Main menu

কলকাতার পুরস্কার—কীভাবে নিব?

[এডিটর’স নোট: লেখাটা পুব বাংলার কথা ও কালচার লইয়া কলিকাতার দেখনভঙ্গির বেশ পুরানা কিছু নজির আমাদের শামনে আনছে। এগুলি তো আমরা বহুদিন ধইরাই বলতেছি, আমরা ও অনেকেই, কিন্তু এই দেশি কিছু ভাবুক সেগুলি একরকম আমাদের আবিষ্কার বইলাই গনেনাই আর। কিন্তু ওই দেখনভঙ্গির পিছনে যে শচেতন বর্নবাদি পজিশন আছে, শেইটা হইলো আমাদের কনছার্নের জায়গা। এই লেখায় ওই জায়গাটা আশছে।

এছারাও আরও কিছু জায়গা কলিকাতার ওই অবস্থানের শুতা ধইরা কাভার করতে চাইছে রাইটার, শেইটা অনেক শময় মনে হইছে এই লেখার অংশ না হইলেও পারতো। তবে লেখকের লেখার গরনগারন কেমন হবে তা লেখকের অভিরুচি মোতাবেক নির্ধারিত হওয়াই ভালো এবং তাতে যে কোন ধরনের উপদেশনা এক ধরনের অযাচিত মাতবরিই আশলে। আমরা বরং এইটাও মনে করি, যে কোন লেখাই পরার খেত্রে রিডাররেও দায়িত্ত নিতে হবে, লেখারে নিতে হবে উইথ মডারেশনস। পরারে একটা প্যাসিভ ঘটনা বানায় রাখা কাজের কথা না।]

বাংলাদেশি শিল্পীরা ঘনঘন কলকাতায় পুরস্কার পাচ্ছেন। আজকেও দেখলাম জয়া আহসান, সোহেল মণ্ডল আরো কে কে যেন পুরস্কার পাইলেন। ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। সেরা অভিনেতার পুরস্কার। চমৎকার দৃশ্য। পুরস্কার পাওয়া তো ভালো ঘটনা। তার উপর যদি হয় বিদেশে, তাইলে তো গর্ব করাই যায়!

থামেন, অল্পতেই গর্বিত হওয়ার রোগটা কিন্তু মারাত্মক লেভেলে চলে গেছে আমাদের। অমুকে গুগলে চাকরি পাইছে, একই দেশের লোক তাই আপনি গর্বিত হলেন, তমুকে ইউটিউবের হেডঅফিসে গেছে, একই জাতি বলে আপনি গর্বিত হলেন, কয়দিন পর তো এমন অবস্থা হবে যে অমুক সেলিব্রেটি পাদ মারছে, আপনি তাতেও গর্বিত হবেন!

কলকাতায় বাংলাদেশি অভিনেতা অভিনেত্রী পুরস্কার পাইছে এইটাতে খুশী হবেন না বেজার হবেন সেইটা ঠিক করে দেওয়ার আমি কেউ না। তবে পুরস্কার যেহেতু খুশীই হবেন, যেহেতু খুশী হওয়ার অভ্যাস আপনাদের আছে, এইটাই স্বাভাবিক। কিন্তু খুশী হওয়ার কারণ যদি খাসি বানানোর কারণও হয়? তাইলে তো সমস্যা। খুশী হওয়া যাইতো, যদি উদ্দেশ্য ভালো হইতো। তারা যে পুরস্কার দিছে তা খালি চোখে পুরস্কার মনে হইলেও এইটা নিয়া একটু ভাবলেই বুঝবেন যে এইটার পেছনের উদ্দেশ্য খুবই সমস্যাজনক। আজ যারা কলকাতায় গিয়া পুরস্কার আনতেছে তারা মূলত খাল কাইটা কুমির আনতেছে।

অনেক দিন ধরেই কলকাতার লোকেরা হায়হুতাশ করতেছে বাংলা ভাষা গেল গেল বলে। এই কান্নাকাটির বয়স অনেক হইলেও তীব্রতা পাইছে ২০১৯ সালে। ব্যাপকভাবে প্রতিবাদ শুরু হয় তখন থেকে। মাঝখানে একটু থামছিল। ২০২২ সাল থেকে আবারও বাড়ছে।

২০১৯ সালের নিউজ দেখেন বিবিসি বাংলা আর ডয়েচে ভেলে শিরোনাম করছে “পশ্চিমবঙ্গে প্রবল হচ্ছে ‘হিন্দির আগ্রাসন’ বিরোধী প্রচারণা, রাজ্যে থাকার শর্ত ‘বাংলা জানা’ (বিবিসি বাংলা)”, “পশ্চিমবঙ্গে হিন্দির আগ্রাসনের অভিযোগ (ডয়েচে ভেলে)”।

যখন কিনা কলকাতাই স্ট্রাগল করতেছে তাদের ভাষার ওপর হিন্দি ভাষার আধিপত্য ঠেকাইতে নিজের ভাষা আর বাঙালিত্ব বাঁচাইতে, সেই একই সময়ে তারা বাংলাদেশের বাংলা ভাষাভাষী লোকদের পুরস্কার দিতেছে! ইন্টারেস্টিং না?

পুরস্কার কারা দিল? কলকাতার বাঙালি হিন্দুরা, যারা কিনা এক সময় মুসলমানকে বাঙালি বলতেই রাজি ছিল না (এখনও মন থেকে রাজি আছে তো?)।

রাজি আছে কিনা তা বুঝতে হলে দেখতে হবে কলকাতার সাধারণ পাবলিক আমাদের কোন চোখে দেখে। বাংলাদেশিদের কলকাতার লোকেরা যে ব্যাঙ্গ করে কাঙালি বা কাংলু বলে। সামান্য কিছুতেই বাংলাদেশিরা যে ছোট জাতের বলে। এই মনোভাবই কিন্তু তাদের মনের আসল অবস্থা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশিদের প্রতি ভারতীয় বাঙালিদের ঘৃণা জানানোর তথ্যের ভিত্তিতে এই দাবি করতেছি না, ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতেই এই দাবি। তাদের যারা পূর্বপুরুষ—নীরদচন্দ্র চৌধুরী, মোহিতলাল মজুমদার, সজনীকান্ত দাস, তারাও আমাদের প্রতি (পূর্ববঙ্গের মুসলমান ও হিন্দু) যে ঘৃণা পোষণ করতেন তা আরও ভয়াবহ আরও জঘন্য।

আমরা সবাই মূলত জানি শনিবারের চিঠি সাহিত্যিক দলাদলি থেকে বের হইছিল। কিন্তু তাদের মূল টার্গেট ছিল পূর্ববঙ্গের লোকদের, আরো ভালো করে বললে পূর্ব বাংলার মুসলমানদের বাংলা সাহিত্যে আগমন ঠেকানো। এ কথার সাক্ষ্য দিয়া গেছেন স্বয়ং সজনীকান্ত দাস তাঁর ‘আত্মস্মৃতি’তে। স্বীকার করে গেছেন : ‘সাহিত্যক্ষেত্রে কাজি নজরুল ইসলাম… সাপ্তাহিক ‘শনিবারের চিঠি’র প্রত্যক্ষ লক্ষ্য ছিলেন।’

আত্মস্মৃতির দ্বিতীয় খণ্ডে শনিবারের চিঠির সাথে নজরুলের সম্পর্ক-সম্বন্ধটি উপভোগ্য ভাষায় ব্যক্ত হয়েছে: ‘সত্য কথা বলিতে গেলে শনিবারের চিঠি’র জন্মকাল হইতেই সাহিত্যের ব্যাপারে একমাত্র নজরুলকে লক্ষ্য করিয়াই প্রথম উদ্যোক্তারা তাক করিতেন। তখন আমি আসিয়া জুটি নাই। অশোক-যোগানন্দ-হেমন্ত এলাইয়া পড়িলে ওই নজরুলী রন্ধ্র-পথেই আমি শনিবারের চিঠি’তে প্রবেশাধিকার পাইয়াছিলাম। প্রকৃতপক্ষে ‘শনিবারের চিঠি’র একমাত্র প্রধান লক্ষ্য ছিল নজরুল এবং ব্যঙ্গ বিদ্রুপে তাকে ধরাশায়ী করাই ছিল সে লক্ষ্যের সঞ্চরণক্ষেত্র।’
Continue reading

আসল কনজারভেটিভ হইতে গেলে এখন লিবারেল হওয়া ছাড়া কোনো গতি নাই – স্লাভোজ জিজেক ও নোয়াহ হারারি’র আলাপ

এই বইতে যা আছে তারে ঠিক ইন্টার্ভিউ বললে ভুল হইতে পারে। এইটারে বরং আলোচনাই বলি।

আজকের দুনিয়ার দুই জন ইনফ্লুয়েন্সিয়াল পাবলিক ইন্টেলেকচুয়াল স্লাভোজ জিজেক আর নোয়াহ হারারি। উনারা আলাপ করছেন এই যামানার আইডিওলজি নিয়া। আমি সেই আলাপের তরজমা করছি একটা ইউটিউব ভিডিও থিকা। প্রশ্ন হইতেছে, একটা ইউটিউবে থাকা ভিডিওর আলোচনা কেন বাংলায় তরজমা করলাম?

