Main menu

কবুল, কবুল: কবুলিয়তের শাশন

ইতিহাসে রাষ্ট গজাইছে এই তো কয়েক বছর আগে, ৫/৬ হাজার বছর ধরেন, আর সমাজের বয়স অন্তত মানুষের ভাষার সমান। সমাজ বা রাষ্ট, যেইটারে লইয়াই ভাবেন, কোন একটা সমাজ বা রাষ্ট যেই ছিস্টেমেই চলুক না কেন, চোখা নজরে বিচার করলে দেখবেন, দুনিয়ার বেশিরভাগ মানুষের খমতা পেরায় নাই, সমাজ বা রাষ্ট্র চালায় হয়তো তাবত মানুষের বড় জোর ১{855ff4e32ca5c8db0719e8f837cd158afce0d103a8821dfb7d995472b79aa6d7}; বাকিরা ছিস্টেমের কোন একটা পোস্টে খাড়াইয়া হুকুম তামিল করে মাত্র! 

এই হিসাবে একটু গলদ আছে অবশ্য; ছিস্টেম পেরায়ই কোন একজন মানুষের তুলনায় পাওয়ারফুল, তাইলে কার খমতা কতটা, সেইটা মাপার উপায় কি? এই ব্যাপারে একটা খশড়া পরস্তাব আছে আমার: ছিস্টেমকে কে কতটা এক্সপ্লয়েট করতে পারে, বা নিজের দরকারে ইউজ করতে পারে–এইটারে মিটার হিসাবে ধরতে পারি আমরা। [pullquote][AWD_comments][/pullquote]

আরেকটু ভাইঙ্গা কই, মানে দুয়েকটা নজির দেখাইতেছি: ১৮ আগস্ট ২০১৯’র বাংলা ট্রিবিউনের একটা খবরের হেডলাইন পড়েন–“খুলনা জিআরপি থানায় গণধর্ষণ: অভিযোগকারী গৃহবধূর জামিন নামঞ্জুর”। ছিস্টেম মোতাবেক থানায় রেপ হবার কথা না, হইলে সেই ব্যাপারে মামলা করতে পারার কথা, সেই নালিশ কইরা এখন দেখা যাইতেছে, জেলে যাওয়া লাগলো। এইটারে অবশ্য জেল-হাজত না কইয়া কিডন্যাপ কইলেই আরো ঠিক হয়। যাই হউক, এই ঘটনায় যারা ছিস্টেমকে এক্সপ্লয়েট করতে পারলো, তাগো খমতা বেশি আর ছিস্টেমের কাছে বিচার চাইয়া যে উল্টা দোবারা ভিকটিম হইলো, তার খমতা নাই। দেশে ছিস্টেমকে এমনে এক্সপ্লয়েট তাইলে কারা কারা করতে পারে? ডাইরেক শরকারি লোক আছে কয়েক লাখ আর শরকারি দলের কয়েক লাখ লোক, লগে কিছু পয়সাঅলা, যারা ভাড়া করতে পারে ছিস্টেমকে। এনারা তাই ছিস্টেমের কোন একটা পোস্টে খাড়াইয়া স্রেফ হুকুম তামিল করলেও খমতাবান ধরতে হইতেছে; কেননা, তারা সবাই ছিস্টেমের বদৌলতে অন্যরে জুলুম করতে পারে চাইলে, সেই মওকা তাগো দিয়া রাখছে ছিস্টেম।

বাকি জনতা নিজেদের হাঁস-মুরগি, রাস্তার কুত্তা বা নিজেদের বাচ্চা-কাচ্চার উপর খবরদারি করতে পারলেও ছিস্টেমের নিরিখে ভাবলে খমতা নাই তাগো পেরায়; সমাজ-কালচার মোতাবেক বউদের উপর ভাতারের খবরদারি আছে, আমির-গরিব বিচারে বান্দি আর বান্দির বাচ্চারে ভাতারের বিছানায় যাইতে বাধ্য করতে পারে কোন মাইয়া, গরম খুন্তি দিয়া পোড়াইতে পারে গাল, ভাতারের রেপে গাভীন বান্দির বাচ্চারে খুন করতে পারে ভাতার-বউ, তবু রাষ্ট্রের ছিস্টেমের নিরিখে তাদের খমতা তত নাই ধরা যায়।

তো, এই যে ৯৯{855ff4e32ca5c8db0719e8f837cd158afce0d103a8821dfb7d995472b79aa6d7} মানুষ, খমতা নাই যাদের, এরা কি চায়? খিদা লাগে, লিবিডো আছে, ভোগের আরো আরো বাশনা-খায়েশ আছে, দরকারি এইসব জিনিস কোন না কোন কাম কইরা যেন জোটাইতে পারে, ভাতার-বউ-নাগর জোটাইতে পারে যেন  কোন এক ভাবে; ছিস্টেমের কাছে তাগো পয়লা চাওয়া কি?

আমার হিসাবে কয়, এদের পয়লা চাওয়া হইলো– গোলামি থিকা মুক্তি। এখন গোলামি কোনটারে ধরবেন? এই ব্যাপারে একমত হইতে আমরা মুশকিলে পড়তেছি মনে হয়, কিন্তু গোলামির যে হেরফের আছে সেই ব্যাপারে অন্তত একমত হইতে পারার কথা! সবচে বেশি গোলামি হয়তো গরিব মাইয়াদের, যেমন ধরেন- বান্দির বাচ্চারা, তার পর গরিব পোলারা, রিশকাঅলা যেমন; ধর্ম বা জাতি বা ভাষাও কারো গোলামিতে হেরফের ঘটাইতে পারে। একজন বিহারি বাংলাদেশি যদি দেশে উর্দুতে আরামে কথা কইতে ডরায়, তাইলে ধরতে হবে, সে কিছু গোলামির মাঝে আছে।

সমাজে গোলামির এমন হাজারো আলামত বা নিশানা পাইতে পারি আমরা। এমন গোলামিতে যারা থাকে তাদের কেউ কেউ গোলামির মাঝে সুখও পাইতে পারে, তাতে বাকিদের মুক্তির আশা গুরুত্ব হারায় না; কোন দিকে শতকরা কত, সেই সোজা যুক্তি বাদেও বড়ো যুক্তি আছে: গোলামি থিকা সাচ্চা মুক্তি ঘটলে গোলামিতে সুখিরা সহজেই মনিব বাইছা নিতে পারবে, কেউ তাদের ঠেকাইতেছে না, কিন্তু কেউ কেউ গোলামিতে সুখি বইলা গোলামি যদি এমনই থাকতে দেই তাইলে কেউ চাইলেও গোলামির বাইরে যাইতে পারতেছে না! তাইলে গোলামি থিকা মুক্তি মানে গোলাম হবার ফ্রিডমও!

এখন, গোলামি থিকা কতটা মুক্তি পাইলো, সেইটা কেমনে হিসাব করবে লোকে, বা মুক্তির শুরু হিসাবে কোন একটা বিন্দুরে ধরা যায় কি?

চিন্তাভাবনা কইরা মনে হইলো, শুরুর বিন্দুটা হইলো কবুলিয়ত, কনসেন্ট বা কবুল করা বা না করা। কবুলের এই মিটার দিয়া আমরা বিছানা-ফেমিলি থিকা রাষ্ট তক বিচার করতে পারতেছি! যেইখানে, শেইটা বিছানা হউক বা সমাজ বা রাষ্টের শাসন হউক, মানুষের কবুল করা বা না করারে যতো কম তোয়াক্কা করা হয়, সেইখানে গোলামি ততো বেশি। গোলামিরে যদি হারাম মানেন, তাইলে যেই ছিস্টেম জনতারে যতো বেশি গোলাম কইরা তোলে, সেই ছিস্টেম ততো বেশি হারাম!

এই মিটার দিয়া যদি মাপা শুরু করেন, তাইলে দুনিয়ার সব পলিটিক্যাল থিয়োরি আর তার আতেলদের ব্যাপারে খুবই মজার কিছু দরকারি ফয়ছালা করতে পারবেন! ঝগড়া-ফ্যাছাদ আর খুনাখুনি করতে থাকা দুইটা পলিটিক্যাল থিয়োরি বা দুই দল আতেলরে হয়তো দেখবেন একই ক্যাটেগরিতে পড়তেছে! দেশ-বিদেশের কিছু থিয়োরি আর আতেলরে মাপা শুরু করেন; ওকে, আমি একটু মদদ দিতেছি 🙂 ! 

কম কম পড়ার মুশকিল হইলো, আপনের আওতার বাইরে কত কি থাইকা যায়, ভুলভালও বুঝতে পারেন! কিন্তু মুশকিলটার আরেকটা দিকও আছে; সেইটা হইলো, কোন একটা টপিকের আসল পয়েন্টটা হয়তো ধরতেই পারলেন না, বা কেবল পুচকে পয়েন্টগুলাই মনের পেরায় পুরাটা দখল করলো আপনার!

ওকে, নিজেরে দিয়া আরেকটু বুঝাইয়া কইতে টেরাই মারি। পেলেটো বা এরিস্টোটল আমি বহু বছর আগে একটু উল্টাইয়া দেখছিলাম মাত্র, ঐটারে পড়া কইলেও বাড়াইয়া কওয়া হয়! সেইটাও ধরেন চোথা টাইপের জিনিস, বাংলায় তরজমা পড়তে যাইয়া আগাইতেই পারি নাই!

ফলে ওনাদের পেরায় পুরাটা অজানা আমার, কিন্তু রাজনীতির ব্যাপারে ওনাদের আসল যেই জিনিসটা বুঝছি আমি, সেইটা পেরায় সব পড়া কারো আলাপেই পাই নাই আমি, মানে তেমন যাদের চিনি আর তাদের যতোটা পড়ছি আর কি! এক হইতে পারে ভুল বুঝছি আমি, দুই হইলো, ওনারা আসল পয়েন্ট বাদে বাকি শবে মশগুল থাকছেন! আমার বুঝটা কইতেছি আমি, বাকিটা আপনেরা বিচার কইরেন :)! 

আপনেরা জানেন, পেলেটো তার ছহি রাষ্টে আর্টিশদের রাখেন নাই এবং জানাইছেন যে, ওনার ঐ রাষ্টের শাসক হবেন এলেমদার লোকেরা; কেন? পেলেটোর হিসাবে মানুষ এবং তাবত দুনিয়া হইলো ছহি বেহেশতি একটা ভাবের বা ফর্মের নকল; মানে হইলো, এই দুনিয়া বেহেশতি সত্যের দুনিয়াবি নকল, তাই সত্য না পুরা, ভেজাল আছে; এলেমের মনজিল হইলো, এই ভেজাল উতরাইয়া সত্যে যাওয়া, যুক্তির বা চিন্তার বা দরশনের কাম হইলো সেই যাবার রাস্তা চিনতে মদদ দেওয়া। এই কারণেই শাসক হবেন এলেমদার লোকেরা, কেবল তারাই তো সত্য থিকা দূরে ছিটকাইয়া পড়া মানুষকে সত্যের ঠিকানায় লইয়া যাইতে পারবে। উল্টা দিকে আর্টিশরা কি করে? মানুষ এবং দুনিয়া হইলো সত্যের পয়লা নকল, আর্টিশরা দুসরা-তেশরা নকল কইরা সমাজ ছয়লাপ করে এবং মানুষকে সত্য থিকা আরো দূরে লইয়া যায়। যত বার নকল হবে, তত বেশি দূরে! তাই প্লেটো খেদাইয়া দিতে চাইছেন আর্টিশদের।

আর এরিস্টোটল কইতেছেন, হইতে পারে ভেজাল বা ফল্টি, কিন্তু এই মানুষ আর দুনিয়াই বাস্তব; এলেমের কাম হইলো, এই বাস্তবরে মাইনা লইয়া, তাবত লিমিটের ভিতর দিয়া কেমনে মানুষের বা সমাজের সুখ ম্যাক্সিমাইজ করা যায়, সবচে টেকসই, সবার জন্য সবচে কম খারাপ একটা ছিস্টেম বানানো যায়।

এখন এই দুই জনের ভাবনা খেয়াল করেন, হুশিয়ার থাইকা একটা তুলনা করেন। পেলেটোর ভাবনায় দেখেন, মানুষের কনসেন্ট বা কবুলিয়তের কোন বালাই পাইতেছেন না, এলেমদার বাদে কারো তো বিচারেরই এলেম নাই, তাই সবাইরে বিচারের হকও দিতে নারাজ প্লেটো, তাদের কবুল করা বা না করা আলবত মিছা বা ভুলের উপর খাড়াইয়া থাকতেছে! তাগো জন্য কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ শেইটা বোঝার মতো যুক্তি জানে না তারা, সেইটা বাতলাইয়া দেবে অন্য কেউ, পেলেটোর পরস্তাবে এলেমদার বা গেয়ানি লোকেরা। কিন্তু এরিস্টোটলে? শুখি সমাজের দরকারে টেকসই ছিস্টেম বানাইতে ওনার জোর দিতে হইতেছে মানুষের রাজি হওয়ার উপর; মানুষ যদি হয় সমাজের খাম্বা, তাইলে নারাজ খাম্বায় তো টেকসই ঘর বানাইতে পারবেন না আপনে!

২৫০০ বছর আগের দুই জনের এই তুলনা এইখানে কেন দরকার হইলো? এই জামানার কতগুলা চিন্তা খেয়াল কইরা দেখেন, তাইলে দরকারটা বুঝতে সুবিধা হইতে পারে। নিচের পোস্টারটা দেখেন:

 

পোস্টার

পোস্টার

 

বা প্রথম আলোর ক্যাম্পেইনটা কি মনে পড়ে: ‘বদলে যাও বদলে দাও’? দুইটাতেই দেখেন, গদিনসীন বা ছিস্টেমকে পুরা খালাস দিতেছে এই দুই চিন্তা, খারাপির সব দায় দিতেছে জনতার কান্ধে। এইটার যুক্তি আর জাস্টিফিকেশন কই থিকা আইলো? হিসাব কইরা দেখেন, প্লেটোর মুরিদ হইলে আরএফএল বা প্রথম আলোর এই দাবি মানতে হইতেছে আপনার! কেননা, মানুষ তো পয়লাতেই ভেজাল, এলেমের অভাব তারে আরো ভেজাল কইরা তোলে; মানুষের যদি নজরের ছানি কাটে, মানুষ বদলাইয়া যদি গেয়ানের বা এলেমের ভিতর দিয়া ভালো হইয়া উঠতে পারে তাইলেই কেবল সুখের দিকে যাওয়া সম্ভব। তার আগে সমাজের বা রাষ্টের বা মানুষের লিডার কে হবে? এলেমদার লোকেরা যার লগে সবচে বেশি থাকবে, তারাই তো! গেয়ান দিয়া ওনারা মানুষের চোখের ছানি কাটবে। এখন, এই জামানায় দেখেন গেয়ান বা এলেমের ইজারা নিছে একাডেমি; তাইলে শিক্ষিত মানুষেরাই এলেমদার, তারাই ঠিক করুক শাশক, সেইটাই একমাত্র হালাল/ভালো শাশন। বাকিদের তো ভালো-খারাপ বিচারেরই এলেম (ফলে হকও) নাই!

এই ভাবনায় বেকুবের কবুলিয়তের কোন জাগাই নাই, বেকুবের সুখও তো সে নিজে বোঝার কথা না এই ভাবনায়! এই ভাবনার রোশনাই দিয়া এখন বাংলাদেশের শাশনের হালচাল বোঝার চেষ্টা করেন। শিক্ষিত লোকের মুখ যদি মিডিয়া ধরেন, তাইলে আমাদের পুরা মিডিয়া দেখেন, ‘খুশি মনে নিজেরাই সরকারকে খুশি রাখে।’; মানে দেশের শিক্ষিতদের পেরায় ১০০{855ff4e32ca5c8db0719e8f837cd158afce0d103a8821dfb7d995472b79aa6d7} কিন্তু কবুলিয়ত দিছেই এই রেজিমকে। আইউবের ‘ফান্ডামেন্টাল/বেসিক ডেমোক্রেসি’ বা বাকশালও কিন্তু এমনই আছিল; রাজনীতি লইয়া প্লেটোর ভাবনার গাহেক হইলে একদিকে তাইলে আপনে দেশের জনতার কবুলিয়তের বা ভোটের তোয়াক্কা করবেন না, করার ব্যাপারে ন্যায়নীতির কোন দায়ও নাই আপনার; আর এই জামানার একাডেমি বাদে প্লেটোর এই চিন্তার গাহেকও তো হইতে পারবেন না! প্লেটোর গাহেক হইতে একাডেমিতে সরদার ফ. করিমের তরজমা পড়ার দরকার নাই আপনার, একাডেমির হাওয়া-বাতাসেই ঐটা হাজির, অশিক্ষিতের এলেমে বা মতে পাত্তা না দেবার ভিতর দিয়া সেইটা দেখা যাইতেছে।

তাইলে হিশাব করেন, প্লেটো আসলে কার আখের গুছাইয়া দিতেছে? এরিস্টোটলের মদদ লইতে পারেন ভাবতে: এই মানুষ, এই জনতাই বাস্তব, এইটারে বাস্তব ধইরাই আমরা যতোটা সুখি-টেকসই ছিস্টেম বা শাসন বানাইতে পারি, তা কি পারলাম? না পারলে কেন, কে আমাদের ঠেকাইয়া দিতেছে, কার আছে সেই গায়ের জোর? এই পোশ্নের জবাবে এখন গদিনসীন আর তাদের ছিস্টেমকে পাইতেছেন কিনা!

লরেনছ্ টরছেলো নামে দরশনের এক মাশটারের লেখা (https://buff.ly/32FHCAE) পড়লাম এই লেখাটা লিখতে লিখতে; ওনার পয়লা দুইটা পারা এমন,

“Plato, one of the earliest thinkers and writers about democracy, predicted that letting people govern themselves would eventually lead the masses to support the rule of tyrants.

When I tell my college-level philosophy students that in about 380 B.C. he asked “does not tyranny spring from democracy,” they’re sometimes surprised, thinking it’s a shocking connection.”

পেলেটোর বরাতে টরছেলো মশাই দেখাইতেছেন, সত্য এবং যুক্তি থিকা দূরে থাকে জনতা, গণতন্ত্রে তারই জরুর ফজিলত হইলো, ‘টাইরানি’। কিন্তু খেয়াল করেন, পেলোটো তো বটেই, যুক্তিবিদ্যার এই তুমুল জামানায় আইশাও টরছেলো শাবের নজরে পড়লো না যে, ওনারা দুইজনই বরং সত্য এবং যুক্তি থিকা কত দূরে!

কারণ, শাশন শবশময়ই বড় জোর জনতার ১{855ff4e32ca5c8db0719e8f837cd158afce0d103a8821dfb7d995472b79aa6d7}’র শাশন, খমতার কায়কারবার না বুঝলেই কেবল কেউ কইতে পারে যে, গণতন্ত্র মানে জনতার শাশন। ভোট মানে কবুলিয়ত, ভালো হিশাবে ছার্টিফিকেট দেওয়া না, কয়েকটা অপশনের থিকা শবচে কম খারাপটারে বাছাই করা। গণতন্ত্র মানে ভালোর বদলে কম খারাপের শাশন বইলাই ইলেকশন হয় গণতন্ত্রে, কবুলিয়ত রিনিউ করতে হয়। ইলেকশনের আরো অর্থ আছে। শুরুতেই এইটা ছাফ ছাফ বুঝাইতেছে যে, শাশক বাছাই করা হইতেছে, জনতা নিজেরাই যদি শাশক হয়, তাইলে আর বাছাই করার কিছু থাকে না তো! কিছু দিন পর পর ইলেকশনের ভিতর দিয়া আরেকটু কম খারাপ শাশনের দিকে যাইতে চাইতেছে জনতা। লগে ইলেকশনে জনতার কবুলিয়ত রিনিউ করার দরকারটা ট্রান্সপারেন্সির শম্ভাবনা বাড়ায়।

এগুলা পুরানা কথা, ক্লিশে, কিন্তু দুনিয়ার শকল শত্যই ক্লিশে, এবং ক্লিশে মানেই তো মিছা কথা না! কিন্তু টরছেলো বা গণতন্ত্রের ভাবুকরা পেলেটোর ঐ গলদরেই আরো মজবুত করছেন! তারা গণতন্ত্ররে জনতার কবুলিয়তের শাশনের বদলে জনতার শাশন হিশাবেই হাজির করছেন, তারা যেকোন শাশনেই শাশক এবং জনতার খমতার যেই জরুর ফারাক, শেইটাতে নজর দেন নাই! এবং এদের চিন্তায় যারাই ভরশা করছেন তারাই অন্যের শাশনকে নিজের শাশন ভাইবা বেহুদা শুখ পাইছেন! ভাবুক-আতেলদের এই গলদের মজা লুটছে রাজনীতির পাট্টি এবং লিডার, নিজেদের শাশনকে তারা জনতার শাশন হিশাবে মিছা দেখাইছে, ভাবুক-আতেলরা শেইটারে কাউন্টার দেয় নাই, বরং ছার্টিফিকেট দিছে, এবং এই ভাবুক-আতেলদের উপর ভরশা করা জনতা গাড্ডায় পড়ছে বারবার! আমাদের মনে রাখতে হবে, গণতন্ত্র শাশনেরই আরেকটা তরিকা, এতেও শাশক বনাম জনতা থাকবেই জরুর; গণতন্ত্রের আরেকটা সারকথা জরুর এই হইতে হবে যে, গণতন্ত্র মানে ভালো শাশন না (ভালোর শাশনও না যেমন), বরং আরেকটু কম খারাপ শাশন; কেননা, আখেরে শে আরেকটা শাশনই এবং শাশন মানেই জুলুম, কবুলিয়ত ছেরেফ জুলুমকে মিনিমাম রাখে, কবুলিয়ত মানে জুলুমের দাফন না। এবং অন্য কোন শাশনই জনতার কবুলিয়তের তোয়াক্কা করে না, কেবল গণতন্ত্রই করে এবং শেই কবুলিয়ত রিনিউ করার ফিকির নিজের ভিতরে বহাল রাখে এবং শেই কারণেই গণতন্ত্র শবচে কম খারাপ শাশন! কবুলিয়ত ভালো তক পৌছাইতে পারে কেবল বিছানায়, বা খাড়াইয়া ছেক্সেও তো, কবুলিয়তের শাশনের তাই মনজিলে মকছুদ হইলো, জনতার লগে শাশকের ছেক্স, শেই মনজিল থিকা যেই শাশন যতো দূরে, জনতার কবুলিয়ত ততো কম তোয়াক্কা করে শেই শাশন, এবং গোলামি ততো বেশি শেই শাশনে। 

ভাবুক-আতেলরা এই চিন্তার পশার যতো ঘটাইতে পারবে শমাজে, যেকোন (পাট্টি বা লিডারের) শাশনকে নিজেদের শাশন ভাবার গলদে তত কম পড়বে জনতা!

কিন্তু আরেকটা জিনিশ আমাদের তালাশি করা দরকার। মরডান দুনিয়ায় খেয়াল করলে দেখবেন, শকল টাইরান্ট বা জালেম মনে করেন যে, শাশনের হক তাদের আছে, তাদের শাশন আশলে এমনকি ইনছাফ কায়েমের জরুর তরিকা! মাকলুকাত হিশাবে মানুশ জরুর নীতিবান এবং জালেমও নিজেরে নীতিবানই মনে করে, তার জুলুম নিজেরে নীতিবান ভাবায় মোটেই মুশকিলে ফালায় না! আজব লাগে না?

এইখানেই পাইবেন পেলেটোর কেরামতি। পেলেটোর শমাজ/রাষ্ট আশলে একটা হাশপাতাল, জনতা শেইখানে রুগি, সত্য এবং যুক্তি থিকা দূরে যাবার রোগে ছাইকো জনতা, এলেমদার শাশক শেই হাশপাতালের ডাকতার। রুগিরে বাচাইতেই রুগির কবুলিয়ত পাত্তা দেবার উপায় থাকলো না যেন শাশকের!

পেলেটো তো শেই ২৫০০ বছর আগের ভাবুক, মরডান জামানায় শেই পেলেটোরে আবার মজবুত পাটাতন বানাইয়া দেন মার্ক্স! এইটা বেশ টাশকি খাবার মতো ঘটনা যে, পেলেটো-হেগেল মার্ক্সের বিচারে ‘ভাববাদী, এদের উল্টা ভাবলেন যেন মার্ক্স, এরশাদ করলেন, “মানুশ নিজেই তার ইতিহাশের বানিয়া’, তুমুল হিউম্যানিশ্ট; কিন্তু শেই মার্ক্সই শাশনে জনতার কবুলিয়তকে পাত্তা দেবার দরকার আরো কমাইলেন, মরডান জালেম-খুনীরা নিজেদের  নীতিবান ভাবতে পারলো মার্ক্সের চিন্তার পাটাতনে খাড়াইয়া! আমাদের বাকশাল থিকা মুছোলিনির ফ্যাছিজম পেলেটোর পাটাতনে খাড়াইয়া নিজেদের কদম মজবুত করলো মার্ক্সের ভাবনার মদদে!

উপর থিকা নজর দিলে দেখবেন, মুছোলিনি-হিটলার মার্ক্সের মুরিদদের খুন করছে অনেক, আমেরিকায় খুন হইছে, ইন্দোনেশিয়ায় খুন হইছে আমেরিকার মদদে, একটা ডকু দেখতে পারেন ইন্দোনেশিয়ার উপর–‘ The Act of Killing’। এদের ভিতর মুছোলিনিদের নাপছন্দ মার্ক্স এবং পেরাইভেট ক্যাপিটাল (আমেরিকা), আমেরিকার নাপছন্দ দুইটাই, মার্ক্সের নাপছন্দ ক্যাপিটাল। মার্ক্স এবং মুছোলিনিরা পেরাইভেট ক্যাপিটাল নাপছন্দের কারণ খুবই যুদা মনে হয়; কারণ, মার্ক্সের নাপছন্দটা আখেরে রাষ্ট ছাড়াইয়া যাবে মানুশ একদিন, এমন একটা আন্দাজ খাড়া করায়; কিন্তু মুছোলিনিদের নাপছন্দ আরো পাওয়ারফুল রাষ্ট বানাইতে মদদ দিতেছে। 

কিন্তু দুই পক্ষই পেলেটোর ভাবনায় মজেন! পেলেটোর মতোই মার্ক্সের মানুশেরা রুগি, মানে ক্যাপিটালের আন্ডারে যতখন আছে মানুশ; মার্ক্সে বুর্জোয়া ছিস্টেমে মানুষের এই রোগের নাম ‘ফেটিশিজম’, এই রোগের পয়দা পেরাইভেট মালিকানার লগে লগে, ক্যাপিটালিজমে রোগটা শবচে বড়ো হইতে থাকে, শেই কারণেই এই ছিস্টেম ভাইংগা পড়তে বাধ্য। পেলেটোর বেহেশতি ভাবনার নকলও পাইবেন মার্ক্সে: মার্ক্সে কমুনিজম হইলো বেহেশত, শেই বেহেশত থিকা ক্যাপিটালের দুনিয়ায় পড়লো মানুশ (প্যারাডাইছ লশ্ট), ক্যাপিটাল (এবং জালেমের হাতে থাকা ধর্ম) হইলো একই লগে অরিজিনাল ছিন বা আদিপাপ এবং শয়তান (পেলেটোর আর্টিশ), এই শয়তান মানুশের মাঝে ফেটিশিজম ছড়াইয়া রুগি বানাইতেছে, এক সময় মজলুম/পরলেতারিয়েত (পেলেটোর এলেমদার) শাশক হইয়া মানুশকে কমুনিজম নামের বেহেশতে ফিরাইয়া লইয়া যাবে, মজলুমের হাতে মরবে শয়তান ক্যাপিটাল। 

চোখা নজরে চাইলে দেখবেন, মুছোলিনিদের ছিভিলাইজিং পরজেক্ট (কলোনিয়াজমেরও) আশলে অশভ্য (রুগি) দুনিয়ারে শভ্য করতে চায়। এবং মুছোলিনিরা বা মার্ক্স মানুশকে বেহেশতে (শভ্য করা বা কমুনিজম) লইয়া যাইতে মানুশের (রুগির) কবুলিয়তের তোয়াক্কা করার দরকার দেখেন না। মার্ক্সের এই মনজুরি বা এজাজতের কারণেই স্ট্যালিন বা আজকের চীন বা আমাদের তাহের নিঠুরিয়া খুন করতে পারে আরামে, খুবই দরকারি খুন আশলে, যেই রুগিরা (ক্যাপিটালের পেয়াদা) কিউরেবল নাই, তাদের খুন করা যায়, বাকি জনতার রোগ কিউরেবল, তাদের কবুলিয়ত দরকার নাই, দখল কইরা হাশপাতাল কায়েম করো, মানে মার্ক্সের তরিকার শাশন বা রাষ্ট মানেই তো হাশপাতাল, শবাই সুস্থ হইলে রাষ্টের/হাশপাতালের দরকার নাই আর, তখন কায়েম হবে কমুনিজমের বেহেশত। মুছোলিনিদের লগে খুনের ব্যাপারে মার্ক্সের তরিকার রিশতা হইলো এইখানে, যার গোড়া পেলেটোর চিন্তা।

মার্ক্সের ব্যাপারে ছ্যাড নিউজ হইলো, জনতার উপর জালেমের জুলুম লইয়া ওনার আগে কেউ তো এতোটা ভাবে নাই! অথচ ওনার চিন্তায় ঘাপটি মাইরা থাকা পেলেটোর উছিলায় জুলুম এবং জালেম বানাবার নয়া কারখানা হইয়া উঠতে পারলো ওনার চিন্তা!

পেলেটোর চিন্তার এই আছর খেয়াল না করার মুছিবত খুবই বড়ো। জুলুমের ভাবুকেরা যেমন জালিম হবার গলি পাইতেছে তেমনি ঐ আছরই যেন পুরা মার্ক্স–এমন এক গলদে পড়তে হইতে পারে আমাদের, মার্ক্সের দুশমন ভাবুকরা অনেকেই এই গলদে পড়েন মনে হয়! কিন্তু মার্ক্সকে বাতিল করলে জুলুম এবং গোলামির অনেকগুলা দিক নজরে পড়া অশম্ভব হইয়া ওঠে!

ক্যাপিটাল মানুশ/জনতারে ডাকাতি করে, বন্দী করে–এইটা কি মিছা কথা? না। পেলেটো হাশপাতাল বানায়, ক্যাপিটাল বানায় জেলখানা; জনতার কবুলিয়তের হিশাবে ভাবলে এক পক্ষ ওয়েলফেয়ার রেপিশ্ট, আরেকটা ছেরেফ রেপিশ্ট, রেপ ভিকটিমের জন্য রেপিশ্টের কিছিম চিন্তা করার ফুশরত কই! ক্যাপিটালের রাষ্টে করপোরেট একচেটিয়ার জেলখানায় ইলেকশনের ভোট হইলো বন্দির কবুলিয়ত, কবুল করার বাইরে অপশন নাই জনতার। 

জনতার কবুলিয়তের শাশনের ইতিহাশ যদি খেয়াল করেন, দেখবেন, ইতিহাশের লোকেরা, রাজনীতির ভাবুকেরা গিরিক ছিটি-স্টেট দেখাইয়া দেন ইতিহাশের শুরু হিশাবে। কিন্তু আজকে গণতন্ত্র কইতে আমরা যা বুঝতেছি তার শুরু গিরিকে হইতে পারে না।

কবুলিয়তের আইডিয়া অতি পুরানা। চুরি বা ডাকাতি ইতিহাশে মানুশ যখন চিনতে শিখলো, কবুলিয়তের আইডিয়ার পয়দা তার আগে; কেননা, কবুলিয়তের অভাবের নামই চুরি বা ডাকাতি। কবুলিয়তের চর্চার ইতিহাশে নজর দেন, দেখবেন, ডাকাতের সরদারও মেম্বারদের কবুলিয়ত লইয়াই দল বানাইছে; ইতিহাশের শবচে বড়ো খুনি জালেমও নিজের আর্মির কবুলিয়ত লইয়াই যুদ্ধে নামে, ছিপাইদের ভিতর গা গরম করা ওয়াজ-নছিহতের ভিতর দিয়া ছিপাইদের কবুলিয়ত আদায় করে।

শেই হিশাবে গিরিকে কবুলিয়তের আইডিয়ার শুরু হইতে পারে না। শাশনের ব্যাপারে বা রাষ্টে গিরিকের কবুলিয়তের তরিকা তার বহু আগে মেছোপটেমিয়ায় বা ইরানেও পাওয়া যাইতেছে। তার তুলনায় গিরিক ছিটি-স্টেটে বরং গোলামি বেশি আছিল; গিরিক মাইয়ারা নাগরিক আছিল না, মাইয়ারা শেইখানে বুটি, গোলামদের মতোই, গোলাম এবং মাইয়াদের মালিকেরাই কেবল ভোট দিতো। গোলামির এই পোক্ত ছিস্টেম এতোটা আছিল না মেছোপটেমিয়ায়। গিরিকে মানুষের হকের আইডিয়াও আছিল না, আইন মোতাবেক শবাই শমানও আছিল না।

ইতিহাশে গোলাম এবং মাইয়াদেরো কবুলিয়তের আইডিয়া পয়লা হাজির করে ইছলাম, আল্লার কাছে তার শকল বান্দা শমান, এই আইডিয়া থিকাই মরডান রাষ্টে আইনের নজরে শবাই যে শমান, শেই আইডিয়া পয়দা হইছে মনে হয়! কারণ, তার আগে শমানের এই আইডিয়াই হাজির হয় নাই ইতিহাশে। মানুশের হকের আইডিয়াও শবচে জোর লইয়া হাজির হইতেছে ইছলামের ভিতর দিয়া। মরডান ট্যাক্সশনের ভিতর খাজনার বদলে দায়িত্বের আইডিয়াও শবচে জোরালোভাবে হাজির হইতেছে ইছলামে, শেইটা আবার গরিব-মিচকিনের হাতে দেবারও পোক্ত ছিস্টেম বানাইছে ইছলাম। তার আগে হয়তো বাদশা অশোকের রাষ্টে হক এবং দায়িত্বের আইডিয়া আছিল শবচে পোক্তভাবে। কিন্তু শেই অশোকে জনতার কবুলিয়ত পাওয়া যাইতেছে না; কিন্তু ইছলাম একদম গোড়া থিকাই রাষ্টে জনতার কবুলিয়তে শবচে বেশি জোর দিছে। ছোশ্যাল কন্টাক্টের আইডিয়াও পয়লা পাওয়া যাইতেছে ইছলামে, তখনকার জামানায় মানুশের কবুলিয়ত যতোটা চর্চা করা শম্ভব শেইটা করছে ইছলাম, শেইটা একদম বিয়া-বিছানা থিকা রাষ্ট তক। আজকের গণতন্ত্রের ইলেকশন আর ভোটাভুটির ভিতর দিয়া শাশনে জনতার কবুলিয়ত লওয়ার ছিস্টেম ইছলাম বাদে অশম্ভব আছিল! পরে বহু বহু মোছলমান জালিম পাইবেন ইতিহাশে, জনতার কবুলিয়তের বদলে ডাকাতির ইতিহাশের অনেক চ্যাপ্টার লিখছেন বহু মোছলমান, যেমন অন্যরাও, কিন্তু আইডিয়া হিশাবে ইতিহাশে কবুলিয়তের শাশনও দিছে ইছলাম!

মরডান ইউরোপ তাইলে কিছুই কি যোগ করে নাই? আলবত করছে। ইতিহাশ এমনেই এক জামানা থিকা আরেক জামানায় যায়। মানুশ খুবই একটিভ এজেন্ট, শে নিজের চারপাশকে হরদম এডিট করে, ডাইরেক নকল করা থিয়োরিতে শম্ভব যদি হয়ও, মানুশের এজেন্সি কখনো মুলতবি রাখা যায় না বইলা চাইলেও শে ১০০{855ff4e32ca5c8db0719e8f837cd158afce0d103a8821dfb7d995472b79aa6d7} নকল করতে পারে না! 

মরডান জামানায় ভোটকে আরো ফর্মাল কইরা তুলছে ইউরোপ, ব্যক্তির নিজের স্পেছ বা ভুবন বড়ো করছে, এইটা আলবত ইতিহাশে ইউরোপের দান। কিন্তু এর লগে লগে কতগুলা মিছা কথার ফানুশও বানাইছে ইউরোপ। একটা হইলো, মানুশকে মানুশের চাইতে বড়ো কইরা তোলা; মানুশ যে দুনিয়ায় আরেকটা স্পেছিছ, খোদা না, শেইটা ভুলাইয়া মানুশকে নমরুদ বানাইয়া তুলছে ইউরোপ! সাচ্চা রেশনাল নজরে দেখেন, জগতে মানুশের জানার তুলনায় না জানাই বেশি! মানুশের পক্ষে যা কিছু শম্ভব, তার চাইতে অশম্ভবের লিস্টিই লম্বা! কিন্তু ইউরোপ মানুশরে ফাপাইয়া বড়ো কইরা তুলছে!

আরেকটা হইলো, ‘এক্সপেরেশনের ফ্রিডম’। এইটা আবার মানুশের ডিফল্ট ছভরেইনটি বা অটোনমির আইডিয়ার লগে কোলাকুলি কইরা আছে। কিন্তু মানুশের অটোনমি ভুয়া, জনমে মানুশ যা, শমাজ তারে অন্য কিছু বানায়, শমাজের ভাষা-কালচার মানুশের খোদ ‘ছেল্ফ’টাই বানাইয়া তোলে! এর অন্যথা হবার উপায় নাই; কেননা, স্পেছিছ হিশাবে মানুশ জনমের পরে নিজেই ছারভাইভ করতে পারে না, শমাজের আছর ছাড়া মানুশ নাই, যেমন জংগলেই যান না কেন, যতখন ভাশা দিয়া ভাবতেছেন, ততখন আপনার উপর শাশন কায়েম আছে, শমাজ আপনের বাইরে না, আপনার খোদ ছেল্ফটাই শমাজ!

তাইলে অটোনমি না থাকলে এক্সপেরেশনের ফ্রিডমের কি অর্থ! দুনিয়ার কোন দেশেই এক্সপেরেশনের ফ্রিডম নাই; খুবই ছিম্পল ঘটনা দিয়াই বুঝতে পারেন ব্যাপারটা–শবচে মুক্ত দেশেও আপনে হলোকাস্ট ডিনাই করতে পারেন না, হিটলারের একটা ফ্যানপেইজ বানাইতে পারেন না ফেছবুকে, ডেরাগের ব্যবশা করতে পারতেছেন?

তাইলে বহু দেশে মানুশ নিজেদের যে ফ্রি মনে করে, শেইটার তোয়াক্কা কি করবো না আমরা? কইয়া দিবো, মিছা কথা! শেইটা ঠিক হবে না। ব্যাপারটা আবারো শেই গোড়ার কথা দিয়াই বুঝতে পারেন; আইডিয়াল বা সাচ্চা ফ্রিডম বিচারের দরকার নাই, মানুশের মনে এই ব্যাপারে গোলামির ফিলিং যদি না থাকে, শেইটাই ফ্রিডম, গোলামির ফিলিং যতো কম, ততটাই ফ্রি! গ্রছ নেশনাল শুখের জন্য এই ব্যাপারে গোলামির ফিলিং মিনিমাম করতে পারাই কবুলিয়তের শাশনের মনজিল!

কিন্তু ইউরোপের এই ভুলের খেছারত দিতে হইতেছে! এক্সপেরেশন আর অটোনমির ফাপানো আইডিয়া আখেরে কি দিতে পারলো? এর বেস্ট এচিভমেন্ট কইতে হয়, পর্নো ইন্ডাস্ট্রি! চাইল্ড পর্নোগেরাফির কারণে কয়দিন আগেও কানাডায় কয়েকশো লোক ধরলো! কিন্তু এর বাইরেও পর্নোকে পজিটিভ কিছু ভাবা খুবই কঠিন; ছেক্স-অবছেশনের বাইরেও এইটা ছ্যাডো-ম্যাছোকিজম থিকা এনাল ছেক্সকে নরমালাইজ করছে, বডি-এডিটিং দিয়া শমাজের বেশিভাগ মানুশের মাঝে ইনফিরিয়রিটি ছড়ায়! শবচে বড়ো ভিকটিম হইছে মাইয়ারা; ছেক্সে যা কিছু হয়তো এনজয় করে না কোন মাইয়া, শেইশব এনজয় করার পেরেশার তারে দিতে থাকে পর্নো, তুলনায় পোলাদের অলটার করার দরকার ততো দেখা যায় না। অটোনমির মিছা কথা কবুল করায় কনভিন্স করার মওকা বানাইয়া দিতেছে, অন্যের ভোগের লিপ্সারে পূরন করাটারে মনে হইতেছে যেন–আমারই অটোনমি!

ইউরোপের এনলাইটেনমেন্টের ভিতর দিয়া মানুশ নিজেরে ফাপাইয়া নিজের চাইতে বড়ো কইরা তোলা এবং এইটারই পুরক আইডিয়া অটোনমির আরেকটা ফলেরই নাম এথেইজম, কখনো বা ছেকুলারিজম নামে পরিচয়। মানুশের জানার শিমানা হিশাবে ধরলে এথেইজম কঠিন, আপনে বড় জোর কইতে পারেন, আমি জানি না। জগতের এত এত জিনিশ না জানার, না বোঝার পরেও ‘আমি জানি না’ কইতে কেন নারাজ মানুশ?

কিন্তু আরো বড়ো পোবলেম হইলো, একটা পরস্তাব হিশাবে মানুশকে এথেইজমের দিকে ডাকলে আগে কতগুলা পোশ্নের জবাব দিতে হবে আপনার! ইভোলুশন নামের আইডিয়ারে দোয়াইয়া মানুশের ‘এথিক্স’ বা ভালো-খারাপের বিচার নামের দুধ কেমনে বাইর করা যায়? ধর্মের মিনিমাম ছেন্সের নাম এথিক্স, এছেন্স আশলে; ভালো-খারাপের বিচার মানেই ধর্মের ফয়ছালা হইয়া যাওয়া, মানুশ অলরেডি ধার্মিক, দুনিয়ায় কোন ভাশাই ভালো-খারাপের আইডিয়া ছাড়া নাই! আপনে যদি কন, মানুশ জনমের আদতেই ভালো, তাইলে জনমেই ধার্মিক হয়; ওদিকে, শেইটা কইলে ইভোলুশনের আইডিয়া কতটা মজবুত থাকে আর! মানুশ তো আরেকটা হান্টার স্পেছিছ বা শিকারি মাকলুকাত ছেরেফ!

জিন্দা থাকার ঘটনারে ইভোশনাল ইন্সটিংক্ট ভাবতে পারেন, শেইটা আর শব মাকলুকাতের বেলায় ভাবার কিছু মওকা থাকলেও মানুশের বেলায় একটু কঠিন। কারণ, মানুশের ভিতর যেই ছুইছাইডাল টেন্ডেন্সি পাইবেন, শেইটা ইউনিক, অন্য দুয়েকটা মাকলুকাতের মাঝে পার্টনারের মরণে না খাইয়া মরার ঘটনা দেখা যায়, কখনো বা নিজের জাতের অন্যদের জিন্দা রাখার দরকারে কোন মাকলুকাতের মরণ হয়; কিন্তু শেইশব ঘটনায় অন্য কিছুর ফল হিশাবে মরণ ঘটতেছে, কনশাছ ছুইছাইড না! অন্য হিশাবে পুরাই ইউনিক, কোন হাতিয়ার ইউজ কইরা ছুইছাইড কেবল মানুশের বেলাতেই পাইবেন। তো, মানুশের মাঝে ছুইছাইডের এই খাছলত, নিজের মরণের ডিছিশন লইবার এই খমতা তার জিন্দা থাকাটারে কনশাছ ডিছিশন বানাইয়া তোলে! মানুশের ভিতর পাইতেছেন, নিজের বাচ্চারে ডেরেনে ফালাইয়া দেওয়া; এর লগেই আছে, কানা-লুলা বাচ্চারে বাচাইয়া রাখতে জান-কোরবান মানুশ, অন্য শব মাকলুকাতে দরকারের বেশি পিরিতি, তার লগেই দেখেন, পাইকারি খুন, ছ্যাডিস্টিক, অন্যরে এবং নিজেরে! এইগুলা ইভোলুশনারি দরকারের বাড়তি! মানুশ এইভাবে ইভোলুশন উতরাইয়া মারেফতি হইয়া উঠতেছে; ইভোলুশনে ভরশা রাখলেও আপনের মানতে হবে, মানুশ ইভোলুশনারি রেশনালিজম ছাড়াইয়া ছেকুলারিজম থিকা বাইরাইয়া যাইতেছে, মারেফতি হইয়া খোদ ইভোলুশনরেই চ্যালেন্জ করতেছে! আখেরে তাতে এথেইজম বা ছেকুলারিজম নিজেই আরেকটা মারেফতি পরজেক্ট হইয়া উঠতেছে, তখন আর শব ধার্মিকের লগে এছেন্সের হিশাবে তার আর ফারাক পাওয়াই মুশকিল হইয়া উঠতেছে!

আমার আতলামির একটা খায়েশ হইলো, একটা ইউনিভার্ছাল পলিটিক্যাল থিয়োরি বানানি। শেইটা কি শম্ভব তাইলে? চিন্তায় জেনারালাইজেশন এবং স্টেরিওটাইপিং পেরায় বাতিল হইয়া গেছে এই জামানায়; এগুলার ভিতর দিয়া, দুনিয়ারে হোমোজেনাছ বানাইয়া তুলতেছে একচেটিয়া ক্যাপিটাল, এইগুলা করপোরেশনের হাতে জুলুমের একেকটা বন্দুক। চিন্তার এই ভুবনে ইউনিভার্ছাল কোন পয়গাম হাজির করাটা বিরাট মুছিবত হইয়া উঠতে পারে।

কিন্তু খুবই শিধা একটা হিশাব আমি করছি। তাতে দুনিয়ার তাবত শমাজের কমন দুই তিনটা খাছলত পাইতেছি আমি; মানুষ এবং শমাজ বা রাষ্টের রিশতারো দুযেকটা কমন নিশানা দেখতে পাই এবং শেইখানেই একটা ইউনিভার্ছাল পলিটিক্যাল থিয়োরির শম্ভাবনা দেখি আমি।

মাকলুকাত বা স্পেছিছ হিসাবে মানুশেরর কমন একটা ‘পারপাস’ কি আইডেন্টিফাই করা যায় না? এইখানে আছে ফ্রিডম আর প্লুরালিটি ইস্যু! কিন্তু আমরা যদি ব্যক্তি উতরাইয়া আরেকটু কালেকটিভ লইয়া ভাবি, ধরেন, শমাজ যেমন, দুনিয়ার সব শমাজের একটা অন্তত কমন আর্জ মনে হয় পাওয়া সম্ভব–‘টু সারভাইভ’! 

দুনিয়ার শকল শমাজের ব্যাপারে আমার আন্দাজ হইলো, পরতিটা শমাজ ছারভাইভ করতে চায়, শমাজের কোন কোন মেম্বার ছুইছাইড করতে চাইলেও শমাজ হিশাবে ছারভাইভ করতে চায় শকল শমাজ।

কিন্তু সারভাইভাল কইতে আবার কি বুঝবো আমরা? ধরেন, ইতিহাসের যেকোন জামানার তুলনায় দুনিয়ায় এখন বেশি মুরগী আছে, এইটারে কি মুরগীর সারভাইভাল হিসাবে দেখবো? যেইখানে কিনা এই মুরগীদের ৯৯{855ff4e32ca5c8db0719e8f837cd158afce0d103a8821dfb7d995472b79aa6d7} ফার্মে আছে, ৯০{855ff4e32ca5c8db0719e8f837cd158afce0d103a8821dfb7d995472b79aa6d7} মুরগীর সেক্সলাইফ সাসপেন্ড কইরা রাখছে মানুষ, এবং ফার্মের সব মুরগীই পুরা বন্দী, হাঁটার জাগাও বেশি দেওয়া হয় না, ওজন কমার সম্ভাবনায়।

তাইলে কি ছারভাইভালের লগে হ্যাপিনেছকেও সমাজের পারপাছ বা মনজিল ধরা যায়? এই ব্যাপারে কি ইন্টার-কালচারাল ডায়লগ ঘটতে পারে?

দুঃখ এবং শুখ লইয়া ভাবনা আছে বুদ্ধের; কিন্তু শেই ভাবনা শমাজের ছারভাইভালের বদলে ব্যক্তির শুখ হাছিলের ফর্মুলা, রিপরডাকশন নাই শমাজে, তাই ছারভাইভাল লইয়া দরকারি ভাবনা আমরা পাইতেছি না ঐখানে।

তাইলে পারপাছের ঐ দুই আদি ছওয়ালকে কন্সট্যান্ট ধইরা আমরা কি জামানার ইশু আর থিয়োরিগুলারে আরেকটু বিচার করতে পারি? কি কি জাস্টিফাইড আর কি কি না, সেই শবের ফয়ছালা করতে ঐ আদি ছওয়ালের কোন একটা জবাবে একমত না হইয়া পারবো আমরা?

আমার বিচারে শকল শমাজে শুখ আর শান্তির শুরুটা কবুলিয়তে। কোন শমাজে আপনে খুবই শুখি গোলাম পাইতে পারেন, আমাদের শমাজে কত কত বউয়েরা আছে এমন, কিন্তু খেয়াল করেন, তাদের গোলামির শুরুটাও কবুলিয়তে, গোলাম হইতে যার কবুলিয়ত নাই, গোলামি তার কাছে জুলুম, শুখ নাই তার মনে!

অন্যের শেবা করা মানেই গোলামি না আশলে, কেননা, মানুশ অন্যরে দিতেই চায়, তাই দুনিয়ার শবচে শোজা কামের নাম পিরিতি; পিরিতি এমন এক জিনিশ, যেইটাতে এমনকি অন্যের কবুলিয়তও লাগে না! শেইটা অবশ্য জুলুমেও লাগে না, কিন্তু পিরিতি যেই শুখ দেয়, শেইটা দিতে পারে না জুলুম, এবং জুলুমের মতো পিরিতি হইতে পারে না অন্যের কোন বেদনার উছিলা! মানুশ অন্যরে দিতে চায়, দেবার মতো যোগ্য কারো তালাশে দিওয়ানা হইয়া রাস্তায় নামে; শবচে কিপটা লোকটাও নিজের বাছুরেরে বানাইয়া যায় ধনী ওয়ারিশ! পিরিতি এক শুখের গোলামি, কবুলিয়তেই যেই শুখের শুরু! এবং গণতন্ত্র মানে মেজরিটির শাশন না, গণতন্ত্র মানে কবুলিয়তের শাশন। গণতন্ত্র মানে কোন একটা থিয়োরি ভাবাই মুশকিল, এইটা ইতিহাশের পরতিটা জামানার মানুশের লগে এতোটাই তাল মিলাইয়া চলবার কথা যে, একমাত্র কবুলিয়ত ছাড়া, দুর্বল এবং বেকুবের শুখের নামও শুখ ভাবার এছেন্স বা মর্ম ছাড়া কিছু নাই! গণতন্ত্র আশলে তাই ছেরেফ ছিস্টেম বা শমাজের একাটা দশা বা স্টেট অব ছিস্টেম, যেইটারে ইকুইলিব্রিয়াম ভাবা যায়–পাল্লার ডান্ডা একদম লেভেল থাকা, কোন ঝোক ছাড়া, জনতার বহু শরিকের নারাজ ইকুইলিব্রিয়াম না, কবুলিয়তের ভিতর দিয়া ম্যাক্সিমাম ফূর্তির ইকুইলিব্রিয়াম।  
মানুশের কবুলিয়তের ইজ্জত যদি দুনিয়ায় ১ নম্বর পলিটিক্যাল ইশু বানাইতে পারি, তাইলে একদিন হয়তো আর শব মাকলুকাতের উপর মানুশের জুলুমও আরেকটু কমাইতে পারবো আমরা! এক মাকলুকাত আরেক মাকলুকাতরে খায়, জিন্দেগির নেচারাল কন্ডিশন এইটা, কিন্তু বাচার দরকারের বাইরেও দুনিয়া ও মাকলুকাতের উপর মানুষের জুলুমের বদলে পিরিতি আর দরদের ভুবনে কেমনে যাবো আমরা, যদি মানুশের কবুলিয়ত এবং শুখ ও শান্তির তোয়াক্কা না করি!

আগস্ট ১৯-ডিছেম্বর ২, ২০১৯

…………………………….

 

//টিপ্পনি//

 

১. পপুলিজম এবং গণতন্ত্রের খাছলতের ফারাক কিলিয়ার করা দরকার। তাই পুরানা ছোট্ট এই লেখাটা কামে লাগতে পারে:

কোটা লইয়া ৩টা পজিশন আছে দেশে। এই ৩ পজিশন দিয়া আপনে পলিটিক্সের ৩টা স্কুল বুঝতে পারেন।

পজিশন-১ হইলো ‘মাফিয়া’দের মতো; বা অলিগার্কি ধরতে পারেন। ৩০{855ff4e32ca5c8db0719e8f837cd158afce0d103a8821dfb7d995472b79aa6d7} কোটা নিজেদের জন্য রাইখা বনেদিয়ানা-পাওয়ার ইত্যাদির জন্য একটা সেফটি নেট বানানো, উপরের তারা যেন নিচে না পড়ে, নিচের কেউ যেন উঠতে না পারে।

পজিশন-২ হইলো পপুলিজম। এইটা মানুষের সমাজের বেসিক খাসলতটাই অস্বীকার করে। এরা কোটা শূন্যে নামাইতে চায়। মানুষের সমাজে যেমন দেখা যায়, মরমর বাপ-মা-বাচ্চারে বাঁচাইয়া রাখতে বাড়িঘর বেইচা খয়রাতি হইয়া যায়, ডিজ্যাবল বাচ্চারে বাঁচাইয়া রাখার বাড়তি পেইন লইয়া থাকে বছরের পর বছর, তবু ছাড়ে না, মারে না! পপুলিজম সমাজের এই খাসলত বদলাইতে কয়; দুর্বলকে কোন মওকা দেবে না, দুর্বলকে মাইরা একটা সো কল্ড নেচারাল সিলেকশন কায়েম করতে চায় এরা; নিজের বাচ্চা ডিজ্যাবল হইলে সেই বাচ্চারে মারার পক্ষে এনাদের লজিক।

পজিশন-৩ হইলো ডেমোক্রেটিক হওয়া। ডেমোক্রেসির এসেন্স হইলো, সমাজে হ্যাপিনেস ম্যাক্সিমাইজ করা, দুর্বলকে বাঁচাইয়া রাখার চেষ্টা করা, ১’র মতো সেফটি ফেন্স বানাইইয়া না তোলা, নিচের মানুষকে উপরে ওঠার মওকা বানানো।

কোটার ডেমোক্রেটিক এসেন্স এইটাই; তাই পপুলিজম ডেমোক্রেসি না। ডেমোক্রেটিকরা তাই দুর্বলের জন্য কোটা রাখবে, দুর্বল চেনার ক্রাইটেরিয়া হইতে পারে জেন্ডার, রিজিয়ন, জাতি, বর্ণ/রেস ইত্যাদি; এইটা দুর্বলও মারবে না, অলিগার্কি/মাফিয়াও হইতে দেবে না! আমাদের কন্সটিট্যুশনের এসেন্স এমনই।

কোটা মুভমেন্ট শুরুতেই ডেমোক্রেটিক হওয়া দরকার কোটার ব্যাপারে, পপুলিজমের হার্টলেস খায়েশ যাতে জিততে না পারে! এইজন্য প্রস্তাব দেওয়া উচিত ডাইরেক্ট, কোথায় কত {855ff4e32ca5c8db0719e8f837cd158afce0d103a8821dfb7d995472b79aa6d7} চাই আমরা!

আদিবাসী, মাইয়া, জেলা, পোষ্য, মুক্তিযোদ্ধা –কার জন্য কতটা কোটা চাই, এইটা ক্লিয়ার কাট কওয়া দরকার! আমি পার্সোনালি মুক্তিযোদ্ধা’দের জন্য অন্য সুবিধা দেবার কথা কইবো, আমাদের নেশনাল দেনা আছে তাদের কাছে। দুর্বল বা পিছাইয়া পড়াদের লগে মুক্তিযোদ্ধা ঠিক যায় না! কেননা, পিছাইয়া থাকার ক্রাইটেরিয়া হিসাবে মুক্তিযোদ্ধা আসতে পারে না!

 

২. বিপ্লব-মার্ক্স-রাষ্ট-এনার্কিজম লইয়া আগের ছোট্ট এই লেখাটা আমার পজিশন আরেকটু ফরশা করতে পারে:

দেশে মার্ক্সের মুরিদরা পেরায়ই রাষ্ট্র লইয়া ওয়াজ করে, আজকে একজনের ওয়াজের টপিক দেখলাম, ‘রাষ্ট্র অথবা বিপ্লব’। দেশে এনার্কিস্টরাও আছেন, তারাও মনে হয় এমনে দেখেন মোটামুটি।

মনে হইতেছে, এনারা রাষ্ট্র মানে যে একটা ‘ফর্ম অব গভর্নেন্স’ বা শাসনের তরিকা, এইটা মিস করেন পেরায়ই! এমন আন্দাজ করতেছি কারণ, রাষ্ট্র যদি শাসনের একটা তরিকা হয় তাইলে কথাটা হবার কথা এমন–শাসনের যেকোন তরিকা অথবা বিপ্লব, নাকি না?

তাইলে আমাদের থিয়োরেটিকেল ফয়ছালা দরকার–শাসনের কোন তরিকা থাকবে না, এমন একটা জামানায় বা সমাজে যাইতে পারি কিনা আদৌ? মার্ক্স নিজে যখন বিপ্লবের আখেরি কদমে রাষ্ট্র খেদাবার কথা কইছেন, তখন ‘আদিম সমাজ’ লইয়া কতগুলা আন্দাজ কইরা নিছিলেন, মর্গানের কামের উছিলায় মনে হয়; আন্দাজটা এমন যে, সেই সমাজে শোষণ আছিল না, বা নাই। আদিম সমাজের ব্যাপারে সেই সব আন্দাজ এখন আর ‘সত্য’ হিসাবে না ভাবার অনেক কারণ আছে; একটা বড় কারণ মনে হয়, খোদ শোষণ জিনিসটাই পয়সাপাতি-মালছামান-মিনস অব পোডাকশন-পোডাকশন উতরাইয়া পাওয়ার রিলেশনে আইসা ঠেকছে! নয়া এই নজরে শাসনের যেকোন তরিকাতেই শোষণ বাস্তব, শোষণ স্রেফ শাসনের ডিফল্ট খাসলত, শাসন রাইখা শোষণ খেদাইতে পারতেছেন না আপনে!

এদিকে, মার্ক্সে শাসনের আইডিয়াও অত চোখা আছিল না মনে হয়, অন্তত মার্ক্সের মুরিদদের মাঝে বহুকাল শাসনের আইডিয়া ভোতাই দেখা গেছে! শাসনের যেকোন এক তরিকা বাদে সমাজ নাই; নর্ম বা এথিকস্ থিকা শুরু কইরা ভাষাও শাসনের একেকটা তরিকাই। মানুষের একটা বাচ্চা যেকোন সমাজে বড়ো হইতে থাকার মানেই একটা স্কুলিং, ভাষার ছবক পাইতেছে সেই বাচ্চা, তাই শাসনের কোন একটা তরিকার আওতায়ও যাইতেছে সে। তাই শাসনের যেকোন তরিকার বাইরে সমাজকে লইয়া যাবার উপায় নাই, কখনো আছিলও না তেমন সমাজ। শাসনের কোন একটা তরিকার থাকবেই না, তেমন একটা সমাজ বাচ্চা পালতে পারবে না, সেই দশা পুরাই মানুষের সারভাইভাল ইস্যু!

মার্ক্সের জামানায় মানুষের ব্যাপারে আরো একটা শক্ত আন্দাজ আছিল এমন যে, মানুষ জনমে ভালো, পরে সমাজে থাকতে থাকতে সে শয়তান হইয়া উঠতে থাকে। সেই আইডিয়াও কতটা সারভাইভ করলো? মানুষ এখন আরেকটা হান্টার স্পেসিস, শিকার কইরা খাবার বাইরেও সে অন্যরে টর্চার করার মন এবং হাতিয়ার পয়দা করতে পারে, জুলুমের এলেম জমাইয়া সেইটা পাচারও করতে পারে পরের জেনারেশনে। পরের জেনারেশন সেই এলেমরে আরো চোখা কইরা তোলে! যেই সমাজ মানুষরে শয়তান বানায় ধরা হইলো, খোদ সেই সমাজও তো মানুষই বানাইছে!

তাইলে বিপ্লবের দৌড় কদ্দূর? অন্তত শাসনের তামাম তরিকা খেদাইতে পারে না বিপ্লব! বিপ্লবের দৌড় তাইলে জুলুমকে মিনিমাম কইরা তোলা; পাওয়ার রিলেশন বা খমতার রিশতার আইডিয়ারে যদি লন তাইলে শোষণ না কইয়া জুলুমই কইতে হয়! কারণ অন্তত বাংলায় শোষণ শব্দে কোন একটা ম্যাটেরিয়াল হাতাইয়া লইবার ইশারা আছে।

তাইলে জুলুম মিনিমাম কইরা তোলার মানে কি করবো আমরা? যে কোন রিশতায় কনসেন্ট বা কবুলিয়তের অভাবে জুলুম পয়দা হয়। যেকোন এজমালি ঘটনায় সব পক্ষ যত মন থিকা কবুল করে, সমাজে সুখ তত বাড়ে, মানুষের মনে জুলুমের ফিলিং কমে। মানুষ বা সমাজের শরিকদের কবুলের অভাব জুলুমের শুরুতেই পাইবেন আপনে; তাই যেই বিপ্লব মানুষের কবুল করা না করার আলাপ বাদ দিয়া গায়ের জোরের বিপ্লবের কথা কইবে, তারে সন্দেহ করেন। সেই বিপ্লব যদি রাষ্ট্র খেদাবার দাবি করে, বুঝবেন, সেইটা শাসনের তামাম তরিকার বাইরে যাওয়া না মোটেই, সেইটা শাসনেরই আরেকটা তরিকা, ওনারা স্রেফ রাষ্ট্রের বদলে আরেকটা নাম দিয়া দেবে! তাতেই তো ওয়াদা পূরণ হইতেছে ষোলআনা!

বাংলাদেশে যদি দেখেন, তাহের কি করলো? বিপ্লবের নামে কতগুলা খুনের এপ্রুভাল লইয়া লইলো আপনার থিকা! এইটার নাম এবিউজ বা খেয়ানত, আপনের বিশ্বাস-ভরসা আমানত রাখবেন, ওনারা খেয়ানত করবেন; জনতার কবুলিয়তের তোয়াক্কা না করা বিপ্লবের যেকোন এজেন্ট আপনের আমানতের খেয়ানত করবে। ধোকা খাইয়েন না।

 

৩. মার্ক্সের নজরে গণতন্ত্র বোঝার কোন আর্টিকেল পড়া উচিত আছিল আমার, পারি নাই; কিন্তু চীন বা কিউবা বা শোভিয়েতে মার্ক্সের চর্চার মাঝে গণতন্ত্রের ব্যাপারে মার্ক্সের বিচারের কোন ইশারা কি আছে? নাকি এরা মার্ক্সের তরিকা ছাইড়া আর কোন দিকে গেছে…:

দেশে (বিদেশেও কি না!) মার্ক্সের তরিকার লোকেরা মনে হয় মার্ক্সের ঘোর দুশমনদের লগে একটা ব্যাপারে একমত–মার্ক্স লোকটা গণতন্ত্রের দুশমন!

কিন্তু আমার ধারনা, মার্ক্স সহি গণতন্ত্র যাবার কথা কইতেছেন, কেননা, বুর্জোয়া ভোট হইলো গণতন্ত্রের ইল্যুশন! 

এই ব্যাপারে মার্ক্স প্লেটোর মুরিদ যেন! বুর্জোয়া গণতন্ত্র হইলো, বুর্জোয়ার মনোপলি, এইটারে মার্ক্স স্রেফ প্রলেতারিয়েতের মনোপলি বানাইতে চাইতেছেন; প্রলেতারিয়েত অন্তত যেহেতু ৯০{855ff4e32ca5c8db0719e8f837cd158afce0d103a8821dfb7d995472b79aa6d7} হবে আখেরে, তাই প্রলেতারিয়েতের মনোপলি থাকলেই কেবল সহি গণতন্ত্র পাওয়া যাইতে পারে!

প্রলেতারিয়েতের মনোপলি কায়েমের পরে তাইলে কয়েকটা পার্টি থাকতে পারার কথা! কেননা, প্রলেতারিয়েতের শাসন কেমন হবে, সেই ব্যাপারে তারা কেন একমত হবে! বেসিক কয়েকটা ইস্যুতে একমত হবার ভিতর দিয়া কায়েম হইলো প্রলেতারিয়েতের মনোপলি, তারপরের ইস্যুগুলা–ভাগাভাগির কানুন বা ক্রাইম এন্ড পানিশমেন্ট বা আর্মস ইত্যাদি কেমন হবে সেই ব্যাপারে দলগুলা ইশতেহার দেবে, ভোট হবে, পালা কইরা শাসন করবে পার্টিগুলা, জনতার ভোটে ইলেকটেড হইয়াই!

গায়ের জোর ডিনাই করছেন না মার্ক্স, বুর্জোয়া তো গায়ের জোরেই আছে! তাইলে কনসেন্ট তো তার চিন্তার সেন্টারে থাকার কথা, নাকি না! কিন্তু মার্ক্সের তরিকার লোকেরা খোদ কনসেন্টের আইডিয়াটাই ডিনাই কইরা মার্ক্সকে কেন গায়ের জোরের প্রফেট বানাইয়া ফেলছেন প্রায়…!

 

৪. শমাজ এবং রাষ্টের লগে ব্যক্তির রিশতা কেমন হবে, একটা গণতান্ত্রিক রাষ্টের রাজনীতি শমাজের বহুপক্ষের ফ্যাছাদের ফয়ছালা কেমনে করবে? চুক্তির ভিতর দিয়া বহুপক্ষের রিশতার একটা পরস্তাব:

হোয়াইট ভালো লাগে, সারা জিন্দেগি হোয়াইট পার্টনার লইয়া কাটাইছেন, এমন কেউ রেসিজম বিরোধী পলিটিক্স করলে কি কোন হিপোক্রিসি হয়? না। 

পার্সোনাল ইজ পলিটিক্যাল, কিন্তু প্রাইভেট আর পাবলিক স্পেসে পলিটিক্সের ডাইমেনশনে বহু তফাত। সমাজ যদি মানুষকে দখল কইরা থাকে, তবু সমাজে থাকা মানে একটা চুক্তির ভিতরে থাকা। প্রাইভেট থিকা আপনে যদি নিজের পজিশন লইয়া পাবলিকে যান তাইলে সেইটা পলিটিক্যাল এজেন্ডা হয়, পাবলিক পজিশন লওয়া মানে আপনে সেই রাজনীতির প্রোপাগান্ডা চালাইতেছেন। পাবলিক পজিশন এবং প্রোপাগান্ডার আরেকটা দিকও আছে, এইটা আপনে মরার পরেও থাইকা যাইতেছে, প্রাইভেট মানে আপনে মরার পরে নাই। সামাজিক বা পাবলিক তাইলে বিয়ন্ড প্রাইভেট, দুই স্পেসের পলিটিক্সেও এই তফাত।

সামাজিক চুক্তিতে আপনারে যা যা মানতে হয় সেইগুলা আপনে প্রাইভেট লাইফে নাও মানতে পারেন। অসুবিধা নাই। 

আমাদের দরকার হইলো কতগুলা সামাজিক ছাড় দিয়া একটা পোক্ত চুক্তি করা যাতে আমাদের প্রাইভেট স্পেসে হামলা না হয়।

দেখেন, সিগারেট খাওয়ার প্রোপাগান্ডা চালানো বেআইনী, কিন্তু সিগারেট আপনে খাইতে পারেন। সিগারেট খাইয়া আপনে সিগারেট বিরোধী রাজনীতিও করতে পারেন। আমাদের সেক্সুয়াল অরিয়েন্টেশন, বিয়ার প্রাকটিসের সীমা, ড্রাগস, ড্রিংকিং, ড্রেসআপ–এইসব ব্যাপারে কতগুলা পাবলিক পজিশন লইতে পারতেছেন না, কতগুলা বেআইনী, কতগুলা আইনে মানা না করলেও অসামাজিক হিসাবে দেখে লোকে। এখন কোনটা চান আপনে? এইসব লইয়া প্রোপাগান্ডা চালাইতে নাকি প্রাইভেট স্পেসে কে কি করে সেই ব্যাপারে যেন খবরদারি না করে কেউ, উঁকি মারে–নজরদারি করে স্টেট-সমাজ, সেইটা বেশি বন্ধ করা দরকার, নাকি সমাজে ধরেন ড্রাগ আরো ছড়াবার পলিটিক্স কইরা ড্রাগ-মাফিয়ার মার্কেট রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসাবে বেতন ছাড়া কাম করা?

অরিয়েন্টেশনে যারা স্টেইট না তাগো বিয়ার প্রোপাগান্ডা চালাইতে চান। বিয়া তো স্ট্রেইটদের বানানো একটা ইন্সটিট্যুশন, প্রোপার্টি এবং পোলামাইয়ার হিসাব রাখতে বানাইছে সমাজ, আপনে কেন সেইটারে আরো পাওয়ারফুল করতে চান? বা আরেকভাবে দেখেন, আপনে তো চার্চে বৌদ্ধের একটা মূর্তি রাখার দাবি করেন না! বিয়া তো স্ট্রেইটদের ক্লাব একটা, আপনে কেন সেইখানে ডাকতেছেন!

আপনে কইতে পারেন, সমাজে যা কিছু আছে তাতে সবার ভাগ আছে, তাই বিয়ার ভাগও দিতে হবে। আপনের এই দাবি লজিক্যাল ভাবার মুশকিল হইলো, এইটা সমাজের জন্য সুইসাইডাল! রিপ্রোডাকশন লাগবে সমাজের, নাইলে তো সমাজই থাকতেছে না! আপনে টেস্টটিউব বেবি বানাইবেন খালি? তাইলে কিন্তু আপনে এলিটিস্ট/ধনীদের লোকহইতেছেন তুমুল! গরিবেরা যেইটা খেলতে খেলতেই পারে, খরচ নাই কোন সেইটা করতে আপনে কত কত খরচের আয়োজনের রাস্তা দেখাইতেছেন!

আবার কইতে পারেন, আমি তো স্ট্রেইটদের ঠেকাইতেছি না! সমাজের প্যানিক আর সারভাইভাল ইস্যু এইভাবে কাম করে না। কোন একটা প্রোপাগান্ডা, যেইটা পুরা সমাজে ছড়াইলে সমাজ আর থাকতে পারবে না সেইটা শুরুতেই চিনতে পারে সমাজ, শুরুতেই থামাইতে চায়। অন্যরে জোর করার দরকার নাই আপনার, দুনিয়ায় পিসফুলি ছড়াইছে কত কিছু, জোর কইরা খাওয়াইতে হয় নাই। দেখেন, চা খাওয়াইতেই ব্রিটিশরা সবচে কম জোরাজুরি করছিল, খুবই পিসফুলি এইটা সারা দেশ দখল কইরা নিছে না? আগে যেসব জায়গায় শরবত দেওয়া হইতো তার অনেকগুলাতেই চা দখল করছে, শরবত খেদাইয়া দিছে পিসফুলি! স্টারডমের এই হাই টাইমে পিসফুলি দখল করা আরো সোজা হইয়া উঠছে!

সো, সমাজের কতগুলা লজিক আছে। সমাজ অনেক সময়ই ব্যক্তিরে খুন করে, হামলা করে। হামলার পিছে যদি পপুলার সাপোর্ট থাকে তাইলে হামলা ঠেকাবার রাস্তা প্রায় নাই! আমরা তাইলে কি করবো? আমি কতগুলা ছাড় দিয়া চুক্তি করার পক্ষে। আমি সমাজকে কতগুলা জিনিস দিয়া নিজের জন্য আরামের একটা স্পেস চাই। সমাজের হামলা কমাইতে চাই, এই ব্যাপারে আমি স্ট্রেট আর সমাজের ডায়ালেকটিক রিলেশনকে ম্যানিপুলেট করতে চাই। আমি চাই প্রাইভেট স্পেসে স্টেটের নাক ঠেকাইতে সমাজকে ইউজ করুক লোকে, সমাজের নাক ঠেকাইতে স্টেটকে ইউজ করুক।

সমাজে লেখা বা রিটেন কোন কোড নাই, স্টেটের আছে। স্টেটকে যদি তার কোড অব কনডাক্টের ভিতর আমরা আটকাইতে না পারি তাইলে স্টেটকে দিয়া সমাজের নাক ঠেকানো যাবে না। আমার তাই পয়লা এজেন্ডা স্টেটকে তার কোডের ভিতর আটকানো, সেইজন্য সমাজের লগে দোস্তি করতে হবে।

 

৫. এই জামানায় আমরা কেমন মুশকিলে আছি? অনেকগুলা ‘রাইট’, তারা আবার একটা আরেকটারে নাকচ করে পেরায়ই! এই ব্যাপারে পুরানা ভাবনা কিছু:

হাউ টু রিবুট এথিকস্?

এথিকস্-এর পুরানা খাম্বাগুলা ভাইঙ্গা গেছে; এনলাইটেনমেন্ট থিকা যেইসব খাম্বা লইয়া মডার্ন স্টেট খাড়াইছিল, সেইগুলা নাই আর, রাষ্ট্র তার দরকারে তাই নয়া নয়া খাম্বা বানাইয়া লইতেছে, যেইগুলা বানাবার ব্যাপারে  জনতা এবং আতেলদের কোন হাত নাই, এইগুলা স্রেফ ফর্মাল পাওয়ারের এক্সিকিউটিভরা বানাইয়া প্রোপাগান্ডিস্ট গোলাম আতেলদের দিয়া জনতারে মায়ার ভিতরে আটকাইয়া রাখতেছে, যার যার মায়া কাটবে তারা হয় খুন হবে, বা গুম বা পাগল বা স্রেফ না খাইয়া মরবে!

আকবরের দরবারে ভাড়াটে আতেল আছিল, কিন্তু বীরবলের ভিতর দিয়া দেখা যাইতেছে, সেইসব আতেলের মন পুরা গোলাম হয় নাই: গোপাল ভাড়ও তেমন! তখন রাজা আর আতেলের স্বার্থ পুরা এক আছিল না, কিন্তু এখন? মডার্ন স্টেটে মনে হইতেছে, রাষ্ট্র এবং সরকার আর আতেল–সবার স্বার্থ একাকার!

এই দশার গোড়ায় আমার ধারনা, এথিকস্-এর খাম্বাগুলা ভাইঙ্গা পড়া! এইটার সেরা এক্সপ্রেশন পাওয়া যায় এনার্কিস্টদের কায়কারবারে! ক্রসফায়ার/গানফাইট লইয়া আলাপ করবেন আপনে, ডিনাই করবেন এথিক্যেলি এবং পলিটিক্যেলি, এই এনার্কিস্টরা দেখাইয়া দেবেন, রাষ্ট্র মানেই খুন, তারা বডি-পলিটিক লইয়া আলাপ তুলবে! তারা দেখাইয়া দেবে, আপনে যেই এথিক্যেল খাম্বা লইয়া আছেন, রাষ্ট্রের খুন ডিনাই করতেছেন সেই খাম্বাগুলা ভুয়া। আখেরে রাষ্ট্রের যেকোন খুন নর্মাল মনে হইতে থাকবে আপনের! রাষ্ট্রের লগে ফ্যাসাদেরো কোন মানে পাইবেন না, যা ইনএভিটেবল তার লগে ফাইট কইরা লাভ কি– আপনে তো আর শেক্সপিয়ারের ট্রাজেডির কোন হামবড়া নায়ক না!

এই কারণেই এথিকস্-এর রিবুটিং দরকার মনে হইতেছে! কারণ, ঐ খাম্বাগুলা মোটামুটি ভূয়াই আসলে! কিন্তু তার মানেই তো খুনেরা জায়েজ হয় না! আর কোন খাম্বা আছে হয়তো, সেইটা ভূয়া না, সেইটা (গুলা) দিয়া হয়তো ঠিকঠাকই ডিনাই করা যায় খুন! 

খাম্বাগুলা যে ভাইঙ্গা গেছে, আমরা এইটা যত আগে মানতে পারবো, তত আগে আমরা মজবুত খাম্বার তালাশে নামতে পারবো! কিন্তু ঐ খাম্বাগুলা যে কি কি, আমার ধারনা খুবই আবছা, মালুম হইতেছে কেবল! আমার চাইতে বেশি যারা এনলাইটেনমেন্ট লইয়া পড়ছেন, তারাও যদি এই কামে হাত লাগাইতেন…কাম আগাইতো…

গত অনেকদিন ধইরাই ভাবি, আমাদের কতগুলা আদি সওয়ালের নয়া জবাব দরকার এবং সেই জন্য আমাদেরকে ফিলসফির কাছে ফেরত যাইতে হবে, আরো সোজা কইলে এথিক্সের কাছে!

দুনিয়া দাপাইয়া বেড়ানো ইস্যু আর থিয়োরিগুলা খেয়াল করেন:

পোস্ট-মডার্নিজম

পোস্ট-স্ট্রাকচারালিজম

ফেমিনিজম

এনভায়রনমেন্টালিজম

প্রাইভেসি

ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশান

ফ্রি উইল/চয়েস

সিকিউরিটি এন্ড টর্চার

রেসিজম

কনজ্যুমারিজম

পলিটিক্যাল কারেক্টনেস

সাইকো-এনালিসিস

পোস্ট-নেশনালিজম

স্পেস-এক্সপ্লোরেশন

ভেজ-ননভেজ

ইম্পেরিয়ালিজম

পপুলিজম

ডেমোক্রেসি

হেট-ক্যাম্পেইন

ক্লোনিং

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স

হোমোসেক্সুয়ালিটি

সুইসাইড

 

… আরো কত কি…

খেয়াল করেন, এইগুলার একটার লগে আরেকটার ঝগড়া-ফ্যাসাদ ঘটে প্রায়ই। ধরেন, এনভায়রনমেন্টালিজম আর ফ্রি চয়েস–দুইটারেই যদি আপনে পজিটিভ ভাবেন তাইলে দুইটার ফয়সালা কেমনে করবেন? বা ফ্রিডম মানার পরে ক্লোনিং কেমনে ব্যান করবেন? প্রাইভেসি মানার পরে টরেন্ট শেয়ারিং-এর জন্য লিগ্যাল একশন কেমনে নেয় স্টেট? ডেমোক্রেসির টেরিটরি কেন পপুলিজমকে কনটেইন করতে পারবে না? ফ্রিডম আর সুইসাইড? এআই এবং টেস্টটিউব টেকনোলজির ভিতর দিয়া মানুষের শরিলের দরকার পেরায় নাই হইয়া গেছে; ফাইনালি মাইয়াদের ছেরেফ ছেক্সডল ভাবার উপায় বানাইয়া দিছে টেকনোলজি; মানুশের জীবনের কি শেই দাম আছে আর, দেবার দরকার আছে!

 

৬. ক্যাপিটালের গায়ে চাবুক মারতে যাইয়া চমস্কি আখেরে কবুলিয়ত জিনিসটারেই ফালতু কইতেছেন যেন, অন্তত বাম-পাবলিক ডিছকোর্ছে চমস্কি যেমনে হাজির হইছেন আর কি! তাতে লাঠিটাই ভাঙলো, শাপ আর মরলো না, বরং আরো পাওয়ারফুল হইলো! আগে মেনুফ্যাকচার করতো কবুলিয়ত, এখন লাগেই না!

চমস্কি যেই ‘ম্যানুফ্যাকচারিং কনসেন্ট’কে গালাগালি করছেন সেই কনসেন্ট ব্যাপারটা আসলে কতটা দরকারি জিনিস তা বুঝবেন বাংলাদেশ লইয়া ভাবলে। বাংলাদেশের সমাজে এবং রাষ্ট্রে ‘আইডিয়া অব কনসেন্ট’ পুরাই গরহাজির মনে হয়!

স্কুল, মাদ্রাসা, বিয়া, সেক্স, ফেমিলি, শাসন কোথাও কনসেন্টের আইডিয়া দেখা যায় না বিশেষ। ইভেন জনসেবা জিনিসটাও বলপ্রয়োগের ভিতর দিয়াই চলে!

ইংরাজ আমলে নাকি জোর কইরা নেটিভদের স্যানিটেশনে বাধ্য করা হইছিল; কারণ, নেটিভদের দেওয়া দুধ খাইয়া কলেরা হইতাছে ইংরাজ আর্মির, তাতে সিপাহী বিদ্রোহে ইংরাজ কোনঠাসা হইয়া পড়তাছে। ব্যাপারটা এখনো অমনই আছে দেশে, জনসেবা প্রায় সবসময়ই আর কোন ধান্দা আসলে!

সো, তাড়াহুড়া থাকে, জোর কইরা সেবা খাওয়ায়। এর লগে আছে জনগণের জ্ঞানবুদ্ধির ব্যাপারে ডিজরেসপেক্ট! তা শাসকদের জ্ঞানবুদ্ধির দৌড় তো দেখাই যায়–জনগণের গরু বেইচা ট্রাক্টর কিনাইছে শাসকরা, জিএম ফুড, সার-ওষুধ দিয়া সারাদেশের মাছ শেষ কইরা দিছে না ওই জ্ঞান!

এদিকে কলোনিয়াল বান্দারা তো আলোকিত মানুষ বানাইতে চাইছে; তার একটা ফল হইলো, কনসেন্টের আইডিয়ারে লইয়া মশকরা করা; আন্ধারের মানুষেরা কনসেন্ট দেয় তাতে ওনাগো গা জ্বলে। তারা লাইট জ্বালাইতে থাকে জোর কইরা।

এমনকি আমাদের বিপ্লবীরাও কনসেন্টের তোয়াক্কা করে না; তাহের বিপ্লব করবেন জোর কইরা, সোজা কইরা ফেলবেন দেশের মানুষ পিটাইয়া, বুর্জোয়া শয়তান–সামন্ততন্ত্রের ভুত দেশের মানুষ, দেশে আছে হায়েনা আর ভেড়া; হায়েনাদের খুন কইরা ভেড়াগুলিরে পিটাইয়া মানুষ বানাইবেন তাহের!

চলেন, আইডিয়া অব কনসেন্ট লইয়া মাহফিল করি এই সমাজে, অন্তত ১২ বছর!

 

৭. পুরানা পোশ্ন শব। জবাবগুলা আমরা যেন জানি অলরেডি, জানি কি! কিছুদিন আগে এইশব লইয়া ভাবতেছিলাম। নিউটনের কথা মনে আইলো, নিউটনে পদার্থের দুনিয়া পুরা খোলাশা হয় না বইলা আইনস্টাইন কেমনে আরেকটু শামনে গেল, লগে এখনকার কোয়ান্টাম ফিজিক্সও! তখন নচের কথাগুলা লিখছিলাম, এই লেখাটার পিছে আমার যেই তাড়না তারে বুঝতে নিচের কথাগুলা কামে লাগতে পারে:

কত কত দিকে আমার ইন্টারেস্ট, এমনকি সায়েন্সেও! ইন্টারেস্টের সেক্টরগুলায় যাই আর মালুম হয়, দেশের আতেল-লেখক-মাস্টাররা কতটা পার্শিয়ালি জানায় আমাদের! বা যারা এলেমের আরেকটু নিচের দিকে নামেন, সমাজে তাদের ভাবনা-লেখা ঢোকে না বুঝি!

আমাদের সমাজে নিউটনের নাম আছে, অন্তত একটু যারা পড়ছেন, তাদের মাঝে। নিউটন নাকি জিগাইছিলেন, আপেলটা পড়লো কেন? এইটার জবাবের তালাশে নাইমা গ্রাভিটি পাইছিলেন উনি।

নিউটন ঐ পোশ্ন তুলছিলেন সত্য, কিন্তু উনিই পয়লা না! বা এই পোশ্ন ওনার করতেই হয় নাই হয়তো! কেননা, পোশ্নটা আগে থিকাই আছিল! ওনার আগে এরিস্টটল পোশ্ন তুলছিলেন, উপর থিকা বস্তুরা নিচে পড়ে কেন? জবাবও দিছিলেন এরিস্টটল।

এরিস্টটলের জবাব মারেফতি, পিরিত আর আধ্যাত্মিকতার চূড়া! উনি কইলেন–বস্তুরা নিচে পড়ে কারণ, মাটির লগে মিলনের তরে উতলা হইয়া থাকে বস্তুরা!

তবে, নিউটনের পোশ্ন আরো লম্বা আছিল, সেই লেজুড়টা আর কয় না কেউ আমাদের দেশে! মিশিও কাকু নামের এক ফিজিসিস্ট জানাইতেছেন–নিউটন আরো জিগাইছিলেন, আপেলটা যদি পড়লো, চানটাও কি তাইলে নিচে পড়বে? এই দুই পোশ্নের জবাবের তালাশেই উনি ক্যালকুলাস আর গ্রাভিটি এবং গতির থিয়োরিগুলা পাইছিলেন!

গতির থিয়োরিগুলার পিছে অবশ্য আরো একটা পোশ্ন আছে: চলন্ত বস্তুরা শ্লো হইতে হইতে থাইমা যায় কেন? এবং এই পোশ্নটাও নিউটনের আগেই এরিস্টটল করছিলেন! জবাবও দিছিলেন। এরিস্টটলের জবাব আছিল–বস্তুরা টায়ার্ড হইয়া যায়, তাই থামে।

সো, এরিস্টটলের ভুল ধরতে যাইয়াই নিউটন হইলো! নিউটনরে পরে আগাইছেন আইনস্টাইন।   এরিস্টটলের আগেও হয়তো কেউ একই পোশ্ন তুলছিলেন; হয়তো মিশরে বা গিলগামেশের মেসোপটেমিয়ায়, জানি না!

মানুষ এবং তাবত দুনিয়ার পয়দা লইয়াও একই পোশ্ন আছিল ইতিহাশের শুরু থিকাই; ধর্মগুলা শেই পোশ্নের জবাব দিছে আগে। ইউরোপে রেনেছা আর হিউম্যানিজম গজাইতে থাকার লগে লগে ধর্মের জবাবগুলা আর ছহি ভাবতে পারে নাই রেনেছার ভাবুকেরা; কিন্তু জবাবও দিতে পারে নাই বহুদিন। এই যে একটা শূন্য, এইটা পুরা করতে দুইটা থিয়োরি পয়দা হইছে: ইভোলুশন আর বিগ ব্যাঙ থিয়োরি, অংকে নেগেটিভ নাম্বারের আইডিয়া দিয়া তাবত দুনিয়ারে নেগেটিভ আর পজিটিভ জিনিশের বিস্তার হিশাবে দেখা শম্ভব হইছে, জগতের যোগফল যেন ছেরেফ ‘শূন্য’। ব্যাপারটা ছহি আর গলদের না, ব্যাপারটা হইলো, পোশ্ন আছে মানুশের, জবাব দরকার এবং ছহি বা গলদ যাই হৌক, জবাব আছে মানুশের কাছে।

পোশ্ন করা, জবাব দেওয়া আর ভুল ধরা–এই তো ইতিহাসের গোড়ার কথা! আমাদের বিজ্ঞানমনস্করা কোন একদিন চেতনাভক্তি উতরাইয়া পোশ্ন কি করবে? হায়, ভুল ধরার হিম্মত কি হবে…!

 

৮.  ইভোলুশন দিয়া শমাজ রাজনীতি বোঝার মুছিবত আরেকটু খোলাশা হইতে পারে নিচের আলাপে। ফেছবুকে শিরাজ আর পলাশি লইয়া কয়টা কথা:

নবাব সিরাজ লইয়া ক্যাচালে তাইলে দুইটা কথা আমিও কই :)! 

আপনেরা জানেন, বিজ্ঞানমনস্করা পেরায়ই ইভল্যুশনিজমের ফ্যান হইয়া থাকেন, নেচারাল চেঞ্জকে তারা ইভল্যুশন হিসাবে ধরেন, যে সারভাইভ করে, সে ফিটেস্ট এবং নেচারাল সিলেকশনের ভিতর দিয়া এইটা ঘটে, ফিটেস্ট সিলেক্টেড হয়।

আমার এই থিয়োরি নাপছন্দ, আমার হিসাবে এইটা রেসিজমের পক্ষে মাসালা দেয়, ইভল্যুশন কথাটার ভিতরেই একটা ভ্যালু জাজমেন্ট আছে না! যদিও মজার ব্যাপার হইলো, সাদাদের তুলনায় কালাদের যে গ্রোথরেট বেশি, এইটারে ওরা কালাদের বাড়তি ফিটনেস হিসাবে ধরেন না! এনিওয়ে, এই থিয়োরি লইয়া তবু লাইফ/বায়ো-সায়েন্সের বেলায় আমি ততো মাথা ঘামাই না। কিন্তু ঝামেলা লাগে তখন, যখন আমাদের এইসব ইভল্যুশনিস্ট

সোশ্যাল বা পলিটিক্যাল সায়েন্সে এই থিয়োরি এস্তেমাল করেন। সোশ্যাল বা পলিটিক্যাল সায়েন্সে এই থিয়োরি এখন বাতিল মাল; স্যাম হ্যারিস বা বেন ছাপিরো–এমন কিছু পপুলার আমরিকান বয়াতি মনে হয় সোশ্যাল সায়েন্স হিসাবে চালাইতে চান তবু।

তো, এই ইভল্যুশনিজমের তাবেদারি পাইলাম শাফকাত সাবের সিরাজ-তালাশিতে। ব্যাপারটা এমন যে, সিরাজ হারছে, তাইলে সে তো আনফিট আলবত, ক্লাইভ ফিটেস্ট, তাই জিতছেন। এই মর্মের ইতিহাসে হারার পরে বাইর করে, কেন হারলো এবং সেই তালাশিতে শুরুতেই ধইরা নেবে যে, হার মানেই হইলো, হারু পাট্টির গলদ আর কমতি। আপনে তখন বেঈমান পাইবেন না, চুরি-ডাকাতি-খুন পাইবেন না, ভিকটিমের গলদ সব। কিন্তু সমাজে বেঈমান-চোর-ডাকাত-খুনী আছে, মানে সমাজ ইভল্যুশনিস্ট না, এবং যদি হইতো তাইলে দুর্বলের জিন্দা থাকার হক থাকে না, ডেমোক্রেসি বা আইন-কানুনেরই কোন দরকার থাকে না; রেপ তখন স্রেফ সুপিরিয়র জিনের রথযাত্রা।

সো, সিরাজের বেলাতেও ইভল্যুশনিস্ট না হইলে আপনে সিরাজের না পারার লগে লগে বেঈমানিও পাইতে পারবেন। তবে আমার হিসাবে ঐটা অত বড়ো বেঈমানি হইতো না যদি মির জাফর সাকসেসফুলি নবাবি গদি ধইরা রাখতে পারতো। বা ধরেন, ক্লাইভও অতো খারাপ হইতো না যদি উনি আরেকজন নবাবই হইতেন মাত্র, কলোনাইজার না হইয়া। সো, এই মানুষগুলার বিচার ইতিহাস করতেছে পরের কলোনাইজেশনের ভিতর দিয়া, স্রেফ পলাশির ঘটনা দিয়া না!

ওদিকে, পলাশির ৬ বছর পরে বক্সারের যুদ্ধে মির কাশেমের হারেই কলোনাইজেশন পোক্ত হয়, পলাশির হারের পরেও মির কাশেম টিকতে পারলেও জাফরের বেঈমানি ইতিহাসে ছোট্ট এক চ্যাপ্টার মাত্রই হইতো, যেমন ছোট্ট চ্যাপ্টার হইয়া আছে বক্সারের যুদ্ধের বেঈমানরা; ঐ যুদ্ধেও জাফরি বেঈমানি আছিলো ভালোই, লোকে মনে রাখছে আদি বেঈমানরেই।

আরো একটা ব্যাপার আমাদের মনে রাখা উচিত–ইংরাজদের কিন্তু অনেকখানি লেজিটিমেসি আছিল, মোগল এম্পারার ইংরাজকে দেওয়ানি দিছে, মানে খাজনা তোলার দায়িত্ব, তার পিছে কতক কাহিনি থাকলেও দেওয়ানি পাওয়া তো এক কিছিমের লেজিটিমেসিই।

কিন্তু এর কোনটাই আসলে বিরাট ব্যাপার হইতো না ইতিহাসে, যদি না কলোনিয়াল শাসন হইতো! এইখানের খাজনা-ফসল বিলাত চইলা গেছে, জমিনে কিষকের হক উঠাইয়া দিয়া কিষকদের খুন করছে ইংরাজ, টেক্সটাইল মারছে, নয়া জমিদার বানাইয়া টর্চারের শাসন কায়েম করছে। এইগুলার বদলে ইংরাজ যদি নবাব বা এম্পারার হইয়া বাংলা বা দিল্লির শাসক মাত্র হইতো, তাইলে এইখানে পুবের আমেরিকা হইতে পারতো, বরং বেটার, ফেমিনে অযুত-কোটি মরলেও আমরিকান এ্যবোরিজিনালদের মাপে জেনোসাইড তো হয় নাই কলোনিয়াল ইন্ডিয়ায়! বা আমরিকান এ্যবোরিজিনালরা যেমন স্মলপক্সে মরছে ৯০{855ff4e32ca5c8db0719e8f837cd158afce0d103a8821dfb7d995472b79aa6d7}, তেমনও ঘটে নাই কলোনিয়াল ইন্ডিয়ায়। 

সো, ব্যাপারটা রেস বা ধর্ম বা এশিয়া-ইউরোপ ইস্যু না, আসল ব্যাপার হইলো কলোনাইজেশন। সিরাজের খুনের পরেও, জাফরি বেঈমানির পরেও কলোনিয়াল রুল জারি না করার অপশন তো আছিলোই ইংরাজের হাতে। কিন্তু তারা কলোনি বানাইছে, তাই তারা খারাপ, ইভল্যুশনিস্ট হইয়া না পারার সব দোষ নেটিভের কান্ধে চাপাবার উপায় নাই। কলোনি বানাইছে বইলা ইংরাজ যদি এমনকি নেচারালি সিলেক্টডও হয় তাতেই তাদের খারাপি কমে না, এমন খারাপ ভাবতে সমাজের কোন অসুবিধা নাই, সমাজ ইভল্যুশনিস্ট না তো!


******

কৈফিয়ত: নিজের ব্যাপারে আমার আন্দাজ হইলো, এমন একটা লেখা আমার নাগালের বাইরে। দরকারি এলেম নাই আমার, পড়ি নাই কত কি! কিন্তু ভাবনা হিশাবে হাজির করতে চাইছি আমি। ভরশা করতেছি অন্যদের উপর, আমারে ধোলাই কইরা কইরা তারা ভাবনাটা মজবুত কইরা তুলবেন… এলাহি ভরশা।

 

The following two tabs change content below.
Avatar photo

রক মনু

কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →