Main menu

দ্য ফিলোসফি অফ অ্যান্ডি ওয়ারহল (২)

পার্ট ১

————————————————————

আর্ট খালি পয়দা হওয়ার জিনিস না, বানানোও পসিবল; ইন ফ্যাক্ট কেমনে বানাইবেন সেইটা নিয়া অ্যান্ডি ওয়ারহল কিছু সাজেশন দিছেন। অবভিয়াসলি ইন হিজ অউন ওয়ে। আর কোন ইন্ডিভিজ্যুয়াল আর্ট-ই সারভাইব করতে পারবে না আনটিল এইটা নিজেই একটা ইন্সটিটিউশন হয়া উঠতে পারে। এইসব জিনিস ট্রাই কইরা গেছেন ওয়ারহল। নাথিংসনেস ইজ নট সামথিং। নাথিং মানে এমন না যে, একটা কিছু আছে বা নাই; নাথিং মানে হইলো কিছুই না। কিছুই না সর্ম্পকে কিছু আলাপ, এই চ্যাপ্টারটা।

—————————————————————

১২
আর্ট

এ: কিছু চকলেট নেন আপনি… আর তারপরে দুই পিস ব্রেড নেন… আর মাঝখানটাতে আপনি ক্যান্ডি রাখেন, তাইলে এইভাবে আপনি একটা স্যান্ডুউইচ বানাইতে পারলেন। আর এইটা হইলো একটা কেক।

 

মন্টি-কার্লো’তে হোটেল মেরাবোঁ’র একটা সুইটে আমরা থাকতেছিলাম। এর পাশের হোটেল ডি প্যারিস আমাদেরকে ছাইড়া দিতে বলার পরে বন্ধুরা এইটা ভাড়া করছিলো। কারণ বিশাল গ্রান্ড পিক্স উইকএন্ডের আগে বি আমরার রির্জাভেশনের সময় আগে থিকা বাড়াইতে ভুইলা গেছিলো। আমার রুম থিকা রেস ট্র্যাকের একটা হেয়ারপিন কার্ভ দেখা যাইতো। দেখতে তো পাইতাম-ই – আর আমি ডেফিনেটলি শুনতেও পাইতাম সব গ্রান্ড পিক্স প্রিলিমিনারিগুলা যখন তারা প্রতিদিন সকাল পাঁচটা ত্রিশে শুরু করতো আর সারাদিন ধইরা চলতো।

আমি কিছু ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি করতেছিলাম যখন বি আর ডেমিয়েন আমার দরজায় নক করলো দেখার লাইগা যে আমি লাঞ্চে যাওয়ার লাইগা রেডি আছি কিনা। একটা নেভি-ব্লু ডিয়র-এ ডেমিয়েনরে সুন্দর দেখাইতেছিল। যখন আপনি ওরে বাইরে যাওয়ার লাইগা কইবেন আপনি আগে থিকা জানতেই পারবেন না ওরে লাখটাকার দেখাইবো নাকি দুইপয়সার। আর শে যেমনে ঠিক করে তারে কিরকম দেখাইবো সেইটার সাথে শে কই যাইতেছে তার কোন মিল নাই – শে একটা রক কনসার্টের লাইগা একটা ভ্যালেনটিনো পড়তে পারে আর একটা হ্যালিসটোন পার্টির লাইগা জিন্স। ইন ফ্যাক্ট, শে দুইটার লাইগাই সম্ভবত এই জিনিসই পড়তে পারে।

যখন তারা বিকট আওয়াজ শুনতে পাইলো, ডেমিয়েন আর বি দুইজনেই হাত দিয়া কান  চাপা দিলো। “আমি রেসিংয়ের কথা ভাবতেছিলাম” বি কইতেছিলো, যখন বিশটা ছোট গাড়ির ইঞ্জিন আওয়াজ কইরা উঠলো। “যে কোন সময় গাড়িগুলা উইঠা আসতে পারে।”

“আমার মনেহয় এরা দেখে যে কে কার চাইতে বেশি আওয়াজ করতে পারে,” আমি কইলাম।

“আপনার কি মনেহয় ড্রাইভারগুলা মরতে চায়?”

আমি কইলাম, “আমার জাস্ট মনেহয় ওরা একটা বড় ঝাটকা দিতে চায়। ধরেন আন্দ্রে ‘হুইপস’ ফিডম্যান যখন জানালা দিয়া লাফ দিছিলো আর শে কইছিলো যে ‘বড় একটাকিছু’র লাইগা যাইতেছি: বেহেশতে।’ আমার মনেহয় না ওরা মরা’র কথা ভাবে – এইটা একটা বড় ধরণের আইডিয়াটাই।”

“তাইলে ওরা মুভি স্টার হওয়ার ট্রাই করে না কেন?”

“এইটা একটা মেন্দা-মারা ব্যাপার হইবো।” আমি ব্যাখ্যা করলাম, “কারণ সব মুভি স্টাররা রেস-কারের ড্রাইভার হওয়ার ট্রাই করে। আর তাছাড়া, সব নতুন মুভি স্টাররা হইলো গিয়া খেলাধূলার লোক – তারা আসলেই সুন্দর-চেহারার লোকজন, একসাইটিং লোকজন – আর তারা সবচে বেশি টাকা কামাইতেছে।”

যখন গাড়িগুলা শহরের আরেকদিকে চইলা গেলো আওয়াজটা কইমা গেলো। এখন শব্দটা অ্যাপলোর লিফট অফ হওয়ার চাইতে বরং অনেকটা একটা ৭০৭ এর মতো। এক মিনিটের লাইগা আমি এই তুলনামূলক নিরবতাটা উপভোগ করতে চাইলাম, কারণ পরের মিনিটেই ওরা ব্যাক করবে – এইরকম একটা টাইমই লাগে কোর্সটা শেষ করতে। বি মনে করতে পারলো যে তার একটা ফোন কল করা দরকার আর সে তার রুমে ফেরত গেলো কথা বলার লাইগা, যেইখানে আওয়াজটা কম।

ডেমিয়েন আর আমি রুমটাতে একলা এখন আর যদি আমার বউও এইখানে না থাকতো আমি প্যানিকড হয়া যাইতাম। আমি সাধারণত প্যানিকড হয়া যাই যখন আমি লোকজনের সাথে একলা থাকি – মানে, একজন বি ছাড়া – যতক্ষণ না আমি আমার বউরে পাই।

হাঁইটা জানালার ধারে গেলো ডেমিয়েন আর বাইরে তাকাইলো। “আমার ধারণা, কোন একটা ক্ষেত্রে বিখ্যাত হইতে হইলে আপনারে প্রচুর রিস্ক নিতে হয়” শে কইলো, আর তারপর, ঘুইরা শে আমার দিকে তাকাইলো, শে যোগ করলো: “উদাহারণ হিসাবে, একজন আর্টিস্ট হইতে হইলে।”

আরো সিরিয়াস হইতে থাকতেছিলো শে, কিন্তু এইটা জাস্ট একটা বাজে মুভির মতো আছিলো। বাজে মুভিগুলা আমি পছন্দ করি। আমি মনে করতে পারতেছিলাম কেন আমি সবসময় ডেমিয়েনরে পছন্দ করতাম।

Salami-Hard-12ozআমার প্যান অ্যাম ফ্লাইটের ব্যাগ থিকা বাইর হয়া আসা গিফট-র‌্যাপার দিয়া মুড়ানো সালামি’র দিকে আমি দেখতেছিলাম আর কইলাম, “যে কোন সময় আপনি একটা সালামির স্লাইস কাটেন, আপনি একটা রিস্ক নেন।”

“না, আমি মিন করতেছি একজন আর্টিস্টের লাইগা – ”

“একজন আর্টিস্ট!” আমি ইন্টারাপ্ট করলাম। “আপনি কি মিন করেন, একজন ‘আর্টিস্ট’? একজন আর্টিস্ট একটা সালামিও কাটতে পারে! লোকজন কেন মনে করে আর্টিস্টরা স্পেশাল? এইটা জাস্ট আরেকটা কাজ।”

ডেমিয়েন নিজেরে বিভ্রান্ত হইতে দিবে না আমার কাছে। অনেক মাইনষের মনের গভীরে অনেক-পুরানা আর্ট ফ্যান্টাসি আছে। কয়েক বছর আগের একটা জমে-যাওয়া শীত রাতের কথা আমার মনে হইলো যখন আমি তারে একটা স্পেশাল সোশ্যাল পার্টির পরে রাত আড়াইটার সময় নামাইয়া দিতে গেছিলাম আর তারে আমার টাইম স্কয়ারে নিয়া যাইতে হইলো একটা রের্কড ষ্টোর খুঁইজা বাইর করতে হইলো যেইটা খোলা আছে, যাতে শে ব্লন্ড অন ব্লন্ড কিনতে পারে আর “রিয়েল লোকজন”-এর টাচে আসতে পারে। অনেক মাইনষের মনে অনেক-পুরানা আর্ট ফ্যাণ্টাসি আছে আর তারা আসলেই তাদের সাথে স্টিক করে।

[youtube id=”xzA1KDxKXZw”]

“কিন্তু একজন বিখ্যাত আর্টিস্ট হওয়ার লাইগা আপনারে এমন একটা কিছু করতে হইতো যেইটা ছিলো ‘ডিফরেন্ট’। আর এইটা যদি ‘ডিফরেন্ট’ থাকে, তারমানে আপনি একটা রিস্ক নিছেন, কারণ ক্রিটিকরা কইতে পারতো যে এইটা বাজে ছিল, ভালো বলার চাইতে।”

“পয়লা কথা হইলো,” আমি কইলাম, “তারা এমনিতেই কইছিলো যে এইটা বাজে। আর দুসরা কথা হইলো, যখন আপনি বলেন যে আর্টিস্টরা ‘রিস্কগুলা’ নেয়, এইটা একটা অপমান করা সেই মানুষগুলিরে যারা ডি-ডে’তে ল্যান্ড করলো, স্টান্টম্যানদেরকে, বেবি-সিটারদেরকে, এভিল কিনভিল’রে, সৎ-মেয়েদেরকে, কয়লা খনি-শ্রমিকদেরকে, বিনা-ভাড়ার যাত্রীদেরকে, কারণ তারাই হইলো একমাত্র যাঁরা জানে ‘রিস্ক’ কি জিনিস।” শে আমারে শুনেও নাই, শে তখনও চিন্তাই করতেছিল কি গ্ল্যামারাস ‘রিস্কগুলা’ আর্টিস্টরা নেয়।

“তারা সবসময় বলে যে নতুন আর্ট কিছুটা সময়ের লাইগা বাজে, আর সেইটাই হইলো রিস্ক – এইটাই হইলো পেইন যেইটা আপনারে ফেইমের লাইগা নিতে হয়।”

তারে আমি জিগাইলাম শে কেমনে কয়, “নতুন আর্ট।” “কেমনে আপনি জানেন এইটা নতুন কিনা? নতুন আর্ট তো কখনোই নতুন না যখন এইটা করা হয়।”

“ও হ্যাঁ, এইটা তো তা-ই। এইটার একটা নিউ লুক থাকে যা আপনার চোখগুলি প্রথমে অ্যাডজাস্ট করতে পারে না।”

জানলার নিচে হেয়ারপিনের কার্ভটাতে আবার গাড়িগুলার আওয়াজের লাইগা আমি ওয়েট করতেছিলাম। বিল্ডিংটা একটু দুলতেছিলো। আমি অবাক হইতেছিলাম বি এত সময় কেন নিতেছে।

“না,” আমি কইলাম। “এইটা নতুন আর্ট না। আপনি জানেন না এইটা নতুন। আপনি জানেন না এইটা কী জিনিস। দশ বছর পার না হইলে এইটা নতুন হইতে পারে না, কারণ এইটারে তখন নতুন দেখায়।”

“তাইলে এই মুহূর্তে নতুন কি?” আমারে জিগাইলো শে। ঠিক কোনকিছু আমি মনে করতে পারতেছিলাম না, সুতরাং আমি কইলাম যে আমি কমিট করতে চাইতেছি না।

“তাইলে এখন সেইটাই নতুন যা দশ বছর আগে ঘটছিলো?”

এইটা খুবই স্মার্ট ব্যাপার। আমি কইলাম, “মেএএএএএএএএবি”

“এইটাই সেই কথা যেইটা লেসবিয়ানটা কইতেছিল লাঞ্চের সময়। শে কইতেছিল যে খুব বুদ্ধিমান ফরাসি লোকেরা যারা কালচারাল সবকিছু নিয়া ইন্টারেস্টেড, মর্ডান আম্রিকান আর্টিস্টদের নাম জানে না। তারা এখন খালি জেসপার জোনস আর রসেনবার্গ’রে জানতেছে। কিন্তু আমি যেইটা জানতে চাই, যখন লোকজন বলতো যে আপনার মুভিগুলা আর আর্ট কি রকমের খারাপ, এইটা কি আপনারে বদার করতো? এইটা কি আপনারে কষ্ট দিতো পত্রিকা খোলা আর পড়া যে আপনার কাজগুলা কি রকমের বাজে?”

“না”

“এইটা আপনারে বদার করতো না যখন একজন ক্রিটিক কইতো যে আপনি পেইন্ট করতে পারেন না?”

“আমি কখনোই পেপার পড়ি না।” আমি কইলাম। লিফট-ওভার এর টাইমটা আবার শুরু হইলো তখন।

“এইটা সত্যি না,” অদ্ভুতভাবে চেঁচাইয়া উঠলো সে, বাইরের আওয়াজের চাইতে আরো জোরে। “সব সময় আমি আপনারে পেপার পড়তে দেখি।” শে রুমের চারদিকে নিউজপেপার আর ম্যাগাজিনের থাকের দিকে তাকাইলো। “আপনি এনাফ কিনেন এইগুলা।”

“আমি খালি ছবিগুলা দেখি, এট্টুকই।”

“বইলা ফেলেন। রিভিউগুলা পড়ার পরে আমি আপনারে আপনার কমেন্ট করতে শুনছি।”

ঠিক আছে, আমি কখনোই পেপার পড়তে অভ্যস্থ না, বিশেষ কইরা আমার নিজের কাজের রিভিউগুলা। কিন্তু এখন আমি যা কিছু প্রডিউস করছি তার প্রতিটা রিভিউ সাবধানে পড়ি – মানে, সবকিছু যেইখানে আমার নাম আছে।

“যখন আমি নিজে আমার কাজগুলা করতাম,” ডেমিয়েনরে আমি ব্যাখা করলাম, “কোন রিভিউ বা আমার নিজের কোন পাবলিসিটি আমি কখনোই পড়ি নাই। কিন্তু তারপর যখন আমি জিনিসগুলা করা বন্ধ করলাম এবং বানানো শুরু করলাম, তখন আমার জানাটা দরকার লোকজন কি কইতেছিল সেইগুলা নিয়া কারণ এইটা পারসোনাল কিছু না আর। এইটা একটা বিজনেস ডিসিশান যা আমি নিছি, যেইসব জিনিস আমি বানাই সেই জিনিসগুলার রিভিউগুলা পড়াটা, কারণ কোম্পানীর হেড হিসাবে, আমি মনে করতাম অন্য লোকের কথা ভাবতে হবে আমারে। সুতরাং আমি ক্রমাগত নতুন পদ্ধতিগুলার কথা ভাবতাম একই জিনিস ইন্টারভিউয়ারদের কাছে নতুনভাবে প্রেজেন্ট করার লাইগা, এইটা আরেকটা কারণ যেইজন্য আমি এখন রিভিউগুলা পড়ি – আমি এইগুলা পড়ি আর দেখি কেউ আমাদেরকে কিছু বলছে কিনা বা আমাদেরকে নিয়া কিছু বলছে কিনা যা আমরা ইউজ করতে পারি। যেমন আজকে একটা ফরাসি পেপার আমার টেপ রেকর্ডারটারে খুবই ভালো একটা নাম দিছে – একটা ‘ম্যাগনেটোফোন’।”

নিউজপেপারের গাদার দিকে আমি গেলাম আর যেইটা নিয়া আমি বলতেছিলাম সেইটা পাইলাম। “এইটা পেপারে সুন্দর দেখাইতেছে না? ডিফরেন্ট। একই জিনিসের লাইগা নতুন একটা শব্দ।”

“আপনি কি লিজ টেলরের মুভি’তে আপনারে নিয়া রিভিউটা পড়ছেন?”

This 1964 Andy Warhol lithograph entitled "Liz" is signed by the artist. It reads, "To Elizabeth with much love" in felt-tip pen.

This 1964 Andy Warhol lithograph entitled “Liz” is signed by the artist. It reads, “To Elizabeth with much love” in felt-tip pen.

“অবশ্যই না, কারণ এইটা এইরকমকিছু যা আমি নিজে করছিলাম সুতরাং আমি জানতে চাই না যে কেউ এইটা নিয়া কি ভাবে। আমি বি রে কইছিলাম আমারে দেয়ার আগে ওইটারে ছিঁইড়া ফেলতে।”

“আপনি কইছিলেন যে আপনি ‘কিছুটা বিরক্তিকর, একটা সরীসৃপের মতো।’”

আমারে শে যাচাই করতেছিল, যে যখন আমি আমার সম্পর্কে এইসবকিছু শুনি আমি আসলেই পাত্তা দেই কিনা। আসলেই দিতাম না। এমনকি আমি জানতামও না যে “একটা সরীসৃপের মতো” বলতে কি বোঝায়। “এইটা কি মিন করে যে আমি পিছলা?” আমি তারে জিগাইলাম।

“এইখানে সরীসৃপের কিছু ব্যাপার আছে,” শে কইতেছিল। “ অন্যকিছু বাদ দেন। ওরা হইলো একমাত্র প্রাণী যারা টাচ করা পছন্দ করে না।” বলতে বলতেই শে তার চেয়ার থিকা লাফ দিয়া পড়লো। “আপনারে ছুঁইলে ত আপনি মাইন্ড করবেন না, তাই না?” আমার দিকে আসতেছিল শে।

“হ্যাঁ! হ্যাঁ! আমি করবো!” শে আসতেই থাকতেছিল। আমি জানতাম না তারে কেমনে থামাইতে হবে। আমি প্যানিকড হয়া গেলাম আর চিৎকার করলাম, “ইউ আর ফায়ারড!” কিন্তু এইটা কোন কাজই করলো না কারণ শে আমার লাইগা কাজ করে না। এইটা একটা কারণ যার লাইগা যেই বি’রা আমার সাথে কাজ করে তাঁদের সাথে থাকতে পছন্দ করি। শে তার আঙুল আমার কনুইয়ে রাখছিলো আর আমি চেঁচাইয়া উঠছিলাম, “ডেমিয়েন, আমার থিকা তোমার হাত সরাও!”

শে কাঁধ ঝাঁকাইলো আর কইলো, “আমি কি ট্রাইও করতে পারবো না।” শে তার কর্ণারে হাঁইটা গেলো। “লোকজন তোমারে টাচ করলে তুমি ঘৃণা করো। যখন আমি তোমারে প্রথম দেখছিলাম আমার মনে আছে, আমি তোমার লগে লাগতে গেছিলাম আর তুমি লাফ দিয়া ছয় ফুট দূরে চইলা গেছিলা। এইটা কেন? তুমি কি জীবাণুর ভয় পাও?”

“না। আক্রমণরে আমি ভয় পাই।”

“গুলি খাওয়ার পরে তুমি এইরকম হয়া গেছো?”

“সবসময় আমি এইরকম। আমি সবসময় আমার চোখের একটা কোণা খোলা রাখার চেষ্টা করি। আমার পিছনে দেখি, আমার সামনে আমি দেখি সবসময়। তারপর আমি নিজেরে ঠিকঠাক করি – সবসময় না। সাধারণত আমি ভুইলা যাই, কিন্তু আমি করতে চাই।”

জানালার দিকে হাঁইটা গেলাম আমি। আমরা চৌদ্দতলার উপ্রে আছিলাম। এইটাই সবচে উঁচা জায়গা যেইখানে আমি এখন পর্যন্ত ঘুমাইছি। সি-লেভেলের চাইতে সবচে উঁচাতে না, কিন্তু একটা বিল্ডিংয়ের সবচে উঁচাতে। আমি সবসময় কই একটা হাই-রাইজের সবচে উঁচা ফ্লোরে থাকতে আমি কিরকম ভালোবাসি, কিন্তু তারপর যখন আমি জানলার কাছে যাই, আমি আর এইটা সামলাইতে পারি না। আমার সবসময় পইড়া যাওয়ার ভয় হয়। এইখানের জানালাগুলি ফ্লোরের এত কাছে নাইমা আসছিল যে আমি রাতের আগে মেটাল শাটারগুলি লাগাইয়া দিছিলাম। ধনী মানুষদের খালি আরো উপ্রে থাকার আইডিয়াটা আমি বুঝতে পারি না। আমি শিকাগোর একটা কাপলরে চিনি যারা একটা হাই-রাইজ বিল্ডিংয়ে থাকতো আর তারপর যখন পাশে আরেকটা হাই-রাইজ উঠলো তখন ওরা ওইটাতে মুভ করলো। আমি জানালা থিকা দূরে সইরা আসি। হইতে পারে এই উঁচায় থাকার ভয়টা একটা কেমিক্যাল সমস্যা।

আমি সবসময় প্রতিটা সমস্যারে কেমিক্যালে ফিরাইয়া নিয়া আসি, কারণ আমি আসলেই ভাবি যে সবকিছু শুরু আর শেষ হয় কেমিক্যালে।

“তাইলে তুমি কি কইতে চাও যখন তুমি বড় হও তখন তোমার বোধ-বুদ্ধি বাড়ে না?” বি কইলো যখন শে রুমের ভিতর ঢুকলো।

“হ্যাঁ,” আমি কইলাম। “সেইটা হয়। সেইটা হইতে হয়, তোমার এমনেতেই বোধ-বুদ্ধি বাড়ে।”

বি কইলো, “কিন্তু তুমি যদি এইটার পুরাটাই জাইনা ফেলো, তোমার আর ভাল্লাগবো না আর তুমি বাঁইচা থাকতে চাইবা না।”

“তুমি চাও না?” আমি কইলাম।

“ঠিক কথা।” বি’র সাথে একমত হইলো ডেমিয়েন। “তোমার জ্ঞানী হওয়টা, তোমারে তো আরো সুখী করে না। তোমার মুভিগুলার একটা মে এইরকম কইতেছিল যে ‘আমি স্মার্ট হইতে চাই না, কারণ স্মার্ট-হওয়াটা আমারে ডিপ্রেসড করে’।”

শে ফ্লেশ-এর গেরি মিলার’রে কোট করতেছিলো। স্মার্ট হওয়াটা আপনারে ডিপ্রেসড করতে পারে, অবশ্যই, যদি যেই বিষয়ে আপনি স্মার্ট সেই বিষয়ে আপনি স্মার্ট না হন। এই ভিউ পয়েণ্টটা ইর্ম্পটেন্ট – বুদ্ধিমত্তা না, সম্ভবত।

[youtube id=”mXbUzYdNv7w”]

“তুমি কইতেছো যে তুমি গতবছরের চাইতে এইবছরে বেশি জ্ঞানী?” বি আমারে জিগাইলো।

আমি তা-ই কইতেছিলাম, এই কারণে আমি কইলাম, “হ্যাঁ।”

“কেমনে? এই বছরে তুমি এমন কি জানলা যা তুমি আগে জানতা না?”

“কিছুই না। এই কারণে আমি জ্ঞানী। কোনকিছু না জানার আরেকটা বাড়তি বছর।”

বি হাসতেছিল। ডেমিয়েন হাসতেছিলো না।

“আমি বুঝলাম না” শে কইলো। “কারণ আপনি যখন আরো কিছু না জানতে থাকেন, এইটা বাঁইচা থাকার লাইগা আরো কঠিন।”

কোনকিছুই-না’রে জানাটা এইটারে কঠিন কইরা তোলে না, এইটা আরো সহজ করে, কিন্তু বেশিরভাগ লোক ডেমিয়েনের ভুলটা করে যে এইটা আরো কঠিন করে। এইটা খুব বড় একটা ভুল।

শে কইলো, “আপনি যদি জানেন জীবন কিছুই না, তাইলে কেন বাঁইচা থাকবেন?”

“কোনকিছুর লাইগাই না।”

“কিন্তু আমি একজন নারী হইতে ভালোবাসি। এইটা কিছুইনা না।” শে কইলো।

“নারী হওয়াটা পুরুষ হওয়ার মতোই কিছুইনা। যে কোন ভাবেই আপনারে ছাঁইচা ফেলতে হবে আর এইটা একটা বিশাল কিছুইনা। ঠিক?” আমি ওভার-সিমপ্লিফাই করতেছিলাম, কিন্তু এইটা সত্যি।

ডেমিয়েন হাসছিল। “তাইলে আপনি কেন পেইন্টিংগুলা বানাইতে থাকেন? আপনি মরলে আপনার চারপাশে ত এইগুলা টানানো থাকবো।”

“এইটা কিছুই না।” আমি কইছিলাম।

“এইটা একটা আইডিয়া যেইটা চলতেই থাকবো।” শে জোরাজুরি করতেছিল।

“আইডিয়া হইলো কিছুইনা।”

হঠাৎ কইরা বি নিজের চেহারাটা ধূর্ত কইরা ফেললো। “ঠিক আছে, ঠিক আছে। আমরা এগ্রি। তাইলে জীবনের একমাত্র পারপাস হইলো – ”

“কিছুই না।” আমি তারে আটকাইয়া দিলাম।

কিন্তু এইটা তারে থামাইতে পারে নাই। “- যতবেশি পসিবল ফান করা।” এখন আমি বুঝতেছিলাম সে কি করতে চাইতেছে। সে আমারে ইশারা করতেছিলো ওইদিন বিকালের “খরচাপাতির” লাইগা কিছু ক্যাশ ওদেরকে দেয়ার লাইগা।

“যদি আইডিয়া কিছুইনা হয়” বি কইতে থাকলো, আলগাভাবে ওর যুক্তিগুলা সাজাইলো, “আর অবজেক্টগুলা কিছুইনা হয়, তাইলে যখনই তুমি কিছু টাকা পাইবা তুমি খালি খরচ কইরা দিবা যাতে যত ভালো-সময় তুমি পার করতে পার।”

“ঠিক আছে,” আমি কইলাম, “এইটার কোন মানে নাই যদি তুমি বিশ্বাস না করো যে কিছুইনা হইলো কিছুই না। তোমারে ধইরা নিতে হবে যেন কিছুইনা হইলো একটাকিছু। কিছুইনা থিকা কিছুএকটা বাইর করতে হইবো।” এই কথা তারে ট্র্যাক থিকা বাইর কইরা দিল।

“কি???”

আমি প্রতিটা শব্দ রিপিট করলাম, যেইটা ছিল খুবই কঠিন। “এইটার কোন মানে নাই যদি তুমি বিশ্বাস না করো যে কিছুইনা হইলো কিছুই না। তোমারে ধইরা নিতে হবে যেন কিছুইনা হইলো একটাকিছু।” বি’র চোখ থিকা ডলার সাইনগুলা পিছলাইয়া গেলো। যখনই অর্থনীতির প্রসঙ্গ আসে তখন অ্যাবসট্রাক্ট হয়া যাওয়াটা সবসময়ই ভালো।

“ওকেই, ধরেন আমি কিছুইনা’তে বিশ্বাস করলাম,” ডেমিয়েন কইলো। “আমি নিজেরে কেমনে একজন অভিনেত্রী হওয়ার লাইগা বা একটা নভেল লেখার লাইগা কনভিন্স করবো? খালি একটাভাবেই আমি একটা নভেল লেখতে পারি যখন বিশ্বাস করতে পারি যে এইটা একটাকিছু হইতে যাচ্ছে, ওই বইটাতে আমার নাম থাকার লাইগা, বা একজন বিখ্যাত অভিনেত্রী হওয়ার লাইগা।”

“আপনি একজন কিছুইনা অভিনেত্রী হইতে পারেন।” আমি তারে কইলাম, “আর যদি আপনি সত্যিই কিছুইনা’তে বিশ্বাস করেন তাইলে আপনি এইটা নিয়া একটা বই লিখতে পারবেন।”

“কিন্তু বিখ্যাত হইতে হইলে আপনারে ত কোনকিছু নিয়া একটা বই লিখতে হবে যেইটা লোকজন কেয়ার করবে। এ, আপনি কইতে পারেন না যে সবকিছু হইলো কিছুইনা।” এখন শে আপসেট হয়া যাইতেছিল, কিন্তু শে চিন্তা করতে চাইতেছিল, এমন একটা রাস্তায় আসতে চাইতেছিল যেইখানে শে বলতে পারে যে, কোনএকটা কিছু হইলো কোনএকটাকিছু।

আমি রিপিট করছিলাম, “সবকিছু হইলো কিছুইনা।”

“ওকেই,” শে কইলো, “ধরেন আমি আপনার সাথে একমত হইলাম। তাইলে সেক্স হইলো কিছুইনা!”

“সেক্স হইলো কিছুইনা, ঠিক। একদম ঠিক।”

“কিন্তু এইটা ঠিক না। কেন লোকজন এইটা এতবেশি চাইবো যদি এইটা কিছুইনা হয়।”

প্রত্যেকে সেক্স সম্পর্কে তাদের নিজেদের কনক্লোশনে আসবে – এইটা এমন একটাকিছু যা যুক্তি দিয়া আপনি তাদেরকে বুঝাইতে পারবেন না। কিন্তু জাস্ট এক্সাসারাইজের লাইগাই আমি কইলাম, “কি হয় যখন আপনি সেক্স করেন, ডেমিয়েন?”

এক সেকেন্ডের লাইগা চিন্তা করলো শে আর কইলো, “আমি ঠিক জানি না, এইটা ভালো, আপনি অন্য আরেকটা মানুষের শরীররে ফিল করতে পারেন, আপনার ইমোশন কোন না কোনভাবে জড়িত হয়, আমি জানি না, আপনি জাস্ট অন্যরকম ফিল করবেন অন্য বাকি সময়ের চাইতে।”

“আর তখন আপনার হয়া যায়,” আমি কইলাম।

“আর তখন আপনার হয়া যায়, ওকেই। কিন্তু আপনি অন্যরকম ফিল করেন, যদি আপনার না-ও হয়। এইটা স্বাভাবিক আর প্রাকৃতিক মনেহয়। আর অন্যরকম – পরে যখন আমি ভাবি এইটা নিয়া আমি বিশ্বাস করতে পারি না যে আমি এইটা করছিলাম।” শে হাসলো।

“দেখেন,” আমি কইলাম। “ধরেন আপনি ভাবলেন যে এইটা আসলেই একটাকিছু আর যে লোকটার সাথে আপনি সেক্স করলেন সে ভাবলো যে এইটা ছিল কিছুইনা।”

দেইখা মনে হইলো ডেমিয়েন কষ্ট পাইছে এখন। আমি বুঝতে পারতেছিলাম যে শে আমার হাইপোথ্যাটিক্যাল কেইসটারে পারসোনালি নিয়া নিছে। “ঠিক আছে, যদি ওই লোকটা মনে করে এইটা কিছুইনা, তাইলে সে কেন আবার আমার কাছে শুইতে আসবে?”

“কারণ,” আমি ব্যাখ্যা করলাম, “সে ভাবছিলো এইটা কিছুইনা আর ভাবছিলো যে এইটা এইটাকিছু, এই কারণে। একই কারণে আপনিও এইটা আবার করতেছেন। সে কিছুই করতে পছন্দ করে না আর আপনি কিছুএকটা করতে পছন্দ করেন।”

বি কইলো, “তাইলে এইটা চইলা আসলো যে একজন মানুষ কি ভাবে: অন্যভাবে কইতে গেলে, এইখানে আসলেই অবজেক্টিভ কিছু নাই। সবকিছুই সাবজেক্টিভ। আমি হয়তো বলতে পারি, ‘এইটা কি কিছুই ছিলো না যা আজকে আমরা করছিলাম?’ অন্য আরেকজন মানুষ হয়তো বলতে পারে তারা যা ভাবলো, কিন্তু অ্যাকচুয়ালি একই জিনিসই ত ঘটতেছে – একই ঠোঁট একই ঠোঁটরে চুমা খাইলো। একটা ক্যামেরা হয়তো একইভাবে দেখাইলো, তুমি কি ভাবলা এইটা কোন ব্যাপারই না।”

“কি দেখাইলো?” আমার মন সবসময় আওলাইয়া যায় যখন আমি “অবজেক্টিভ” আর “সাবজেক্টিভ” এর মতো শব্দগুলা শুনি – আমি কখনোই বুঝতে পারি না লোকজন কি বলতেছে, আমার জাস্ট এইটা বোঝার ব্রেইন নাই। “কি দেখাইলো?” আমি আবার জিগাইলাম।

“দুইজন মানুষ চুমা খাইতেছে।”

“দুইজন মানুষ চুমা খাইতেছে,” আমি কইলাম, “সবসময় তাদেরকে মাছের মতো লাগে দেখতে। দুইজন মানুষ চুমা খাইতেছে, এনিওয়ে, এইটা কি মিন করে?”

ডেমিয়েন কইলো, “এইটা বোঝায় যে, তুমি অন্য মানুষকে এনাফ ট্রাস্ট করো যেই কারণে তাদেরকে তুমি টাচ করতে দাও।”

“না, এইটা না। মানুষজন মানুষজনরে যখন চুমা খায় তারা সবসময় ট্রাস্ট করে না। বিশেষ কইরা ইউরোপে আর পার্টিগুলিতে। সবার কথা চিন্তা করো, যাঁদেরকে আমরা চিনি যাঁরা যে কাউরে চুমা খাবে। এইটা কি মিন করে যে তারা ‘ট্রাস্ট করতেছে’?”

“আমার মনেহয়, হ্যাঁ।” বি কইলো। এই বি’টা ছিল গোঁয়ার। “তারা অনেক মানুষরে ট্রাস্ট করে, এইটাই সব।”

বি ডেমিয়েনরে চুমা খাইলো। চুমা-খাইতে থাকা দুইজন মানুষরে দেখতে মাছের মতো লাগে।

 

The following two tabs change content below.
Avatar photo
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →