Main menu

কোন বাংলায় লেইখা কার মুরিদ হইলেন?

বায়েজিদ বোস্তামী জিগাইছেন, ‘প্রমীত’ বাংলায় যারা লেখেন তাগো প্রমথ চৌধুরীর মুরিদ কইবেন কিনা। এইটা জিগাইছেন কারণ, তার লেখার ভাষার ব্যাপারে ‘প্রমীত’ বাংলার লেখকরা ব্রাত্য রাইসুর নাম টাইনা আনেন প্রায়ই। এমন মুশকিলে পড়েন মুরাদুল ইসলামও।

বোস্তামী ভাল কথাই তুলছেন; কিন্তু প্রমীত এবং মুরাদ বা বোস্তামী বা আরো অনেকেরই লেখার বাংলা লইয়া আরো কয়েকটা ইস্যু আছে, ‘প্রমীত’ বাংলা কোনটা সেই আলাপেও। [pullquote][AWD_comments][/pullquote]

বাংলার ব্যাপারে রাইসুর পজিশন হইলো, ‘মুখের ভাষা’। এই পজিশন লইয়া প্রমীতের গা চুলকাইয়া দেন উনি, তার বেশি কিছু না; মুখের বুলিই যখন প্রমীত তখন ওনার পজিশন লইয়া আপনে প্রমীতেই লিখবেন।

আপাতত এই পজিশন একটু স্পেস চায় যেন, নিজের মতো লিখতে পারলেই খুশিতে বগল বাজাইতে থাকে, প্রমীত একটু আদর মাখাইয়া হাসে। খেয়াল কইরা দেখেন, রাইসু আর মানস চৌধুরীর পজিশন কিন্তু একই, মানসও তার মুখের ভাষাতেই লেখেন :)! প্রমীতে যখন কথাই কইতে পারেন মুখে, তখন মুখের ভাষায় লেখার মানে প্রমীতে লেখাই হইতে পারতেছে। আবার, মুখের ভাষাও তো সমাজই লেইখা দিছে আপনের মনে–লেখার ভাষাই তো হইলো তাইলে। আবার ধরেন, আমি কইলাম, লেখা বা কওয়া দুইটাই তো আসলে কাম, আমি একটা কামের ভাষা চাইতেছি, তখন মুখের ভাষারে কামের ভাষা হিসাবে দাবি করবেন কেমনে?

প্রমীতের গা চুলকাইয়া দেবার বেশি কিছু হইলে বড় জোর অনেক কিসিমের পলিটিক্যাল বেকুবির একটা হইয়া থাকে এই মুখের ভাষার পজিশন। কারণ, এইটার এজেন্ডা পুচকে এনার্কিজম–ক্রিয়ার কান মোচড়াইয়া দিয়াই পাইয়া যাইতেছে সব সুখ; এইভাবে প্রমীতের জবরদখল ঠেকাইতে পারবেন না।

এদিকে প্রমীতের ব্যাপারে যেই সব কথা কয় লোকে তাতে মহা ঝামেলা আছে। এইটা নাকি নদীয়া এলাকার মুখের বুলিই! ভুল। এইখানেও আপনে মুখের ভাষার পজিশন লইয়া চিপায় পড়বেন; কারণ, কলোনিয়াল এলেম/ছবক পাইয়া নদীয়া বা কোলকাতার শিক্ষিতরা প্রমীতে কথা কইতেই পারেন মানস চৌধুরীর মতো। তাতে ছোট একটা ক্লাস বা গোষ্ঠীর মুখই দেখলেন আপনে, তাতে একটা এলাকার আমজনতার মুখের হিসাব হইলো না।

‘ঘর বানাই’ না কইয়া নদীয়ার বা ঢাকার বা বরিশালের বা কোলকাতার শিক্ষিতরা ‘গৃহ/ঘর নির্মাণ করি’ কইয়া প্রমীত হইতে পারেন। কামাই না কইয়া কইতে পারেন ‘উপার্জন’, কসমের বদলে ‘প্রতিজ্ঞা’, কিসিমের বদলে ‘প্রকার’, ঢোকারে ‘প্রবেশ’, ডিসিরে তরজমা কইরা কইতে পারে ‘জেলা প্রশাসক’, কামলা আর লেবারকে ‘শ্রমিক’, তরজমারে ‘অনুবাদ’, টেলিভিশনরে ‘দূরদর্শন’, খতমরে ‘সমাপ্ত’ বা ‘হত্যা’, মওকারে ‘সুযোগ’, ধান্দারে ‘অভিসন্ধি’। কিন্তু ঐ গোষ্ঠীর বাইরের লোকেরা ঐগুলা কয় না, লেখেও না। ঐ গোষ্ঠীর লোকেরাও অশিক্ষিতের লগে বাতচিত করার বেলায় ঐগুলা কয় না।

কেউ কেউ কইতে পারেন, এইটা তো ভোকাবুলারির ব্যাপার! তাই কি? একটা ভাষার বেশির ভাগ লোকে যেই শব্দগুলা কয়, বোঝে সেইগুলার বদলে আপনে অন্য সব শব্দ দিয়া কথা কইলেন, এইটা ভোকাবুলারির মামলা না, এইটারে কয় ডিনাই করা, ঘেন্না করা। এমন ঘেন্না আর ডিনাই করা আপনে রাইসুর মুখের ভাষায়ও পাইবেন কিন্তু :)! রাইসুর কবিতায় পাইবেন ‘স্তন’, এইটা কার মুখের বাংলা? সমাজে পাইবেন মাই, বুক বা ব্রেস্ট, দুধও পাইবেন। এমনকি প্রমীতের মুখেও স্তন তেমন নাই। তেমনি ‘চুমু’ খান উনি, চুমাইতে পারেন না। রাইসুর লেখা পড়ার টাইমে খেয়াল কইরা দেইখেন (যেমন ‘অবধারণ’ লেখেন উনি) আমজনতার ভোকাবুলারিতে ঘেন্না কতটা শেয়ার করেন উনি প্রমীতের লগে। আমজনতার কমন বাংলায় উনি লেখেন না, কয়েকটা ভঙ্গিমা ইউজ করেন মাত্র–একটু গুতা দিলেন আর কি, ভাড়ামি করলেন একটু–সালাউদ্দিন লাভলু যেমন ভাড়ামি করতে বগুড়া বা কুষ্টিয়ার ভঙ্গিমা ইউজ করেন, বা ঈদের নাটক যেমন হয়–নোয়াখালীর পোলা, বরিশালের মাইয়া! বা অনেকেই যেমন কথায় রস আনলে সাধু বাংলা ইউজ করেন, রাইসুও যেমন লেখেন, ‘আলজিভের প্রকটন’।

তো, এই ঘেন্নাটা কই থিকা আইলো? আমজনতার বাংলা ডিনাই কইরা কি হইতে চান এনারা?

এইটার গোড়ায় পাইবেন রেসিজম। কলোনিয়াল টাইমে ব্রাহ্মণ/বামুন আর কায়স্থরা নিজেদের ‘আর্য’ হিসাবে দাবি করতে তাগো বাংলায় সংস্কৃত ঢুকাইয়া আম/কমন বাংলারে খেদাইয়া দিছেন; কারণ, সংস্কৃত আর্যের বুলি। আর্য হইয়া এনারা ইংরাজের কাজিন (চাচাতো ভাই, খালাতো বইন না কিন্তু!) হইছেন। পরে মোসলমান বাঙালিরা ফার্সি-আরবি ঢুকাইয়া আম/কমন বাংলা খেদাইছেন। কারণ, ফার্সি-আরবি দিয়া আর্যের আরেকটা ডাল হিসাবে দাবি করা যাইতেছে নিজেদের। আরব-তুর্কি-পার্সি হিসাবে এখনো তো দেখেন কত কত জনের দাবি–আমাদের পলিটিক্যাল নেতারাও তো আছেন এই দলে। এর লগে আবার লাগালাগি কইরা আছে গায়ের রঙ। ফর্সা বিয়া করা থিকা গায়ের রঙ ফর্সা করার কত কত কসরত তো দেখেনই হামেশা! ঢাকা বা কোলকাতার নায়ক-নায়িকাদের দেখেন ফর্সা হইতে হয়, বাঙালির গড় গায়ের রঙ দিয়া হওয়া যাইতেছে না।

প্রমীত (প্রমথের আগের বিদ্যাসাগর বা মীর মশাররফের লেখাও) বাংলা তাইলে আম বাঙালিরে ডিনাই/অস্বীকার কইরা আর্য হইয়া ওঠা, তার লগে নিজ নিজ কম্যুনিটির এজেন্ডাও থাকতেছে। এইভাবে মার্ক্সের বাঙালি মুরিদরাও আসলে রেসিস্ট, প্রমীত বাংলা দিয়া নিজেদের আর্য হিসাবে দাবি করতে থাকে। ওয়েস্ট বেঙ্গলের বামফ্রন্ট দেখেন, পুরাই আর্য দাবি করা ব্রাহ্মণের দখলে।

তাইলে আর্যের রেসিয়াল ঘেন্না আর কম্যুনাল এজেন্ডার বাইরে আম বা কমন বাংলায় কি লেখা যায়? কই পাইবেন, আগে কি লেখা হইছে?

মুখে, লেখায়, গানে– সব খানেই কমন বাংলা আছিল, এখনো আছে। ‘মুখের ভাষা’ নামের পাতলা এনার্কিজমের অনেক আগে থিকাই আছে। এইটা সবচে বেশি পাওয়ারফুল হইয়া উঠছে ঢালিউডের ভিতর দিয়া। পরে টেলিভিশনে।

সিনেমা এমনই একটা খরচের ব্যাপার যে বাঙালি আমজনতারে পাত্তা দিতে হইছে, টিকেট বেচতে হবে তাগো কাছেও, নাইলে চালান ওঠে না। ঢালিউডের সবচে হিট সিনেমাগুলা হয় পুরাই কমন বাংলায়, বা গানগুলা কমন বাংলায়; বা আমজনতার ভোকাবুলারি বদলাইয়া দেওয়া প্রমীত বাংলা এড়াইয়া ডায়লগ দেওয়া হইতেছে। কখনো বা আমজনতার পুরানা কেচ্ছা-কাহিনি লইয়া সিনেমা বানাইয়া গান রাখা হইছে কমন বাংলার কাছাকাছি, ডায়লগে অসামাজিক সংস্কৃত শব্দ, সন্ধি-সমাস-প্রত্যয় এড়ানো হইছে।

রূপবান, বেদের মেয়ে জোছনা, সুজনসখি, সারেং বউ, গোলাপী এখন ট্রেনে, মোল্লা বাড়ির বউ, মনপুরা, আয়নাবাজি, দিন যায় কথা থাকের কথা ভাইবা দেখেন। ‘আছেন আমার মোক্তার, আছেন আমার বারিস্টার’, ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘কি যাদু করিলা’, ‘বনমালি তুমি’, ‘ হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস’, ‘তেল গেলে ফুরাইয়া’, ‘আমার কাঙ্খের কলসি’, ‘তুমি ডুব দিও না জলে কন্যা’ ‘যারে যা চিঠি লেইখা দিলাম’, ‘বন্ধু তুই লোকাল বাস’, ‘বুকটা ফাইট্টা যায়’, ‘প্রাণ সখিরে বাবলা বনের ধারে ধারে’, ‘কইও কইও গো ভ্রমর’, ‘আমি তিন দিন তোর’, ‘লোকে বলে বলে রে’–এইসবে কমন বাংলাটা পাইবেন পুরা।

https://www.youtube.com/watch?v=W-ba3KVyd3g

অনেকগুলা প্রাইভেট টিভি চ্যানেল হবার পরে আমজনতারে আবার লাগছে, তার আগে হুমায়ুনের নাটকও আর্য এজেন্ডার বাংলার বাইরে কমন বাংলার কাছেই। মীনা কার্টুনের বাংলা দেখেন। দেখাইতে হবে জনতারে, বুঝাইতে হবে। ২০০ বই বেচলেই যেমন খরচ উইঠা যায়, নাটক-সিনেমা তেমন না, ২০০ টিকিটের দামে সিনেমার একটা বিয়ার ড্রেসও হয় না, তাই আমজনতারে লাগে।

এইগুলার এজেন্ডা ‘মুখের ভাষা’ না, কমন বাংলা। বেচার দরকারেই এরা গণতান্ত্রিক হইয়া উঠছে। তাতেই আমাদের সুবিধা হইছে, আমাদের কাম এখন বাংলারে লইয়া রেসিজম আর কম্যুনাল এজেন্ডার বাইরে যাওয়া।

কিন্তু খেয়াল করেন, নাটক-সিনেমা বা অমন মুখের ভাষার এজেন্ডা লইয়া যারা কাম করতেছেন তারা সবাই এমন সব পলিটিক্যাল বোঝাপড়ার ভিতর দিয়া করেন নাই, বা করতেছেন না। কেমনে গেলেন তাইলে ঐ পজিশনে, বোঝাপড়া ছাড়াই? বা প্রায় মিলে যাইতেছে কেমনে দুই ভাবে পাওয়া বাংলাটা?

আগেই কইছি, বেচার দরকারে গণতান্ত্রিক হইতে হইছে অনেকেরই; প্রমীতের পক্ষের লোকেরাও বেচার দরকারে গণতান্ত্রিক হইছেন। আমজাদ হোসেন যেমন। বা মীনা কার্টুন। জনতারে বুঝাইতে হবে, টিকিট বেচতে হবে–গণতান্ত্রিক বাংলা ছাড়া উপায় নাই।

এর বাইরেও আমরা একটা গণতান্ত্রিক জমানায় আছি। খেয়াল করেন, ফেসবুকে পপুলিজমকে সবচে বেশি ঘেন্না করা লোকটাও লাইক গোণে, লাইক পাইলে খুশি হয়। আর কেউ বেশি লাইক পাইলে হিংসা করে, বেজার হয়, ইনফিরিয়রিটিতে ভোগে :)!

বেশি লাইক পাইতে হইলে বেশি লোকের কাছে যাইতে হবে, বুঝাইতে হবে, বেশি লোকের মজা পাইতে হবে। তাই কমন বাংলা ছাড়া উপায় কই!

ওদিকে টিভির বাইরেও দুইটা ঘটনা গত ২৫/৩০ বছরে বাংলাদেশে প্রমীতরে চাইপা ধরছে।

১. ইংরাজি মিডিয়াম সমাজের মিডল ক্লাসের পোলাপান দখল কইরা ফেলছে। এরা ক্লাসিক বাংলা লিটারেচার পড়বে না; আর সমাজেও যেহেতু নাই, প্রমীত বাংলা শেখেই না এরা, প্রমীত ভঙ্গি হয়তো শেখে, কিন্তু প্রমীতের ভোকাবুলারি শেখার উপায় নাই এদের। তাই আমজনতার লগে কথা কইতে কইতে এরা কমন বাংলাটাই শেখে/জানে। আবার, দেশের সব এলাকার মাইয়াপোলা ঢাকায় এক জায়গায় হয়, তাই কমন একটা বাংলা গজাইতে থাকে, যেইটা সিনেমা-নাটক-মীনা কার্টুনের মারফতে আগেই হইয়া আছে। এইটা সাবকনসাসে সবাই জানে, অটোমেটিক তারা কমন বাংলায় বাতচিত করতে থাকে, লেখেও, প্রপোজ করে। প্রমীত এদের কাছে হাসাহাসির মাল।

২. হিন্দি আসছে দেশে, কোলকাতায়ও। বাংলার মতো ধোলাই হিন্দিতে হয় নাই, করার তদবির যারা করছেন, সুবিধা করতে পারে নাই বলিউডের কারণে। থ্রি ইডিয়টস সিনেমায় চতুরের বক্তিমার কথা ভাবেন, বাংলার টাইপে প্রমীত হিন্দি কেমন হাসাহাসির মাল একটা।

তো, প্রমীত বাংলায় আমজনতার যেইসব শব্দ ভঙ্গি খেদাইয়া দেওয়া হইছে তার অনেকগুলাই আছে হিন্দিতে। পাকিস্তান আমলে যারা উর্দুর লগে দুশমনি করছেন তারাও এখন সেইসব উর্দুকেই হিন্দি হিসাবে চিনতেছে, তাই আর আপত্তি হইতেছে না :)! যেমন মাহফিল, ওয়াজ, ইশক, দিল, তুফান, দোয়া, খোদা, কাম, দোস্ত, বুলি, কসুর, খালাস, আজাদ, কসম, ওয়াক্ত, আওয়াজ, সুনসান, সালাম, রহমত, জামানা, আসমান, দরিয়া, কুরসি, কেচ্ছা-কাহিনি, মাফ, সাফ, সাচ্চা –এমন কয়েকশো পাইবেন মনে হয়। সুলতানি আর মোঘল শাসন আর আর্ট-কালচার হিন্দি-বাংলার ভিতর এইসব কমন বানাইয়া দিয়া গেছে।

এইসব কারণে সমাজে প্রমীত বাংলার সেই ইজ্জত আর নাই। আমজনতা বেশি খোলা, তারা রেসিজম বা কম্যুনাল এজেন্ডার বাইরে বাংলারে রাইখা ইংরাজি বা ফার্সি/হিন্দি বা সংস্কৃত নিতে পারে নিজেদের মাঝে বোঝাবুঝির মাপে। তাই ইন্টারনেট বা ডিজিটাল বা স্পেশাল, জজ, ডাইরেক্ট–এইসব ইংরাজি নিতে পারে সোজাসুজি, সংস্কৃত বা ফার্সিতে তরজমার দেমাগ নাই তার, কম্যুনাল এজেন্ডার বাইরে থাকে জনতার বাংলা।

আগে যেই লোক সমাজে ইজ্জত কামাই করতে প্রমীত কইতেন, সেই লোক সেই ইজ্জতের লোভেই এখন হিন্দি-ইংরাজি মিলানো বাংলায় কথা কইবে। ইজ্জতের এই লোভীদের দলেই হয়তো মুখের ভাষার ঐ দল পড়ে। আবার মোঘল-হিন্দি-ইংরাজি ঢোকার ইতিহাসের কারণেই নতুন এই ইজ্জতি বাংলাটা সেই আদি আমজনতার বাংলার কাছেই। এই হইলো মিলের গোপন কথা।

মোটের উপর, ইতিহাসের এমন একটা জমানায় আমরা আইসা পড়ছি যে, আমজনতার কমন বাংলা প্রমীতের দখল থিকা মুক্তি আইনা দেবে জনতারে। কালা-খাটো মোশারফ করিম, চঞ্চল, বাবু বা হাসান মাসুদদের নায়ক হইতে পারা জনতার সেই জয়টারেই দেখাইয়া দিতেছে। তখনো প্রমীত বাংলা থাকবে, কতগুলা মানুষের ‘মুখের ভাষা’ হিসাবে, মুখের ভাষায় লিখবেনও অনেকে। ছোট ছোট এনার্কিজম পাওয়ারের ফূর্তির কারণ, পাওয়ারের গা বেশি চুলকায়। আমজনতার কমন বাংলা কোনদিন যদি আজকের প্রমীতের মতোই অন্য বাংলারে চড়-থাপ্পড় দিতে চায় তখন যদি নোয়াখালী বা বগুড়া বা বরিশালের যুদা যুদা বাংলা আর না থাকে, প্রমীত সেই মুখের ভাষাটা লাগতে পারে তখন। সেইটা দেইখা বাংলা যে হরেক কিসিমের সেই খবরটা কেউ কেউ যেন পাইতে পারে!

১৮-১৯ এপ্রিল ২০১৭

The following two tabs change content below.
Avatar photo

রক মনু

কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →