নাগরিক চুক্তি এবং শান্তি শুখ পাট্টির ইশতেহার

ডেমোক্রেটিক রেভলুশন ঘটাইতে নাগরিক চুক্তি
আমাদের একমত হওয়া দরকার জে, রাশ্টো হিশাবে বাংলাদেশ বহু জাতির একটা কনফেডারেশন। একই শাথে ‘বাংলাদেশি’ নামে ছেরেফ টেরিটোরিয়াল অর্থের জেনারেল ‘জাতি’ আছে জেইটা ‘নেশনাল পার্লামেন্ট’, ‘নেশনাল ইলেকশন’, ‘নেশনাল আর্কাইভ’, ‘পাছপোর্ট’ ইত্তাদি শব্দে পাই এবং বুঝতে পারি আরামেই। এই জেনারেল জাতির আইডিয়া এবং ‘বাংগালি’, ‘মোছলমান বাংগালি’, ‘হিন্দু বাংগালি’, ‘চাকমা’, ‘মান্দি’, ‘শাওতাল’, ‘টিপরা’, ‘রাখাইন’ ইত্তাদি জাতির আইডিয়া এবং এগুলির ভিন্ন ভিন্ন কালচারাল চর্চার কোন বিরোধ-ঝগড়া-ফ্যাছাদ নাই; বরং একটা আরেকটারে পুরা করে, টেরিটোরিয়াল অর্থের জেনারেল জাতি দেশের শকল জাতির শান্তিচুক্তির ভিতর দিয়া একটা একক ইকোনমিক এনটিটি পয়দা করতেছে। জেমন ঘটে একটা কোম্পানির বেলায়: কয়েকজন বেক্তি মিলে একটা কোম্পানি বানায়, জেইটা ঐ বেক্তিদের লিগাল হক এবং দায়িত্তঅলা, ঐ বেক্তিদের শমান আরেকটা এনটিটি–একটা ইকোনোমিক ইউনিট, জার লগে ঐ বেক্তিদের কোন বিরোধ নাই, বরং উল্টা, ঐ কোম্পানির ভিতর দিয়া ঐ বেক্তিদের ইউনিটি বা একতার শক্তি মালুম হইতে পারে।
একটা শুখি বাংলাদেশ গড়তে আমাদের একটা শান্তির বাংলাদেশ বানাইতে হবে শুরুতে। এবং শান্তির শর্ত হইলো ইনছাফ; বহু জাতি, মত, পথ, ধর্ম, দর্শনের ভিতর একটা শান্তিচুক্তি না হইলে শান্তি কায়েম হবে না দেশে, ফলে ইনছাফের শম্ভাবনা পয়দা হইতে পারবে না, ফলে শুখি বাংলাদেশ পাওয়াও অশম্ভব থাইকা জাবে।
ঐ শান্তিচুক্তিরই আরেকটা নাম ডেমোক্রেটিক রেভলুশন। অন্ন জে কোন কিছিমের রেভলুশন শক্তিমানের শাশন কায়েম করে; শেই শক্তিমান বহু ছুরতে হাজির হইতে পারে: এখনকার বাকশালি তালুকদারি-মাফিয়া শাশন তারই একটা, আরো কয়েকটা ছুরত হইতে পারে বাংগালি নেশনালিজম, মোছলমান বাংগালি, হিন্দু বাংগালি, মার্ক্সের তরিকার গাহেক। ডেমোক্রেটিক রেভলুশন মানে ঐ শব শক্তিমানের শাশনের বদলে একটা শান্তিচুক্তির ভিতর দিয়া শকলের, জনতার শকল ভাগের শরিকির ভিতর দিয়া ইনছাফ কায়েম করা।
এমন একটা ডেমোক্রেটিক রেভলুশন বহাল তবিয়ত রাখতে এবং শেই রাস্তায় হাটতে হাটতে ইতিহাশের কোন একটা জামানায় শুখি বাংলাদেশ গড়তে ইতিহাশের এই মোমেন্টে অন্তত ৩টা পয়েন্টে আমাদের একমত হওয়া দরকার, এবং একটা আপদকালিন চুক্তি কইরা ওয়াদা রাখার কছম খাইতে হবে আমাদের। ৩টা পয়েন্ট এমন:
ক. ইলেকশন এবং একমাত্র ইলেকশনের ভিতর দিয়া খমতার হাতবদল।
খ. বেক্তি মালিকানা। এই বেক্তি মালিকানার অর্থ এমন না জে, ছেরেফ ৫% দেশের শব কিছুর মালিক হবে, বাকি ৯৫% নাগরিক কোনকিছুর মালিক থাকবে না; বরং এই বেক্তি মালিকানার অর্থ হইলো, ১০০% নাগরিকই মালিক হবে। বাংলাদেশের মোট জমিনকে ২০ কোটি ভাগ করলে পেরায় ৮০০ এস্কয়ার মিটার জমি পড়ে পোরতিটা ভাগে; তাই শকল নাগরিকের পার হেড অন্তত ২০ শতক জমি থাকা খুবই শম্ভব।
গ. মুক্ত বিবেক। নাগরিকদের বিবেকের চারপাশে রাশ্টো কোন বাউন্ডারি দিতে পারবে না, মানুশের চিন্তা এবং কথা কোন ছার্কেলের ভিতর থাকার ব্যাপার না। রাশ্টের শকল কর্মি, ইলেকটেড ডেলিগেট, শরকার আদতে জনতার খাদেম, এই খাদেমদের কায়কারবার তদারক করার হক আছে জনতার বা নাগরিকদের; নাগরিকদের বিবেক মুক্ত না থাকলে ঐ তদারকি অশম্ভব, রাশ্টের জে কোন ব্যাপারে কথা কইতে পারবে নাগরিকরা, এইটা নাগরিকদের হক এবং দায়িত্ত। খোদ রাশ্টোই বানাইছে নাগরিকদের বিবেক, তাই নাগরিকদের বিবেক বন্দি করতে পারে না রাশ্টো।
Continue reading