দেয়ার ইজ এ ইস্পুন
বলিউডের এনিমেল ছিনামার ডাইরেক্টর এমন কইছিলো কয় দিন আগে: মারতেই জদি না পারি, তাইলে ঐটা কোন বালের ভালোবাশা!
কিছুদিন আগে বাংলাদেশের এক মাইয়াও মনে পড়ে, তার গায়ে মাইরের দাগের ছবি আর পরে ভাতার কি কি করলো, শেই ছায়াছবি দিয়া ভাতারের পিরিতের নিশানা দেখাইতেছিলো!
এই দুই ব্যাপারেই আমার কাছে ইন্টারেস্টিং লাগলো এইটা জে, একটা আকাম কইরা আফছোছ হওয়া এবং তার পরে ওভারকম্পেনছেট করা! এইটা কখনো কখনো বাপ-মা করে, নিজেদের বাছুরের উপর টর্চার করে, তারপর ছুপার-শপে লইয়া জাবে, রেস্টুরেন্টে নেবে, জা চাইবে বাছুর, তাই কিনা দেবে। এমন ঘটনায় পিরিতির আলামত আছে আলবত, কিন্তু চরম দুইটা দশাই এড়াইতে পারলে বেটার পিরিতি ঘটে। মানে, গরু মাইরা হাতি দিলে হাতিটা পাইলাম বটে, গরুটা কিন্তু এমনই মরলো জে, জতোই পাদুক হাতি, গরুটা জিন্দা হইলো না তো আর! ওদিকে, হাতিটা পালাও আরেক মুছিবত, আরো বড়ো মুছিবত হইলো, খোদ মনের খায়েশটাই হাতির মাপে হইয়া উঠতে থাকা–এভরিডে পেরাকটিছে জেইটা গরহাজির আলবত! তখন টর্চারটাই বাশনা হইয়া উঠতে পারে, জেহেতু, তখন হাতির খায়েশ পুরা হবার শম্ভাবনা! আমার হিশাবে তাই, মরা গরুটারে আদর কইরা লাভ-বাইট বলাটা ছাফ ছাফ বেকুবি!
উপরের নকশা দিয়া চিন্তার ইতিহাশ বোঝার চেশ্টা করা জাইতে পারে। ধরেন, পচ্চিমা দুনিয়ারে বহুদিন শাশন করতেছিলো রিয়ালিজম, এম্পিরিছিজম, পজিটিভিজম, অবজেক্টিভিটি, ম্যাটেরিয়ালিজম; বাকি দুনিয়ার তাবত ভাব, ইস্পিরিচুয়ালিটি, একিন, এবাদত, দোয়া লইয়া পচ্চিমের আছিলো বেশুমার হাশাহাশি, টিটকারি আর হিউমিলিয়েশন।
এই জামানায় পচ্চিমা দুনিয়া শেইখানে আর নাই, শেই চরমের ওভারকম্পেনছেশন শুরু হইছে এখন, ওনারা এখন কইতে লাগছেন–দেয়ার ইজ নো ইস্পুন; মায়া আর ছেরেফ মনের লিলাখেলা ‘এই’ তাবত দুনিয়া! হলিউডি ছাইন্স-ফিকশনে এখন আকছার মায়া, কোয়ান্টাম ফিজিক্স জেইখানে বাড়তি হাওয়া জোগান দিতেছে!
এই ‘দেয়ার ইজ নো ইস্পুন’ আইডিয়ার জরুর ফলের ছুরতই হইলো, ‘মাইন্ড ওভার বডি’। একটা মাশটার-স্লেভ রিশতা জেনো আলবত লাগবে, একটা কোহেরেন্স, একটা খুব শরবত জেনো বানাইতেই পারে না মাইন্ড এন্ড বডি মিলা!
টেরান্সজেন্ডার ইশুটারে আমাদের বুঝতে হবে এই ‘মাইন্ড ওভার বডি’ আইডিয়ার ভিতর থাকা মাশটার-স্লেভ রিশতা দিয়া।
শরিফের মন জদি শরিফা হয়, তাতে কি তার বডিও অটোমেটিক শরিফা হইয়া ওঠে, নাকি শরিফই থাকতে থাকে? শরিফের ক্রোমোজোম (ইস্পুন) আমলে লইয়া তারে পোলা ভাবলো বইলাই একদল ঐখানে হোমোছেক্সুয়ালিটির আলামত পাইতেছে। উল্টা দল কইতেছে, শরিফ তো শরিফই না, শে তো শরিফা, আরেক পোলার লগে তার ছেক্স তো হেটারোছেক্সুয়ালিটিই; শরিফের বডি ব্যাপার না, ছেক্স মানে দুইটা মনের [বা তার বেশিও কি, এমনকি এক, এমনকি এক মানেই প্লুরালও তো হইতে পারে…!] ঘশাঘশি, তার মনটাই আশল, বডিটাকে তার মন মোতাবেক বানাইয়া ফেলতে হবে–বডি একটা গোলাম। বডিটা এমনকি ইস্পুন, জেইটা নাই; একটা থাকতে চাওয়া বডি হইলো একটা অবস্টাকল, একটা বাধা, ইটারনাল দরিয়ায় ছুইমিং আটকাইয়া দেওয়া একটা বালি ভরা কলশ, একটা খুটা, জেইটাতে বান্ধা ছাগল হইয়া থাকতে হয় পেরায়ই [শরিফের, মানুশের]!
তাই বডির বদল তাদের কাছে মনের বদলের তুলনায় আলবত শোজা, এবং বদলটা বডিরই হইতে হবে, মনের ব্যাপারে কিছু করা জাবে না, কেননা, মনটাই শে, বডি তার কন্টেইনার মাত্র, খোলশ ছেরেফ! চুড়ান্ত বিচারে এমনকি ‘দেয়ার ইজ নো ইস্পুন’! তাতে বডির পেইনও বেশ বডিরই পেইন, মনের মতো হইয়া ওঠার গোলামি ডিউটি পালন করতেছে বডি, ছো ইনছিগনিফিকেন্ট!
তাইলে দুই দলের আশল ঝামেলা হইলো, ‘মাইন্ড ওভার বডি’ কে কতোটা মানে!
ঐ আলোচনায় জাবার আগে ‘মাইন্ড ওভার বডি’ মডেলটারে আরেকটু ছড়াইয়া ভাবা জাইতে পারে। হিউম্যানিজম খোদারে খেদাইয়া খোদার চেয়ারে মানুশেরে বশাইয়া দিছে আগেই, এখন শেই চেয়ারে বইশা শেই মানুশ দেখতেছে, শে তো মানুশ নাই আর, শে তো ছুপারহিউম্যান, জেহেতু শে খোদা! এই ছুপারহিউম্যানের কাছে বেক্তি হইলো মন, আর শমাজ হইলো বডি। জেই শমাজ বেক্তির মন বানাইয়া দিতো [এখনো তো দিতেছে হরদম!], শেই শমাজ এখন তার বডি, এরে ছার্জারির ভিতর দিয়া মনের মতো [বেক্তির উপজোগি] কইরা গড়তে হবে।
এইখানে একটা থট এক্সারছাইজ ভাবি চলেন: একজন ফেলটুশ মার্ক্সিস্ট জদি নিৎশে খাইয়া নেশা করে, কেমন চিন্তা আর জিন্দেগি হবে তার? ১৯৬০-৭০ জুগের ফেরান্সের মার্ক্সিস্টরা অনেকেই বিপ্লবে ফেল কইরা ঠিক ঐ কামটাই করছেন, আমার হিশাবে! তাতে কয়েকটা ব্যাপার ঘটছে; মার্ক্স ওনাদের দিছিলেন ইতিহাশ বদলাইয়া ফেলতে চাইবার হিম্মত, তারো আগে, ইতিহাশ জে শে বা তারা বদলাইয়া নিজের মতো বানাইতে পারে আদৌ, শেই ভাবনা, ছবক; শেই ছবক একদম বেনজিরও তো নাই আর, লেনিন আর মাও’রে দেখতেছেন তারা। তবে, মার্ক্সে তো একটা মোরাল কোড আছে, শেইখান থিকাই ঐ ডিউটি পাইছেন তারা, এমনকি খুনের এজাজতও জোগাইছে মার্ক্সের মোরাল কোড! ঐ এজাজত তবু কন্ডিশনাল, খুনের আগে জে কাউকে এন্টি-পোগ্রেছ হিশাবে চিনতে আর চিনাইতে হয়।
কিন্তু বিপ্লবে ফেল করার পরে নিৎশে খাইয়া নেশা কইরা ওনারা দ্যাখেন, মার্ক্সের মোরাল কোড হাওয়া হইয়া গেছে! তখন থাকলো ছেরেফ ফেলটুশ ইগোর দুনিয়া বদলাইয়া ফেলার খায়েশ, উইদাউট এনি মোরাল কোড! কিন্তু শমাজ আর রাশ্টের লগে গায়ের জোরে তো পারতে হবে, শেইটা তো পারে না তারা। উপায় কি? এখন ভাবেন, এই আটকাইয়া জাওয়া দশায় মাও’র গেরিলা জুদ্ধের মডেলটা জদি চিন্তার ভুবনে খাটানো জায়, মোক্ষম উপায় মিললো কিনা! রাশ্টের লগে তো পারাই গেলো না, তুলনায় শমাজের গতর বরং শোজা টার্গেট, চিন্তা/লেখা দিয়া তাতে শহজেই গেরিলা হামলা চালানো জাইতেছে বটে! আবার, এইটা ছেরেফ ইগোর মলম না তো–শমাজ তো রাশ্টের খাম্বা, রাশ্টো এমনকি একটা হাওয়াই মাল, শমাজের খোলনলচে পাল্টাইয়া ফেলতে পারলেই তো রাশ্টের ছুরত আর কংকাল অটো বদলাইয়া জাবে! শমাজের গতরে হামলার রেশনেলও পাওয়া গেলো তাইলে। ওদিকে, এই শমাজ তো খমতা তার নিজের দরকারে বানাইছে, ফলে এই তাবত শমাজ আশলে একটা ফেটিশ, শমাজের জেমন হওয়া উচিত, শাচ্চা ইগালিটারিয়ান আইডিয়ালের একটা পারভার্শন কেপিটালিস্ট দুনিয়া!
এইখানে বেশ মজার একটা ছাইকেল পয়দা হইতেছে; জেই মার্ক্স ভাববাদের কব্জা থিকা বাইরাইতে চাইয়া হেগেল ছাড়লেন, শেই মার্ক্স ফেটিশের উল্টাদিকে একটা আইডিয়ালের দালাল হইয়া শোজা পেলেটো’র ভাবের দরিয়ায় নাইতে নামলেন আলগোছে!
ছো, এতো কথার ভিতর দিয়া আখেরে আমি কন্টেম্পরারি ওয়েস্টার্ন (আমেরিকা-কানাডা-নর্ডিক!) লিবারালদের ছুরতটা কিলিয়ার করতে চাইলাম; ওনারা আমার বিচারে ‘ছুপারহিউম্যানের ইগো লইয়া মার্ক্সের বাহানা দিয়া পেলেটো’র নিঠুরিয়া আইডিয়ালিজমের মাফিল করতেছেন।’। চোখা নজরে খেয়াল করলে দেখবেন, এনারাই হইলেন, শাচ্চা কনজার্ভেটিভ! ওনারা আইডিয়ালের কনজার্ভেশনে নামছেন, লিবারাল বাহানা ওনাদের লাগে ইয়াং পিপল রিক্রুটমেন্টের ছিডাকশন টুল হিশাবে।
এখন, ওনাদের ঐ মাফিলের জিকিরে আমরা জদি শরিক না হই, তাইলে খুব শম্ভব আইডিয়াল থিকা দুরের দুরের মানুশদের কথা ভাবতে পারবো, আরেকটু দরদ লইয়া গতরের পেইন মালুম করতে পারবো! আমাদের ভুলশম্ভব ছেন্সগুলারে আরেকটু দাম দিতে পারবো, কইতে রাজি হইতে পারবো জে, দেয়ার ইজ এ ইস্পুন!
এইখানে আইডিয়ালের ব্যাপারটা একটু কিলিয়ার হবার দরকার আছে। তাই ইনছাফের আইডিয়া টানতে হয়। চিন্তার ইতিহাশে ইনছাফ খুবই বুনিয়াদি ব্যাপার; এমনকি জারা গায়ের জোর কায়েম করতে চায়, নিৎশের ছুপারহিউম্যান ভাবনাও কিন্তু গোড়ায় ইনছাফের কথাই কইতেছে! মানে, দুনিয়ার দুর্বলদের মব জে নেচারাল ছিলেকশনকে আটকাইয়া দিতেছে, নিৎশের বিচারে শেইটা ইনছাফের খেলাপ 🙂 । খিরিস্টান মোরালিটি, নিৎশের বিচারে, শাচ্চা মোরালিটি খুন কইরা ইনছাফ কায়েম হইতে দিতেছে না এবং দুনিয়া জে খারাপ আছে, তার কারন ঐ ইনছাফের খেলাপ।
মার্ক্স এবং আগে পরের বেশিরভাগ ভাবুক নিৎশের পুরা উল্টা, তারা দুর্বলের উপর টর্চার বা জুলুমকেই বরং ইনছাফের খেলাপ হিশাবে দেখছেন; মার্ক্সের বিচারে গায়ের জোরে ইনছাফের জেই খেলাপ হইছিলো ইতিহাশের শুরুতে, শেইটাই আদিম শমাজের ইগালিটারিয়ান ছিস্টেমকে মেছমার কইরা দিছে, কেপিটাল হইলো ইনছাফের শেই খেলাপের ভিতর দিয়া পয়দা হওয়া শয়তান।
এই শয়তান উৎখাত কইরা ইনছাফ কায়েমের নামই পলিটিক্সে মার্ক্সের তরিকা। ইনছাফ লইয়া এই কয়টা কথার পরে একটা হুশিয়ারি দিতে চাই আমি–ইনছাফের পলিটিক্স খুবই ডেন্জারাছ!
মাইন্ড ওভার বডিও কিন্তু ইনছাফের আলাপই, তেমনি শমাজ বনাম বেক্তি ভাবনা; কেননা, মানুশ বন্দি এবং এই পলিটিক্সে শেই বন্দি মানুশের মুক্তির ভিতর দিয়া ইনছাফ কায়েমেরই কোশেশ চলতেছে। মানে, ইনছাফ কায়েমের পলিটিক্স থিকাই আমরা ‘দেয়ার ইজ নো ইস্পুন’ পয়েন্টে হাজির হইলাম, জেইখানে বডির পেইনকে আর জুলুম হিশাবেই দেখা জাইতেছে না! বরং এস্টেরিওটাপিং আর ক্যাটেগোরাইজেশন থিকা মানুশের মুক্তির নিশানা হইয়া উঠছে মানুশের বডির পেইন [এমনকি পেইনই তো না আদৌ, এনেছথেশিয়া আছে তো!] অথচ ঐ মার্ক্সই কিন্তু ছোট ফার্মারের কেপিটালিস্ট মন কেমনে তার বডির উপর জুলুম কইরা বেশি বেশি কাম কইরা বড়ো ফার্মার হইতে চায়, শেই আলাপ তুলছিলেন মনে পড়ে, একটা ছেল্ফ-মেনিপুলেশনের কথা কইছিলেন!
হালের পচ্চিমা লিবারালদের ভিতর অনেকখানি মার্ক্স আছেন এবং এইখানে অতি মজার একটা ঘটনা আছে। খেয়াল করেন, মার্ক্সের ইকোনমিক মডেল এবং খোদ মার্ক্স নিজেরে পোগরেছিভ দাবি করে, এবং তাতে লিবারাল হিশাবেও অটোমেটিক দাবি করা হইতেছে; কিন্তু মার্ক্সের তরিকায় জেই রাশ্টোগুলা চলে, চলছে, শেইশবখানে আমরা মানুশের কবুলিয়তের শাশন দেখি নাই আদৌ এবং কেলাছিক লিবারাল ভাবনায় ঐগুলা অথরিটারিয়ান এবং মানুশের জেলখানা একেকটা, বেক্তির আজাদি পুরাই গরহাজির। তাইলে এই মার্ক্সিস্টরাই কেমনে শাচ্চা লিবারাল হিশাবে দাবি করবে? এই জটিল মুশকিল আছান কইরা দিতেছে কেলাছিক লিবারারিজমের ক্যাটেগরাইজেশনগুলারে কনজার্ভেটিভ হিশাবে দেখাইতে পারা! বেক্তির আজাদিকে জদি নিজের ইকোনমিক অথরিটির ভাবনা থিকা তার আইডিতে চালান করা জায় তাইলে খোদ নিজের আইডিটারেই ভাবা জাবে শবচে বড়ো জুলুম (জালেম শমাজের ইম্পোজিশন), আর শবচে বড়োরা পেরায়ই একমাত্র হইয়া উঠতে পারে আরামে! তখন দুনিয়ার আর কোথাও নিজের অথরিটি না থাকাটা বেশ বেহুদা চিন্তা হইয়া উঠতে পারতেছে!
এর পরে কিন্তু আরো জটিল পজিশনে চইলা গেছে পলিটিক্স। এনভায়রনমেন্টালিজমের কথা ভাবেন। মানুশ জখন জে কোন একটা এস্পেছিছ বা মাকলুকাত, তখন মানুশের তো বাড়তি কোন হক থাকতে পারে না [এইখানে খুব শম্ভব ভেজিটারিয়ান লজিক পাইয়া জাইতেছেন…]। মানুশ জখন জে কোন একটা মাকলুকাত হইয়া থাকতে নারাজ, দুনিয়ার বাদ বাকি মাকলুকাতের উপর জুলুমের হুকুমত কায়েম করলো মানুশ, তখন ইনছাফের খেলাপ ঘটলো এবং তারই ফলের নাম এনথ্রোপছিন!
তাইলে মানুশ খুন করা কখনো আশলে আর শব মাকলুকাতের পাওনা জাস্টিছ আদায় কইরা দেওয়াও ভাবা জাইতেছে! ঐটা খুনই না আদৌ, জালেম মানুশের ডিজার্ভিং পানিশমেন্ট, ইনছাফ কায়েম করার দিকে আরেক কদম আগানো।
এখন, এই ভাবনাগুলা মিলাইয়া এই জামানার ওয়েস্টার্ন লিবারালদের চেনার কোশেশ করতে পারেন। এই ভাবনাগুলার কোনটা কতোটা আছে কার ভিতর, শেইটা তো বোঝা কঠিন হইতে পারে, কিন্তু কতোগুলা শম্ভাবনা আন্দাজ করতে পারি আমরা।
জেমন ধরেন, মানুশের শমাজের আদৌ কি রিপ্রোডাকশন দরকার আছে? কেপিটালের জুলুমের শমাজ তো বটেই, এনথ্রোপছিন-ভাবুক কইতে পারে, আদৌ মানব শমাজই বা কেন থাকতে হবে!? মানুশ হইলো পিথিবির অশুখ, ভাইরাছ, মানুশের শমাজ জেইদিন থিকা নাই, ঐদিন পিথিবির হিলিং শুরু।
[লেখাটা নিয়া রাইটারের আলাপ শুনতে পারেন এইখানে
এইবার শেই শরিফ-শরিফার কাহিনিতে ফিরি বরং। পচ্চিমা দুনিয়ায় টেরান্সজেন্ডার রিলেটেড কতোগুলা ঘটনা ঘটছে, দেশের অনেকেই জানেন খুব শম্ভব, কিন্তু পচ্চিমা লিবারালদের মতোই পাত্তা দিতে নারাজ। জেমন ধরেন, ধোনঅলা [ একটা শব্দ বানাই চলেন, ধোনাল 🙂 ] একজন নিজেরে মাইয়া বইলা দাবি করলো, পরে এক মাইয়া তার নামে রেপ-কেছ দিলো, তাতে শেই ধোনঅলার জেল হইলো, জেলখানায় তারে মাইয়া কয়েদিদের লগে রাখা হইলো এবং শেইখানেও শে কয়েকটা রেপ করলো। আরেকজন ধোনাল মাইয়াদের টয়লেট ইউজ করায় মাইয়ারা শেইটা মানতে নারাজ, নালিশ করলো তারা। তাইলে দেখা জাইতেছে, টেরান্স রাইটের লগে মাইয়াদের রাইটের একটা কনফ্লিক্ট ঘটতেছে; এমন একটা ফেমিনিস্ট আর্গুমেন্টও খাড়া করতে পারি আমরা জে, পোলারা দুনিয়াদারি এতোটাই দখল করতে চায় জে, তারা এমনকি মাইয়াও হবে, তারপর মাইয়াদের টেরিটরিও দখল কইরা নেবে! এইখানে আমরা খেয়াল করতে পারি জে, কোন ভোদাল নিজেরে পোলা দাবি কইরা পোলাদের টয়লেট ইউজ করার বা পোলাদের টেনিছ-ফুটবল খেলার বা জেলখানায় পোলাদের লগে থাকার আর্জি পেশ করার ঘটনা দেখা জাইতেছে না ঠিক! তবে তর্কের খাতিরে পিয়ার্ছ মর্গান দাবি করলেন জে, উনি একজন ‘বেলাক লেছবিয়ান মাইয়া’, ধোনাল মাইয়া জদি মানি তাইলে মর্গানরে কেন মানবো না!
কিন্তু আমেরিকার জেলখানার ঐ টাইপের ঘটনা বেশুমার ঘটলেও এইটা তো শাচ্চা জে, ধোনাল শরিফের মনটা মাইয়া মাইয়া হইতে পারে, বা কোন ভোদাল নিজেরে ভাবতে পারে পোলা পোলা! মেডিকেল ছাইন্স বা ছাইকিয়াট্রির কতক লোকজন এইগুলারে ছেরেফ জেন্ডার ডিছফোরিয়া নামের রোগের ক্যাটেগরিতে রাখতে চাইবে।
এইখানে এস্টেরিওটাইপিং আর ক্যাটেগোরাইজশন লইয়া ভাবতে হবে আমাদের; এইগুলা পেরায়ই খুব জুলুম হইয়া ওঠে, বেখাপ্পা শকল কিছুরে ছাইজ কইরা ফেলতে চায় ঐ ভাবনাগুলা [পেরায়ই], শবাইকে তার তার খুপড়িতে জেন ঢুকতেই হবে!
মানে, ক্যাটেগরি আর এস্টেরিওটাইপিং পেরায়ই জে জুলুমের জমিন পয়দা করে, শেইটা হাচা কথাই; আমরা তাইলে কি করবো?
আমি কইবো, ঐ বুনিয়াদি/ফান্ডামেন্টাল পোশ্নটার জবাবের ভিতরেই দরকারি রাস্তার ইশারা আছে–‘ইজ দেয়ার এ ইস্পুন?’!
দুনিয়ায় হাজারো চামচ আছে, তারা কামে-ফিচারে অথবা ছুরতে খুবই জুদা, কিন্ত কোন একটা জেনারেল ফর্ম আছে, জেই কারনে তারা শবাই চামচ, বালতি বা মানি পেলান্ট না! শবগুলারেই চামচ বলার ভিতর একই লগে রিজিডিটি আর ফেলেক্সিবিলিটি’র চর্চা ঘটতেছে!
ছেইম নকশা জদি আমরা জেন্ডার এস্টেরিওটাইপিং ইশুতেও এস্তেমাল করি তাইলে শরিফের কোরোমোজোম নামের ‘ইস্পুন’টা জে আছে শেইটা মানার পরে পোলার ছুরত বা কাম বা রুচি বা ফ্যাশন ইত্তাদিরে এছেন্সিয়ালাইজ না কইরা খুব ছড়াইয়া দিতে পারি!
তেমনি শরিফা নামের কোন মাইয়ার ‘ইস্পুন’টারে জেনারেল ধইরা তার দাড়ি মোচ বা কন্ঠের ব্যাপারগুলারে নর্মালের শিমার ভিতরে ধরতে পারি!
একটা চামচের উপরের ঠোটে কালকে জদি মোচও দেখি, তারপরেও তারে চামচ মানবো আমি, আপনারো মানতে পারা দরকার! এই ফেলেক্সিবিলিটি না থাকলে আপনে জালেম পক্ষ।
জানুয়ারি-১৩ জুলাই ২০২৪
…
লেখাটার পয়লা ড্রাফট পইড়া এবং রাইটারের আলাপ শোনার পরে সেইটা নিয়া কথা বলছিলেন ইব্রাকর ঝিল্লী ও ইমরুল হাসান, উনাদের কথা শুনতে পারেন এইখানে:
রক মনু
Latest posts by রক মনু (see all)
- ‘শোনার বাংলা’র এছথেটিক দলা - নভেম্বর 8, 2024
- হিস্ট্রিওগেরাফি এন্ড পলিটিকেল লয়ালটি - অক্টোবর 18, 2024
- খলিফা হইয়া ওঠা - সেপ্টেম্বর 2, 2024