা বেটার; দালালি করাটা খালি অভ্যাস না, এইটাই করতে জানেন উনারা, ইসট্রাকচারটা এইভাবেই ফাংশন করে; তবে এর বাইরে যদি কিছু হয়, তাইলে তো ভালো আমাদের জন্য, আলহামদুলিল্লাহ! তবে আমার ভরসা বা আশা কম-ই আর কি…

অগাস্ট ০৭, ২০২৪

১.
দেশে কোন পুলিশ নাই, মাঠে আর্মি নাই, ফরমাল কোন গর্ভমেন্ট নাই, মিডিয়া বিজি ছাত্রদের তেল-মারাতে, ছাত্ররা বিজি সুশিল-গিরি নিয়া (এইটা খারাপ-কাজ না কিনতু শো-অফের জিনিস মোস্টলি) ফেইসবুকে সারাক্ষন প্যানিক ছড়াইতেছে; যার ফলে যা হওয়ার তা-ই হইতেছে… এনার্কি ও কেওস সেই ভ্যাকুয়ামটারে ফিল-আপ করতেছে… এনার্কি ও কেওসে কার লাভ হইতেছে? কার ক্ষতি হইতেছে? খেয়াল কইরা দেখেন!

রাষ্ট্র চলে ল এন্ড অর্ডার দিয়া, সুশিলতা দিয়া না; রাষ্ট্রের প্রতিটা প্রতিষ্ঠান নন-ফাংশনাল এখন, এবং তার চাইতে ভয়াবহ জিনিস হইতেছে নয়া বাকশালি লোকজন দিয়া ভরা; তারা এখনো হার মানে নাই, কো-অপারেট করার জন্য রেডি না; এই বিশাল ‘ফেসিস্ট বোমা’ এখনো ডিফিউজ করা বাকি, এই কাজটা অনেক রিস্কি এবং অনেক সময়ের বেপার, কিনতু এইটা যে শুরু হইছে এই সাইনগুলা ভিজিবল না… এই কনফিডেন্স মানুশের মনে এখনো আসে নাই

যারা ছাত্রদেরকে পলিটিকাল পাওয়ারের লোভ দেখাইতেছে, তাদের কাছ থিকা সাবধান থাকার জন্য বলবো আমি; ছাত্রদেরকে আমি বলবো একটা এক্টিভ সোশাল-পলিটিকাল ফোর্স হিসাবে আপনারা গন-অভ্যুত্থান করছেন, এখনো সেইটা রোল’টাই প্লে করেন, পলিটিকাল পাওয়ারে এন্টার কইরেন না, সেইটা খালি আপনাদেরকেই বিপদে ফেলবে না, দেশকে বড় বিপদের দিকে ঠেইলা দিবে

দেশে ইমিডিয়েটলি, পারলে আজকের মধ্যে ইনটেরিম গর্ভমেন্টের কাছে ক্ষমতা দেয়া লাগবে। ইনটেরিম গর্ভমেন্ট ক্ষমতা না নেয়া পর্যন্ত এই ভ্যাকুয়াম ফিল-আপ হবে না। (অনেকে তারপরেও এই এনার্কি ও কেওস তৈরি করতে চাইবে, সেইটা কিভাবে হ্যান্ডেল করবে সেইটা অই গর্ভমেন্টের ফার্স্ট কাজ হবে।)

আর্মিকে মাঠে নামাইতে হবে, দেশ-মানুশ-সম্পদ রক্ষায়, পুলিশ-বাহিনি রি-ফর্মড না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে থাকতে হবে। ইনটেরিম গর্ভমেন্ট এইটা নিয়া ডিসিশান নিবে। কিনতু আর্মির এখনকার রিলাকটেন্সি নতুন প্রশ্নের জন্ম দিবে, অলরেডি দিতেছে। ক্রুশিয়াল মোমেন্টে তারা যেইরকম রাইট ডিসিশান নিতে পারছে, এখনো তাদেরকে সেইটা কনটিনিউ করতে পারতে হবে, দেশের মানুশের সাথে এক কাতারে দাঁড়ানোর ভিতর দিয়া।

আগে বলছিলাম, বিপ্লবের চাইতে বিপ্লবের পরের দিন বেশি ইম্পর্টেন্ট। তো, আমারে যদি জিগান, আমি বলবো, কোনরকম পাশ-মার্কা পাইয়া সারভাইব করছি আমরা; কিনতু এইভাবে স্ট্রাগল কইরা টিইকা থাকাটা কোন গুড-সাইন না।

বিএনপি মুভমেন্টের সময়ে যেই ম্যাচুরিটি দেখাইতেছে, সেইটা যদি কনটিনিউ করতে না পারে, তাইলে বিপদ খালি দেশের হবে না, দল হিসাবে তারাও সাফার করবে। এলাকায় এলাকায় তাদের গুন্ডা-মাস্তানদেরকে কন্ট্রোল করতে হবে। মাসল-পাওয়ার দিয়া পলিটিকস করতে চাইলে তাদের অবস্থাও আওমি-লিগের মতো হবে।

চিন্তা-ভাবনা, কাজে-কামে ডেমোক্রেটিক হওয়া সহজ জিনিস না, এই প্রাকটিস আমাদের সমাজে বা রাষ্ট্রে নাই। পাওয়ারের ধমক দেয়া বা ধমক খাওয়াটারে আমরা ‘নিয়ম’ বইলা ভাইবা আসছি। এর থিকা ধিরে ধিরে হইলেও সরতে হবে। সবচে জরুরি কথা হইতেছে, মাটিতে নামেন! হাওয়ায় উড়তে সবসময়ই ভালো-লাগবে, কিনতু রিয়ালিটির মাটিতে পা রাখেন এখন! নাউ! বিফোর ইটস লেইট!

আগামি ৫-৭টা দিন ইম্পর্টেন্ট! এর মধ্যে কেওস ও এনার্কি থামান!

২.
যারা এতোদিন আওমি-লিগের দালালি করছে তারা-ই আবার নতুন পলিটিকাল পাওয়ারের দালালি করবে, দালালি করা খালি সহজ না, এইটা তাদের ‘ওয়ে অফ লাইফ’, তারা এইটা চেইঞ্জ করতে পারবে – এইটা আশা করাটাও ঠিক হবে না

বরং যে কোন ধরনের চেইঞ্জরে তারা রেজিস্ট করবে, আটকায়া দিবে; বাংলাদেশে গত ১৫-২০ বছরে সব ক্লাসের ভিতরেই এই কালচারাল মেন্টালিটি তৈরি হইছে যে, দালালি করাটা দোষের কিছু না, এবং যে কোন অবস্থাতে ‘সত্যি কথা’ বলাটা ‘রিস্কি’ ঘটনা… তো, এই ‘রিস্ক’-এর এনভায়রমেন্ট’টা তৈরি কইরা না রাখলে এই মেন্টালিটি দিয়া তারা সারভাইব করতে পারবে না; এবং তারা চাইবে এইরকম ‘রিস্ক’ সবসময় থাকুক, আর এরা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের এবং সমাজের সব জায়গাতেই স্ট্রংগলি এগজিস্ট করতেছে

সেকেন্ড হইতেছে, অতি-বিপ্লবীরা, তারা সবকিছু ভাইঙ্গা ফেলতে চাইবে, বদলায়া ফেলতে চাইবে, এরা তত্ত্বজীবীও না, সুযোগ-সন্ধানী, যারা বিপ্লব করছেন তাদেরকে দিয়া নিজেদের এজেন্ডা ফুলফিল করতে চান; আমি নিশ্চিত যে, এই বেপারে সবাই মোটামুটি কনশাস আছে, এই বুদবুদ সময়ের সাথে মিলায়া যাবে বইলাই আমার ধারনা, কিনতু এর একটা ইমিডিয়েট প্রভোকেশন আছে, যেইটা নিয়া সাবধান থাকাটা ভালো; বিপ্লব একটা লং টার্ম প্রসেস, ৭ মিনিটের ঘটনা না…

২.
ফেইসবুকের নিউজফিড আবার ইনডিয়ান বট’গুলা দিয়া অকুপাই করা হইতেছে; হার্ড-লাইনে গিয়া পারে নাই, এখন সফট-টোনে ইনায়া-বিনায়া ‘ছাত্ররা পারতেছে না’ ‘বিএনপিও খারাপ’ এইরকম কথা-বার্তা বলতেছে… যেন গনহত্যাকারী হাসিনা ও বাকশালিরাই বেটার ছিল! এই বয়ানগুলা প্রবলেমেটিকই না, সাবোটাজ করার ঘটনা আসলে।

আর এইটারে উসকায়া দিতেছে দুইটা গ্রুপ – পুরানা ‘উনাকে ভুল বুঝানো হয়েছে’র এবং নতুন ‘বিপ্লব সফল করতে হবে’ – এরা মেইনলি নয়া বাকশালের কালচারাল এনেবেলার, এন্টি-পিপল, এবং স্নব, নানান স্পেকুলেশনের ভিতর দিয়া এইটা করতেছে তারা…

এদের কথা-বলা বন্ধ কইরা দিতে হবে না, বরং (বট’গুলারে রিমুভ করতে হবে, কিনতু) যেহেতু দেশ স্বাধিন হইছে, সবাইরে আরো বেশি বেশি কইরা কথা বলা লাগবে; যারা ‘কিছুই হবে না’র ডর দেখায়া চুপ করায়া রাখতে চাইতো, তারাই বিএনপি-জামাত জুজু দিয়া এখনো অপারেট করতে চায়… এবং সবার কথা-বলার ভিতর দিয়াই এই বট-বাহিনি ও নয়া-বাকশালের কালচারাল-এনেবেলারদের ফাইট করতে হবে আমাদেরকে

৩.
এই শিকখিত, শহুরে, মিডল-ক্লাসরাই (যারা এতদিন ‘ভয়ে’ ছিল, এখন এফবি কাঁপাইতেছে, তারা) বাংলাদেশের জনগন না, বরং এরাই ছিল নয়া বাকশালের কালচারাল এনেবলার

এরা বিএনপি’রে চায়-না না, এরা কোন ইলেকটেড গর্ভমেন্ট চায় না, কিনতু গনহত্যাকারীরে ১৬ বছর ধইরা আপা, মাননীয় বইলা ঢোঁক গিলতো, ‘বিকল্প’ খুঁইজা পাইতে না, নয়া বাকশালের যে কোন ধরনের বিরোধিতা করাটারে মনে করতো ‘পাপ’… এরা যে কোন ফর্মে একটা এন্টি-পিপল এসটাবলিশমেন্টরে ক্ষমতায় রাখতে চায়

ইন ফ্যাক্ট, এরা আসলে বিএনপি-বিরোধিও না, এরা হইতেছে এন্টি-পিপল, স্নব ও কালচারাল-এলিট হইতে চাওয়া একদল পলিটিকাল গোলাম; এই কালচারাল-এনেবলার’রাই হইতেছে বাকশালি ফ্যাসিস্টদের ভূত, এবং ডামি-জনগন, যারা নিজেদেরকে ‘বাংলাদেশের জনগন’ বইলা দাবি করতে চায়, এরা ইভেন ৫%-ও না, কিন্তু দালালদের ৯৫% এরাই…

এই সত্যিটা আমরা যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবো ততই বেটার, বাংলাদেশের জন্য


অগাস্ট ০৮, ২০২৪

১.
কিভাবে একটা পারমানেন্ট ডেমোক্রেসির দিকে আমরা যাইতে পারি, সেইটা নিয়া আমার প্রস্তাব এইখানে

২.
গনহত্যাকারী পরাজিত বাকশালি বাহিনির তিনটা ফোর্স বা ফুট সোলজার’রা এখনো একটিভ আছে –

১. তাদের গুন্ডা-বাহিনি, টোকাই-লিগ এবং ম্যাসল-ম্যানরা; তাদের সবাই পালাইয়া যাইতে পারে নাই, অনেকের সেই স্কোপও নাই… তো, এই যে ডাকাতির ঘটনা, মন্দির ভাঙা – এইখানে তাদের কনট্রিবিউশন থাকতে পারে

২. মিডিয়ার চেনা-জানা এবং না-চেনা ছোট-বড় দালালগুলা বহাল তবিয়তেই থাকার কথা; তারা এখন দুইটা কাজ করতেছে –

অ. ছাত্রদের কয়েকজনরে হিরো বানানোর ভিতর দিয়া বাকিদের সাথে একটা ডিসটেন্সের জায়গা তৈরি করতেছে, ঢাকা ভার্সিটি ভারসেস প্রাইভেট ভার্সিটি এইসব গ্যাপগুলারে তৈরি করতে হেল্প করতেছে; মিডিয়া-হিরো খুবই বাজে একটা গেইম…

আ. পুরান বিম্পি-জামাত তো আছেই, খুব সাটলভাবে তারা এই এক্ট অফ ভিলিফিকেশনটা কনটিনিউ করতেছে.. ডাকাতির খবর পাওয়ার আগেই সেইটা হয়া যাইতেছে বিম্পি’র লোক; একদল ডাকাতি করতেছে, আরেকদল ব্লেইমটা এসটাবলিশ করতে হেল্প করতেছে

ই. লাস্ট বাট নট দা লিস্ট, বাকশালি কালচারাল এনবেলার’রা, এরা ছাত্রদেরকে দিয়া দল বানায়া কালকেই তাদেরকে সব ক্ষমতা দিয়া দিবে 🙂 বা ৩-৪ বছর নন-ইলেকটেড গর্ভমেন্ট রাখবে যাতে নিজেদেরকে সেইফ রাখতে পারে, বাকশালি-নেরেটিভ’টারে টিকায়া রাখতে পারে… পলিটিকালি এরা বাম-বাটপার গ্রুপ’টা, যারা সবসময় ব্লেইম-গেইম খেলে, কিনতু কোন একশনে থাকে না, আন-ফরচুনেটলি ফেইসবুকের নিউজফিডে এদের বাটপারিগুলাই বেশি দেখা লাগে আমারে…

পুলিশ-প্রশাসন-আদালত-ব্যাংক এইসব কিছু রিফর্ম করার পাশাপাশি এই তিনটা ফোর্সরেও মোকাবেলা করা লাগবে আমাদেরকে সোশালি, পলিটিকালি ও ইনটেলেকচুয়ালি

৩.
সমন্বয়কদের থাকাটা ঠিকাছে। এডভাইজার লিস্ট ৭০% ঠিক মনে হইছে। PUSAB’র কেউ না-থাকাটা বেশি চোখে লাগছে।

ছাত্রদের কাজ অবশ্যই ইনটেরিম গর্ভমেন্টে থাকা না, দেশ পরিচালনা করা না; কিনতু তাদের কোন রিপ্রেজেন্টেটিভ না-থাকাটা আরো বাজে জিনিস হইতো বইলা আমি মনে করি।

ছাত্রদের মূল কাজ, আমি যেইটা বলছি একটা সর্বদলিয় ঐক্য তৈরি করার ভিতর দিয়া সংবিধান নতুন কইরা লেখা, সবার সাথে এনগেইজড হইয়া; একটা সোশাল ও পলিটিকাল এনটিটি হয়া উঠা… অইটা তাদের মেইন কাজ হওয়া দরকার; তো, সেইখানে প্রাইভেট ইউনি’গুলারে ইনক্লুড না করতে পারাটা এখন পর্যন্ত সবচে বড় ব্যথর্তা, এই ড্যামেজ কনট্রোল করতে পারতে হবে

অগাস্ট ০৯, ২০২৪

এক.
নাম নিয়া কথা বলার ফজিলত

বাকশালি সময়ের চাইতে এখনকার টাইমে মেইন যে ডিফরেন্স সেইটা হইতেছে, আগে পাওয়ারফুল লোকদের নাম মুখে আনা যাইতো না, গুম-খুন হামলা-মামলার বাইরেও সোশালি আউটকাস্ট হয়া থাকতে হইতো; ফ্রেন্ড-ফ্যামিলি-পরিচিতজনরা বলতো, বেশি কথা বইলো না, বিপদে পড়বা! আর এখন চাইলে অই ডর থিকা বাইর হইতে পারি আমরা।

তো, রাষ্ট্রিয়-ভাবে বিপদে পড়ার আগে সামাজিক-ভাবেই উনারা (ফ্রেন্ড ও ফ্যামিলি’রা) ‘তাজ্য’ কইরা দেয়ার জন্য রাজি ছিলেন, এবং এখনো আছেন; যতটা না উচিত-কথা বলার জন্য তার চাইতে বেশি হইতেছে পাওয়ারফুল লোকজনের নামে কথা বলার জন্য

আগে উনারা ডর দেখায়া চুপ করায়া রাখতে চাইতেন, এখন আমার ধারনা প্রেম-ভালোবাসা-বন্ধুত্ব দিয়া চুপ করায়া রাখতে চাইবেন, যে “এক সময় তো তোমার শ্রদ্ধার পাত্র ছিল” “মানুশ হিসাবে তো খারাপ না” “বাদ দাও, কি হবে কথা বইলা…”

কিনতু কথা-বলার যেই শক্তি সেইটাই হইতেছে ডেমোক্রেসি শক্তি; যে বাকশালি-শাসনের এসেন্সটা কয়েকটা জায়গায় –

১. বাকশালিদের চিন্তায় রেললাইনে একটাই গাড়ি চলবে (পড়েন, একটাই নেরেটিভ থাকবে, একটাই পলিটিকাল দল থাকবে), অন্য কোন কিছু থাকতে পারবে না

২. প্রতিশোধ নিতে হবে, খুন কইরা ফেলা হবে, বিচার করা যাবে না

৩. পাওয়ার’রে প্রশ্ন করা যাবে না

আর এই জায়গাগুলা-ই ডেমোক্রেটিক-শাসন নিয়া আসার ভিতর দিয়া সরাইতে পারতে হবে আমাদেরকে।

দুই.
বি অ্যাওয়ার অফ বাংলাদেশি নিউজ মিডিয়া

বাংলাদেশে ডেমোক্রেসির এক নাম্বার দুশমন এখনো নিউজ-মিডিয়ার আউটলেটগুলা; এতোদিন ধইরা তাদের কাজ ছিল দুইটা –

১. গর্ভমেন্টের পাওয়ারফুল লোকজনরে তেল-মারা, তাদের পীর-ফকির বানায়া ফেলা, মিডিয়া-হিরো বানায়া পূজা করা

২. পিপল’রে ডর দেখানো, একটা কনট্রোলের মধ্যে রাখা, খালি নিজেরাই না মানুশরেও একটা সেলফ-সেন্সরশিপের মধ্যে আটকায়া রাখা

তো, এখনো অই জায়গাতেই আছে ওরা, বরং আরো বেশি কইরা অই কাজগুলা করতেছে। এক তো হইতেছে, পলিটিকাল বেনিফিট নেয়ার জন্য, নিজেদেরকে বাঁচানোর জন্য; সেকেন্ড হইতেছে, এর বাইরে তেমন কিছু করার এফিশিয়েন্সিও নাই তাদের; গত ১৫-২০ বছর সরকারের ও মালিকের লাঠিয়াল হিসাবে কাজ করাটারেই তারা ভাবছে – সাংবাদিকতা! এর থিকা বাইর হওয়ার কোন সাইন এখনো ভিজিবল না।

তারা জানে, তেল-মারা নাইলে বিরোধিতা করা, কিনতু সাংবাদিকতার যে একটা জায়গা আছে, সেইটার কোন চিহ্নই নাই! এইটা না থাকাটা ডেমোক্রেসির জন্য সবচে ডেনজারাস একটা ঘটনা।

তিন.

ইনটেরিম গভর্মেন্টের মেয়াদ ও ইলেকশনের ডেইট নিয়া

ইনটেরিম গর্ভমেন্ট মাত্র ক্ষমতা নিছে, আমাদের এক্সপেক্ট করাটা ঠিক হবে না যে, ক্ষমতা নেয়ার আগেই উনারা জাইনা যাবেন যে, কি কি করতে হবে, কেমনে করতে হবে, কতোদিন লাগবে; কিনতু সেইটা বুঝতে উনাদের ইনডেফিনিট সময়ও লাগবে না; এক মাসের সময় দরকার হইতে পারে আমার ধারনা

এক মাসের মধ্যে উনারা জানাবেন কি কি কাজ করবেন, কোন কাজ কয়দিনের মধ্যে শেষ করবেন, কাজের একটা ফ্রেমওয়ার্ক দিবেন মাস খানেকের মধ্যে, সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে এর ক্লিয়ার-কাট ঘোষনা আসতে হবে; এর বেশি দেরি হওয়াটা ঠিক হবে না

২.
অনেকে বলতেছেন, ইনটেরিম গভর্মেন্টের ২-৩ বছর থাকতে হবে, অনেক কাজ বাকি, এই-সেই; আমি বলবো এরা বেকুব না, পলিটিকাল বাটপার! এদের কাজ থিকা সবারই সাবধান থাকা দরকার! যা কাজ আছে ২০-৩০ বছরেও শেষ হবে না; ডেমোক্রেসি একটা প্রসেস, একটা জার্নি, কোন এন্ড-গেইম না… এইটা উনারা জানেন না – তা না, বরং একটা নন-ইলেকটেড গভর্মেন্ট থাকলে অনেকেরই আন-ডিউ বেনিফিট নিতে সুবিধা…

ইনটেরিম গভর্মেন্ট যদি তাদের সব কাজ শেষ না-ও করতে পারেন, তাদের কোনভাবেই ৬ মাসের বেশি সময় নেয়া উচিত হবে না; যত ভালো-ই গভর্মেন্ট চালান উনারা, দেশে ভোটের সরকার, পিপলস মেন্ডটের গভর্মেন্ট থাকতে হবে

তো, ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ এর পরে কোন ইলেকশনের ডেইট দেয়া হইলে, কোন চিন্তা-ভাবনা করা হইলে সেইটা কোন ভালো-জিনিস হবে না, ডেমোক্রেসি সাফার-ই করবে তখন

৩.
তো, আমার দাবি ২টা –
১. সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে ইনটেরিম গভর্মেন্টের মেয়াদ কতদিন হবে – সেইটা জানাইতে হবে

২. ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ এর মধ্যে ইলেকশন দিয়া ভোটের সরকারের কাছে ক্ষমতা দিতে হবে

এর মাঝখানে আরো অনেক কাজ তো আছেই; কিনতু সব কাজেরই একটা টাইম-লাইন থাকতে হবে; এইটা মাস্ট একটা ঘটনা।

চাইর.

গনহত্যা এবং বাকশালের ক্রাইমগুলা নিয়া কোন আলাপ নাই কেন? 🙂

অনেকেই হয়তো এই ড্রিমের ভিতরে আছেন যে, যেহেতু পলিটিকাল পাওয়ারে নাই বাকশালি’রা সব ফেরেশতা হয়া যাবে, ‘সবকিছু ভুলে গিয়া কাঁধে কাঁধ মিলায়া দেশ গঠনে’ নাইমা যাবে 🙂 না, এইটা হবে না; বরং আরো অনেক সাবোটাজ হবে, ইন ফ্যাক্ট আমার ধারনা, বাকশালি’রা জাস্ট রি-গ্রুপড হইতেছে

বাকশালি ‘ডামি জনগন’ হিসাবে যেই শিকখিত মিডল-ক্লাস লোকজনেরা, বিএনপি’রে চান না – এইটা বলতে পারতেছেন, তারা বাকশালিদের ক্রাইমগুলার কথা কেউ মুখে আনতে পারতেছেন না কেন? কি মনেহয় আপনার? ডর-ভয় তো নাই এখন, তারপরও অইগুলা কোন কথা নাই কেন?

বলা’টা কঠিন, কিনতু কোন ডর-ভয়ের কারনে না, কারন এদের বেশিরভাগই আমাদের ফ্রেন্ড, ফ্যামিলি, পরিচিত মানুশ-জন; ডাইরেক্ট বেনিফিশিয়ারি না হইলেও সোশালি কানেক্টেট, এবং এদের সাথে আমরা সম্পর্ক খারাপ করতে চাই না 😛 কিনতু দেখেন, এই যে খারাপ সিসটেম’টা ছিল, কোন ব্যক্তি ছাড়া তো এইটা এতোদিন চলে নাই!

যারা চালাইছে তাদের প্রতি রিভেঞ্জ নেয়ার কিছু নাই, কিনতু তাদেরকে ‘মাফ কইরা দেয়াটা’ সবসময় আমার-আপনার এখতিয়ারের ঘটনা না; অই ক্রাইমগুলার যদি বিচার না হয়, সমাজে অই বাকশালি-শাসনের অবস্থাটা আরো বাজে-ভাবে ফিরা আসবে তখন

বাকশালিরা থামবে না, থামার কোন কারনও নাই; যতদিন দুনিয়া আছে ততদিন শয়তান যেমন থাকবে, যতদিন বাংলাদেশ আছে বাকশালি ফেসিস্ট আইডিওজির লোকজনও থাকবে, পিপলস ভয়েস রেইজ করার ভিতর দিয়া তাদেরকে থামাইতে হবে, আমাদেরকে…

কিনতু অই পিপল ভয়েসটা তৈরি হইতেছে না, এমনকি তৈরি হইতে দেয়া হইতেছে না বইলাই আমার ধারনা

যেই লোকজনরে দিয়া বাকশালি-মিডিয়ার কাজ-কারবার চালানো হইছে, যেই কালচারাল এনেবলার’রা গনহত্যার সম্মতি উৎপাদন কইরা গেছে তারা কখনোই এই প্রশ্নগুলারে সামনে আসতে দিবে না, দেয়ার কোন কারন নাই, বিম্পি চাই না টাইপের বদলামি ও বাটপারি করাতেই তাদের মনোযোগ আটকায়া থাকবে, থাকার কথা…

Series Navigation<< পলিটিকাল ডাইরি – ২০২৪ (দুই)
The following two tabs change content below.
Avatar photo
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
Avatar photo

Latest posts by ইমরুল হাসান (see all)

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →