Main menu

অন লিব্রেলিজম

১৬১৯ সালে ভার্জিনিয়ার হ্যাম্পটনে একটা ইংলিশ জাহাজ ভিড়ে যার নাম ছিল হোয়াইট লায়ন। ছোট এই জাহাজের ঐতিহাসিক গুরুত্ব হচ্ছে এই জাহাজে করেই ২৫/৩০ জন আফ্রিকান দাস প্রথম আমেরিকার মাতিতে পা রাখে।

১৬৪৯ সালে যখন অলিভারের ক্রমওয়েলের নেতৃত্বে ব্রিটিশরা গৃহযুদ্ধ বাধানোর অপরাধে রাজা প্রথম চার্লসের মাথা কেটে নিতে ব্যস্ত, আমেরিকা তখনো গভীরভাবে একটা পশ্চাৎপদ, পিউরিটান হিস্টিরিয়া দ্বারা আক্রান্ত কতোগুলো সেটলমেন্টের সমষ্টি।

১৬৯২/৩ তে ম্যাসাচুসেটসে “উইচ”/ডাইনী হিস্টিরিয়ায় ২০০ জন নারীকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। অথচ ইউরোপিয়ান আইনের ইতিহাসে ল্যান্ডমার্ক আইন, গ্লোরিয়াস রেভুলিউশনের ফলাফল, ইংলিশ বিল অফ রাইটস ইংলিশ পার্লামেন্টে পাশ হয় ১৬৮৯ সালে। এই বিল অফ রাইটসের ভাষা এবং দর্শন ১০১ বছর পর প্রভাবিত করে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম ১০ সংশোধনীগুলোকে, যেগুলোকেও কালেক্টিভলি বিল অফ রাইটস বলা হয়।

ফিলাডেলফিয়াতে আমেরিকার ফাউন্ডিং ফাদাররা যখন ১৭৮৭ সালে কন্সটিটিউশনাল কনভেনশনে একত্রিত হন, তখন আমেরিকান জনগণ সম্পর্কে তাদের কোন ডিলিউসন ছিল না। তারা জানতেন ইউরোপের তুলনায় শিক্ষাদীক্ষা, সংস্কৃতি, অপরাধ প্রবণতা, গোত্রগত ঘৃণা তথা সমাজে হারমনি নষ্ট করার মত সকল উপাদান আমেরিকায় অনেকগুন বেশী আছে।

ফেডারেলিস্ট পেপার্সের ৮৫ টি নিবন্ধে অ্যালেক্সান্ডার হ্যামিলটন, জেমস ম্যাডিসন এবং জন জে যেই যুক্তিগুলো দিয়েছেন সেইখানে ক্লাসিকাল লিব্রেলিজমের ভিত্তিগুলো এবং তাদের বাস্তব প্রেক্ষাপটের আলোচনা পাওয়া যায়। একটি বিষয় সেখানে বার বার উঠে এসেছে, সেটি হচ্ছে মেজরিটারিয়ান ইম্পালস এবং রাষ্ট্রের সাথে নাগরিকের সম্পর্কের সীমা।

ক্লাসিকাল লিব্রেলিজম সাধারণত চেষ্টা করে নাগরিকরা কেমন ধরনের মানুষ সেই সম্পর্কে সর্বনিম্ন অনুমান করতে। আমেরিকান সেটলমেন্টের ভায়োলেন্ট, গনহিস্টিরিয়ার প্রাদুর্ভাব, মব ভায়োলেন্স, সামারি ট্রায়াল, স্লেভারি, ইত্যাদির বাস্তব উদাহরণের পাশে বসে জেমস ম্যাডিসন বা বেঞ্জামিন ফ্র্যাংলিনের পক্ষে রিপাবলিকের মিডিয়ান নাগরিক সম্পর্কে খুব বেশী ভালো ধারনা করা সম্ভব ছিল না।

এই কারনেই তারা বেশী সময় ব্যয় করেছেন কিভাবে গভার্নমেন্টে ফ্রিকশন, কম্পিটিশন, সাংঘর্ষিক ইনসেন্টিভ ইত্যাদি তৈরি করা যায়। কারন মানুষের কর্মকান্ডের যেই ইনহেরেন্ট ভ্যারিয়েশন আছে, আনপ্রেডিক্টিবিলিটি আছে সেইটা তারা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। দশজন আপাত ভালো মানুষও একসাথে হয়ে নির্মম কাজ করে ফেলতে পারে এই সত্যের ব্যাপারে তারা সংবেদনশীল ছিলেন। তাই তাদের কনস্টিটিউশনাল স্ট্রাকচারের মূলনীতি হচ্ছে কিভাবে একধরনের ক্ষমতা আরেকধরনের ক্ষমতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাওয়ার ইনসেন্টিভ তৈরি হয়।

এর মাধ্যমে কিছুটা হয়ত এক্সিডেন্টালি তারা মানব বিহেভিয়ারের যেই দিকটিতে আলোকপাত করেছিলেন সেইটা এই কালে এসে আমরা বলি গেইম থিওরি, গেইম থিওরি ফর্মালি জন ন্যাশ দ্বারা আবিষ্কারের ১৬০ বছর আগে।

মানুষের বিহেভিয়ার ড্রাইভ করে মূলত ইনসেন্টিভ এবং কনস্ট্রেইন দ্বারা। মানুষের সকল বিহেভিয়ার আসলে একধরনের কনস্ট্রেইন্ড অপটিমাইজেশনের ফল। মানুষ যা বিশ্বাস করে, অধিকাংশ সময় সেই অনুযায়ী বিহেইভ করে না।

একজন মানুষকে প্রশ্ন করলে সে যে উত্তর দেয় আর ঐ ইস্যুতে সে বাস্তবে কিভাবে বিহেইভ করবে এর মাঝে মিল অনেক সময়েই থাকে না। প্রতিটা মানুষই প্রশ্ন করলে দুর্নীতির বিপক্ষে মতামত দেয়। কিন্তু এই প্রশ্নটাই আসলে ভুল। আসল প্রশ্ন হচ্ছে, দুর্নীতি এড়াতে একজন মানুষ আসলে কতোটুকু ব্যক্তিগত ক্ষতি সহ্য করবে অথবা আনরিয়ালাইজড গেইন ছাড়তে পারবে। লিমিটেড রিসোর্সের মানুষ যখন বাস্তবে কাজ করে তখন তাকে একটা মাল্টিভ্যারিয়েট স্পেইসে সবগুলো বিষয়ের লাভ ক্ষতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এই কারনেই সার্ভের সময়ে যখন কোন স্টেইক নাই, তখন সে যে উত্তর দেয় তার সাথে তার বিহেভিয়ারের এত পার্থক্য। এই কারনেই ইস্যুভিত্তিক সার্ভে রেজাল্ট আর ভোটিং ডাটা প্রায় কখনই মিলে না।

মানুষকে জিজ্ঞাসা করলে সে অনেক পিউরিটান এবং পলিটিক্যালি কারেক্ট উত্তর দেয়। মতামত দেয়ার সময়েও সে তার পিউরিটান স্ট্যান্স বজায় রাখে। প্রথমত তার হারানোর কিছু নাই। দ্বিতীয়ত পিউরিটান মতামত দেয়াড় মাধ্যমে কমিউনিটির মধ্যে বা পিয়ার গ্রুপের মাঝে নিজেকে ভালো দেখানোর একটা ইনসেন্টিভ আছে।

আমার একজন বড় ভাই আছেন তিনি মাঝে মাঝেই মার্ক্সেবাদ কোথায় সফল হয়েছে সেই পরিসংখ্যান জানতে চান। আসলে এই প্রশ্নটাই এক হিসেবে ভুল। মার্ক্সে কোন রাষ্ট্রব্যবস্থা দুরে থাক, সাধারণ পলিটি কিভাবে গড়ে উঠবে সেই নিয়াও বিশেষ আলোচনা নাই। ক্যাপিটাল ভলিউম ১ যদি পড়ে থাকেন, তাইলে দেখবেন আপনি মার্ক্সের অনেক কথার সাথে একমত হয়ে যাচ্ছেন। ট্রাস্ট মি। মার্ক্সের মূল বিষয়টা ফিনান্স ক্যাপিটালের সাথে লেবারের সম্পর্ক, যেইটা রাষ্ট্রের কন্ট্রাক্ট আইন, কোম্পানি আইন দ্বারা প্রটেক্ট করা হয় তার সাথে সম্পর্কিত। যেহেতু তিনি হেগেলিয়ান এবং ইতিহাসের ম্যাক্রো ডাইনামিকসে বিশ্বাস যাইতেন, তাই উনিশ শতকের উপস্থিত অর্থনীতির একটা ঐতিহাসিক ডাইনামিক্সের বয়ান তিনি ব্যখ্যা হিসেবে হাজির করছেন। সমস্যা হচ্ছে এই বর্তমান থেকে ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক এক্সট্রাপোলেশনের বুদ্ধিটা তিনি পাইছেন রিকার্ডোর কাছ থেকে। রিকার্ডো পাইছেন ম্যালথাসের কাছ থেকে। রিকার্ডো বলছিলেন ভূমির মালিকানা নিয়াই সমাজ ভেঙ্গে পরবে। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলিউশনের ফলে দেখা গেল ভূমির মালিকানার গুরুত্ব কইমা গেছে এবং এপোক্যালিপ্স আর আসলো না। দেখেন, ইকোনমিক্স হচ্ছে মানুষের বিহেভিয়ারের একটা মডেল। ভবিষ্যতে মানুষ কিভাবে বিহেইভ করবে, সেইটা ভবিষ্যতের কনস্ট্রেইন্ট এবং ইনসেন্টিভ না যাইনা কখনই ভালো বলা যায় না। ফলে যেইভাবে ম্যালথাসের এপোক্যালিপ্স হয় নাই। সেইভাবে মার্ক্সের এপোক্যালিপ্সও আসে নাই। তবে রিকার্ডোবাদ কোন দেশে সফল হইছে এই দাবি যে উঠে না, তার কারন পাওয়া যাবে আসলে লেনিনে।

লেনিন বুঝতে পারছিলেন পলিটিক্স শেষ পর্যন্ত কনশেনসাসের গেইম। কিন্তু সেই কনশেনসাস যাতে আমার পছন্দের হয় সেইটা কিভাবে অর্জন করা যায়? উনার নিদান ছিল বেসিক্যালি ভ্যানগার্ডিজম। একটি ছোট কিন্তু ডেডিকেটেড প্রফেশনাল বিপ্লবীর ভ্যানগার্ড হিসেবে সুচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বের হবে। সুতরাং ভ্যানগার্ডের মধ্যে আনসার্টেইনিটি চলবে না, মানব মনের দুর্বলতাও চলবে না।

এই স্ট্রেন্থ চাওয়াটা তার জন্যে ইর‍্যাশনাল ছিল না। বলশেভিকরা ১৯১৭ থেকে ১৯২২ পর্যন্ত স্থায়ী গৃহযুদ্ধের পড়েও টিকে থেকে লেনিনের চাওয়াটা যে তার কজের জন্যে সঠিক ছিল সেইটা প্রমাণ করে। ১৯১৮ তে পৃথিবীতে ১০ টা মানুষ পাওয়াও কঠিন হইত যারা বিশ্বাস করত গৃহযুদ্ধে বলশেভিকরা উড়ে যাবে না। কিন্তু তারা যায় নাই।

কিন্তু বলশেভিকরা যেই রাষ্ট্র বানাইছিল সেইটা ফান্ডামেন্টালি নির্ভর করত মানুষের বিহেভিয়ার সম্পর্কে কিছু এজাম্পশনের উপড়ে। লার্জস্কেইলে কনশেনসাস ইউনিল্যাটারালি আনার জন্যে হয় লার্জ স্কেইলে নতুন ইনসেন্টিভ তৈরি করতে হবে, অথবা কনস্ট্রেইন তৈরি করতে হবে। বলশেভিকরা দুইটাই করছিল। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই ধরনের সিস্টেমের মেন্টেনিনেন্স কষ্ট অনেক বেশী। কারন মানব বিহেভিয়ারের খুব ছোট স্পেকট্রাম এই সিস্টেমে একোমোডেইট করা যায়। ফলে পলিসি মেকাররা সারাক্ষণই একটা আর্মস রেইসের মধ্যে থাকে।

এতসব কথার মূল কারন হইতেছে লিব্রেলিজমের এই যে একটা রেজিলিয়েন্স সেইটা আসলে লিব্রেলিজম “সুপিরিয়র” এই কারনে না। সমাজের অর্গানাইজেশন প্রিন্সিপাল কি হবে এইগুলা আসলে নৈতিক প্রশ্ন না। শেষ পর্যন্ত এইগুলো ফাংশনাল প্রশ্ন। সুতরাং সুপিরিয়রিটি/ইনফিরিয়রিটি আসলে মুট পয়েন্ট। মানুষের বিহেভিয়ারের আনসার্টেইনিটি, ইন্ডিভিজুয়াল এবং গ্রুপ লেভেলে একোমোডেইট করার জন্যে লিব্রেলিজমের লোয়েস্ট কমন ডিনমিনেটরপন্থা তথা সিভিল/পলিটিক্যাল রাইটস এর ধারনা আসলে ইমপ্লিমেন্ট বা টিকাইয়া রাখা সহজ। যদি কোন কারনে সমাজে ডাইভার্সিটি কমে হোমোজেনাস হয়ে যায়, সেইটা হইতে পারে কোন ফিলসফিক্যাল কারনে, ধর্মীয় কারনে, এক্সট্রার্নাল শকে, তাইলে হয়ত মানুষের বিহেভিয়ার সম্পর্কে আরও বেশী এজাম্পশনওয়ালা সিস্টেম কম ফ্রিকশনেই ডেপলয় করা যাবে।

এইটার আবার একটা আনইন্টেন্ডেট কনসিকুয়েন্স আছে। যেই সমাজ যত হোমোজেনাস, সেই সমাজ লঙ্গিটিউডিনালি তত দুর্বল। যেমন জেনেটিক ডাইভার্সিটি কম থাকলে আইসোলেটেড জনগোষ্ঠীর মধ্যে নানাপদের জেনেটিক কম্পিকেশন জন্ম নেয়। ইনব্রিডিং কখনই ভালো না। এবং ফিউচার প্রুফ না।

শর্ট টাইম ফ্রেইমে এই সবকিছুরই ব্যত্যয় ঘটতে পারে। কিন্তু টাইম ইজ গ্রেইট লেভেলার। টাইমে যে টিকতে পারে না, তার আসলেই টাইম শেষ। মানুষের সমাজের সমস্যা ফান্ডামেন্টালি কালেকটিভ একশন সমস্যা। সুতরাং লম্বা টাইমফ্রেইমে টিকতে হইলে আরেকজন কিরকম সেইটা নিয়া মাথা ব্যাথা কমিয়ে আরেকজনকে কিভাবে সোসাইটির জন্যে মঙ্গলজনক এইধরনের ডিরেকশনে ইনসেন্টিভ তৈরি করে ঠেলে দেয়া যায় সেইটাই কাজে দেয় বেশী।

মনে রাখবেন, খারাপ লোককে ভালো লোকে পরিণত করতে যেই এনার্জি খরচ করা লাগে তার চেয়ে খারাপ লোকের খারাপ কাজের ইনসেন্টিভ কমানো এবং ভালো বিহেভিয়ারের ইনসেন্টিভ বাড়ানোর পলিসিতে এনার্জি কম লাগে।

যেই জিনিস টিকা যায়, সেইটা কোন একটা একটা কারণেই টিকে। হয় সেইটার পক্ষে মানুষের এনার্জি খরচের ইচ্ছা অথবা বিপক্ষের মানুষের এনার্জি খরচের অনীহা।

সোশাল ডাইনামিকস শেষ পর্যন্ত এইখানেই রিডিউসড হয়ে যায়।

এর বাইরে যেইগুলা আছে, সেইগুলা হচ্ছে বোটানি। বিভিন্ন জিনিসের ল্যাটিন নাম দেয়া। এইগুলা যতোনা ঐ জিনিসের দরকার তারচেয়ে বেশী যারা এইগুলো করে রুটিরুজি যোগাড় করে তাদের সুবিধার জন্যে দরকার। ব্যাঙ যেমন জানে না, ব্যাঙ্গের একটা লাতিন নাম আছে, তেমনি হাজার রকম কমপ্লেক্স ট্যাক্সোনমি শেষ বেলায় সোশাল ডাইনামিকস নিয়া সামান্যই প্রেডিকশন দিতে পারে। সুতরাং তাদের গুরুত্ব বাড়ানোর জন্যে দরকার হয় মুরিদ যোগাড় করে সংখ্যা বাড়ানো। তার মানে হইতেছে এইটাও একটা পলিটিক্স। জনৈক ১ বলে এইভাবে আমি লাতিন নাম দিছি। জনৈক ২ বলে, না এইভাবে লাতিন নাম দিতে হবে। দুইজনই দল ভারী করে। যে বেশী পারসুয়েসিভ সে পরবর্তী সাইকেলে টিকা যায়। নাইলে হারাইয়া যায়।

এতে কোন সমস্যা নাই। কিন্তু বিষয়গুলো ট্রান্সপারেনটলি বুঝলেই হইল আরকি।

The following two tabs change content below.
Avatar photo
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →