Main menu

আমার ভিজুয়াল আর্টের পথ এবং তারপর

আমি কি আর্ট বুঝি? আর্ট কি আলাদা নাকি ইতিহাস, সমাজ, রাজনীতির সাথে এর কোনো যোগ আছে?

আমার রেগুলার ইন্টারমিডিয়েট এর ব্যাচ ছিলো ২০০৮। তো সেবার পরীক্ষার মধ্যে চিকেন পক্স হইছিলো। ৪ টা পরীক্ষা বেডে দিয়েই বুঝছিলাম যে পাশ করলেও রেজাল্ট ভালো হবে না। আসলে তাই-ই হইছিলো। বন্ধুরা সব ঢাকা চইলা গেলো এডমিশন এর প্রিপারেশন নিতে। আর আমি বাসায় বইসা থাকলাম আরেকবার পরীক্ষা দিতে হবে বলে।

তো ওই ফ্রি টাইমে প্রচুর গান শুনতাম, এলাকায় এভেইলেবল যেইসব কবিতা, উপন্যাসের বইপত্র পাওয়া যাইতো সেইগুলান কিনে পড়তাম। আর ছোটোবেলা থেকে ছবি আকতাম বইলা আবার ড্রয়িং করা শুরু করছিলাম। পত্রিকায় ভিজ্যুয়াল আর্ট রিলেটেড লেখাপত্র পড়তাম। মনে আছে ভ্যান গগ ও গগা রে নিয়া কার যেনো একটা লেখা এত ভালো লাগছিলো যে পত্রিকা থেকে কেটে রাখছিলাম। তো ঐ টাইমেই ডিসিশন নিয়া নিছিলাম যে চারুকলায় পড়বো।

২য় বার ইন্টারমিডিয়েট পাশ কইরা যখন ঢাকায় কোচিং করতে আসতে চাইলাম তখন বাসা থেকে চারুকলার জন্য রাজি না মোটেও। জোর কইরা যশোরে এ ইউনিটের(সাইন্স বেইজড সাবজেক্টের) এডমিশন কোচিং-এর জন্য ভর্তি করাইলো। যশোরে কাজিনের সাথে থাকতাম, কোচিং এ যাইতাম না। যাতায়াত এর টাকা আর কোচিং এ ভর্তির টাকা পুরোটা না দিয়ে সেই টাকা জমাইলাম। আরো কিছু টাকা আগেই জমানো ছিলো। সব মিলিয়ে হাজার ২০ এক টাকা নিয়ে বন্ধু নাজমুল এর কাছে এসে উঠলাম ঢাকায়। চারুকলার ভর্তি কোচিং এ ঢুকলাম। পরীক্ষার মাত্র ২৮ দিন বাকি আর। এপ্লিকেশন যশোর থেকে আগেই কইরা রাখছিলাম।

কোচিং এ আইসা হতাশ, সবাই ন্যাচারালিস্টিক ফিগার ড্রয়িং এর প্রিপারেশন নিচ্ছে। দুর্দান্ত আকে। আর আমি স্রেফ গ্রামের দৃশ্য আকা লোক। কোচিং এ এক কোনায় বইসা থাকতাম, বুঝার চেষ্টা করতাম আর ইম্প্রুভ করার ট্রাই করতাম। পরীক্ষার সপ্তাহ খানেক আগে থেকে খুব সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়া একা একটা মডেল ভাড়া কইরা ড্রয়িং করতাম। আর হতাশ হইতাম। কারণ বুঝতাম কিছুই হচ্ছে না। পরীক্ষার আগের দিন সনদ দা আমার একটা ড্রয়িং দেখে কইলো- এইটা তোমার আকা?
কইলাম হ্যাঁ ভাই।
উনি কইলেন এরকম আকতে পারলে টিকে যাবা। ভরসা পাইছিলাম ওনার কথায়।

তো পরীক্ষার দিন তত্ত্বীয়টা ভালো দিলাম। কিন্তু ড্রয়িং পরীক্ষায় আইসা দেখি কেল্লা ফতে। প্রশ্ন বেশিরভাগেরই কমন পড়ে নাই। মানে ফিগার ড্রয়িং তো আসে নাই।

প্রশ্নপত্রে লেখা: রেখাচিত্রের মাধ্যমে একটা নিসর্গ দৃশ্য আকো, যেখানে কমপক্ষে ৩টা মানব ফিগার থাকতে হবে।

কয়েকজন বন্ধু নিসর্গ দৃশ্য কি জিনিস বুঝতেছিলো না। কইলাম ল্যান্ডস্কেপ।
যাইহোক, বুঝলাম টিকে যাবো। টিকেও গেলাম। পেইন্টিং ডিপার্টমেন্ট ভর্তি হইলাম। ক্লাস শুরু হইলে হতাশার চরমে পৌছাইলাম। ঐ চারুকলার ভর্তি কোচিং যে স্টিল লাইফ, ফিগার, পার্টস ড্রয়িং যা শেখাইতো এখানেও দেখি তাই-ই শেখাচ্ছে। শুধু পেন্সিলের জায়গায় পরবর্তীতে মানে সেকেন্ড ইয়ারে (ওয়াটার কালার), থার্ড আর ফোর্থ ইয়ার(অয়েল কালার) আইসা মিডিয়ামগুলো চেইঞ্জ হইছিলো।

ফার্স্ট এনকাউন্টার হইলো এক মহান শিক্ষকের লগে। যিনি কাইন্ড অফ গডফাদার অফ চারুকলা। উনারে জিগাইলাম- স্যার যা দেখছি তা তো ফটোগ্রাফি কিংবা ট্রেসিং কইরাও আকা যায়। এইটা শিখে কি হবে?

উনি উত্তরে কইলেন- তাই? তো ফটোগ্রাফিতে ভর্তি হইতা। এখানে আসছো ক্যান? তারপর ঠান্ডা মাথায় আবার কইলেন নিয়ম ভাঙতে হইলে নিয়ম জানতে হয়।

শাওন চিশতি

ভালো লাগতো না। লাইব্রেরি তে গিয়ে বইপত্র ঘাটঘাটি করতাম, সিনিয়রদের সাথে মিশতাম। আসলে কি করছি কেন করছি তা বুঝার জন্য প্রশ্ন করতাম। বেশিরভাগেরই উত্তর পছন্দ হইতো না। একদল সিনিয়র ছিলো যারা টাকা কামানোর জন্য ক্ষ্যাপ মারতে কইতো, একদল টাকা কামিয়ে নেশা করতে কইতো। আরেকদল চারুকলার বিরোধিতা করতো এমনভাবে যে সেই বিরোধিতা কোনো সমাধানের দিকে আগাইতো না।

সন্ধ্যাবেলায় জয়নুল গ্যালারীর পিছনে অনেকের সাথে ড্রয়িং করতাম। ওনাদের কয়েকজনের মধ্যেও অভিমানের বিরোধিতা ছিলো। এই টাইমে টিটু-দা, জ্যোতিষ দা আর তীর্থ-দার সাথে তখন বেশ ভালো খাতির তৈরি হয় আমার।

ক্লাসের চেয়ে লাইব্রেরিতে বেশি থাকতাম বইলা আমার অনেক সিনিয়র, জুনিয়ররা ভাবতো আমি বোধহয় আর্ট হিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টে পড়ি। থিয়োরি ক্লাসেও ভালো লাগতো না। রেগুলার ঢাকায় চলা এক্সিবিশন দেখতাম। আর্টিস্টদের সাথে কথা কইতে গেলে বেশিরভাগ আর্টিস্ট-ই এমনভাবে বুঝাইতেন যে আমি খুব ছোটো মানুষ এত গভীর ব্যাপার আমি বুঝবো না।

এর মধ্যে ২০১০ এর শেষ বা ২০১১ এর শুরুর দিকে চারুকলায় আমাদের বেশ কয়েকজন সিনিয়র ও শিক্ষকরা মিলে একটা সাইট স্পেসিফিক আর্টের এক্সিবিশন এরেঞ্জ করছিলেন। তো সেইটা খুব ভালো লাগছিলো। তখন ডিউক স্যার কে আলাদা করে চোখে পড়ে। কারণ আয়োজক ও আর্টিস্ট হিসেবে ঐ এক্সিবিশনের কাজগুলান খুবই ইন্টারেস্টিং ছিলো ঐ টাইমে আমার জন্য। থিয়োরি ক্লাসে শিক্ষকরা কি পড়াইতেন বুঝলেও কেনো সেইটা আমাকে পড়তে হবে বুঝতাম না। চঞ্চল স্যার তখনো আমাদের সাথে এতটা ওপেন হইতেন না। আর উনি ফার্স্ট ইয়ারে শুধু কয়েকটা ড্রয়িং এর ক্লাস নিছিলেন। সেই ক্লাসগুলোও মজার ছিলো। কানে অলয়েজ হেডফোন দিয়া গান শুনতাম বইলা আমারে ঝাড়ি দিয়া কইছিলেন- গান শোনা এবং ছবি আঁকা দুইটা আলাদা কাজ। একটার সাথে আরেকটার ওভারল্যাপ কইরো না।

চারুকলার লোকজন যেইসব হলে থাকতো(মুহসীন হল, এ এফ রহমান ও শাওনেওয়াজ বিল্ডিং) সেইসব হলে থাকতাম না বইলা অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের বন্ধুদের সাথেও খুব ভালো সম্পর্ক ছিলো এবং তাদের ক্লাসেও গেছিলাম কয়েকবার। অনিক দা আমার স্কুলের বড় ভাই। চারুকলায়ও এক ব্যাচ সিনিয়র। তার দেখাদেখি কারওয়ান বাজারে রাতে মাঝেমধ্যে ড্রয়িং করতে যাইতাম। ঐটা ছিলো সবচেয়ে মজার এক্সপেরিয়েন্স। রাতের বেলায় লোকজন ট্রাক থেকে সবজি নামাইতো। সবজি বেচাকেনা করতো সেসব দেখতাম। আকার চেষ্টা করতাম। আর যেদিন কারওয়ান বাজার যাইতে ইচ্ছা করতো না ঐদিন পলাশীতে ড্রয়িং খাতা নিয়ে যাইতাম। ছবি যতটা না আঁকতাম তারচেয়ে বেশী আড্ডা হইতো।

এর মধ্যে হলের এক সিনিয়রের থ্রু তে একটা সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত হইলাম। যারা সব পলিটিক্যাল আলাপ করতো। ভালো লাগতো। সবাই সবার খোজ রাখতো। এইসব করতে করতে ভালোমতো সেইটাতেও জড়ায়ে গেছিলাম। দেশ বদলায়া ফালানো টাইপ। বেসিকালি তারা ইসলাম ও মার্ক্সসিজমের একটা মডারেশন দিয়া সমাজ ও রাষ্ট্রিক জীবনের একটা আউটলাইন দাঁড় করাইছিলো। তো পরে ঐটারে পলিটিক্যাল পার্টি হিসেবে নিবন্ধন করানো হয় ২০১৩ সালে। আমি ঢাবির প্রধান (মানে এদের পদ পদবী প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি টাইপের ছিলো না) আর সেন্ট্রাল কমিটির একটা অংশের মধ্যে ছিলাম। যত সেন্ট্রাল কমিটির সাথে ইনভলভমেন্ট বাড়ে ততই ওদের বাটপারি চোখে পড়ে। মানে কেতাবে আছে গোয়ালে নাই টাইপ ব্যাপারগুলান ক্লিয়ার হয়। ক্যাম্পাসের বন্ধুরা ভাবতো আমি বাম করি। হলে এই ট্যাগ লেগে যাওয়ায় ২০১০ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত একটা গণরুমেই থাকা লাগছিলো। যাইহোক ২০১৪ এর ডিসেম্বরে ঐ পার্টি ছাইড়া দিই।

এর মাঝে একবার ২০১৩ সালের শুরুতে একবার ২৮দিন টানা ড্রয়িং করছিলাম। সেইটা দিয়া এখনো চলি। ইভেন ২-৩ টা ক্লাসে ভালো মার্কসও পাইছিলাম। তখন মনে হইলো স্কিল ডেভেলপ করা খুব কঠিন কিছু না। সো আবারও লাইব্রেরিতে বসা শুরু করি। এরপর ধীমান ভাইয়ের সাথে খুব ভালো খাতির হয় কিভাবে কিভাবে যেনো। উনাদের মাস্টার্সের ক্লাসে রেগুলার যাইতাম, কে কি করতেছেন বুঝার চেষ্টা করতাম। আস্তে আস্তে আমি ধীমান ভাই, খায়রুল ভাই, টিটু দা মিলে একটা ফিল্ম ফোরাম করি চারুকলায়। আর্ট রিলেটেড ফিল্ম, ডকুমেন্টারি দেখাইতাম, আলোচক রাখতাম। ঐটার বোধহয় ২৪ টা সেশন করতে পারছিলাম যতদুর মনে পড়ে। ডিউক স্যার এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি হেল্প করেছিলেন আমাদেরকে। ডিউক স্যার আমাদের আগের ব্যাচ পর্যন্ত থার্ড ইয়ারে ইন্ডিয়ান আর্ট পড়াইছিলেন ফলে আমি ওনার কোনো সরাসরি ক্লাস পাই নাই। কিন্ত আমার ডিপার্টমেন্টের অনেক শিক্ষকের চেয়েও ওনার সাথে বেশি টাইম আলাপ হয়েছে আমার। ফোর্থ ইয়ারে এসে নিসার স্যারের ২/৩ টা পেইন্টিং ক্লাসে এসে ম্যাটেরিয়াল টেকনিক এবং কোন টেকনিক কিভাবে আর্টিস্টদেরকে তাদের বক্তব্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে হেল্পফুল ছিলো সেইটা খুব চমৎকার করে বলতেন উনি। সবচেয়ে বেশি এঞ্জয় করছিলাম চঞ্চল স্যারের ওয়েস্টার্ন আর্ট হিস্ট্রির ক্লাসে। উনি প্রথম ক্লাসেই ওয়েস্টার্ন আর্ট হিস্ট্রির যে পার্টটা পড়াবেন সেটা ওয়েস্ট কিভাবে দেখায়, আমরা কিভাবে দেখবো, আর একাডেমিকালি দেখাদেখির প্রমিনেন্ট লেন্সগুলো সম্পর্কে আইডিয়াও দিছিলেন। উনার বোধহয় ২/৩ টা ক্লাস আমি মিস করছি বাকি সব ক্লাস করছিলাম এবং ক্লাসের বাইরেও প্রচুর আলাপ করতাম উনার সাথে। বেশ সখ্যতাও তৈরি হয় ঐ টাইম থেকে যেটা এখন বন্ধুত্বের পর্যায়ে চলে আসছে।

মাস্টার্সে এসে আরো বিপত্তি বাধে। সিনিয়রদের দেখাদেখি আমাদের বন্ধুদের বেশিরভাগই বড় বড় ইলাস্ট্রেশন করতো। আমি আইডিয়ার উপর বেইজ করে ডিফ্রেন্ট ডিফ্রেন্ট মিডিয়ায় কাজ করতাম। সব শিক্ষক সেটা পছন্দও করতেন না। তবে সবচেয়ে বেশি হেল্পফুল ছিলেন সুমন ওয়াহিদ স্যার। উনি অনেক ইন্সপায়ার করতেন এবং কি করতেছি কেনো করতেছি সেসব যেমন শুনতেন এবং যৌক্তিক সমাধানও বাতলে দিতেন। উনার পার্সোনাল কালেকশনের অনেক বইও দিতেন পড়ার জন্য। সেগুলো নিয়ে আবার জিজ্ঞাসাও করতেন।

চারুকলা থেকে বের হয়ে এক সিনিয়র বাটপারের সাথে প্রথমে একটা রিসার্চ প্রজেক্টে কাজ করি ৩ মাস। তিনি আমার ডিজার্টেশনের লেখা দেইখা আমারে ডাকছিলেন রিসার্চ প্রজেক্টে কাজ করার জন্য। ৩ মাস কাজ করে যাতায়াত আর খাওয়ার টাকার বাইরে আমাকে যিনি মাত্র ৫ হাজার টাকা দিছিলেন। হল ছাইড়া হতাশ জীবনের প্রথম ধাক্কা, তো খাওয়া পরার জন্য ক্ষ্যাপ মারতাম, চাকরি করছিলাম কিছুদিন, আবার ক্ষ্যাপ আবার চাকরি এভাবেই কয়েক দফা টাইম যায়। রেগুলার এক্সিবিশন দেখতাম কিন্তু বেশিরভাগ এক্সিবিশনই ভালো লাগতো না। আমার মনে হইতো আমিই বোধহয় আর্ট বুঝি না। তারপর কলাকেন্দ্রে কাজ করলাম বছর দুয়েক। প্রচুর আর্টিস্টকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হইলো, তাদের আর্ট, রাজনীতি বুঝলামও কিছুটা। পরে তো পার্মানেন্টলি জবে ঢুকে কলাকেন্দ্র ছাইড়া দিলাম। সপ্তাহে দুইদিন শনি-মঙ্গল আড্ডা বইলা আর্টিস্টদের এক আড্ডার আয়োজক হইলাম। মানে ঐটা আগে থেকেই চলছিলো আমি ২০১৮ এর শেষের দিকে আইসা ওখানে জয়েন করি। শনি-মঙ্গল আড্ডার হয়ে কয়েকটা সেশনের আয়োজন করছিলাম, ২০২০ সালের ঢাকা আর্ট সামিটেও কাজ করেছিলাম।

শাওন চিশতি

তো চারুকলার ৬ বছর, এরপর বাটপার সিনিয়রের সাথে রিসার্চ প্রজেক্ট, কলাকেন্দ্র, শনি-মঙ্গল আড্ডা এইসবের মধ্য দিয়ে আমার আর্টের জার্নির ৮ বছর চইলা গেলো কিন্তু মনে হইলো বুঝলাম না কিছুই। সোজা কথা হইলো ইনফিরিয়রিটিতে ভুগতাম বা আমার মতো চিন্তার লোকগুলোরে ইনফিরিয়রিটিতে ভোগানো হইতো।

ইভেন এর মাঝে বেঙ্গলের আর্ট রাইটিং , চারুকলায় পারফরম্যান্স আর্ট, শান্তিনিকেতনে আর্ট এন্ড আর্কিটেকচার, ঢাকা আর্ট সামিটে আর্ট মেডিয়েশন সহ নানাবিধ দেশী বিদেশী ওয়ার্কশপে অংশ নিছিলাম। এক্সপেরিয়েন্স হইছে বাট কাজে লাগছে মোস্তফা জামান মিঠু ভাইয়ের আর্ট রাইটিং ওয়ার্কশপটা।

২০১৩-১৪ সালের দিক থেকে রিফাত হাসানের লেখার সাথে পরিচিত হই৷ মানে শাহবাগের কিছুদিন পর থেকে। আমার ডিজার্টেশনের টাইমে(২০১৬সালে) চঞ্চল স্যার আমাকে মনু ভাইয়ের কথা কইছিলেন। সামহাউ তার সাথে আলাপ বা তার লেখালেখি পড়ার সুযোগ হয় নাই ঐ টাইমে। এরপর ২০১৮ সালে রক মনু ভাই এর সাথে পরিচিত হই এবং ওনার মাধ্যমে ইমরুল ভাইয়ের লেখালেখির সাথে পরিচিত হই। উনাদের লেখালেখি পড়তে থাকি। এরপর তাহমিদাল জামি ভাইসহ অনেকের লেখালেখি পড়ি। আগের এক্সপেরিয়েন্সগুলার পাশাপাশি নতুনভাবে অনেক ইস্যুতেই অনেকের লেখালেখি ও চিন্তার সাথে পরিচিতিও ঘটে তখন থেকে। কিন্তু এনাদেরকে আলাদা করতেই হবে। এনাদের চিন্তা, লেখালেখি আমার জন্য সবচেয়ে বেশী সহায়ক। ইতিহাস, সমাজ, দর্শন, রাজীতি এবং আর্টের ইস্যুতে এনাদের বিশ্লেষণ অনেক বেশি নির্মোহ লাগে। দেখাদেখির নতুন এঙ্গেল পাই।

তো মফস্বলের একটা আনএডুকেটেড ফ্যামিলি থেকে চারুকলায় আইসা যে ইনফিরিয়রিটিতে ভুগতাম আর্ট নিয়ে সেইটা কাটতে শুরু হয় আমার। অর্থাৎ চারুকলায় যে ইতিহাস, রাজনীতি, দর্শনের চর্চা হয় সেইটার বাইরে আর্টের যে বিশাল জগত যেটা লাইব্রেরির বইয়ে পড়তাম সেইটাই আমি এখানে পাইতে থাকি। আরো কনসাইজ এবং কন্টেক্সুয়াল ওয়েতে। ফলে আমার ইনফিরিয়রিটি কাইটা যায়। মনে হয় আমি আর্ট বুঝি।

The following two tabs change content below.
Avatar photo

শাওন চিশতি

ভিজ্যুয়াল প্রফেশনাল

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →