বিচারপতির স্কাইপি কনভারসেশন (২০১২) – পার্ট ২: বাবু হলো জেএসডি, আর ওই ঠাকুর হলো সিপিবি। আমরা আওয়ামী লীগ দিব। Featured
পার্ট ১
…
তাঁর নাম হইল সোনা জাহাঙ্গীর
২৭ আগস্ট ২০১২
.
নাসিম: হ্যালো
জিয়াউদ্দিন: হ্যালো
নাসিম: কেমন আছেন?
জিয়াউদ্দিন: আছি আছি। আমি তো বুজতেছি না। আপনাদের ওইখানে কী হইতেছে। এই লোক এই যে, নাম আসছে এই লোকটা কে আসলে?
নাসিম: জাহাঙ্গীর।
জিয়াউদ্দিন: এ কি আপনার মানে… অ্যা… অ্যা… অ্যা…। এটা আমার তো কোনো ধারণাই নেই এই লোক সম্পর্কে।
নাসিম: আমাদের চয়েসও না, আমার জানা মতে ল’মিনিস্টারের চয়েসও না। কিন্তু তার নাম আইসা চিফ জাস্টিসের রিকোমেন্ডেশন হইয়া গেছে। সে হলো জজকোর্টে ল’ইয়ার ছিল। জজকোর্টের লেবেল থেকে মনে হয় হইছে। কামরুল-টামরুল করছে আর কি। যা-ই হোক, মনে হচ্ছে আমার। জজকোর্টে ল’ইয়ার ছিল। আপনার অ্যা… স্মাগলিং কোর্টের পিপি আছিলে। তাঁর নাম হলো সোনা জাহাঙ্গীর।
জিয়াউদ্দিন: হেয়… হে য়ে, ও মাই গড! এইটা হইল কী কইরা!
নাসিম: হেডা আমি জানি না। আমার সঙ্গে ল’মিনিস্টারের যে কথা, তাতে আওনের কথা বাবু (বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস বাবু। বর্তমান সরকারের আমলে বিচারপতি হওয়ার দুই দিন আগে পর্যন্ত যিনি খুনের মামলার প্রধান আসামি ছিলেন) বা গোবিন্দ (বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর), ল’মিনিস্টার তাই বলছেন। কালকে চিফ জাস্টিসের লগে দেখা হইলো। কালকে উনি এমন কিছু বলেন নাই। এসব আলাপ করেন নাই। উনি বলছেন যে, আপনাদের খুব সুনাম আছে এবং বায়-টায় কোনো বদনাম নাই, এইটা মেইনটেন করতেছেন। এটা খুব ভালো। কোনো ধরনের বদনাম আপনাদের নাই। আইজকে দেখলাম যে নাম দিছে। এখন যাক, কী আর করার।
জিয়াউদ্দিন: এইটা তো… তার মানে একটা করাপ্ট মানুষকে দেওয়া হইছে?
নাসিম: অন্ততপক্ষে হি ওয়াজ করাপ্ট—এটা বলা যাইবে।
জিয়াউদ্দিন: আরে এইটা কি এমন একটা জিনিস যে, কালকে ছিলেন করাপ্ট, আজকে ভদ্রলোক হয়া গেলেন?
নাসিম: হা… হা… হা… হা…। যা-ই হোক, কী কমু আমি?
জিয়াউদ্দিন: এটা আরেকটা ভেজাল, আরেক ভেজাল লেগে যাবে আমাদের।
নাসিম: ভেজাল লাগবে না। কারণ তারে বলা হইছে… বলা হইছে যে, চেয়ারম্যান যা কইবে, তুমি খালি ইয়েস কবা। এমনে সে লেখাপড়া জানে। এইডা আমি বলমু, বুঝলেন।
জিয়াউদ্দিন: হু?
নাসিম: লেখাপড়া জানে?
জিয়াউদ্দিন: লেখাপড়া জানে মানে! কোন সেন্স থেকে? পড়ালেখা কী করেছেন উনি?
নাসিম: না… এমনে কেইস-টেইস…। ল’ইয়ার, ভালো ছেলে। অ্যা.. কোর্ট পারফরম্যান্সও ভালো ছিল। এগুলা ঠিক আছে কিন্তু।
জিয়াউদ্দিন: জুডিশিয়ারিতে ছিলেন এর আগে?
নাসিম : না না, ল’ইয়ার।
জিয়াউদ্দিন: ও আচ্ছা তার মানে, এ ইয়ের কোটায় আসছে আর কি।
নাসিম : কামরুল কোটায়। আমার ধারণা, হে কামরুল কোটায় আসছে।
জিয়াউদ্দিন: এটা কীভাবে সম্ভব হইতেছে? এটা কি প্রধানমন্ত্রী কিছুই জানেন না!
নাসিম: প্রধানমন্ত্রী তো আবার হেদের খুব পছন্দ করেন। সাহারা খাতুন… টাতুন এদের বুঝেন না!
জিয়াউদ্দিন: আপনি কি জানতেন? ও জহির সাহেব ইয়ে করতেছে। উনি কিছু বলছেন টলছেন আপনাকে?
নাসিম: না না না, উনি ফাস্ট হাফে আমার লগে কোর্ট করছেন। কোর্ট কইরা নামছেন নিচে। নামার পরে উনি পট কইরা দশ মিনিট পর ফোন কইরা বলল, স্যার, আমি একটু ইমারজেন্সি…। আমি আসতেছি, স্যার। এই কথা কইয়া চইলা গেল। তখন নাকি তারে ল’মিনিস্টার ডাকাইয়া সেক্রেটারিয়েট নিছে। সে আইসা আমারে বলে, ‘আই এম নো মোর ইয়োর মেম্বার’। আমি কই মানে! কী বলছেন আপনে? উনি বললেন, আপনি কোর্টে উঠেন…। আপনার লগে দেখা করে যাব। তবে আমি কোর্টে উঠবো না, উঠতে পারতেছি না আমি। শ্যাষে আমি কোর্টে উঠলাম। কোর্ট সাইরা চারডার সময় দেখা করল। তখন আমাকে বলল যে, এ রকম ডাকাইল… ডাকাই নিয়া বলল যে, রিজাইন করেন। রিজাইন করলাম… রিজাইন দিয়ে আসলাম। আর আজকে স্বীকার পাইছেন উনি যে, পরশু দিন রাতরে উনারে মন্ত্রী ডাকাইছিলেন বাসায়।
জিয়াউদ্দিন: আইনমন্ত্রী?
নাসিম: এবং বাসায় নিয়া বলতেছে…, আপনারে আমরা ই তে নিব। ল’ কমিশনে নিব। আপনি রিজাইন দেন। আজকে ডাকাই নিয়ে একেবারে রেজিগনেশন রাইকখা দেছে এককেরে।
জিয়াউদ্দিন: ল’কমিশন দিলে খারাপ না, এটা একদিক থেকে।
নাসিম: এইডা আমার সঙ্গে আলাপ করছে সে। বলছে ওইখানেই দেবে।
জিয়াউদ্দিন: সো এইটা আইনমন্ত্রী বলেছেন।
নাসিম: হু আমারে আইন মন্ত্রীই কইছে।
জিয়াউদ্দিন: এটা ঠিক আছে। হ ওইটা ঠিক আছে। ইট উইল বি গুড। অ্যাট সট অব ওয়ার্ক।
নাসিম : হু…ম,
জিয়াউদ্দিন: মানে উইথ হিস এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড এভরিথিং।
জিয়াউদ্দিন: উনি কি আপসেট হইছেন?
নাসিম: না-না-না। হইতে পারে মনের মধ্যে। উপরে কিন্তু খুব নরমালেই দেখলাম আমি।
জিয়াউদ্দিন: আচ্ছা, মানে বিডি নিউজ২৪.কম যেভাবে রিপোর্ট করছে, উনার ঢোকাটা নিয়ে…। উনার অ্যা… বিল্ডিং এই কোর্ট রুমের চারিদিকে তাকানো নিয়ে। যাওয়ার আগে একদম বিদায়ের…।
নাসিম: না, হে তো আমাদের লগেই নামল।
জিয়াউদ্দিন: একটা জিনিস পাঠাইছি দেইখেন। কংগ্রেস থেকে যে পত্রিকা বাইর হয়, সেই পত্রিকা ‘দ্য হিল’ ছিল নামে, আপনারে শেয়ার করছি।
নাসিম: হ .. আচ্ছা..।
জিয়াউদ্দিন: আচ্ছা, এইটা তো কী হইল তাইলে ফাইনালি গিয়া?
নাসিম: দেখি…ই।
জিয়াউদ্দিন: আপনার সাথে এমনি তার পরিচয় আছে কি?
নাসিম: হ্যাঁ আছে, ভালো পরিচয়ই আছে।
জিয়াউদ্দিন: রাজনীতির দিক থেকে কোন দিকের মানুষ সে?
নাসিম: আওয়ামী-আওয়ামী।
জিয়াউদ্দিন: মারছে, বেশি আওয়ামী লীগ হইয়া গেলে…।
নাসিম: আমার মনে হয় সেই রিডিং করছে যে, বাবু হলো জেএসডি, আর ওই ঠাকুর হলো সিপিবি। আমরা আওয়ামী লীগ দিব।
জিয়াউদ্দিন: মানে এইভাবে ভাগাভাগি কইরা করছে। কিন্তু এইটা… আমাদের আইনমন্ত্রীর তাইলে কিছুই করার থাকে না বোধহয় তাইলে না?
নাসিম: ওইডা আমি জানি না।
জিয়াউদ্দিন: আরে আমি তো ওই পর্যায়ে থাকলে আমি রিজাইন করতাম আর কি। তাইলে এইটা কি উনি সিগনেচার কি করছে? উনার কি… উনাকেই তো করতে হইব সাইন, নাকি না?
নাসিম: কোনডায়?
জিয়াউদ্দিন: এই যে…।
নাসিম: রেজিগনেশনে?
জিয়াউদ্দিন: না… না… না…। মানে হ্যাঁ, মন্ত্রীই তো ইয়ে করবে। মানে মন্ত্রীই তো প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠায়ে দেয়।
নাসিম: হ্যাঁ, রাইট রাইট।
জিয়াউদ্দিন: তাইলে উনারে বইলাইবা লাভ হইতাছে কী তাইলে? হোয়াট ইজ হি দেন? এইটা কোনো কথা হইল? এইখানে আমরা একটা হাই ইন্টিগ্রিটিওয়ালা মানুষের দরকার…! আর এইটা কি পাবলিকলি নোন ছিল? আপনি যেটা বলেন যে, যে মানে সোনা জাহাঙ্গীর নামটা?
নাসিম: তা সে পরিচিত। হাইকোর্টে এবং জজ কোর্টে সে সোনা জাহাঙ্গীর নামেই পরিচিত ছিল—লইয়ার হিসাবে।
জিয়াউদ্দিন: সো…, ওইটা বলতে চাইছেন যে, সে যেন কিসের কোর্টের বলেলন যে?
নাসিম: স্মাগলিং কোর্টের পিপি, স্মাগলিং…।
জিয়াউদ্দিন: ও স্মাগলিং আলাদা কোর্ট আছে নাকি? আচ্ছ আচ্ছা…।
জিয়াউদ্দিন: কত বছর আগের কথা? অনেক দিন আগের কথা, না কিনা ইদানীং এর ব্যাপার?
নাসিম: এই এডা মানে ৫-৭ বছর আগের কথা। ওই-ওই, ওই সময়ের আওয়ামী লীগ। এক সাল পর্যন্ত। মানে এর আগের…। এর আগেরবারের আওয়ামী লীগের সময়।
জিয়াউদ্দিন: আচ্ছা আচ্ছা! উনি দশ সালে দেখতেছি উনি জাজ হইছে।
নাসিম : হু…ম।
…
নাসিম : হেতে লাভ নাই। আমরা দুইজন শক্ত আছি। ওর কোনো কিছুতেই লাভ হইবে না। তবে ও লেখাপড়া জানে, এইডা ঠিক। ও যদি ঠিকমত চলে ও ভালো জজ হইবে।
জিয়াউদ্দিন: জাজ হিসাবে তার কি রকম? তার কোন ইভালুয়েশন আছে আপনাদের কাছে?
নাসিম : না।
জিয়াউদ্দিন: উনি কোন… কী ধরনের বেঞ্চে বসতেন এত দিন?
নাসিম : ক্রিমিনালি… ক্রিমিনালিই করছে এতদিন। মানিকের লগে বইছে। ভিন্ন জায়গায় বইছে-টইছে।
…
জিয়াউদ্দিন: মানে এখন যেটা বোঝার চেষ্টা করতেছি। এখন যেটা হইল ওইটারে ওস্তাদের ওপর উস্তাদিটা করলটা কে আর কি? এখন এই যে যারা আসলে পক্ষের মানুষ না। যারা আসলে জিনিসটাকে… করতাছে সব কিছু জেনুইন জিনিস না। কি, ভুল হইছে নাকি স্ট্র্যাটেজি হিসাবে? এটা তো সুপার ফাস্ট স্পিডে হইছে আরকি। এটা তো সন্দেহজনক স্পিডে হইছে এবং এইডা হইয়া গেল। তারপর একটা হলো যে আবার, এইটা পাবলিকলি জানিয়ে দিল। এটা তো হওয়া উচিত না আসলে। এখন দেখা যায় কি যে, প্রথম আলোতে নাম পড়তেছি আমি। প্রথম আলোকে জাহাঙ্গীর হোসেনের নাম বলছেন আইনমন্ত্রী।
নাসিম: কী লেখছে?
জিয়াউদ্দিন: মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক হিসাবে হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী শফিক আহমদ প্রথম আলো ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। আইনমন্ত্রী বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী এ নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন শেষে সেটি রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন। এখানে কিন্তু প্রতিমন্ত্রীর কোনো ব্যাপার নাই আর কি।
নাসিম: হু…ম,
জিয়াউদ্দিন: মালুম ভাইয়ের কাছে বুঝতে হইব আসলে কী হইল? এখন তো দেখা যায় পাবলিকলি আইনমন্ত্রী ওইটা আবার অন করতেছে।
নাসিম: হু।
জিয়াউদ্দিন: কী ব্যাপার? এই লোকের নাম তো কখনও আসে নাই।
নাসিম: হ্যাঁ, হ্যাঁ।
জিয়াউদ্দিন: নাকি এইটা আসলে একটা প্যাসি লোক হইয়া গেছে? ঠিক আছে তাহলে। আজকে তো সাকা চৌধুরীর উইটনেস হইছে তাহলে।
নাসিম: দুইজন হইছে, দুইজন।
জিয়াউদ্দিন: দুইজন হইয়া গেছে! আজকে একদিনেই।
…
স্টেট, বললেন যে রায়টা তাড়াতাড়ি দেন…… বিচারপতি
তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১২
নাসিম : হ্যাঁলো…।
জিয়াউদ্দিন: কেমন আছেন, কেমন?
নাসিম : আছি, ভালোই। আপনি কেমন আছেন?
জিয়াউদ্দিন: আছি-আছি, আচ্ছা আপনারে স্ট্রাকচারটা পাঠাইতে পারলাম না। আজকে আমি সারাদিনেই বাইরে ছিলাম।
নাসিম : দেরি হইল আসতে, কাজে ছিলেন মনে হয়।
জিয়াউদ্দিন: হ্যাঁ..।
নাসিম : আচ্ছা।
জিয়াউদ্দিন: আমি এখনই ঢুকছি আর কি।
নাসিম : আমাদের তো স্টেট মিনিস্টার যাচ্ছে হজে.., স্টেট … স্টেট।
জিয়াউদ্দিন: হ্যাঁ…।
নাসিম: আজকে আসছিল আমার লগে দেখা করতে সন্ধ্যায়। উনি বললেন যে, রায়টা তাড়াতাড়ি দেবেন। আমি কইলাম, কেমনে দিমু। রায় তো আর এক পৃষ্ঠার না…। আপনার ডিকটেট পাইলে পরে সময় পাইলে, এক মাস ধইরা রেডি করতাম। কয় কি যে, তাড়াতাড়ি চেষ্টা কইরেন। তা-ই কইল-টইল আর কি।
জিয়াউদ্দিন: আপনি বলছেন যে, এইটা কি হবে না? হবে বা কি হচ্ছে। মানে এই রায় সংক্রান্ত। এ ব্যাপারে…।
নাসিম: হ্যাঁ, এইডা বলছি। প্রবলেমটা কী হেইডা বলছি। হ্যাঁ…। গোলাম আযমডার দশ সাক্ষী। হের পর দুই ট্রাইব্যুনালের ম্যাটার-মুটার। কয় যে, আমি আইস্যা আপনাগো দুই ট্রাইব্যুনাল একত্রে স্যারের লগে এক রুমে বসাইয়া আলাপ করাব। গোলাম আযম আপনারা আগে দিবেন, তার পরে তারা দেবে-ওয়েট। আমি হাসলাম। বললাম, ঠিক আছে, ইউ ক্যান ট্রাই। আমি বললাম, দেখেন জাজরা কিন্তু অন্যের কথা শুনে না। এইটা জাজদের একটা ক্যারেক্টার এইডা। শুইনা হাসে, যাই হউক।
জিয়াউদ্দিন: ও আচ্ছা, ফিরবেন কবে উনি?
নাসিম : তা তো জানি না।
জিয়াউদ্দিন: ইউজিয়ালি তা বোধ হয়, এক-দুই সপ্তাহ পরে ফেরে…।
নাসিম: ঈদ তো ধরেন আগামী মাসের ফাস্ট উইক।
জিয়াউদ্দিন: আচ্ছা, ইউজিয়ালি হজের এই টোটাল প্রসেসটা কত দিনের? দুই সপ্তাহের নাকি না, আরো বেশি সময়ের?
নাসিম: হজ তো.. এমনে তো মানে আপনার দুই সপ্তাহের মতো লাগে। কিন্তু এহানে অনেকের তো থাকতে হয় একমাস-চল্লিশ দিন। ওই যে মদিনার বেশি নামাজ পড়ে। আবার মক্কায় বেশিই সময় থাকে।
জিয়াউদ্দিন: না মানে… ওইখানে কি এইটার কোনো কম্পালসারি এলিমেন্ট আছে? কি না, নাকি না…।
নাসিম: হ্যাঁ, কম্পালসরি এলিমেন্ট তো পাঁচ-সাত দিনের ব্যাপার।
জিয়াউদ্দিন: আচ্ছা, তারপরে বাকি যেগুলো, সেগুলো হচ্ছে অতিরিক্ত। যে যা করতে চায় আর কি।
নাসিম: হু-হু, কারন মদিনা তো হজের পার্ট না, মদিনা। কিন্তু মদিনা তো সবাই যাইবে।
জিয়াউদ্দিন: আচ্ছা, মদিনা হজের পার্ট না?
নাসিম: না।
জিয়াউদ্দিন: আচ্ছা! কিন্তু সবাই তো মদিনায় যাইতে চায়, মদিনা যাওয়া তো অলমোস্ট…।
নাসিম: স্বাভাবিক, স্বাভাবিক।
জিয়াউদ্দিন: মদিনা যাওয়া তাইলে কম্পালসারি না!
নাসিম: কম্পালসারির মতো হইয়া গেছে, কাস্টমস আর কি। কিন্তু হজের নিয়মের মধ্যে কোনো কম্পালসারি না। হজের নিয়ম হইল, আরাফাতের ময়দানে থাকা, মুজদালিফায় যাওয়া, আর ইট মারা— ব্যস, আর কোরবানি দেওয়া, শেষ। তিন-চারদিন।
জিয়াউদ্দিন: ঠিক আছে। অ্যাটলিস্ট মেসেজ তো তাইলে একটা গেছে। আজকে আমাদের তরফ থাইকাও আইনমন্ত্রীর কাছে, আজকে সকালে গেছে মেসেজটা বইলা আমি আশা করতেছি। এখনও কোনো কনফারমেশন পাইনি। বাট দ্যাট ইজ মাই এক্সপেক্টেশন
নাসিম: কী মেসেজ গেছে, কী মেসেজ?
জিয়াউদ্দিন: ওই একই। আপনি লাস্টের মেসেজ যেটা বলছেন আর কি। আমি আসব, এইটা জানানো হইছে। আর হচ্ছে যে, এই আর কি যে, আমাদের প্রেফারেন্সটা হচ্ছে বা আমরা চিন্তা করতেছি, আমাদের সাজেশনটা হচ্ছে যে, এইটা যেন, এই সিদ্ধান্তটা কোন কেসটা আগে যাবে। এইটা যেন একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের ভিত্তিতে করা হয়। এবং যেটা সবচেয়ে বেশি ইম্পোর্টেন্ট কেস, যার দায় দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি, যে লোক সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেই কেসটাকেই আগে ইয়ে করতে হবে। করা উচিত আমরা মনে করি। তারপর তো আমরা রেডি আছি…।
নাসিম : উনি একটা কথা বলছেন। একটা কথা অ্যাগ্রি করছে। যে, গোলাম আযম… দ্যাট ইজ সাঈদী, আর সাকা, এয়া তো ভিন্ন কেস। আর গোলাম আযমডা করলে তারপরে নিজামী, মুজাহিদ, কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান— এ সবেই করা যাইতে পরে। এইডা ফলো কইরা। প্রিন্সিপাল ঠিক কইরা দিয়া। এটা উনি এগ্রি করছেন। তার চেয়ে গোলাম আযম যদি একটু লেইটেও হয়, কিন্তু সাঈদী আর সাকা আগে হইলেও খুব বেশি অসুবিধা হবে না।
জিয়াউদ্দিন: হ্যাঁ, বাট সেইটা হইলেও তো আসলে তারপর হচ্ছে যে, ট্রাইব্যুনাল-ওয়ানকেই আসলে জাজমেন্টটা দিতে হবে— প্রথম জাজমেন্টটা।
নাসিম : হ্যাঁ এইটা।
জিয়াউদ্দিন: এইটা এদিক হউক, আর এই প্রিন্সিপলে আসলেও তো আমরা যদি ধরে নেই, এটা হলেও তো, আপনাদেরকেই দিতে হবে প্রথমে।
…
জিয়াউদ্দিন: আচ্ছা, আজকে আপনাদের কোনো খবর দেখতেছি না, পত্রিকাতে।
নাসিম: আমাগো যা, আজকে তো সারাদিন চলছেই। সাঈদীর ছেলে কাগজ জমা দেছে তাদের। তাদের ডকুমেন্ট জমা দেছে, এভিডেন্স। সারাদিন সেডাই চলছে।
জিয়াউদ্দিন: এটা কি তার চিপ হইতেছে… নাকি ক্রস হইতেছে?
নাসিম: চিপ-চিপ।
জিয়াউদ্দিন: (একটু কাশি) এইটা আবার আরেকটা ব্যাড কনসার্ন।
…
জিয়াউদ্দিন: সো, এখন অ্যাটলিস্ট আরশাফুজামান খান নিয়া আমাদের, মানে আমার চিন্তা হচ্ছে তিনটা পর্যায় আর কি। একটা হচ্ছে যে, বাংলাদেশে যেটা হওয়ার যে, যেটা হওয়ার সেটা যেন খুবই হাইকোয়ালিটি একটা (কাশি) ফরমাল চার্জ হয়। এবং চার্জটাকে সুন্দর করা যেটা কাজে লাগাতে পারে। সলিড একটা কিছু। বাট আমি জানি না এখন ইনভেস্টিগেশন কী করেছে বা কী করে নাই বা কী অবস্থায় আছে আর কি? সেকেন্ড হচ্ছে অ্যামেরিকা থেকে সম্ভাবনা আছে তাকে ফিরত নিয়া আসা। কারণ সে এমেরিকার নাগরিক। ইভেন এমেরিকান জুরিসডিকশনে কোন ডেথ প্যানালটি নিয়ে, কোনো প্রবলেম নাই আর কি।
নাসিম: হু…ম।
জিয়াউদ্দিন: সো… যেমন এই যে, মহিউদ্দিনকে, বঙ্গবন্ধুর কিলার মহিউদ্দিনকে যেরকম ইয়ে দিল এমেরিকানরা। ওদের ওই ধরনের প্রবলেমটা নেই। আর নাইন-ইলেভেনের পরই ইসলামিস্টদের উপরে আমেরিকানদের নজরদারি এবং তাদের ব্যাপারে তাদের কোনো খুব একটা বেশি কোনো, টান-টান নাই আর কি। সো… যেটা হতে পারে, সেটা হলো যে, সে সৌদি আরবে… নাও আসতে পারে। যেহেতু ব্যপারটা প্রকাশ হয়ে গেছে। এটা আমরা ধারণা করতেছি। না থাকলেও সে যেহেতু অ্যামেরিকান, সে যেখানেই থাকুক অ্যামেরিকান ‘ল’ এবং এমেরিকান ‘জুরিসডিকশন’ তার উপরে অ্যাপস্নাই করা যাবে আর কি। সেকেন্ড অপশঅনটা হচ্ছে বাংলাদেশে খুবই ভালো ভাবে করা। সেকেন্ড অপশনটা হচ্ছে যে, অ্যামেরকান গভর্নমেন্টকে এবং এমেরিকান পার্টিকুলারলি জাস্টিজ ডিপার্টমেন্টকে, এমেরিকাতে তো মানে আলাদা আলাদা ডিপার্টমেন্ট আর কি। জাস্টিজ ডিপার্টমেন্টগুলোকে যারা এই ধরনের ইনভেস্টিগেশন-স্পেশাল অফিস অব স্পেশাল ইনভেস্টিগেটর-ইনভেস্টিগেশন ও এফআই বলে। তাদের আলাদা অফিস আছে। যাদের কাজই হচ্ছে, ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার ক্রিমিনালদেরকে খুঁইজা বের করা, তদন্ত করা, ডিল করা, আসলে ইফেক্টিভলি। সেই অফিসের লোকেরা, এটা অলরেডি তারা জড়িত এটা সঙ্গে। তারা কিন্তু একটা চিঠি দিছিল, ওম… ওম… আমাদের এই সরকারের সময়েই আর কি। এবং ছোট হোম মিনিস্টার যে টুকু মিয়ার অফিসে গেছিল সেই চিঠি। এবং সেই চিঠি তারা মিডিয়াতে দিয়ে দিয়েছে। ফলে দে ওয়্যার ভেরি ভেরি আন হ্যাপি সরকারের সাথে।
তারা চাচ্ছিল যে, তাদের যেটা প্ল্যান ছিল, আরশাফুজামান খানের বিরুদ্ধে যেসব সাক্ষী, যে পাঁচ-সাতজন সাক্ষী বোধহয় তখন পর্যন্ত বেঁচে ছিল বা পাওয়া যাচ্ছিল। তাদের প্রস্তাব ছিল ওই চিঠিতে যে, ওই সাক্ষীদেরকে সাম হাউ কোনো অবস্থাতে যদি ইন্ডিয়াতে, ইভেন কলকাতাতে নিয়ে এসেও যদি তারা ইন্টারভিউ নিতে পারে আর কি।
এবং তারা যদি স্যাটিসফাইড থাকে, তাহলে তখন তারা আরশাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে প্রসিড করতে পারে। কিন্তু এই ধরনের চিঠিটা লিক হয় যায় আর কি, মিডিয়াতে। ফলে, তাদের এই ধরনের চিন্তা-ভাবনাগুলা সব, মানে বন্ধ হয়া গেছে। এখন আবার নতুন কইরা শুরু করা হইছে। হোপিং যে, একটা ভালো ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট হইছে। অথবা একটা চার্জ হবে আর কি। চার্জ হয়া গেলে তা জুডিশিয়াল ডকুমেন্ট হয়া গেল।
নাসিম: হ্যাঁ, তা তো বটেই।
জিয়াউদ্দিন: সো… ওই জন্য চার্জটাকে কোয়ালিটি করতে হবে। আর হলো যে…
নাসিম: চার্জ কোয়ালিটি করাতে হলে আমি তো আমার… শুনতে হয়তো খারাপ শুনাইবে। যে, দুই নাম্বর ট্রাইব্যুনালে গেলে চার্জ কোয়ালিটি হবে না।
জিয়াউদ্দিন: এখন এইটাকে কি পিছাইছে? আমি আজকে পর্যন্ত কোনো খবর রাখি নাই আর কি। মানে এটা এখনও পর্যন্ত ডিসাইড করে নাই তারা। তার মানে এখানে এইডা নিয়ে টানাটানি চলতেছে মনে হচ্ছে আমার। তার এইটা, এইটা তারেক ছাড়া অন্য কোনো প্রসিকিউটর পারবে না। দুই নম্বরে, এইডা আমি এখন বলতে পারতেছি না। এইটা চার্জ কোয়ালিটি করতে হবে। ফরমাল চার্জটা কোয়ালিটি করতে হবে। কারণ আমরা মইনুদ্দিনকে কিন্তু ইউকে থাইকা আনাতে পারব না। আনলেস অ্যান্ড আনটিল সরকার রিটেন গ্যারান্টি দেয় ব্রিটিশ গভার্নমেন্টকে যে, প্রসিকিউশন তার ডেথ পেনালটি সিক করবে না। এবং তাকে ডেথ পেনালটি ইম্পোজ করা হবে না। অর্থাত্ প্রসিকিউশনও চাইবে না। দেয়ার ফর ইম্পোজ করার প্রশ্ন নাই আর কি। মানে এই ধরনের রিটেন গ্যারান্টি দিতে হবে।
নাসিম: আর যদি জাজমেন্ট, মানে লাইফ। জাজমেন্টে লাইফ ইনপ্রিজনমেন্ট দেয়? ৫০ বছর, ৬০ বছর, ১০০ বছর?
জিয়াউদ্দিন: লাইফ ইনপ্রিজনমেন্টে অসুবিধা নাই। কিন্তু ওরা অ্যাজ এ পলিসি অ্যাজ এ পাবলিক পলিসি। ব্রিটিশ পাবলিক পলিসি হচ্ছে, ওরা যে দেশে ডেথ পেনালটি ‘ল’তে আছে, ইম্পোজ করা হয়, প্র্যাকটিস করা হয়, এবং আছে যে অভিযোগের চার্জ করা হচ্ছে বা যেসব অপরাধের কথা বলা আছে, সে অপরাধে ডেথ পেনালটি হতে পারে। এই ধরনের সম্ভাবনা থাকলেও তারা তাকে দিবে না।
নাসিম: না আমি বলছি যে তার অ্যাবসেনশিয়া ট্রায়াল হয়ে যাক। জাজমেন্ট হয়ে যাক। তখন দেহা গেল যে, ১০০ বছর জেল হইছে। তহন কি হইবে? দেবে না?
জিয়াউদ্দিন: তখন কোনো অসুবিধাই নাই।
নাসিম: তহন (তখন) দেবে না?
জিয়াউদ্দিন: তখন তারা, তখন তারা তাকে পাঠাইতে… তারা বলবে যে প্রসেসটা ফেয়ার হইছে কি না, আর কি।
নাসিম: হেয়া তো ভিন্ন কথা।
জিয়াউদ্দিন: ফেয়ার ট্রায়ালটা হইছে কি না?
নাসিম: হইলে ছাড়বে না?
জিয়াউদ্দিন: ফেয়ার ট্রায়াল হইলে… ফেয়ার ট্রায়ালটা হইলে ছাড়বে। অ্যাবসেনশিয়া হইলেই তারা ধরে নেয়, মানে ফেয়ার ট্রায়াল হয় না আর কি।
…
জিয়াউদ্দিন: তো, এখন এইটার সম্ভবনাটা কম। কিন্তু আরশাফুজ্জামান খানকে, এমেরিকাতে যেহেতু লিগ্যাল সিচুয়েশন ভালো। মানে পলিটিক্যাল সিচুয়েশন ভালো। তো… ফলে ডুয়েবল টাইপের। এই জিনিসটার ব্যাপারে আমাদেরকে ইয়ে করতে হবে। শক্তভাবে ধরতে হবে আর কি। এবং এইটা এমনিই করা যাবে। মানে এইটা তাদের ওখানেও ইয়ে করা যাবে। তারা যদি, ওখানে যদি কোনো অবস্থাতে যদি না পাঠানো হয়ও আর কি— তারাও প্রসিকিউট করতে পারবে। এবং ফাইনালি যেটা করতে হবে, মানে তিন নম্বর যে কাজটা আছে হাতে, সেইটা হলো যে, ওইটা অটোমেটিক হয়ে যাবে। জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট যদি নিয়ে নেয়, তার আমেরিকান সিটিজেনশিপটা রিজেক্ট করা হয় আর কি। যদি এমেরিকান সিটিজেন কেউ হয়। সে যদি কোনো আন্তর্জাতিক অপরাধের সাথে জড়িত হয়, বা জড়িত ছিল, এই ধরনের কোনো তথ্য যদি এই… এই সরকারের হাতে আসে, তা হলে সরকার তাকে ওই সিটিজেনশিপটা অ্যা.. করতে পারে। রিভোক করে দিতে পারে। সো আমরা চাইব, সেইটাও করতে আর কি। সো তিন নম্বর কাজ হইল সেইটা। ওইখানে এটা করা যাবে। এতদিন পর্যন্ত করা গেছিল যদি সরকার। আমরা তো আগে প্রথম শেখ হাসিনার সরকারের সময় তো চাইছি। সেই জিনিসটাই তো আমারা করছি। সেই জিনিসটাই তো আমরা চাইছিলাম। শেখ হাসিনা তো তখন বইলা দিল যে পরের সরকারের সময় আমলে আমরা বিচার করব। এখন করব না। এখন তুমি বাদ দেও। সো, এইটা তো হইল না আর কি। কারণ আমরা ওই তখন এই যে, এই যে, আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে প্রফেসার গিয়াসউদ্দিনের বোন যখন অভিযোগ করল আর কি থানাতে, রমনা থানাতে তো সেই কেসটার ইয়ে চাচ্ছিলাম আর কি। এভিডেন্স চাচ্ছিলাম আর কি। কিন্তু এইডা তো দিল না আর কি। এবং এইডা তো তখন কিছুই হয় নাই আর কি। ঘুমিয়ে পরে আছিল তখন থেকে। সো, এখন হচ্ছে অ্যা… অ্যা… এই কেসটাতে আমাদের সাকসেসের সম্ভাবনা অনেক বেশি আছে। এবং এইটা হবে। তাকে হয় এইখানে হাজির করা যাবে। ইভেনচুয়েলি ওর, যদি কোনো অবস্থাতে হাজির করা না-ও যায়, তার অ্যাবসেনসে অ্যাকশন নেওয়া যাবে। বাট অ্যাজ মইনুদ্দিনের ক্ষেত্রে আইএম নট ভেরি সিওর। সেই জন্য দুইটাকে ওরা যেইটা ইনভেস্টিগেশন থেকে বলা হয়েছে, যে, এই দুইডাকে একসাথে করা। একটা সিংগেল কেস করতে দুইজনের বিরুদ্ধে। এটা জয়েন্ট করবে।
নাসিম: এডা মনে হয় হবে না। এডা তারা ঠিক করবে, মনে হয় হবে না।
জিয়াউদ্দিন: এইটা আমি, এইটা আমার, এইটা আমি মনে করি যে, ঠিক হবে না আর কি। আর অ্যা…। আর এমনেই যদি বিশেষ কইরা ভাগাভাগি কইরা দিতে হয় ট্রাইব্যুনালকে। তাহলে তো আরো ঠিক হবে না। আপনারা কেন যে, দুইজনকে একসাথে একটা সিংগেল ইয়েতে চিঠি লিখেছে। আলাদা ভাবে না কি। এটা আমাকে জানানো হইছে। যে, চিফ প্রসিকিউটারকে তারা জানাইছে যে, এডা একটা, একটা কেস করবে। সো এইটা, এইটা হওয়া উচিত না আর কি। সো, তারপরও যদি দেখি না আসলে অ্যা..র ভেতরে কী আছে। এইটা তো কাজেই ওইটা নিয়ে একটু কাজ হচ্ছে। এবং এইটা আগে থাইকা আমরা কিছু কনটাক্টগুলা কইরা রাখা হইতেছে। সো, দ্যাট যেন সে এইটা ওই লোকের একটু বিপদ আছে। যেহেতু গভার্নমেন্ট এবং লিগ্যাল সিচুয়েশনটা একটু ডিফারেন্ট। আর ইউকেতে প্রসিকিউটিব অথোরিটি কিন্তু ইন্ডিপেডেন্ট একেবারে। আমেরিকাতে প্রসিকিউটিভ অথরিটি এত ইন্ডিপেন্ডেন্ট না। আর ওরা খুব অ্যাগ্রেসিভ এমেরিকানরা। সেইটা ডিপার্টমেন্ট না। অবশ্য কিন্তু জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট না। সো এটার এইটা-এইটা হলো মানে আজেকের, কালকে থেকে আজকের, মানে আজকে রাতের নতুন খবর এটা। ইট ইজ গোইং টু হ্যাপেন। এখন আমরা জানি না। সে আজকে দেখি যে, বোঝা যাবে যে, উনারা আজকে এটা ঠিক করার কথা। যে, কাকে দিতেছে। এইটা নিয়ে অনেক ইয়ে হইতেছে। মানে প্রসিকিউটারদের ভিতরেও তো একটু ইন্টারেস্ট আছে।
নাসিম: ও…আলতাফ চাইছে, এডা চাইছে। কি জানি আরেকটার নাম, হের পার্টনার? রহমান হাওলাদার চাইছে।
জিয়াউদ্দিন: সিমন চাইছে। তারা তখন ইংল্যান্ডে যাওয়ার কইব আর কি, এইডার জন্য। আমি আমেরিকা যাই আর ইংল্যান্ড যাই আর কি। আর এইটাতে অনেক টাকা-পয়সার ব্যাপার আছে। এইটা ওরা সবাই জানে। আর এটার দু নম্বর দিক তো, মানে আমাদের ইয়ের বাইরেই চলে যাবে।
নাসিম: আ…র খবর-টবর কী?
জিয়াউদ্দিন: না এটাই আজকের মেইন খবর ছিল।
নাসিম: আচ্ছা।
জিয়াউদ্দিন: তো ঠিক আছে তা হলে, রেস্ট নেন। ওকে।
নাসিম: ঠিক আছে। আল্লাহ ভরসা।
বাছবিচার
Latest posts by বাছবিচার (see all)
- বিচারপতির স্কাইপি কনভারসেশন (২০১২) – পার্ট ২: বাবু হলো জেএসডি, আর ওই ঠাকুর হলো সিপিবি। আমরা আওয়ামী লীগ দিব। - ডিসেম্বর 24, 2024
- তর্ক: “আসল কোরান কোথায়?” (১৮৯২) – মুনশি মোহাম্মদ মেহেরুল্লা ও পাদ্রী জমিরউদ্দিন - ডিসেম্বর 22, 2024
- বিচারপতির স্কাইপি কনভারসেশন (২০১২): পার্ট ১ – ‘গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়া, তারা একটা রায় চায়’ - ডিসেম্বর 9, 2024