Main menu

পলিটিকাল ডাইরি – ২০২৪ (দুই) Featured

This entry is part 2 of 2 in the series পলিটিকাল ডাইরি

জুলাই ২১, ২০২৪: রবিবার, সকাল ১০:২৬

ক্রনিকলস অফ কমপ্লিট শাটডাউন (১)

কারফিউ অনির্দিষ্টকালের জন্য একসটেনড করা হইছে। আজকে আর আগামিকালকে ‘সাধারন ছুটি’। সব কিছু বন্ধ কইরা দেয়া হইছে।

দুই দিন হইলো ইন্টারনেট কানেকশন নাই। বাংলাদেশি টিভি-চ্যানেলগুলাতে গতকাল (২০ জুলাই, ২০২৪) দুপুরের পর থিকা আর কোন খবর নাই, সরকারি-ভাষ্য প্রচার করে যাইতেছে। ১৬ পাতার জায়গায় ৮পাতার ডেইলি-স্টার ছাপা হইতেছে দুই দিন ধইরা; অইখানেও খবর বেশি নাই, কারন কোন ডেটা ট্রান্সফার করতে পারার কথা না। দেশে কত শত লোক খুন করা হইছে, সেইটা জানার কোন উপায় নাই।

“পলক” নামের এক স্ক্রাউনড্রেলের মেসেজ পাঠানো হইছে ‘গভ. ইনফো’ নাম্বার থিকা। মুশকিল হইতেছে আওমি-বাটপারগুলা দেশের মানুশ-জনরে মুর্খ মনে করে, তা নাইলে এই মেসেজ পাঠানোর কথা না। এর মানে হইতেছে, অরা আরো খুন করবে, আরো মানুশ গুম করবে, সিচুয়েশন ‘নরমাল’ করতে পারলে আরো মানুশরে ফাঁসি’তে ঝুলাবে। একটা কমপ্লিট ‘জরুরি অবস্থা’র দিকে দেশরে নিয়া যাবে।

একটা ইকনোমিক ডিজাস্টার’রে পলিটিকাল ডিজাস্টার বানায়া ছাড়বে। নাউ বাংলাদেশ ইজ আ কান্ট্রি উইথ নো হোপ!

২১ জুলাই, ২০২৪ রবিবার (বিকাল ৬:৩৫)

হাইকোর্ট-সুপ্রিমকোর্ট হইতেছে “জ্বী হুজুর” “ইয়েস স্যার” সিল মারার জায়গা; অযোগ্য এবং অর্থব লোকজনরে বড় বড় পজিশনে বসায়া রাখা হইছে, যাদের নিজেদের কোন বিবেক তো না-ই, বুদ্ধিও নাই কোন; স্বৈরাচার, নয়া বাকশাল অদেরকে যা করতে বলে, তা-ই করে, এইবারও তার কোন ব্যতিক্রম হয় নাই; যেইখানে ৩০% মুক্তিযোদ্ধা-কোটা রাখা হইছিল সেইখানে সব মিলায়া কোটা রাখার রায় দিছে আজকে ৭%; এখনো সরকারি গেজেট হয় নাই, চাইলে সরকার এইটা চেইঞ্জ করতে পারে

কিনতু ঘটনা এইটা না, ১২১ জন মানুশ খুন কইরাও শান্তি হয় নাই খুনি হাসিনার; হাজার হাজার মানুশরে গুম-খুন করার অভিযান চালু করছে কারফিউ দিয়া, ‘সাধারন ছুটি’ দিয়া, ইন্টারনেট বন্ধ রাইখা; উই আর ইন কমপ্লিট ডার্ক

কালো রঙের শাড়ি পইরা ভাষন দিতে আসছিল, যতদূতের মতো সারা বাংলাদেশ ব্ল্যাক-আউট কইরা দেয়া হইছে এখন; কেউ জানে না কখনো মুক্তি পাবো আমরা এই ব্ল্যাক-আউট থিকা…

সন্ধ্যার শেষে রাত আসতেছে, আজকে রাতে কতো মানুশ খুন করা হবে আমরা জানি না, আমরা কোনদিনও জানতে পারবো কিনা জানি না…


জুলাই ২২, সোমবার (সকাল ৯:৪০)

ক্রনিকলস অফ কমপ্লিট শাটডাউন (২)

ইন্টারনেট ছাড়া আজকে ৩দিন। বিষুদবার রাত থিকা সব ধরনের ইন্টারনেট কানেকশন অফ করে রাখা হইছে, বন্ধ কইরা দেয়া হইছে।

রাস্তায় লোক মারা শেষ, এখন ঘরে ঘরে ঢুইকা মানুশ খুন করা হবে। স্টুডেন্ট মুভমেন্টের ৩-৪জনরে জিম্মি কইরা নানান নাটক করা হইতেছে। কারফিউ আজকেও আছে, ‘সাধারন ছুটি’-ও। অরা ভাবতেছে ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে’ আসলে পরে কারফিউ উইথড্র করবে, এখনো ডরাইতেছে, কারফিউ উইথড্র করলে হাজার হাজার লোক আবার রাস্তায় নাইমা আসবে; ইন্টারনেট ওপেন কইরা দিলে বাংলাদেশের মানুশ আবার কথা-বলা শুরু করবে…

নয়া-বাকশালের হাত থিকা কনট্রোল ছুইটা গেছে, টিভির মিডিয়া-রিয়ালিটিতে কেউ আর বিলিভ করে না, এই সাজানো-গোছানো রিয়ালিটি তাদেরকে কবরে নিয়া যাইতেছে; তারা চাইতেছে সবকিছু কবরের মতো নিরব, সুনসান হয়া উঠুক; জীবনরে অরা ডরাইতেছে, চুপ করায়া দিতে চাইতেছে, কিনতু রাস্তায় নামতে না দিলেই মানুশের রেইজ কইমা আসবে না, কথা বলতে না দিলেই মানুশের চিন্তা-ফিলিংস মইরা যাবে না…

‘পরিস্থিতি’ কখনোই ‘নিয়ন্ত্রনে’ আসবে না; ইন ফ্যাক্ট ‘নিয়ন্ত্রনে’ ছিল না কখনোই, বরং মানুশরে ভয়-ভীতি দেখায়া চুপ করায়া রাখা হইছিল, এখন খুন করার ভিতর দিয়া সেই ভয়-ডর ভাইঙ্গা দেয়া হইছে, মানুশ ডরাইতে রাজি হইতেছে না আর, আর এইরকম যদি চলতে থাকে, আর দুই–চাইরদিন যদি কারফিউ চলে, মানুশ না খাইতে পাইরা বাধ্য হয়া রাস্তায় নাইমা আসবে…

২২ জুলাই ২০২৪ সোমবার (দুপুর ১২:১৬)

নয়া বাকশালের লোকজন নিজেরা যেইরকমের বলদ অন্যদেরকেও তা-ই মনে করে; যেইখানে মুভমেন্টের লোকজন ইন্টারনেট ওপেন কইরা দিতে বলতেছে, সেইখানে নিজেরা ইন্টারনেটের লাইন কাটতে যাবে কেন! মানে, এইসব গাঁজাখুরি জিনিস বলতেছে সারাক্ষন…

কারফিউ দিয়া কতোদিন মানুশরে বন্দি কইরা রাখতে পারবে এরা! কারফিউ দিয়া, ইন্টারনেট বন্ধ কইরা “জনমনে স্বস্তি” ফিরানোর কোন বেবস্থা হইতেছে না, বরং মানুশের ক্ষোভ আরো বাড়ায়া দেয়া হইতেছে, একটা অবৈধ-সরকারের শাসন টিকায়া রাখার জন্য বাংলাদেশের প্রতিটা মানুশরে সাফার করানো হইতেছে আজকে

২২ জুলাই ২০২৪ সোমবার (রাত ২০:১৩)

শেখ হাসিনার আক্রোশ থিকা এইটা ক্লিয়ার যে, এই মুভমেন্টের ব্যর্থতারে পুঁজি কইরা বাংলাদেশে বিরোধি-দল (যত ছোট-ই হোক) নিশ্চিহ্ন কইরা দেয়া হবে, কোন চিহ্ন আর রাখা হবে না

বাংলাদেশে এর পরে যদি কোন মুভমেন্ট হয়ও, সেইখানে মানুশ মারা গেলেও তাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো, কথা বলার মতো কেউ থাকবে না

বাংলাদেশে বিরোধিদল-বিহীন একটা টোটাল সাইলেন্স এসটাবলিশড করার সরকারি-নাম হইতেছে “জনমনে স্বস্তি ফিরায়া নিয়া আসা”


২৩ জুলাই ২০২৪, মঙ্গলবার (সকাল ১০:১২)

ক্রনিকলস অফ কমপ্লিট শাটডাউন (৩)

ইন্টারনেট ব্ল্যাক-আউটের আজকে ৫ নাম্বার দিন। ‘সাধারন ছুটি’ ও কারফিউ চলতেছে ৩ দিন ধইরা। হাজার হাজার মানুশ গ্রেফতার করা হইতেছে – এই নিউজ পত্রিকা আর টিভি’তেই বলা হইতেছে। ভয়’টা আরো ছড়ায়া দিতে চাইতেছে, আরো পাকাপোক্ত করার জন্য এই কাজ করা হইতেছে। মানুশের সাফারিংসের চাইতে, ইকনোমিক লসের চাইতে ক্ষমতায় থাকাটা বেশি জরুরি খুনি হাসিনার কাছে।

আজকের ডি.স্টার-এ লিড নিউজ হইতেছে, তার আরো খুন করার ‘প্রত্যয় ব্যক্ত করার’, প্রকাশ্যে খুন করার, ‘নিশ্চিহ্ন’ কইরা দেয়ার হুমকি – “উইল নট স্পেয়ার বিএনপি-জামাত দিস টাইম”। আবারো ‘ধ্বংসযজ্ঞ’র ছবি ছাপানো শুরু হইছে, সরাসরি বুকে গুলি কইরা যে মানুশ মারা হইছে সেই কথাগুলা আস্তে আস্তে ‘দীর্ঘশ্বাসের’ ভিতরে গোপন কইরা ফেলা হবে, আর এইটা কোন ‘নিয়তি’ না, সিসটেমেটিক-ক্রাইম জালিমের সহযোগি বাকশালি-মিডিয়ার…

এখন এইটা না-বোঝার মতো ‘ভালো-মানুশ’ হইতে আমরা (লেখালেখি করা মিক্লা গোষ্ঠী) মোটামুটি রাজি আছি… কিনতু ইতিহাস এই ক্রাইম কোনদিন মাফ করবে না বইলাই আমি মনে করি, আর এইজন্যই লিখে রাখতেছি, হারায়া যাইতে যাইতেও এর কিছু হয়তো থাইকা যাবে, কোথাও না কোথাও, কারো না কারো কাছে…

যতদিন বাঁইচা আছি আমি, সাক্ষী দিব, শেখ হাসিনা খুনি!

জুলাই ২৩, ২০২৪ (দুপুর ১২:০৮)

রাস্তায় রাস্তায় রক্তের দাগ এখনো শুকায় নাই। এই রক্ত সাফ করার জন্য কারফিউ দিয়া রাখছে এখনো, আজকেও ‘সাধারন ছুটি’। কিনতু মানুশের মন থিকা এই রক্তের দাগ মুইছা ফেলা যাবে না। উই ক্যান ফিল ইট ইন আওয়ার একিং বোনস!

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচে বড় ম্যাসাকর হইছে গত কয়েকদিনে। (ইনক্লুডিং ব্রিটিশ-আমল, পাকিস্তান-আমল) গণ-আন্দোলন দমন করার জন্য কোন অবৈধ-সরকার এতো মানুশ খুন করে নাই! পত্রিকা বলতেছে ১৫০-১৬০, কিনতু ইন রিয়ালিটি ৪০০-৫০০ মানুশ খুন করা হইছে। যদি আমরা খুন-হয়া যাওয়া মানুশের পক্ষে কথা না বলি, মানুশ হিসাবে আমরা নিজেদের কাছে মুখ দেখাইতে পারবো না। লাশগুলা আমাদেরকে কোনদিন মাফ করবে না।


জুলাই ২৪, ২০২৪ বুধবার (সকাল ৯:৫৯)

বলা হইতেছে, কিছু জায়গায় ‘পরীক্ষামূলকভাবে’ ‘সীমিত পরিসরে’ ‘কিছু কিছু জায়গায়’ ব্রডব্যান্ড চালু করা হইছে গতকাল রাত থিকা; পুরাপুরি ভুয়া কথা এইটা; আমার পরিচিত কারো কাছে শুনি নাই যে, তাদের এইখানে চালু করা হইছে, আরো অনেকগুলা মিছা-কথার মতো এইটা আরেকটা মিছা-কথা, টিভি-চ্যানেলগুলার অন্য সব ভুয়া-নিউজের মতন… (মানে, যেই দুই-একটা জায়গায় চালু করা হইছে, সেইটা খুবই মিনিমাম, টিভি-ক্যামেরার সত্যি’র মতন)

শুধুমাত্র যে বিম্পি-জামাতের লোকজনরে বন্দি করা হইতেছে – তা না, খুনের আলামত সব তো গায়েব করা হইছেই, সাক্ষীদেরকেও গুম কইরা ফেলা হইতেছে আসলে; এই গন-গ্রেফতারের আসল উদ্দেশ্য এইটাই

দুনিয়ার ইতিহাসে কোন সোশাল-মুভমেন্টে ৪০০-৫০০ মানুশ খুন করা হয় নাই; ২০১৩ সালের ৫ই মে মতিঝিলে হেফাজতের সমাবেশে সবকিছু ব্ল্যাক-আউট কইরা মানুশ খুন করার পরে লাশগুলা সব সরায়া ফেলা হইছিল; এইবারও অনেক লাশ রাস্তায় পইড়া ছিল, পুলিশ-বিজিবি-আর্মি যেই লাশগুলা নিয়া গেছে, সেই লাশগুলার খবর আমরা কোনদিনই পাবো না, কিছু ‘নিখোঁজ’ মানুশের নাম তৈরি হইতে পারবে বড়জোর… কিনতু যেই মানুশগুলা আমাদের চোখের সামনে মারা গেছে, আমাদের ভাই-বোন-বন্ধু তাদের নাম-ধাম, ঠিকানা, ইতিহাসের ডকুমেনটেশন জরুরি…

গতকালকে একজন বলতেছিলেন, হাসপাতালে আহত যারা, চিকিৎসা নিতেছেন তারাও সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে ডরাইতেছেন, কারন কথা-বলতে গেলেই নার্স-টার্স সামনে চইলা আসতেছে, বলতেছে, কথা বলবেন না একদম! থ্রেট দিতেছে। হাসপাতালগুলা ভরা পুলিশের ইনফর্মারে, সিভিল-ড্রেসের পুলিশে… তো, আমার কথা হইতেছে, কারো কাছে বলার দরকার নাই, নিজের কাছে বলেন, নিজের মোবাইলে, ল্যাপটপে, খাতায় লেইখা রাখেন, নিজের মন থিকা মুইছা ফেইলেন না…

জালিম চায় আমরা চুপ কইরা থাকি; জালিমের সব চেষ্টা হইতেছে মানুশের মুখ বন্ধ কইরা রাখার জন্য; এই কারনেই আমাদেরকে আরো কথা বলা লাগবে; যদি আমরা কথা না বলি, আমাদের আর মরা-মানুশের লাশগুলার সাথে কোন তফাত নাই; তফাত একটা আছে – তারা ডিগনিটি নিয়া মরতে পারছে, আমরা ডিগনিটি নিয়া বাঁইচা থাকতে পারতেছি না, কিনতু উই মাস্ট ট্রাই…


জুলাই ২৪, ২০২৪

১.
“স্বজন হারানোর ব্যথা আমি বুঝি” বইলা শ’য়ে শ’য়ে মানুশ খুন কইরা তাদের পরিবার’রে “স্বজন হারানোর ব্যথা” বুঝানোর যেই বেপারটা…

২.
প্রপার ডকুমেনটেশন একটা জরুরি কাজ; অনেকে নিজেদের মতো ট্রাই করতেছেন


জুলাই ২৫, ২০২৪

১.
দেশের এই ক্রাইসিস মোমেন্টে, টেলিকম কোম্পানিগুলার এন্টি-পিপল পজিশনের কথাও যেন আমরা ভুইলা না যাই…

২.
গত কয়েকদিনে রাস্তায়-গলিতে গুলি করে মানুশ মারছে পুলিশ-রেব-বিজিবি; এইবার টিইকা যাইতে পারলে, কয়দিন পরে ঘরে ঘরে ঢুকে গুলি কইরা মারবে…

৩.
মোবাইল ইন্টারনেট নাই আজকে ৭-৮ দিন, ব্রাডব্যান্ড গতকালকে চালু হইলেও অবস্থা এই অবৈধ সরকারের মতই, এই দম আসে এই দম যায়…

৪.
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের স্পিডও এই লেভেলে নামায়া নিয়া আসা হইছে যে, দেখবেন আছে, কিনতু কোনকিছু ব্রাউজ করতে পারবেন না… এইটা হইতেছে আরেকটা ম্যাসাকারের প্রিপারেশন

৫.
“স্বজন হারানো…” নাটকের দুই গালে
থাপ্পড় মারো তালে তালে

৬.
মুভমেন্ট এখন খুবই ক্রিটিকাল স্টেইজে আছে; এই অবস্থা থিকাও সাময়িক-ভাবে হাইরা যাওয়া পসিবল, পিছায়া আসার সিচুয়েশন তৈরি হইতে পারে যদি আবার রি-ট্রিট করা না যায়, অরগানাইজ না করা যায় নতুনভাবে… বাংলাদেশের মানুশ এই মুভমেন্টের সাথে আছে; খুনি হাসিনার শেষ দেখার জন্য দাঁতে দাঁতে চাইপা ওয়েট করতেছে…

কিনতু মুভমেন্ট’টারে একদিকে যেমন আরো দৃঢ়ভাবে এসটাবলিশড করতে হবে, একই সাথে সবদিকে ছড়ায়া দিতে পারাটা জরুরি…

যারা সরাসরি পলিটিকাল এক্টগুলার লগে ইনভলব আছেন, তারা এই কয়টা কাজ করার কথা ভাবতে পারেন:

১. সব ওয়ার্ড, থানা, উপজেলা, জেলা ও বিভাগে ছাত্র-জনতার লিডারশিপে “সর্বদলীয়” নিপীড়ন-বিরোধি, বাকশাল-বিরোধি কমিটি তৈরি করতে হবে; নেশনাল-কমিটিও বানাইতে হবে; পলিটিকাল লোকজন থাকবে, কিনতু লিডারশিপ থাকবে সোশাল-মুভমেন্টের লোকজনের হাতে…

(মিচুয়াল এগ্রিমেন্টের বেসিসে সেপারেটও হইতে পারে – পলিটিকাল ও নন-পলিটিকাল, কিনতু) এলায়েন্স তৈরি করতে পারা এবং ইনক্লুসিভ হইতে পারাটা জরুরি; এইটা ক্রুশিয়াল, ক্রিটিকালও এর ফর্মেশন এবং ডিসিশান

তবে মিডিয়া-রিয়ালিটির ‘ময়ূর-পুচ্ছ’ ধারন কইরা ভুয়া-প্রগতিশীলতার লেবাস ছাড়তে পারাটা জরুরি; ১৯৭১-এ পাকিস্তান রেডিও যেইরকম মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়া কোন ভালো-কথা বলে নাই, হিন্দু-কমিউনিস্ট বানাইতো, বাকশালি-মিডিয়াও মুভমেন্টের লোকজনরে বিম্পি-জামাতই বলবে, সবসময়…

২. প্রশাসন-পুলিশ-আর্মি’র যারা এই খুনগুলার সাথে সরাসরি জড়িত (খুনের অর্ডার দিছে, গুলি করছে), শহিদদের মতো তাদেরও তালিকা তৈরি করতে হবে…

অবৈধ-সরকার যাতে সোশালি, ইকনোমিকালি এবং প্রশাসনিক-ভাবে ফাংশন না করতে পারে – সেইটা মাথায় রাইখা কর্মসূচি দিতে হবে; আদারওয়াইজ, খুনি-বাহিনি যা করছে, তার চে আরো ভয়াবহ ম্যাসাকার চালাবে

৩. ইনটার-ন্যাশনাল উইং-ও জরুরি; সবাই যার যার মতো নিজেদের তাগিদ থিকা-ই কাজ করবে, কিনতু এক ধরনের কো-অর্ডিনেশন জরুরি, তাইলে বেটার রেজাল্ট পাওয়া যাইতে পারে…

জুলাই ২৬, ২০২৪

১.
রেমিটেন্স শাট-ডাউন এফেক্টিভ একটা টুল হইতে পারার কথা…

২.
বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট ইউজ করে ১২.৫১ কোটি লোক, তারা এখনো ইন্টারনেট ইউজ করতে পারতেছে না; ISP’র ব্রডব্রান্ড ইউজ করে ১.৩৫ কোটি, তার মানে ১০% পিপল অনলাইনে আসতে পারতেছে (তা-ও এই আসে, এই যায় অবস্থা), ৯০% পিপল এখনো ইনফরমেশন পাইতেছে না, এতো যে খুন-খারাবি এর কিছুই দেখে নাই…

আর এর মধ্যেই ফেইসবুক থিকা সব ছবি-ভিডিও সরায়া দেয়ার চেষ্টা করা হইতেছে, যাতে কইরা যখন মোবাইল ইন্টারনেট চালু করা হবে, এই রাষ্ট্রিয় ক্রাইমগুলার কোন চিহ্ন যাতে না থাকে…কিনতু মানুশের চোখের সামনে যা ঘটছে তা মুইছা ফেলা যাবে না

আর টিভি-চ্যানেলগুলা যা করতেছে, সেইগুলা দেখলে গোয়েবলসও লজ্জা পাওয়ার কথা

৩.
এরশাদ যদি বিশ্ব-বেহায়া হয়া থাকে, তো, শ’য়ে শ’য়ে মানুশ খুন করার পরেও যার কোন লজ্জা-শরম নাই, সেই খুনি হাসিনারে কি বলবেন! মানুশের ইতিহাসে এতো বড় বেহায়া কখনো জন্ম নেয় নাই!

৪.
বাংলাদেশের ইতিহাসে ভয়াবহতম ম্যাসাকার সংগঠিত হইছে গত ৮-১০ দিনে; শেখ হাসিনার খুনি পুলিশ, রেব, বিজিবি এবং শেষে আর্মিও এই হত্যাকান্ডে শামিল হইছে, যা বিভিন্ন ছবি, ভিডিও থিকা স্পষ্ট; নিউজপেপারের হিসাবে ২০০+ মানুশ খুনের তথ্য দেয়া হইছে, তথ্য গোপন করার জন্য হসপিটাল থিকা ডেথ-রেজিস্টার ছিনায়া নিয়া গেছে পুলিশ ও অবৈধ-সরকারের লোকজন; নানান হিসাবে লাশের সংখ্যা ১ হাজার পার হইছে বইলা ধারনা করা হইতেছে…

কিনতু এই ম্যাসাকারের পরেও খুনি হাসিনা এন্ড গং থাইমা নাই, ঘরে ঘরে ঢুকে ‘ছাত্র’-সন্দেহে প্রতিরাতে অসংখ্য মানুশকে হেনস্তা ও গ্রেফতার করতেছে; পাকিস্তান আর্মি যেমন যুবক কাউরে দেখলে ডরাইতো যে, এইটা মনেহয় মুক্তিযোদ্ধা, এইরকম রেব-পুলিশ-বিজিবি-আর্মি বাংলাদেশের ইয়াং পপুলেশনরে ডরাইতেছে…

সারাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ আজকে ১০ দিনের উপরে, ম্যাসাকার এখনো চালু আছে, গোপনে গুম-খুন চলতেছে, যতক্ষন না মানুশ কারফিউ ভাইঙ্গা আবার রাস্তায় নাইমা আসবে এই ম্যাসাকার কনটিনিউ হইতেই থাকবে মনেহয়…


জুলাই ২৭, ২০২৪

১.
স্টুডেন্ট মুভমেন্টকে এখন পিপলস মুভমেন্টে কনভার্ট করা লাগবে… সব ধরনের সোশাল, কালচারাল ও পলিটিকাল ফোর্সকে একসাথে হইতে হবে; এর কোন ‘বিকল্প’ নাই

সবাইকে এক ছাতার তলে দাঁড়াইতে হবে; বা**লি-মিডিয়া এবং প্রপাগান্ডা সবচে বেশি জোর দিবে বিভক্তি তৈরি করার দিকে… ইসলাম, নারী, সাম্প্রদায়িকতা, নানান ইস্যু টাইনা আনার ট্রাই করবে… এখন সময় একসাথে দাঁড়ানোর, যদি সেইটা না করা যায়, স্টুডেন্টস উইল সাফার, পিপল অফ বাংলাদেশ উইল সাফার… আরো ভয়াবহ প্রাইস পে করতে হবে আমাদেরকে তখন

২.
১. ছাত্রদেরকে বাঁচাইতে হইলে, দেশের মানুশকে বাঁচাইতে হইলে সবাইকে এক কাতারে আইসা দাঁড়াইতে হবে! সর্বদলীয় নাগরিক ঐক্যের একটা জায়গা তৈরি করা লাগবে (সমাজের সব ধরনের মানুশকে নিয়া), এবং সেইটা করতে হবে আগামি দুই-একদিনের মধ্যে, বিফোর ইটস টু লেইট…

২. সেই কমিটি থিকা, নেশনাল কর্মসূচি ঘোষনা করতে হবে, উইথ স্পেসিফিক ডিমান্ডস এন্ড ডেডলাইনস

৩. সবচে বড় কথা, মানুশকে বাঁচাইতে হবে! আরেকটা ক্রাক-ডাউনের আগে, আরেকটা গনহত্যার আগে, আরো আরো গুম-খুনের আগেই এইটা করতে হবে…

৩.
ট্রাজেডি শুধুমাত্র এইটা না যে, হাজার খানেক মানুশরে গুলি কইরা মারা হইছে এবং লিটারারি হাজার হাজার (এটলিস্ট ৮-১০ হাজার হবে) মানুশরে গ্রেফতার কইরা হয়রানি করা হইতেছে; বরং এই খুনগুলারে এমনভাবে ‘গোপন’ কইরা ফেলা হবে, মৃতের ফ্যামিলিগুলারে টাকা দিয়া, ভয় দেখায়া, থ্রেট দিয়া বলতে বাধ্য করা হবে যে, তাদের কেউ পুলিশম-বিজিবি-আর্মি’র গুলিতে মারা যায় নাই! আর যদি তারা এইটা করতে রাজি না হয় তাদের উপর আরেকদফা জুলুম চালানো হবে; এবং ট্রাজেডি’টা হইতেছে যে, বাকশালি-মিডিয়া এর অল-আউট প্রপাগান্ডাই চালাবে না, অই প্রপাগান্ডা দিয়া কিছু মানুশ ‘বিভ্রান্ত’ হওয়ার জন্য রেডি হয়া বইসা আছে, যারা নানান ‘যুক্তি’, ‘তর্ক’ এবং ‘তথ্য’ হাজির করতে থাকবে… অ্যাজ আ অডিয়েন্স আপনি এইগুলারে মোকাবেলা করবেন – তা না, তখন আপনি রিয়েল ট্রাজেডি’র জায়গাটা আসলে ফিল করতে পারবেন

শত শত মানুশ খুন করার পরে, হাজার হাজার মানুশরে গুলি করার পরে, অন্যায়ভাবে জেলে বন্দি করার পরে যারা অই কাজগুলার ভ্যালিডেশন তৈরি করতেছে, আপনি জাস্ট তাদের মতন শয়তান যে হইতে দেয়া থিকা নিজেরে বাঁচাইতে হবে – অই জায়গাটাতে গিয়া একটা ‘নাম্বনেস’, একটা ‘অসহায়ত্ব-বোধ’ ফিল করবেন; অবাক হওয়ারও শেষ সীমায় পৌঁছায়া যাবেন যে, মানুশ এইরকম কেমনে হইতে পারে!

রিয়েল ট্রাজেডি হইতেছে অইটা, যখন আপনি চোখের সামনে শয়তানদেরকে, জালিমদেরকে, তাদের সঙ্গ-পাঙ্গদেরকে দেখতে পাইবেন, এবং ফিল করবেন যে, শয়তানরে আল্লাহ কেন হেদায়েত করেন না! এবং আমাদের দায়িত্ব হইতেছে অই শয়তানদের হাত থিকা নিজেদেরকে, সমাজকে এবং শহিদদের ডিগনিটি’টারে বাঁচায়া রাখা।


জুলাই ২৮, ২০২৪

১.
কারফিউ’র সময়ে জর্জ অরওয়েলের 1984 নভেল’টা পড়তেছিলাম, তখন মনে হইতেছিল ‘বিপ্লব’ (মানে, শব্দটা তো আসলে ক্লিশে বা বাতিল হয়া গেছে একভাবে, তারপরও এইটা দিয়া একটা চেইঞ্জই আমি বুঝাইতে চাইতেছি…) জিনিসটা কখনোই পার্টির ইনার-সার্কেল (পড়েন, বেনিফিটেট ক্লাস) বা আউটার-সার্কেলের (মিডল-ক্লাস) লোকজন করবে না, বরং যারা পেরোল-ক্লাস’টার (গন-মানুশের) সাথে রিলেশনটা তৈরি করতে পারবে, অই স্পার্কিংটা থিকা ঘটতে পারে…

Mohammad Ishrak একটা ক্রিটিকাল জায়গারে লোকেট করছেন, একটা এস্থেটিক পেইজে (nutshell today) জুলাই মুভমেন্টের ৫-৭ জন শহিদদের ছবি ছাপায়া বলতেছে যে, এই কয়জন মারা গেছে বইলা কনফার্ম করা গেছে (মানে, বাকি হাজার খানেক লোকের কোন খবর উনারা পান নাই বা কনফার্ম করতে পারতেছেন না!), এবং সারপ্রাইজিংলি রংপুরের আবু সাঈদের নাম-ই নাই! নাই কেন? উনি ধারনা করতেছেন, আবু সাঈদের ইকনোমিক-ক্লাস একটা ফ্যাক্টর এইখানে; তো, বেপারটা এইরকম না যে, এইটা একটা ‘সত্যি-কথা’ বা ফ্যাক্টচুয়াল-ট্রুথ, বরং এই ধরনের ‘রেসিয়াল’ বা ‘ক্লাশ-এটিটুড’ থাকাটা এব-নরমাল কোন ঘটনা না… এইটা খেয়াল করতে পারাটা দরকার যে, পিপলস মুভমেন্টরে যেন মিডল-ক্লাস মুভমেন্টে রিডিউস করা না যায়… এইরকম পিছলায়া সেইটা এক ধরনের একসিট পয়েন্টের দিকে চইলা যাইতে পারে যে, এনাফ স্যাক্রিফাইস করা হইছে, এবং সবচে ঝামেলার জিনিস হইতেছে যে, এই স্যাক্রিফাইসগুলারে রিকগনাইজ করতে এবং মাইনা নিতে রাজি আছে!… উনারা মারা যান নাই – তা না, কিনতু অই মৃত্যুগুলারে মাইনা নেয়ার ভিতর দিয়া বাকি খুনগুলারে মুইছা ফেলার রাস্তা তৈরি হইতে পারে কিনা – অই পসিবিলিটি’টা হইতেছে এইখানে ঘটনা

হাফ-ট্রুথ হইতেছে এবসুলেট মিছা-কথার চাইতে বড়-মিথ্যা

২.
আমাদের চালু-থাকা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসেও এই ধরনের টেনডেন্সিগুলা পাইবেন; বেপারটা এইরকম না যে, ‘অশিক্ষিত’ ‘মুর্খ’ ‘গ্রাম্য’ লোকজনের তথ্য-সংগ্রহ করা যায় নাই, বরং একটা ‘লিখিত-ইতিহাসের’ বাইরে গিয়া ‘ওরাল-নেরেটিভগুলারে’ হিসট্রিকাল এভিডেন্স হিসাবে কনসিডার করার দরকারই পড়ে না! যার ফলে, অইটা একটা সিসটেমেটিক এপ্রোচ হিসাবেই বাইরের একটা ঘটনা হয়া থাকে, মিডল-ক্লাসের কালেকটিভ-নেরেটিভের জায়গাটাতে…

৩.
এখন জুলাই মুভমেন্টের জায়গাটাতেও এই ঘটনা ঘটছে – তা না, কিনতু এই টেনডেন্সিটা পুরাপুরি এক্টিভ আছে…

স্টুডেন্ট মুভমেন্টের জায়গাটা থিকাই স্পার্কটা ঘটছে, কিনতু এইটা স্টুডেন্ট মুভমেন্টের ভিতর লিমিট কইরা রাখাটা বড় একটা ভুল হবে… এই যে হাজার খানেক মানুশরে পুলিশ-বিজিবি-আর্মি গুলি কইরা মারছে, এর একটা বড় অংশ হইতেছে ‘সাধারন মানুশ’, উনাদেরকে এক্সক্লুড কইরা কোন গন-আন্দোলন পসিবল না…

২.
ডিবি পুলিশ আন্দোলন প্রত্যাহার করছে, ছাত্ররা করে নাই…

৩.
ডিবি-অফিসের ঘোষনার পরেই ইন্টারনেট আবার স্লো; টিভি-চ্যানেলের মিছা-কথা ছাড়া আর কিছুই দেখতে ও শুনতে দেয়া হবে না আমাদেরকে…


জুলাই ২৯, ২০২৪

১.
খুনি যখন বলে খুনের বিচার করবে, তার মানে হইতেছে সে আরো ইনোসেন্ট মানুশ খুন করার জন্য ডিটারমাইন্ড… এই খুনিরে না থামাইলে প্রকাশ্যে বা গোপনে আরো খুন সে করতে থাকবে…

২.
আজকে গুলি কইরা মারবে, আর তা নাইলে কয়দিন পরে দুর্ভিক্ষে না খাওয়াইয়া মারবে; খুনির দরকার ক্ষমতা, মানুশ বাঁচলো কি মরলো – তাতে কিছু যায় আসে না…

৩.
রাষ্ট্রিয় শোক – একটা ভাওতাবাজি, আরেকটা মশকরা, মাছের মায়ের পুত্রশোক; গুম খুন গ্রেফতার এখনো পুরাদমে চলতেছে…

৪.
জাস্ট numb হয়া আছি, কি রকম একটা শয়তানের সাথে আমরা ফাইট করতেছি! যারা গুলি কইরা মানুশ মারছে, তারাই কালো-ব্যাচ পইরা মুচকি মুচকি হাসবে কালকে! কি রকম সাইকো-প্যাথ!


জুলাই ৩০, ২০২৪

১.

মাই নেইম ইজ রেড

২.
কথা ক!
সেজান হইতেছেন আমাদের সময়ের আরটিসট; যদি না শুইনা থাকেন এই গানটা শুনেন!

৩.
কনসপিরেসি থিওরি’র গার্বেজের জায়গাটা নিয়া কয়েকটা কথা

কয়দিন আগে একটা ভিডিও দেখতেছিলাম ইউটিউবে, সাজেশন হিসাবেই আসছিল, মিডল-ইস্টের কোন ইনটেলেকচুয়াল হবেন, উনারে চেহারায় চিনি না, যেহেতু বাংলাদেশের মুভমেনট নিয়া বলতেছিলেন, এইজন্য শুনতেছিলাম…

কথা-বার্তায় মনে হইলো কনসপিরেসি-থিওরিস্ট এবং এন্টি-ইউএসএ একজন লোক, তো, বলতেছিলেন ইসটুডেনট মুভমেনটে সিআইএ’র হাত আছে, ইউএসএ’র বেনিফিট আছে, এই-সেই… একটা প্যাটার্নের কথাও বলতেছিলেন যে, যে কোন একটা সোশাল-ইস্যুরে সেন্টার কইরা মুভমেনটরে তৈরি করা হয়, তারপরে গর্ভমেনটরে সরানো হয়, আরো কয়েকটা দেশে এই ঘটনা দেখা গেছে, এইটা একটা প্যাটার্ন, এইরকম…

তো, এইখানে আমার কথা হইতেছে তিনটা –

১. উনি বাংলাদেশ নিয়া স্পেসিফিকালি আসলে জানেন না; লাস্ট তিনটা ইলেকশন, ইনডিয়ার গোলামি, মাস মার্ডারের ঘটনাগুলা উনার কনসার্ন না, কনসার্ন হইতেছে প্রো-পশ্চিমা একটা গর্ভমেন্ট তৈরি হইতে পারে… তো, হইলে কি সমস্যা? সমস্যা হইতেছে (উনার জায়গা থিকা), আরো বাজে একটা গর্ভমেন্ট আমরা পাবো যারা পশ্চিমা-স্বার্থে কাজ করবে… মানে, আমার কথা হইতেছে, বাংলাদেশের মতো একটা দেশের গর্ভমেন্ট কোন না কোন দেশের (ইনডিয়া, চায়না, রাশিয়া, আম্রিকা) স্বার্থে কাজ করবে – তা না, বাংলাদেশের মানুশের স্বার্থের সাথে গ্লোবাল এলায়েন্স তো তৈরি করা লাগবেই, সেইখানে যে-ই করুক, যেইটাই করুক, পিপলস ম্যান্ডেট নিয়া যদি করতে পারে, সেইটাতে খারাপ কি! সিআইএ যদি এইটাতে মদদ দেয়ও, সেইটাতে বাংলাদেশের মানুশের লস’টা কি আসলে? উল্টা বেনিফিট, বা একটা চান্সও থাকতে পারে আসলে নিজেরা ভোট দিয়া সরকার বানানোর… যে কোন সরকার খুনি হাসিনার সরকারের চে বেটার!

২. কিনতু আসল ঘটনা হইতেছে, যদি কনসপিরেসি থিওরি মাইনাও নেই, র’রে বাদ দিয়া সিআইএ’র বাংলাদেশে কিছু করার ক্ষমতা নাই; সিআইএ বরং র’র আন্ডারে অপারেট করে বাংলাদেশে, ইনডিয়ারে বাদ দিয়া ইউএসএ নিজের স্বার্থ বাংলাদেশে রাখতে পারবে না; পারলে এতোদিনে স্যাংশন-ফেংশনসহ বাল-ফালানি জিনিসগুলা আমরা দেখতে পাইতাম; ইভেন ইউএন-ই কোন স্টেপ নিতেছে না বা নিতে পারতেছে না; মূল কারন হইতেছে বাংলাদেশের বেপারে পশ্চিমা-বিশ্বের বাল-ফালানোর ক্ষমতা নাই; পশ্চিমা-বিশ্ব এই করবে, সেই করবে – এইগুলা হইতেছে আরেকটা জুজু, পিপলের একশনরে সাসপেন্ডেড রাখার একটা তরিকাও…

৩. লাস্টলি, কনপিরেসি’র ঘটনাগুলা ঘটে না – তা না, বরং কনসপিরেসি থিওরি দিয়া পলিটিকসরে বুঝতে চাওয়াটা হইতেছে সবচে বাজে-লেভেলের ইনটেলেকচুয়ালিটির ঘটনা; বাংলাদেশে এই প্রো-ইনডিয়ান গর্ভমেন্ট ফল করলে অবশ্যই চায়নার বেনিফিট আছে, পশ্চিমা-বিশ্ব তাদের পা রাখতে পারবে কিছুটা, কিনতু তাই বইলা তারা-ই এইসব করতেছে, আর লোকজন তাতে ভুল কইরা পা দিতেছে – এইগুলা হইতেছে নাদানদের আলাপ; এর কোন ইনটেলেকচুয়াল ভ্যালু না থাকলেও প্রপাগানডার জায়গা থিকা এর ভ্যালু আছে, কিনতু এইসব নিয়া কনসার্ন হওয়াটা অ-দরকারি কাজ বইলাই আমি মনে করি, কিনতু এই ধরনের প্রপাগান্ডাগুলা যে ইনটেলেকচুয়াল-আলাপের চেহারা নিয়া শুরু হইতে পারে, অই ভাইবা বইলা রাখলাম আর কি…

৪.
পত্রিকাগুলার হিসাবেই ১০ হাজার মানুশরে গ্রেফতার করা হইছে; আপনি কি মনে করেন, যতদিন ক্ষমতা আছে এই জালিম তার জুলুম থামাবে, কোনদিন? এক দিনের জন্যও?


জুলাই ৩১, ২০২৪

১.
অকুপাই বাংলাদেশ

প্রতিটা রাস্তা দখল করতে হবে। প্রতিটা ক্যাম্পাস। প্রতিটা শহর। প্রতিটা ওয়ার্ড, প্রতিটা থানা। গ্রাম-গঞ্জ, উপজেলা-জেলা। ইসকুল-কলেজ-মাদরাসা। বাংলাদেশকে নতুন কইরা স্বাধীন করা লাগবে। নতুন কইরা মুক্ত করা লগবে।

সেনাবাহিনি যদি ব্যারাকে ফিরা না যায়, সেনাবাহিনি যদি গুলি চালায়, তাইলে বুইঝা নিতে হবে তারা তাদের আত্মা শয়তানের হাতে তুলে দিছে। এই সেনাবাহিনি পুলিশ-রেব-বিজিবি’র মতো জালিমের লাঠিয়াল ছাড়া আর কিছু না। স্বাধীন কোন ইনসটিটিউশন না।

সবগুলা সরকারি অফিসে তালা ঝুলায়া দিতে হবে। সরকারি কর্মচারিদেরকে প্রমান দিতে হবে তারা মানুশ, জালিমের ক্ষমতা ধইরা রাখার যন্ত্র না। ছাত্ররা যা করতেছে, সেইটা মোন দ্যান এনাফ।

সবাইকে রাস্তায় নাইমা আসতে হবে! রাস্তায় না নামলে মুক্তি মিলবে না। অকুপাই বাংলাদেশ!
এই বাংলাদেশ আমাদের! নিজেদের জমিনের দখল নিজেদেরকে নিতে হবে! লড়াই করা ছাড়া আর কোন রাস্তা খোলা নাই। লড়াই করতে হবে সবাইকে, সব জায়গাতে।

জয়-পরাজয়ের জন্য না শুধু, শহিদদের কাছে আমাদের বাঁইচা থাকার যেই ঋন, সেইটা শোধ করার জন্য; মিনিমাম একটা ডিগনিটি নিয়া বাঁইচা থাকার জন্য; আমাদের ফিউচার জেনারেশনের জন্য!

উই মাস্ট ট্রাই!


অগাস্ট ০১, ২০২৪

১.
হিস্ট্রিকাল ডকুমেন্ট হিসাবে গান-কবিতা-গল্প অ-দরকারি না, বরং প্রায়োরিটি’র জায়গা থিকা দেখতে গেলে থার্ড পজিশনে থাকার কথা…

পয়লা অবশ্যই হার্ড-কোর এভিডেন্সগুলা – ভেরিফাইড তথ্য, ছবি, ভিডিও; এইগুলা হইতেছে ফাউন্ডেশন

সেকেন্ড হইতেছে আই-ওয়েটনেস – প্রত্যক্ষদর্শীর কথা, ঘটনার বিবরন, সংবাদ প্রতিবেদন… এইখানে ফ্যাক্টের চাইতে আশে-পাশের ঘটনা বেশি থাকে, যেইটা দিয়া কনটেকস্ট’টারে বুঝা যায়

থার্ড হইতেছে আর্ট আর এনালাইসিস – নানান ধরনের বিচার-বিশ্লেষন, গান-কবিতা-গল্প পেইনটিং, নাটক-সিনেমা নানান কিছু, নন-ফিকশনাল ও ফিকশনাল জিনিসপত্র

তো, সবকিছু মিইলা একটা ঘটনার নেরেটিভ তৈরি হয়; তবে ঘটনার বিশ্লেষন বা নেরেটিভ তৈরি হওয়াটা সবসময় ঘটনার পরের জিনিস, অনেক সময়েরও বেপার… এইরকম একটা কাহিনি আছে যে, চিয়াং কাইশেকরে জিগানো হইছিল ফরাসি বিপ্লবের (১৭৮৯ – ১৭৯৯) সিগনিফিকেনস কি মনেহয় আপনার কাছে? তো, ১৯৬০ সালের দিকে, উনি বলছিলেন যে, আরো দুইশ বছর পার হইলে সেইটা নিয়া কথা বলা যাবে, ঠিকঠাক মতো…

মানে, আমি বলতে চাইতেছি, নেরেটিভ’টা তৈরি হয় – ওভার দা পিরিয়ড অফ টাইম, আর সেইটা চেইঞ্জেবলও, বেশিরভাগ সময়

কিনতু ফ্যাক্টগুলারে, ডকুমেন্টগুলারে এভেইলেবল রাখতে পারাটা সবসময় জরুরি একটা কাজ, এবং এইটা অনেক মানুশের অনেক দিনের কাজ; আমার সাজেশন হইতেছে কয়েকটা কেটাগরি’তে, কয়েকটা ফর্মে এই কাজটা করতে পারেন, যারা করতে চান:

তারিখ-অনুযায়ি, জায়গা-অনুযায়ি, পারসন-অনুযায়ি

ক্রাইম-এভিডেন্স, ডেথ-এভিডেন্স, ভায়োলেন্সের-এভিডেন্স

পুলিশের নথি, হসপিটালের নথি, সরকারি নথি

সোর্স-অনুযায়ি: পত্রিকা, টিভি, নিউজ-পোর্টাল
দেশি, বিদেশি
ইউটিউব, ফেইসবুক, টুইটার, টেলিগ্রাম, ব্লগ, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ…

কনটেনট-অনুযায়ি: নিউজ, এনালাইসিস, টক-শো…

তবে দায়িত্ব নিয়া একটা গ্রুপ যেইটা করতে পারে, সেইটা হইতেছে যেই হাজার খানেক মানুশরে খুন করা হইছে তাদের প্রত্যেকের উপরে আলাদা কইরা একটা ডকুমেন্ট, অডিও এবং ভিডিও বানানো…

মানে, করার মতো যা আছে, সেইটা অনেকে মিইলা করতে গেলেও মিনিমাম কয়েক বছরের একটা কাজ… তবে জিনিসগুলা ঝাপসা হয়া যাওয়ার আগে শুরু করতে পারাটা ভালো

বাংলাদেশে যে একটা গনহত্যা করা হইছে, এবং খুনি হাসিনা যে একজন ম্যাস-মার্ডারার – এই সত্যিটা এসটাবলিশ করতে পারাটা জরুরি

২.
ও, তো, গান-ছবি-গল্পও লেখা হবে; ব্রিটিশ-বিরোধি মুভমেন্টে, মুক্তিযুদ্ধের সময়েও অনেক ইনসপায়ারিং গান তৈরি হইছে, আল মাহমুদের ৬৯’র ছড়াটা আমার পছন্দের, আবদুল লতিফের “ওরা আমার মুখের কথা কাইড়া নিতে চায়…”

আর্ট বা লিটারেচারের কাজ যেমন ঠিকঠাক ডকুমেন্টেশন করা না, আবার ‘কালজয়ী’ হয়া উঠাও না, শেষমেশ সমাজের মানুশরে একটা ‘হোল-সাম’ ফিলিংস দেয়ার, একসাথে নিয়া আসারও একটা ঘটনা, এইভাবেও আর্ট তৈরি হইতে পারে, হয়…

আমার মনে কয়দিন ধইরা বাজতেছে শাহ আবদুল করিমের কথাগুলা (উনি আসলে যতটা বাউল, তার চাইতে অনেক বেশি বা অই দিক দিয়াই গনমানুশেরও কবি):

“শোষক তুমি হও হুঁশিয়ার, চলো এবার সাবধানে
তুমি যে রক্তশোষক-বিশ্বাসঘাতক, তোমারে অনেকে চিনে।।

এখন সবাই বুঝতে পারে চাবি ঘুরছে কোন পাকে
মধু হয় না বল্লার চাকে বাউল আবদুল করিম বলে।।”

নয়া বাকশাল হইতেছে বল্লার চাক, এই চক্র আর্ট-কালচারে আরো শক্তভাবে আছে, এই বল্লার চাক আমাদেরকে ভাঙতে হবে।

২.
সারাদেশে গ্রেফতার করা হইছে ১২ হাজার মানুশরে; ফেইসবুকে পোস্ট-টোস্ট দিয়া বেশি হইলে ২-৪শ লোকরে বাঁচাইতে পারবেন; যা ২%-এর বেশি না, ধরলাম ১০%-এর কথা-ই বলতে পারবেন, ৯০% পিপলের কথা জানতেও পারবো না আমরা

আরেকটা জিনিস খেয়াল কইরেন, যাদেরই নাম দেখতেছেন (বা আমি আমার নিউজ-ফিডে দেখতেছি) তারা কোন না কোন স্কুল-কলেজ-ভার্সিটির ইসটুডেনট, যারা ইনসটিটিউশনালি কিছু মানুশের লগে কানেকটেড, যাদেরকে কিছু মানুশ চিনেন; কিনতু যারা ছোট-খাট চাকরি করেন, বিজনেস করেন, ডেলিভারি-পারসন তাদেরকে চেনার এবং তাদের কথা জানার কোন উপায়-ই নাই!
আমি বলতেছি না এই যে চেষ্টাগুলা হইতেছে সেইটা ভালো না বা এনাফ না, বরং এইটা একটা ট্রেন্ডও এসটাবলিশ করতে পারবে যে, চাইলেই যে কাউরে আটকায়া রাখা যাবে না বা মামলা দিয়া হেনস্তা করা যাবে; কিনতু একটা লার্জ নাম্বার পিপলও যে এই নতুন সেইফটি-নেটের বাইরে থাকতেছে, অই আন্ডারস্ট্যান্ডিং’টাও জরুরি এইখানে…

যেইটা এই অবৈধ-সরকার যতদিন আছে ততদিনই কনটিনিউড হইতে থাকবে, আরো গোপনে এবং বড় একটা পরিসরে, ইন ফ্যাক্ট এখনই চলতেছে এইটা আমাদের চারপাশে

৩.
গনহত্যার আলামত সব একসাথে করেন! আন্তর্জাতিক আদালতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গনহত্যার দায়ে মামলা করেন! এই খুনির বিচার করতে হবে!

জুলাইয়ের গনহত্যার সাথে জড়িত সব পুলিশ-রেব-বিজিবি-আর্মিদের বিচার করতে হবে। যেন আর কেউ কোনদিন বাংলাদেশের মানুশের বুকে গুলি চালানোর কথা ভাবতে পারে।

ছাত্রলিগের টোকাই-মাস্তান যারা এই ম্যাসাকারে কোলাবরেট হিসাবে কাজ করছে, বন্দুক-চাপাতি নিয়া হামলা করছে স্টুডেন্টদেরকে, তাদের বিচারও করতে হবে!

এইটা হবে বাংলাদেশের ল’ইয়ারদের সবচে বড় কাজ।

৩.
প্রতিটা সময়ের, তারিখের বা মাসের একটা না বরং কয়েকটা সিগনিফিকেনস আছে; আগে পত্রিকাতে ছাপা হইতো ডেইট দিয়া যে, এই তারিখে কি কি ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটছে

যেমন ১০ই মহরম, কারবালার ট্রাজিক ঘটনাই ঘটে নাই, অনেক পজিটিভ ঘটনাও আছে, নবি ইব্রাহিম আগুন থিকা বাঁচছিলেন… আবার ধরেন, ১৪ই ফেব্রুয়ারি পহেলা ফাল্গুন বা ভ্যালেনসটাইন ডে-ই না, ১৯৮৩ সালের এই দিনে এরশাদ ছাত্রদের খুন করার ভিতর দিয়া তার অবৈধ ক্ষমতার ভিত তৈরি করছিল…

এই অগাস্ট মাসেও, ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশে মিলিটারি ক্যু-ই হয় নাই এবং একদলীয় বাকশালি শাসনেরও শেষ হয় নাই শুধু, ১৯৪৭ সালে আমরা আমাদের পয়লা স্বাধীনতাও পাইছিলাম পাকিস্তান হওয়ার ভিতর দিয়া; অইদিনের পাকিস্তান না হইলে আজকের বাংলাদেশে বাস করতে পারতাম না আমরা; এই মেটামরফসিস’টা যে জরুরি ছিল, সেই ইতিহাস’টা আমাদেরকে ভুলায়া দেয়া হয়, কিনতু সেইটা মনে রাখাটাও জরুরি

মানে, বাংলাদেশের শুরু ১৯৭১ সালে না, যে আগের ইতিহাস আমাদেরকে বাদ দিয়া দিতে হবে; বাংলাদেশের সিনেমা নিয়া লেখা বইটা আমি দেখাইছিলাম ঢাকায় বানানো উর্দু-সিনেমাগুলার নামই নেয়া হয় না, যেন অইগুলা ঘটে-ই নাই! কিনতু পাকিস্তান-আমলে যা যা ঘটছে এর কালচারাল ও হিস্ট্রিকাল ওনারশিপ তো আমাদেরও, আমরা আজকের বাংলাদেশের লোকজন যদি পাকিস্তানে জয়েন না করতাম পাকিস্তান একটা গ্রেটার ফেনোমেনা হয়া উঠতে পারতো না… সো, অইখানে আমাদের কনট্রিবিউশনগুলারে আমরা কেন নিব না!

একইভাবে ১৯৪৭ থিকাই বাংলাদেশের শুরু না, ব্রিটিশ-কলোনিয়াল পিরিয়ডেও যা ঘটছে, সেইখানে বাংলাদেশ আছে তো! আমাদের হিস্ট্রির দাবি ছাইড়া দেয়ার কোন মানে নাই!

বাংলাদেশের সবকিছু ১৯৭১ সালে শুরু হয় নাই, এর আগেও যে আমাদের হিস্ট্রি ও কালচারাল জায়গাগুলা আছে, অই ক্লেইমগুলা করতে পারাটা জরুরি, সবসময়…

শশী থারুর একবার ব্রিটেন বক্তৃতা দিতে গিয়া কইতেছিলেন বৃটেনের কাছে ইনডিয়ার অনেক কিছু পাওনা আছে, অ্যাজ ইফ পাকিস্তানের নাই, বাংলাদেশের নাই! ১৯৪৩’র জন্য বৃটেনের মাফ চাওয়া উচিত বাংলাদেশের কাছে, ইনডিয়া বা পাকিস্তানের কাছে না! তো, এই জায়গাগুলা খেয়াল করতে পারাটা দরকার…


অগাস্ট ০২, ২০২৪

১.
১. সরকার আরো আগুন লাগাবে। মেট্রোরেল, বিটিভি, সচিবালয়ে নিজেরাই আগুন লাগাইছে। এইরকম নিজেদের ঘরে, স্পেশালি যেইসব জায়গায় মিছিল-মিটিং হইতেছে তার আশে-পাশে নিজেদের লোকজন দিয়া আরো আগুন লাগাবে। নিজেদের জান-মালের খেয়াল রাখেন।

২. BAL নিজেদের পক্ষের দুই-একজন লোকরে খুন কইরা ব্লেইম ছাত্রদেরকে দিবে – এইরকম সন্দেহ যে অনেকে করতেছেন, সেইটা খুবই সম্ভব। গ্রামে জমি নিয়া ঝামেলা হইলে বা ঝগড়া-বিবাদের সময় নিজেদের পক্ষের লোক মাইরা বিপক্ষের দলের লোকের নামে মামলা দিয়া সবাই’রে বাড়ি ছাড়া করাটা বদমাইশদের ‘হাজার বছরের ঐতিহ্য’ ; BAL এতে ‘সিদ্ধহস্ত’। জামাতরে নিষিদ্ধ করাটা হইতেছে অই ব্যাকগ্রাইন্ড তৈরি করার ঘটনা, এর বেশি কিছু না। অই ভিলেজ-পলিটিকসও করবে এরা।

৩. নয়া বা**লের সবচে বড় রিজার্ভ ফোর্স হইতেছে ‘প্রগতিশীল লোকজন’। এরা মানুশ হিসাবে খারাপ – তা না, বরং বেশিরভাগ কেইসেই ‘ভদ্রলোক’ কিনতু এরা পলিটিকাল-বদমাইশ; ইবলিশের সৌল-পার্টনার! এদেরকে এলিমিনেট করতে পারবেন না আপনি, কিনতু সবসময় ডিসট্যান্স মেইনটেইন করতে পারতে হবে। এরা বন্ধু হয়া বুকে ছুড়ি বসায়া দিবে। এরাই এজিদ, এরাই সীমার। ‘প্রগতিশীলতার ভূতদের’ থিকা সাবধান!

২.
মোস্ট সার্টেনলি, আরেকটা গনহত্যার প্রিপারেশন চলতেছে! মানে, আমি কোন গুজবের জায়গা থিকা বা কোন অথেনটিক গোপন-খবর পাইয়া এই কথা বলতেছি না; একটা ধারনা থিকাই বলতেছি যে, এইটা করার চান্সই বেশি।

এবং এখনকার যেই মিস-ইনফরমেশন ও মিস-কমিউনিকেশন চলতেছে সেইটা হইতেছে সেই গনহত্যার পূর্ব-প্রস্তুতি, যাতে কইরা তার মোরাল-গ্রাউন্ড’টা তৈরি করা যায় যে – “এরা তো নাশকতার পরিকল্পনা করতেছিল”, “কিছু লোক না মারলে দেশের অনেক ক্ষতি হইয়া যাইতো”, এই টাইপের অজুহাতগুলার মিথ্যা-বেইজ তৈরি কইরা ভ্যালিডিটি দেয়ার জন্যই মেবি এই কাজগুলা করা হইতেছে; কারন অল্পকিছু চামচিকা ও তেলাপোকা ছাড়া আমরা সবাই জানি যে, এইগুলা কতোটা মিথ্যা! এইটা গনহত্যাকারী বালও জানে, কিনতু মিথ্যার চাইতে বড় জিনিস হইতেছে, ফিউচার ভ্যালিডেশন তৈরি করার টুল এইগুলা।

তো, জুলাইয়ের গনহত্যা যতটা অগোছালো-ভাবে করা হইছিল, এইবার সেইটা আরো অরগানাইজড ওয়েতে করা হবে বইলা আমি মনে করি। আরো কয়েক হাজার লোকরে আইডেনটিফাই কইরা বাসা থিকা ধইরা নিয়া গুম কইরা ফেলা হবে। কোন এভিডেন্স রাখা হবে না। কয়েকদিনের মধ্যে কিছু মানুশ হাওয়া হয়া যাবে। কিছু মানুশরে ইনডিয়াতে ‘খুঁজে’ পাওয়া যাবে। কিছু মানুশরে পরে ‘পালায়া যাওয়ার সুযোগ’ কইরা দেয়া হবে, ইউরোপ-আম্রিকাতে গিয়া উনারা ‘চুপ’ হয়া যাবেন বা মেন্টালি ডেড হয়া যাবেন। আর বেশিরভাগ মানুশের কোন হদিসই থাকবে না।

হাজার হাজার মানুশের নামে মামলা দেয়া হবে। সারা জীবনের জন্য ‘নরমাল লাইফে’ ফিরা আসতে পারবেন তারা। আর এর সবকিছু খালি পুলিশ-রেব-বিজিবি-আর্মি করবে না, লোকাল ‘রাজাকার বাহিনি’ দিয়া এই কাজ করা হবে, আর এর ভ্যালিডেশন দিবে ‘আলা-ভোলা’ ‘প্রগতিশীলরা’…

এইটাই ঘটবে – তা না, কিনতু এইরকম করার সম্ভাবনাটা খুব ভালো আছে বইলাই আমার কাছে মনেহয়; আপনার কি মনেহয়, আরেকটা ম্যাসাকার না কইরা, আরেকটা ‘মরন কামড়’ না দিয়া এই গনহত্যাকারী’রা আপনারে, আমারে ছাইড়া দিবে, যদি তারা সারভাইব করতে পারে?

তবে প্রকাশ্যে কিছু করার ক্ষমতা তাদের নাই, তারা আসবে গোপনে, বন্ধু’র বেশে; এমনকি গুম-খুন করার পরে আপনার জন্য পয়লা পুতুপুতু এলিজি বা শোকগাঁথা হয়তো অরা-ই লেইখা দিবে…

তো, আরেকটা গনহত্যা বা মার্স-মার্ডার ঠেকাইতে হইলে যেই গনহত্যা সংগঠিত হইছে বাংলাদেশে, জুলাই মাসে, তার বিচার চাইতে হবে! তার জন্য সবাইরে একসাথে দাঁড়াইতে হবে! তা নাইলে সামনের দিনে গনহত্যা সংগঠিত করার যেই প্রস্তুতি চলতেছে, তারে মোকাবেলা করাটা কঠিন হবে।

৩.
“জুলাই মাসের ৩৩ তারিখ
দুপুর বেলার অক্ত
বৃষ্টি নামে, বৃষ্টি কোথায়?
আবু সাঈদের রক্ত”

৪.
এখনো যারা নাম ধইরা হাসিনারে গনহত্যাকারী বলতে ‘ভয়’ পায় তারা আসলে ভয় পায় না, তারা হইতেছে সম্ভাব্য mole, গনহত্যাকারীদের সাইলেন্ট কোলাবরেটদের একসটেনডেট ভার্সনও হইতে পারে…

পরিস্থিতি পাল্টায়া গেলে তারা খালি গর্ত ঢুকে যাবে না, ‘প্রত্যক্ষদর্শী’ হিসাবে ‘দুকখের স্মৃতিকথা’ লেইখা এর একটা মাইল্ড-ভার্সন তৈরিতেও হেল্প করতে পারে…

বেপারটা এইরকম না যে, সবাই তা-ই করবে; কিনতু সাবধান থাকাটা ভালো… ক্রুশিয়াল মোমেন্টগুলাতে সন্দেহ করতে পারাটা বরং বেটার কিছুটা

৫.
গন-অভ্যুত্থান তখনই হয় যখন মানুশ রাস্তায় নাইমা আসতে আর ভয় পায় না…

৬.
আবারো গুলি চালানো হইতেছে! আরেকটা ম্যাসাকারের দিকে আগাইতেছে গনহত্যাকারীরা!

৭.
শহরের মোড়ে মোড়ে, প্রতিটা জেলা, থানা, গঞ্জে ও বাজারে বড় প্রজেক্টরে গনহত্যার ছবি ও ভিডিও দেখানোর বেবস্থা করতে পারেন… গনহত্যার ইতিহাস মুছে ফেলতে দেয়া যাবে না!


অগাস্ট ০৩, ২০২৪

১.
যারা ছিল নয়া বাকশালের কালচারাল এনেবেলার, তারা গনহত্যাকারীকে সেইফ এগজিট দেয়ার জন্য ‘সংহতি’ জানাইতেছে কিনা – এই সন্দেহ করতে পারাটা বেটার…

এখন যখন হাওয়া বদলাইতেছে তখন অনেকেই পাল তুইলা দিবে, কিনতু যারা সরাসরি নয়া বাকশালের ফ্যাসিবাদি রিজিমের পক্ষে কালচারাল বয়ানটারে তৈরি করছে, তারা যদি গনহত্যাকারীর বিচার না চাইয়া সংহতির নামে মায়া-কান্না করতে আসে, সেইটা একটা সফট-টোন ক্রিয়েট করার ঘটনাই হয়া উঠতে পারে, এই এক দফার সময়টাতে…

এই জন্য আগে দেখেন, কালকে থিকা কারা এক দফার কথা বলতে পারে; যারা ‘তবে’ ‘কিনতু’ ‘যদি’তে আটকায়া থাকে, বা সর্বাত্মক অসহযোগের কথা না বইলা, কান্দা-কাটি করার দিকে নিয়া যাইতে চায়, সেইটা আরেকটা ট্রাপ-ই হয়া উঠতে পারে অনেকটা

মানে, ক্রুশিয়াল মোমেন্ট’টারে কিছুটা ‘নরমালাইজ’ করার ঘটনাও যে হইতে পারে – এই চিন্তাটা মাথায় রাখাটা বেটার

২.
এই মুভমেন্টের কোন কনসার্ট হইলে তার নাম হইতে হবে – “কথা ক! আওয়াজ উঠা!”

এটলিস্ট ১০-১২টা নতুন গান বান্ধছে পোলাপাইনে, ওদেরকে পুলিশে ধরে, পালায়া থাকতে হয়! আর কনসার্ট করে জয়-বাংলা এবং কোক-স্টুডিও’র বাটপারগুলা! একটাও কি গনহত্যার কথা বলছে! খুনি হাসিনার নাম মুখে নিতে পারছে! যদি এক-দফার কথা মুখে না আনতে পারে, তাইলে কি জন্যে এই ভাওতা-বাজি করতেছে!

৩.
চিটাগাংয়ে কেন গুলি চালাইতে পারে নাই? উত্তরা’তে, খুলনা’তে কেন পারছে?

কারন চিটাগাংয়ে খালি স্টুডেন্টরা নামে নাই, সর্বস্তরের জনতা নামছিল রাস্তায়! এতো গুলি পুলিশের বন্দুকে নাই! উত্তরাতে, খুলনাতে শুধু স্টুডেন্টরা নামছিল, এই কারনে গুলি করার সাহস পাইছে ওরা। খুন করতে পারছে।

এইজন্য সবাইরে নামতে হবে! মিরপুর ডিওএইচএসে দেখলাম ছাত্রদের সাথে এলাকার মানুশ-জনও মিছিল করছেন। তো, একলা নাইমেন না, এলাকার মুরুব্বি, সিনিয়র, জুনিয়র, বাপ-মা, ভাই-বইন সবাইরে নিয়া, সবাই মিইলা রাস্তায় নামেন! হাজার খানেক মানুশ জড়ো না হইলে নাইমেন না! আর রাস্তায় না নামলে মুক্তি মিলবে না!

৪.
গনহত্যাকারী শেখ হাসিনার পতন না পর্যন্ত খুশি হওয়া যাবে না; যেই গুজবগুলা ছড়ানো হইতেছে যে, এ পালায়া গেছে, ও পালায়া গেছে, সেনাবাহিনি থিকা পদত্যাগ করতেছে – এইগুলা মোস্টলি মুভমেন্টরে ডিসট্রাক্ট করার, রিলাক্স করারও তরিকা, যে কিছু ‘সাফল্য’ তো পাওয়া গেছে, পাওয়া যাইতেছে…

তো, যতক্ষন না পর্যন্ত গনহত্যাকারী হাসিনার পতন হইতেছে ততক্ষন পর্যন্ত উল্লাস করার, সেলিব্রেট করার কোন উপায় নাই, বরং এইসব জিনিস ব্যাক-ফায়ার করবে আরো

এখনো উত্তরা’র দখল নেয়া যায় নাই, খুলনার অবস্থারও কোন উন্নতি হয় নাই; অনলাইনে বটগুলা এক্টিভ আছে, কালচারাল সফট-পাওয়ারগুলা মুভ করতেছে, ছাত্রলিগ গুলি করতেছে, পুলিশ, রেব, বিজিবি, আর্মিও রাস্তায় আছে, সো, কিছই এচিভ হয় নাই, বরং এরা নিজেদেরকে গোছাইতেছে আরো মরন কামড় দেয়ার জন্য! মনে রাখতে হবে, আনটিল দা লাস্ট ভিক্টরি দেয়ার ইজ নো ভিক্টরি!

৫.
সরকারি পঞ্জি স্কিম প্রত্যয় বাতিলের ঘোষনার মানে হইতেছে সরকারি কর্মচারিদেরকে ঘুষ দেয়া। আপনাদেরকে বলি, আর ঘুষ নিয়েন না! বোতদিন হাইয়ো, আর ন হাইয়ো!

৬.
১. পয়লা কথা এবং শেষ কথা হইতেছে, গনহত্যাকারী শেখ হাসিনারে যাইতে হবে! এইটা নিয়া কোন নেগোশিয়েন নাই! সাফ কথা! (যে এই কথা কইতে পারবে না তারে সন্দেহ করবেন।)

২. ছাত্র-জনতার সরকার চাই! মিলিটারি’র সরকার না! তাইলে সেইটা আবারো ১/১১’র সরকার হয়া উঠবে, বিজনেসম্যান আর এলিট-ক্লাসের ক্লাব-ঘর হবে সেইটা। প্রো-পিপল গর্ভমেন্ট হওয়ার কোন কারনই নাই!

বিএনপি’র একটা বড় অংশও এতে সার্পোট দিতে পারে; কিনতু আমি বলবো, আপনারা খালেদা জিয়ার কাছ থিকা শিখেন! অনেক সময় অনেক পরাজয়, বিজয়ের চাইতে বেশি সিগনিফিকেন্ট! অই সময় অবৈধ সরকারের সাথে হাত মিলান নাই বইলা, ১৯৮৬’র ইলেকশনে যান নাই বইলাই উনি আমাদের ইতিহাসের হিরো! মিডিয়া মিলিটারি ব্যবসায়িদের সরকাররে বৈধতা দিয়েন না। এইটা লং রানে বাজে জিনিস হবে।

ছাত্র-জনতার সরকার বানাইতে হবে সব শ্রেনি-পেশার প্রতিনিধিদের দিয়া, বাকশাল-বিরোধি সব দলের প্রতিনিধি থাকতে হবে।

৩. নতুন সরকারের মেয়াদ হবে ৩ মাস থিকা ৬ মাস। তাদের মেইন কাজ হবে দুইটা – এই গনহত্যার বিচারের বেবস্থা এবং ফ্রি-ফেয়ার ইলেকশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ডেমোক্রেটিক প্রসেস রি-স্টোর করা, যাতে কইরা বাকশালি ফ্যাসিজম আর কোনদিনই কোন ফর্মে ফিরা না আসতে পারে বাংলাদেশে।

৭.
সবাইরে কুরবানি দিয়া হইলেও ক্ষমতা ধইরা রাখবে হাসিনা। সারা বাংলাদেশের মানুশ খুন কইরা হইলেও ক্ষমতায় বইসা থাকবে হাসিনা। আজকের কুমিল্লা, সিলেট, ফরিদপুর, গাজীপুর-মাওনা, বগুড়া’র অবস্থা দেখেন! উত্তরাতে তো নামতেই দেয় নাই! খুনি হাসিনারে নামানো সহজ হবে না। আরো লাশ ফেলবে! আরো খুন করবে এই গনহত্যাকারী। যদি না আমরা সবাই একসাথে দাঁড়াইতে পারি। এই খুনির হাত থিকা কেউ রেহাই পাবো না।


অগাস্ট ০৪, ২০২৪

১.
তুমি কে? আমি কে?
আবু সাইদ! মুগ্ধ!

২.
আগামীকাল সোমবার – ঢাকা মার্চ
NO MORE HASINA

৩.
১. সেনাবাহিনির একটা অংশ (ইনডিয়ার গোলাম যারা) খুনি হাসিনারে বাঁচানোর জন্য গুলি করবে, মানুশ মারবে – এইটা ধইরা নিয়াই আগাইতে হবে!

২. সিভিল-ওয়ার বাঁধানোর জন্য খুনি হাসিনা সেনাবাহিনিকেও দুই ভাগে ভাগ কইরা ফেলতে চাইতেছে, মুখামুখি করাইতে চাইতেছে! যারা সেনাবাহিনি’তে আছেন, তারা এর মোকাবেলা করবেন!

৩. আমাদের, ছাত্র-জনতার কাজ হইতেছে গনহত্যাতারী, খুনি হাসিনারে ক্ষমতা থিকা নামানো! আর এই কাজ আমাদেরকে করতে হবে! সামনে যত বাঁধা-ই আসুক! নো মোর হাসিনা!

৪.
১. খুনিদের বন্দুকে এতো গুলি নাই, যত সাহস আছে ছাত্র-জনতার বুকের ভিতরে! খেয়াল কইরা দেখবেন, আজকে খুনিদের যারাই মারা গেছে বন্দুকের গুলি শেষ হইছে বইলা মাইর খায়া মরছে! অদের বন্দুকের গুলি শেষ হয়া আসতেছে, ছাত্র-জনতার সাহস বাড়তেছে! এখন আর মরতেছে না, মারতেছেও, কারন দেয়ালে পিঠ ঠেইকা গেলে আর কিছু করার থাকে না!

২. পাকিস্তান আর্মি সবচে বেশি মানুশ মারছিল ডিসেম্বর মাসে; এরশাদ অর্ধেকের বেশি খুন করছিল লাস্টের দুই সপ্তাহে; মোমবাতি নিইভা যাওয়ার আগেই দপ কইরা জ্বইলা উঠে! আওমি-লিগেরও নিইভা যাওয়ার টাইম হইছে, এই কারনে জেনোসাইড চালাইতেছে!

৩. এতোদিন খুনি ছিল শেখ হাসিনা। আজকের ম্যাসাকারে আওমি-লিগও ডুবলো। বাংলাদেশের মানুশ এই দলের কোন নাম-নিশানা আর রাখবে না! সবাইরে মাফ করা যায়, নিজের ছেলের খুনিরে মাফ করা যায় না! আজকের ম্যাসাকারের জন্য আওমি-লিগরে বাংলাদেশের মানুশ মাফ করবে না!

৪. বাংলাদেশের সেনাবাহিনি সবচে কাপুরুষের পরিচয় দিতেছে! তাদের এই লজ্জাজনক ইতিহাস তারা মুইছা ফেলতে পারবে না! তারা একজন গনহত্যাকারীকে প্রটেকশন দিতেছে! সেনাপ্রধান তার আত্মীয়তার সাথে বেইমানি করতে পারতেছেন না, কিনতু দেশের মানুশের সাথে বেইমানি করতে পারতেছেন! সেনাবাহিনির এই কাপুরুষতার কথা দেশের মানুশ ভুইলা যাবে না!

 

Series Navigation<< পলিটিকাল ডাইরি – ২০২৪ (এক)
The following two tabs change content below.
Avatar photo
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →