ফিকশন: পার্সেল
এ বছর নামতেছে আগে আগে শীত, সেই ফুরফুরা আনন্দে সকালে দরজা খুলতেই তোমার ফেডএক্সের কার্ডবোর্ড বাক্স পাইলাম। ওজন তিন কেজির কম তো না, কী আছে ভিত্রে? আজকাল কিছু অর্ডার করার পরপরই হুটহাট জিনিস আইসা পড়ে, ঠিকানা নেয়ার এক সপ্তাহও হয়…
এ বছর নামতেছে আগে আগে শীত, সেই ফুরফুরা আনন্দে সকালে দরজা খুলতেই তোমার ফেডএক্সের কার্ডবোর্ড বাক্স পাইলাম। ওজন তিন কেজির কম তো না, কী আছে ভিত্রে? আজকাল কিছু অর্ডার করার পরপরই হুটহাট জিনিস আইসা পড়ে, ঠিকানা নেয়ার এক সপ্তাহও হয়…
১৯. “হায় হাসান! হায় হাসান!” মারওয়ান্ নগরপ্রান্তভাগে যে স্থানে পূর্বে শিবির নির্মাণ করিয়াছিলেন, সেই স্থানে পুনরায় সৈন্যাবাস রচনা করিয়া যুদ্ধের আয়োজন করিতে লাগিলেন! কিন্তু যে পরিমাণ সৈন্য দামেস্ক হইতে ক্রমে ক্রমে আসিয়াছে, তাহার সহায়ে হোসেনের তরবারি-সম্মুখে যাইতে কিছুতেই সাহসী হইলেন…
[হুমায়ূন আহমেদের এই ফিকশনটা ছাপানোর পারমিশন আমাদের নাই, কাকলী প্রকাশনী থিকা ছাপানো উনার “গল্প সমগ্র” বই থিকা এই গল্পটা বাছাই করা হইছে। বইয়ের স্ক্যান কপি অনলাইনে এভেইলেবল। কপিরাইট সংক্রান্ত কোন অভিযোগ আসলে পোস্ট’টা মুছে দিতে রাজি আছি আমরা। এমনিতে হুমায়ূন…
১৬. মহাবিষ মায়মুনার সহিত জায়েদার কথোপকথন হইতেছে। জায়েদা বলিতেছেন, “ঈশ্বর যাহাকে রক্ষা করেন, কিছুতেই তাহার মরণ নাই। মায়মুনা! হাসানের মরণ নাই! জায়েদারও আর সুখ নাই।” মায়মুনা কহিল, “চেষ্টার অসাধ্য কিছুই নাই। হতাশ হও কেন? এই দেখ, এজিদ্ সকল কথা শুনিয়া…
প্রবাহ ১৩. আমার স্বামী আর আমি – আমার প্রাণের প্রাণ – কলিজার টুকরা মায়মুনা ইমাম হাসানের অন্তঃপুরে প্রায়ই যাতায়াত করিত। হাসনেবানুর নিকট তাহার আদর ছিল না। হাসনেবানুকে দেখিলেই সে ভয়ে জড়সড় হইত। নিতান্ত আবশ্যক না হইলে জয়নাবের নিকটে আর যাইতও…