সিলেটের মণিপুরিদের ঝুলন জগোই
মনিপুরি কালচার নিয়া এই লেখাটা খাশ বাংলায় লেখা হয় নাই। বাংলাদেশের অন্য ভাষার লোকজন যাতে খাশ বাংলা’তে ইজিলি লিখতে পারেন, সেই স্পেইস তৈরি করতে চাইতেছি আমরা; এখন এই স্পেইস যেহেতু পুরাপুরি বানাইতে পারি নাই, এই কারণে এই লেখাগুলা বাদ দিতে চাই না আমরা। বাংলা-ভাষার এখনকার টেনশনগুলাতে অন্য ভাষার রাইটারাও নজর দিবেন – এইটা কিছুটা বাড়তি চাওয়া-ই; কিন্তু আমাদের এক্সপেক্টশন আছে, যদি খাশ বাংলার স্ট্রাকচারটারে স্পষ্ট করতে পারি আমরা আমাদের লেখালেখি আর বলাবলি’র ভিতর দিয়া, সেইটা এতোটা ‘বাড়তি’ জিনিস হয়া থাকতে পারবে না আর!
……………………………….
সিলেটে বসবাসকারী মণিপুরিদের অনন্য এক নৃত্য উৎসব ঝুলন জগোই। বাংলাদেশের অন্য কোথাও, এমনকী মণিপুরিদের মূল আবাসস্থল মণিপুরেও (যেখান থেকে পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে এবং কারণে বাংলাদেশসহ আরও কিছু স্থানে মণিপুরিরা অভিবাসিত হয়ে স্থায়ী বসবাস শুরু করে) এই ঝুলন জগোই-এর প্রচলন নাই। [pullquote][AWD_comments][/pullquote]
ঝুলন জগোই এর সময়কাল শ্রাবণ মাস। শ্রাবণ মাসের শুক্লা তিথিতে, একাদশী থেকে পঞ্চদশী পর্যন্ত চলে ঝুলন যাত্রা। এই পাঁচদিনের মধ্যে পঞ্চম দিনে, অর্থাৎ শ্রাবণ পূর্ণিমাতে ঝুলন জগোই চলে সারা রাত অবধি — ভোরের প্রথম আলো না ফোটা পর্যন্ত।
ঝুলনের গল্প
ঝুলন জগোই-এর ধারা গড়ে উঠেছে ভাগবত পুরাণ অবলম্বনে। ভাগবত পুরাণের মতে, রাধা তার সখিদের নিয়ে কুঞ্জবনে যেতে চান। তাঁর ধারণা, কৃষ্ণ সেখানেই আছেন। কারণ তাঁর বাঁশীর সুর রাধা ক্ষণে ক্ষণে শুনতে পান। সখিদের তিনি বলেন:
চল চল সখি যাই ঝুলনে/ ঝুলাব প্রাণ বন্ধুয়া সনে
গুরু পরিজন করিল শয়ন/ নগর নীরব হইল এখনে
করে আকিঞ্চন হইয়ে বিভোর/ আর কি রহিব দহে ভূবনে
বাজিছে সংকেত রবে সে বাঁশী/ বৈর হয়ে নীরব প্রেয়সী…
ঝুলনের আরেকটি গানে বর্ণীত হয়েছে রাধার কুঞ্জবনে যাওয়ার কথা। রাধা চলেছেন তার দুই সখি ললিতা ও বিশাখার হাত ধরে। গানের ভাষায়:
চলে প্রেমময়ী রাই/ দক্ষিণে ললিতা বামে বিশাখিকা/ মধ্যে চলে ধনি রাই
কিন্তু কুঞ্জবনে গিয়ে হতাশ হতে হয় তাঁদেরকে। কৃষ্ণ সেখানে নাই।
সখিদের নিয়ে রাধা তখন কৃষ্ণকে ডাকতে থাকেন। রাধার আকুল আবেদন, কুঞ্জবনে উপস্থিত হয়ে, মিলনাভিসার রচনা করে, শ্রাবণের এই পঞ্চদশী পূর্ণিমার রাতে কৃষ্ণ যেন তাঁর তৃষ্ণার্ত হৃদয় সিক্ত করে দেন ভালোবাসার অমৃতধারায়। কিন্তু তবু কৃষ্ণের দেখা নাই।
কোনো সাড়া না পেয়ে সখিগণ রাধাকে একাই চড়িয়ে দেন দোলে — রাধাকৃষ্ণের যুগলদোলনের জন্যে রচিত হয়েছিল যে দোল। সখিরা দোল দিতে থাকেন দোলে। দোলের দ্রুততায় পড়ে যাওয়ার উপক্রম হলে রাধা ভয় পেয়ে জড়িয়ে ধরেন দোলের দড়িকে। ভয় কেটে গেলে চোখ মেলে রাধা দেখেন, দোলের মধ্যে তিনি জড়ায়ে ধরে আছেন নাগর কিশোর শ্রীকৃষ্ণকেই। কৃষ্ণের এমন অলৌকিক এবং আকস্মিক আগমনের কথা ঝুলনের গানে ফুটে উঠেছে:
রাধারে দেখিয়া নাগর উঠিয়া আসিল কুঞ্জভূবনে
এভাবে রাধার ডাকে সাড়া দিয়ে কৃষ্ণ ঠিকই চলে আসেন কুঞ্জবনে। আর রাধা-কৃষ্ণের এই মিলনানন্দে রাধার সখিরা তাদেরকে হিন্দোলে ঝুলিয়ে আনন্দনৃত্য করতে থাকেন।
রাধার সখিদের এই আনন্দনৃত্যই ঝুলন রাস। রাধা-কৃষ্ণকে হিন্দোলে দুলিয়ে, তাদের অপার্থিব প্রেমমিলনের আনন্দে আনন্দিত হয়েই সখিদের এই আনন্দ নৃত্য।
ভাগবত পুরাণের এই গল্পের অনুকরণে মণিপুরিরা ঝুলন জগোই-এর আয়োজন করে থাকে। দোলনায় রাধাকৃষ্ণের প্রতীকী মুর্তি বসিয়ে, তাদের সামনে রাধার সখিরূপী গোপীরা নাচতে থাকেন।
ঝুলনের ইতিহাস
কবে, কখন, কীভাবে ঝুলন রাস শুরু হয় সে ইতিহাসের সঠিক কোনো তথ্য জানা যায় না। বহুকাল ধরে সিলেটে এ উৎসব চলে আসছে। এখনো যারা বেঁচে আছেন তাদের সবাই-ই জন্মাবধি এই উৎসব দেখে আসছেন। সঠিক কোনো ইতিহাস লিপিবদ্ধও নেই। তবে আনুমানিক হিসেবে বলা যায়, প্রায় ১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সিলেটে এই ঝুলন রাস পালিত হয়ে আসছে। কেউ কেউ মনে করেন ঝুলনের সূত্রপাত ত্রিপুরা থেকে।
সিলেটে মোট মণিপুরি পাড়ার সংখ্যা ১২ টি: কেওয়া (মীরের ময়দান), কোনুং (মণিপুরি রাজবাড়ি), খুনৌ (সুবিদবাজার), থৌদাম (আম্বরখানা), দখিংগাও (দক্ষিণগাঁও, খাদিম), নয়াবাজার (কুশিঘাট), নোংমাইথেম (আম্বরখানা, বড়বাজার), নুশিংতিলা (নরসিংহটিলা, বাগবাড়ি), পুখিমপান (সাগরদীঘির পাড়), লামাবাজার, শাপমলৈকায় (লালাদীঘির পার), ও শিবগঞ্জ। একসময় সবগুলো মণিপুরি পাড়ায় ঝুলন জগোইএর আয়োজন করা হতো। তবে পরবর্তীতে গোপী (নৃত্যশিল্পী), পুংজৈবা (মৃদঙ্গবাদক), সূত্র (কণ্ঠশিল্পী) ইত্যাদির অভাবে বিভিন্ন পাড়া ধীরে ধীরে গুটিয়ে নিতে থাকে তাদের আয়োজন।
ঝুলনের খুঁটিনাটি
ঝুলন রাস মণ্ডপ বা মন্দিরে হয়ে থাকে। মণ্ডপের মাঝখানে বাঁশের কাঠামোতে নকশা-কাটা সাদা কাগজ দিয়ে কুঞ্জ বা মণ্ডলী বানানো হয়। গোপীরা এই মণ্ডলীর ভেতরে চক্রাকারে আবর্তিত হয়ে নাচতে থাকেন। গোপীদের এই মণ্ডলী আবর্তন এন্টিক্লকওয়াইজ বা ঘড়ির কাঁটার উল্টোদিকে। ঋগ্বেদের আদিত্যস্তুতিতে যে আদিত্য পরিক্রমণের কথা উল্লেখ আছে, মণিপুরি নৃত্যের ঘড়ির কাঁটার উল্টোদিকে এই আবর্তনের ধারাটা আসলে তারই অনুসরণ।
মণ্ডলীতে প্রবেশের একটি মাত্র পথ থাকে, সে পথেই মণ্ডলীতে প্রবেশ করতে হয় এবং বেরোতেও হয় সে পথেই। ‘গোপীপরেং’-এ গোপীদের মধ্যে সবার সামনে যে থাকে তাকে বলা হয় ‘মকোকচিংবী’, তার পরেরজনকে ‘মথংচৎপী’ আর সবার পেছনে যে থাকে, তাকে বলা হয় ‘খোমদোন’। বয়স ও অভিজ্ঞতা, শারীরিক উচ্চতা এবং নৃত্যে দক্ষতার ভিত্তিতে এই ‘গোপীপরেং’ বা গোপীমণ্ডলী রচিত হয়।
ঝুলনের আগের দিন গোপীবার্তোনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ উৎসব। এই গোপীবার্তোনে মকোকচিংবী এবং খোমদোনকে তাদের গোপীদেরকে নিয়ে ঝুলন রাসে অংশগ্রহণ করার জন্যে আনুষ্ঠানিকভাবে নিমন্ত্রণ করা হয়। মকোকচিংবী এবং খোমদোন গোপীবার্তোন গ্রহণ করেন, এবং পরের রাত থেকেই ঝুলন রাসে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন।
ঝুলনের গানের যন্ত্র ও যন্ত্রী
ঝুলন শুরু হয় মৃদঙ্গে ‘রাগ’ বাজানো এবং সূত্রদের ‘রাগ’ গাওয়ার মাধ্যমে। মণিপুরিদের বিয়ে, শ্রাদ্ধ, সঙ্কীর্তন, রাস এবং অন্যান্য আচার অনুষ্ঠানও এই ‘রাগ’ এর মাধ্যমে শুরু হয়। এবং সবক্ষেত্রেই কণ্ঠেরও আগে মৃদঙ্গের ‘রাগ’ বাজানো হয়। একে ‘রাগ অহৌবা’ বা উদ্বোধনী রাগ বলে। এই রাগ অহৌবা বাজানোটাকে খুব গুরুত্বের সাথে নেয়া হয় এবং এতে ভুল করাটা অনাকাঙ্ক্ষিত। মৃদঙ্গের রাগ অহৌবার পরে সূত্ররা খালি কণ্ঠে ‘তা রি তা না’ গেয়ে থাকেন। হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ‘আলাপ’ এর আদলে গাওয়া এই বৈতালিক ‘রাগ’ (তা রি তা না) এর মাধ্যমে ভক্তি, প্রার্থনা ইত্যাদি নিবেদনের সাথে সাথে ঝুলন রাস আরম্ভের একটা আবহও তৈরি করা হয়।
মণ্ডলীর বাইরে এক পাশে আসন পেতে বসেন পুংজৈবা ও সূত্র। রাগ বাজানো এবং গাওয়া শেষ হলে সূত্ররা গাইতে শুরু করেন — ‘চলো যাই গো আজ কুঞ্জে, চলো যাই গো সখি’। তারপর তারা মৃদঙ্গ এবং মন্দিলার তালে তালে গেয়ে ওঠেন ‘চলো চলো সখি যাই ঝুলনেতে’, আর নৃত্যের লাস্যধারার শ্রেষ্ঠতম নিদর্শন মণিপুরি নৃত্যের পেলব ছন্দে পা ফেলে ফেলে গোপীরা ধীরে ধীরে প্রবেশ করেন মণ্ডলীতে।
ঝুলন জগোই-এর গানে বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহারে তেমন কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। বর্তমান সময়ে কেবল পুং, মন্দিলা (মন্দিরা) এবং হারমোনিয়ামের সাথেই গাওয়া হয়ে থাকে ঝুলনের গান। তবে এক সময় বাঁশী, এস্রাজ, সেতার ইত্যাদির প্রচলনও ছিল বলে জানা যায়। অর্থাৎ, যন্ত্রী থাকলে ঝুলনের গানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যে কোনো বাদ্যযন্ত্রই বাজানো যায়।
ঝুলনের গোপীদের পোশাক
ঝুলনের গোপীরা ফনেক-ইনফি পরে থাকেন। মণিপুরিদের ফনেকের মধ্যে ‘লৈফনেক’ একটু আভিজাত্য বহন করে। বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়া সচরাচর অনুষ্ঠানে কিংবা দৈনন্দিন যাপনে লৈফনেকের ব্যবহার হয় না। ঝুলন রাসের গোপীরা এই লৈফনেক পরে থাকেন। লৈফনেকের পাড়ে থাকে মৌমাছি এবং পদ্মফুলের নকশা। এই নকশা প্রাগৈতিহাসিক যুগের ঐতিহ্য বহন করে। ফনেকের জমিনে লাল ও কালো রঙের স্ট্রাইপ করা থাকে। কালো রং রাত্রির প্রতীক এবং লাল রং উষার।
ইনফির ব্যাপারে প্রথম চারদিনে স্বাধীনতা থাকলেও পঞ্চম দিনে পরা হয় ‘চারাং মশা’। বাকি চারদিন নির্দিষ্ট এক একটি রঙের ইনফি পরা হয়। মকোকচিংবী এবং অন্যান্য গোপীরা পরামর্শ করে এই রং ঠিক করে থাকেন। এছাড়া, অন্যান্য অলঙ্কারাদির বাইরে উল্লেখযোগ্য একটি অলঙ্কার হচ্ছে ‘লিকচাউ পরেং’।
ঝুলনের গান
পাড়াভেদে ঝুলনের গান এবং নাচের ধরণে বেশ পার্থক্য দেখা যায়। কয়েকটি গানের কথা-সুর প্রায় সব পাড়ায় একই রকম ভাবে গাওয়া হলেও বেশির ভাগ গানই এক এক পাড়ায় এক এক রকম। কোনোরকম স্বরলিপি ছাড়াই মুখশ্রুতিতে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে সঞ্চারিত হয় বলেই হয়তবা সময়ের সাথে সাথে এই পার্থক্য গড়ে উঠেছে।
ঝুলনের গানগুলো মূলত বাংলা, সংস্কৃত, এবং ব্রজবুলি ভাষায় লিখিত বিভিন্ন পদাবলি। তবে কিছু কিছু পাড়ায় মণিপুরি ভাষায় অনূদিত গানও শোনা যায়।
ঝুলনের গানের সুরগুলো ভীষণ শ্রুতিমধুর। বাংলা লোকজ গানের সুর, কীর্তনিয়া সুর, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সুর এবং মণিপুরি লোকজ সুরের অদ্ভুত সংমিশ্রণের পর মণিপুরি গানের স্বকীয়তায় আত্মীকরণে এ গানগুলো পেয়েছে এক অনন্য মোহনীয় আবেদন।
ঝুলনের গানগুলো পর্যালোচনা করলে ঝুলন রাসের বর্ণনা ফুটে ওঠে।
সখিদের নিয়ে রাধার কুঞ্জবনে যাওয়ার কথা যেমন পূর্বোক্ত গানগুলোতে ফুটে উঠেছে, তেমনি রাধা-কৃষ্ণের অভিসার দেখে আনন্দিত সখিদের উচ্ছাসও ফুটে ওঠে একটি গানে:
দেখ রাই-কানু ঝুলে
ঝুলনা উপরে অঙ্গ হেরিতে, মেঘেতে বিজুলী খেলে
হেরিলে দোঁহার রূপ মাধুরী কত অনঙ্গ ভুলে
সেই পূর্ণিমা রাতে প্রেমসিক্ত রাধা-কৃষ্ণের রূপ বর্ণনাও চলেছে সাথে সাথে:
নাগর ভাল সাজাইছে/ মোহন চূড়াতে বান্ধাইছে/ কত মালতী বকুলে
পৈরাছে প্যায়ারী/ নীল শাড়ী/ সাজাইছে নানা রঙ্গ ভুলে
কোনো কোনো গানে চলে বৃন্দাবনের বর্ণনা। যেমন:
মধুর বৃন্দাবন শ্রীল বৃন্দাবন/ কী দিব তুলনা/ বনের শোভা কে বর্ণীতে পারে
বিদায়বেলা
এমনই সব গানে নাচে-গানে সারারাত ধরে চলতে থাকে রাধা-কৃষ্ণের প্রেমরূপবন্দনা। রাত ধীরে ধীরে ভোর হয়ে আসে। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে পূর্ণিমার চাঁদও ফিকে হয়ে আসে। আলোর সাথে সাথে ফুরোবে তাঁদের এই অভিসার — এমন অতৃপ্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটে ভোরের একটি গানে:
হায়! কী ডাকাতি করিলে নিশি, বন্ধু ঝুলাইতে দিল না
গেল রে বন্ধু ঝুলনার দিন, আর কবে তোমায় ঝুলাব
সঙ্গের সঙ্গীনী রঙ্গীনী হইয়া হিন্দুলার উপরে ঝুলাব
হইল প্রভাত, শিরে ব্রজঘাট, মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হইল না…
ঝুলন রাসের ভাবরসে সিক্ত হয়ে ভক্তগণ এবং গোপী-পুংজৈবা-সূত্ররা এই গানের সময় বেশ আবেগী হয়ে পড়েন।
এই সময় গোপী, পুংজৈবা, সূত্র এবং প্রবীণ-বর্ষীয়ানদেরকে আয়োজক পাড়ার পক্ষ থেকে খুদৈ উপহার এবং কিছু দক্ষিণা প্রদান করা হয়।
ঝুলনের শেষ গান হিসেবে গাওয়া হয়, ‘হা গোবিন্দ প্রাণনাথ’ গানটি। এই গানটি গেয়ে শেষ হয় ঝুলন জগোই-এর পালা।
এরপর মঙ্গলারতি এবং তারপর থাকে আপ্যায়নের আয়োজন। মঙ্গলারতির সময় মকোকচিংবী প্রোজ্জ্বোলিত ধূপ-প্রদীপ আর মথংচৎপী চামর দুলিয়ে দেবতাদের মঙ্গল কামনা করতে থাকেন। এ সময় মণ্ডলীর ভেতরে অন্যান্য গোপীরা ধীর লয়ের মঙ্গলারতির তালে তালে নাচতে থাকেন।
এভাবেই শেষ হয় পাঁচদিন ধরে চলতে থাকা এই আয়োজন।
…………………………………
যেইসব বই ও লেখার হেল্প নেয়া হইছে:
১. ভারতের নৃত্যকলা – গায়ত্রী চট্টোপাধ্যায়
২. বাংলাদেশের মণিপুরী: ত্রয়ী সংস্কৃতির ত্রিবেণী সঙ্গমে – – এ. কে. শেরাম
৩. মৈতৈ পুংলোন রাগ অহৌবা – থিংবাইজম বাবু সিংহ
৪. ঝুলন রাস – এ. কে. শেরাম
চিংখৈ অঙোম
Latest posts by চিংখৈ অঙোম (see all)
- জোসেফের পোলা – সুধীর নাউরোইবম - জুন 19, 2021
- সিলেটের মণিপুরিদের ঝুলন জগোই - আগস্ট 3, 2020
- গল্প: নুংশিতোম্বী এবং আমি – সুধীর নাউরোইবম - আগস্ট 28, 2016