মহাদেব সাহা: মিহিন সেলায়ে রচিত কবিতার অন্তরাত্মা
বাইশ বছরের ঢাকার জীবনে আমার যথেষ্ট মদ, মেয়ে মানুষ আর কবি দেখা হয়েছে। মাঝে মাঝে মনে হয় সেসব নিয়ে লিখবো। কিন্তু পরমুহুর্তেই থেমে যাই, কারণ অনেকেই ব্যক্তিগত ভাবে আহত হবেন, অনেকের সম্মান ক্ষুণ হবে। তাই সেসব কথা আর লেখা হয় না।
তবু আজ কবি আর কবিতা সমাচার নিয়ে লিখতে বসলাম। কয়েকদিন আগে ইমরুল হাসান লিখলেন “মহাদেব সাহা’র কবিতা কেন এখন পড়ার দরকার পড়ে না?” শিরোনামে একটা লেখা। এই লেখা পড়ার পড়ে আমার ভেতরে কিছু স্মৃতির উদ্গীরণ ঘটেছে, তা এখানে উপস্থাপন করলাম।
মহাদেব সাহার সাথে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল ২০১২ সালের মার্চ মাসে। কৈশোর পেরনো আমার তারুণ্যকে বহুদিন ছুঁয়েছিল “করুণা করে হলেও চিঠি দিও, খামে ভরে তুলে দিও-আঙ্গুলের মিহিন সেলাই”। সেই কবিকে সামনাসামনি দেখতে পাওয়া, মুখোমুখি কথা বলতে পারা এ যে কি অনুভূতি তা তো শব্দে প্রকাশ করা যাবে না। তাঁর সাথে দেখা হয়েছিল মধ্যমা প্রকাশনীতে। আমি আমার পকেট থেকে সাইবার শট ক্যামেরা বের করে তাঁর বেশ কিছু ছবি তুলি এবং ঐদিন আবার তাঁর পুরোন কিছু বই ঘেটে দেখি। বই দেখতে দেখতে আমার মাথায় একটা আইডিয়া এলো, মহাদেব সাহাকে নিয়ে নতুন আঙ্গিকে একটা বই করার। একপাশে একটা কবিতা থাকবে আর অন্যপাশে তাঁর একটা ফটোগ্রাফ থাকবে, বিভিন্ন সময়ের। আমার বন্ধু সঞ্জয় গাইনের সাথে বিষয়টা শেয়ার করতেই বলল চমৎকার আইডিয়া। একটা কিছু করতে যাচ্ছি এই ভেবে একটা ঘোরের মধ্যে আমার সময় কেটে যাচ্ছে।
ঐ সময় সন্দর্ভ গিরি নামে নেপালের এক হবু ডাক্তারের সাথে আমার পরিচয় ঘটে। এবং অল্প দিনের মধ্যে আমাদের মধ্যে এক বন্ধুত্ব গাঢ় হয়। বন্ধুত্ব হবার কারণ আমি ঐ সময় দিল্লী বিরোধী একটা কবিতা লিখেছিলাম এবং এক কবিতা পাঠের আসরে পড়েছিলামও। ঐ আসরে মি. গিরিও একটা কবিতা পড়েছিল (সেটা ইংরেজি কবিতা)। গিরির কবিতাটিও ছিল দিল্লীর সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী। এরপর আমরা কোন কবিতার আসরে গেলে পরস্পর পরস্পরকে এই কবিতা দুটি পড়ার অনুরোধ করতাম। তো ঐ বছরই মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে সঞ্জয় গাইনের মধ্যেস্থতায় একটা আড্ডার আয়োজন হলো। সেই আড্ডার মধ্যমনি ছিলেন মহাদেব সাহা। আমি, সন্দর্ভ গিরি, সঞ্জয় গাইনসহ আরও অনেকেই ছিল। কাটাবনের অষ্টব্যঞ্জন রেস্টেুরেন্টে আমাদের আড্ডা চলছিল। মি. গিরি মহাদেব সাহার নানা কবিতা নিয়ে আলাপ করলেন। এক পর্যায়ে মহাদেব সাহা’র অনুরোধ গিরি একটা কবিতা পড়ে, আমার এবং সঞ্জয়ের অনুরোধে গিরি ইংরেজি কবিতাটিই পড়ে (ইংরেজিতে হওয়ায় কবিতাটির নাম এখন আমার মনে নেই)।
আমাদের আড্ডা বেশ চনমনে হয়ে উঠল। এরপরে গিরি আমাকে “দিল্লীকে খোলা চিঠি” কবিতাটি পড়তে অনুরোধ করে। আমি কবিতাটি পড়ি। দ্রোহের কবিতা, তার উত্তাপে সবাই যেন মেরুদন্ড সোজা করে বসল। কবিতা শেষে হলে মহাদেব সাহা বললেন – কবিতার মাপকাটিতে এটিকে কবিতা যায়, কিন্তু তোমার এমন কবিতা লেখা উচিত হয়নি। উপস্থিত সকলের চোখে মুখে জিজ্ঞাসা চিহ্ন, আমি বললাম – কেন ঠিক হয়নি? আমি তো ঐ কবিতায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও মানুষের কথা বলেছি, তাহলে ভুল কি করলাম এমন ভাবতে ভাবতেই প্রশ্ন করলাম।
আমার প্রশ্নের জবাবে মহাদেব সাহা উত্তর দিলেন- তুমি কি জানো বাংলাদেশে এখন যুদ্ধপরাধীর বিচার চলছে? আমি পুনরায় প্রশ্ন করলাম – আপনি কি তাহলে বাজার করা, খাওয়া গোসল এগুলো বন্ধ রেখেছেন? উনি আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে আমাকে বললেন, এমন কবিতা লিখে এই মুহুর্তে সরকারকে বিব্রত না করাই ভালো। আমি বললাম, কবিতা লিখলে সরকার বিব্রত হবে কেন? এবারে উনি একটু শ্বাস টেনে বললেন – তুমি কি জানো, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় কতজন সেনা প্রাণ দিয়েছে? আমি প্রায় একই রকম টোনে তাঁকে প্রশ্ন করলাম – আপনি কি বলবেন ঠিক কত জন বাংলাদেশি সীমান্তে প্রাণ দিলে ভারতীয় সেনাদের সেই রক্ত ঋণ শোধ হবে? এবারে উনি একটু রাগ আর বিরক্তি মিশ্রিত গলায় বললেন – তোমার কি মনে হয় তোমার কবিতা পড়ে ভয় পেয়ে দিল্লী পদ্মায় পানি দিয়ে দেবে? আমি তখন বললাম – বার্লিনে আপনে দশ টাকার নোট দেখিয়ে একজন জার্মানকে কি বাংলাদেশ সম্পর্কে ধারণা দিতে পেরেছিলেন? এবারে উনি হাতড়ে বোধ হয় আর কোন যুক্তি পেলেন না, তাই থামলেন। পুরো আড্ডাটা একটু থমথমে হয়ে গেল। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মহাদেব সাহা বললেন – দেখো, আমি তো আওয়ামী লীগের দালাল, আমি তো ভারতের দালাল তাই এদের সমালোচনা নিতে পারি না। হয়তো সেদিন তিনি আমাকে যুক্তি দিতে ব্যর্থ হয়ে অভিমান থেকে আক্ষেপ থেকে এমন কথা বলে থাকবেন। সেদিনের পর থেকে আমার একটা দুঃখবোধ তৈরি হলো, সপ্তাহখানেক আগের যে আগ্রহ উদ্দীপনা তা ম্লান হয়ে গেল। আর দুঃখবোধটা হচ্ছে এই যে, একজন কবি কিভাবে মাটি ও মানুষের সম্মান ও স্বার্থকে ছুড়ে ফেলে একটি গোষ্ঠী ও সাম্রাজ্যবাদের স্তুতিবাহক হতে পারে!
পরবর্তীতে আমি আমার বন্ধুদের কাছে শুনেছি, তিনি মন্তব্য করেছেন – ছেলেটি শিবির করে কিনা? তাঁর এধরণের কথার মধ্যে দিয়ে কি এই ধারণার প্রকাশ পায় যে, সাধারণ মানুষের স্বার্থ ও রাষ্ট্র অধিকার নিয়ে কথা বলে শুধু মাত্র জামাত শিবির? সীমান্ত হত্যা, অভিন্ন নদীর পানি বন্টন ও বাংলাদেশর স্বার্থকে প্রাধাণ্য দিয়ে কবিতা লেখায় তাঁর মতো অনেকেই আমাকে অবশ্য বলেছে শিবির।
সে যা-ই হোক, মহাদেব সাহা এবং কবিতা নিয়ে আরেকটি ঘটনা বলে লেখা শেষ করি। অনুজ প্রতিম নকিব মুকশি, বন্ধুও বটে, যে কবিতা লেখে এবং ভালোবাসে। তাঁর সাথেও আমার পরিচয় ২০১২সালে। তো নকিবের কবিতার বই “কাছিমের পিঠে গণতন্ত্র” প্রকাশ হলো ২০১৩সালে। তরুণ বয়সে সকলেরই অনন্য ভাবনা আর স্বপ্ন থাকে। নকীবও অনেক আকাংখা নিয়ে মহাদেব সাহার কাছে গিয়েছিল তাঁকে দিয়ে বইয়ের মুখবন্ধ লেখাবেন ভেবে। কিন্তু বইয়ের নাম শুনেই মহাদেব সাহা রেগে গিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন – “তুমি কি জানো না এখন রাষ্ট্র পরিচালনা করছে কারা, আর আমাকে দিয়ে এমন একটি বইয়ের মুখবন্ধ লেখাতে চাও? তোমার স্পর্ধা কতটা?” আশাহত হয়ে নকিব ফিরে এসেছিল, সেই সাথে খুব বিখ্যাত কেউ বা উঁচু পর্যায়ে কেউ যারা ছোটদের মধ্যে অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করে। নকিবের সেই অনুপ্রেরণার কাঁচের বয়াম হয়তো সেদিন চূর্ণ হয়েছিল। বাকীটুকু নিশ্চয় নকিব বলবে।
এই লেখা লিখলাম কোন জিঘাংসা, রাগ বা আবেগ বশবর্তী হয়ে না। দূর থেকে কাশবনকে দেখতে যেমন শুভ্র সুন্দর, কাছে গেলে তেমনটা থাকে না। তেমনি আমরা অনেক কিছুকেই দূর থেকে দেখি আর তার বিচারও করে ফেলি, বাস্তবে কাছে গেলে দেখা যায় কাশবন।
জানুয়ারি, ২০২৩
…
ফুটনোট ১ (নকিব মুনশি’র কমেন্ট, লেখকের ফেইসবুক পোস্টে থিকা নেয়া)
সেদিন মূলত আমার বইয়ের ফ্ল্যাপ লিখে দেওয়ার ব্যাপারে একটা রেস্তোরাঁয় বসেছিলাম, সাথে আমার প্রিয় একজন মানুষ ছিলেন, তিনিও কবি। উনি লিখে দেবেন, তাই বসা। আরও অনেক কথাই হয়েছে। ফ্ল্যাপের লেখা উনি দেননি, তাতে বিন্দুমাত্র কষ্ট বা নিরুৎসাহিতও হইনি, যদিও দেবেন কথা দিয়েছিলেন, তাই বই দিতে গিয়েছিলাম, বরং হতাশ হয়েছি একজন কবির কৃতদাসত্ব দেখে, অগণতান্ত্রিক চেহারা দেখে, যুক্তিতে না পেরে আমার সঙ্গেও এসব কথা বলেছিলেন। শেষে রেগেমেগে উঠে যান। যাক, বিষয়টা আমি ফেসবুকে আনতে চাইনি। অনেক কথাই বলার আছে, কিন্তু বলতে ইচ্ছে করছে না।
…
ফুটনোট ২ (ইমরুল হাসানের লেখা)
মহাদেব সাহা’র কবিতা কেন এখন পড়ার দরকার পড়ে না?
কবি মহাদেব সাহা বাংলা একাডেমি পুরষ্কার, একুশে পদক… মানে, অই সময়ের যতো ‘প্রেস্টিজিয়াস’ 🙂 প্রাইজ আছে মোটামুটি সবগুলাই পাইছেন। ১১টা কবিতা-সংকলন (কাব্য সমগ্র, শ্রেষ্ঠ কবিতা, রাজনৈতিক কবিতা, প্রেমের কবিতা…) বাদেই ৬৩টা কবিতার বই ছাপাইছেন। (বেশি লেখাটা অবশ্যই খারাপ কোন জিনিস না।)
ফার্স্ট গ্রেডের কবি হিসাবে শামসুর রহমান, আল মাহমুদ, শহীদ কাদরী – এই তিনজনের মধ্যে ‘ফাইট’ চললেও এর পরে রফিক আজাদসহ আরো কয়েকজনের লগে মহাদেব সাহার নামও আসতো। মানে, সিরিয়ালে “প্রথম ১০ জন” 😛 কবির মধ্যে উনার নাম তো ছিলই। কিন্তু উনি হেলাল হাফিজের মতন এতোটা ‘শস্তা’-ও ছিলেন না। সিরিয়াস কবি-ই ছিলেন। ১৯৮০/৯০-এ কবিতা আবৃত্তির ক্যাসেটে উনার কবিতা দুয়েকটা থাকতোই।
২.
উনারে পারসোনালিও দেখছি আমি। ইয়া লম্বা, ঠ্যাঙা, চিকনা। কাঁধে চটের ব্যাগ। পাঞ্জাবি পরা। খুবই গম্ভীর। দেখলেই বোঝা যাইতো, উনি কবি! মানে, খালি কবিতা লেখা-ই না, একটা কবি-জীবনও উনি কাটাইছেন মনেহয়। তারপরেও এখনকার সময়ে যারা কবিতা লেখেন বাংলা-ভাষায় তাদের কাছে উনার কবিতা আর রিলিভেন্ট না। মানে, উনার কবিতা না পড়লেও চলে।
তো, একসময়ের ‘তুমুল জনপ্রিয়’ (মানে, মিডিয়াবাজি শব্দ এইটা, আসলে তা না) কবি হঠাৎ কইরা গায়েব হয়া গেলেন, ইরিলিভেন্ট হয়া পড়ছেন অনেকটাই, বাংলা-কবিতাতে। কেন?
৩.
রফিক আজাদ এক ধরণের ‘কবিতা সংগঠন’ বা ‘সম্পাদক, সাংবাদিক’ হওয়ার ভিতর দিয়া রিলিভেন্ট ছিলেন; মানে, সাহিত্য সার্কেলের বা আরো স্পষ্ট কইরা বললে, সিন্ডিকেটের লোক ছিলেন। সাহিত্যের এই সিন্ডিকেশন সবসময়ই থাকে, কম-বেশি। কিন্তু অই সিন্ডিকেশনটা একটা সময়ে কবিতার একটা ‘রুচি’ বা ‘ফ্যাশন’ তৈরি করতে পারে অবশ্যই, কিন্তু সময় গেলে টের পাওয়া যায়, এইগুলা কবিতার খুব বাইরেরই জিনিস। মানে, রফিক আজাদ কবি ছিলেন না, উনার কবিতা হয় নাই – এইগুলা আমার কথা না; উনি যে বাঁইচা থাকার সময়ে অনেকদিন ‘পাওয়ারফুল কবি’ ছিলেন, সেইটা যতোটা না কবিতার ঘটনা ছিল, তার চাইতে বেশি ছিল আসলে উনার সোশ্যাল রিগকনিশনের জায়গা, ‘সামাজিক প্রতিপত্তি’র ঘটনা।
মহাদেব সাহাও অই সময়ের ঢাকার কবিতার সার্কেলের বা সিন্ডিকেটেরই লোক ছিলেন। উনি অই ‘কবিতা রুচি’র জায়গা থিকা পাবলিকের যেই ডিমান্ড, এক্সপেক্টশন কবিতার কাছে, সেইটার কাছে একটা প্যাটার্নের ভিতর দিয়া সারেন্ডার করতে পারছিলেন।
মানে, ব্যাপারটা এইরকম না যে, প্রেমের কবিতা লেখা যাবে না 🙂 কিন্তু যে কোন আর্ট যখন একটা ফরম্যাট বা প্যাটার্নের কাছে সারেন্ডার করে, তখন সেইটা নিজে নিজেই মারা যাইতে পারে। কারণ কবিতা বা যে কোন আর্ট বা ক্রিয়েটিভিটি হইতেছে যতোটা না অভ্যাস তার চাইতে একটা এক্সপ্লোরেশনের ঘটনা।
কবিতা বইলা যে একটাকিছুরে ধইরা নেয়া হয় তারেই রিপ্রডিউস করতে থাকাটাই কবিতার ঘটনা না। তো, কোন জিনিস কবিতা – সেইটা ডিফাইন করার কিছু নাই, বরং কোন জিনিস কেন কবিতা না, সেইটা বুঝতে পারা যায়।
মহাদেব সাহা’র কবিতাতে এইরকম ছড়ায়া যাওয়া বা এক্সপ্লোরেশনের ঘটনা নাই বা খুব কম। অল্প কিছু কবিতা পড়লেই ক্লান্ত হয়া যাইতে পারবেন। এই কারণে না যে, উনি একইরকমের জিনিস নিয়া কবিতা লিখছেন, বরং একইরকমের কবিতার মধ্যে উনি আটকায়া আছেন। সাবধান বাণী হিসাবে একটা কথা বইলা রাখা যাইতে পারে, সব গ্রেট আর্ট বা আর্টিস্টেরই একটা প্যাটার্ন থাকে। জীবনানন্দ দাশও দেখবেন একটা প্যাটার্নেই লিখছেন, অই এক পয়ারের ছন্দই। আর যেহেতু পয়ারের ছন্দটা পুঁথি’র অনেক কাছাকাছি পড়তে সহজ হয়; এইরকম কিছু টেকনিকের ব্যাপারও কাজ করে। (এই টেকনিকগুলা হেল্প করে, কিন্তু এইগুলাই কবিতা না।)
যে কোন কবি বা রাইটারের কথাই যদি ধরেন, দেখবেন কোন একটা সেন্ট্রাল জিনিস নিয়াই উনারা চিন্তিত। তো, চিন্তার জায়গাটা উনাদের আর্টরে গ্রেট বানায় না আসলে, বা রিডারদের ‘রুচি’রে স্যাটিসফাই করতে পারাটা। আমার ধারণা, মহাদেব সাহা এই কাজটা করছিলেন। একটা সময়ের এক ধরণের রিডারদেরকে স্যাটিসফাই করতে পারছিলেন।
আমরা তো অবশ্যই চাই আমাদের লেখা সবাই না হইলেও, অনেকে না হইলেও কেউ না কেউ পছন্দ করুক। এইটা এক্সপেক্টশন হিসাবে বাজে না। কিন্তু কবিতারে অইখানে আটকায়া রাখলে মুশকিল আর কি!
/২০২১
রাজিব উল হুদা
Latest posts by রাজিব উল হুদা (see all)
- মহাদেব সাহা: মিহিন সেলায়ে রচিত কবিতার অন্তরাত্মা - জানুয়ারি 14, 2024