Main menu

তাগুদি শাশন Featured

ভাশা এবং অর্থের ইতিহাশ দিয়া ভাবলে মাফিল মানে জে কোন মশলিশই হইতে পারতো, একটা জমায়েতে জে কোন ব্যাপারে বয়ান করতেছেন কেউ, তারেই আমরা মাফিল কইতে পারতাম। কিন্তু বাংলাদেশে মাফিলের অর্থ এখন খাড়াইছে– ছেরেফ ইছলামি বয়ানের জমায়েত! শব্দের ভাব বা অর্থ বাংলায় এমনই ছোট হইয়া গেছে গজলের। গজল ব্যাপারটা জেই লিটারারি টেডিশন থিকা আশছে, তাতে গজল মানে বেক্তির একান্ত মনের ভাবের পোয়েটিক বিস্তার, একটু উদাশ, বিরহ-পিরিতের পেরায়ই, কখনো বা জিন্দেগির গভির মারেফতি আছান; কিন্তু বাংলায় এখন গজল মানে ছেরেফ ইছলামি গান।

কি আর করা, ভাশা তো এমনই; তো, ঐ মাফিলে আমার অতি পছন্দের একটা জিনিশ হইলো, বয়াতি/ওয়াজিন জখন কোন একটা ব্যাপারে তার বয়ান পেশ করার পরে হাজেরানে মশলিশকে জিগায়, ‘ঠিক কিনা? কথা কন না কেন!’। হাজেরানে মজলিশ চিল্লাইয়া ওঠে, ‘ঠিক ঠিক’!

চোখা নজরে একটু খেয়াল করলেই আমরা বুঝবো জে, ঐ ঘটনার ভিতর দিয়া আশলে কন্ঠভোটের একটা ইলেকশন হইয়া গেল, একটা জেনারেল ডেমোক্রেটিক পার্লামেন্টে জেমন হয়! এমন একটা ইলেকশনে জয়েন কইরা ঐ বয়াতি আশলে পেরায় ২৫০০ বছরের একটা বাহাছে নিজের পক্ষ বাইছা নিলেন। বাহাছটা এখনো চলতেছে এবং বাহাছটা এমন: এলেম বা টুরুথ বনাম পপুলার ভোটের পছিবল ঝগড়া-ফ্যাছাদ কেমনে ফয়ছালা করবো আমরা? ঐ মাফিলে বয়াতি শাহেব কি তাইলে পপুলার ভোটের পক্ষে চইলা গেলেন? হাজেরানে মজলিশ জদি ‘ভুল, ভুল’ কইয়া চিৎকার কইরা উঠতো, তাতে কি টুরুথ বা এলেম মিছা হইয়া জাইতো? এই মুশকিলে শবচে বেশি পড়বেন ধার্মিক লোকেরা; কেননা, তাদের কাছে টুরুথ/এলেম একটা খোদায়ি ব্যাপার, তাতে মানুশ ভোট দিলো কি দিলো না, শেইটা কোন ব্যাপার না; কেননা, খোদা মানুশ বা মানুশের ভোটের আগেই হইয়া থাকা টুরুথ, দুনিয়া ফানা হইয়া জাবে, কেবল খোদা এবং তার এলেম খোদ টাইমের শুরুর আগে থিকা টাইম খতম হবার পর তক শাচ/টুরু/শত্ত! তিনি হইয়া আছেন আগেই–আগেই মানে খোদ টাইম শুরু হবার আগে, বাকি শব তার হুকুমে/মারফতে হয়, থাকে বা নাই হইয়া জায়; কুন ফায়া কুন।

তাইলে ঐ বয়াতি কি করলেন, উনি কি এলেম/টুরুথ/খোদাকে রিলেটিভ বানাইয়া দিলেন?

আশলে না। বরং উনি নিজেরে মানুশ হিশাবে মাইনা নিলেন, এলেম বা টুরুথকে এমনই এক খোদায়ি ব্যাপার হিশাবে মাইনা নিলেন, জেইখানে মানুশের ১০০% পৌছাইতে পারার কথা না, তেমন দাবি করলে নিজেরে খোদার বরাবর বানাইয়া তোলা হয়, উনি শেই শেরেকি থিকা বাইচা রইলেন!

টুরুথ বা এলেম রিলেটিভ না, কিন্তু মানুশের জানার দৌড় রিলেটিভ, তাই মানুশ জারে টুরুথ/এলেম বইলা শাব্যস্ত করে, শেইটা রিলেটিভ হইয়া ওঠে; ফলে কোন একটা হিস্ট্রিকেল মোমেন্টে মানুশ কোন টুরুথ/এলেমকে মাইনা নিয়া কাজকাম করবে, শেইটাও রিলেটিভ। তাইলে কোন একটা শমাজ বা রাশ্টো কোন টুরুথ/এলেমকে টুরুথ/এলেম হিশাবে মাইনা নেবে, শেইটা কেমনে বাছাই করবে, উপায় কি?

কোনটাই জখন চুড়ান্ত/এবছলুট না, অন্তত দাবি করা জাইতেছে না, আমরা জানি না, কিন্তু একটারে বাইছা নিতে হবে, নাইলে আমাদের জিন্দেগি চলবে না–তখন আমাদের একটা পোছেছ, একটা মেথডোলজি লাগবে, বাইছা নেবার। এবং শেইখানে এলেমদারির পরিচয় হইতে পারে এইটা জে, জেইটারে বাইছা নিলে শবচে কম মানুশ নেগেটিভলি এফেক্টেড হবে, শেইটা বাইছা নিবো আমরা–শেইটাই তখন আমাদের কাজকামের পলিছি হবে। আবার জেইটারে বাইছা নিলাম, শেইটারে পলিছি মাইনা জখন কাজকাম শুরু করলাম, তখন দেখা জাইতে পারে জে, হিশাব ভুল ছিলো আমাদের, আশলে বেশিরভাগ মানুশ নেগেটিভলি এফেক্টেড হইতেছে! ভুলের এই শম্ভাবনার কারনেই, আমরা শবজান্তা খোদা না বইলাই, শেরেকি করবো না বইলাই, পলিছি জিনিশটা শর্টটাইম/মেয়াদি হওয়া দরকার!

তাইলে মানুশের এলেম লিমিটেড হবার কারনে এবছলুট পলিছি (শেরেকি) বানাবার বদলে একটা মেয়াদি পলিছি বানাবার পোছেছের নামই ইলেকশন; ইলেকশন–কেননা, ইলেকশনের ভিতর দিয়াই আমরা হিশাব করতে পারবো জে, কোন পলিছিতে শবচে কম মানুশ নেগেটিভলি এফেক্টেড হবার শম্ভাবনা! এই কারনেই ৫০%’র চাইতে কম ভোট পাইলেও শেই পলিছি ইলেকটেড হইতে পারে, কেননা, বাকি পলিছিগুলাতে আরো বেশি মানুশ নেগেটিভলি এফেক্টেড হবার শম্ভাবনা। ইলেকটেড লোকের ব্যাপারে পেরায়ই একটা অবজেকশন দেখি আমরা জে, বেশির ভাগ লোকই তারে চায় না, অথচ শে হইতেছে শাশক! হইতেছে, কারন, আর জারা আছে, তাদেরকে আরো বেশি মানুশ চায় না! তাই ইলেকটেড হওয়া মানে বেশিরভাগ লোকের চাওয়া না, বরং শবচে কম লোকের না চাওয়া!

ইলেকশনের জেই মর্ডান ফর্ম আমরা চিনি, শেইটা পলিটিকেল ভাবুকেরা পেরায়ই খুব পচ্চিমা মর্ডান ঘটনা হিশাবে দ্যাখে; ফলে মাফিলে একজন বয়াতি জখন একটা ইন্সট্যান্ট ইলেকশন করলেন, ওনারে কি ইছলামনাগর লোকেরা নিন্দা করবে, নাছারা-নাস্তিকদের চিন্তা চর্চা করতেছেন কি উনি?!

মর্ডান রাশ্টো-পলিটিক্সে ইছলামিজম নিয়া জারা কাজকাম করছেন/করতেছেন, তারা খুব শম্ভব বেশিরভাগ মর্ডান ইলেকশন এবং ডেমোক্রেছি পছন্দ করেন না, ‘তাগুদি শাশন’ বইলা একটা আইডিয়াও ইছলামি পলিটিকেল ভাবুকদের ভিতর বেশ পাওয়া জায় মনে হয়।

তাগুদ চেনার একদম বুনিয়াদি নিশানা হিশাবে ছভ্রেইটির পোশ্ন চইলা আশবে শুরুতেই। লিবারাল ডেমোক্রেছিতে রাশ্টের জনগনের ছভ্রেইনটিকে ওনারা দেখতেছেন, খোদার ছভ্রেইনটির পোরতি চ্যালেন্জ হিশাবে, তাই শেরেকি ঘটতেছে এইখানে। এই পোশ্নটা বিচার করা দরকার আমাদের।

ডেমোক্রেছিতে জনগনের ছভ্রেইনটির আইডিয়াকে খোদার ছভ্রেইনটির পোরতি চ্যালেন্জ হিশাবে ভাবতে হইলে ডেমোক্রেছিরে একটা টোটাল দর্শন, একটা ফিলোজফি, একটা ধর্ম, মানুশের জিন্দেগির দর্শন হিশাবে ভাবতে হয়; কিন্তু ডেমোক্রেছি হইলো ছেরেফ একটা মেথডোলজি, জিন্দেগির দুনিয়াবি ফ্যাছাদ ফয়ছালার একটা পোছেছ মাত্র, রাশ্টের নাগরিকদের বহু গুরুপের মাঝে শান্তিচুক্তিটা বহাল রাখার তরিকা, ফ্যাছাদ জাতে ছিভিল ওয়ার হইয়া উঠতে না পারে–ফয়ছালার তরিকা হিশাবে ছিভিল ওয়ারের বদলে শান্তিরে বাইছা নেওয়া।

দুনিয়ার পেরায় শকল রাশ্টো আস্তিকদের, এইগুলাতে নেশনাল ধর্মের একটা আইডিয়া আছে, তার লগেই তারা আবার ডেমোক্রেটিক; আমেরিকান ডলারে লেখা থাকে, ‘ইন গড উই টেরাস্ট’, ইউরোপ আমেরিকার দুয়েকটা বাদে শকল রাশ্টের নেশনাল ধর্মের নাম নাছারা, ইনডিয়ায় হিন্দু ধর্ম, বাংলাদেশে ইছলাম; তাতে এর কোনটারই ডেমোক্রেটিক হইতে বাধা নাই।

ডেমোক্রেটিক রাশ্টে জনগনের ছভ্রেইনটি হইলো রাশ্টে খমতা কিভাবে কাম করবে, কার উপরে কার এখতিয়ার থাকবে, শেই অর্ডার–চেইন অব কমান্ড। দুনিয়ায় খোদার ছভ্রেইনটির তাফছির পাবো কেমনে আমরা, খোদার ছভ্রেইনটির এপ্লাইড ফর্মের নাম জনগনের ছভ্রেইনটি; কোন এক দুইজন বেক্তি হাতে জদি খোদার ছভ্রেইনটির দুনিয়াবি তাফছির আর চর্চার এখতিয়ার চইলা জায়, তখনই বরং শে/তারা খোদারে রিপ্লেছ করতে চায়, তাগুদ হইয়া ওঠে, জেমন নমরুদ। শেই কারনেই দুয়েকজনের হাতে দেবার বদলে খোদার ছভ্রেইনটির দুনিয়াবি হাজিরার তরিকা হিশাবে জনগনের কালেকটিভ উইলের আইডিয়া পয়দা হইছে!

অনেক ছোট ছোট লেভেলে গেলে ব্যাপারটা আরেকটু কিলিয়ার হইতে পারে। ধরেন, আপনে একটা জমি বা খেজুর বাগানের মালিক–এই কথার অর্থ কি? রাছুল বা ছাহাবিরাও মালিক আছিলেন, হজরত ওছমান ধনিও আছিলেন বেশ। মালিকানার এই আইডিয়া একদমই দুনিয়াবি, বা খোদাই দুনিয়ায় তাদেরকে এই মালিকানা দিছে; আপনার ধনদৌলত, খোদারই ধনদৌলত, কেননা, শকলই খোদার; আপনার হাতে দুনিয়াবি এখতিয়ার ন্যস্ত হইছে, খোদার মালিকালার দুনিয়াবি হেফাজতের ডিউটি আর এখতিয়ার আপনার হাতে।

এই জে মালিকানা, মালিকানার হাতবদল, রাশ্টের আরো আরো আইন-কানুন, এই পুরা ছিস্টেমটাই খোদায়ি ফরমানের উপর খাড়াইয়া আছে আশলে! আমাদের মোরাল কোডের গোড়া ধর্ম, একটা ছুপিরিয়র পাওয়ার বাদে ইনছাফ এবং মোরালিটির ফাউন্ডেশন নাই এবং রাশ্টের আইন-কানুন অমন বহু আস্তিকতা আর মোরালিটির ভিতর একটা মেয়াদি শান্তিচুক্তি, একটা মুছাবিদা। এই কারনেই শমাজের ছোট ছো পাওয়ারের মোরাল খবরদারির বদলে রাশ্টের আইন এবং জাস্টিছ ছিস্টেমের আওতায় ফয়ছালা হওয়া দরকার। বহু ধর্মের মোরাল কোডের জেই শান্তিচুক্তি তা ঝুকিতে পইড়া জায়, জখন কোন একটা মোরাল কোড খবরদারি করে, শেইটা গায়ের জোর দেখানো, বুনিয়াদি শান্তিচুক্তির খেলাপ।

তো, জনগনের কালেকটিভ উইল অর্থে ডেমোক্রেছির জেই ছভ্রেইনটি, তা খোদার ছভ্রেইনটি রিপ্লেছ করে না, বরং খোদায়ি ছভ্রেইনটির দুনিয়াবি এপ্লিকেশনের তরিকা–রাশ্টের খমতার অর্গানোগ্রাম, তাতে খোদার হাকিকতের খেলাপ ঘটে না।

ইছলামি ভাবুকরা অনেকেই খুব শম্ভব জনগনের এই ছভ্রেইনটিরে দেখছেন খোদার ছভ্রেইনটির পোরতি চ্যালেন্জ হিশাবে, শেরেকি হিশাবে, ফলে এইটা একটা তাগুদি ঘটনা তাদের নজরে। এই ইছলামি ভাবুকদের ভিতর শবচে ইন্টারেস্টিং খুব শম্ভব হজরত মওদুদি। তারে এদিক–ওদিকের বহু ভাবুকই পছন্দ করে না, কিন্তু ওনার পলিটিকেল ডকট্রিন এখনো জিন্দা আছে, ইনডিয়া-পাকিস্তান-বাংলাদেশে ওনার চিন্তার লিগাছি/ছিলছিলার পলিটিক্স আছে, চলতেছে।

এক অর্থে হজরত মওদুদির কাম পোস্ট-কলোনিয়াল; এন্টি-কলোনিয়াল ভাবুকরা তারে পছন্দ করতে পারে না, ওদিকে কলোনিয়াল বাস্তবতারে পুরাপুরি মাইনা নেওয়া লোকেরাও তারে পছন্দ করে না। আমরা খেয়াল করলে বুঝবো জে, ১৯০৬ শালে জেই মুছলিম লিগ পয়দা হয়, তা মর্ডান ইউরোপিয়ান পলিটিকেল ছিস্টেমে মোছলমানদের ঢোকার মওকা বানায়; কিন্তু ঐটা মর্ডান পলিটিকেল এরেনায় মোছলমানদের কালচারাল হাজিরা মাত্র, ইছলামিজম না–কোন অল্টারনেটিভ পলিটিকেল ডকট্রিন পাইতেছি না আমরা মুছলিম লিগে; উল্টাদিকে, হজরত মওদুদি মর্ডান ইউরোপের উল্টাদিকে একটা পলিটিকেল ডকট্রিন হিশাবে ইছলামিজম হাজির করে। ফলাফল হইলো তাতে এমন: এন্টি-কলোনিয়াল ইছলামের লোকেরা ইছলামকে ইউরোপের চিন্তার লগে কম্প্যাটিবল কইরা তোলার দালালি করার নালিশ তোলে মওদুদির ব্যাপারে; উল্টাদিকে, মডার্নিটিরে ডিনাই করার নালিশ করতে থাকে কলোনিয়াল ভাবনার গাহেকেরা!

কিন্তু হজরত মওদুদির ‘থিয়ো-ডেমোক্রেছি’ আশলে কোনটাই না, ঐটা ইছলামের জমিন থিকা একটা পোস্ট-কলোনিয়াল পলিটিকেল ডকট্রিন; ঐ ছভ্রেইনটি পোশ্নের ফয়ছালা হাজির করতেছেন উনি, ‘থিয়ো-ডেমোক্রেছি’ নামের ভিতর দিয়াই। এবং আমার হিশাবে মওদুদির খোয়াবের রাশ্টের শবচে কাছের ছবিটা আমরা পাবো খোমেনির বানানো ইরানে!

তবে এইটা কইয়া রাখতে হয় জে, মওদুদির দেখানো রাস্তায় ইরানের রেভলুশন হয় নাই; হজরত মওদুদি একটা আইডিয়াল ডেমোক্রেটিক ছিচুয়েশনে ইলেকশনের ভিতর দিয়া খমতা দখলের পরামিশ দিছেন, শেই শম্ভাবনায় পলিটিক্স করছেন। এই হিশাবে মিশরে মুছলিম বেরাদারহুডের খমতায় জাবার ঘটনাটারেই বরং মওদুদির শবচে বড়ো পলিটিকেল কামিয়াবি ভাবা জাইতে পারে।

হজরত মওদুদির চিন্তার একটা তরজমা করি আমি এইভাবে: শুরুতেই কইয়া নিতে হয় জে, মওদুদি তার অল্টারনেটিভ পলিটিকেল ডকট্রিন বানাবার ইন্সপিরেশনটা পাইছেন খুব শম্ভব মার্ক্সে, আবার হালের মার্ক্সিজম জেমনে লিবারাল ডেমোক্রেছিতে জয়েন কইরা খমতা দখলের শম্ভাবনায় পলিটিক্স করতে রাজি হইতে পারতেছে, শেইটার পাইওনিয়ারও মনে হয় মওদুদি, অন্তত হজরত মওদুদির একটা আছর আছে বলেই আন্দাজ করি আমি!

তো, বহু ইছলামি ভাবুক, মওদুদি এবং মার্ক্স –এনাদের শকলের কাছেই মর্ডান লিবারাল ডেমোক্রেছি খুব শম্ভব ‘তাগুদি শাশন’। আজকের বহু মার্ক্সিস্ট এবং হজরত মওদুদির ডকট্রিন ঐ তাগুদি ছিস্টেমে জয়েন কইরাই ঐ তাগুদ উৎখাতের খোয়াব দ্যাখে!

তাইলে হজরত মওদুদি এবং হালের এই মার্ক্সিজম এমন একটা পলিটিকেল পোছেছে জয়েন করতেছে, খমতা দখলের খোয়াবে, বাস্তবে জেইটাতে তাদের দার্শনিক/মোরাল এজাজত নাই; মানে জেই পোছেছে তারা খমতা দখল করার খোয়াব দ্যাখে, দখলের পরে শেই পোছেছটা তারা বহাল নাও রাখতে পারে। এইটারে আমি একটা নামে ডাকি, ‘বাহানার পলিটিক্স’।

কিন্তু এই ব্যাপারটা মার্ক্সিজম ততো আলাপ করে না, পাবলিকের দরবারে খুব শম্ভব জানাবার দরকার দ্যাখে না তারা; তবে হজরত মওদুদি খুব শম্ভব এইটারে কইবেন হেকমত এবং এই বাহানার পলিটিক্সের মোরাল এজাজত দিতে জুক্তি হিশাবে পেশ করবেন–তাগুদের বিরুদ্ধে ফাইট করার কনটেক্সট।

এবং তাগুদের লগে ফাইটে কেন বাহানা লাগবে, কেন তাগুদের লগে ডাইরেক গায়ের জোরেই ফয়ছালা করা জাইতেছে না? কারন মর্ডান বাস্তবতা–ওয়ার টেকনোলজি, মর্ডান উইপনারি, খুন করায় মর্ডান রাশ্টের এফিশিয়েন্সি। বাস্তবতার এই মালুম মজবুত হইছে খুব শম্ভব ১৮৫৭ শালে, বিটিশ হিন্দুস্তানে ছিপাই রিভল্টের ফেইলুর ইউরোপের বাইরের শমাজ-কালচারের কালেকটিভ মনে খোদাই কইরা দিছে ঐ ভাবনা।

মানে হইলো, গায়ের জোরে পারা জাবে না; তবে রাশিয়া-চায়নার কথা কেউ টানতে পারেন এইখানে; আমরা খেয়াল করলে দেখবো, ঐ দুইটা ঘটনায় রাশ্টো তখনো টেকনোলজিতে দুর্বল, তার উপর দুইটা ওয়ার্ল্ড-ওয়ারের ডামাডোল ঘটনা দুইটার হিস্ট্রিকেল মওকা/ফুশরত পয়দা কইরা দিছে। তবে, গায়ের জোরে না পারার ব্যাপারে মওদুদির ভাবনায় অনেকে আবার থাকেন না, বা ঢোকেনই নাই; তাই কেউ কেউ হজরত মওদুদির চিন্তার রাস্তায় কদ্দুর হাইটা বাংলাদেশের ‘হিজবুত তাহরির’-এর মতো পলিটিকেল মেথডোলজি বানাইছেন।

তাইলে বাহানার পলিটিক্সের দুইটা কারন পাইলাম আমরা: ১. মর্ডান রাশ্টের এক্সট্রা-অর্ডিনারি তাকত ২. মর্ডান ডেমোক্রেছি একটা তাগুদি শাশন, এরে উৎখাত করতে হবে।

এইখানে ‘১’ নাম্বার নিয়া আলাপের তেমন কিছু নাই, ঐটা তো হাচা কথাই–খুনের এতো আয়োজন, নিজেরে এতো ছিকিউর দুরে রাইখা এতো নিখুত খুন তো ইতিহাশে আগের কোন জামানায় আছিলো না!

আমাদের আলোচনা ২ নাম্বার পয়েন্ট লইয়া–মর্ডান ডেমোক্রেছিরে কি তাগুদি শাশন কইবো আমরা, বা ইছলামি চিন্তার জমিন থিকা একটা অল্টারনেটিভ পলিটিকেল ডকট্রিন হাজির করতে মর্ডান ডেমোক্রেছিরে তাগুদি শাশন হিশাবে কি দেখতেই হয়? বা কতোগুলা মস্ত বিরোধ থাকলেও শেই মুশকিলগুলা কি ইছলামি (পিছফুল) তরিকায় আছান করা জায় না? মানে, আখেরি/আলটিমেট ছওয়াল হইলো, বাহানার পলিটিক্স কি এছেন্সিয়াল/মাস্ট?

ইতিহাশে শাশনের বহু তরিকা/চিন্তা/ডকট্রিনের তুলনা করলে আমরা দেখবো, মর্ডান ডেমোক্রেছি ইউরোপ বা শারা দুনিয়ার মনার্কি থিকা জতোটা দুরে, তার তুলনায় কেলাছিকেল ইছলামি শাশনের লগে দুরত্ত বেশ কম!

মদিনায় রাছুলের ইমামতিতে জেই রাশ্টো পয়দা হইলো, তারেই জদি পয়লা ইছলামি রাশ্টো হিশাবে মানি আমরা, তাইলে শুরুতেই খেয়াল করা শম্ভব জে, রাছুল মদিনা দখল করেন নাই, উনি আছিলেন ইনভাইটেড, মদিনার শাশক হইতে তারে দাওয়াত দেওয়া হইছে।

এই জে দাওয়াত এবং দাওয়াত কবুল করা, এইটা ইছলামের এবং রাছুলের একদম বুনিয়াদি ফর্মুলা। কোন একটা ব্যাপারে দাওয়াত দেওয়া, কেন শেইটা জরুরি, শেই ব্যাপারে ওয়াজ-নছিহত করা, মানুশের কবুলিয়ত পাওয়া বা ভোট দেওয়া বা বায়াত লইবার ছিস্টেমের ভিতর দিয়া তাইলে রাছুলের তরিকাই এস্তেমাল করা হইতেছে; এমনকি, নাগরিকদের ভিতর শামাজিক চুক্তির ভিতর দিয়া রাশ্টো বানানো এবং ফাউন্ডেশনাল ডকুমেন্ট বানানির জেই ভাবনা আমরা রুশোর ভিতর পাইতেছি, তাতে রাছুলের ইমামতিতে মদিনা চার্টার/চুক্তি/ইশতেহারের আছর থাকার শম্ভাবনা আছে। এমনকি মর্ডান ইলেকশনে কেন্ডিডেট হইতে জে আরেকজনের নাম পোস্তাব করার কানুন আছে, শেইটাও আমরা পাইতে পারি মদিনায় রাছুলকে দাওয়াত দেওয়া বা রাছুলের ওফাতের পরে আনছারদের মজলিশে হাজির হইয়া হজরত আবু বকর এবং হজরত ওমর জে একজন আরেকজনের নাম পোস্তাব করছিলেন, শেই ঘটনার ভিতর!

বেয়াদবি না নিলে এইখানে আরেকটা ব্যাপারে দুইটা কথা কইতে চাই: ‘শাতিমে রাছুল’দের ব্যাপারে একশন নিতে এখনকার মোছলমানদের ভিতর একটা আলোচনা আছে, কখনো বা শেইটা বেশ কড়া। আমরা খেয়াল করলে দেখবো, রাছুল জখন মদিনার কওম/রাশ্টের হেড, তখন শাতিমে রাছুল হওয়া মানে কওম/রাশ্টের বিরুদ্ধে কেরাইম; মদিনা তখন মক্কার লগে কন্টিনুয়াছ জুদ্ধের ভিতর আছে, ফলে মদিনার কওমের মেম্বারদের ডিমোরালাইজ করার মতো ঘটনা রাশ্টো আনপানিশড ছাইড়া দিতে পারে না। এখনকার মর্ডান রাশ্টেও ছেডিশন একটা মস্ত কেরাইম, তাতে কেপিটাল পানিশমেন্টও হয়। মানে হইলো, তখন শাতিমে রাছুলের ব্যাপারে একশন বলতে বুঝতে হয় ছেডিশনের মামলা, জেইটা এখন আর খাটে না। এবং এই জুক্তিতেই আমরা বুঝতে পারতেছি জে, কেন হিজরতের আগে মক্কায় শাতিমে রাছুলদের ব্যাপারে কোন একশন নেবার বদলে তাদের হেদায়েত চাইয়া দোয়া করতেছেন রাছুল।

তবে এইটাও জানাইয়া রাখা দরকার জে, এক আজহারি আলেমের বরাতে জানলাম জে, মক্কায় ফেরার পরে কিছু এক্সিকিউশনের ঘটনা আছে, হরেক কেরাইমে, তার ভিতর ‘শাতিমে রাছুল’ও আছে, আবার তওবা কইরা রাছুলের শানে কবিতা লেইখা মাফি পাইবার ঘটনাও আছে। মোটের উপর, ‘শাতিমে রাছুল’কে কতল করার জেই অবলিগেশনের আইডিয়া আছে, তার বিপক্ষের নজিরও কম নাই; ওদিকে, কোন একটা রাশ্টে দুইটাই কেরাইম হইতে পারে, তখন আইন হাতে তুইলা না লইয়া রাশ্টের কাছে নালিশ করাই বেশি এলেমদারির কাম হওয়া শম্ভব। আবার কেউ রাশ্টের আইন হাতে তুইলা লইলে রাশ্টের এখতিয়ারের উপর অটোমেটিক জেই হামলা ঘটে, তাতে রাশ্টের একশন না নিয়া উপায় থাকে না। আরেকটা দিকেও হয়তো নজর দেওয়া উচিত এইখানে: আপনার জদি মনেও হয় জে, একশন নেওয়া উচিত, আপনে কি নিজে একশন নেবেন, নাকি একশন নেবার দাওয়াত দেবেন ছেরেফ? মানে কতল করা আর কতলের তাবলিগ করা তো দুই জিনিশ, কতলের পক্ষে দলিল জদি বা দিতেও পারেন আপনে, কতলের পক্ষে দাওয়াত/তাবলিগের দলিল কি কি আছে!? অন্তত এমন একটা পয়েন্টে হয়তো একমত হইতে হবে আমাদের জে, শকলে তার তার ডিউটি পালন করবে; আপনার জদি মনে হয় জে, কতল করা উচিত এবং কতল করেন বা কতলের পক্ষে তাবলিগ কইরা আপনার ডিউটি পালন করেন, তাইলে এস্টেট/আইনও তার ডিউটি পালন করবে–কতল এবং কতলের পক্ষে তাবলিগ করাটারে এস্টেট/আইন পানিশেবল এক্ট হিশাবে ধইরা পানিশমেন্ট দেবে। তবে, মোটের উপর শমাজ-রাশ্টের শান্তির জে হানি ঘটলো তাতে, তারে একটা পজিটিভ বা ইছলামের মর্মের লগে মানানশই ঘটনা হিশাবে ভাবা মুশকিল হবার কথা!

ওকে, আমাদের আশল আলাপে ফিরি আবার; লিবারাল ডেমোক্রেছির লগে আরো মিলের ভিতর আমরা পাবো, কমন আইনের আইডিয়া, জেইখানে নাগরিকদের শমান ইজ্জত বরাদ্দ করা হইছে, জেইটা লিবারাল ডেমোক্রেছির কনভেনশনাল/কেতাবি রেফারেন্স পয়েন্ট, গিরিক-রোমান পলিটিকেল ছিস্টেমে পাইতেছি না আমরা।

কিন্তু এই মিল-অমিল বাইরের আশলে–টেকনিকেল বা মেথডলজিকেল, আমাদের ফয়ছালা করতে হবে মর্মের ব্যাপারে–ইলেকশন/ভোটের ভিতর দিয়া ডেমোক্রেছি কি মেজরিটারিয়ান তাগুদি শাশন কায়েম করে বা গায়ের জোরের তুলনায় খোদা/শাচ/এলেমকে কম ইজ্জত দিতেছে ডেমোক্রেছি? গিরিক-রোমান ডেমোক্রেছির বেলায়, জদ্দুর জানি, এই হুশিয়ারি দিছেনও কেউ কেউ।

এই ব্যাপারে শুরুতেই আমাদের খেয়াল করা দরকার জে, দুনিয়ার শকল জামানায় ভোটাভুটি পাওয়া জাইতেছে, কিন্তু ভোটার কারা হবে, কে কে ভোট দিতে পারবে, তফাত আছিলো শেই ব্যাপারে। এলেম বা শত্ত/টুরুথের ব্যাপারে ফাইনাল ডিছিশন নেবার এখতিয়ার মানুশের আছে, এই দাবির ভিতর একটা তাগুদি ব্যাপার আছে বইলাই হয়তো মোছলমান শাশকদের দরবারেও আলেম-ওলামাদের হরেক ফতোয়ার ভিতর কোনটা বাইছা নেওয়া হবে, শেই ব্যাপারেও আখেরে ঐ আলেম-ওলামাদের ভিতরেই ভোটাভুটি হইতো বলা জায়! এবং জেই ফতোয়া বেশি আলেম মাইনা নিতেছে, শেইটা পলিছি হিশাবে নেওয়া হইছে, জেইটা আবার পরে কখনো নয়া জামানার নয়া আলেম শমাজ নয়া ভোটাভুটির ভিতর দিয়া পাল্টাইতে পারতো। মানে এলেম বা শত্ত হিশাবে একেক টাইমে হয়তো একেকটা ধরা হইতেছে! কিন্তু আমাদের খেয়াল করা দরকার জে, তার কারন এই না জে, শত্ত/টুরুথ অনেকগুলা, বরং মানুশের জানাজানির লিমিটের কারনে, মানুশ নিজেরে খোদা বইলা দাবি কইরা তাগুদ হইয়া উঠবে না বইলা কোন একটা টাইমে/জামানায় কোন একটারে পছিবল টুরুথ/এলেম/শত্ত হিশাবে ধরা হইতেছে এবং পছিবল টুরুথ বইলাই জিনিশটা পার্মানেন্ট না, মেয়াদি–জতোটা ‘ঐটাই শাচ্চা এলেম’ বইলা ডিছিশন লওয়া বা দাবি করা তারচে বেশি খনিকের টুরুথ হিশাবে ইতিহাশের ঐ মোমেন্টে শাব্যস্ত করা, শত্তের মুছাবিদা এক রকমের।

তার মানে হইলো, ভোট আর শত্ত/টুরুথ/এলেম মুখামুখি খাড়াইতেছে না আদৌ, একে অপরকে নাকচ করার এজেন্ডা নাই এইখানে, এদের কোন ঝগড়া নাই, বরং শেরেকি তাগুদ না হবার বাশনাতেই ভোটাভুটি হইতেছে, বেশি মানুশ/আলেমের ভোট পাইয়া শাচ্চা এলেম চেনার/বাইছা নেবার শম্ভাবনা বাড়াবার ফিকির একটা।

এখন পোশ্ন হইতেছে, এই ভোটাভুটি/ইলেকশনে ভোটার হবার ব্যাপারটা জদি জেনারেল হয়, তাতে কি এলেমের ইজ্জত কমে? এইখানে আমাদের ভাবা দরকার, শাশনের বেলায়, কোন পলিছি বানাবার দরকারে ভোটাভুটির ভিতর দিয়া কোন একটা ভাবনারে খনিকের শাচ্চা এলেম হিশাবে শাব্যস্ত করা হইতেছে কেন, আদৌ তার দরকারই বা কেন?

কেননা, একটা মুশকিল (জে কোন কিছিমেরই হইতে পারে) হাজির হইছে ইতিহাশে এবং তার একটা ফয়ছালা করতে হবে এবং ছহি খোদায়ি ফয়ছালার উপায় জেহেতু নাই মানুশের, ফলে শেই ফতোয়াটারেই পছিবল শাচ্চা এলেম হিশাবে নেওয়া হইতেছে, জেইটাতে শবচে কম মানুশ নেগেটিভলি এফেক্টেড হয়। মানে শাচ্চা এলেম হবার শম্ভাবনা শবচে বেশি রাখার লগে লগে মানুশের পছিবল খতিও মিনিমাল রাখার মর্ম আছে একটা; তার লগে আরেকটা ব্যাপারও আছে আশলে–ইনছাফ বা জাস্টিছের কছমও কাফি পুরাইতে হবে।

আমরা তাইলে একটা ফতোয়া/এলেম/পলিছির ৩টা পারপাছ/মনজিল পাইতে পারি: ছহি হবার শম্ভাবনা বাড়ানো, ইনছাফ এবং শবচে কম খতির শম্ভাবনা। একটা ইলেকশনে তাইলে ৩ কিছিমের লোকে ঐ ৩টা টার্গেটে ভোট দেয়–আলেমরা দেয় লজিকেল মেরিট বিচারে, তার বাইরে আরো ভোট দিতেছে পছিবল ভিকটিমেরা এবং পছিবল বেনিফিশিয়ারিরা।

এখন খেয়াল করেন, ভোটার কারা হবেন, শেই ব্যাপারে জামানা ধইরা বদলগুলা বিচার করলে দেখবো, ঐটার লগে পলিটিকেল ফিলোজফির বদলের বাইরেও টেকনোলজির বদলের খুবই ঘন রিশতা আছে। মানে এই জামানায় জেই জেনারেল ইলেকশন পাই আমরা, জেই ইউনিভার্ছাল ছাফ্রেজ পাইতেছি, তা ২/৩০০ বছর আগেও ঠিক পছিবল আছিলো না, এই জামানার কমুনিকেশন টেকনোলজি ছাড়া ঐটা করা শম্ভব না। মানে হইলো, আগিলা জামানায় আলেমরা (বাস্তবে কেবল শেই আলেমরা, জারা পলিছি মেকার/দরবারের লগে কালেকটেড!) ভোট দিতেছেন এলেমের ব্যাপারে, কিন্তু পছিবল ভিকটিম আর বেনিফিশিয়ারিদের ব্যাপারে বেখবর থাকতে হইতেছে, আন্দাজের উপর থাকতে হইতেছে, কেননা, তারা নিজেদের ব্যাপারে কিছু কইবার মওকা পাইতেছে না, চাইলেও শেই মওকা দেওয়াই শম্ভব হইতেছে না।

এই এই কারনে, আমার হিশাবে এই জামানার ভোটাভুটি/ইলেকশন আশলে শেই জামানার উল্টা কিছু না, কোন দুশমনি নাই, বরং ইমপ্রুভমেন্ট, মর্ম একই; আরো বেশি আলেম, খমতার পক্ষের এবং বাইরের বেশুমার আলেম, পছিবল ভিকটিম এবং বেনিফিশিয়ারিদেরো মতামত নেওয়া জাইতেছে।

এইবার আমাদের দেখা দরকার, পলিছি/ফতোয়ার ব্যাপারে অমন হইলে শেইটা বেক্তি কেন্ডিডেটের ব্যাপারে কতোটা খাটে?

এই পোশ্নের বিচার করতে আরেকটা পোশ্ন তুলি শুরুতেই–ইলেকশনে কি বেক্তি তাগুদ কেন্ডিডেট হইতে পারে? এই পোশ্নের উত্তর হইলো, না। কেননা, নিজে তো কেউ কেন্ডিডেট হইতেই পারে না–আরেকজনের পোস্তাব করতে হয়; তাগুদের আইডিয়ার ভিতর জেই শেরেকি–নিজেরেই খোদা বইলা দাবি আছে, তাতে একজন তাগুদের কাম এমন রিলেটিভ হবার কারন নাই, তাগুদ মানে এবছলুট ছভ্রেইনটির দাবি, জেমন আছিলেন নমরুদ।

তাইলে ডেমোক্রেটিক ছিস্টেমে ঢুকতে, দেখা জাইতেছে, একদম গোড়াতেই তাগুদ না হবার ব্যাপার আছে একটা! তারপরে দেখেন, কেউ পোস্তাব করলেই হইতেছে না, আলেমদের একটা কমিটি কেন্ডিডেট হিশাবে তারে ছার্টিফিকেট দিতেছে আগে, মানে কেন্ডিডেট হবার কাবিল কিনা কেউ, শেইটা জাচাই করার আইন আছে, বহু বেক্তি এবং পোতিশ্ঠানের ছাড় পাইতে হইতেছে–একদম মেডিকেল থিকা করাপশন বা ব্যাংক; এই শব বাধা পার হইয়া কয়েকজন কাবিল বেক্তি কেন্ডিডেট হিশাবে পাইতেছি আমরা, ইলেকশনে পাবলিক বাইছা নিতেছে বা শাশনের এজাজত দিতেছে একদল কাবিল বেক্তির ভিতর তাদের বিবেচনায় শবচে কাবিল লোকটারে।

এরপরে খেয়াল করেন, মর্ডান মিডিয়া, এখনকার ছোশাল মিডিয়াও হিশাবে রাখেন। আখেরে ভোটটা আদৌ বেক্তিরে দিতেছে না, দিতেছে তার পলিছি-ভাবনা-ইশতেহারে। শারা দেশের পাবলিক আলেমরা, ইন্সটিটুশনাল আলেমরা কোন একজন কেন্ডিডেটের ইশতেহার আর আমলনামা লইয়া আলাপ করতেছে, বিচার করতেছে, জনতার দরবারে পেশ করতেছে তাদের জাজমেন্ট।

তুমুল ডিভিশন অব লেবারের এই জামানায় এলেমের কিছিম বেশুমার, ফলে আলেমও হাজারো কিছিমের। আলেমরা চিন্তা এবং এলেমের চর্চার ভিতর জেমনি জতোটা থাকে, থাকতে পারে, তুলনায় শমাজ-রাশ্টের বেশিরভাগ লোক চিন্তা করায় কাফি টাইম দিতে পারে না–তারা কেউ চাল-গম ফলায়, কেউ মোবাইলের ইস্ক্রু লাগায়, কেউ মাছ ধরে, কেউ ফাইবার অপটিক কেবল মেরামত কইরা ইন্টারনেট জোগায়, কেউ মাত্রই মা হওয়া ছাগলের জন্ন ঘাশ কাটে। বিপুল এই মানুশেরা চিন্তায় ততো টাইম দিতে না পারলেও নিজ নিজ লাভ-খতি বোঝে, শাশনের কোন একটা পলিছিতে লাভ বা খতির মুখে পড়ে। তারা কিভাবে কোন একটা পলিছির পক্ষে ভোট দেয়?

এইখানেই মিডিয়া এবং আলেমদের ডিউটি এবং কামের ফজিলত; আলেমরা চিন্তা করায় মেলা টাইম দিয়া আমজনতার তরে ছোট ছোট টিউটোরিয়াল বানায়, তাদের জাজমেন্ট জানায়; তেমন কোন কোন আলেমের উপর ভরশা করে আমজনতা, শেই ভরশা থিকাই তাদের ডিছিশন লয়।

ফলে একটা ইলেকশনে আখেরে আশলে আলেম এবং এলেমের বহু ইশকুলের ভিতর ফাইট চলতে থাকে এবং এলেমের জেই ইশকুল আমজনতার ভিতর শবচে বেশি মানুশকে কনভিন্স/ভাও কইরা কবুলিয়ত আদায় করতে পারে, শেই ইশকুল ইলেকশনে জেতে। মানে একটা ইলেকশনে আলেমদের ভিতর চিন্তা আর এলেমের বাহাছ ঘটে এবং আমজনতা এলেমের কোন একটা ইশকুলের পক্ষে কবুলিয়ত দেয়। এই কারনেই রাশ্টের খমতা থিকা মানুশের বিবেকের আজাদি দরকার, আলেম এবং এলেম জাতে জনতার দরবারে পৌছাইতে পারে, শেই দরকারে মিডিয়ার আজাদি দরকার; আলেম আর এলেমের বাহাছ জতো বেশি হবে, শেই বাহাছকে মিডিয়া জতো বেশি পাবলিকের দরবারে লইয়া জাবে, ততো বেশি শঠিকের কাছাকাছি ডিছিশন লইতে পারবে জনতা।

জনতার কবুলিয়তের দাম আছে, এমনকি বেকুবের কবুলিয়তও দামি, নাইলে গায়ের জোরে বেকুবদের দখল করতেছে কোন একটা ধর্ম, গোলামির জিন্জির পরাইয়া দিতেছে, শেইটাতে এজাজত দিতাম আমরা! বেকুবের কবুলিয়তেরও দাম আছে, কেননা, তারও শুখ আর বেদনা আছে এবং বেকুবের শুখও আলেম/চতুর/চালাকের শুখের মতোই শুখ, একজন বেকুবও মানুশের জিন্দেগিই কাটাইতেছে দুনিয়ায়, বেকুবেও খোদার পিরিতির কমতির খবর পাইতেছি না আমরা!

মানুশের এলেম জেহেতু খোদায়ি না, ফলে ছেরেফ একটা পছিবিলিটি, ফলে মেয়াদি হওয়া দরকার; তা জে হইতে চায় না, মানুশ জখন তার এলেমকে, বিচার/জাজমেন্টকে পার্মানেন্ট ভাবা শুরু করে, তখনই শেরেকি ঘটে এবং শে তাগুদ হইয়া ওঠে। ইলেকশন এমন একটা পোছেছ জেইটা মানুশের এলেম/জাজমেন্টকে খশড়া বা মুছাবিদা হিশাবে রাখতে থাকে, মেয়াদি রাইখা পার্মানেন্ট হইতে বাধা দেয়, ফলে মানুশের তাগুদ হইয়া ওঠা ঠেকাইয়া দেয় ইলেকশন! ওদিকে, ইলেকশনে আখেরি ফাইটটা জেহেতু এলেমের বহু ইশকুলের এবং কেন্ডিডেট জেহেতু জে কেউ হইতে পারতেছে না, বহু এলেম আর আলেমের দপ্তরে পাশ কইরা শাশনের কাবিল বইলা শাব্যস্ত হইতে হইতেছে, এবং ইলেকটেড হবার পরে তারে ডিউটি এবং দুর্বলের হকের কানুন এবং জাস্টিছের বেছিক ফেরেমওয়ার্কের ভিতর কাম করতে হইতেছে, তাই শেই গিরিক-রোমান হুশিয়ারির মেজরিটারিয়ান টাইরেন্ট/তাগুদ পয়দা হবার পাওয়ারফুল বেরিয়ার থাকতেছে এই জামানায়।

#রকমশাহেরফয়ছালা #১৪মে-৯জুন২০২৫

The following two tabs change content below.
Avatar photo

রক মনু

কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
জীবিকার জন্য একটা চাকরি করি। তবে পড়তে ও লেখতে ভালবাসি। স্পেশালি পাঠক আমি। যা লেখার ফেসবুকেই লেখি। গদ্যই প্রিয়। কিন্তু কোন এক ফাঁকে গত বছর একটা কবিতার বই বের হইছে।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →