Main menu

ওং কার ওয়াই (পার্ট ২, ৩): চাংকিং এক্সপ্রেস, ১৯৯৪

।।

Wong Kar Wai-(Part-2)/(Chungking Express,First Story,1994)

চাংকিং শব্দটার মানে যদি এরকম দাঁড় করাই, যা জীবনরে বইয়া বইয়া নিয়া যায়, তাইলেই বিষয়টা পাকাপোক্ত হয়। চাংকিং হংকং’র একটা ম্যানশনের নাম, যেখানে ওং কার ওয়ে বড় হইছেন ৬০’জ এ। তো হংকংকে বয়ে নিয়া যাওয়া ও তার জীবনের যে ট্রাঞ্জিশন ও তার মুভি। হিস্ট্রি রিলেট করে যদি আগানো যায় এবং ডেভেলপিং পিরিয়ড ও ব্লু পিরিয়ডকে মুভি’র সাথে রিলেট করা যাইতেই পারে।

মুভির শুরুতেই এক মহিলাকে পাফি শর্ট ব্লন্ড হেয়ার (যদিও উইগ ছিলো), গ্লাস, হ্যান্ড ব্যাগ এবং রেইনকোটে যার আদল পুরোপুরি ভিক্টোরিয়ান, অর্থাৎ ভিক্টোরিয়ান আউটফিটে একটা শ্যাবি, ক্রাউডি ইন্ডিয়ান মার্কেটপ্লেসে ঢুকতে দেখা যায়। টু দ্য ক্যারেমা হয়ে মহিলা মার্কেটপ্লেসে ঢুকতে থাকে ক্যামেরাও ট্র‍্যাক করতে থাকে। ব্লার এবং ফ্রিজ ফ্রেইম’র কম্বিনেশনে দেখা যায়, মহিলা সবকিছু ইগনোর করে ঢুকে যাচ্ছে। জুতার দোকান, ফুড শপ ও সুপারশপ এবং স্যান্ডো গেঞ্জি ও লুঙ্গি পড়া কিছু ইন্ডিয়ান পিপল।যাদের সাথে কথা বলতে থাকে মহিলা এবং ডলার গুনতে থাকে।আসলে মহিলা ড্রাগ ডিল করতে আসছে এবং আশেপাশে ক্লোজ অ্যাঙ্গেলে জুতা সেলাই, খাবারের কিছু কুইক কাট ও অবজেক্টকে ফোকাস করে মাল্টিটাস্কিং ও ব্যাকগ্রাউন্ডে ইন্ডিয়ান মিউজিক খেয়াল করা যায়। মাঝে “তাকেশি কানেশিরো” কে বার্ডস আই ভিউ থেকে ফোকাস করা হয়। তাকেশি প্রসঙ্গ সামনে। ইন্ডিয়ান পিপলদের বিলাতি আউটফিট পড়ানোর ব্যবস্থা করা হয় ও কন্ডমের ভিতর ব্রাউন সুগার ভইরা প্রত্যেকের আলাদা আলাদা ব্রিফকেসে উইস্পার প্যাডের কিছু প্যাকেট ও কিছু কন্ডমের প্যাকেট দিয়া ব্রিফকেস ভর্তি করা হয় ও পাসপোর্টসমেত তাদের বিদায় দেয়া হয়।[pullquote][AWD_comments][/pullquote]

মুভির এই অংশকে বা পুরো ড্রাগ রিলেটেড অংশকে আফিম যুদ্ধের সাথে রিলেট করলে ওং এর ড্রাগ ইমপ্লিমেন্টটা ইচ্ছাকৃত এবং ভিক্টোরিয়ান আউটফিট বলে দেয় হংকং এর কথাই। জোর করে ইম্পোজ করা বিষয়টা এমন নয় যদিও। বৃটিশ হংকং এর সাথে ইউজড টু হয়ে ওঠা এবং একটা কনফিউশান।

তাকেশি কানেশিরো, ২২৩ নম্বর ব্যাজধারি একজন পুলিশ। ফার্স্ট অ্যাপিয়ারেন্সে ব্লন্ড উইগধারির সাথে একটু করে খেয়াল করা যায়। এক ক্রিমিনালকে তাড়া করছে, ফ্রিজ আন্ড ব্লার এগেইন।তাকেশিকে ভালোভাবে খেয়াল করা যায় প্রোফাইল শটে তারে ফোনে কথা কইতে দেখা যায়। ব্লন্ড উইগ উইমেনের ‘মে’ নামের একজন মেয়েকে সে ভালোবাসে এবং তার জন্মদিন ‘মে’ মাসে। এই ডুয়ো এবং প্রতিদিন সে ১ মে,১৯৯৪ এক্সপায়ার ডেইটে একটা করে পাইনাপল ক্যান কিনে খায়।যদিও মুভি টাইম দেখায় ২৮ এপ্রিল দেখায়। সে তার ৩৬৮ নাম্বার অ্যাকাউন্ট চেইক করে কেউ আসলে মে তাকে ফোন/মেসেজ করছে কিনা! তার পারওয়ার্ড হচ্ছে ”ভালোবাসা শত হাজার বছর”।

 

DJU59NyWAAAnMHl

 

এখানে তাকেশির গার্লফ্রেন্ডের নাম “মে” হয়ে ওঠার প্রধাণ কারণ হচ্ছে “সিনো-বৃটিশ জয়েন্ট ডিক্লেয়ারেশন” ১৯৮৪ সালে সাইন করা হইলেও ইফেক্টিভ হয় ১৯৮৫ সালের “মে” মাসে। পাসওয়ার্ড “ভালোবাসা শত হাজার বছর” ও হংকং এর প্রতি ভালোবাসাকেই ইন্ডিকেইট করে।

পরে মহিলা ফিরে আসে চাংকিং হাইস এ। হোটেলটার নাম লাল কালারে লেখা থাকে এবং ক্যামেরা দ্রুতই প্যান করে যায়। সেখান থেকে ড্রাগস ডিলিং জটিলতা থেকে এক ছোট্ট মেয়েকে কিডন্যাপ করে আইসক্রিম খাওয়াইয়া দাঁড়ায় এক শপের সামনে। লং শটে দেখা যায় এক মেয়ে সেখান থেকে ট্যাডি কিনে বের হচ্ছে সে হচ্ছে ফেইয়ি ওং, যাকে আমরা সেকেন্ড পার্টে পাবো। পরের সিনেই এক ওয়ান্টেড ক্রিমিন্যালকে পাকড়াও করে তাকেশি, মে কে ফোন দেয়। কিন্তু পায় না। ফোন শেষ করার পরের কাটে আরেকজন পুলিশকে ফোকাস করা হয়, সে হচ্ছে টনি লিয়েঙ, তাকেও আমরা সেকেন্ড পার্টে পাবো।

৩০ এপ্রিল রাতে তাকেশি ১ মে এক্সপায়ার ডেইটের পাইনাপল ক্যান খোঁজে। দোকানদার তাকে বলে, ”out the old, in the new”. পরে সে ঐ রাতে অর্থাৎ ১ এপ্রিল রাতে ৩০ টা পাইনাপল ক্যান শেষ করে। যদিও ডেভিড ব্রডওয়েল পাইনাপল ক্যানকে বলছেন হংকং এর প্রতি ভালোবাসা দেখানোর মেটাফোর।

ড্রাগ নিয়ে মহিলার যে ট্রাবল ও শ্যুট-আউট এগুলাও ফ্রিজ-ফ্রেইমে ব্লার করে দেখানো হয় মেট্রো রেইল পর্যন্ত। পরে মহিলা বারে চলে যায়, যেখানে অনেকক্ষণ আগেই তাকেশি বসে ছিলো। মে’র আশা ছেড়ে দিয়ে সে এই মহিলার দিকে অ্যাপ্রোচ করে। সে পাইনাপল পছন্দ করে কিনা জিজ্ঞেস করে ক্যান্তো,মান্দো ও ইংরাজি ভাষায়। বার বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় হলে, মহিলাকে নিয়ে তাকেশি ওর বাসায় চলে আসে। দুইটা ওল্ড মুভি দেখে এবং সারারাত খায়। সকালে বের হয়ে যাওয়ার আগে, টাই দিয়ে মহিলার জুতা মুছে দিয়ে যায়। যেহেতু ঐদিন ছিল তাকেশি’র জন্মদিন, তাই সে সেলিব্রেট করার জন্য জগিং করে এবং একটা উইশ পায়,সেখানে ক্যামেরা ফ্রিজ হয়ে যায় এবং প্রথম অংশের প্রায় শেষ হয়ে আসে।

মুভিতে কালার হিসাবে স্কাই ব্লু ডমিন্যান্ট ছিলো। স্পিলিট কমপ্লিমেন্টারি কালার প্যালেটে সাজানো ছিলো অধিকাংশ সিন সাথে ব্লন্ড উইমেন’র সিনগুলোতে ইয়োলো,লাস ও ব্লন্ড কালারের প্রাধান্য ছিল।যদিও ট্রাবল মেকিং সিনগুলাতে ডার্ক রেড খেয়াল করা যায়। প্রতিটা ক্যারেক্টারকে ফ্রেইম উইদিন ফ্রেইম এ দেখানো হইছে বারবার। এবং সেট ডিজাইন ও ক্যারেক্টারের সেপারেশন’র দিকে তাকাইলে দেখা যায় এতে পপ-আর্ট ইমপ্লিমেন্ট করা আছে খুব সচেতনভাবে।

 

Wonk Kar Wai-(Part-3)/(Chungking Express,Second Story,1994)

তাকেশি বার্থডে উইশের পর রিয়ালাইজ করে, যদি মেমোরিগুলারে পাইনাপলের মতো ক্যানে ভইরা রাখা যাইতো তাইলে আর সেটার এক্সপায়ার হওয়ার কোন চান্স নাই এবং তা সহস্র শতাব্দি পর্যন্তই লাস্ট করবে। ফার্স্ট স্টোরিতে একটা ফাস্ট ফুডের দোকান বারবার দেখায়, যেখানকার ওনার সবসময় তার মহিলা এমপ্লয়িদের সাথে ডেইট করতে বলে। সেখানে কোক খাওয়ার সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে দ্য মামাস এন্ড পাপাস’র ক্যালিফোর্নিয়া ড্রিমিং গানটা ভেসে আসে এবং ফেইয়ি’র সাথে তাকেশি’র ০.০১ সে.মি. দুরত্বে ফ্রেইম ফ্রিজ হয়ে যায় এবং তাকেশি’র ন্যারেশনে ছয় ঘন্টা পর সে অন্যএকজনের প্রেমে পড়ে।ফ্রিজ ফ্রেইমের পর ডিজলভ দিয়ে টাইম এবং তাকেশি দুইটাই লিন হইয়া যায়, আমরা ঢুকে যাই সেকেন্ড স্টোরিতে।

 

[youtube id=”dN3GbF9Bx6E”]

 

৬৬৩ নাম্বার পুলিশ টনি রিপ্লেসড হয়। ফেইয়ি ফাস্টফুডের দোকানে কাজ করে, সেভিংস করার জন্য। ইনিশিয়ালি দোকানদারের সাথে গার্লফ্রেন্ড নিয়া কথা হইতে থাকে। ফ্রেইম উইদিন ফ্রেইমে তাদের কিছু রিভার্স শট যাইতে থাকে ও ফেইয়ি তাদের অ্যাক্সুয়ালি টনিরে অবজার্ভ করতে থাকে।টনি’র একটা গার্লফ্রেন্ড ছিলো,স্টুয়াডেস। তার সাথে টনি’র কিছু প্যাশনেট মোমেন্ট দেখানো হয় এবং একদিন স্টুয়াডেস দোকানে এসে টনিকে না পেয়ে (টনি শিফট চেইঞ্জ করে ফেলছে) দোকানদারকে একটা চিঠি দিয়া যায়,সাদা খামের চিঠিটা দোকানের সবাই পড়ে লাল পিন দিয়া আটকাইয়া রাখা হয়। ফেইয়ি চিঠিটা পড়ার পর খামের ভিতরে চাবি দেখতে পায়। চিঠিটা টনিকে অফার করলে তা নেয় না, এবং ব্ল্যাক কফি খাইতে থাকে, ব্লার ফ্রেইমে টাইম ল্যাপস দেখাইতে থাকে, মানুষ চলে যাচ্ছে টনি কফি খাচ্ছে এবং ফেইয়ি তাকাইয়া আছে টনির দিকে। পরের দিন টনি কাজে আসে না এবং অন্য এক পুলিশ বলে, “হি গট হার্ট বাই এ্যা পিন”। এদিকে টনি বাসায় বসে টাওয়েল,সাবান ও ট্যাডি এগুলার সাথে নিঃসঙ্গতার কথা কইতে থাকে। রুমাল কেন কাঁদতেছে, সাবান পাতলা হইয়া যাইতেছে ইত্যাদি। এদিকে টনি’র কাছ থেকে অ্যাড্রেস নেয় ফেইয়ি এই বলে যে, চিঠিটা সে তার বাসায় মেইল করে দিবে। পরে ফেইয়ি চাবিসমেত চলে যায় টনির বাসায়। হাতে পিঙ্ক গ্লাভস পরে এদিক ওদিক তাকিয়ে বাসায় ঢুকে যায়। এখানে একটা কাট ইন হয়।

এই কাট ইন’র মাধ্যমে আমরা ঢুকে গেলাম বৃটিশ হংকং থেকে চায়না হংকং এ। আগের ওয়ার্ক আওয়ার শিফটিংটাকেও এভাবেই দেখা যাইতে পারে। আর চিঠি এবং চাবি হচ্ছে শিফটিং ট্রান্সস্ক্রিপ্ট।এটা আরো স্পষ্ট হইতে থাকে যখন ফেইয়ি সেকেন্ড টাইম টনি’র বাসায় আসে। টনিও হুট করে বাসায় চলে আসে, এরকম টাইমে সে আগের গার্লফ্রেন্ডকে এক্সপেক্ট করতো এবং গার্লফ্রেন্ড হাইড এন্ড সিক গেইম খেলতো। টনি এক, দুই, তিন কাউন্ট করে তাকে এক্সপেক্ট করে কিন্তু এবার সেই জায়গায় আমরা পাই ফেইয়িকে। যে নিজেকে লুকাইয়া যাইতে থাকে এবং টনি তাকে ফাইন্ড আউট করতে পারে না।

তার পরের বার ফেইয়ি যখন আসে,তখন বাসার সবকিছু দেখতে থাকে, টয়গুলার সাথে কথা বলতে থাকে এবং টয় বিমান নিয়া রুমে রুমে হাঁটতে থাকে এবং ক্যালিফোর্নিয়া ড্রিমিং বাজতে থাকে ব্যাকগ্রাউন্ডে। টবের গাছগুলারে শাওয়ারের নিচে রাখে। এমনিতে ফেইয়ি এখানে চঞ্চল একটা ক্যারেক্টার। দোকানদার তারে বলে ডেড্রিমার কিন্তু ফেইয়ি নিজে বলে, সে নাইটওয়কার।

 

[youtube id=”K7yez4lXjBI”]

 

পরদিন দুইটা শপিং ব্যাগ হাতে নিয়া যাইতে থাকলে মার্কেটপ্লেসে টনির সাথে দেখা হয় এবং টনিকে ব্ল্যাক কফি খাইতে দেইখা, নাক সিঁটকাইয়া চইলা যায়। চইলা যায় টনি’র বাসায়ই। এবার রিডেকোরেট করতে থাকে সবকিছু। মগ, সাবান, রুমাল সবকিছু চেইঞ্জ করতে থাকে। ব্যাকগ্রাউন্ডে তারই কণ্ঠে ক্যান্তো নিজে বাইজা উঠে “দ্য ক্র‍্যানবেরিস” এর ড্রিমস এর কাভার ভার্শন। পানির বোতলে ঘুমের ট্যাবলেট মিশাইয়া রাখে ব্ল্যাক কফি’র জন্য।অ্যাকুরিয়ামে নতুন মাছ ছাইড়া দেয় এবং ফুড ক্যানগুলার একটার লেবেল অন্যটায় লাগাইয়া দেয়।স্টুয়াডেসের কস্টিউম পইড়া ছবি তোলে।এরপর দিন গার্লফ্রেন্ড বাসায় আবার আসছে এই ফিলিংস নিয়া বাসায় আসে এবং বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ফেইয়ি’র সাথে মুখোমুখি হইয়া যায়। পরে ফেইয়ি চইলা গেলে রাতে সে সাবান, টাওয়েল ও ট্যাডি এগুলার সাথে কথা বলতে থাকে। কথাগুলো এরকম, গার্লফ্রেন্ড তো চইলা গেছে কিন্তু তারা এতো স্বাস্থ্যবান হইল কিভাবে! টাওয়েল থেকে পানি ঝরে পড়াতে সে কান্না টাইপের রিলিফ পায়।এরপর টনি এসে ফেইয়িকে তার বাসার ভিতরে পায় এবং ফেইয়ি দরজা বন্ধ করে দেয় এবং টনি দরজা খুলতে পারলে ফেইয়ি পালাইয়া যায়। টনি দোকানে গিয়া তার কাছে চাবি চায় এবং ডেইট’র অফার করে এবং বাসায় রেখে আসা সিডি ব্যাক দেয়। ফেইয়ি লজ্জিত ও চঞ্চল হইয়া ওঠে ও ব্যাকগ্রাউন্ডে ‘হোয়াট এ্যা ডিফ্রেন্স এ্যা ডে মেইকস’ বাজতে থাকে।

 

[youtube id=”_rBBKmDIUtY”]

 

টনি এবার চলে যায় বারে এবং সেখানে অপেক্ষা করতে থাকে এবং টাইম ল্যাপস হইতে থাকে।সেক্সোফোনের আওয়াজ আসতে থাকে কিন্তু ফেইয়ি আসে না। দোকানে গিয়া খোঁজ নেয়, ফেইয়ি চাকরি ছাইড়া ক্যালিফোর্নিয়া চইলা গেছে তারে একটা চিঠি দিয়া। টনি’র সাথে আগের গার্লফ্রেন্ডের দেখা হয় শপে, সে নতুন বয়ফ্রেন্ড নিয়া আছে এবং বিয়ারের দামটা টনিরে পে করতে কইয়া যায়।দোকানে পে করতে গিয়া এবার চিঠিটার দিকে নজর পড়ে, এবং বের হওয়ার সময় ট্র‍্যাসে চিঠিটা ফেলে দেয়, না পড়েই। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছিল।কি মনে করে আবার চিঠিটা কুড়াইয়া আনে এবং ভেজা চিঠিটার ভাজ খোলে, দেখে ওটা এক বছর পরের একটা বোর্ডিং পাস ছিল। অন্যদিকে ফেইয়ি ভাবতে থাকে বৃষ্টিতে, সে আদৌ চিঠিটা খুলবে কিনা!

পরের সিনে ফেইয়িকে স্টুয়াডেসের আউটফিটে দেখা যায়, লাগেজ হাতে দোকানের এসে ঝাপি খোলে দেখে ফাঁকা দোকানে বইসা আছে টনি। দোকানদার দোকান টনি’র কাছে বেইচা চইলা গেছে।ফেইয়ি’র চুলও আগের চে’ একটু বড় হইছে। টনি বোর্ডিং পাসের প্রসঙ্গ তুলে বলে এটা আজকের ডেইটে ছিলো। ফেইয়ি টিস্যুতে আরেকটা বানাইয়া দিতে যায় এবং জিগায়,সে কোথায় যাইতে চায়?টনি বলে, সে যেখানে নিয়া যাইতে চায়। ক্যামেরা সাউন্ডবক্সকে ফোকাস কইরা ”ড্রিমস’র” মিউজিক দিয়া মুভি শেষ হয়।

পুরা গল্পটাতেই চারটা ক্যারেক্টারকে ফোকাস করলে একটা মিল পাওয়া যায়, সেটা হচ্ছে চাওয়া পাওয়া, ভালোবাসা ও অপুর্ণতার পলিটিক্যাল রোমান্টিক কমেডি। শ্যাবি ফাস্টফুড দোকান, কোকের গ্লাস, মার্কেটপ্লেসে ভাত খাওয়া, বিয়ার, বোর্ডিং পাসগুলা ইকোনমি ক্লাস এগুলার ফোকাসিং সাধারণ মানুষের গল্পই বলতে থাকে যারা স্বপ্ন দেখে ও ভালোবাসে।

 

6558ee70debb8099079cc1ecfc6e415d

 

The following two tabs change content below.
Avatar photo

আবু ইলিয়াস হৃদয়

জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →