Main menu

দ্য ফিলসফি অফ অ্যান্ডি ওয়ারহল (১)

অ্যান্ডি ওয়ারহল-এর পেইন্টিং দেখার পরেই আপনি ধারণা করতে পারবেন যে আমরা উনার পেইন্টিংয়ের লাইফ লিড করতেছি। মানে, উনার আর্টের ব্যাপারটা যদি আপনারে নিতে হয়, কোন না কোনভাবে। মানে, আর্ট যে কইলেন এইটারে ত ডিফেন্ড করা লাগবো বা ডিফাইন করা লাগবো এখন। তবে এইটা ছাড়াই বরং বেটার, অ্যান্ডি ওয়ারহল। ইন ফ্যাক্ট, এইটাই উনার আর্ট যে, এইখানে ডিফেন্ড করার কিছু নাই।

এখন এই ধারণা করতে পারা আর জানতে পারা ব্যাপার দুইটার মধ্যে তিল বা তাল-এর যে ফাঁক আছে, সেইটা উনার বইটা পড়লে মিনিমাইজ হয়। এইটা এমনিতে উনার বইও না। উনি নিজে লেখেন নাই, কথা-বার্তা কইছিলেন মনেহয়, ওইগুলা জোড়াতালি দেয়া। অন্যরা লেইখা দিছিলো, এডিট করছিলো। অবশ্য এতে কইরা মালিকানা খারিজ হয়া যায় না। এইটা উনারই বই। ১৯৭৫ সনে ছাপা হইছিল।

এইটা মনে করার কোন কারণ নাই যে উনি চাতুরি করতেছেন বা ওই যে আছে না ভাষায় এখনো, ‘বিদ্রুপ’ এবং ‘করিতেছেন’। এইগুলা না। হি ইজ সিরিয়াস। উনি যেইটা বলতেছেন সেইটা উনি মিন করতেছেন। নাথিংনেস ইজ নাথিংনেস, এইখানে সামথিং-এর কোন ইনসারশন নাই।[pullquote][AWD_comments][/pullquote]

ব্রদিয়াঁ উনার কন্সপারেসি অফ আর্ট-এ এইটা কওয়ার চেষ্টা করছেন, কিন্তু উনি আর্ট-এর ধারণাটারে এড়াইতেই চান নাই। এইটা হয়তো এইকারণে যে, একটা ধারণারে অস্বীকার না কইরা উনার ধারণা এগজিস্ট করতে পারে না; ফরগেট ফুকো, ফরগেট আর্টাড, ফরগেট ব্রদিয়াঁও – মানে, অস্বীকার করার লাইগা একটাকিছু লাগবো আপনার। কিন্তু ওয়ারহল-এর এইরকমকিছু নাই। অস্বীকার করার কি দরকার! এইটা ত নাই-ই, তাই না? এইটা মানে, আর্ট, এসথেটিক্স। ব্রদিয়াঁ কইছেন অবশ্য। এইটা বাঁইচা থাকাই। যতক্ষণ পর্যন্ত টিভি স্ক্রীণ আপনারে দেখাইলো বা আপনি ভাবতে পারলেন যে আপনি যা করতেছেন সেইটা টিভি স্ক্রীণে আছে, আপনি ততক্ষণই বাঁইচা আছেন। যখন আপনি মারা গেলেন, তখন ত আর থাকা নাই।

আর্ট ইজ দ্য ডেথ অফ আর্ট ইটসেলফ।

প্লেটো থিকা শুরু কইরা এখন পর্যন্ত আর্টের যত ধারণা আছে সেইটা হইলো, আর্ট মিনিংফুল একটা কিছু – মিনিমাম থিকা ম্যাক্সিমাম, খারাপ থিকা ভালো বা মিনিং যে নাই এইটাও একটা মিনিং-ই। আর্ট সমাজের স্ট্যাবিলিটিরে ঝাক্কি মারে, আউলাইয়া দেয়, খালি ঝামেলা পাকায় বা এইটাই এর কাজ, সিরিয়াসলি; আবার, না, না এইটার দরকার আছে, কাউরে না কাউরে ত কিছু কওয়া লাগবো, সমাজ, কণ্ঠস্বর – এইসবকিছুর বাইরে আর্ট কিছুই না; অথচ এইসবকিছু বাদ না দিতে পারলে আর্ট-ই হইতে পারে না; মকারি করা খালি। সিরিয়াসলি মকারি করা, আবার মকারি কইরা সিরিয়াস হওয়া। বোথ ওয়ে, টুয়েন্টিফোর/সেভেন, থ্রিহান্ডেডসিক্সটিফাইভ। এইটা ডিপিক্ট করাটা আর্টের মধ্যে নাই, বিফোর অ্যান্ডি ওয়ারহল। মর্ডানিজম, মার্ক্সসিজম, সুরিয়ালিজম সবাই আর্ট করে সমাজের লাইগা অথবা ফর আর্ট সেইক! মানে, আর্ট আছেন, এগজিস্ট করেন, কোন না কোনভাবে।

কিন্তু আর্ট থিকা আর্টরে বাদ না দিলে আর্ট হইতে পারে না। এইটা অ্যান্ডি ওয়ারহল-ই করছেন।

এখন এইটারে নানানভাবে মিক্সড-আপ করা যায়। একটা ‘ধারা’ বানাইয়া দিলেন, ধরেন। একটা ক্যাটাগরি, আলাদা। পপ-আর্ট ত ওইগুলা। অশুদ্ধ বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েজও। এইটা সবচে চালু প্যাটার্ন। উনারে ত নেয়া যায় না, সিরিয়ালে। একটু আলাদা রাখেন। মাঝে-মইধ্যে কইলাম। উনি আছেন, ক্ল্যাসিকের বাইরে মর্ডান, মর্ডানিটির বাইরে পোস্ট-মর্ডান। এইরকমের ক্যাটগোরাইজেশনের বাইরে বা ডিফরেন্সগুলারে সিগনিফাই না কইরা আপনি আর্ট পয়দা করতে পারার কথা না। বা আলাদা আলাদা করতে পারাটাই আমাদের আর্ট-কালচার।

এখন এইসব জিনিস আপনি ফিল করলেন বা করলেন না। এইগুলার দরকারও নাই আসলে। বইটা এমনিতেই পড়া যায়। ফিল-গুড রিডিং হিসাবেও।

আমি পড়তে পড়তে ভাবলাম কি করা যায় এইটা নিয়া। যেহেতু অনুবাদই হইলো সবচে জেনুইন ফেইক একটা জিনিস, এইকারণে ভাবলাম অনুবাদই করি অ্যান্ডি ওয়ারহলের লেখা। ইট ইজ লাইক ইউ আর ইনসাইড জন মেলকোভিচ। ট্রান্সসেক্সুয়াল। কারণ এইটাই একমাত্র ফিজিক্যাল লিমিট যেইখানে পর্ণগ্রাফি’র ডিজায়ারও আইসা ট্রান্সসেন্ডাল হইয়া পড়ে। আপনি অ্যান্ডি ওয়ারহল-এর লেখা বাংলায় লিখলেন; উনি কিন্তু বাংলায় আইসা লেখলেন না। আপনি অ্যান্ডি’র ভয়েস হইলেন।

ইন ফ্যাক্ট, অনুবাদই হইলো আসল। যিনি অ্যান্ডি ওয়ারহল-এর লেখা অনুবাদ করলেন তিনিই হইলেন অ্যান্ডি ওয়ারহল।

ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং। এক একটা ভাষায় এক একটা অরিয়েন্টালিজমের জন্ম যখন হইতেছে, তখন এর ইনসারনগুলা ওই ভাষারই পার্ট হয়া উঠতেছে। মানুষের এখনো কেন অনুবাদ করতে পারাটা দরকার এইটা বোঝা যাইতে পারে, এইভাবে। বাংলাদেশের বিখ্যাত দুইজন অনুবাদকের কথা কই। জাস্ট উদাহারণ হিসাবেই। সাজ্জাদ শরিফ আর রাজু আলাউদ্দিন। উনারা খালি লোরকা আর বোর্হেস’রে বাংলা-ভাষায় নিয়া আসেন নাই, উনারাই হইলেন লোরকা এবং বোর্হেস, বাংলাভাষার। তো এইভাবে আমার ওয়ারহল হওয়ার চান্স মনেহয় কম, ছবি আকিঁ না যেহেতু। কিন্তু ট্রাই করা যাইতে পারে, এর পরে।

আর এমনিতে অনুবাদে কারেক্ট বইলা কিছু নাই, ভুলভাল থাকতেই পারে। এইটাও আরেকটা সুবিধা।

অ্যান্ডি ওয়ারহল-এর টেক্সটের মতোই মনে হইতে পারে যে, ফাইজলামি করতেছি, কিন্তু ব্যাপারটা আসলে তা না। চাইলে ভুলভালের উদাহারণ দেয়া যাইতো, কিন্তু ওইটা আরো পরিশ্রমের কাজ, কঠিন ব্যাপার। কঠিন কঠিন কাজ আমরা কেন করবো যখন সহজ কাজ করার অপশন আছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তখন চেষ্টা করা লাগতে পারে অবশ্য। ভাবছি যে, তখন করবো। এর আগে এইভাবেই কইয়া রাখলাম। এই বলার কোন ভ্যালু নাই। আসলেই। কিন্তু আবার ভ্যালু কেন ক্রিয়েট করবো? ভ্যালু ত নাই।

শব্দের কথাই ধরেন। এর অর্থ ত নাই। ধরেন কেউ কইলেন যে, কবিতায় শব্দের যে নরমাল অর্থ তার বাইরে গিয়া নতুন, বাঁকাইয়া (বঙ্কিম-ই মনেহয়) দেয়া অর্থ দেয়া লাগবো। তা নাইলে কিয়ের কবিতা? এইগুলা কোনকিছু হইলো, শামসুর রাহমান-টাহমান। স্ট্রেইট সব মিনিং। ফরাসি’তে যান, দেখেন। কি কি কইরা থুইয়া গেছে। বা স্পেনিওলা। আম্রিকাতেও যাইয়েন, তবে কম কম। ওরা পুঁজিবাদী না? এইজন্য। ওরা ত শব্দের মিনিং’রে টাকা হিসাবে বাঁকাইয়া অর্থ কয়। এখন এই যে ট্যাবু – শব্দ এবং অর্থ-এর, আপনি যদি তারে ধইরাই নেন যে আছে, আপনি এর বাইরে ত যাইতেই পারবেন না।

এর প্রতিবাদে লোকাল শব্দ দিয়া ধরেন কবিতা লিখলেন। এতে কইরা এসথেটিকসটারে আপনি আসলে এড়াইলেন না, বরং এস্টাবলিশই করলেন। শব্দের আসল যে অর্থ সে বঙ্কিম, লোকাল বইলাই। আরো রিয়েল ও স্পেসিফিক। অথচ শব্দ, তার অর্থ, শ্বাস, অভিঘাত সবকিছুই একটা মোড অফ প্রডাকশনের ভিতর দিয়া অপারেট করে।

এইকারণে যে কোন আর্ট হইলো একটা অ্যানথ্রোপলজিক্যাল ওয়ার্ক। ব্রদিয়াঁ আর্টরে লিমিট করছেন এইভাবে, অ্যান্ডি ওয়ারহলে।

ওয়ারহল হাউএভার আর্টরে ক্রিয়েট করতে পারছেন একটা ট্রু এম্পটিনেস হিসাবে।

[youtube id=”KnhqRiJ4KH8″]

একইজিনিস ট্রাই করার ব্যাপার আছে, উনার বইটাতেও। মিনিংগুলা ডিসলভ হইতেছে একটা মিনিংলেসনেসের ভিতরে।

এইখানে, অনুবাদে, চ্যাপ্টারগুলা উল্টা-পাল্টা করছি। এইকারণে না যে, এমনে করলে বেটার হয়। সহজগুলা বা যেইগুলা ভাল্লাগছে আগে কইরা ফেলছি। কঠিনগুলা পরে করতেছি। 

_______________________________

অর্থনীতি

এ: আপনি যদি রকফেলার হন, তাইলে নিউ ইয়র্ক হইলো আপনার শহর। আপনি এইটা ভাবতে পারেন?

টু ডলার বিল বাই অ্যান্ড ওয়ারহল

টু ডলার বিল বাই অ্যান্ড ওয়ারহল

আমি গ্রীণ বিল ছাড়া আর কিছুই বুঝি না। নেগোশিয়েবল বন্ড না, পারসোনাল চেক না, ট্রাভেলার্স চেকও না।

আর যদি আপনি সুপারমার্কেটে কাউরে একশ ডলারের নোটটা দেন, ওরা ম্যানেজার’রে ডাক দিবো।

টাকা-পয়সা সন্দেহের জিনিস, কারণ মানুষজন ভাবে যে আপনার এইটা থাকতে পারে না, যদি আপনার এইটা থাকেও।

এখন যখন আমি ডি’অগাস্টিনোতে যাই আমি প্যারানয়েড হয়া যাই কারণ আমি সবসময় আমার সাথে আরেকটা শপিং ব্যাগ নেই আর ওরা কয় যে, আপনার এইটা চেক করা লাগবো, কিন্তু আমি করতে দিমু না। একজন মহিলা ত তার পকেটবুক চেক করতে দেয় না, তাইলে আমি কেন আমারটা দিমু। এইটা নিয়ম। তখন আমার প্যারানয়েড লাগে, যদি ওরা ভাবে যে আমি কিছু চুরি করছি! তাই মাথা উঁচা কইরা বড়লোক-বড়লোক ভাব দেখাই তখন। কারণ আমি চুরি ত করি নাই। আমি আমার সব টাকা নিয়া ডাইনদিকে ডেইরি কাউন্টারের দিকে যাই আর আর খুব খুশি লাগে কারণ আমি সবগুলা কাউন্টার পার হয়া যাইতেছি আর আমার শোওয়ার ঘরের জানালার পর্দার লাইগা জিনিসপত্র কিনতেছি।

ধনী মাইনষেরা তাদের ওয়ালেট অথবা গুচির এইটা কিংবা ভ্যালেনটিনোর সেইটার মধ্যে টাকা রাখে না। ওরা ওদের টাকা রাখে বিজনেস এনভেলপে। একটা লম্বা বিজনেস এনভেলাপে। আর দশটার নোটে একটা পেপার ক্লিপ থাকে, পাঁচটাতে থাকে আর বিশটারটাতে। আর টাকাগুলা এমনিতে নতুন থাকে। ব্যাংকের অফিসাররা মেসেঞ্জারের হাত দিয়া পাঠায় – অথবা ওদের জামাইয়ের অফিস থিকা। ওরা খালি সই দিয়া দেয়। আর এইটা ওইখানেই থাকে যতক্ষণ না তারা তাদের মেয়েদেরকে খাওয়ার লাইগা একটা বিশটাকার নোট দেয়।

এমনিতে, টাকা নেয়ার লাইগা আমার যেইটা সবচে পছন্দের উপায়, সেইটা অগোছালো। দলা পাকানো জিনিসপত্র। একটা কাগজের ব্যাগ ভালো।

একদিন আমি একজন প্রিন্সেসের সাথে লাঞ্চ করতেছিলাম আর তার এই একটা ছোট্ট স্কটিশ পার্স আছিল যেইটার মূল মোটিফটা ছিল একটা পশমী টুপির, একটা পম-পমসহ । আমরা ম্যাডিসন এভিনিউ’তে মহিলাদের এক্সচেইঞ্জে আছিলাম। আর শে তার পার্স থিকা কুঁচকানো টাকা বাইর করলো আর কইলো, “আপনি দেখছেন? আমি এইটা রথসচাইল্ডের মতো ফোল্ড করছি। এইটা এইভাবে বেশি দিন থাকে। আমি সারাজীবন ধইরা এইরকম করি।” প্রতিটা নোট আলাদা কইরা ভাঁজ কইরা রাখা ছিল। প্রথমে একটা লম্বালম্বি ভাঁজ তারপরে আবার আরেকটা। সবগুলা নতুন টাকা। সবগুলা একটা ছোট্ট বান্ডিলে। এইটার থিওরি হইলো যে, এইটা বেশিদিন থাকবো। এইটা হইলো রথসচাইল্ডের মতো কইরা টাকা ফোল্ড করা – যেইটা আপনি দেখতে পাইবেন না।

এইটা হইলো রথসচাইল্ডের গল্প

আমার একটা খুব ভালো ফরাসী ওয়ালেট ছিল যেইটা আমি জার্মানি থিকা দেড়শ ডলারে কিনছিলাম। বড় টাকা রাখার লাইগা। বড়-সাইজের বিদেশি টাকা। কিন্তু তখন নিউইয়র্কে এইটা ছিঁইড়া গেলো আর আমি এইটা মুচির কাছে নিয়া গেছিলাম আর সে ভুল কইরা কাগজের টাকা রাখার জায়গাটা সেলাই কইরা ফেলছিল, এরকারণে আমি এইটা খালি ভাংতি টাকা রাখার লাইগা ইউজ করতে পারি। এইটা না থাকলে আমার ভাল্লাগে না।

ক্যাশ। না থাকলে আমার ভালো লাগে না। হাতে আসার সাথে সাথেই খরচ কইরা ফেলতে হয় আমার। আর আমি খালি আজাইরা জিনিস কিনি।

চেক টাকা না।

যখন আমার পকেটে পঞ্চাশ বা ষাইট ডলার থাকে, আমি ব্রেন্টেনো’তে যাইতে পারি আর দ্য লাইফ অফ রৌজ কেনেডি কিনি আর জিগাই, “আমি একটা রেজিস্টার রিসিট পাইতে পারি?”

আর যতবেশি রিসিট আমি পাই, তত বড় থ্রিল হয়। এমনকি এখন ত এইগুলারে আমার কাছে টাকার মত মনেহয়।

8_Harpers-Bazaar-January-1980

সন্ধ্যা হইয়া গেলে সব দোকানপাট বন্ধ হইয়া যায় যখন, আমি পাড়ার খবরের কাগজ আর কার্ডের দোকানে ঢুকি। আর আমি খুব মার্জিত। কারণ টাকা থাকে আমার কাছে। আমি হারপার্‌স বাজার কিনি আর তারপর একটা রিসিট চাই। নিউজবয়টা রাগারাগি করে আমার সাথে তারপর সে একটা শাদা কাগজে লেইখা দেয়। আমি ত এইটা নিবো না। “ম্যাগাজিনগুলার নাম লেখেন, প্লিজ। আর ডেইট দেন। আর উপরে দোকানের নাম লেখেন।” এই কারণে রিসটটারে তখন আরো বেশি টাকা টাকা লাগে। আমি এইটা করি কারণ আমি ওই লোকটারে জানাইতে চাই যে আমি একজন সৎ নাগরিক, আর আমার মুড়াগুলা আমি জমাই আর আমি আমার টেক্স দেই

তখন আমি খাইতে বাইর হই এইকারণে যে আমার টাকা আছে, এইকারণে না যে আমার খিদা লাগছে। আমার টাকা আছে আর ঘুমাইতে যাওয়ার আগে আমার এইটা খরচ করা লাগবো। আমি যদি রাত একটা পর্যন্ত জাগনা থাকি, আমি একটা ক্যাব নিয়া কোন একটা ফার্মেসিতে যাই যেইটা সারারাত খোলা থাকে, আর রাতে টিভিতে যেইসব হাবিজাবি দেইখা ব্রেইনওয়াশ হইছি, ওইগুলা কিনি।

মাঝরাতে ওষুধের দোকান থিকা যা ইচ্ছা তাই কিনি।ওষুধের দোকান থিকা মাঝরাতে যা ইচ্ছা তাই কিনি। ইচ্ছা কইরা দেরি করি যাতে আমার জন্য বেশীক্ষণ খোলা রাখতে হয় ওদের। কারণ ওরা জানে আমার টাকা আছে, আর এইটাই তো প্রেস্টিজ, তাই না? পরের ধাপটা হইলো ষ্টোরটারে ঠিকমতো জানা যাতে তারা আমারে চার্জ করতে পারে। আমি ষ্টোররে বলি যে আমি মেইলে বিল পাইতে পছন্দ করি না, এইটা আমারে ডিপ্রেস করে। “খালি আমারে বলেন আপনি আমার কাছ থিকা কত পান,” আমি কই, “আর যখন পরের সপ্তাহে আসবো তখন আমার বেশি ক্যাশ থাকবে আর আমি আপনারে পে করবো। আমারে একটা বিল দেন, আর আমি এইটা ফেরত নিয়া আসবো আপনি তখন পেইড লেইখা দিতে পারবেন।”

কারো টাকা ফেরত দিয়া দেয়ার পরে তাদের আর দেখা পাওয়া যায় না। কিন্তু তার আগে, উনারা থাকেন সবখানে

আমার কাছে টাকা থাকলে রিডিকুলাস বকশিস দেই। ধরেন ভাড়া উঠলো এক ডলার ত্রিশ সেন্ট, আমি বলি, দুই ডলার রাইখা দাও, কিন্তু টাকা না থাকলে বিশ সেন্টও ফেরত নেই।

dollar_andy

একবার আমি এক ক্যাব ড্রাইভাররে একশ ডলারের নোট দিয়া দিছিলাম। অন্ধকারে আমি ভাবছিলাম এইটা এক ডলারের নোট। ভাড়া আছিলো ষাইট সেন্ট (লাস্ট টাইম ভাড়া বাড়ার আগের ঘটনা এইটা) আর আমি তারে কইছিলাম রাইখা দিতে। আর এইটা সবসময় আমার মন-খারাপ করায়।

অনেকসময় আমি টাকা ছাড়া ক্যাবে উইঠা পড়ি আর কোনএকটা জায়গায় যাই টাকা তোলার লাইগা। ব্যাংকে অথবা অফিসে অথবা দাড়োয়ানের কাছে আমার জন্য রাইখা যাওয়া টাকা। এখন, যাওয়ার পথে ক্যাবে আমার কাছে কোন টাকা নাই, আর তখন আমার তার লগে একটা নাটক করা লাগে। তার একটা প্লাস্টিকের ডিভাইডার-শিল্ড আছে যেইটা আপনারে অটোম্যাটিক্যালি ক্রিমিনালের একটা ফিলিংস দিবো – যে আপনি তারে গুলি কইরা ফেলতে পারেন বা তারে ধইরা নিয়া যাইতে পারেন। সুতরাং আপনারে আসলে কনভিন্স করা লাগবো যে আপনি তারে পছন্দ করেন, যে আপনি খালি দারোয়ানের কাছ থিকা একটা খাম আনতে যাইতেছেন। সুতরাং আমি বলি, “আমি আমার পেপার ব্যাগটা আপনার কাছে রাইখা যাইতেছি।” কিন্তু তথন আমি তাদের লাইসেন্স নাম্বারটা লিইখা রাখি যদি তারা ভাইগা যায় আর আমি খামটা আনার লাইগা দৌড় লাগাই। এইরকম দৌড় আমি প্রায়ই দেই, সাধারণত আমি খামটা নেই আর তার পাশের ষ্টেশনারি দোকানে যাই এইটা ক্যাশ করার লাইগা। যদি তারা ক্যাশ না দিতে পারে তাইলে আমি পাশের রিকা’রে যাই। ওরা কখনোই ক্যাশ করে না। তখন টাইয়ের দোকানে যাই। ওরা সবসময় এইটা ক্যাশ করে। তখন আমি ফিরা আসি আর ড্রাইভাররে কই, “আমি যেইখান থিকা আসছিলাম ওইখানে ফেরত যান।” তো, আমি যেই টাকা তুলতে গেছিলাম এই ছোট্ট ট্রিপটার খরচ (ড্রাইভার’রে যে টিপস দিতে রাজি হইছিলাম ওইটাসহ) তার অর্ধেক। সুতরাং তখন আমার একটা স্বাস্থ্যকর খাবারের দোকানে গিয়া টাকা উড়াইতে হয়। আমি কিছু টাকা উড়াই পিংক অর্গানিক টুথপেস্টে কারণ এইটা আমারে এলিজাবেথ আর্ডেনের পিংক টুথপেস্টের স্মৃতি ফিরাইয়া আনে। আমি এমন একটাকিছু খুঁইজা পাইতে চাই যার টেস্ট হলুদ টিউবের পুরানা ইপানার মতো।

আমি ক্যাব নেই কারণ আমার কথা কইতে ভাল্লাগে। যদি তারা মিটার অন না করে, অর্ধেক পথ যাওয়ার পরে আমি তাদেরকে জিগাই, “আপনি মিটার অন করেন নাই কেন?” “মানে, এইটা এতো ছোট ট্রিপ, আমি ভাবলাম -” আমি কই, “আপনি ভাবলেন, আপনি ভাবলেন! আপনি যদি আমারে কইতেন, “আমি এমনিতেই যামু নাকি?” আমি হয়তো কইতাম, শিওর, যা হইতো আমি দিয়া দিতাম এবং এর বাইরেও টিপস দিতাম। এখন এইখানে আমরা, আর এইখানে মিটারে কিছু নাই, আর নিয়ম অনুযায়ী আপনার কাছে আমার কোন দেনা নাই।” আর এইসময়ে ওদের কওয়া লাগবো, “না…”। সুতরাং আমি একটা চাইরআনা ড্রপ কইরা দেই। আমি কই, “আপনি দেখছেন? জিগানোটা ভালো। আপনি সিস্টেমরে পাশ কাটাইতে পারেন না।”

আপনি খবরের মইধ্যে এখনো কইতে পারেন না যে সিস্টেমরে কেমনে পাশ কাটাইবেন, আর লোকজন আসলে এইটাই জানতে চায়।

বন্ধু-বান্ধব কিইনা ফেলাটা বিরাট ব্যাপার। আমি মনে করি না প্রচুর টাকা থাকা আর এইটা দিয়া লোকজন টানাটা খারাপ কোন কিছু। দেখেন আপনি কারে টানতেছেন: সবাইরে!

আমি এমন এক ধনী লোকেরে চিনি যে সারাদিন সন্দেহ করে যে টাকার জন্যই লোকজন তার আশেপাশে ঘুরঘুর করে। কিন্তু তারপর, সে-ই সবসময় প্রথম যে আপনারে কইবো যে সে মাত্রই ওয়াশিংটন ডি.সি.’তে আসছে গেছে প্রাইভেট প্লেইন দিয়া, কিন্তু এলএ’তে যাওয়ার সময় একটা কর্মাশিয়াল এয়ারলাইনে গেছে।

আপনারে ফকিন্নির মতো দেখাইতে পারে, কিন্তু যদি আপনার পকেটে পনেরো ডলারও থাকে, তাইলেই আপনি লোকজনরে ইমপ্রেস করতে পারেন যে আপনার টাকা আছে। আপনারে খালি যেইটা করা লাগবে মদের দোকানে যাইতে হবে আর এক বোতল শ্যাম্পেন কেনা লাগবে। আপনি একটা পুরা রুমভর্তি লোকরে খুশি কইরা ফেলতে পারেন আর যদি ভাগ্য ভালো হইলে আপনি উনাদেরকে আর কোনদিন দেখবেন না, সুতরাং উনার সব সময় ধারনা থাকবো যে আপনের টাকা পয়সা আছে। আমার টাকা আছে আর আমি গরির-এর ভাব করবো, এইটা হয় না। আমি খালি গরিব হইতে পারি আর ভাব ধরতে পারি যে আমি ধনী।

আমি একজন মহিলারে চিনি প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলা একজনরে ফোন দিবো আর কইবো যে, “আমি তোমারে একশ ডলার দিবো আমারে চোদার লাইগা।” চমৎকার। শে শিওর হয়া নেয় যে তারা হ্যান্ডসাম আর ভালো ফ্যামিলি থিকা আসছে আর সবকিছু, কিন্তু হয়তো তাদের বাড়তি কিছু টাকা দরকার তাদের মার্সিডিজের চাকা ঘুরানোর লাইগা। এই মাইয়াটার ডায়মন্ড নাই, শে যা কিছু পিন্দে সেইগুলাও দামি কিছু না, আর তারপরও তার নাকের মইধ্যে “টাকা” আছে আর তার কানের মইধ্যে আর তার ব্রেইনে। তার গালের হাড়ের মইধ্যেও আছে, এইটা তারে কাঠামোটা দেয়। কফিশপটা থিকা যদি একজন ডেলিভারিম্যান আইসা পড়ে আর তারে যদি আপনি জিগান, “তার দিকে দেখো। শে কি গরিব নাকি ধনী?” সে ঠিকই জানবে। কারণ চেহারাটাই হইলো “টাকা”। শে হয়তো রাস্তা দিয়া সিগারেট টানতে টানতে যাইতেছে আর শে একটা ক্যাবরে এমনভাবে ডাক দিবো এমন একটা সুরুচির সাথে যে পুরাটা জিনিসটাই চেইঞ্জ হয়া যায়।

আমি রোববারগুলারে ঘৃণা করি: চারাগাছ-বেচার দোকানগুলি আর বইয়ের দোকানগুলি ছাড়া কিছুই খোলা থাকে না।

টাকা হইলো টাকা। এইটা ব্যাপার না যে আমি এইটা কষ্ট কইরা পাইছি নাকি সহজেই আসছে। আমি একভাবেই খরচ করি।

tumblr_maxa6yDoWw1qcg3zwo1_500

আমি ওয়ালে রাখা টাকা পছন্দ করি। ধরেন আপনি একটা ৳২০০,০০০ এর পেইন্টিং কিনতে গেলেন। আমার মনেহয় আপনার ওই টাকা নিয়া যাওয়া দরকার, জোড়া দিয়া রাখলেন, আর ওয়ালে টানাইয়া রাখলেন। তখন যখন কেউ আমারে ভিজিট করবো প্রথম যেই জিনিসটা ওরা দেখবো সেইটা হইলো ওয়ালে টানানো টাকা।

আমার মনে হয় না যে, সবার টাকা-ওয়ালা হওয়া দরকার। এইটা সবার লাইগা না – আপনি জানবেনই না কে ইর্ম্পটেন্ট। কিরকম বিরক্তিকর। কার বদনাম করবেন তখন? কারে টাইনা নামাইবেন? কেউ যখন আইসা জিগায় “আমি পঁচিশ ডলার ধার পাইতে পারি?” সেই গ্রেটি ফিলিংসটাও হারাইবেন তাইলে।

ক্রিসমাস হইলো যখন আপনি ব্যাংকে যাইবেন আর করকরা নোট পাইবেন আর টিপসের লাইগা ষ্টেশনারি দোকান থিকা নেয়া খামগুলার মধ্যে রাখবেন। আর আপনি দারোয়ানটারে টিপ দেয়ার পরে, সে অসুস্থ হয়া যাইবো বা চাকরি ছাইড়া দিবো আর নতুনটা মোটেই সুবিধার না।

আমি ব্রডওয়ের শো’তে সবচে ভালো অকেস্ট্রার সিট’টা পাইতে ভালোবাসি, প্রথম অংকের পরেই বাইর হয়া যাই, তারপরে পাশের থিয়েটারে চলতে থাকা শো এর শেষের দিকটা দেখি, সেইখানেও সবচেয়ে ভালো সিটের টিকিট কিনি। এইভাবে দুইটা টিকিটের মুড়া আমার কাছে থাকে। এইটা কাজের কাজ, কারণ আমি দুইটা শো কভার করতেছি।

একটা সাদাসিধা চেকবই আমার কখনোই ভাল্লাগে না – আমি খালি ডেস্ক মডেলটা চাই কারণ ওইটার অনেকবেশি ষ্ট্যাটাস আছে, আমার মনেহয়।

বাথটাবে একটা বালিশ মাথার পিছনে দিয়া থাকলে নিজেরে অনেক ধনী লাগে – যে বালিশ আর একটা বক্সটপ আমি ৩.৯৫ ডলারে খেদাইয়া দিছিলাম। হইতে পারে এইটা একটা ইলিউশন। মহিমা’র। তবে আমি প্রতিমাসে যে পরিমান ফোনবিল দেই, আপনেরও যদি সেইরকম দিতে হয়, বুঝতে পারবেন আপনের টাকা আছে।

কম টাকায় বেশি জিনিস কিনাতে মজা আছে। ল্যাংসটোন’স-এ একটা বড় শপিং ব্যাগ পাওয়াটা – ব্যাগটার লাইগা ত্রিশ সেন্ট দেয়া, আর তারপর এইটারে ভরা। আপনি হয়তো ল্যাংসটোনে ষাইট ডলার উড়াইয়া দিলেন, আর আপনি বাসায় ফিরা আসলেন আর সবকিছু বিছনার উপর রাখলেন আর কমেটটা খুইলা উপরে দামটা ধুইয়া ফেললেন যেইখানে লেখা আছিলো “৳১.৬৯”। তারপর, যেই মিনিটে আপনি জিনিসগুলা সরাইয়া ফেললেন, আপনার আবার শপিংয়ে যাইতে ইচ্ছা করবো। সুতরাং আপনি ভিলেজে চইলা যাবেন। একটা চারার দোকানে গিয়া নাক খাড়া করবেন কারণ আপনি তাদেরকে বোঝাইতে চান যে আপনি এই রাস্তার সবচে দামি চারাটা কিনবেন। আর তারপর আপনি চারা-বেচা লোকটারে ইমপ্রেস করার চেষ্টা করবেন, সুতরাং আপনি যাইবেন আর কইবেন যে, “আমি এইটা নিবো।” তারপর আপনি এইটা বাসায় নিয়া আসবেন আর আপনার রুমটা ফুল দিয়া ভইরা ফেলবেন। এইটা আপনারে এতোটা ধনীর ফিলিংস দিবো যে আপনি চাইবেন দরজাটা একটু খোলা রাখতে যাতে লোকজন হল দিয়া যাওয়ার সময় দেখতে পায় যে, আপনি ধনী। যদিও এতোবেশি খোলা রাইখেন না যাতে তারা ডাকাতি করতে পারে।

এক সময় আমার হাতে যখন অনেক ক্যাশ টাকা ছিল, ঝাপইয়া পইড়া একটা কালার টিভি কিনছিলাম। সাদা-কালো টিভির “ঝিরঝিরানির” চোটে পাগল হইয়া গেছিলাম। আমি ভাবছিলাম রঙিন বিজ্ঞাপন দেখলে সব হয়তো নতুন লাগবো আর আমার ইচ্ছা করবে বাইরে গিয়া আরো বেশি জিনিস কিনতে।

korvette2

করভেটাস। ক্যাশে। আমি এমনকি একটা রিমোট কন্ট্রোল চাইতেছিলাম, কিন্তু ওইটা আছিলো আরেকটা ডিপার্টমেন্টে। আমি এইটা বাসায় নিয়া আসতেছিলাম, কিন্তু তখন আমি অস্থির হয়া গেলাম। বক্সটাতে লেখা “সনি” আর “করভেটাস” আর আমি চাইতেছিলাম “ল্যামিংটোনস” কারণ যখন আমি এলিভেটরে এইটা নিয়া যাবো, আমার হল পর্যন্ত, আমার অ্যাপার্টমেন্টে, আর এই র‌্যাপিং দিয়া আর শাদা স্টোরফোমগুলা যেইগুলা শেইপে রাখে ওইগুলা ফালাইয়া দিবো, আমি ভাবছিলাম, “আমি এইটা বেশিদিন রাখবো না।”

আমি কি মদটা ডিডাক্ট করতে পারি না যদি আমারে টাল হওয়া লাগে আর কথা-বলাটাই হয় আমার ব্যবসা?

টাকা নিয়া আমার একটা ফ্যাণ্টাসি আছে: আমি রাস্তা দিয়া হাঁইটা যাবো আর শুনবো যে কেউ একজন কইতেছে – ফিসফিস কইরা – “দেখো, দুনিয়ার সবচে ধনী মানুষটা যাইতেছে।”

নিকেলগুলাতে আমি তারিখ দেখি না। ১৯১০ সালের নিকেল হইলেও জমাই না। আমি ক্লার্ক বার-এ একটা ডাইমের সাথে খরচ কইরা দিতে পারি।

পেনিগুলা বিরক্তিকর, আমার কাছে। আমি যদি এই সবগুলা বানানো বন্ধ কইরা দিতে পারতাম। আমি এইগুলা কখনোই রাখতাম না। আমার এইসবের সময় নাই। দোকানে আমি কইতে পছন্দ করি, “ওহ, বাদ দেও, ভাংতি-পয়সা রাইখা দেও, এইটা আমার ফরাসী ওয়ালেটরে ভারী কইরা তোলে।”

ভাংতিগুলা একটা বোঝা হয়া উঠতে পারে, কিন্তু আবার যখন আপনার কাছে টাকা নাই তখন খুব দরকারি হয়া উঠতে পারে। আপনি এইটা খুঁজতে থাকবেন, খাটের তলায় খুঁজবেন, কোটের পকেটের ভিত্রে খুঁজবেন, কইবেন, “আমি ত এইখানে সেইখানে চাইর আনা রাখছিলাম…” মাঝেমধ্যে আপনি এক প্যাকেট সিগারেট কিনতে পারবেন কি পারবেন না সেইটা ডিপেন্ট করবে আনাচ কানাচের এই ভাংতিগুলার উপরে। আপনি খুঁজতেই থাকবেন আর খুঁজতেই থাকবেন আর খুঁজতেই থাকবেন শেষ পেনি’টা। আর একমাত্র ওই সময়েই এক পেনি আপনি পছন্দ করবেন যখন আপনি একটা বেশি দরকার।

আর তখন ওরা দোকানে আপনারে জিগাইবো, “আপনার কি এক পেনি আছে?” আর তখন আপনার ওইটা মাইর যাবে। অথবা হয়তো আপনার একটা পেনি আছে কিন্তু আপনার জাস্ট খুঁজতে ইচ্ছা করলো না…

একবার আমি এক ক্যাবি’রে জিগাইলাম টাকা-পয়সা ওর কাছে কি মিন করে। “ভালো সময়” সে কইলো, “আমি আমার বউরে বাইরে লইয়া যাই, আমি আমার বউরে এনজয় করি, আমি ওরে বাইরে নিয়া যাওয়া এনজয় করি, সো যথন আমার টাকা থাকে আমি তারে বাইরে লইয়া যাই।”

আমারও একইরকম মনে হয়।

তখন আমি তারে জিগাইলাম ওর কেমন লাগে যখন লোকজন ওরে পেনি দেয়। “পেনি? আমি কোনসময় পেনি পাই না – না, খাড়াও। আমার এইটা বলা ঠিক হইবো না। আরেকদিন আমি পাঁচ পেনি পাইছিলাম জিনা ললোব্রিজডিয়ার কাছ থিকা।”

আমি ওরে কইলাম পুরা গল্পটা কওয়ার লাইগা।

“এইখানে বলার কিছু নাই, শে খুবই ভালো মানুষ, শে নিউইয়র্ক পছন্দ করে, শে হলিউড পছন্দ করে না, শে সবজায়গায় ঘুইরা বেড়ায়, আমার মনেহয় শে গেছে গা, আর শে একটা বই লিখতেছে।”

জিনা ললোব্রিজডিয়া।

জিনা

জিনা

ওরা যদি সবকিছুর লাইগা জোড়া দাম রাখতে পারতো, তাইলে পয়সাগুলার ওজন হয়তো ফুলদানিগুলার নিচে থাকতো।

টাকা হইলো মুহূর্তটা, আমার কাছে। টাকাই হইলো মর্জি

কিছু লোকের কাছে টাকা হইলো আজকে কিইনা রাখা যেইটার দাম আগামীতে বাড়বো। কমদামে কিনো, ওরা কয়: ঠিক আছে, আমার এমনকিছু নাই যেইটা ১৯৫৫ সালের আগের। আমি কসম কাটতেছি। কিছুই না। হইতে পারে একটা পেন্সিল যেইটা আমি কারো কাছ থিকা ধার করছিলাম ১৯৪৭ সালে। কি জানি!

আম্রিকার টাকা খুব সুন্দর কইরা ডিজাইন করা, সত্যি। অন্য যে কোন টাকার চাইতে আমি এইটা পছন্দ করি। আমি সেটান আইল্যান্ডের ফেরিতে ইস্ট রিভারে এইটা ছুঁইড়া মারছিলাম এইটার ভাসতে থাকা দেখার লাইগা।

আমরা সবসময় এমন কাউরে খুঁজি যে ওইখানে থাকে না, তবে দামটা দিয়া দেয়।

যখন আমার মনেহয় যা আমি কিনতেছি সেইটার দাম আমি যেই টাকা দিতেছি তার চাইতে বেশি, আর আর যার থিকা আমি কিনতেছি তারে যদি পছন্দ হয়, তাইলে তাদেরকে বলি যে ওরা আমার কাছ থিকা কম দাম রাখতেছে। যতক্ষণ আমি না বলি আমার কাছে ঠিক মনেহয় না। যদি আমি একটা স্যান্ডউইচ কিনি যেইটাতে পেট ভরে, আর যেই মানুষটার কাছ থিকা আমি কিনলাম সে যদি না জানে যে এইটা কতোটা ভালো, আমার তারে এইটা বলা লাগে।

যখন আমি টাকা হাতে নেই, আমি ফিল করি না যে ওইখানে জীবাণু আছে। টাকার একটা নির্দিষ্ট রকমের অ্যামেনেস্টি আছে। আমি ফিল করি যখন আমি টাকা ধরি, ওই নোটটাতে আমার হাতের চাইতে বেশি জীবানু আছে বইলা আমার মনে হয় না। যখন আমি আমার টাকাটা হ্যান্ড-ওভার করি, এইটা আমার কাছে পুরাপুরি ক্লিন। আমি জানি না এইটা কই আছিলো – কে এইটা ধরছিলো আর কি দিয়া ধরছিলো – কিন্তু সবকিছু মুইছা যায় যখন আমি এইটা টাচ করি।

 

মৃত্যু

এ: এইটা শুইনা খুবই কষ্ট পাইলাম। আমি জাস্ট ভাবছিলাম যে, জিনিসগুলা ম্যাজিক আর এইটা কখনোই ঘটবো না।

আমি এইটা বিশ্বাস করি না, কারণ এইটা যে ঘটতেছে এইটা দেখার লাইগা আপনি আশেপাশে নাই। আমি এইটা নিয়া কিছু কইতে পারি না কারণ আমি এইটার লাইগা প্রিপেয়ার্ড না।

 

The following two tabs change content below.
Avatar photo
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →