Main menu

বাঈজী, তাওয়াইফ কালচার এবং হিন্দি-সিনেমার গান

আমাদের এইখানে এখনো তো এইরকম ধারণা আছে যে, ব্রিটিশ’রা আসার আগে এই অঞ্চলের মানুশ-জন যেইরকম ‘অশিক্ষিত’ ‘কুসংস্কারাচ্ছন্ন’ ও ‘অন্ধকারে’ ছিল; নারী’রাও ছিল ‘পরাধীন’, ‘চার দেয়ালে বন্দী’ ‘মূক ও বধির’; ব্রিটিশরা আইসা মান-ইজ্জত দেয়া শুরু করছে। অথচ ‘ভিক্টোরিয়ান রুচি’ দিয়া যে বাঈজীদেরকে বেশ্যা বানাইছে (স্পেশালি রবীন্দ্রনাথ, জগদীশ গুপ্তের লগে এই তর্কে পাইবেন), সেইটারে দেখতেই পাই না আমরা।

এর মেজর কারণ হইতেছে, যতোই কলোনিয়ালিজম আমরা বুইঝা ফেলি, অরিয়েন্টালিজম আমরা পড়ি, আমাদের দেখাদেখি’র ভিতরে এই জিনিসগুলা কখনোই আমরা আলাদা করতে পারি নাই। চিন্তার কাজ হইতেছে ডিফরেন্সগুলারে মার্ক করতে পারা। এই কাজ এখনো আমরা করতে শুরু করতে পারি নাই, ঠিকঠাকমতন। 

তো, এই লেখাটাতে এই কোশেশ’টা আছে।

হিন্দি সিনেমা’তে গান কেমনে আসলো? – সার্চিং’টা এই জায়গা থিকা শুরু করতে গিয়া দেখা যাইতেছে, হিন্দি-সিনেমার মিউজিকের শুরু হইতেছে বাঈজীদেরকে দিয়া; নার্গিসের আম্মা জাদ্দীনবাঈ (নার্গিস হইতেছে উনার থার্ড হাজব্যান্ডের মেয়ে), ১৯৩৫ সালেই সিনেমার মিউজিক-ডিরেকশন দিছেন; উনার আগে ফাতিমা বাঈ ১৯২৬ সালে সিনেমার ডিরেকশন দিছেন। এই তাওয়াইফ’রা শিল্প-সাহিত্যরে লিড দিছেন, এমনকি হিন্দি সিনেমার মিউজিকের গোড়াতেও কন্ট্রিবিউশন উনাদেরই। 

‘আধুনিক সমাজ’ যত রিজিড ও লিনিয়ার হইছে উনাদেরকে ততটাই মার্জিনালাইজ করা হইছে এবং ফ্রিডম ছিনায়া নেয়া হইছে। এই ট্রান্সফর্মেশন পাকিজা (১৯৭২) সিনেমাতে খেয়াল করা যায়। পরে ওমরাওজান (১৯৮১), নিকাহ (১৯৮২), তাহজীব (২০০৩)… এইরকম সিনেমাগুলাতেও (বাঈজী আর না তখন) ফিমেইল আর্টিস্টদের ক্রাইসিসগুলা পাইবেন। দেখবেন, কিভাবে এই পজিশনটা, উনাদের ফ্রিডমের জায়গাগুলা ‘ভিক্টোরিয়ান রুচি’র সমাজে নাই হয়া গেছে।

তো, এই আলাপ’টা করতে যদি রাজি থাকেন, এই লেখাটা কন্ট্রিবিউট করতে পারে, আপনার থটে।

ই. হা.   

……………………………….

হিন্দি সিনেমায় অন্য একটা ব্যাপার দেখা যায়। মানে সিনেমার তো একটা বৈশ্বিক ভাষা আছে বা সিনেমা যে ওয়েতে কমিনিউকেট করে। কিন্তু তার বাইরেও নিজ নিজ এরিয়া, সোশ্যাল শিফটিংয়ের অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়া তো ভিন্ন প্যাটার্ন গড়ে উঠে। সিনেমার গ্রামার আর কি। হিন্দি সিনেমার একটা কমন ব্যাকরণ তো ধরা পড়ে অন্যান্য সিনেমা শিল্পের তুলনায়। লিরিক্যাল বা গীতিময় একটা ব্যাপার, গজল, কিংবা বেশি নাচ গান। যেমন মুঘল-ই-আজম সিনেমায় ১২ টা গান থাকে। এই যে আয়োজন করে গান, নাচের এই সচেতন সেটিং এটা তো অন্যান্য সিনেমায় দেখা যায় না। থাকলেও হয়ত পার্টি কিংবা ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে।

তো হিন্দি সিনেমার এই প্যাটার্ন গড়ে ওঠা, যেটা পরে আশেপাশের সিনেমারেও ইনফ্লুয়েন্স করছে, বাংলা কিংবা দক্ষিন ভারতীয় সিনেমা। যেমন এহতেশাম রহমানের ‘এ দেশ তোমার আমার’ সিনেমায় ইরোটিক বাইজী নাচ ছিল (ইমরুল হাসানের লেখায় যেটা উল্লেখ পাওয়া যায়)। তবে বাংলা সিনেমায় যেটা দেখা যায় রহিম রূপবানে, গানে গানে কিসসা বলা সেটা এখনকার ওরাল কালচারই। মানে এটা এখানে ‘লোক কালচার’ হিসেবে ছিলই, সিনেমাটা খালি তারে পিক করছে। মোটাদাগে এই যে সিনেমার একটা ব্যাকরণ হয়ে উঠা, পশ্চিমীয় গঠন রে পাশ কাটায়া, এখানকার কবিরা যেটা পারেনি ইউরোপীয় আধুনিক ধাঁচের বাইরে কবিতা লেখা, সেটা গড়ে ওঠার পেছনে তো একটা সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট দায়ী।

কেন সিনেমার একটা স্বতন্ত্র প্যাটার্ন গড়ে উঠল এখানে– নাচ, গজল, দুয়েক লাইনের গভীর অর্থবহ শের, গান কিংবা গীতিময় সংলাপ– মানে রোমান্টিসিজম, আমোদ-আহলাদ কিংবা বিরহরে নাচ গান দিয়ে উদযাপন করা। বিচ্ছেদের ক্ষত এত গভীর কিংবা প্রেমের তীব্রতা এত বেশি যে গান ছাড়া সেটার এক্সপ্রেশন দেওয়া যাচ্ছে না। আবার মুঘল-ই-আজম সিনেমায় এটা খেয়াল করা যায় যে নাচের তাল, দ্যোতনার মধ্য দিয়াও প্রেম, বিষাদ প্রকাশ পাচ্ছে।

মোটা দাগে তাওয়াইফ বা বাইজীদের বোম্বে সিনেমায় আগমন। তাগোরে এখনকার প্রস্টিউট বা পার্টি গার্ল দিয়া বুঝতে গেলে সমস্যা। মূলত রাজা, জমিদার বা এলিটরা তো তাগো কাছে যাইত একটা রিলিফের জায়গা হিসেবে, বিক্ষিপ্ত মনের প্রশান্তির জায়গা। কিন্তু তারা ওখানেই সীমাবদ্ধ ছিল না আর কি। এবং তাদের একটা ক্লাস ছিল, একটা সামাজিক ভ্যালুও ছিল। এখনকার উইমেন এম্পাওয়ারমেন্টের বদলে একটা সত্যিকারের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা তাদের ছিলই। তো নাচ,গান, সুরের মূর্চনা কিংবা মদ খাওয়ার পার্টনারের বাহিরেও এলিটরা তাগো কাছে যাইত শলা পরামর্শ করার জন্য, দার্শনিক আলাপ, সমসাময়িক প্রেক্ষাপট বোঝার জন্য। মানে তারা একধরনের বুদ্ধিজীবিই (ড্যান্সিং উইথ দ্য ন্যাশনঃ কোর্টিজানস ইন বোম্বে সিনেমার লেখিকা রুথ ভানিতার ভাষায় ফিমেল ইন্টেলেকচুয়াল) ছিল কিংবা বর্তমান রাজনৈতিক উপদেষ্টার মত। এখনকার লোকজন যেমন বলে শুধু সুন্দরী মেয়ে হলেই তার লগে সেক্স করে মজা পাওয়া যায় না, যদি না তার মাথায় মাল থাকে, আর্টওয়ালা না হয়। মানে ইন্টেলেক্ট এবং বিউটির মিশ্রণ থাকা চাই। এই দুই উদ্দেশ্যই সার্ভ করতে পারত বাইজীরা।

নেটফ্লিক্সের রিসেন্ট সিরিজ ‘অ্যা সুইটেবল বয়’ তেও এই ব্যাপারটা দেখা যায়। সুর, নাচ, গায়কী কিংবা দেহের বাইরেও তাদের একটা ভ্যালু তো ছিলই। সায়ীদা বাঈরে দেখার জন্য মানুষ আখাংকা করত, পথঘাটে তার দিকে মুগ্ধ চোখে চেয়ে থাকত। বিপরীত একটা ব্যাপার অবশ্য ছিল এলিট ক্লাসের বউ ঝিদের মধ্যে। বাঈজীদের তারা একটু বাকা চোখে দেখত, ঠাট্টা বিদ্রুপ বা টিটকারি করত।

নেটফ্লিক্সের অ্যা সুইয়েটবল বয় সিরিজের পোস্টার

বাঈজীদের একটা ফ্যাশন, রুচি ছিল, তারা নাচত গাইত এবং কবিতাও লিখত। সেইগুলারে আবার নিজেরা সুর দিয়া গাইত। মানে তাদের রুচি চলাফেরা ছিল এলিট ক্লাসেরই।

অষ্টাদশ ও উনবিংশ শতাব্দীতে উত্তর প্রদেশ, বানারস, লাখনৌ সহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় রাজকীয় দরবার গুলোতে বাঈজীদের উত্থান ঘটে। ফার্সি শিয়া রাজদরবারে এদের বিচরণ ছিল। ওই দরবারগুলোর প্রভাব নিয়া বাঈজীরা তইরি করল কঠক-ভারতীর নাচের একটা ফর্ম, দাদ্রা-ক্লাসিক্যাল গানের ফর্ম, থুমরি- কিছুটা যাত্রা পালার মত নাচ, অভিনয়, ইরোটিসজিম, শের ও লোকগান। এরাই হয়ে গেল ক্লাসিক্যাল হিন্দুস্তানী মিউজিকের ধারক ও পৃষ্ঠপোষক।

(অপ্রাসঙ্গিক হলেও একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার এখানে বলে রাখি। বাইজীদের মধ্যে একধরনের মাতৃতন্ত্ চর্চা হত। সেটা পুরুষবিদ্বেষ বা পুরুষতন্ত্রের বিপরীতে না। কন্যা সন্তান জন্ম নিলে সেই পরিবারে খুশীর বন্যা বয়ে যেত। ছেলে সন্তান হলে কেমন একটা দুঃখী ভাব। এইটা পুরুষবিদ্বেষ না বরং সেলিব্রেশনের জায়গা। আরেকটা ব্যাপার খেয়াল করা যাইত- হিন্দু-মুসলিম সিনক্রিটিজম, একে অপরের কিছু রীতি পালন করা। পরিবারে কন্যা সন্তানরে মুসলিম হিসেবে লালন করা অপরদিকে ছেলেদের হিন্দু ধর্মে।)

১৯২০ দশকের শুরুর দিকে যখন কলোনিয়াল আইডিয়া চিন্তা ভাবনাগুলা শক্তিশালী হচ্ছিল, ধীরে ধীরে বাইজীদের সম্মান ও চাহিদা কমতে শুরু করেছিল। নাক উঁচা আরবান মিডল ক্লাসের উত্থান শুরু হয়। যারা ভিক্টোরিয়ান নর্মসগুলারে নিজেদের ভেতর নিয়া নিল আর নিজদের সামাজিক প্রতিষ্ঠান, ভাষা সংস্কৃতি নিয়া বিব্রতবোধ করা শুরু করল। যাত্রা, বাঈজী এগুলারে ইরোটিক, ‘অশ্লীল’ একটা ট্যাগ লাগায়া এক্সলুড করতে চাইল। এই ওয়েস্টার্ন কঞ্জিউমাররা ওয়েস্টার্ন সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করতে চায়। বিদম্যান কালচারের ততটুকুই তারা নিতে চায় যতটুকুতে ওয়েস্টার্ন শ্যাডো খুজে পায় । আবার রাজা, জমিদারগণ আগের স্ট্যাটাস ধরে রাখতে পারেনি কিংবা সেল্ফ অটোনমি হারাইতেছিল।

তো সে সময়ে বাঈজীদের গ্লোরিয়াস লাইফ স্টাইল, সোশ্যাল স্ট্যাটাস ও ভ্যালু এগুলা হারাইতেছিল। তাদের বেশর ভাগ মুভ করল বোম্বে তে। সিনেমায় অভিনয় শুরু করল কেউ কেউ, মিউজিক ডিরেক্টর, সিনেমার গানে কন্ঠ দিল, তাদের ট্র্যাডিশনের গান, নাচ সিনেমার অংশ হইল। এই ট্র্যাডিশনের অনেক গানই সিনেমায় ঢুকে পড়ছে সচতেনভাবে। যেমন মুঘল-ই-আজমের ‘মোহে পানঘাত পে নান্দলাল ছেড় গায়ে রো’ গানটা উত্তর প্রদেশের তাওয়াইফ ট্র্যাডিশন থেইকা নেওয়া।

 

ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হইল তখনকার সময়ে মেইন্সট্রিমের কোন নারী সিনেমা পাড়ায় যাইত না। মানে ধর্ম কিংবা সমাজে নারীর একটা ‘আদর্শ’ রূপ ছিল। স্বামীর খেদমত, পোলাপান মানুষ করা, ঘরে থেকে ঘরের কাজ গোছানোই একজন আদর্শ নারীর। নারী মানে আদর্শ মা এবং আদর্শ স্ত্রী। এই সংসারজীবনের বাহিরে অন্য কিছুতে অংশগ্রহণ করলে তারা আর আদর্শ থাকতেছে না। মানে বিয়ে সংসার হয়ে উঠছে না। তো এই ব্যাপারটা ধরা পড়ে ‘দেবদাস’ সিনেমায়। পারু যখন চন্দ্রমুখীরে কইতেছিল, তাওয়াইফের তাকদিরে স্বামী নাই, প্রতি উত্তরে চন্দ্রমুখী কইল, তাওয়াইফের তো তাকদির বলতেই কিছু নাই। এই নাক ছিটকানোটা ছিল আর কি।

একটা ট্যাবু হোক কিংবা নিজেদের উপর আরোপিত ব্যাপার হোক, নারীরা তখন অভিনয় করাটারে ভাল চোখে দেখেনি। এজন্য নারীর পার্টগুলাও মেক আপ নিয়া পুরুষদের করতে হইছে।

তো বাইজীদের সিনেমায় পাড়ায় আগমন একটা সত্যিই আনন্দের ব্যাপার ছিল। অন্তত নারীর অভিনয় নারী করতে পারার সুযোগটা এসেছিল। ধীরে ধীরে তারা হিন্দি সিনেমারে ইনফ্লুয়েন্স করছে, হয়ে উঠেছে এই শিল্পের প্রথম দিককার অবিচ্ছেদ্য অংশ। অভিনেত্রী নার্গিসের মা জদ্দনবাঈ এক্ষেত্রে একজন পাওনিয়ার। তিনি হিন্দি সিনেমার জন্য মিউজিক কম্পোজ করেছেন, প্রডিউস করেছেন এবং ডিরেকশন ও দিছেন। সঙ্গীত মুভিটোন নামে তার একটা প্রডাকশন হাউজ ও ছিল। তারপর আসছে ফাতমা বেগম, প্রথম নারী যিনি হিন্দি সিনেমা ডিরেকশন দিছেন। ফাতমা বাঈর কন্যা জুবেদা, রাজ্জাক সুলতানা ও বিখ্যাত অভিনেত্রী ছিল। নিম্মির মা ওয়াহিদানও ছিলেন একজন বাইজী। বাইজী ট্র্যাডিশনের নাচ গান নিজের মেয়েরে শিখাইছেন।

হিন্দি সিনেমা গানের কিংবদন্তি যাদের ধরা হয়– নওশাদ, এসডি বর্মন ও সলীল চৌধুরি– এরাও এই তাওয়াইফ মেহফিল সঙ্গীতের কাছে ঋণী।

তো এই সময়ে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি, চিন্তা ধারা গুলো প্রভাব বিস্তার করছিল। যেটারে একমাত্র ‘আধুনিকতা’ হিসেবে হাজির করা হয়। কিন্তু ইউরোপীয় ‘আধুনিক’ সভ্যতার বাহিরে তো সভ্যতা ছিল-সমৃদ্ধ ও আধুনিক। ইউরোপীয় সভ্যতার বাহিরে বাকিগুলারে খারিজ করে দেওয়ার পক্ষপাতি না রুথ ভানিতা। তিনি বলতেছিলেন ভারতে আগে থেকেই আধুনিকতা ছিল, ইনডেজিনাস মডার্নিটি। যে আধুনিকতা ভিন্ন ফর্মে ছিল বা কলোনিয়াল ডেফিনিশনে বাহিরে আলাদা ব্যাপার। সম্পর্ক, যৌনতা, ধর্মীয় কিংবা ভাষার জটিল আইডিয়াগুলো তো ছিল। একটা কাচলচার তো ছিলই হিন্দু-মুসলিম মিলায়া। বাইজীরা যখন সিনেমায় আসা শুরু করল, তাদের গান, নাচ, পোয়েট্রি বোম্বে সিনেমাতে ফুটে উঠল, তারাই হয়ে উঠল ‘ভয়েস অব ইনডেজিনাস মডার্নিটি’।

ভিন্ন একটা করূণ আলাপ অবশ্য আছে। এই অস্ট্রাসাইজেশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়া তাওয়াইফদের কিছু অংশ প্রস্টিটিউশনে জড়াইছে বা বাধ্য করা হইছে। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে সিনেমায় তাদেরকে সেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়নি বা তাদের গ্লোরিয়াস লাইফস্টাইল ফোকাস করা হয়নি। সিনেমায় বেশিরভাগ ‘তাওয়াইফ’ চরিত্রেই অভিনয় করতে হইছে, সেক্সচুয়াল ইলেমেন্টগুলারে হাইলাইট করা হইছে। এই ধাবাহিকতায় চন্দ্রমুখি, উমরাও, পাকিজাহ, আনারকলি চরিত্রগুলি বিখ্যাত হইছে। । তারও পরে যখন মেইন্সট্রিমের নারীরা সিনেমায় আসতে শুরু করল তখন এরা সিনেমার জায়গাটাও হারাইল।

………………

যে জিনিসগুলা থেইকা সাপোর্ট নিছি-

অ্যা ব্রিফ হিস্ট্রি অফ বাংলাদেশি সিনেমা, ইমরুল হাসান
ড্যান্সিং উইথ দ্য ন্যাশনঃ কোর্টিজানস ইন বোম্বে সিনেমা, রুথ ভানিতা
‘তাওয়াইফস’ অব আওয়াধঃ দ্য ফার্স্ট উইমেন অব হিন্দি সিনেমা
তাওয়াইফনামা, সাবা দেওয়ান
The following two tabs change content below.
Avatar photo

মাইনুদ্দিন সেজান

জন্ম ঊনিশো পঁচানব্বই, নোয়াখালীতে। পড়াশানা শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিষয়ে। টুকটাক লেখালেখি ও সাংবাদিকতা।
Avatar photo

Latest posts by মাইনুদ্দিন সেজান (see all)

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →