Main menu

এডিটোরিয়াল: এপ্রিল, ২০১৯

দেশে বহু কিছিমের বা ক্লাশের (ইংরাজিতে ক্লাস, বাংলায় ক্লাশ) মাইয়া থাকলেও সবাই-ই যে মাইয়া হিসাবেই বহু ঝামেলায় পড়েন, রেপ-খুন হইতেছেন দেদার, এইটা তো সত্য। ভিন ক্লাশের মাইয়ার মুসিবত পেরায়ই খুব যুদা, তাই সব ক্লাশের মাইয়ার কাছে একই রেসপন্স আশা করা ঠিক হবে না। কড়া বামেরা দেখা গেল, মাঝের ক্লাশ এবং তার উপরের মাইয়াদের মুসিবত পাত্তাই দিলো না বা কড়া কিছু ফেমিনিস্ট হয়তো মুসিবতের যে ক্লাশ বা জাতের ডাইমেনশন আছে, সেইটা মানতেই নারাজ, নিজেদের সমাজ-কালচারের দুনিয়ায় যেই সব মুসিবতে পড়েন, সেইগুলাই হয়তো সব কিছিমের মাইয়ার জিন্দেগিতে আছে বইলা দাবি করেন! তেমন দাবি না থাকলে তো একই ফয়সালার কথা ভাবতেন না তারা![pullquote][AWD_comments][/pullquote]

ওদিকে, আরেকটা বিরাট দল তো আছেই আমাদের সমাজে যারা মাইয়াদের মুসিবত যে আদৌ কতগুলা আছে, সেইটাই মানেন না! আমাদের রাষ্ট্রও তো ঘোর দুশমন মাইয়াদের; কোটা টাইপের কিছু পোস্টার পলিসি দেইখা আমরা অস্বীকার করতে পারবো মাইয়াদের উপর আইনের লোকের হাতে টর্চার, সরকারি দলের হামলা, রেপ-ভিকটিমের জিন্দেগি দোজখ বানাইয়া তোলা, বান্দি বা বউদের দেদার পিটানি, বউয়ের কান্ধে বাচ্চাদের ফালাইয়া উধাও হইয়া যাওয়া বাপ, ভাইদের দখল থিকা জমি-জিরাত লইতে না পারা, তালাক দেবার হক না থাকা এমন কত কি!

এখন এই বহু কিছিমের মাইয়া এবং তাদের বহু কিছিমের মুসিবত মনে রাইখা আমরা যদি ‘গা ঘেঁষে দাঁড়াবেন না’ টি-জামা লইয়া ভাবি, কেমন হয়? তখন কি পজিশন লইবেন আপনে?

ওকে। ছবিটা দেখেন, প্রথম আলো’র একটা খবরের লগে ছাপা হইছিলো। খবরের হেডলাইন এমন: সৌদি নিয়োগকর্তাদের অত্যাচার কবে বন্ধ হবে?

মানবজমিনের এক খবরের একটা পাট পড়েন নিচে:

“হবিগঞ্জের একজন জানান, তিনি ১৫ দিন আগে গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে সৌদি আবর গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, যে বাসার কাজে তাকে দেয়া হয়েছিল সেই বাসার মালিক লুইচ্চা। বলেন, ম্যাডাম বাসায় না থাকলে মালিক তার ওপর যৌন নির্যাতন চালানোর চেষ্টা করতো। তিনি রাজি না হওয়ায় মারধর করতো। ক্ষতের দাগ দেখিয়ে এই নারী বলেন, এটা ইস্ত্রির দাগ। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গরম ইস্ত্রি দিয়ে ছ্যাঁকা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, মধ্যবয়সী গৃহকর্তা একদিন কফি বানাতে বলে। তার কথা মতো রান্না ঘরে গেলে সে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে। চিৎ করে ফেলে দেয়। পরে হাতে কামড় দিয়ে ছাড়া পান। কিন্তু পরক্ষণে আবারো একই কাজ করে। তখন হাতে থাকা গ্যাস লাইট দিয়ে তার পাঞ্জাবিতে আগুন ধরিয়ে দিই। পরে নিজেই তা নিভিয়ে ঘরের দরজার বাইরে থেকে সিটকিনি দিয়ে পালিয়ে আসি। পরে এক বাংলাদেশির সহযোগিতায় সেইফ হোমে যাই। সেখান থেকেই দেশে ফিরেছি। তিনি বলেন, আমার আর যাওয়ার জায়গা নেই। তার বাড়ি থেকেও কেউ ফিরিয়ে নিচ্ছে না। রোবাবর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে থাকা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের মিডিয়া কর্মকর্তা আল আমিন নয়ন একাধিকবার ফোন করেও তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাননি। তার স্বামীও তাকে নিতে চাননি। এই অবস্থায় রাতভর তিনি বিমানবন্দরেই কাটান। পরে ব্র্যাকের সহযোগিতায় তাকে অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রামের শেল্টার হোমে পাঠানো হয়।”

এই যে মাইয়াদের ছবি আর কাহিনি দেখতেছেন, এনাদের আমরা যদি কই যে আরবিতে ‘গা ঘেঁষে দাঁড়াবেন না’ লেখা টি-জামা বানাইয়া দিতেছি, এইটা পইরা থাকবেন সৌদিতে, কেমন হবে? কতটা সেন্সলেস হইলে এনাদের জন্য এমন একটা ফয়সালা দিতে পারি আমরা!

বাংলানিউজে এক খবরের পয়লা লাইনটা এমন: “বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের মামলায় বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।”

২০১৭ সালের এক নিউজ কি মনে পড়ে? ঐ যে নিউজ২৪’র সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার আরমান হোসেন সুমন, সৎ মাইয়ারে রেপ করতেছিলেন উনি ৪/৫ বছর, মাইয়া গাভীন হইছিল, জোর কইরা এমআর করাইছে, মাইয়ার মা’ও এমনকি জানতো ঘটনা! আমাদের সমাজে এমন সব ভাতার-বউ আছে, এমন মাইয়া আছে! অমন কোন টি-জামা দিবো নাকি এই মাইয়াদের? সুমনেরা থামবে তাতে? আরো ভাবেন তো, দেশের ঘরে ঘরে যেই সব বান্দি আছে, তাদের উপায় হিসাবে এই টি-জামা কেমন? এমনকি মাঝের ক্লাশের কত কত বউ ভাতারের রেপ ভিকটিম হইতেছে? ভারতে এক শুমারিতে দেখা গেছে ৭০{855ff4e32ca5c8db0719e8f837cd158afce0d103a8821dfb7d995472b79aa6d7} বউয়ের আগ্রহ তো দূর, নিম-রাজি কিনা তারো তোয়াক্কা করে না ভাতারেরা; কতটা দূরে আমরা?

নিশ্চই এই টি-জামা দিয়া এমনসব ঘটনা ঠেকাইয়া দেবার দাবি করতেছেন না এইটার ক্যানভাসাররা। তাইলে কি করতেছেন? এইটা আসলে একটা অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম, এনজিওরা যেমন করে। সেই হিসাবেও সাকসেসফুল হবার সম্ভাবনা কম; কেননা, এই বাক্যটা স্রেফ ‘বিরক্তি’ জানান দেয়! চোখা নজর লইয়া ভাবলে বুঝবেন, যারা মাইয়াদের গায়ের লগে লেপ্টাইয়া খাড়ায়, তারা সবাই জানে যে, মাইয়াদের কাছে অতি বিরক্তিকর ঐ ঘটনা, হিম্মতি মাইয়ারা, হবিগঞ্জের ঐ সৌদি বান্দির মতো হিম্মতি মাইয়ারা এমন সব ঘটনায় পাল্টা কিছু একটা করতে পারে! যাই হৌক, দেখা যাইতেছে, অমন পোলাদের জন্য এই টি-জামা মোটেই নয়া কোন খবর দেয় না!

এমনিতে এইটা তো কেবল বাংলা পড়তে পারা লোকদের জন্য, বাংলা যে পড়তেই পারে না, তার জন্য এপ্লিকেবল না; নিন্দুকদের দাবি, কেবল পোলাদের জন্য, সেইটা নাও হইতে পারে, মাইয়াদেরো ঘেষতে মানা করতে পারে, পোলারাও তো পড়তে পারে এই টি-জামা। প্যান্ট আর টি-জামা পরা মাইয়ারাই কেবল এমন লেখা পইরা ঘুরবে কেন, বোরকাতেও কেউ এই বাক্য লিখতে পারে, বোরকা পরা মাইয়ারা তো আর এই সব মুসিবতের বাইরে না! সৌদি বা দেশি বান্দি, সৎ বা আপন মাইয়া, ধামরাইতে চলন্ত বাসে গ্যাঙ-রেপ ভিকটিম গার্মেন্টস-মাইয়া বা ভাইয়ের রেপ-ভিকটিম বইনদের জন্য ঐ টি-জামা খুবই ক্রুয়েল মশকরা হইতে পারে, কিন্তু তার বাইরেও তো বহু মাইয়া আছে; তাদের টেনশন আর মুসিবতগুলা মোকাবেলায় এমন একটা ক্যাম্পেইন তো করতেই পারেন, এতে কতক লাভ হইতে পারে ঐ ব্যাপারে, তেমনটা তো ভাবতেই পারেন কেউ কেউ; অন্তত এইটার যে ভালো একটা বিজনেস প্রসপেক্ট থাকা সম্ভব, সেইটা তো ভাবাই যায়!

কিন্তু আমি বরং এমন একটা ক্যাম্পেইনের ফজিলত লইয়া ভাবতে কইবো। ব্যবসা ইত্যাদির বাইরে, আরো নাজুক সব দশায় থাকা মাইয়াদের জন্য কেমন হয়, বা কেবল বাংলা হরফ পড়তে পারা লোকজনের জন্য কিনা–এইসবের একদম বাইরে যারা এইটারে সিরিয়াস এক্টিভিজম হিসাবে লইতে চান, ফজিলতের আশা দেখেন কোন, আপনাদের হিসাবটা আসলে কেমন? একটা লাভ তো অলরেডি হইছে, এইটারে আলাপের একটা টপিক বানাইয়া তোলা গেছে; মাইয়াদের এই মুসিবত তো আলবত আছে, সমাজে সেইটারে আলাপের একটা টপিক বানানো গেছে, এইটা ইন্সট্যান্ট লাভ। আর কোন লাভ?

সামনে পয়লা বৈশাখ, গত ১০ বছরের এই দিনে সরকারি দলের ছাত্ররা পয়লা বৈশাখের ঢাবিতে যা যা করছিল, এই বছর এই টি-জামা পরা মাইয়াদের তারা ছাড় দেবে–এমনটা ভাবা যাইতেছে কি? ওদিকে, এমন বাক্য গায়ে লাগাইয়া ঘোরার ভিতর দিয়া মানুষ হিসাবে আপনের হক যদি আদায় করতে হয়, সেইটাই যদি রিয়াজ হইয়া ওঠে, আপনের এই ক্যাম্পেইন যদি এতোটাই কামিয়াব হয়, তাইলে এই বাক্যটা যারা গায়ে লাগাইয়া ঘুরবেন না, সেইসব মাইয়ারে কেমনে দেখবে পোলারা? গায়ে অমন কোন বাক্য না থাকার অর্থ হইলো, তাদের গায়ে লেপ্টাইয়া খাড়াইতে পারমিশন দিয়া রাখছেন অলরেডি, তেমন একটা দশায় যাওয়া ঠিক হবে আমাদের?

তাইলে এমন একটা ক্যাম্পেইনের ফজিলত কি? এই ক্যাম্পেইন যারা করেন, তাদের নিজেদের মুসিবতে নিজেদের কোন একটা সেফটি-সিস্টেম বানাইতেই পারেন, তাতে আপত্তি করার কিছু নাই। কিন্তু কোন একটা মুসিবতে আমরা যা যা করার কথা ভাবি তার অনেকগুলাই পরে আর করি না, লাভ হবে না মনে হয় কোনটায়, কোনটারে খুব পাতলা ইমোশনাল লাগে, কোনটা বেশি বেশি লাগে; তারপর আমরা বাছবিচার কইরা, লাভ-খতি হিসাব কইরা কোন একটা বাইছা লই, বাকিগুলা বাদ পড়ে। গায়ে পড়ার এই মুসিবতে তাইলে আপনারাই, কেবল নিজের ক্লাশের মুসিবতের ব্যাপারেই যা যা করতে পারতেন, তার মাঝে এইটাই বেস্ট!? আই ডাউট।

কিন্তু আমাদের বিচারে এইটারে যদি বেশ পাতল ইমোশনালও লাগে, আমরা কি করবো? এমন মাইয়া দেশে আছে, থাকারই কথা, এইটাই নর্মাল, এমন মাইয়ারা নিজেদের সোশিও-কালচারাল দুনিয়ার নিরিখেও কিছু করতে পারে–এইটা শুরুতেই মানা দরকার আমাদের। যদি পাতলা এবং তেমন ফজিলত নাই মনে হয়, তাইলে জয়েন করলাম না, কিন্তু এই যে তার তার দুনিয়া থিকা নিজের মুসিবত লইয়া কওয়া, এইটারে মাইরা ফেলা কিন্তু ঠিক হবে না! এমনসব জিনিস জোর কইরা মারার ফলও পেরায়ই উল্টা হয়; হয়তো দেখা গেল, আমাদের/আপনাদের কড়া হামলায় পাতলা ইমোশনাল এক্টিভিজমরেই মনে করলো বেস্ট, সেইটারেই আকড়াইয়া ধরলো, আমাদের হামলা ঠেকাইতে ঠেকাইতে ঐটার মেইনস্ট্রিমিং ঘটতে থাকলো! নজির দেখাইতে কন? আইউব খান রঠারে পুরা খেদাইয়া দিতে চাইছিল, তাতে পূবের পাকিস্তানে রঠার মতো চিপ পোয়েট্রি’র একজন মিসোজিনিস্ট এলিটিস্ট মেইনস্ট্রিমিং হইলো, এমনকি মার্ক্সের তরিকার লোকেরাও রঠার খাদেম হইয়া ধ্যানে তালাশ করতেছেন দুনিয়াদারির তাবত ফয়সালা!

আর ওদিকে, মারতে যদি কামিয়াব হই আমরা, তাতে দেশে পোলামাইয়াদের চিন্তা এবং ক্রিয়েটিভিটি মেসমার হইয়া পড়ার সম্ভাবনা! সো, আদর করেন। আপনার বাচ্চাদের কোন কামে যেমন টাসকি খাওয়ার অভিনয় করেন, তেমন ভাব দেখান, জয়েনও কইরেন না, মারতেও চাইয়েন না। এনারা আমাদেরই মাইয়ারা, বা পোলারাও তো; এনাদের ভালো থাকাই আমাদের চাইবার কথা, দুশমনি দিয়া তো সেইটা চাওয়া হয় না…

The following two tabs change content below.
Avatar photo

রক মনু

কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →