Main menu

লবএস্টার এর কথা ভাবেন [Consider the Lobster]

[এইটা ডেভিড ফস্টার ওয়ালেসের একটা আর্টিকেল, যেটা পোত্থম বার ছাপা হইছিলো ২০০৪ সালে, খাবার দাবার সম্পর্কিত ম্যাগাজিন Gourmet এ। ম্যাগাজিনে ছাপার সময় এডিটর এটায় বেশকিছু ভাইটাল এডিটিং ঘটাইছেন। আমরা তরজমার জন্য ইউজ করসি ২০০৫ সালে Little, Brown and Company নামক পাবলিকেশন থেকা ছাপানো “Consider the Lobster and other Essays” বইতে পাওয়া ভার্শন’টা। এই ভার্শন’টা ডেভিড ফস্টার ওয়ালেসের নিজের কন্ঠে বক্তিতা আকারে-ও পাওয়া যায় ইন্টারনেটে। 

নাম্বারিং করা ফুটনোট’গুলা লেখকের নিজের, আর অন্যান্য থার্ড ব্র্যাকেট’আলা অংশগুলা বাংলা তরজমায় অ্যাড করা।]

এক মস্ত বড় মচ্ছব, যেইটার জমজমাট মার্কেটিং করা হয়, আর যেইটার একটা কড়া গন্ধ আছে, বলতেছি মেইন লবএস্টার ফেস্টিভাল [Maine Lobster Festival] এর কথা, তার আয়োজন করা হয় পোত্যেক বছর জুলাইয়ের শেষে [মেইন] রাজ্যের মিডকোস্ট এলাকায়, অর্থাৎ পেনোবেস্কট বে [Penobskot Bay] ‘র থেকা পচ্চিম সাইডে, মেইনের লবএস্টার ইন্ডাস্টি’র মেরুদন্ড যেখানে। মিডকোস্ট বলতে বুঝায় আউল’স হেড থেকা দক্ষিনে থমাস্টন পর্যন্ত আর উত্তরে বেলফাস্ট পর্যন্ত। (আসলে, এটা হয়তো বাক্সপোর্ট পর্যন্ত-ই বিস্তিত, কিন্তু আমরা কোনো সময় ১ নাম্বার রুট দিয়া বেলফাস্ট থেকা আর উত্তরের দিকে যাইতে পারি নাই, কেননা গরম কালে টেরাফিকের অবস্থা থাকে, বুঝতেই পারতেছেন, খুবি জঘন্য।) এ অঞ্চলের বড়ো দুই কমিউনিটি ক্যামডেনে থাকে, যারা অনেক আগের থেকাই পয়শা’আলা, যাদের আছে ইয়টে ভরা হারবার, আর ফাইভ-এস্টার রেস্টুরেন্ট, উচ্চমানের বিএন্ডবি, আর এ অঞ্চলে আছে রকল্যান্ড, যেটা একটা পুরাতন ফিশিং টাউন, এখানেই পোত্যেক সামারে এই মচ্ছবের আয়োজন হয় ঐতিহাসিক হারবার পার্কে সমুদ্রের পাড়ের সাথে ঘেশে।[১] 

পর্যটন আর লবএস্টার হইতেছে মিডকোস্ট এলাকার দুই পোরধান শিল্প, আর এ দুইটাই গরম-ওয়েদারের দান, আর মেইন লবএস্টার ফেস্টিভাল যতটা না এ দুই ইন্ডাস্টির মিলন, তারচেয়ে বেশি একটা ইচ্ছা করে ঘটানো সংঘর্ষ, যেটার মধ্যে আনন্দ আছে, মুনাফা আছে এবং যেটা লাউড। এই গোরমেট আর্টিকেল’টার জন্য নির্ধারিত বিষয় হইতেছে ৫৬তম বার্ষিক এমএলএফ, যেটা পালন করা হইছে ২০০৩ সালের জুলাইয়ের ৩০ থেকা আগস্টের ৩ তারিখ পর্যন্ত, যার অফিশিয়াল থিম ছিলো “লাইট-হাউজেস, লাফটার অ্যান্ড লবএস্টার”সর্বমোট উপস্থিতির সংখ্যা ছিলো ১,০০,০০০ যাদের একটা অংশ আসছিলো জুনে সিএনএন ‘এর একটা ন্যাশেনাল পোগ্রামে ফুড-অ্যান্ড-ওয়াইন ম্যাগাজিনের একজন সিনিয়র এডিটরের তারিফ শুইনা, যিনি কইছিলেন যে দুনিয়ার ফুড-থিমের মচ্ছব ‘গুলার মধ্যে এমএলএফ সেরা’দের কাতারে থাকবে। ২০০৩ ফেস্টিভালের হাইলাইটস: লি অ্যান ওম্যাক এবং অরলিন্সের কনসার্ট, বার্ষিক মেইন সমুদ্র-দেবি সুন্দরি পোতিযোগিতা, শনিবারের বিগ পেরেড, রবিবারের উইলিয়াম জি. অ্যাটউড মেমোরিয়াল কেরেট রেইস (crate race), বার্ষিক এমেচার রান্না পোতিযোগিতা, কার্নিভাল রাইড আর মিডওয়ে এট্রাকশন আর খাবারের বুথ, আর এমএলএফ ‘এর মূল ইটিং টেন্ট, যেখানে ২৫,০০০ পাউন্ডেরও বেশি টাটকা মেইন লবএস্টার রান্না করা হয় এবং খাওয়া হয়, এখানে আছে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় লবএস্টার কুকার, উত্তর দিকের গেটের কাছে এই তাঁবুর অবস্থান। এছাড়াও পাওয়া যায় লবএস্টার রোল, লবএস্টার টার্নওভার, লবএস্টার সৌতে, ডাউন ইস্ট লবএস্টার সালাদ, লবএস্টার বিস্ক, লবএস্টার রেভিওলি, এবং ডিপ-ফ্রাইড লবএস্টার ডামপলিং। লবএস্টার থারমিডর পাওয়া যাবে দা বেলাক পার্ল নামে একটা বসে খাওয়ার রেস্টুরেন্টে, যেটার অবস্থান হারবার পার্কের উত্তর-পচ্চিমে জাহাজঘাটে। মেইন লবএস্টার পোচারনা পরিষদের এস্পন্সরে একটা বড়সড় বুথ বানানো হইছে, যেখানে বিনামুল্যে রেসিপি, খাওয়ার টিপস এবং লবএস্টার নিয়ে মজার তথ্য দেয়া লিফলেট পাওয়া যায়। শুক্রবারের এমেচার রান্না পোতিযোগিতা’র যিনি বিজয়ী, তিনি রান্না করসেন সেফ্রন লবএস্টার রেমেকিন, যেটার রেসিপি ডাউনলোড করতে পারবেন www.mainelobsterfestival.com থেকে। আরো আছে লবএস্টার টি-শার্ট এবং লবএস্টার পুতুল, ফু দিয়া ফুলানোর লবএস্টার খেলনা, এবং লাল রঙের বড় বড় ক্ল [claw] ’ওয়ালা লবএস্টারের মুর্তি, যার ক্ল’গুলা নড়তে থাকে ইস্পিরিং এর সাহায্যে। এই পোতিবেদক এইগুলা সব দেখসেন, সাথে ছিলো তার গালফেরেন্ড, এবং মা-বাপ দুইজনও ছিলো, মা-বাপের মধ্যে একজন মেইনেই জন্মাইছেন ও বড় হইছেন, যদিও সেটা একবারে উত্তরের দিকে, সমুদ্র থেকা দূরে, যেটা আলু চাষের এলাকা, এবং মিডকোস্টের টুরিস্ট দুনিয়া থেকা আলাদা।[২]

দৈনন্দিন দরকারের হিশাবে, সবাই জানে লবএস্টার কী। তবে, সাধারণত, আমাদের মধ্যের বেশির ভাগ মানুশ যতটুকুর কেয়ার করেন তার চাইতেও বেশি জানার দরকার আছে – নির্ভর করতেছে কোন ব্যাপারটায় আপনার আগ্রহ, সেটার উপরে। ট্যাক্সনমির ভাষায় বললে, লবএস্টার হইতেছে একটা সামুদ্রিক কেরাস্টেশিয়ান [Crustacean], লবএস্টারের ফ্যামিলির নাম হোমারিডি [Homaridae], যাদের বৈশিষ্ট্য হইলো পাঁচ জোড়া খন্ডিত [segmented] পা, এর মধ্যে পোত্থম জোড়ার মাথায় থাকে বড় বড় শাড়াশির মতো ক্ল, যেটা দিয়া তারা শিকার ধরে। সমুদ্রের তলানির অনেক মাংশ-খোর’দের মতোই লবএস্টার-ও একইসাথে শিকারি এবং এস্ক্যাভেনজার [Scanvenger – মরা প্রানি খায় যারা]। তাদের চোখগুলা এস্টকড আই [Stalked Eye – বডি থেকে ডাটার মতো অংশ বাইর হয়, যার আগায় চোখ বসানো থাকে], তাদের শ্বাসের ছিদ্র থাকে পায়ে, এছাড়াও তাদের এন্টেনা থাকে। দুনিয়াজুড়ে লবএস্টারের রকম ভেদ আছে কয়েক ডজন, যার মধ্যে আমরা আলাপ করতেছি মেইন লবএস্টার [Maine lobster] নিয়া, Homarus americanus. ইংলিশ ‘lobster’ শব্দটা আসছে ওল্ড ইংলিশ ‘loppestre’ থেকা, আর ‘loppestre’ সম্ভবত আসছে ল্যাটিন ‘locust’ এর লগে ওল্ড ইংলিশ ‘loppe’ – যার অর্থ মাকড়সা – এ দুই মিলায়া।         

কেরাস্টেশিয়ান মানে হইতেছে কেরাস্টেশিয়া [Crustacea] ক্লাসের অন্তরভুক্ত জলচর আর্থোপড [Arthropod], যার মধ্যে রইছে কাঁকড়া, চিংড়ি, বার্নাকল, লবএস্টার, এবং স্বাদুপানির কেরেফিশ [crayfish]। এই সবই এনসাইক্লোপিডিয়া’তে পাওয়া যায়। আর, একটা আর্থোপড [Arthropod] হইতেছে আর্থোপডা [Arthropoda] নামক ফাইলাম [Phylum] এর একজন সদস্য, এরা সবাই অ-মেরুদন্ডি প্রানি। এই ফাইলাম এ কেরাস্টেশিয়ান ‘দের পাশাপাশি আরো আছে পোকামাকড়, মাকড়সা এবং চেলা জাতীয় প্রানিরা [Centipedes/Milipedes], এদের শরিলে কোনো মগজ-হইতে-মেরুদন্ড-বসানো সেন্টাল সিস্টেম নাই, তার পাশাপাশি এদের অপর কমন বৈশিষ্ট্য হইতেছে, কাইটিনের তৈরি একজো-এস্কেলেটন [Exoskeleton – কংকাল, যেইটা বডির ভিতরে থাকে না, বরং বাইরে। এসব প্রানিদের বাইরের খোলশ’টাই এদের বডির শেইপ দেয়, অর্থাৎ কংকালের কাজ করে], এবং এটা থাকে খন্ডে খন্ডে ভাগ হয়ে, এসব খন্ডের সাথে জোড়ায়-জোড়ায় লাগানো থাকে হাত-পা জাতীয় অংগ’গুলা। ] 

 কথা হইতেছে লবএস্টার মুলত বিশাল সাইজের সামুদ্রিক পোকা [৩]। বেশির ভাগ আর্থোপড ‘দের মতোই তারাও জুরাসিক পিরিয়ডের সময় থেকা এই পিথিবিতে আছে। বায়োলজিকালি এরা ম্যামাল ‘দের তুলনায় এতোটাই পুরাতন যে এরা অন্য কোনো প্ল্যানেট থেকাও আইশা থাকতে পারে। আর এরা যখন এদের নেচারাল বাদামি-সবুজ দশায় থাকে, ক্ল ‘গুলারে তলোয়ারের মতো আর মোটা মোটা এন্টেনা ‘গুলারে চাবুকের মতো নাড়াইতে থাকে – এটা মধুর কোনো দিশ্য না। আর এটা সত্য যে তারা সাগরের ময়লা-পরিষ্কারক, মরা জিনিশের খাদক [৪] । যদিও তারা কিছু কিছু জ্যন্ত শেলফিশ-ও খায়, কিছু কিছু ইনজুর্ড মাছ খায়, মাঝে মাঝে একে অপরকেও খায়। 

তবে তারা নিজেরাও খাবার হিশাবে ভালো। অথবা এমনটাই আমরা এখন মনে করি। ১৮ শতকের দিকে যদিও লবএস্টার ছিলো লিটারেলি লো-কেলাস খাবার। শুধুমাত্র বন্দি’রা এবং গরিব মানুশেরা এটা খাইতো। এমনকি শুরুর দিকের আমেরিকার ওই অমানবিক শাস্তির পরিবেশেও কিছু কিছু কলোনিতে আইন ছিলো যে কয়েদি’দেরকে সপ্তায় একবারের বেশি লবএস্টার খাওয়ানো যাবে না, কারণ এটারে নিশঠুর আর অস্বাভাবিক মনে করা হইতো, মানুশরে ইন্দুর খাওয়ানো টাইপ ব্যাপার হিশাবে দেখা হইতো। লবএস্টারের এমন লো-এস্টেটাস এর পিছে একটা কারণ ছিলো পুরাতন নিউ-ইংল্যান্ডে এদেরকে পোচ্চুর পরিমাণে পাওয়া যাইতো [নিউ ইংল্যান্ড – ইউএসএ’র একবারে উত্তর-পূর্ব কোণের এলাকা; বর্তমানে ছয়টা রাজ্যে ভাগ করা] “অবিশ্বাস্য রকমের বেশি পাওয়া যায়” – এরকম বলা হইছে একটা সোর্সে, যেখানে বলা আছে পিলিমাউথের মুহাজির’রা [Plymouth pilgrims – একদল ইংরেজ সেটেলার, এরা ইংল্যান্ড থেকা Mayflower নামক জাহাজে কইরা নর্থ আমেরিকায় আসেন, এবং পিলিমাউথ কলোনি পোত্তিষ্ঠা করেন] অল্প পানিতে হেঁটে হেঁটে হাত দিয়া লবএস্টার ধরতেন, আরো বলা আছে তুফানের পরে বোস্টনের সমুদ্র তীর লবএস্টার দিয়ে ভইরা যাবার কথা, যেটা দুর্গন্ধ তৈয়ার করতো এবং সারের কাঁচামাল হিশাবে কাজে লাগতো। আরো জানা যায় যে, আধুনিক যুগের আগে বেশিরভাগ লবএস্টার রান্না হইতো মরা অবস্থায়। এদেরকে পিরিজার্ভ করে রাখা হইতো লবন দিয়া, অথবা বাতাস ঢুকবে না এরকম কন্টেইনারে প্যাক করা হইতো। সমুদ্রের তিরে এরকম এক ডজন ক্যানারি ছিলো মেইনের লবএস্টার ইন্ডাস্টির পোত্থম দিককার বেইস, এটা ১৮৪০ এর দশকের কথা। এখান থেকা জাহাজে কইরা লবএস্টার পাঠানো হইতো দুর-দুরান্তে, যেমন ক্যালিফোর্নিয়ায়। এর চাহিদা ছিলো মুলত একারনে যে এটা সস্তা এবং পোর্টিনে ভরা, বেসিকালি এটা ছিলো চিবানো-যোগ্য জ্বালানি [chewable fuel]।   

তবে এখন অবশ্যই লবএস্টার একটা পশ খাবার, একটা ডেলিকেসি, কেভিয়া (caviar) থেকা মাত্র এক বা দুই ধাপ নিচেই তার অবস্থান। বেশির ভাগ মাছের তুলনায় লবএস্টারের মাংশ ভারি খাবার এবং এতে ক্যালরি বেশি থাকে। মাসেল আর ক্ল্যাম [mussels and clams] এর স্বাদে যেরকম একটা তিব্রতা থাকে, লবএস্টারের স্বাদ ওই তুলনায় আরো মোলায়েম। ইউএস’এ খাবার নিয়া যেই পপ ইমাজিনেশন আছে সেখানে সামুদ্রিক খাবারের মধ্যে লবএস্টারের জায়গাটা হইতেছে নরমাল খাবারের মধ্যে স্টেকের জায়গাটার মতো, আর এ দুইটারে একসাথে পাইতে পারেন সার্ফ এন টার্ফ নামের খাবারে, যা চেইন স্টেক হাউজ ‘গুলার মেনুতে সবচেয়ে দামি অংশে থাকে [চেইন রেস্টুরেন্ট হইতেছে এমন কোনো রেস্টুরেন্ট যার বিভিন্ন জায়গায় শাখা আছে]। 

বাস্তবে, এমএলএফ এবং সমস্ত জায়গায় এটার পোচারনা চালানো মেইন লবএস্টার পোচারনা পরিষদের একটা মস্ত ধান্দা হইতেছে এই আইডিয়া’টারে বদলানো যে, লবএস্টার একটা অকেশনাল বিলাসিতা বা অ-স্বাস্থ্যকর কিংবা দামি খাবার যা কেবল অ-স্বাস্থ্যকর রুচির লাইগা উপযোগি কিংবা আজকে-ডাইট-টাইট-গুনবো-না টাইপের অকেশনের লগেই কেবল লবএস্টার যায়। পেজেন্টেশনে আর লিফলেটে এটার উপ্রে বারবার জোর দেয়া হয় যে, মেইন লবএস্টারের মাংশে ক্যালরি কম থাকে, কোলেস্টেরল কম থাকে এবং মুরগির মাংশের চাইতে কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে [৫] । মূল ইটিং টেন্টে আপনি পাবেন একটা “কোয়ার্টার” (সোয়া এক পাউন্ডের লবএস্টার’কে ইন্ডাস্টি’তে কোয়ার্টার বলে), মেল্টেড বাটারের একটা চার-আউন্স কাপ, একটা চিপসের ব্যাগ, আর বাটার-প্যাট সহ একটা সফট রোল। আপনার খরচ পড়বে ১২.০০ ডলার, যেটা ম্যাকডোনাল্ড’স এ সাপার করলে যেরকম খরচ পড়বে সেটার চাইতে মাত্র অল্প একটু বেশি খরচ।     

তবে জাইনা রাখা ভালো যে মেইন লবএস্টার ফেস্টিভালের এই লবএস্টার’কে ডেমোক্রেটাইজ করার কাজের সাথে আরো যে জিনিশ মিলেমিশে থাকে তা হইতেছে মানুশের ভিড়-বাট্টার যাবতীয় প্যারা, এবং এস্থেটিকসের স্বার্থে পোকৃত ডেমোক্রেসিরে ছাড় দেয়া। যেমন দেখেন, উপ্রে যে মূল ইটিং টেন্টের কথা বললাম, ওইটার সামনে সারাক্ষণ ডিজনিল্যান্ডের মতো লাইন লাইগা থাকে, আর ভিত্রে ঢুকার পরে দেখা যায় ওইটা মুলত একটা সোয়া বর্গমাইল এলাকা জুড়িয়া সানশেড দেয়া ক্যাফেটেরিয়া’দের লাইন ও লম্বা লম্বা টেবিলের সারি যেখানে পরিচিত ও অ-পরিচিত সবাই ঘেশাঘেশি কইরা বসে, নিজ নিজ লবএস্টার লয়া ভাঙাভাঙি, কামড়াকামড়ি এবং নানা কারিগরি কইরা খাইতে থাকে। জায়গাটা গরম, এবং মাথার উপ্রের ব্যাঁকা ছাদ’টা বাষ্প আর গন্ধ’কে ভিতরে আটকায়ে ফেলে, এবং ভিতরে কড়া একটা গন্ধ ঘুরতে থাকে, যেটা কেবল খাবার-রিলেটেড গন্ধ না। জায়গাটা লাউড-ও, এবং এই নয়েজের একটা বড় অংশই হইতেছে চিবানোর শব্দ। খাবার দেয়া হয় এস্টায়রোফোম ট্রে’তে, আর সফট ড্রিংক’টা ঠান্ডা না এবং এটায় ঝাঁঝ-ও থাকে না খুবেকটা, আর কফি’টা হইতেছে নরমাল দোকানের কফির মতো এবং এটাও থাকে এস্টায়রোফোমে, আর চামুচ‘গুলা পেলাস্টিকের (লেজের মাংশ ঠেইলা বাইর করার জন্য কোনো এস্পেশাল লম্বা চিকন চামুচের ব্যাবস্থা থাকে না, যদিও কিছু বুদ্ধিমান খাদকেরা নিজেই নিজেরটা লয়া আসে)। লবএস্টার খাইতে যে পরিমান ঝামেলা সেই হিশাবে পর্যাপ্ত ন্যাপকিন-ও দেয় না তারা, এবং এই ঝামেলা’রে আরো বাড়ায়া তুলে পাশে ঘেশাঘেশি কইরা বসা নানা বয়সি বাচ্চারা এবং আশেপাশের নানা ধরনের নড়াচড়া – তাদের কথা কিইবা বলবো যারা ইলিগাল হইলেও সামহাও নিজেদের লাইগা বিয়ার নিয়া আসছে বিরাট কুলারের মধ্যে এবং সেটা দিয়া রাস্তা বলক কইরা ফেলছে, কিংবা তাদের কথাই বা কি বলবো যারা বিনা-মেঘে-বজ্রপাতের মতো হটাত কোত্থেকা নিজেদের টেবিল-কলথ বাইর করে আর সেটারে বিছাইয়া দিয়া টেবিলের বড় অংশ রিজাভ করে নিজেদের ছোট দলের লাইগা। ইত্যাদি ইত্যাদি। যেকোনো একটা উদাহরন’কে আলাদাভাবে দেখতে গেলে সেটাকে নিশ্চই একটা ছোটখাট প্যারা মনে হয়, কিন্তু এমএলএফ এরকম অনেক অনেক বিরক্তিকর অভিগ্যতা দিয়া ভর্তি – যেমন পোরধান স্টেজের হেডলাইনার শো’গুলার কথাই ধরেন, যাওয়ার পরে দেখা যায় যে বসার লাইগা একটা ফোল্ডিং চেয়ারের জন্য আপনারে আরো ২০ ডলার বাড়তি খরচ করতে হবে; কিংবা নর্থ টেন্টে যখন রান্না পোতিযোগিতার পর নিকুইল সিরাপের কাপের সমান করে ফাইনালিস্ট রেসিপি ‘গুলার স্যাম্পল বিলানো হয় তখনকার বিশৃঙ্খল অবস্থা; অথবা মেইন সমুদ্র-দেবি সুন্দরি পোতিযোগিতা, যেটার ফাইনাল নিয়া এত হাউকাউ, দেখা যায় যে লোকাল এস্পন্সর’দের থ্যাংকস আর টিরিবিউট দিতে দিতে এই পোগ্রাম’টারে অসম্ভব লম্বা বানায়া ফেলা হইতেছে। আর ওয়াশরুম ফেসিলিটির ব্যাপারে তো কিছু না বলাই ভালো, খাওয়ার আগে ও পরে মানুশ হাত ধুবে কোথায় এই কোশশেন-ও না তোলাই ভালো। মেইন লবএস্টার ফেস্টিভাল’কে আসলে যেটা বলা যায় সেটা হইলো একটা মিডলেভেল কানট্রি ফেয়ার যার সাথে রান্নাবান্না-খাওয়া দাওয়ার একটা আকর্ষণ যোগ করা হইছে [Country Fair – একটা মেলা যেটা বছরের নির্দিষ্ট সময়ে একটা নির্দিষ্ট এলাকায় হয়, ওই এলাকার বিভিন্ন ফার্মিং পোডাক্টের কেনাবেচা এবং পোচারনার সাথে ব্যাপারটা যুক্ত], আর এইদিক থেকা এটারে টাইড-ওয়াটার কেরাব ফেস্টিভাল, মিডওয়েস্ট কর্ন ফেস্টিভাল, টেক্সাস চিলি ফেস্টিভাল, ইত্যাদির থেকে আলাদা মনে হয় না, এবং এরকম জন-সমাগমে ভরা কমার্শিয়াল ইভেন্ট ‘গুলার মুল প্যারাডক্স এখানেও আছে, তা হইলো এটা সবার লাইগা না [৬]। ফুড অ্যান্ড ওয়াইন এর ইউফোরিক সিনিয়র এডিটরের বিরুদ্ধে কোনো খোভ নাই, কিন্তু আমি ভাবি উনি নিজে কখনো এখানে আসছিলেন কিনা, এই ভিড়ের ভিতর যেখানে মানুশেরা ডিপফ্রাইড টুইংকিস খাইতে খাইতে গায়ে বসা ক্যানাল-জোন মশার উপর থাবড় মারে, এবং দেখতে থাকে ৬ ফুট খাম্বার উপ্রে দাড়ানো রেইনকোট পরা পোফেসর পেডিহোয়েক আর সবদিক দিয়া ইস্পিরিং এর উপ্রে ভাসতে থাকা পেলাস্টিকের লবএস্টার’গুলা তাদের বাচ্চাদেরকে ভয় পাওয়াইতেছে।

লবএস্টার মূলত গরম কালের খাবার। এর কারণ আমরা আজকাল তাকে চাই টাটকা, যেটার মানে হইতেছে মাছটা ধরার পরপর এটারে খাইতে হবে, আর লবএস্টার সহজে এবং কম খরচে ধরতে পারা যায় সে ২৫ ফ্যাদমের চেয়ে কম গভিরতায় থাকলে [fathom – ছয় ফিটে এক ফ্যাদম হয়]। লবএস্টার সবচেয়ে খুদার্ত এবং একটিভ অবস্থায় থাকে গরম কালে ৪৫-৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় (ফলে তখনই তারে ফান্দে ফেলা সহজ)। শরত কালে অধিকাংশ মেইন লবএস্টার গভির পানিতে চইলা যায়, হয় গরম পাওয়ার জন্য অথবা হেভি ঢেউয়ের থেকে সেফ থাকার জন্য, যে ঢেউ নিউ ইংল্যান্ডের উপকূল’কে গোটা শীতকাল ধরে ফাটাইতে থাকে। এসময় লবএস্টার’দের কেউ কেউ সমুদ্রের তলায় গর্ত কইরা থাকতে থাকে। হয়তো তারা হাইবারনেট করে ওইসময়; নিশ্চিত না কেউ এ বিষয়ে [হাইবারনেট করার মানে হইলো, একটা লম্বা সময় ধইরা ঘুমে থাকা এবং এই সময়টার লাইগা শরিলের ভিতরকার পোক্রিয়া ‘গুলিতে এমনভাবে পরিবর্তন হওয়া যাতে এনার্জির খরচ সর্বনিম্ন রাখা যায়, এটা একটা নেচারাল পোক্রিয়া যেটা বিভিন্ন প্রাণির মধ্যে দেখা যায়, সাধারণত তিব্র শীত’কে ট্যাকেল দেয়ার জন্য] গরম কাল লবএস্টারের খোলশ ছাড়ার সময়ও – বিশেষ কইরা জুলাইয়ের শুরু থেকে মাঝে পর্যন্ত। কাইটিনুয়াস আর্থোপড’রা [যাদের কাইটিন নামক পদার্থ দিয়া তৈরি খোলশ থাকে] খোলশ ছাড়ে বড় হওয়ার জন্য, মানুশকে যেরকম বয়স বাড়া আর মোটা হওয়ার কারণে আরো বড় কাপড় কিনতে হয়। লবএস্টার যেহেতু ১০০ বছরেরও বেশি বাঁচতে পারে, সেহেতু তারা অনেক বড়-ও হইতে পারে, ৩০ পাউন্ড বা তারও বেশি – যদিও সত্যিকারের বয়স্ক লবএস্টার এখন দুর্লভ, কারণ নিউ ইংল্যান্ডের পানিতে সর্বত্র ফাঁদ বসানো [৭]  । যাইহোক, রান্নার খেত্রে শক্ত-খোলশ লবএস্টারের সাথে নরম-খোলশ লবএস্টারের ফারাক আছে, দ্বিতীয়’টারে অনেক সময় শেডার [shedder] নামেও ডাকা হয়। নরম-খোলশ লবএস্টার বা শেডার হইতেছে সে, যে রিসেন্টলি আগের খোলশ’টা ছাড়সে। মিডকোস্টের রেস্টুরেন্ট’গুলার গরম কালের মেনুতে সাধারনত দুইটাই পাওয়া যায়, যেখানে শক্ত-খোলশ লবএস্টারের তুলনায় শেডার এর দাম একটু কম থাকে, যদিও শেডার এর খোলশ ছাড়ানো আরো সহজ আর এর মাংশ’টাও আরো মিষ্টি। দাম কম হওয়ার কারণ হইতেছে, শেডার’রা তাদের খোলশ নরম থাকাকালে খোলশের ভিতর সমুদ্রের পানির একটা লেয়ার ব্যবহার করে আত্মরক্ষার জন্য, ফলে শেডারের খোলশ খোলার পর তার ভিতর মাংশ একটু কম পাওয়া যায়, আর একটা কড়া গন্ধআলা পানি বের হয়ে বাজে অবস্থা করে, কখনো লেবুর রসের মতো ছিটকায়া আপনার টেবিল-মেটের চোখেও পড়তে পারে। আপনি যদি শীতকালে লবএস্টার কিনতে যান, অথবা যেকোনো ঋতুতে আপনি যদি নিউ-ইংল্যান্ডের বাইরের অন্য কোথাও লবএস্টার কিনেন, তাইলে বাজি ধইরা বলা যাইতে পারে ওইটা শক্ত-খোলশ লবএস্টার হবে, যেটা স্বাভাবিক ভাবেই বেশিদূর পর্যন্ত চলাচল করতে পারে।

[লেখাটার বাকি অংশ পড়তে পারবেন বইয়ে। বইটা কিনতে এই লিংকে ক্লিক করেন। ]

 

(১) ওই এলাকায় একটা সুন্দর কথা পোচ্চলিত আছে, “সমুদ্রের পাড়ে ক্যামডেন, গন্ধের পাড়ে রকল্যান্ড”

(২) এই টুরে আমার সাথে পারসোনালি যারা যুক্ত ছিলেন তারা শুরুতেই এটা পরিস্কার করে বলছেন যে, তারা চান না তাদের ব্যাপারে এখানে কথা হউক।

(৩) মিডকোস্টে লবএস্টারের নেটিভ নাম “পোকা” [bug]। এরকম, “রোববারে আইশো, কয়টা পোকা রাইন্ধা খামু নে”। 

(৪) বাড়তি তথ্য : লবএস্টার ধরার ফাঁদে সাধারণত মরা হেরিং মাছ রাখা হয়।

(৫) অবশ্যই, কমন প্যাকটিস হইতেছে লবএস্টারের মাংশ’কে মেল্টেড বাটারের মধ্যে চুবায়ে নিয়ে খাওয়া, আর এটায় পোচ্চুর ফ্যাট থাকে, যে বিষয়ে পোচারনা পরিষদ কিছু কয় না, ঠিক যেরকম আলু-ইন্ডাস্টির পিআর থেকা সাওয়ার কিরিম আর বেকন বিট এর ব্যাপারে কিছু কওয়া হয় না।

(৬)  বাস্তবে, আকাশ-পাতাল তফাত আছে – ওয়ার্কিং-ক্লাস রকল্যান্ড এবং এর ফেস্টিভালের এই অতি পপুলিস্ট ফেলেভার এর বিপরিতে অতি আরামদায়ক এবং এলিটিস্ট ক্যামডেনের বড়লোকি ভিউ আর দোকান’গুলার যেখানে সোয়েটারের দাম শুরু হয় ২০০ ডলার থেকা, এছাড়াও আছে ভিকটোরিয়ান বাসাবাড়ি’দের অসাধারন লাইন যেইগুলারে ব্যয়বহুল বিএন্ডবি’তে কনভার্ট করা হইছে। আর এ তফাত’টাই হইতেছে সেই মহান মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ, যার নাম ইউএস টুরিজম। এই ব্যাপারে তেমন কোনো আলাপ এখানে করা হবে না, শুধু উপরে উল্লেখ করা প্যারাডক্স’টা নিয়ে আরেকটু কওয়া হবে এবং এই পোতিবেদকের নিজের পেরেফারেন্সের ব্যাপারে কওয়া হবে। আমি স্বীকার করতেছি আমি কখনোই এটা বুঝতে পারি না যে কেমনে এত এত মানুশের ছুটির দিনের আনন্দ করার আইডিয়াটা এরকম হইতে পারে – রঙিন স্যান্ডেল পইরা, চোখে সানগেলাস লাগায়া, টেরাফিক ঠেইলা ঠেইলা একটা লাউড এবং গরম এবং ভিড়-বাট্টায় ভরা টুরিস্ট ভেনু’তে “লোকাল ফেলেভার” এর টানে ছুইটা যাওয়া, যেখানে এই ফেলেভার’টা বাই ডেফিনিশন নষ্ট হয়া যাইতেছে টুরিস্ট’দের আসার কারনেই। এটা হইতে পারে (যেমনটা আমার সাথের মানুশগুলা বারবার বলতেছিলো) একজন মানুশের পার্সোনালিটি এবং তার হার্ড-অয়ারে খোদাই করা রুচির সাথে যুক্ত বিষয় : যেহেতু আমি টুরিস্ট ভেনু জিনিশটা পছন্দ করি না, তার মানে হইতেছে আমি কখনো বুঝবো না যে এখানে পছন্দ করার কি আছে, আর তাই এই ব্যাপারে আমার কথা কইবার দরকার নাই। তবে নিশ্চিত ভাবেই যেহেতু এই ফুটনোট’টা ম্যাগাজিনের এডিটিংয়ের সময় কাটা পড়ার পনেরো আনা সম্ভাবনা আছে, তাই কোনো প্যারা ছাড়াই বলতেছি : 

আমি যেভাবে দেখি, টুরিস্ট হওয়াটা সম্ভবত সৌলের জন্য ভালো, এমনকি যদি আপনি অনেকদিন পরপর এটা করেন সেখেত্রেও। রিফ্রেশিং বা জিবন ফিরা পাওয়া অর্থে না, বরং একটা বিশন্ন, নিশ-পেরান চোখে, সত্যের-দিকে-অনেস্টলি-দেখতে-পারা-এবং-এটারে-ডিল-করার-একটা-উপায়-বাইর-করা অর্থে। আমার পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্সে এরকম মনে হয় নাই যে দেশের ভিতরে ঘুইরা বেড়ানোটা মনকে বড় করে বা রিলাক্সিং ফিলিং দেয়, বা জায়গা আর পরিস্থিতির বড় পরিবর্তনের মাধ্যমে হৃদয়ের কোনো উপশম হয়, বরং দেশের ভিতরের টুরিজম’কে আমার কাছে মনে হইছে এটা অনেক বেশি ছোট করে, আর বিনয়ী করে অত্যন্ত নিশঠুর ভাবে – এটা আমার একজন সত্যিকারের ইন্ডিভিজুয়াল হওয়ার এবং সবকিছুর বাইরে ও সবকিছুর উর্ধে থাকার ফ্যান্টাসি’কে আঘাত করে। (এখন আসতেছে সেই অংশটা যেটা আমার সাথের মানুশদের কাছে খুবই অপছন্দের এবং বিরক্তির, ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার মজা’কে বরবাদ করার নিশ্চিত রাস্তা: ) আমার কাছে একজন মাস-টুরিস্ট [mass tourist] হওয়ার মানে হইলো, একজন পোকৃত লেট-ডেট এমেরিকান হওয়া : বিচ্ছিন্ন, জাহেল, এমন কিছুর জন্য লোভী যেটা সে কখনো পাবে না, এমন একটা ওয়ে’তে হতাশ যেটা সে কখনো স্বীকার করবে না। এটা হইতেছে, একদম সূত্রের মতো করে, নিজের মাধ্যমেই ওই জিনিশটারে বরবাদ করা যেই জিনিশটার বরবাদ না হওয়া দেখতে সে আসছে। এটা হইতেছে, নিজেরে ওই জায়গায় আইনা বসানো যেই জায়গাটা সকল নন-একোনোমিক ওয়ে’তে তারে ছাড়াই বেটার, এবং তারে ছাড়াই বেশি রিয়েল। এটা হইতেছে, লাইন’গুলাতে দাড়ায়া, জ্যামের গিট্টুতে বইসা থাইকা, এবং একের পর এক বিল মিটাইতে মিটাইতে নিজের সেই রূপ’টারে ধরতে পারা যেইটা পেইনফুল এবং যেইটার থেকা পালানোর পথ নাই: একজন টুরিস্ট হিশাবে তুমি একোনোমিকালি গুরুত্তপূর্ণ হয়া উঠো, কিন্তু একটা অস্তিত্ব হিশাবে হয়া উঠো বোঝা, একটা মরা জিনিশের উপরে একটা লাশখেকো পোকা হয়া উঠো।

 

The following two tabs change content below.
Avatar photo

লাবিব ওয়াহিদ

কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →