Main menu

শব্দের বৃত্তে

[soundcloud id=’100673196′]

 

 

 

১৯৩৭ সালে বিবিসি বেতারে ‘শব্দেরা আমায় ছেড়ে যায়’ (Words Fail Me) নামে একটা সিরিজ সম্প্রচারিত হয়েছিল। তারই অংশ হিসেবে ভার্জিনিয়া উলফ কিছু কথা বলেন Craftsmanship অথবা কারুনৈপুণ্য শিরোনামে। তার বয়ানটুকু সম্প্রচারিত হয়েছিল সেই বছরের এপ্রিলের ২৯ তারিখে। জানামতে এটাই তাঁর কণ্ঠস্বরের একমাত্র রেকর্ড। পরবর্তীতে ১৯৪২ সালে তাঁর রচনা সংগ্রহ The Death of Moths and Other Essays বইটিতে এই বয়ানের একটা লিখিতরূপ ছাপা হয়েছিল Craftsmanship নামে। এই শিরোনাম বিষয়ে ভার্জিনিয়ার আপত্তি ছিল। তাঁর মতে লেখাটার নাম A Ramble Round Words হলে বেশি মানানসই হতো। যেহেতু শব্দদের নিয়েই কথা আমার অনুবাদে আমি তাঁর পছন্দের নামটাই রাখলাম।

প্রথমবার কথাগুলো শুনতে শুনতে খুব অবাক লাগছিল। ইংরেজি ভাষার বেলায় যে সময়টার কথা ভার্জিনিয়া বলছিলেন আমার বারেবারেই মনে হচ্ছে বাংলা ভাষায় সেরকম একটা সময় পার করছি আমরা এখন। অনেক রকম তর্ক-বিতর্ক দেখি ভাষার শুদ্ধ-অশুদ্ধ, শ্লীল-অশ্লীল, কেন্দ্র-বিকেন্দ্র, ঢাকা-কলকাতা ইত্যাদি বিষয়ে। আমার কাছে এ ক্ষেত্রে ভার্জিনিয়া উলফের বক্তব্যটুকু খুব সত্যি মনে হচ্ছে আর তাই বাংলায় অনুবাদ করতে ইচ্ছা করলো।-

-লুনা রুশদী ।। ১১ জুলাই, ২০১৩ ।। মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া

———-
শব্দ… ইংরেজি শব্দেরা, প্রতিধ্বনি, স্মৃতি আর অনুষঙ্গে জমজমাট। এরা বহু শতাব্দী ধরে মানুষের ঠোঁটে, বাড়িতে, রাস্তায় অথবা মাঠে মাঠে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আজকের দিনে এই শব্দগুলো প্রয়োগের ক্ষেত্রে এটাই সবচাইতে বড় সমস্যা – এদের ভেতর সংরক্ষিত আছে শব্দের সীমার বাইরেও ভিন্ন অর্থ, ভিন্ন স্মৃতি, অতীতের বহু বিখ্যাত যোগাযোগ শব্দের মাধ্যমেই সাধিত হয়েছে। ধরা যাক ‘Incarnadine’ i এর মতন অপূর্ব শব্দটার কথা, এর আভিধানিক অর্থ গোলাপী, রক্তিম বা রক্তাভ, কিন্তু এই শব্দের সাথে আমরা কি ‘Multitudinous Seas’ ii

না ভেবে থাকতে পারবো?

 

অবশ্য আগের দিনে, ইংরেজি যখন ছিল ভাষা হিসাবে নতুন, লেখকেরা অনেক শব্দের উদ্ভাবন করে ব্যবহার করতে পেরেছেন। আজকাল নতুন শব্দ বানানো তো সহজ – একটা নতুন দৃশ্য দেখা বা নতুন অনুভবের সাথে সাথেই নতুন শব্দেরাও ঝাঁপ দিয়ে উচ্চারিত হতে চায় – কিন্তু আমরা তাদের প্রয়োগ করতে পারি না কারণ ইংরেজি পুরানো একটা ভাষা।

পুরানো ভাষায় আনকোরা নতুন শব্দ ব্যবহার আমরা করতে পারি না যেহেতু সুস্পষ্ট অথচ রহস্যময়ভাবে একটা শব্দের কখনো একক এবং পৃথক অস্তিত্ব থাকে না, শব্দেরা অন্য শব্দের অংশ। বাক্যে ব্যবহার হওয়ার আগে শব্দ আসলে শব্দ হয়ে ওঠে না।

শব্দেরা একে অপরের, যদিও, মহৎ কোন কবিই শুধু জানবেন যে ‘incarnadine’ শব্দটা অধিকার করে আছে ‘multitudinous seas’। পুরানো শব্দের সাথে নতুন শব্দের ব্যবহার বাক্যগঠনের ক্ষেত্রে সর্বনাশা। একটা নতুন শব্দের যথাযথ প্রয়োগের জন্য নতুন ভাষা বানাতে হবে; আর যদিও একসময় সেখানেও আমরা পৌঁছাবো, এখন তা নিয়ে ভাবতে থাকা আমাদের কাজ না। আমাদের কাজ হলো পুরানো অপরিবর্তিত ইংরেজি ভাষা নিয়ে কী করা যায় তা-ই বিবেচনা করা। কিভাবে আমরা পুরানো শব্দদের নতুন বিন্যাসে সাজাতে পারি যাতে তারা টিকে থাকে, সৌন্দর্য্য সৃষ্টি করে এবং সত্য বর্ণিত করে? সেটাই প্রশ্ন।

আর যে মানুষটা এই প্রশ্নটার উত্তর দিতে পারবেন তিনি এই পৃথিবীর যেকোনো সম্মানের উপযুক্ত। লেখালেখি যদি শেখানো বা শিখতে পারা যেত তাহলে কী হতো ভেবে দেখেন। তখন যেকোনো বই বা সংবাদপত্রই হয়ে উঠতো সত্য ও সুন্দরের উৎস। কিন্তু বস্তুত, শব্দ শিক্ষার ব্যাপারে কিছু বাধা, কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কারণ এই মুহূর্তে যদিও অন্তত একশোজন অধ্যাপক বক্তৃতা করছেন সাহিত্যের ইতিহাস নিয়ে, অন্তত হাজারখানেক সমালোচক সমসাময়িক সাহিত্যের পর্যালোচনা করছেন, আর অগুন্তি তরুণ তরুণী সর্বোচ্চ সম্মাননাসহ ইংরেজি সাহিত্য পরীক্ষায় পাশ করে যাচ্ছেন…তবুও, আমরা কি সেই চারশো বছর আগেকার সময়, যখন বক্তৃতা দেয়ার, সমালোচনা করার অথবা শেখানোর কেউ ছিল না…তার চাইতে ভালো লিখতে বা পড়তে পারছি? আমাদের আধুনিক জর্জিয়ান iii সাহিত্য কি আদতে সেই পুরানো এলিজাবেথানiv সাহিত্যেরই জোড়াতালি? কার উপর দোষারোপ করবো আমরা তবে। দোষ আসলে অধ্যাপক, সমালোচক অথবা লেখক কারোই না, দোষী শব্দেরাই। তারা সবচেয়ে বন্য, সবচেয়ে স্বাধীন, সবচাইতে বেপরোয়া এবং কিছুতেই তাদের শেখা বা শেখানো যায় না। অবশ্য তাদের ধরা যায়, সাজানো যায় অথবা অভিধানে বর্ণানুক্রমে বিন্যাস্ত করা যায়। তবে শব্দেরা অভিধানে বাঁচে না, তারা বেঁচে থাকে মনে। প্রমাণ চাইলে ভেবে দেখেন সবচেয়ে আবেগপূর্ণ মুহূর্তটার কথা, যখন অনেক খুঁজে একটাও যথাযথ শব্দ পাওয়া যায় না। অথচ অভিধান আছে এবং আমাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে অন্তত ৫০০,০০০ শব্দ, বর্ণানুক্রমে সাজানো।

কিন্তু আমরা তাদের প্রয়োগ করতে পারি? পারি না, কারণ তাদের আবাস চেতনায়, অভিধানে নয়। আরেকবার তাকাই অভিধানের দিকে। তার ভেতর সন্দেহাতীতভাবে আছে অ্যান্টনি আর ক্লিওপেট্রার চাইতেও জমকালো কোনো নাটক; ওড-টু-এ-নাইটিঙ্গেল এর চেয়েও কমনীয় কোনো কবিতা; এরকম সব উপন্যাস যার পাশে প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস বা ডেভিড কপারফিল্ডকে মনে হবে আনাড়ির অমার্জিত ভুল। অপেক্ষা শুধু ঠিক শব্দটা খুঁজে নিয়ে সঠিক বিন্যাসে সাজানোর। কিন্তু আমরা তা পারি না কারণ শব্দেরা অভিধানে থাকে না, তারা থাকে মনে। আর মনের ভিতর কিভাবে তারা বেঁচে থাকে? বিভিন্নরকম এবং অদ্ভুতভাবে, অনেকটা যেভাবে মানুষ বাঁচে, যত্র-তত্র, প্রেমে, সঙ্গমে… প্রজননে। এটা ঠিক যে আমাদের চেয়ে তাদের আনুষ্ঠানিকতা এবং আচার-আচরণের বাঁধা কম। রাজকীয় শব্দেরাও মিলতে পারে সাধারণের সাথে। ইংরেজি শব্দেরা ভালো লাগলে ফরাসি, জার্মান, ভারতীয় অথবা নিগ্রো শব্দকেও বিয়ে করে ফেলতে পারে। বলাই বাহুল্য যে আমাদের প্রিয় মা ইংরেজি ভাষার অতীত সম্পর্কে যত কম অনুসন্ধান করা যায় ততই ভদ্রমহিলার মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখার পক্ষে ভালো। কারণ এই সুন্দরী যেখানে সেখানে গেছেন, যার-তার সাথে মিলেছেন।

কাজেই এরকম অনুদ্ধারণীয় ভবঘুরেদের জন্য কোনো আইন প্রণয়ন চরম অনর্থক। আমরা শুধু ব্যাকরণ আর বানানের তুচ্ছ কিছু অবরোধই আরোপ করতে পারি তাদের ওপর। আমাদের চেতনার গভীর, অন্ধকার আর অল্প অল্প উদ্ভাসিত সেই রন্ধ্র যেখানে শব্দের বসবাস, সেদিকে তাকিয়ে আমরা শুধু এটুকুই বলতে পারি যে শব্দেরা বোধহয় চায় আমরা তাদের প্রয়োগ করার আগে একটু ভাবি, তারা চায় তাদের অনুভব করি, আবার এই ভাবনা বা অনুভূতি তাদের সংক্রান্ত হবে না, হবে অন্যকিছু। তারা অত্যন্ত সংবেদনশীল, সহজেই আত্ম-সচেতন। তারা তাদের বিশুদ্ধতা অথবা অশুদ্ধতা বিষয়ে আলোচনা পছন্দ করে না। যদি আপনি বিশুদ্ধ ইংরেজির জন্য একটা সঙ্ঘ শুরু করেন, তারা তাদের অসন্তোষ জানাবে অশুদ্ধ ইংরেজির জন্য আরেকটা সঙ্ঘ শুরু করার মধ্য দিয়ে – এ কারণেই অপেক্ষাকৃত আধুনিক ইংরেজি ভাষার এই অস্বাভাবিক সহিংসতা; এটা পিউরিটানদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।

এরা ভীষণভাবে গণতান্ত্রিকও বটে; এরা মনে করে এক শব্দ আরেক শব্দের সমান ভালো; অশিক্ষিত শব্দেরা শিক্ষিত শব্দের সমান ভালো, অকর্ষিত শব্দেরা ভালো কর্ষিত শব্দদের মতনই, এদের সমাজে কোনো পদমর্যাদা বা খেতাব নাই। আলাদা আলাদাভাবে কলমের ডগায় উঠে পরীক্ষিত হতে তারা কোনদিনই পছন্দ করে না। ওরা একসাথে থাকে, বাক্যে, অনুচ্ছেদে আর মাঝেমাঝে কয়েক পৃষ্ঠা জুড়ে। কিছুতেই দরকারি হতে চায় না; টাকা উপার্জন করতে চায় না আর জনসমক্ষে তাদের নিয়ে বক্তৃতা দেয়াটাও খুব অপছন্দ করে। সংক্ষেপে, যা কিছুই তাদের গায়ে শুধু কোন একক অর্থ খোদাই করে দেয় অথবা কোন নির্দিষ্ট আচরণে বন্দি করে রাখে, সে সমস্তই ঘৃণা করে তারা, কারণ পরিবর্তন তাদের স্বভাব।

হয়তো এটাই শব্দদের সবচাইতে লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য – এই পরিবর্তন আবশ্যিকতা। এর কারণ, যে সত্য তারা ধারণ করতে চায় তা বহুমুখী, তাই নিজেরাও তারা বহুমুখী হয়েই তাকে প্রকাশ করে, প্রথমে একভাবে ঝলকে ওঠে, পরে আরেকভাবে। তাই তাদের অর্থ একজনের কাছে একরকম, আরেকজনের কাছে আরেক রকম। এক প্রজন্মের কাছে তারা দুর্বোধ্য, আরেক প্রজন্মের কাছে তীরের মতই সরল। আর এই জটিলতার কা্রণেই… একেক জনের কাছে একেক রকম অর্থ বহন করতে পারার ক্ষমতার কারণেই তারা বেঁচে থাকে। আমাদের সমসাময়িক কোন মহান কবি, ঔপন্যাসিক অথবা সমালোচক না থাকার একটা কারণ বোধহয় এটাও যে আমরা শব্দকে তার স্বাধীনতা দিতে অস্বীকার করি। যে কোনো একটা নির্দিষ্ট অর্থেই গেঁথে ফেলি আমরা তাদের, একটা দরকারি অর্থে। যে অর্থ আমাদের ট্রেন ধরায়, যে অর্থ আমাদের পরীক্ষা পাশ করায়…

______________

পরিশিষ্ট::
বর্ণালী সাহার প্রতি কৃতজ্ঞতা, লেখাটা পড়তে এবং শুনতে দেয়ার জন্য।

কয়েক ঘন্টার নোটিশে অডিও এডিটিং করে দেয়ার জন্য চিংখৈ অঙোমকে ধন্যবাদ।

আগ্রহীরা নিচের লিংক থেকে ইংরেজি’টা পড়তে পারবেন –
http://atthisnow.blogspot.com.au/2009/06/craftsmanship-virginia-woolf.html?spref=fb

পরবর্তীতে পাবলিশড হওয়া লেখাটা পড়া যাবে এখানে –
http://ebooks.adelaide.edu.au/w/woolf/virginia/w91d/chapter24.html

  1. ‘Incarnadine’ ছিল ষোড়শ শতাব্দির একটা বিশেষণ, যার অর্থ গোলাপী। এর উৎপত্তি লাতিন শব্দ ‘Carn’ থেকে যার অর্থ মাংস বা দেহ, যে কারণে রক্তমাংসের রঙ হিসাবেও বোঝানো যায়। তাই যদি বলা হয় ‘To Incarnadine’ তার মানে হবে কোনকিছু গোলাপী বা রক্তিম করে তোলা।  (back)
  2. এই বিশেষণটাই পরবর্তীতে ম্যাকবেথ নাটকে শেক্সপিয়ার প্রয়োগ করেছিলেন ক্রিয়া হিসেবে –

    “Whence is that knocking?
    How is’t with me, when every noise appalls me?
    What hands are here? Hah! They pluck out mine eyes.
    Will all great Neptune’s ocean wash this blood
    Clean from my hand? No; this my hand will rather
    The multitudinous seas incarnadine,
    Making the green one red.”

    এখানে ম্যাকবেথ বলছে তার রক্তাক্ত হাতে নেপচুনের সবুজ সমুদ্রও লাল হয়ে যাবে তবু তার অপরাধ ধুয়ে ফেলা যাবে না। তার অপরাধবোধ বিষাক্ত করবে তার পারিপার্শ্বিক যা সে তুলনা করছে সমুদ্রের সাথে।  (back)

  3. জর্জিয়ান এবং এলিজাবেথান সাহিত্য হিসাবে ইংরেজি সাহিত্যের এক একটা সময় চিহ্নিত করা হয়। জর্জিয়ান সাহিত্য ছিল রাজা প্রথম জর্জ থেকে শুরু করে চতুর্থ জর্জের সময় পর্যন্ত (১৭১৪-১৮৩০)।  (back)
  4. এলিজাবেথান সাহিত্য হিসাবে রানি প্রথম এলিজাবেথের সময়কার সাহিত্যকে বোঝানো হয় (১৫৫৮-১৬০৩)।  (back)
The following two tabs change content below.

লুনা রুশদী

রাইটার। থাকেন মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়ায়।

Latest posts by লুনা রুশদী (see all)

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →