Main menu

বাংলাদেশে এন্টি-ইনডিয়ান পলিটিক্স Featured

This entry is part 2 of 2 in the series রকম শাহের নছিহত

জেনারেল অর্থে বাংলাদেশে ‘এন্টি-ইনডিয়ান’ পলিটিক্স একটা পুচকে রিয়েকশনারি পলিটিকেল ইশকুল হবার কথা ছিলো, অথচ দেশে এইটা বেশ পপুলার বইলা মালুম হয়! এতোই পপুলার জে, হাসিনা পালাবার পরে দেশের শকল পলিটিকেল পক্ষকেই এন্টি-ইনডিয়ান হিশাবে অন্তত পাবলিক পজিশন লইতে হইতেছে। কোন একটা পলিটিকেল ইশকুলের ছোট বা বড়ো হবার একটা খুব না বোঝা গুরুত্ত আছে, শেইটা হইলো, ক্যাটেগরি ঠিক করার মামলা। i

কিন্তু এতো বড়ো একটা পলিটিকেল ডিছকোর্ছের ব্যাপারে দেশে থিয়োরেটিকেল বোঝাপড়া অতি গরহাজির লাগে আমার!

অথচ, আমাদের কিলিয়ার-কাট বোঝা দরকার, ‘এন্টি-ইনডিয়ান’ বলতে কি বুঝবো আমরা এবং এইটার আদৌ কোন হিস্ট্রিকেল জরুরত আছে কিনা–ছেরেফ রিয়েকশনারি বাকোয়াজির (রেটোরিক) বাইরে এবং এইটার আখেরি মনজিলই বা কি?

শুরুতেই আমাদের বোঝা দরকার জে, বাংলাদেশে‘এন্টি-ইনডিয়ান’ পলিটিক্স জতো না ইনডিয়ার বিপক্ষে, তারচে বেশি দেশের ভিতরেই মস্ত একটা ইতিহাশ-পলিটিকেল ভাবনা/ইশকুল/ইডিওলজির বিপক্ষে! শেই কারনেই এইটা ছেরেফ রিয়েকশনারি পুচকে গুরুপের মামলা হইয়া থাকতে পারে নাই, দেশের বেশিরভাগ নাগরিক এই পলিটিক্সে শরিক আছেন এবং তাই হাসিনা পালাবার পরে শকল পলিটিকেল পক্ষেরই এন্টি-ইনডিয়ান একটা ঢঙ দরকার হইতেছে।

আমার পয়েন্টটা আরেকটু দুর থিকা বুঝাবার টেরাই করি; ধরেন, মেক্সিকো হয়তো আমেরিকারে পছন্দ করে না, কিন্তু ঐখানে এন্টি-আমেরিকান পলিটিক্স ততো দরকার হয় না; কেননা, মেক্সিকোর ভিতর আমেরিকায় জাইতে চাওয়া লোক আছে বেশুমার, কিন্তু ইতিহাশ-পলিটিকেল ইডিওলজিতে আমেরিকার তাবেদারি করার ব্যাপারটা মেক্সিকোর ভিতরে ততো নাই। ওদিকে, মেক্সিকো-আমেরিকা জুদ্ধও হইছে, টেক্সাছ-ক্যালিফোর্নিয়া দখল করছে আমেরিকা, কিন্তু আমেরিকায় একটিভ এমন ইতিহাশ-পলিটিকেল ইশকুল নাই জেইটাতে এখনকার মেক্সিকোরে আমেরিকারই একটা খন্ড হিশাবে ভাবা হইতেছে।

এখন ইনডিয়া আর বাংলাদেশের দিকে নজর দিলে আমরা দেখবো, মেক্সিকো-আমেরিকায় না থাকা ঐ দুইটা ব্যাপারই এইখানে খুবই একটিভ! আবার, পাকিস্তানে এন্টি-ইনডিয়ান মন তুমুলভাবে বহাল থাকলেও তাদের পলিটিক্সে ঐটার ততো গুরুত্ত নাই; কেননা, পাকিস্তানের ভিতরে ইতিহাশ-পলিটিকেল ইশকুল হিশাবে ইনডিয়া-পিরিতি নাই, জদিও বাংলাদেশকে ইনডিয়া জেমন নিজের অংশ হিশাবে দ্যাখে, পাকিস্তানরেও ঠিক তেমনি দ্যাখে!

বাংলাদেশে তাইলে এন্টি-ইনডিয়ান পলিটিক্স কি, কেমনে আছে, কতোটা, বাংলাদেশের পলিটিক্সে ঐ ব্যাপারে মাথা ঘামাইতে হইতেছে কেন, শেইটা বোঝা দরকার আমাদের এবং এইটার অভাবের কথাই শুরুতে কইতেছিলাম।

আলাপের এই পয়েন্টে হাজির হইয়া খেয়াল করতে কইবো, ‘বাংগালি নেশনালিজম’ নামের ঘটনাটা। দেখেন, আজকের ইনডিয়া তার ভিতরের কয়েকটা নেশনালিস্ট মুভমেন্ট লইয়া বেশ চিন্তিত–তামিল/ছাউথ/দেরাবিড়, খালিস্তান, নাগা ইত্তাদি; ইনডিয়ান ইউনিয়ন আস্ত থাকে কিনা, শামাল দিতে খুব হয়রান দিল্লি। কিন্তু এইদিকে বাংগালি নেশনালিজমের হাতে আস্ত একটা দেশ থাকলেও ওয়েস্ট বেংগল লইয়া ইনডিয়া মোটেই চিন্তিত না! বরং উল্টা, বাংলাদেশে বাংগালি নেশনালিজমের লগেই ইনডিয়ার জতো খাতির, বাংলাদেশের জনতার দাবড়ানিতে পালাইয়া বাংগালি নেশনালিজম এখন ইনডিয়াতেই শেলটার পাইছে। অথচ এই বাংগালি নেশনালিজমের হবার কথা ছিলো, দেরাবিড় বা খালিস্তান নেশনালিজমের মতোই–ইনডিয়ার জন্ন থেরেট, ওয়েস্ট বেংগল ইনডিয়ান ইউনিয়ন থিকা বাইরায়া বাংলাদেশে ঢুইকা পড়ে কিনা–এই ব্যাপারে চিন্তিত থাকার কথা ইনডিয়ার!

তাইলে, ঘটনাটা কি, কেন এমন, বাংগালি নেশনালিজম কেন বা কিভাবে লাইক করে ইনডিয়া, কোন থেরেট মালুম হয় না কেন দিল্লির?

এই ব্যাপারটা বুঝতে আমাদের জাইতে হবে আরেকটু পিছে, ইংরাজের কলোনিয়াল হুকুমতে, একটু ওরিয়েন্টারিজম নাড়াচাড়া করতে হবে, কলোনিয়াল কলিকাতায় নজর দিতে হবে একটু, এবং তারপর ১৮৮৫ শালে কংগেরেছ পয়দা হবার পরের পলিটিক্সে নজর দিতে হবে।

১৯০০ শালের পরে তো বটেই, তারো আগে, ১৮৫৭ শালের মহাহুলের পর থিকা ‘বিটিশ ইনডিয়া’ পাইবেন হামেশাই, মনে হবে, জেন বা এইটাই নর্মাল, আগেও এমন নামেই ডাকাডাকি হইতো। আশলে তা না; ইংরাজের ডকুমেন্টেও আগে ‘হিন্দুস্তান’ লেখা হইতো, মোগল জামানায় এই নামটা পার্মানেন্ট হয় এবং শেইটাই চলতেছিলো। কিন্তু ১৮৫৭ শালে মোগল বাদশাহি খতম হইয়া হিন্দুস্তান বিটিশ বাদশাহির অংশ হয় এবং তখন হিন্দুস্তানের বদলে ‘বিটিশ ইনডিয়া’ ফর্মাল হইয়া উঠতে থাকে আস্তে আস্তে। কিন্তু তারো আগে ওরিয়েন্টালিস্টরা হিন্দুস্তানের বদলে ‘ইনডিয়া’ নামে ডাকতে শুরু করে।

এই বদলের জটিল অর্থ আছে: হিন্দুস্তান শব্দটার ভিতর ফার্ছি আছে, এমনকি শব্দটাই ফার্ছি, কিন্তু অর্থে খুবই লোকাল আবার, এইটার ভিতর ‘হিন্দু’ থাকার কারনে এবং এইটার ভিতর ধর্মের কায়কারবার তেমন নাই; আবার অটোমেটিক হিশাবে আছেও, মানে হিন্দু ধর্মভাব জেমন আছে, তেমনি আছে ফার্ছির বইয়া আনা ইছলাম; এইখানে দেশি-বিদেশি ভাগ নাই, কলোনাইজার আর কলোনাইজড নাই, মোগল ছিভিল-মিলিটারি বুরোক্রেছিতে এমনকি হিন্দুরা বেশিও আছিলো, খুব পাওয়ারফুল পজিশনেই, দিল্লি শেই মোগল আমল থিকাই হিন্দু মেজরিটির শহর, মোগলদের বিপক্ষে বহু মোছলমানও জুদ্ধ করছে, ধর্ম এইখানে পলিটিকেল দোস্ত-দুশমনিতে তেমন আছর ফেলতে পারে নাই। বরং মোছলমানদের ভিতরেই শিয়া-ছুন্নি ফ্যাছাদ আছিলো, শেই ফ্যাছাদেই আওরঙ্গজেব তার দরবারে শিয়াদের ছাইজ করতে হিন্দু এলিটদের ঢুকাইছিলেন বেশি বেশি, ব্যাপারটা কোনভাবেই হিন্দু-মোছলমানের ক্যাচাল আছিলো না।

কিন্তু ওরিয়েন্টালিস্টদের ‘ইনডিয়া’ নামের আইডিয়া ডাইরেক শেই বেদ-পুরানের মামলা, একটা এরিয়ান ছিভিলাইজেশন, তাই ইনডিয়া মানে ভারত, মহাভারতের ভরতের বাদশাহি; শেই পুরানেও ঐটা আজকের ইনডিয়ার মহারাশ্টের ভিতরের একটা টেরিটরি হইলেও ওরিয়েন্টালিস্ট জেই ইনডিয়া/ভারত বানাইয়া তোলে তাতে হিন্দুকুশ পাহাড়ের পুবে আর হিমালয়ের দখিনের পুরা জমিনই ভরতের টেরিটরি। ফলে এই পুরা জমিন হিন্দুদের ‘নেচারাল হেবিট্যাট’। ঐ আইডিয়া ভরতের ঐ টেরিটরিতে বারবার হামলা হইছে, শেই বাদশা ছেকান্দার থিকা মুহাম্মদ বিন কাশিম; খেয়াল করার ব্যাপার হইলো, শেই ছেকান্দার বা হালের ইংরাজ–এনারা এরিয়ান–ফলে হিন্দুদের রেশিয়াল কাজিন, কিন্তু আরবরা ছেমিটিক; তার উপর, বাদশা ছেকান্দার কোন ধর্ম রাইখা জায় নাই এইখানে, কিন্তু আরবরা ইছলাম লইয়া আশছে এবং ছড়াইছে হিন্দুর নেচারাল হেবিট্যাটে! তাই আরবরা বিদেশি, ইছলাম বিদেশি, ইনভেডার।

তার মানে, হিন্দুস্তান নামের ভিতর জেইটার অভাব আছিলো, শেই দুশমন পাওয়া এবং চেনা গেলো ইনডিয়া/ভারত নাম/আইডিয়ার ভিতর।

১৯ শতের দুছরা আধায় জেই ‘ইনডিয়ান নেশনালিজম’ গজাইতে দেখি আমরা, তার গোড়া ঐ ওরিয়েন্টালিজমে, শেই কারনেই ঐটা ‘ইনডিয়ান নেশনালিজম’, ‘হিন্দুস্তানি নেশনালিজম’ হইতে পারে নাই। এবং ওরিয়েন্টালিজমে ভর করতে জাইয়া ইনডিয়ান নেশনালিজমের একটা বেইমানি করতে হয়–১৮৫৭ শালের ছিপাই হুলের লগে বেইমানি, ঐ বেইমানি না করলে হিন্দুস্তান ছাইড়া ইনডিয়ান হওয়া জায় না। ১৯৪৭ শালে তাই কংগেরেছের গান্ধি-নেহরুর বানানো রাশ্টের নাম ইনডিয়া এবং ভারত, হিন্দুস্তান হইতে পারে নাই।

ওরিয়েন্টালিজমে ঐটার গোড়া হবার কারনেই নেহরু-কংগেরেছের ইউনাইটেড ইনডিয়া দরকার হইছিলো অতো, শেই কারনেই জিন্নার কনফেডারেট ইনডিয়া বানাবার পোস্তাবে না কইরা দিছে নেহরু, বা বাংলাদেশ নামে আলাদ একটা দেশের আইডিয়া জিন্না মানলেও কংগেরেছ-নেহরু মানে নাই, এবং ছিকিম বা হায়দ্রাবাদ দখল করতে হইছে নেহরুর কংগেনেছের। ইনডিয়া একটা ‘কান্ট্রি ইন মেকিং’, ১৯৪৭ তার মর্ডান এস্টার্টিং পয়েন্ট মাত্র।

আজকের ইনডিয়ায় কংগেরেছ আর আরএছএছ-বিজেপি খুব আলাদা লাগতে পারে অনেকের, কিন্তু বিজেপি আদতে কংগেরেছেরই ইভলভড বাছুর, কেননা, শেই ওরিয়েন্টালিজমের বানানো ইনডিয়া দুইটারই খোয়াবের শরিকির নাম। শেই কারনেই গান্ধি জেমন গরুর হেফাজতি হইছেন, তেমনি ইন্দিরাও ‘বাছুর-গাই মা’ দিয়া তার ইলেকশনের পোস্টার বানাইছেন।

হিন্দুস্তান ভাগ হইয়া ইনডিয়া হবার এই প্যাচালের জরুরত আছে কলোনিয়াল কলিকাতায় বাংগালি নেশনালিজম পয়দা হবার ঘটনাটা বুঝতে। কেননা, ঐ বাংগালি নেশনালিজমের গোড়াটাও শেই ওরিয়েন্টালিজমেই, শেই কারনেই এইটা খালিস্তান বা দেরাবিড় বা নাগা নেশনালিজমের বরাবর ঘটনা না মোটেই ii এবং ঐ কারনেই বাংগালি নেশনালিজম লইয়া চিন্তিত হবার কোন কারন নাই দিল্লি/ইনডিয়ার।

কলোনিয়াল কলিকাতায় বাংগালি নেশনালিজম পয়দা করার শবচে বড়ো কারিগরের নাম বঙ্কিমের বঙ্গদর্শন। ‘বঙ্গ’ শব্দে আমাদের একটু নজর দেওয়া দরকার; বঙ্গ মানে কিন্তু বাংলা না এবং কলোনিয়াল কলিকাতায় ভাশা অর্থেই কেবল ‘বাংলা’ শব্দটা আছিলো, জমিন/টেরিটরি অর্থে ততো পাইবেন না, এই অর্থে পাইবেন কেবল ‘বঙ্গ’। এইটা অতি গভির ছাইকো-পলিটিকেল ঘটনা; ‘বাংলা’ শব্দটা, জমিন/টেরিটরি’ অর্থে ‘হিন্দুস্তান’ শব্দের মতো, ফার্ছি ভাব আছে আধেক, ফলে মোছলমানি ভাবতেন ওনারা; তা বাদেও বাংলা খুবই অল্প দিনের ঘটনা, আদি এরিয়ান কানেকশন পাওয়া মুশকিল; ইরানি মানুশ এরিয়ান হইলেও তারা পুরানা/হিন্দু/বেদের এরিয়ানদের কাছে ইনভেডার, তার উপর ছেমিটিক মোছলমানির ঘেরান খুব। কলোনিয়াল কলিকাতার আতেল/বয়াতিরা শেই বেদের এরিয়ানদের ওয়ারিশ ভাবতেন নিজেদের এবং ‘বাংলা’ শব্দে লেখা আছে তাদের পরাজয়ের/শরমের ইতিহাশ!

বঙ্গ শব্দে তারা বেদ-পুরানের ভিতর ঢুইকা ৩০০০ বছরের ইতিহাশের দাবি করতে পারতেছেন, শংস্কৃতের ডাইরেক ওয়ারিশ দাবি করতে পারতেছেন, ফলে বঙ্গের ভাশা একটা এরিয়ান ভাশা, জেইটারে এক কথায় ‘বাংলা’ বলতে হইলো [বাঙ্গালাহ্ > বাঙ্গালা > বাংলা], ফলে বাংগালি একটা এরিয়ান জাতি, তার জাতিয়/নেশনাল ধর্ম ‘হিন্দু’; এবং বাংলা ভাশা জেমন শংস্কৃতের মাইয়া, তেমনি বাংগালি জাতি শেই বেদ-পুরানের আদি এরিয়ানদের একটা ডাল/শাখা; ফলে বাংগালি একটা জাতি, জেইটা ‘ইনডিয়ান’ নামের মহাজাতির ওয়ারিশ এবং বাংগালির মতো আরো আরো শাখা মিলা এখনো শেই মহাজাতি বহাল তবিয়ত। বাংগালি এবং ইনডিয়ান/ভারতিয়–কেমনে কেমনে কুটুম, তাদের এরিয়ান রিশতা এবং বাংগালি থাইকাও কেমনে ইনডিয়ান/ভারতিয় হওয়া জাইতেছে, দু’য়ের কোন ঝগড়া-ফেছাদ কেন নাই, এই ব্যাপারে বঙ্কিম বিস্তারে লিখছেন তার বঙ্গদর্শনে। ইনডিয়ান-এরিয়ান-ভারত লইয়া বঙ্কিমের খোয়াব পরে আগাইয়া নিয়া গেছেন রামকৃশ্নের মুরিদ বিবেকানন্দ, রঠা, অবনিন্দ্রনাথ আকছেন ভারতমাতা, আখেরে কংগেরেছ বানাইছে ‘ইনডিয়া/ভারত’।

ইতিহাশের এই লম্বা রাস্তা এবং তার টার্নগুলা হিশাবে লইয়া আমি তাই বলি জে, ইনডিয়া ভাগ হয় নাই, বরং হিন্দুস্তান কয়েকটা ভাগ হইছে, জার একটার নাম ইনডিয়া। ফলে বিটিশ ইনডিয়া মানে তাদের কাছে একটা ‘অখন্ড জমিন (ভারত)’; বঙ্গভঙ্গ ঠেকাবার মুভমেন্ট বোঝাবুঝিতে অনেকেই ইকোনমি বাদেও ‘অখন্ড ভারত’ নামের জেই ইতিহাশ-পলিটিকেল পোজেক্ট আছে, শেইটা মালুম করতে পারে না। আইডিয়া হিশাবে বঙ্গভঙ্গ মোছলমানদের পলিটিকেল হক মানার ভিতর দিয়া তাদের নেটিভ হিশাবে মাইনা নেওয়া হয়, তাদের বিদেশি ভাবা মুশকিল হইয়া ওঠে। ফলে জেই ভাবনা থিকা বঙ্গভঙ্গ ঠেকাইতে নামলো তারা, শেই ভাবনা থিকাই পাকিস্তানও ঠেকাইতে হয়। বঙ্গভঙ্গ বা পাকিস্তান মানে ‘অখন্ড ভারত’র হানি।

ঠিক ঐ কারনেই হিন্দুস্তানের মোছলমানদের ‘এন্টি-ইনডিয়ান’ হবার জরুরত পয়দা হয়। এই ‘এন্টি-ইনডিয়ান’ মানে এখনকার ইনডিয়া রাশ্টের পোরতি দুশমনি না ঠিক, বরং শেই ওরিয়েন্টালিস্ট ‘ইনডিয়া/অখন্ড ভারত’ নামের ইতিহাশ-পলিটিকেল পোজেক্টের পোরতি দুশমনি, আজকের ইনডিয়া জেই পোজেক্ট আগাইয়া নিতেছে এবং জেইটা আরো বেশি পাওয়ারফুল আজকের ইনডিয়ায়। হিন্দুস্তানের মোছলমানদের ‘এন্টি-ইনডিয়ান’ না হবার উপায় নাই, কেননা, তা না হইলে ৬০ কোটি মোছলমানের পলিটিকেল রাইট থাকে না, তার জেন বা ঘুরতে আশা বিদেশি মুছাফির মাত্র! ‘অখন্ড ভারত’ নামের ঐ ইতিহাশ-পলিটিকেল পোজেক্ট অমনে দ্যাখে বইলাই বাবরি মশজিদ ভাংতে হয় তার, তাজমহল হয় একটা শিব মন্দির, হিন্দুস্তানের শকল মশজিদ শেই ইনডিয়ান-এরিয়ানদের পরাজয় আর মোছলমানদের বেদখলের নিশানা, এগুলা এই জমিনে থাকার হক রাখে না আদৌ।

ওরিয়েন্টালিস্ট, রেছিস্ট (এরিয়ান-দেমাগি), জেনোফোবিক, বেদ-পুরানকে ইতিহাশ ঠাওরানো ‘অখন্ড ভারত’ নামের ইতিহাশ-পলিটিকেল পোজেক্টের খপ্পর থিকা নিজেদের বাচাতে হিন্দুস্তানের মোছলমানদের মরিয়া পলিটিক্সের নাম পাকিস্তান মুভমেন্ট। তখনকার ইতিহাশ ওরিয়েন্টালিস্ট ধোয়ায় অতো আবছা না থাকলে ঐটা হইতে পারতো ‘হিন্দুস্তান’ মুভমেন্ট, অন্তত জিন্নার খোয়াবের লগে হিন্দুস্তান বেশি মানানশই! কেননা, জিন্না কোন ইছলামি রাশ্টো বানাবার পায়তারা করেন নাই, বরং বিটিশ ইনডিয়ায় মাইনোরিটির পলিটিকেল হক আদায় করার লড়াই করছেন, ‘অখন্ড ভারত’র কবজা থিকা পেরায় ২৫% মানুশের মর্জাদা রক্ষার কোশেশ করছেন জিন্না। তার কথায় ব্যাপারটা এমন: ‘অখন্ড ভারতে’ মোছলমানরা কাস্ট ছিস্টেমের আন্ডারে চইলা জাবে।

বাংলার মোছলমানদের জন্ন পাকিস্তান মুভমেন্ট আরো বেশি দরকারি হইয়া উঠছিলো আরেকটা কারনে: বাংলার জমিদাররা পেরায় শবাই আছিলেন বামুন-আপার কাস্ট হিন্দু, বাংলার মোছলমানরা হিন্দু শুদ্র-কিশানদের তুলনায় ঐ জমিদারদের বাড়তি জুলুমের শিকার হইছিলো গরু খাইতে চাইয়া; জরিমানা থিকা চাবুক, পোপার্টি বাজেয়াপ্ত করার বেশুমার ঘটনা ঘটছে উনিশ শতের দুছরা আধায়! বিটিশ বাংলায় গরু জবাইয়ের রাজনিতির আখেরি ফলাফলের নাম ঢাকায় মুছলিম লিগ পয়দা হওয়া, এমনকি বঙ্গভঙ্গের পিছেও একটা কারন হিশাবে মোছলমানদের গরু খাইতে চাইবার ঘটনা আছিলো, তেমন ভাবার কারন আছে।

তাইলে পুবের বাংলার মোছলমানরা দুইটা কারনে পাকিস্তান মুভমেন্ট করছে–কাস্ট ছিস্টেমের আন্ডারে জাইতে নারাজ হওয়া (পলিটিকেল হক) এবং আরামে গরু খাওয়া (কালচারাল হক)।

বাংলার মোছলমান এবং হিন্দুস্তানের মোছলমানরা জিন্নার ভিতর দিয়া পাকিস্তান হাছিল করলো, তার কিছু দিন পরেই জিন্না মইরা গেলো। জিন্না মরার পরে পাকিস্তান আদতে ইছলামি রাশ্টো হইয়া ওঠার দিকে ঝুকতে থাকে! জিন্নার এজেন্ডা তেমন আছিলো না, এমনকি উনি জখন উর্দুকে রাশ্টের ভাশা হিশাবে এলান করলেন, শেইটাও আশলে মোগল হিন্দুস্তানের ওয়ারিশ হইতে চাওয়া, ঐটা বাংলা বা শিন্ধি বা বালুচ ভাশার বিপক্ষে কোন এলান না, বরং কলোনিয়াল ইংরাজির বদলে মোগল উর্দু দিয়া একটা নেশনাল ইউনিটির শম্ভাবনা পয়দা করতে চাওয়া! শেই কারনেই আগে কইছি জে, দেশটার নাম পাকিস্তান হবার বদলে হিন্দুস্তান হইলে জিন্নার শাচ্চা খোয়াবের লগে মানানশই হইতো!

হিন্দুস্তান না হইয়া পাকিস্তান হবার ভিতরেই রাশ্টের কমুনাল হইয়া ওঠার পলিটিকেল-দার্শনিক গোড়ার হদিছ পাওয়া জাবে খুব শম্ভব! শব্দটা পাকিস্তান হইলেও জোগেন মন্ডলরা ঐটার অর্থ করছেন শেই হিন্দুস্তান, কিন্তু বাস্তবে তা না হইয়া পাকিস্তান মানে একান্তই মোছলমানদের রাশ্টো হইয়া উঠতে থাকায় পাকিস্তানে রায়ট দেখতে হইলো আমাদের, জোগেন মন্ডলদের চইলা জাইতে হইলো দেশ ছাইড়া! আমাদের অনেকের খারাপ লাগলেও ইতিহাশের দায় মিটাইতে আমাদের মানতে হবে জে, ঐটা আছিলো পাকিস্তান রাশ্টের মস্ত গাদ্দারি!

পাকিস্তান রাশ্টের এই গাদ্দারির ভিতরেই পরের বাংলাদেশের ইতিহাশ-পলিটিকেল শর্ত/আটি পাওয়া জাবে।

হিন্দু বাংগালির লগে পাকিস্তান শেই ১৯৫০ শালেই গাদ্দারি করছে, মোছলমান বাংগালির লগে গাদ্দারির শুরুটা হইছে জুক্তফ্রন্ট শরকার ভাইংগা দেবার ঘটনায়। তার আগে উর্দুকে রাশ্টের ভাশা হিশাবে জিন্নার ইংরাজি এলানের কমুনিকেশনও খারাপ আছিলো, মোছলমান বাংগালির মনে পাকিস্তান রাশ্টের ইরাদা লইয়া শন্দেহ পয়দা হইছে শেই ঘটনায়, ১৯৫২ শালে জেইটা মস্ত মুছিবত হিশাবে হাজির হয়। তবু মোছলমান বাংগালির লগে গোজামিলের মিলমিশ ঘটতে পারতো হয়তো, কিন্তু ১৯৬৫ শালের জুদ্ধ মোছলমান বাংগালির কালেকটিভ ছাইকিতে শাচ্চা জখম পয়দা হয়, পাকিস্তান রাশ্টের গাদ্দারির ব্যাপারে মোছলমান বাংগালির শন্দেহ পাক্কা একিন হইয়া ওঠে!

পুবের পাকিস্তানের মোছলমান বাংগালি ১৯৬৫ শালে পুরা মালুম করতে পারে জে, পাকিস্তান রাশ্টো তাদের শাচ্চা মোছলমান ভাবে না এবং পাকিস্তান হাছিল করায় মোছলমান বাংগালি জান কোরবান করলেও তাদের ছিকিউরিটি লইয়া আদৌ ভাবে না পাকিস্তান রাশ্টো! মোছলমান বাংগালি মালুম করতে পারে জে, ১৯৬৫ শালের জুদ্ধে পুরা পুবের পাকিস্তান খুব আরামেই দখল করতে পারতো ইনডিয়া–কাস্ট ছিস্টেমের শাশনের বাইরে থাইকা আরামে গরু খাবার শেই পুরানা বাশনা থিকা পয়দা হওয়া পাকিস্তানে মোছলমান বাংগালির ভরশা পুরা গায়েব হইয়া জায় এক লহমায়!

১৯৬৬ শালে আওমি লিগের ৬ দফা পুবের পাকিস্তানের মোছলমান বাংগালির ভিতর পপুলার হইয়া ওঠার গোড়ায় আছে পাকিস্তান রাশ্টে মোছলমান বাংগালির ঐ ভরশা গায়েব হইয়া জাওয়া। আওমি লিগের ৬ দফা নতুন কোন ঘটনা না, ঐটা বিটিশ ইনডিয়ায় বহু জাতির কনফেডারেশন বানাইতে জিন্নার পোস্তাবের নকল মোটামুটি; জিন্না জেইটা বিটিশ ইনডিয়ায় চাইছিলেন, শেইটাই আওমি লিগ পাকিস্তানে চাইছে মাত্র! তবে, ৬ নাম্বার দফায় একটু বাড়তি নজর দিতে হবে আমাদের!
৬ নাম্বার দফাটা এমন: “আঞ্চলিক সেনাবাহিনী: অঙ্গরাজ্যগুলো আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও আত্মরক্ষার জন্য আলাদা প্যারা-মিলিটারি বা আধা-সামরিক বাহিনী গঠন ও পরিচালনা করতে পারবে।”

১৯৬৫ শালের জুদ্ধের পরে মোছলমান বাংগালির ভাবনা পাওয়া জাইতেছে ঐ ৬ নাম্বার দফায়, এমন জে, ইনডিয়ার খপ্পর থিকা নিজের ছিকিউরিটি নিজেরই দেখতে হবে মোছলমান বাংগালির!

বাংলাদেশের ইতিহাশ বোঝাবুঝিতে একটা বুনিয়াদি গলদ এইখানে: ইতিহাশে বাংলাদেশের জরুরত পয়দা হওয়া আদতে মোছলমান বাংগালির ছিকিউরিটি চিন্তার ফল, জেইটারে অনেকেই বাংগালি নেশনালিজমের কামিয়াবির একটা পলিটিকেল ইভেন্ট হিশাবে পোস্তাব করতেছে!

কলোনিয়াল কলিকাতায় পয়দা হওয়া বাংগালি নেশনালিজম মানে বে অব বেংগল হইয়া ইনডিয়ান ওশেনে পইড়া ইতিহাশ-পলিটিকেল অর্গাজম, বাংলাদেশ মানে কোনভাবেই শেইটা না। বাংগালি নেশনালিজমের একটা ভার্শন ঢাকাতেও বানাবার কোশেশ ইতিহাশে পাওয়া শম্ভব, তবে শেইখানে এই বাংগালির নেশনাল ধর্মের নাম ইছলাম–আবদুল ওদুদ থিকা আবুল মনসুর আহমেদে জেইটার নিশানা পাইতেছি আমরা; এমনকি আনিসুজ্জামানদের মুছলিম বাংলা লিটারেচারের আইডিয়ার ভিতরেও ঐটা আছে। শেখ মজিবর আছিলেন ঐ অর্থের, মোছলমান বাংগালির, ঢাকাই বাংগালি নেশনালিজমের খাদেম, জেইখানে হাসিনার জামানায় দখলদারি বজায় রাখতে বাংগালি নেশনালিজমের পুরা কলিকাতাই/ইনডিয়ান হইয়া উঠতে হইছে! এই হিশাবে শাহরিয়ার কবির-জাফর ইকবাল-নিঝুম মজুমদারদের তুলনায় খোদ শেখ মজিবরই কম কম আওমি লিগ!

বাংলাদেশে ‘এন্টি-ইনডিয়ান’ পলিটিক্সের জরুরত এইখানে। একদিকে আজকের ইনডিয়ায় ‘অখন্ড ভারত’ নামের ইতিহাশ-পলিটিকেল পোজেক্ট শবচে পাওয়ারফুল এখন (কাশ্মিরের অটোনমি কমাইয়া ইনডিয়ান ইউনিয়নের পুরা ভিতরে ঢুকানো শেইটারই নিশানা একটা।), আরেক দিকে বাংলাদেশের ভিতরে কলিকাতাই/ইনডিয়ান বাংগালি নেশনালিজমের বেশুমার এজেন্সি! মতি-মাহফুজ গং, ‘দেশভাগ’ লইয়া কান্দন, শাহাদুজ্জামান কিছিমের বামাচারিদের রঠা-পিরিতের লিটারারি কায়কারবার, কলিকাতাই বাংলা ভাশা–এইগুলা কলিকাতাই বাংগালি নেশনালিজম দিয়া ইনডিয়ান ওশেনে পইড়া ইতিহাশ-পলিটিকেল-এছথেটিক অর্গাজম পাইতে চাইতেছে।

বাংলাদেশে ‘এন্টি-ইনডিয়ান’ পলিটিক্স তাই হিন্দু, এমনকি হিন্দুত্ত বিরোধি ঘটনা না কোন, এমনকি ইনডিয়া নামের অলরেডি পয়দা হওয়া রাশ্টের বিরোধিও না! এইটার মানে আগামিতে হইয়া উঠতে চাওয়া ইনডিয়া, বেদ-পুরানকে ইতিহাশ ঠাওরানো অখন্ড ভারত/ইনডিয়া নামের ইম্পেরিয়ালিস্ট/রেছিস্ট ইতিহাশ-পলিটিকেল পোজেক্টের খপ্পর থিকা মোছলমান বাংগালির ছিকিউরিটির মামলা, জার বিপক্ষে কাম করতেছে বাংলাদেশের ভিতরেই বহু এজেন্সি। কেবল মোছলমান বাংগালি না, জোগেন মন্ডলরা জেই ভাবনা থিকা পাকিস্তান চাইছিলেন, শুদ্র/দলিত হিন্দুর ছিকিউরিটির মামলাও ঐটা! কেননা, এখনো ইনডিয়ায় দলিত হিন্দু পিটাইয়া মারে বামুনের রাস্তায় হাটার কারনে বা গরু খাবার দোশে!

বাংলাদেশে জতো দিন ঐ এজেন্সিগুলা পাওয়ারফুল থাকবে, দেশে ‘এন্টি-ইনডিয়ান’ পলিটিক্সের জরুরত থাকবে ততো দিন! এবং এই ‘এন্টি-ইনডিয়ান’ পলিটিক্স মোছলমান বাংগালি এবং দলিত/শুদ্র হিন্দুর ছিকিউরিটি/শার্থের দুরত্ত জতো কমাইয়া আনতে পারবে, ততো কামিয়াব হইতে পারবে। দলিত/শুদ্র মাইয়া হিন্দুর কথাও ভাবা জায়; আজকের ইনডিয়ায় পোস্ট কলোনিয়াল হইয়া ওঠার বাশনায় শহমরনে ঠেলা হয় মাইয়াদের (পদ্দাবত ছিনামা), মাইয়া বাচ্চা হইলে জিন্দা কবর দেবার ঘটনাও দেদার ঘটতেছে ইনডিয়ায়!

হিন্দু-মোছলমান, এই দুই বড়ো দল বাদেও বাংলাদেশে আরো বহু জাতি আছে; বাংলাদেশকে জদি শেই জিন্নার নজর দিয়া দেইখা একটা ‘বহুজাতির কনফেডারেশন’ ভাবা শম্ভব হয়, জেইখানে শকল জাতির অভিন্ন শার্থের নাম বাংলাদেশ, শেইটাই ‘এন্টি-ইনডিয়ান’ পলিটিক্সের আখেরি মনজিল। জে কোন জুলুম উতরাইয়া উঠতে চাওয়া একটা ইতিহাশ-পলিটিকেল পোজেক্ট হইয়া উঠতে না পারলে শাচ্চা কামিয়াবি ঘটবে না ঐ পলিটিক্সের। পাকিস্তান রাশ্টের মতো গাদ্দারি কইরা আমরা জেন তাশের রাশ্টো না বানাই!

আমরা পারবো। এলাহি ভরশা।

রকম শাহের নছিহত

৮ জুন ২০২৫

Series Navigation<< পলিটিকেল দিশা
The following two tabs change content below.
Avatar photo

রক মনু

কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
জীবিকার জন্য একটা চাকরি করি। তবে পড়তে ও লেখতে ভালবাসি। স্পেশালি পাঠক আমি। যা লেখার ফেসবুকেই লেখি। গদ্যই প্রিয়। কিন্তু কোন এক ফাঁকে গত বছর একটা কবিতার বই বের হইছে।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →