Main menu

দুর্বল কোনো লোকের স্থান বাংলাদেশে বোধহয় এখন থেকে আর নাই – মুহাম্মদ আসাফ-উদ-দৌলা (২০১১)

[সম্ভবত ২০১১/২০১৩ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা প্রেসক্লাবে ‘সাংস্কৃতিক ঐক্য ফ্রন্ট’-এর কোন পোগরামে মুহাম্মদ আসাফ-উদ-দৌলা এই কথাগুলা বলছিলেন। সাল’টা কোন সোর্স থিকা কনফার্ম করতে পারি নাই আমরা। ইউটিউবে উনার ভাষণের ভিডিও’টা এখনো এভেইলেবল। বাছবিচারের জন্য এই ট্রান্সক্রিপ্টটা করে দিছেন হুসাইন হানিফ।]

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম

শ্রদ্ধেয় সভাপতি, আমি খুব কম জায়গায় আজকাল যাই। এবং কে সভাপতিত্ব করবেন এইসব না জেনে আমি কোথাও যাই না আজকাল। আমার ছোট ভাইয়ের মতো মাহমুদুর রহমান সভাপতিত্ব করবে জেনে আমি এসেছি। কেননা সম্প্রতি বিগত এক বছর আমি তাকে একজন সাহসী সৈনিকের ভূমিকায় দেখেছি। দুর্বল কোনো লোকের স্থান বাংলাদেশে বোধহয় এখন থেকে আর নাই।

আমি ১৯৪৭ সালে ফিরতে চাই। ’৪৭ সালের, আমার তারিখ মনে নাই, সেপ্টেম্বর মাস, সেন্ট্রাল ওয়ার্কিং কমিটি মিটিং অফ ইনডিয়ান নেশনাল কংগ্রেস, প্রিসাইডেড ওভার বাই জওহরলাল নেহেরু, বোম্বে। তার মধ্যে একটি লাইন এই লাইনটি আপনারা অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন, তার মধ্যে একজন প্রশ্ন করেছিলেন, এই যে পাকিস্তান হয়ে গেলো ইস্ট পাকিস্তান ওয়েস্ট পাকিস্তান, আমাদের এই ভারতমাতাকে ভেঙে ভাগ করা হলো কিভাবে এই জিনিস আমরা আমাদের ন্যাশনাল সাইকিতে এডজাস্ট করব?

তখন একটা রেজুলেশন এডাপ্ট করা হলো, এই রেজুলেশনটার ওয়ার্ডিং রান লাইক দিস – “উই হিয়ার বাই ডিসাইড টু একসেপট দা প্রেজেন্ট পার্টিশন ফর দা টাইম বিইং”; এই “ফর দা টাইম বিইং” শব্দটি আমি কোনো রাজনীতিবিদ কিংবা সাংসদের মুখে ৪৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এই সেনটেন্সটি দ্বিতীয়বার উক্তি করে মানুষকে জানিয়ে দেওয়া, এটা শুনি নি। এবং সেই লক্ষ্যে বিজেপিই থাকুক ক্ষমতায় কিংবা কংগ্রেসই থাকুক ক্ষমতায় আর ইন্ডিয়ার কম্যুনিস্ট পার্টির ক্ষমতায় থাকাও সেটা কোনো মুসলমানের জন্য কোনো সুসংবাদ না। কেননা আমি মনে করি কেননা আমি তাদের সময় বেড়ে উঠেছি, এখানে আমরা যারা উপস্থিত আছি, ডেফিনেটলি সাদেক ভাই, আমার চাইতেও বেশি একটু দেখেছেন; আমরা জানি আমরা কাদের সাথে লেখাপড়া করেছি, কাদের সাথে থেকেছি, কারা আমাদের প্রতিবেশি ছিল, সুতরাং ফর দা টাইম বিইং এর উপরে ভর করে একটা পরিকল্পনা, তাদের অনেক বুদ্ধি তাদের অনেক ধৈর্য, এবং তারা আমাদের মত এই পিয়াজ খাওয়া এই অস্থির জাতি দুদিন পাঁচ দিনের প্ল্যান করে তিন মাসের প্ল্যান করে তারপর আর মুসলমানের কিছু মনে থাকে না। গরম জাতি নাকি খুব। আমাকে আমার অংকের মাস্টার প্রফুল্ল বাবু বলতেন, অংক কী করবি তুই তো ১০০ পাবি না, ওই ৯৮ ৯৯ ই পাবি, তার কারণ তোরা গরুর গোশত খাস আর পিয়াজ আর রসুন খাস, তোরা হল গরম। তো গরম হলে নাকি গণিত হয় না। এইটা প্রমাণ করার জন্যই ২০০ তে ২০০ পেয়েছিলাম আমার প্রবেশিকা পরীক্ষায়। তো যাই হোক, এইভাবে মানুষ হয়েছি, এবং ক্লাসে প্রথম হয়ে কোনোদিন আমার রোল নাম্বার ১ হয় নাই। আমার রোল নাম্বার টু। আমি জীবনে প্রথম রোল নাম্বার ১ হযেছি ১৯৪৮ সালে। এবং আমার সাথে যে দ্বিতীয় হতো সে ইন্ডিয়ার ১৯৫৮ ব্যাচের অল ইন্ডিয়া আইএসে প্রথম। তার নাম তুষার কান্তি ঘোষ। ওয়েস্ট বেঙ্গলে চীফ সেক্রেটারি ছিল। তো, হি ইউজড টু হেভ রোল নাম্বার ১ এন্ড আই হেড রোল নাম্বার টু। এইভাবে আমার ১৯৪৩ ১৯৪৮ পর্যন্ত কেটেছে জিলা স্কুলে।

আমাদের সকলে যদি একটি জিনিস মনে রাখি সেই লক্ষ্যে একটি কাজ হচ্ছে, অবিরত ভাবে অবিরামভাবে ১৯৭১ ছিল তার একটি স্টেপ। এটা যদি বাংলাদেশের মানুষের প্রতিকৃতি হয়… আজকে আমি কয়েকটা কথা বলব যা আপনারা রেকর্ড করবেন, আমার বয়স যা হয়েছে, আর সময় টময় নেই, লিখে যেতে পারব না। যেগুলি আপনারা লিখবেন, কারণ আমি মিথ্যাচারণ করি না, আমি মিথ্যা কথা বলি না, আল্লাহ আমার সাক্ষী। সেই হিসাবেই আমি কয়েকটা কথা বলতে চাই। Continue reading

ইব্রাকর ঝিল্লীর ১২খান বাংলা কবিতা (বানান ইগনোর কইরেন পিলিজ)

সন্ধাতারা

অপরদিন একটা কথা কানের ভেতর ঢুকে গেছিলো।
সন্ধা নামার পরে কোমল হাওয়ায় ভেসে আসছিলো।
‘এখানে দাড়ায়ে তুমি যা ভাবো
তা অনেক আগেই ডুবে গেছে।’
স্নেহের গোপন তারায় সকল অস্তিত্বের ভার।
‘সামথিং ইজ রঙ ইন ইওর স্টার।’
তবু দাড়ায়ে থাকি কিছু একটা ঘটবে বইলা
সকল ভাগ্য ব্যর্থ কইরা।
‘ঘটবে না। তুমি বরং শুইয়া পড়ো।
নদিতে আচর কাটার ফাদে পইরো না!’
দেহ থেকে খসে পরতেছে নরম চাদর।
দূরে দুইটা তিমি মাছ, আপন ভাইবোন,
একটা আরেকটার সাথে অনর্গল ক্লিক আদানপ্রদান করতেছে।
‘এই নদিতে আমরা সবাই তিমি;
প্রকৃত মাছ নই।
উৎসাহহীন শাশ নিতে দিতে হবে লাফ।’
ভুলে গেছি নিজের সহজ ভাশা।
একজন পাশে বসে জানাইলো—
বুঝেনাই আমার কথা।
আমার চোখ তুইলা উপরে তাকানো,
রেলিঙে হেলান দিয়া বসা,
কাইত হইয়া শুইয়া থাকা,
খুব ধিরে ও জোরে শাশ গ্রহণ ও বর্জন করা,
এগুলা সবই কথা।
‘বুঝিনাই তোমার কথা।
তুমি এইরকম গাছের মত কথা বলো কেন?
কি হইছে তোমার বাল!’
কিছুই যে হচ্ছে না কখনো
সন্ধার নরোম হাওয়ায় সেই আফসোস হয় আমার।

 

সাইরেন কোথা হতে আসে

এক দূর হইতে যে এম্বুলেন্স আসে
আর আমারে রাইখাই চইলা যায় অন্য দূরে
আমি সেই এম্বুলেন্সের সাইরেন
মুখুস্ত করি বসে বসে।

দুইটা দূরের মনে আমি একটা ব্যথার উপমা হইয়া
বাসেদের গান শুনি।

প্রতিদিন একটা বিছানো কার্পেট গুটায়ে নেয়ার মত
রাস্তা শেষ করে ঘরে ফিরি।
আমার নিরবতার ঘরে একলা
সিজোফ্রেনিক সাইরেন চর্চা করি।

 

সন্ধা বেলার সন্ধা

বহু দিন আগে একটা মৃত সন্তানের পেট থেকে বের হইলো একটি মা।
সেই মা দুপুর বেলার দুপুর, সন্ধা বেলার সন্ধা।

কেন মানুশের আনন্দ হয়?
কেন মানুশ উৎফুল্ল?
মানুশের ছানারা এই সব প্রশ্ন শুইনা সিক ফিল করে।
মানুশের মায়েরা তাদের মাথায় পানি ঢাইলা দেয়।
সন্ধার আলোরা ঘটা কইরা বিদায় নেয়।
ক্রোম কালারের উঠানে মহাজগৎ জাইগা ওঠে।
কখন যে গ্রাস করে রাত্রি বেলার রাত্রি!
পালা কইরা পাহারা দেয় সবুজ পিতৃতন্ত্র।

গাছেদের আলাদা মন আছে।
তারা সেইটা লুকায় রাখে তাদের নুতনতম পাতায়।
যদি শুক্কুরবারের আগে কোন মিরাকল ঘটে
তাইলে মায়ের সাথেই মরা হবে বেকুল সন্তানের।
যে কোন একাকি শিশু,
সহমরণ পাইতে যিনি ব্যর্থ হলেন মাতৃ মরণে,
ফি বছর গাছের কোলে মরণ হবে চারা গাছের,
ঘাসের কোলে মরণ হবে ফড়িং মায়ের।
গাছের নুতনতম পাতায়-
হেডলাইনে লেখা হবে নুতনতম মৃত্যু। ফি বছর।

Continue reading

সাহিত্য এবং আর্টে কিছু ভড়ং, কিছু মহৎ এটিচিওড ঢুকে গেছে, যেগুলা ডেনজারাস – চেসোয়াফ মিয়শ

This entry is part 26 of 28 in the series ইন্টারভিউ সিরিজ

চেসোয়াফ মিয়শের ইন্টারভিউ তরজমা করবার ইচ্ছা আমার হইছিলো মেইনলি এই কারনে যে, কবি হিশাবে উনি একজন ইন্টারেস্টিং কেইস। তার জীবন এবং আইডেন্টিটি নানারকম কন্ট্রাডিকশন ও কনফ্লিক্টে ভরা। আর এই সমস্ত কনট্রাডিকশনের ফলে, এবং একটা নিদৃষ্ট আইডেন্টিটির অভাবে, উনি একভাবে রিলেট করতে পারছেন মডার্ন এইজে মানুশের ওভারঅল সিচুয়েশনের সাথেই। এই সমস্ত কনট্রাডিকশন এবং নিদৃষ্ট একটা পজিশনে দাড়াইতে না পারা, নিদৃষ্ট একটা পলিটিকাল পজিশনের ওপর ফেইথ রাখতে না পারা – এইগুলা ওনারে নিয়ে গেছে “দা রিয়েল” এর খোজে। যাকে আপনি খোদাও বলতে পারেন। এবং মিয়শ’কে আপনি মডার্ন এইজের লালন ফকিরও বলতে পারেন। লালন ফকিরও যেমন হিন্দু বা মুসলিম বা জাতপাতের কোনো আইডেন্টিটির ওপরেই নিজেকে বসাইতে পারেন নাই, বরং ট্রান্সেন্ড করছেন সবকিছুর মধ্যে, “দা রিয়েল” এর খোঁজ করছেন, বুঝতে পারছেন যে বাড়ির পাশের আরশি নগরেই সে থাকে, কিন্তু একদিনও তারে দেখতে পান না, মিয়শ-ও তার জীবনে লিথুয়েনিয়ান, পোলিশ, ফ্রেঞ্চ, আমেরিকান, ইস্ট ইয়োরোপিয়ান, ওয়েস্টার্ন, কমিউনিস্ট, লিবারেল কোনোটাই পুরাপুরি হইতে পারেন নাই, আর তিনিও একজন মিস্টিক সাধুর মতো এক ধরনের স্পিরিচুয়ালিটির খোঁজ করছেন, “সায়েন্টিফিক মোড অফ থিংকিং”-কে অপছন্দ করছেন, কবিতাকে মনে করছেন রিয়েলিটি’কে এক্সপ্রেস করার মিডিয়াম – যেটা করার জন্য তিনি ইস্ট এবং ওয়েস্ট এ দুই দুনিয়ার কবিতা থেকেই এলিমেন্ট নিছেন, এবং একইসাথে ইন্ডিভিজুয়াল হইতে চাইছেন আর ইন্ডিভিজুয়ালিটি’কে ডিমিন-ও করতে চাইছেন, এবং নানাভাবে পেসিমিজমের সাথে ডিল করে গেছেন, আর শেষমেশ উনিও বাড়ির পাশের আরশি নগরের পড়শী’কে কখনো দেখতে পান নাই।   

চেসোয়াফ মিয়শের জন্ম ১৯১১ সালের লিথুয়েনিয়া’য়, যেটা তখন ছিলো রাশিয়ান এম্পায়ারের আন্ডারে। কিন্তু এথনিকালি তারা লিথুয়েনিয়ান-ও ছিলেন না। তারা ছিলেন পোলিশ, এবং পোলিশ ভাষায় কথা বলতেন। ছোটবেলা থেকে দাদার লাইব্রেরি থেকে বই পড়তে পড়তে তার ইমাজিনেশন তৈরি হয়। বর্তমান লিথুয়েনিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াস তখন একটা প্রোভিনশিয়াল টাউন, এবং এখানে নানা জাতি, নানা ভাষা, খ্রিষ্টিয়ানিটির নানা শাখার মধ্যে উনি বড় হইছেন, পড়ালেখা করছেন। উনি একইসাথে ফেসিনেটেড হইছেন ডারউইনের থিওরি দিয়ে, আবার উনি ক্যাথলিসিজম’কেও আপন করে নিছেন। আর, আরো পরে যখন আইনস্টাইন তার থিওরি অফ রিলেটিভিটি পেশ করেন, তখন মিয়শ আপ্লুত হন এই ভেবে যে এর মধ্যে দিয়ে সায়েন্স আর স্পিরিচুয়ালিটির একটা কমন গ্রাউন্ড তৈরি হবে। 

একটা পর্যায়ে রাশিয়াতে বিপ্লবের মাধ্যমে জারের পতন হয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন জন্ম লাভ করে। এরপর নানা কনফ্লিক্টের পরিপ্রেক্ষিতে এক পর্যায়ে ভিলনিয়াস ছেড়ে মিয়শ’কে পোল্যান্ডের ওয়ারস’তে [Warsaw] পালায়ে আসতে হয়, যেটা তখন নাৎজি’দের দখলে। ওখানে উনি যোগ দেন সোশালিস্ট রেজিস্টেন্সে। আর, যুদ্ধের পর উনি পোলিশ কমিউনিস্ট রেজিমের কালচারাল এটাচে হিশাবে কাজ করেন। এই সময় ওনার ভেতরে নিজের সাথে নিজের যে বাহাশ চলতেছিলো, সেটা টের পাওয়া যায় ওনার বিখ্যাত নন-ফিকশন বই “দা ক্যাপটিভ মাইন্ড”-এ। একইসাথে কবিতার বইও বের হইতে থাকে ওনার। 

একটা পর্যায়ে উনি পোলিশ কমিউনিস্ট রেজিমের সাথে সম্পর্ক ভেঙে প্যারিসে চলে আসেন। আর এখানে উনি এমন এক সাহিত্যিক-দার্শনিক-ইন্টেলেকচুয়াল সিন্ডিকেটের মুখোমুখি হন, যারা কমিউনিজমের প্রেমে হাবুডুবু খাইতেছেন। কমিউনিজম’কে ত্যাগ করে আসা লোক হিশাবে ওখানে ওনার পজিশন বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। জীবন ভর এইরকম নানা কনফ্লিক্টেই উনি কাটাইছেন। আর আমেরিকায় চলে যাবার পর এবং ওখানে ইউনিভার্সিটি’র টিচার হিশাবে জীবন শুরু করার পর ওনার যেই কনফ্লিক্ট বড় হয়ে দেখা দেয় সেটা হইতেছে উনি তো পোলিশ ভাষার কবি। পোলিশ ভাষার খুবেকটা পাঠক আমেরিকায় ছিলো না। আর পোল্যান্ডে ওনার বই ছিলো নিষিদ্ধ। চোরাই পথে যাইতো বটে, কিন্তু পাঠকের সাথে ইন্টারেকশনের কোনো উপায় ছিলো না। 

বিশ শতকের যাবতীয় মিলিটারি কনফ্লিক্ট এবং ফিলোসফিকাল কনফ্লিক্ট ওনার জীবনের বাস্তবতা’কে শেইপ করছে, আর উনি কবিতায় এইগুলাকে ডিল করছেন। পার্সোনাল ক্রাইসিস থেকে উপরে উঠে এক ধরনের হিউমেন এবং গ্লোবাল ক্রাইসিসের জায়গা থেকে লেখার চেষ্টা করছেন। এই ইন্টারভিউ থেকে কবিতা’কে উনি কিভাবে ডিফাইন করেন এবং কোন জিনিশ’টাকে কবিতার পারপাস মনে করেন – এইগুলার ভালো আইডিয়া পাওয়া যায়। কবিতা লেখার ব্যাপার’টাকে উনি স্পন্টেনিয়াস প্রোসেস মনে করেন নাই, বরং কবিকে চুজিং করতে হবে। কবির সব কথা, সব এক্সপেরিয়েন্স, সব ফিলিং, যা কিছু কবির কাছে ইন্টারেস্টিং – তার সবকিছুই যে রিডারের কাছেও ইন্টারেস্টিং হবে তা তো না। তবে মিয়শ এটাও মনে করেন নাই যে, শুধু রিডারের জন্যই কবিতা’টা লেখা হইতেছে। বরং মিয়শ বলেন যে, উনি একটা অল্টার ইগো’কে ভেবে তার জন্য লিখতেছেন। এবং উনি লিখতে চাইতেছেন যেটা “প্রোপার”, কিন্তু কাব্যিক। আর ওইটা খুব বেশি “রিয়েলিস্টিক” হবে না, তবে ওইটা হবে ট্রুথ, “দা রিয়েল”।  Continue reading

আমাদের ভাষাসমস্যা – মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ (১৯১৭)

This entry is part 7 of 22 in the series লেখার ভাষা

[১৩২৪ সালে বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সম্মিলনীর দ্বিতীয় অধিবেশনের সভাপতি হিসাবে কলকাতায় দেয়া ভাষণ।]

আমরা বঙ্গদেশবাসী। আমাদের কথাবার্তার, ভয়-ভালবাসার, চিন্তা-কল্পনার ভাষা বাংলা। তাই আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। দুঃখের বিষয়, জ্যামিতির স্বতঃসিদ্ধের ন্যায় এই সোজা কথাটীকেও আমাদের মধ্যে এক সম্প্রদায়কে বুঝাইয়া দিলেও তাঁহারা জোর করিয়া বুঝিতে চাহেন না। তাই মধ্যে মধ্যে আমাদের মাতৃভাষা কি কিংবা কি হইবে, তাহার আলোচনা সাময়িক পত্রিকাদিতে দেখিতে পাওয়া যায়। হা আমাদের সূক্ষ্ম বুদ্ধি।

মাতৃভাষা ব্যতীত আর কোন ভাষা কানের ভিতর দিয়া মরমে পশিয়া পরাণ আকুল করে? মাতৃভাষা ব্যতীত আর কোন ভাষার ধ্বনির জন্য প্রবাসীর কান পিয়াসী থাকে? মাতৃভাষা ব্যতীত আর কোন ভাষায় কল্পনা-সুন্দরী তাহার মনমজান ভাবের ছবি আঁকে? কাহার হৃদয় এত পাষাণ যে মাতৃভাষার অনুরাগ তাহাতে জাগে না? পৃথিবীর ইতিহাস আলোচনা করিয়া দেখ মাতৃভাষার উন্নতি ব্যতীত কোনও জাতি কখনও কি বড় হইতে পারিয়াছে? আরব পারস্যকে জয় করিয়াছিল। পারস্য আরবের ধর্ম্মের নিকট মাথা নীচু করিয়াছিল, কিন্তু আরবের ভাষা লয় নাই; শুধু লইয়াছিল তাহার ধর্মভাব আর কতকগুলি শব্দ। তাই আনোয়ারী, ফারদৌসী, সাদী, হাফিয, নিযামী, জামী, সানাই, রূমী প্রমুখ কবি ও সাধক-বুলবুল কুলের কলতানে আজ ঈরানের কুঞ্জ-কানন মুখরিত। যে দিন ওয়াইক্লিফ লাটিন ছাড়িয়া ইংরেজী ভাষায় বাইবেলের অনুবাদ করিলেন, সেই দিন ইংরেজের ভাগ্যলক্ষ্মী সুপ্রসন্ন হইল। যতদিন পর্য্যন্ত জৰ্ম্মানিতে জম্মান ভাষা অসভ্য ভাষা বলিয়া পরিগণিত ছিল, তত দিন পর্য্যন্ত জর্ম্মানির জাতীয় জীবনের বিকাশ হয় নাই। বেশী দূর যাইতে হইবে না। আমাদেরই প্রতিবেশী আমাদের হিন্দুস্থানী মুসলমান ভাইগণ সংখ্যায় এত অল্প হইয়াও এত উন্নত কেন? আর আমরা সংখ্যায় এত বেশী হইয়াও এত অবনত কেন? ইহার একমাত্র কারণ তাঁহারা মাতৃভাষার প্রতি অনুরক্ত আর আমরা মাতৃভাষার প্রতি বিরক্ত। হিন্দুস্থানী আলিমগণ উর্দুভাষায় কুরআন শরীফের অনুবাদ এবং তফসীর, ফিক্হ, হদীস, তসউউফ, ইতিহাস, দর্শন, বিজ্ঞান, ভ্রমণ-বৃত্তান্ত, কাব্য, উপন্যাস প্রভৃতি বিষয়ে বহু মৌলিক গ্রন্থ রচনা করিয়া কিংবা এতদ্বিষয়ক আরবী, পারসী ও ইংরাজি প্রভৃতি ভাষার গ্রন্থের অনুবাদ প্রকাশ করিয়া উর্দু ভাষায় সর্বাঙ্গসুন্দর ইসলামী সাহিত্যের সৃষ্টি করিয়াছেন। কিন্তু দুই চার জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ব্যতীত আমাদের মৌলভী মৌলানাগণ বঙ্গ ভাষায় গ্রন্থ রচনা করা দূরে থাকুক বঙ্গভাষা কাফেরী ভাষা, তাহাতে ধর্মগ্রন্থের অনুবাদ করিলে ধর্মগ্রন্থের অমর্য্যাদা করা হয় ইত্যাদি রূপ প্রলাপ উক্তি করিতে ছাড়েন না। বিশুদ্ধরূপে বাংলা বলা বা লেখা তাঁহারা নিন্দাজনক মনে করেন। ফলে তাঁহাদের ধর্ম্মবিষয়ক বক্তৃতা শুনিয়া সামান্য বাংলা-জানা শ্রোতারা পর্য্যন্ত হাসিবে কি কাঁদিবে, তাহা ঠিক করিতে পারে না। তাঁহাদের বাংলা ভাষায় যেমন দখল, উদ্ধৃতিও তেমন। স্কুলের ন্যায় যে পর্য্যন্ত বাংলার মাদ্রাসাতেও বাংলা ভাষা অবশ্যপাঠ্য দেশীয় ভাষারূপে স্থান না পাইবে, সে পর্য্যন্ত আমাদের এ দুরবস্থা ঘুচিবে না। যে পর্য্যন্ত আরবী-পারসী-জানা মুসলমান লেখক বাংলা ভাষার সেবায় কলম না ধরিবেন, সে পর্য্যন্ত কিছুতেই বঙ্গীয়-মুসলমান-সাহিত্য গঠিত হইবে না। সে দিন অতি নিকট, যে দিন বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ভাষার স্থান অধিকার করিবে। বিদেশীয় ভাষার সাহায্যে জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চ্চার ঘতন সৃষ্টিছাড়া প্রথা কখনও টিকিতে পারে না। Continue reading

বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষ – অমর্ত্য সেন (পার্ট ১)

অনুবাদকের ভূমিকা

১.
নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেনের গবেষণার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র দুর্ভিক্ষ ও দারিদ্র। আমার মতে, পিটার টামাস বাউয়ারের কাজকর্ম বাদ দিলে, তৃতীয় বিশ্বের গরিব দেশের জন্য সবচাইতে প্রাসঙ্গিক ও দরকারি অর্থনৈতিক গবেষণা করছেন অমর্ত্য সেন। সেই গবেষণার বড় অংশ আছে বিখ্যাত বই পভার্টি এন্ড ফ্যামিন-এ, বইয়ের নবম অধ্যায় এইটা।

নবম অধ্যায় অর্থাৎ বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষ আসলে একটা কেইস-স্টাডি। ৭৪ এর দুর্ভিক্ষের সাথে বন্যারে সম্পর্কিত বলা হয়। অফিশিয়াল হিসাবমতে মারা গেছেন ২৬০০০ মানুষ। বাস্তবে সংখ্যাটা ছিলো অনেকানেক বেশি। দুর্ভিক্ষের কারণ হিসাবে দায়ী করা হইছে এভেইলেবল খাদ্য ঘাটতিরে (ফ্যাড)। যদিও কম খাদ্য আমদানি ও গভমেন্টের অল্প খাদ্য মজুত রিলিফ ওয়ার্করে সীমিত করে দিছে, সেন দেখাইছেন, এই ফ্যাড এপ্রোচ আসলে তেমন কিছুই ব্যাখ্যা করে না। পেশাগত স্টেটাস আর নিঃস্বতার তীব্রতার বিশ্লেষণ দেখাইছে দুর্ভিক্ষের শিকার সবচাইতে বড় গ্রুপটা ছিলো লেবার। লেবারদের এক্সচেঞ্জ এন্টাইটেলমেন্ট বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা হইছ। সেন এই সিদ্ধান্তে আসছেন যে দুর্ভিক্ষ ব্যাখ্যায় ও বোঝাবুঝিতে এক্সচেঞ্জ এন্টাইটেলমেন্ট এপ্রোচ আরও ভালো কাজ করে।

মোটাদাগে এই হইলো বিষয়বস্তু। কিন্তু অমর্ত্য বাবুর গবেষণার আসল মজা ও প্রজ্ঞার জায়গাটা চিকনদাগের ডিটেইলে ও আর্গুমেন্টে। বইয়ে খালি দুর্ভিক্ষের কারণ অনুসন্ধান ও সরকারি ব্যার্থতা না, বাংলার (এখনও) মোটাদাগের কৃষিভিত্তিক সমাজের অর্থনৈতিক ও পেশাভিত্তিক নানান গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচিত হইছে। সাধারণ ডেটা পাঠ কইরাও সমাজ সম্পর্কে কি দারুণ সব পর্যবেক্ষণ বাইর কইরা নিয়া আসা যায় তার প্রমাণ এই গবেষণা। যেমন: ধানমাড়াই পেশাটার সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্বভাবচরিত্রের ব্যাখ্যা ড. সেন যেভাবে করছেন, আমিও বেশ অবাক হইছি, অথচ আমি বড় হইছি গ্রামে (দ্যাখেন বাংলার মহাদুর্ভিক্ষ অধ্যায়টা)। উদাহরণ দিয়া ভূমিকা বড় করবো না, অমর্ত্যবাবুর গবেষণা পাঠকরে পইড়া দেখতে বলবো।

সেনের গবেষণায় উঠে আসছে, দুর্ভিক্ষের কারণ খাদ্যাভাব না, আসলে রাষ্ট্রে ব্যক্তির অধিকার ও স্বাধীনতার অভাব। অমর্ত্য বাবুর একাডেমিক পরিভাষা ‘এন্টাইটেলমেন্ট’। অর্থাৎ খাদ্য কে পাবে আর কেন, কোন মাত্রায় পাবে সেইটা ঠিক কইরা দেওয়া রাজনীতির কারণে দুর্ভিক্ষ হইছিল। মোট সংখ্যা না, ব্যক্তির আলাদাভাবে ও মিনিমাম ভালো থাকা দেখা জরুরি। চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের কথাই ধরেন। সেপ্টেম্বর মাসে ৬০০০ লঙ্গরখানা খুলে ৪৩ লাখ মানুষরে রান্না করা খাবার দেওয়া হয়। ফলে দুর্ভিক্ষের শোচনীয় অবস্থাটা কিছুটা ‘ভালো’ হয়। অথচ সেপ্টেম্বরের আগে এইটা যে দুর্ভিক্ষ সেইটা ঘোষণাই করা হয় নাই! আরও আগে ঘোষণা দিয়া সরকার আগায়ে আসলে ক্ষয়ক্ষতি আরও কমানো যাইতো। আরও মজার ব্যাপার মোট খাদ্যের মাত্র ১.৩৬% ছিলো সরকারের মজুদে। এইটা দিয়াই কাজ চালাইছে। আসলে সরকার যদি মনে করতো খাদ্য সমস্যা সমাধান জরুরি, এইটা সমাধান কঠিন কোনো ব্যাপার ছিলো না।

‘জিডিপি বাড়ছে, আয় বাড়ছে, তার মানে মানুষ খুব ভালো আছে’ –এইসব সরকারি জিকির আমাদের দেশে নতুন না। অমর্ত্য সেন দেখাইছেন যে দুর্ভিক্ষের সময় আয় আরও বেশি বাড়ে। অমর্ত্য বাবু এইসব শুভঙ্করের ফাঁকি আমাদের নজরে আনেন। চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ বিশ্লেষণ কইরা অমর্ত্যবাবু তাই প্রস্তাব দিছেন জিডিপির বিপরীতে ‘পার ক্যাপিটা ক্যালোরি ইনটেক’ এর জনশুমারি করতে। শহর আর গ্রামে প্রোটিন ইনটেক আর ক্যালরি ইনটেকের ব্যবধান বেশি যেন না হয়। ব্যবধান বেশি হওয়া দুর্ভিক্ষের একটা লক্ষণ। সমাজে মানুষের স্বাধীনতা ও অধিকার ইত্যাদির হাজির না থাকাই যে দুর্ভিক্ষের কারণ এমন দাবি গবেষণায় আছে। অমর্ত্য সেন একটা কথা জোর দিয়া বলেন যে, মডার্ন যুগে দুর্ভিক্ষ খাদ্যাভাবে হয় না, হয় মানুষের অব্যবস্থাপনার জন্যে, রাষ্ট্র ঠিকমতো না চললে।

জানুয়ারি ২০২৩
হাজারিবাগ| ঢাকা-১২০১

দরকারি টার্মগুলি

ক. নি:স্বতা — ডেস্টিটিউট আর ডেস্টিটিউশন এর বাংলা এই বইয়ে যথাক্রমে নি:স্ব ও নি:স্বতা। আরও চলনসই, সহজ বাংলা পাই নাই বইলা ‘ডেস্টিটিউশন এর চাইতে অন্তত সহজ’ – বিবেচনায় নি:স্বতা রাখছি।

খ. ক্যারি-ওভার — পরিভাষা ডিকশোনারিতে অর্থ দেওয়া আছে অগ্রে আনয়ন /মেয়াদ বর্ধিতকরণ। এই অর্থ আসলে শব্দটা এইখানে বুঝায় নাই। গত বছর/বছরগুলার পরেও এখনও যে পরিমাণ রয়েছে গেছে সেই পরিমাণ খাদ্য (যেমন: চাউল ও গম) এইখানে ক্যারি-ওভার। Continue reading

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →