এখতিয়ার
ইছলামের বেপারে কত কত পোশ্ন মোছলমানদের, অন্যদেরো; এইটাই নরমাল। শকল চিন্তার বেপারেই বহু খুটিনাটি থাকে, তাই পোশ্নও, জবাব তালাশ করা মানুশের অনেকগুলা খাছলতের একটা। ধর্ম থিকা পিরিত, পোশ্ন থাকবেই; পিরিতের বেপারে জেমন, কেউ জদি কাউকে দাগা দেয়, তখন পোশ্ন আশে তার মনে, কেন!? জবাব না পাইলে মন আউলা হইয়া পড়ে পেরায়ই; পিরিতের ভুবনে এই পোশ্নের জবাবের একটা নাম আছে, ক্লোজার। তাই পোশ্ন আর জবাবের তালাশ কেবল ধার্মিক বা ভাবুক বা ছাইন্টিস্টের কাম না, শবারই কম বেশি উতলা হয় মন![pullquote][AWD_comments][/pullquote]
তো, এই পোশ্নগুলার জবাব কে দেবে, এখতিয়ার আছে কার? খিরিস্টানদের পোপ, পাদ্রি, বিশপেরা জবাব দেয়, কনফেশন দেয় খিরিস্টানরা পাদ্রির কাছে; আশলে খোদার দরবারেই, কিন্তু পাদ্রির মারফতে, গির্জা-পাদ্রি হইলো খোদার দরবারে জাবার মিডিয়াম বা শিড়ি; মানে গির্জা কেবল এবাদতের ঘর না। হিন্দুদের বামুনরা এই কাম কইরা দেয়, তারাও মিডিয়াম, দেবি বা ব্রহ্ম বা হিন্দুদের খোদার। মোছলমানদের? কোন দরবেশ জবাব দেন কখনো, পির-মুরশিদেরা দেন; কিন্তু এগুলা পেরায় পাদ্রি বা বামুদের মতোই একেকটা পোস্ট, তার বাইরে ইছলামে আলেম নামে একটা ক্যাটেগরি আছে; এইটা কোন পোস্ট না, পোস্টের ভিতর দিয়া জেমন কাস্ট বা বর্ন বা রেছিজমের শম্ভাবনা, খমতার জেই পার্মানেন্ট তফাত, ইছলামে শেইটা নাই; ইছলামে বান্দার লগে খোদার রিশতা ডাইরেক, আম পাবলিকের একজনের থিকা একজন আলেম বা আমির, কারো লগেই খোদার বাড়তি কানেকশন নাই। মানুশ হিশাবে তার জানা-বোঝা-এলেমের তুলনা করার কোনই উপায় নাই, তেমন একজনই আছিলেন ইছলামে, কেবল তার লগেই মোছলমানের খোদা বা আল্লার বাতচিতের ডাইরেক কানেকশন, আল্লা তারে দুনিয়া থিকা লইয়া জাবার পরে দুনিয়ায় তার উম্মতেরা শমান এতিম, এমন কেউ নাই জে একটু কম এতিম হইলো, জার লগে আম পাবলিকের তুলনায় বাড়তি খাতির দেখান খোদা! কোন জাত-পাত নাই, কেবল ইমান-আমল আর এলেমের ইজ্জত; কিন্তু শেই ইজ্জতের বেপারেও শবাই একমত হবার উপায় নাই, দুনিয়ার কেউ জানে না কার ইমান-আমল বা এলেম শবচে ভালো, কেবল আল্লাই জানে। জে কোন ফতোয়া বা তাফছির তাই কেবল কারো না কারো ভাবনা বা মত, ঠিক কি ভুল, কেবল আল্লাই জানে।
তাইলে ইছলামের পোশ্নের বেপারে জবাব দেবার এখতিয়ার কার, কতটা জানতে পারি আমরা? আরেক দিক দিয়া জিগাই এই পোশ্নটা, এখতিয়ার নাই কার? তাও জানি না আমরা। ইছলামে বহু মাজহাবের গোড়া এখতিয়ারের বেপারে আমাদের/মানুশের এই না জানা। অনেকে এইটারে পছন্দ করে না, কিন্তু এইটা আশলে ইছলামের একটা গুন, বান্দার জন্য রহমত! বাড়তি এখতিয়ার না থাকা বা রাছুলের পরে মানুশের পক্ষে এইটা না জানার ভিতরেই লুকাইয়া আছে ইনছাফের শম্ভাবনা, খোদার এবং আইনের নজরে শবাই শমান হইতে পারতেছে ঐ ছহি এখতিয়ারের অভাবে!
এবং এইটার নিশানা রাছুলের ভাবনার মাঝেই পাইতেছি আমি। রাছুলের ওফাতের পরে জানাজা এবং দাফনে দেরি হয়; রাজনিতি, জিন্দেগি এবং রাশ্টের বেপারে ইছলামের আগামি ইতিহাশ একটা রাস্তায় উঠাইয়া দেয় ঐ দেরি।
তার আগের রাজা-বাদশার রাস্তায় হাটেন নাই রাছুল; নিজের ওফাতের পরে কে হবে উম্মার ইমাম, শেই বেপারে কোন অছিয়ত কইরা জান নাই উনি। অশুখে পড়ার পরে আবু বকরকে নামাজে ইমামতি করায় মোতায়েন করছেন; এমনও বয়ান পাওয়া জাইতেছে জাতে দেখা জাইতেছে জে, একবার আবু বকর ইমামতির এন্তেজাম করতেছেন, নামাজ শুরু হবে, ঠিক তখন রাছুল আশছেন মশজিদে; আবু বকর ইমামের জাগা ছাইড়া দিয়া রাছুলকে জাগা কইরা দিছে, কিন্তু রাছুল আবু বকরকেই এজাজত দিছেন, তার ইমামতিতেই নামাজ পড়ছেন রাছুল।
ওদিকে, ওফাতের আগে রাছুল আলিরে ডাইকা নিছেন নিজের কাছে, আলি পরে রাছুলের দাফনের এন্তেজাম করছে, গোছল করাইছে; ওদিকে ওমরও রাছুলের শাশনে একজন ডাইরেক খাদেম আছিলেন, আবু বকরের মতোই। এমন কতগুলা ঘটনায় রাছুলের লগে বাড়তি খাতির বা রাছুলের বাড়তি পছন্দের নিশানা পাওয়া জাইতেছে হয়তো, অন্তত দাবি করতে পারে কেউ, কিন্তু পরের ইমাম কে হবেন, শেই বেপারে রাছুলের কোন অছিয়ত পাওয়া জাইতেছে না।
আমি বোঝার কশরত করি রাছুলের মোটিভ, কতক ইশারা পাই জেন তার কায়কারবারের খতিয়ান বা প্যাটার্নে! গোস্তাকি মাফ করুক খোদা, আমার বিবেচনায় ব্যাপারটা এমন: অছিয়ত রাইখা না জাইয়া এলেম আর ভোট বা বায়াত বা কবুলিয়তের এক অবলিগেশন দিয়া গেছেন রাছুল! এলেম হইলো কোরান আর ছুন্না, এই দুইয়ের রোশনাই ছাহাবিদের ছহি দিশা দেবে, তারা ভোটাভুটি কইরা ঠিক করবে নিজেদের ইমাম। রাছুল জখন নাই, ওফাত ঘটছে তার, শেই হালতে মোছলমানরা কি করবে, তা ঠিক করবে শেই মোছলমানরাই, রাছুলের অছিয়ত মোছলমানদের (মানুশের) চিন্তা করার দরকার কমাইয়া দিতো, ছেরেফ অছিয়ত পালন হইতো, কেন-কে-কোথায় শেইটা চুলচেরা বাছবিচারের দরকার থাকতো না আর। নিজেদের ভিতর মতের অমিল এবং শলা-পরামিশের ভিতর দিয়া একটা ফয়ছালায় হাজির হবার রাস্তা দেখাইয়া গেছেন রাছুল, অছিয়ত দিয়া বা কইরা না জাইয়া আশলে চিন্তা-এলেম আর ভোটের রাস্তায় জাইতে উম্মারে বাধ্য করছেন রাছুল।
মতের অমিল শুরু হইছে খোদ ওফাত লইয়াই! জনাব ওমর মানতেই নারাজ হইছেন জে, রাছুলের ওফাত হইছে! জে কইবে জে রাছুল মরছেন, তারেই মারার থেরেট দিছেন জনাব ওমর। আরো অনেকে একিন করতে রাজি হয় রাছুলের ওফাত। এইখানে তাইলে মানুশ রাছুলকে পুজার একটা শম্ভাবনা দেখা দিল, মানুশ হিশাবে রাছুলের জন্য জা নরমাল, তারে মানতে নারাজ হইয়া ওমর এবং অন্যরা রাছুলকে মানুশ ছাড়াইয়া অনেক বাইরে লইয়া গেছেন! আখেরে রাছুলের ওফাত ওমর এবং অন্যদের মানাইতে পারছেন জনাব আবু বকর, কোরানের আয়াত শুনাইয়া।
কিন্তু ওফাত জদি হয়, তাইলে এখন নেতা বা ইমাম কে হবেন? কোথায় কবর দেওয়া হবে, গোছল-জানাজা কেমনে হবে, শেই ফয়ছালা কে দেবেন?
তাই রাছুলের ওফাত জনাব ওমর এবং অন্যদের মানতে নারাজ হওয়া বাদেও ঐ শব পোশ্নের জবাবও লাগবে; তাই হাজেরান ছাহাবিদের শবার কবুলিয়তেই দাফন পিছাইয়া দেওয়া হয়। তখন ১ নাম্বার মামলা হইয়া ওঠে আগামির ইতিহাশকে ছহি রাস্তায় তুইলা দেওয়া, এবং তার মানে, ইলেকশনের ভিতর দিয়া ইমাম ঠিক করা।
শোমবারে রাছুলের ওফাতের পরে এই শব ঘটনা আগাইতে থাকে; এর মাঝেই মদিনার আনছাররা এক ময়দানে মজলিশ শুরু করে, শেইখানে তারা আনছারদের ভিতর একজনকে নেতা বানাবার আয়োজন করতেছিল। তারা মক্কা থিকা রাছুলের লগে বা পরে আশা মোহাজিরদের লগে আলাপ করতে চান নাই, এড়াইতে চাইছিলেন। খবর পাইয়া জনাব আবু বকর এবং ওমর শেই মজলিশে হাজির হইলেন। আবু বকর বক্তিমা দেন পরে, উনি ওমর এবং আরেকজন ছাহাবির নাম পরস্তাব করেন, দুইজনের একজনকে ইমাম বানাবার আর্জি পেশ করেন মজলিশে; কিন্তু জনাব ওমর তখন কইলেন জে, আবু বকরই শবচে জোগ্য ইমাম হবেন, এবং তার কবুলিয়ত দিলেন আবু বকরকে। শেই মজলিশে বাকিরাও ধিরে কবুল কইরা আবু বকরের বায়াত করলেন। জনাব আলি এবং আরেকজন লিডার ঐ মজলিশে হাজির আছিলেন না, কিন্তু তারাও আবু বকরকেই শবচে জোগ্য মাইনা তার বায়াত করলেন পরে। পর দিন মংগলবার চলে মক্কা এবং আর শব এলাকার মোছলমানদের কবুলিয়ত এবং বায়াত। এইভাবে ইলেকশনের ভিতর দিয়া মোছলমানদের বায়াতেই নয়া খলিফা হইলেন জনাব আবু বকর।
আমার আন্দাজ, ইতিহাশের পয়লা জেনারেল ইলেকশন ঐটা। খেয়াল করেন, নিজে এমনকি নিজের নামও পরস্তাব করার উপায় নাই! বাস্তবে মোছলমান বাদে কেউ আছিল কি শেই মজলিশে? কোন গোলাম? কোন মাইয়া? জানি না। কিন্তু গোলাম, মালিক, ইহুদি, খিরিস্টান, মাইয়া কারোই ভোট দিতে বাধা আছিল না, অন্তত তেমন কোন পোরমান পাওয়া জাইতেছে না। পুরা কওমের ইমাম হইবেন এবং কওম মানে কেবল মোছলমান না, ছিটিজেন বা নাগরিকরা শবাই। মদিনা ছিটি-স্টেট তার নেতা বা ইমাম বা শাশক বাছাই করতেছে, এইটাই ঐ মজলিশের মহিমা।
গিরিক ছিটি স্টেটের লগে এইটার তফাত হইলো, গিরিক ছিটি স্টেটের ইলেকশন জেনারেল ইলেকশন আছিল না, ঐখানে মাইয়ারা পোলাদের দৌলত মাত্র, তারা ছিটিজেন না, গোলামরাও ছিটিজেন না, মোহাজির? না। আন্দাজ করি, মোহাজিরদের ছেরেফ বিদেশি হিশাবে ধরার ভিতর কতক রেছিজমও (জেনোফোবিয়া!) আছিল। মানুশকে মানুশ হিশাবে দাম দেয় নাই গিরিক স্টেটগুলা; আর মদিনার ঐ ইলেকশনে লোকালরা ইলেকশনে ভোট দিলো একজন মোহাজিরকে; আইনের নজরে শবাই শমান হক রাখে ভোটের। তখনকার জামানায় জতোটা ছহি ইলেকশন করা জাইতে পারতো, ততোটা হইছে, তুলনা কইরা দেখেন এই জামানায় এতো এতো কমুনিকেশনের ভিতর বাংলাদেশের কত কত বাকশালি ইলেকশনের লগে! কোন একটা গোত্রের শবাই ভোট দেয় নাই; কিন্তু তার মানে এই না জে, তারা ভোট দেবার হক রাখে না; জেনারেল আইনে বেক্তি বা পারছনই ভোটার, কিন্তু গোত্রের নিজের রিয়াজে হয়তো আটকাইছে পারছন।
এইখানে একটা ইশারা আছে বরং! আজকের জামানায় শেই গোত্রের ইকুইভেলেন্ট হিশাবে জাতি ধরেন; তাইলে একটা গোত্র/জাতির নিজের আইন আর রাশ্টের জেনারেল আইনের ভিতর একটা চুক্তির ভিতর দিয়া আজকের বাংলাদেশে আপনে একটা বহুজাতির রাশ্টো বানাইতে পারেন!
পরদিন মংগলবার বায়াত করতেছে শবাই, নয়া খলিফার বায়াত না করার মওকা কি আছিল? ইতিহাশে দেখেন, জনাবা ফাতেমা বায়াত করে নাই। এই ঘটনায় মাইয়াদেরো জে ভোটের মওকা আছিল, শেইটা কিলিয়ার হইতেছে, লগে বায়াত না করারও জে মওকা আছিল, শেইটার নজির পাওয়া জাইতেছে!
কইতে পারেন জে, রাছুলের মাইয়ার বেলায় জা ঘটছে, তারে দিয়া আইন বোঝার উপায় নাই! এইখানে খেয়াল করার বেপারটা গোড়াতেই; ইছলামে খোদার বা দুনিয়াবি আইনের নজরে বংশ, রক্ত, গায়ের রঙ, আমির-গরিবে ভেদ করার উপায় জদি না থাকে তাইলে বাস্তবে জা-ই ঘটুক না কেন, আইন মোতাবেক জনাবা ফাতেমা আরো লাখো মাইয়াদের একজন, রাছুলের মাইয়া বইলা কোটা দেবার উপায় নাই। রাছুলের মাইয়া হিশাবে শেই কঠিন জামানায় হয়তো বেপারটা শোজা হইছে তার জন্য, কিন্তু ঘটনাটা জে ঘটতে পারলো, শেই নজির দেখাইয়া পরের কোটি মাইয়া দরাদরির বাড়তি শুবিধা পাইতে পারছে!
আমাদের আলাপের শুরুটা হইলো, পোশ্নের জবাব দিতে পারবে না জে কেউ, তেমন কোন বেপার থাকা শম্ভব কিনা ইছলামে? বহু পোশ্নের জবাব দিয়া গেছেন জনাবা ফাতেমা বা আয়েশা; তাদের তাফছির লোকে নিছে বা নেয় নাই, কিন্তু জবাব জে তারা দিতে পারে শেই এখতিয়ার তাদের বরাবরই আছিল। মানে হইলো, আমরা কইতে পারি জে, মাইয়ারা জবাব দিতে পারে; মানে হইলো, কোন মাইয়া চাইলে নিজেরে আলেম হিশাবে দাবি করতে পারে। কিন্তু আমজনতার অন্যরা?
হাদিছ কম্পাইলেশনের বেপারগুলা খেয়াল করলে পেরায়ই দেখবেন, কোন একটা পোশ্ন হাজির হইছে, তখন জে কেউ জবাব দিতেছে, লগে রাছুলের রেফারেন্স দিতেছে। তার জবাব হাজেরানে মজলিশ লইছে বা লয় নাই, কিন্তু জবাব দেবার এখতিয়ার লইয়া পোশ্ন করার উপায় আছিল না। তার মানে, জবাব-বয়ান-তাফছির-ফতোয়া দিতে পারতেছে তারা। কিন্তু এইখানে পোশ্ন হইলো, কোন একটা জবাব কেমনে বাইছা লইতেছে কোন একটা মজলিশ বা দরবার? এইখানেই আশে বায়াত বা ভোট বা কবুলিয়তের বেপারটা! হাজেরানে মজলিশ শবগুরা মত লইয়া বিচার শুরু করলো, তর্ক করলো, শবাই তার তার জুক্তি হাজির করলো। তারপর জেই মতে বেশির ভাগ মত দিলো, শেই ফতোয়াই হয়তো আইন হিশাবে লইলো, বেশিরভাগের মত মাইনা লইলো বাকিরা, কবুল করলো, বায়াত করলো। এইখানে একটা রাড়তি বা ফাও কথা কই: ভোট শব্দটার এখনকার বেভার ইউরোপে রেনেছার জামানায় পয়লা পাওয়া জাইতেছে; গোড়া হিশাবে লেটিন ‘ভোটুম/ভোটাম/votum’ দেখলাম অক্সফোর্ড ডিকশোনারিতে। লেটিনে গেছে কই থিকা? জানি না। কিন্তু দুইটা ভাশার মাঝে শব্দের বিনিময়ে উচ্চারনে জতোটা ফারাক হইয়া থাকে পেরায়ই, শেইটা বিবেচনায় লইয়া আমার আন্দাজ হইলো, বায়াত এবং ভোট, এই দুই শব্দের গোড়া একই হওয়া অশম্ভব না, হয়তো অতি পুরানা হিব্রু বা মেছোপটেমিয়া বা মিশরের, জানি না। কিন্তু এই জামানার ভোটের শবচে কাছের নজির ঐ বায়াত, লেটিন-গিরিকে শেইটা পাইতেছি না! লেটিন-গিরিকে ভোট মানে কোন এক কেন্ডিডেটরে চাওয়া, আর খোলাফায়ে রাশেদিনের আমলের ঐ বায়াতের মানে কবুল করা, রাজি হওয়া, মাইনা লওয়া, মনে মনে এমনকি নাও চাইতে পারে! ডেমোক্রেছি জখন ঐ বায়াতের বদলে গিরিক-লেটিনের ভোটের মচ্ছব হইয়া ওঠে, তখনই পপুলিজমের শম্ভাবনা পয়দা হয়; ভোটার তখন শাশনের শরিক ভাবতে থাকে নিজেরে, এইভাবে মব পয়দা হয়, ভোটাররা শাশক হইয়া শমাজের দুর্বলের উপর, ভোট জারা দেয় নাই, তাদের উপর জুলুম শুরু করে!
এইখানে পেলেটো’রে টানা জাইতে পারে। পেলেটোর চিন্তার লগে রাছুলের পরিচয় থাকতে পারে, বাইজেন্টাইন, ছিরিয়া বা রোমের লগে ব্যবশা করছেন রাছুল, জনাবা খাদিজার ম্যানেজার হিশাবে এই শব ব্যবশা দেখভাল করছেন রাছুল।
রাশ্টো এবং রাজনিতি, খোদ মানুশ কি, এই শব বেপারে রাছুলের চিন্তাভাবনা, কায়কারবার খেয়াল করলে মনে হয়, উনি পেলেটোর চিন্তায় বিরাট গলদ দেখতে পাইছিলেন। পেলেটোর চিন্তায় মানুশ একটা নকল জিনিশ, বেহেশতি কোন আইডিয়াল ফর্মের নকল দুনিয়াবি মানুশ, আর রাছুল মানুশকে কইতেছেন, ‘আশরাফুল মাকলুকাত’! পেলেটোর কাছে মানুশ বেকুব, ভাবুক কেবল এলেমের রোশনাইর নাগাল কতক পাইতে পারে, আর রাছুলের কাছে মানুশের মস্ত শম্ভাবনা; পেলেটো তাই ভাবুকের শাশন চাইছেন, আমজনতার কবুলিয়তের তোয়াক্কা করেন নাই; পেলেটোর বিচারে মানুশ তো বেকুব, শে তো বোঝেই না, তাই ছহি বিচারও করতে পারে না, ভুল করে, তাই এই মানুশের কবুলিয়তের দাম নাই! ওদিকে রাছুলের মত কি এই বেপারে? রাছুলের শারা জিন্দেগি কাটছে মানুশের কবুলিয়ত চাইয়া, মানুশকে বুঝাইতে চাইছেন রাছুল, কেননা, মানুশ বোঝে, বুঝতে পারে, শকল মানুশের ভিতরই এলেমের শম্ভাবনা। এলেম জদি নাও থাকে, বেকুবের কবুলিয়তকেও ফালতু ভাবেন নাই রাছুল, রাছুলের ভাবনায় দেখতে পাই, কবুলিয়তই লেজিটিমেছির গোড়ার কথা! আর পেলেটোর লেজিটিমেছি হইলো এলেম, কারো এলেম আছে কিনা, কে ঠিক বিচার করবে? শেই একই আলেম, জিনি ফরিয়াদি, তিনিই আশামি, তিনিই শাক্ষি, তিনিই বিচারক!
পেলেটোর এই চিন্তায় রাছুল গলদ পাইছেন, তাই তিনি অছিয়ত না কইরা উম্মতের এলেমের (কোরান এবং ছুন্না হইলো শেই এলেমের খনি) উপর ভার দিছেন বিচারের, আর এলেম তার আছে, শেইটা ঠিক করার ভার দিছেন শবার কান্ধে, কবুলিয়ত বা ভোটেই এলেমের কিনারা হবার ছিস্টেম বানাইয়া গেছেন!
এইটার বিরাট শুবিধা আছে; মানুশ জেহেতু আখেরি শত্য জানে না, তাই ভুল হবার শম্ভাবনা, তাই জে কোন কানুন খুবই নরোম রাখা দরকার, কিছুই জাতে খাড়াইয়া না থাকে, জখনই খাড়াইয়া জাবে, পার্মানেন্ট ডিছিশন লইবে, তখনি জাহেলিয়াতের শম্ভাবনা! শমাজ পাল্টাবে, ইতিহাশে নয়া ঘটনা ঘটবে, নয়া জামানার নয়া মানুশ নয়া তাফছির পেশ করবে, আগের কোন তাফছির/ফতোয়া হয়তো এখনো জিতবে ভোটে বা নয়া তাফছির তার জাগা দখল করবে। মানুশের কবুলিয়তের উপর খাড়াইয়া থাকা একটা ছিস্টেম বদলাইতে বাধ্য, মানুশের বদল মানে এলেমের বদল, কবুলিয়তের নয়া হিশাব, তখন দরকার হবে নয়া ছিস্টেম! এইভাবে মানুশের পোরতি পেলেটোর ঘেন্না রাছুলে নাই, রাছুলে আছে বরং মানুশের উপর ভরশা!
পেলেটোর আরো একটা চিন্তার মোকাবেলা করছেন মনে হয় রাছুল, এইটা বুঝতে, রাছুলের ছবির মামলায় জাইতে হয়!
পেলেটো আর্টিশদের পছন্দ করতেন না; কারন, মানুশ তো অলরেডি এক ধাপ নকল, বেহেশতি ফর্মের নকল; কেবল মানুশ না, দুনিয়াবি শব কিছুই! তাই দুনিয়া মানে শত্যের, বেহেশতি আইডিয়ালের নকল। আর্টিশ কি করেন? পেরাইমারি নকলকে ছেকেন্ডারি-টারশিয়ারি নকল কইরা শত্য থিকা আরো দুরে লইয়া জায় মানুশকে, এলেমের শম্ভাবনা আরো কঠিন হইয়া ওঠে!
তাইলে রাছুল কি পেলেটোর চিন্তায় মজেই নিজের ছবি আকতে মানা করছেন? না। এই বেপারে রাছুলের ভাবনা বরং মনে হয় ঐ জনাব ওমরদের জন্য একটা জবাব! তখনকার আরবে মুর্তিপুজা আছিল, এবং তার বদলেই রাছুল ইছলামের পয়গাম লইয়া আশছেন! রাছুল তাই রাছুল হিশাবে তারেই কেউ পুজা করা শুরু করতে পারে, শেই শম্ভাবনা খতম করতে চাইছেন মনে হয়! রাছুলের ওফাত মানতে না চাওয়ার ভিতরে আশলে ঐ পুজার শম্ভাবনাই দেখা জাইতেছে! রাছুল তাই নিজের ছবি-মুর্তি বানাইতে মানা করতেছেন, তারে পুজা করা কঠিন কইরা গেছেন।
তাইলে ছবি-মুর্তির বেপারে রাছুলের মানা করাটা পেলেটোর ভাবনা মোতাবেক না আদৌ! তা হইতেই পারে না; কেননা, পেলেটোর মানুশ আর দুনিয়া রাছুল মানেন নাই, উনি পেলেটোর থিকা দুরে জাইয়া মানুশ আর দুনিয়ারে চিনাইছেন! তাই জে কোন ছবির বেপারেই ঐ মানা খাটতে পারে না ঠিক, তা খাটাইলে পেলেটোর মতো ভাবা হইয়া জাইতেছে! রাছুল কেন পেলেটোর পেরেছক্রিপশনে চলবেন, উনি তো বরং পেলেটোর চিন্তার বিপরিতে জাইয়া মানুশ ও দুনিয়া চিনতেছেন, চেনাবার তদবির করতেছেন, পেলেটোর উল্টাদিকে মানুশের কবুলিয়ত আদায় করায় জিন্দেগি কাটাইছেন, এলেম এবং কবুলিয়তের ছিনথেছিস রাইখা গেছেন দুনিয়ায়!
রাছুলের আগের দুনিয়া আছিল গায়ের জোরের দুনিয়া; এদিকে বুদ্ধ আর ওদিকে জিশু, এই দুইজন গায়ের জোরের জয়গান গাইয়া জান নাই, তারাও দরদ, এলেম আর কবুলিয়তের ভিতর দিয়াই মানুশের মন জয় করছেন, কিন্তু দুনিয়ায় শাশক তো বাস্তব, শাশন তো এড়াইতে পারবেন না আপনে! রাছুল বুদ্ধ আর জিশুর পরে তাই দরদ, এলেম, মানুশের কবুলিয়ত আর শাশনের তরিকারে মিলাইছেন, এতোদিনের টুকরাগুলা একলগে হইয়া শমাজে শান্তি আর শুখের আকর হইয়া উঠছে, রাজনিতির এমনই রেছিপি দিয়া গেছেন রাছুল!
শেই রেছিপির ফজিলতেই খলিফারা গায়ের জোরের শাশক আছিলেন না, গায়ের জোরের জুলুমের হুকুমত কায়েম করেন নাই তারা, পরের অনেক মোছলমান শাশক তাই আছিলেন বটে! পরের অনেক মোছলমান শাশক গায়ের জোরে গদি দখল করছেন, পরে মানুশের কবুলিয়ত পাইতে অনেকে তদবিরও করছেন; কিন্তু মোছলমান বাদে অন্য রাজা-বাদশারা বেশিরভাগ এমনকি পরেও মানুশের কবুলিয়ত পাবার তদবির করেন নাই, তারা আগোগোড়াই গায়ের জোরের হুকুমত কায়েম কইরা রাখছেন! কিন্তু খোলাফায়ে রাশেদিন ভোট/কবুলিয়ত/বায়াতের ভিতর দিয়া আইনের শমান নজরের ইনছাফ কায়েম করছেন।
এবং জখনই রাছুলের ঐ রেছিপির বাইরে গেছে ইতিহাশ, রক্ত-দুঃখ বাড়ছে, শুখশান্তির অভাব ঘটছে; মানুশও এক শময় রাজারে মানে নাই, গদি থিকা টাইনা নামাইছে! মর্ডান ডেমোক্রেছি এই টাইনা নামানোটারেই রুটিন বানাইয়া তুলছে, রক্ত খরচ কমাইয়া শাশক পাল্টাবার ছিস্টেম বানাইয়া রাছুলের শান্তির রেছিপির দিকে আগাইছে! কিন্তু মারেফতি হিশাবে কইতে হয়, রাছুলের রেছিপি তারা পালন করে নাই, তাই অন্য দেশের উপর হামলা থিকা গোলামি ব্যবশা করছে মর্ডান ডেমোক্রেটিক রাশ্টোগুলাই! মানুশের কবুলিয়তের শাশনের বাইরে জাইয়া গত ১০০ বছরেই কত কত হামলা করছে, মরছে! দুর্বলের কবুলিয়ত চাওয়া শাশনের বদলে ডেমোক্রেছি জখন মেজরিটির শাশন হইয়া উঠতে চাইছে, ভোট তখন একটা মবের লিডারদের গদিতে বশাবার আয়োজন মাত্র! রাছুলের শান্তির রেছিপির কেবল একটা টুকরা লওয়া ইউরোপের রেশিয়াল-কলোনিয়াল গুন্ডামির পাপের আখেরি ফলের নাম হিটলার!
দুনিয়ায় শুখ শান্তির জন্য রাছুলের রেছিপির তাইলে কয়েকটা দিক পাওয়া গেল এই আলাপে। দুনিয়ায় মানুশের শমান, আলেম জে কেউ হইতে পারে, বাড়তি এখতিয়ার নাই কারো, বেশিরভাগের মান্যতার ভিতর দিয়া একটা খনিকের ফয়ছালা হইতেছে, শেই ফয়ছালাটা একটা চুক্তিও; কতগুলা শর্তও আছে, কবুলিয়ত আর বায়াতের ভিতর দিয়া হওয়া ইমামও শেই চুক্তির ভিতর একটা পক্ষ, শবগুলা পক্ষ জতখন চুক্তি মানতেছে, বহাল থাকতেছে চুক্তিটা।
কিন্তু এতে কয়েকটা ঝামেলা হবার শম্ভাবনা আছে আবার! রাছুলের পরে জেহেতু কেউই ছহি শত্য জানে না, শবাই একেকটা মতই কেবল দিতেছে, আমাদের তাই ছাফ ছাফ একটা ভাগাভাগি দরকার, ছাফ ছাফ জুদা করা দরকার দুইটা জিনিশ: পাপ আর কেরাইম বা কছুর। পাপ কি কি, তা তো আমরা জানতে পারি কোরান আর ছুন্নার তাফছিরের ভিতর দিয়াই, কিন্তু কোন এক জন লোক কোন একটা পাপ করলো কিনা, শেইটা জানতে তো ছহি শত্য জানতে হবে, কিন্তু মুশকিল হইলো- রাছুলের ওফাতের পরে শেইটা জানার মতো কেউ নাই! কিন্তু দুনিয়াদারি এব শাশন চালাইতে আবার কতগুলা কায়কারবার ঠেকানো দরকার, শাজা দেওয়া দরকার, শমাজে কেরাইম তো বরদাশত করা জায় না, দমন করা দরকার! তাইলে উপায় কি?
এই জন্যই পাপ এবং কেরাইম বা কছুর বা অপরাধ জুদা করা দরকার; পাপের ফয়ছালা কেবল খোদার, পাপের বিচারের এখতিয়ার মানুশের নাই। রাছুল জতদিন জিন্দা, ততদিন এই দুইটারে জুদা করার দরকার হয় নাই ততো, কেননা রাছুল ছহি শত্য জানতেন, পাপের ফয়ছালা করায় খোদার এজাজত পাইতে পারতেন ডাইরেক, কিন্তু রাছুলের ওফাতের পরে খোদার লগে মানুশের ডাইরেক কানেকশন আর নাই। আরো ভাবা দরকার, এমনকি রাছুলও পাপের বিচার করতেন না, কেবল কেরাইমের বিচারই করতেন, পাপের বিচার তখনো খোদার এখতিয়ারেই কেবল! দেখেন, কাফেররা পাপি, কিন্তু রাছুল কাফেরদের পাপের বিচার করেন নাই, মদিনার কাফেরদের পাপের শাজা দেন নাই, শাজা কেবল কেরাইমের, চুক্তির বরখেলাপের! তাইলে রাছুল নিজেই জেইটা করতেন না, তার ওফাতের পরে কোন এক আলেম কেমনে শেইটা করবে, কারোই শেই এখতিয়ারই নাই!
রাশ্টের আইন তাইলে কেরাইমের বিচারের জন্য এবং মানুশ জেহেতু পুরা ছহি শত্য জানে না, তাই এই আইন হইতে হবে খনিকের; নয়া জামানায় নয়া আলেম, নয়া তাফছির, নয়া শরিয়া; কেমনে হবে? বাহাস এবং কবুলিয়ত, শকল মানুশের কবুলিয়তের শমান দাম, কেবল ২৩ বা ৩৭ জন্য আলেমের কবুলিয়ত না! আলেম মানে আতেল, তারা মত দেবেন, জনতার ভোট বা কবুলিয়ত পাইয়া কোন এক আলেমের মত এখন জিততে পারে, আগামি ইলেকশনেই শেইটা বাতিল হইতে পারে–জে কোন আইন বা শরিয়ার ফয়ছালা বা আলেমের মতের শাশন খনিকের, ভেরিয়েবল।
কিন্তু কবুলিয়ত বা ভোট বা বায়াতের একটা ভালো ছিস্টেম তো বানাইতে পারতে হবে; রাছুলের ওফাতের পরে মোছলমান বহু গুন বাড়তে থাকে খুব অল্প শময়ে। ছিরিয়া, ইরাক, মিশর, ইরানে ছড়ায় ইছলাম, এই শব দেশের পলিটিকেল খমতাও মোছলমানদের হাতে পড়ে। এতো বড়ো একটা এলাকায় বহু কিছিমের জাতি, গোত্র, ভাশা, কালচার, কওম; এমন বহু কিছিমের মানুশের এতো বড়ো একটা এলাকায় শকলের কবুলিয়ত লওয়া আজকের এই কমুনিকেশন-টেকি জামানায়ও খুবই কঠিন এক কাম, তখন তো একেবারেই অশম্ভব আছিল!
দুছরা খলিফা জনাব/হজরত ওমরের মরনের বেলায় দেখা জাইতেছে, উনি ৬ জনকে দায়িত্ব দিতেছেন পরের খলিফা বাছাই করার এবং খলিফা হইলেন জনাব ওছমান। দুরে দুরে মোছলমানরা বায়াত করলো আস্তে আস্তে, পরে অনেক ঝামেলাও হইলো, খুন হইলেন ওছমান; পরে খলিফা হইলেন জনাব আলি, তখন আরো আরো দল হইলো, জুদ্ধ হইলো মোছলমানদের ভিতর, মরলো হাজারে হাজারে, রাছুলের নাতি, জনাবা ফাতেমার পোলা জনাব হোশেনকে মরতে হইলো কারবালায়। মোছমানদের এই ছিভিল ওয়ার লইয়া অনেক আলোচনা আছে। আমি ছোট্ট একটা ইশুতে দুইটা কথা কই, গোস্তাকি মাফ করুক খোদা।
খোদা এক, আখেরি রাছুলও একজন; এই দুইজনের মান্যতা লইয়া জেমন ছওয়াল তোলার উপায় নাই, তেমনি পরের জে কাউকে লইয়া ছওয়াল আবার কোন বাধাই থাকতে পারে না! মানে হইলো, ওনারা এক-এক বইলা খলিফাও কেবল একজনই হবেন কেন, আদতে শেইটা হবার উপায়ই নাই, অন্তত আওতা জত বড়ো হইছে, জত কওম আর কালচার আওতায় আশছে, তত রাশ্টো হইতে পারে, ততো ইমাম বা খলিফা! ছহি এখতিয়ারের অভাবে কোন একজনের নিখিল মান্যতা থাকার উপায় নাই; তাইলে ভাগ হবে কেমনে? কওম হইতে পারে, ইকোনমিক ইউনিট হইতে পারে; মদিনার ইকোনমিক ইউনিটের শার্থ আর মিশরের ইকোনমিক ইউনিটের শার্থ জুদা, তাই এ দুইয়ের পলিটিকেল দুশমনি হইতেই পারে! দুইয়ের কালচার আর শমাজ জুদা বইলা দুই কওমের আলেম শরিয়ার বেপারেও একমত না হইতে পারেন, তার উপর আছে দুই কওমের আমজনতার কবুলিয়তের মামলা। এই দুই ইউনিটকে জখন এক কইরা রাখতে চাইবে, কনফ্লিক্ট হবারই কথা! তখন উপায় হইলো, আপোশে জুদা হওয়া, দিনের ভাইবইনদের জুদা জুদা শংশার থাকায় তো বাধা নাই কোন! শংশারগুলা নিজেদের ইমাম বাইছা লইবে, নিজেদের শরিয়া বানাইবে, নিজেদের আলেম, নিজেদের কেরাইমের ফয়ছালা নিজেরা করবে। বহুকে এক বানাইয়া রাখার মুছিবত হইলো, জোর করতে হয়, আর জোর মানেই কবুলিয়তের খেলাপ, গোলামির শুরু, তাই দুশমনিরও!
মদিনা বা কুফায় আলি, দামেস্কে মুয়াবিয়া, দুইজন দুইজনের এখতিয়ার মানলেই, এক হইতে না চাইলেই দুশমনি থাকে না তো! একের শেশে জেইখানে বহুর শুরু শেইখানে বহুরে মানার ভিতরেই শান্তি (মানে তো ইছলামই!) ।
রক মনু
Latest posts by রক মনু (see all)
- হিস্ট্রিওগেরাফি এন্ড পলিটিকেল লয়ালটি - অক্টোবর 18, 2024
- খলিফা হইয়া ওঠা - সেপ্টেম্বর 2, 2024
- আমাদের নিয়ত এবং বাংলাদেশের ফিউচার - আগস্ট 25, 2024