কারণ, এই যুগে যা চলতেছে – গ্লোবাল পলিটিক্সের খেলা, বামপন্থীদের নাজুক অবস্থা, ফার-রাইটরা কেম্নে আগাইতেছে আর এতসব গ্যাঞ্জামের সল্যুশন কী হইতে পারে – এই টপিকগুলা নিয়া দুইজন ডিবেট করছেন। কোথাও একমত হইতে পারছেন, কোথাও আবার পারেন নাই।

উনারা বিভিন্ন ভাইরাল ইস্যু, মোটাদাগে মিলেনিয়াল আর জেন-জি যামানায় চর্চিত আইডিওলজি যেমন– পলিটিকাল কারেক্টনেস, এমনকি ‘মি টু’ মুভমেন্ট নিয়াও মতামত দিছেন। জিজেকের মতামত প্রচলিত কনসেপ্ট থিকা আলাদা– যা নিয়া আপনাদেরও ভাবার সুযোগ আছে।

ভিডিও থিকা ট্রান্সক্রিপশন কইরা, এরপরে সেইটারে তরজমা করা অতো সোজা ছিল না। অনেক কথাই খাপ-ছাড়া লাগতেছিল। কারণ জিজেক প্রায়ই এক টপিকে বলতে বলতে অন্যদিকে হারায়া যাইতেছিলেন। এই ‘অন্যদিকে হারায়া যাওয়া’ কথাগুলাও ইম্পর্টেন্ট বইলা ফেলায়া দিতে পারতেছিলাম না। আবার কিছু ক্ষেত্রে এই ‘হারায়া যাওয়ার’ কাজটা উনারা জাইনা-বুইঝাই একটা ভূমিকা হিসাবে আনছেন। মানে তেনা-প্যাঁচানো মনে হইলেও কথাগুলা জরুরি ছিল।

পুরা আলোচনা দুই বন্ধুর একটা আড্ডার মতো কইরা হইছে। আমিও চাইছি উনাদের আড্ডার টোনটাই লেখায় চইলা আসুক। তাই, খাপছাড়া কথাগুলারেও যতটা সাইজে আইনা সার্ভ করা যায়, চেষ্টা করছি। বারবার জিজেকরে টপিকে ফিরায়া আইনা আমার কাজটা একটু সহজ করছেন হারারি। আর এম্নে বুঝছি, এই আলাপ যদি একটা ইন্টার্ভিউ হইয়া থাকে, সেইটা হারারিই নিছেন।

যাই হোক, আমি ভাবতেছি উনাদের আলাপ আপনারে একটা নাড়া দেওয়ার ক্যাপাবিলিটি রাখে। তাই, একটু নইড়া-চইড়া বসতে চাইলে একটানে পইড়া ফেলেন, নাকি?

কে. এম. ইতমাম ইসলাম
মার্চ, ২০২৪

আজকের দুনিয়ায় আইডিওলজির মূল যুদ্ধক্ষেত্র কোনটা?

নোয়াহ হারারি: এই দুনিয়ায় আইডিওলজির মূল যুদ্ধটা কই হইতেছে বইলা আপনি মনে করেন? যদি এখনও আইডিওলজি বইলা কিছু থাইকা থাকে…

স্লাভোজ জিজেক: এইখানেই তো গ্যাঞ্জাম। আজকের দুনিয়ার ক্ষমতার রাজনীতির যেই লেভেল চলতাছে– এইখানে নয়া জিও-পলিটিকাল শক্তির আমদানি হইতেছে। কিন্তু কেউ কারো লগে লাগতে গেলে আগে একটা অফিশিয়াল লাইন মাইনা চলতো। একটা সিস্টেমে আগাইতো। সেই অফিশিয়াল লাইনটা এখন তারা কত সহজে ভাইঙ্গা ফেলতেছে! আমি এই দেইখা তব্দা খাই।

আমাদের সো-কল্ড উন্নত দেশও বাদ নাই। এখন দুনিয়ার কোথাও কারো গ্যাঞ্জাম হইলে সেইটারে খালি দুই পক্ষের বিচ্ছিন্ন ঘটনা বইলা পার পাওয়া যায় না। আগেকার দিনে কেম্নে কি হইতো সবই আমার মুখস্ত। তখন ছিল মডারেট বাম, মডারেট ডান, আর কয়টা মধ্যমপন্থী আর চরমপন্থী। মূল ফর্মূলা কিন্তু এক জায়গায় যায়া ঠেকতো – হয় খ্রিষ্টান, যারা কনজার্ভেটিভ ডেমোক্রেট, নাইলে সোশাল ডেমোক্রেট, যারা সোশালিস্ট। আর এর মধ্যেই যা অদল-বদল। যেমন তুমিও, ইউভাল, তোমার একটা বইতে লিখছো। আমার মনে হয় এই শিক্ষাটা খুবই জরুরী। তাই আমিও তোমারে এই জায়গায় প্রায়ই কোট করি।

“ডেমোক্রেসির মানে ডাইভার্সিটি – আমি এমন লোকমুখে চলা বলদামির পক্ষে না।” ডেমোক্রেসির মানে ডাইভার্সিটি হইতেই পারে কিন্তু সেইটা একটা শেয়ার্ড বিলিফে আটকায়া যায়। আবার এই শেয়ার্ড বিলিফ অনেক শক্তিশালী বা পজিটিভ কিছু – এমনও না কিন্তু।

হ্যাঁ, আইডিওলজির অলিখিত সিস্টেম বা যেকোন রাজনৈতিক ঘটনা ফেইস করার নিয়ম নিয়া আলাপ করা অদরকারি মনে হইতে পারে। কিন্তু আজকের দুনিয়ায় এই আলাপটাই চরম গুরুত্বপূর্ণ হয়া দাঁড়াইছে। এক্সাম্পল হিসাবে বলি, তোমার বুশ আর আল গোরের কথা মনে আছে তো?

হারারি: হুম…

জিজেক: পুরা ঘটনাটা ঘটছে ফ্লোরিডার মাত্র এক-দুইশো ভোটের জন্য। এইটা আবার কোর্ট পর্যন্তও গড়াইছিল। কিন্তু যখন সুপ্রীম কোর্ট…বা হয়তো অন্য কেউ, আমি ভুইলা গেছি কে থামাইতে চাইছে – কিন্তু কি সুন্দর সব পক্ষ মাইনা নিছিলো! ঠিক এইটাই দিন দিন হাওয়া হয়া যাইতেছে। Continue reading

এডিটোরিয়াল: গনতন্ত্র হারাইয়া কি পাইলাম: ফেসিবাদ নাকি বাকশাল?

ফ্যাসিজম না কইয়া বাকশাল কওয়া দরকার এই দেশে। রক মনু এই কথা কইছেন আগে। তবে উনার কারনের লগে আমার কারনের ফারাক আছে। দুই কারনই শত্য। মনু কইতেছেন, বাকশাল দেশের দশের লগে কানেক্ট করানো ভালো, এই দেশে ওয়ান পার্টি ডিক্টেটরশিপের সিলসিলাটা ক্লিয়ার থাকে তাইলে। দেশি ভার্শনের লগে মানুশ কানেক্ট করবে শহজে। এছারাও বাকশালের ভেতরে যে ফেসিজমের বাইরেও এক প্রকার নন-আইডিয়ালিস্ট বাটপারি আছে, লুটপাটের মাফিয়া আছে এইটাও উনি কইতে চান। এগুলা ভুল না।

তবে বাকশাল কওয়া দরকার আরও একটা কারণে। বাকশাল কইলে এর এগেইনস্টে ডেমোক্রেসিরে লাগবে। ফ্যাসিজম কইলে নট নেসেসারিলি এর এগেইনস্টে ডেমোক্রেসিই লাগবে। ফেসিজম হইলো ওয়র্স্ট কাইন্ড অব শাশন, আদি ফেসিজম আমরা দেখি ডিক্টেটরের হাত ধইরাই হইছে। এবং কম্যুনিস্টরা হইলো এর প্রধান এনিমি। কম্যুনিস্টদেরও এইটা। বেলা চাও গানটা শুইনা থাকবেন অনেকে। এর লিরিক দেইখেন, ইটস এ কম্যুনিস্ট সং*- কমরেডদের বিদায় দিতেছে, ফ্যাসিস্টদের লগে লড়ার জন্য। ভেরি পইনিয়ান্ট এন্ড বিউটিফুল। তো কম্যুনিস্টদের কাছে ফেসিজমবিরোধিতা অপরিহার্যভাবে কোন গনতান্ত্রিক** লরাই না। বরং এইটা ব্যাড ডিক্টেটরের এগেইনস্টে, গুড ডিক্টেটরের লরাইও হইতে পারে। কিন্তু বাকশাল কইলে সমস্যাটা গণতন্ত্র আর অগনতন্ত্রের সমস্যা। এই কারনে বাকশালের পক্ষে সাফাই গাওয়া বামপক্ষের লোকজনও পাইবেন। শুধু পুরান বাম না, নতুন বাম-ও, ঢাকা মহানগর যুব ইউনিয়নের জনৈক সাবেক মাথা বঙ্গবন্ধুরে নিয়া লেখা উনার বইয়ের ফ্ল্যাপে কইতেছেন, বঙ্গবন্ধু এতটাই সেলফলেস ও সমাজতন্ত্রী ছিলেন যে বৈজ্ঞানিক সমাজতান্ত্রিক বাকশাল গঠনের সময় এমনকি নিজের দল আওয়ামী লীগরেও বিসর্জন দেন। বঙ্গবন্ধুর প্রশংসার বাইরেও বাকশালের প্রতি দরদটাও এইখানে প্রধান। এবং খেয়াল করবেন, নতুন বামদের অনেকে আওয়ামীফেসিস্টদের বাকশাল কইলে মন:ক্ষুন্ন হন।

কিন্তু গনতান্ত্রিকদের কাছে ভালো ওয়ান পার্টি সিস্টেম আর খারাপ ওয়ান পার্টি সিস্টেম প্রধান দ্বন্দ্ব না। কারন ‘ভালো’ ওয়ান পার্টির দ্বারা ‘ভালো’ কায়েমের জন্য***ও বড় বড় দাগে মানুশ খুনের ঘটনা ঘটছে। দরকার এমন একটা সিস্টেম, যেইখানে ভালোরেও তার শাশনের বৈধতারে নিয়মিত রিনিউ করতে হবে। কারন কেউ চাইলে ভাল কথা কইয়া কিন্তু খারাপ মতলব লইয়া সিস্টেমের টপে চইলা যাইতেই পারে, তখন যেন তারে সিস্টেম মোতাবেক পাবলিক পাওয়ার হইতে নামাইতে পারে সেইটাও ইম্পর্টেন্ট ডেমোক্রেটিকদের জন্য। অর্থাৎ পাবলিকেরে পলিটিকালি এমপাওয়ার করা।

এখন কথা হইলো, অন্য দেশে ডেমোক্র্যাটরাও ফেসিস্ট কয়। ওইসব দেশে এইটা যতটা না বড় সমস্যা আমাদের দেশে তার চেয়ে প্রকট। ইউরোপ এমেরিকায় সোশালিস্ট কম্যুনিস্ট লেফটিস্ট যারা আছে তারাও স্টঞ্চ ডেমোক্র‍্যাট। পাবলিকের ভোট চইলা গেলে প্রথম কনসার্ন হইলো ভোট নিয়া কথা কওয়া। স্ট্যালিন, সেতুং, এমনকি লেনিন লইয়াও ক্রিটিক আছে। চমস্কি লেনিনরে তো এমনকি ডানপন্থিই কইতে চান, মানে সোশালিস্টই না। বই আর লেকচার আছে উনার। আর আমাদের এইখানে কয়েক বছর আগেও স্ট্যালিনরে উপহাস কইরা নাটক বানানোয় একটা বাম দল বিক্ষোভ মিছিল করে। শেইখানে লেনিনরে নিয়া কওয়ার তো প্রশ্নই নাই। Continue reading

(বাংলা-ক্লাসিক) বিশ্বনবী – গোলাম মোস্তফা [শর্ট ভার্সন।] পার্ট ৫

১৩. শাদী মুবারক

এই সময়ে মক্কানগরে কোরেশ গোত্রে এক সম্ভ্রান্ত বিধবা মহিলা বাস করিতেন। নাম তাঁহার খাদিজা। এমন সতীসাধ্বী পূণ্যময়ী নারী তখনকার দিনে আরবে আর দ্বিতীয়টি ছিল না। অন্তরের শুচিতায় ও শুভ্রতায় এতই তিনি যশস্বিনী হইয়াছিলেন যে, লোকে তাঁহাকে খাদিজা না বলিয়া ‘তাহিরা’ (পবিত্রা) বলিয়া ডাকিত।

খাদিজার দুইবার বিবাহ হইয়াছিল; কয়েকটি পুত্রকন্যাও জন্মিয়াছিল। দ্বিতীয় স্বামী মৃত্যুকালে অগাধ ধন- সম্পত্তি রাখিয়া গিয়াছিলেন; সেই সূত্রেই তিনি সম্পদশালিনী হইয়াছিলেন। তাঁহার বিস্তৃত বাণিজ্য ছিল। কর্মচারী দ্বারা তিনি নানাদেশে বাণিজ্য চালাইতেন এবং নিজেই সমস্ত বিষয়ের তত্ত্বাবধান করিতেন।

এদিকে আল-আমিনের গুণগরিমাও আরবের সর্বত্র ছড়াইয়া পড়িয়াছে। ত্যাগ, সেবা, সততা ও চরিত্র-মাধুর্য দ্বারা তিনি সারা আরবের হৃদয় জয় করিয়া ফেলিয়াছেন। যতবারই তিনি বাণিজ্য করিতে গিয়াছেন, ততবারই তিনি প্রচুর লাভ করিয়া ফিরিয়া আসিয়াছেন।

এই ধীশক্তিসম্পন্ন প্রতিভাবান যুবকটির কীর্তিকথা বিবি খাদিজার কর্ণে পৌঁছিতে বিলম্ব ঘটে নাই।

এই উদ্দেশ্যে খাদিজা একদিন মুহম্মদকে ডাকিয়া পাঠাইলেন। দূর সম্পর্কে মুহম্মদ তাঁহার চাচাতো ভাই হইতেন। মুহম্মদ আসিলে খাদিজা বলিলেন: “আমার একটি অনুরোধ আপনি রাখিবেন কি?”

মুহম্মদ বিনীতভাবে উত্তর দিলেন “কী অনুরোধ, বলেন?”

“আমার এই তেজারতির ভার আপনাকে লইতে হইবে। ইহার জন্য আপনাকে আমি দ্বিগুণ পারিশ্রমিক দিব।” হযরত বললেন “আমার চাচাজীর মতামত লইয়া আপনাকে জানাইব।”

মুহম্মদ আসিয়া আবুতালিবকে এ কথা বলিলেন। এ প্রস্তাব তিনি সর্বান্তঃকরণে সমর্থন করিলেন।

কাফেলা প্রস্তুত হইল। মুহম্মদ বাণিজ্যে চলিলেন। এবার দামেশক অভিমুখে। ইয়াস্রেল, হাইফা, জেরুজালেম প্রভৃতি প্রসিদ্ধ বাণিজ্য-কেন্দ্রের মধ্য দিয়া পণ্যদ্রব্য বিক্রয় করিতে করিতে মুহম্মদ দামেশকে পৌছিলেন। সর্বত্রই তাঁহার প্রভূত লাভ হইল।

দীর্ঘদিন অতিবাহিত হইয়াছে। বিবি খাদিজা মুহম্মদের আসা-পথ চাহিয়া আছেন। বিধবা হইবার পর বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি খাদিজাকে বিবাহ করিবার জন্য পয়গাম পাঠাইয়াছেন, কিন্তু তিনি কাহারও প্রস্তাব গ্রহণ করেন নাই। আজ এ কী নতন অনভূতি তাঁহার অন্তর-তলে দেখা দিল। খাদিজা কিছু‍ই বুঝিতে পারিলেন না।

একদিন অপরাহে খাদিজা আপন গৃহের চত্বরে দাঁড়াইয়া দিগন্তের পানে চাহিয়া আছেন, এমন সময় দেখিতে পাইলেন: মরুভূমির ওপার হইতে উটের পিঠে চড়িয়া ফিরিয়া আসিতেছেন। একদৃষ্টে তিনি সেইদিকে চাহিয়া রহিলেন। মনে হইতে লাগিল, একটি বিহিশতী রঙিন স্বপ্ন যেন ধীরে ধীরে তাঁহার নয়ন-পথে রূপায়িত হইয়া উঠিতেছে।

মুহম্মদ আসিয়া সমস্ত হিসাবপত্র ও টাকাকড়ি বুঝাইয়া দিলেন। প্রচুর লাভ হইয়াছে দেখিয়া খাদিজা মুহম্মদের উপর অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইলেন। তাঁহার সততা ও বিশ্বস্ততা দেখিয়াও তিনি মুগ্ধ হইলেন।
Continue reading

মরম আল মাসরী’র কবিতা

মরম আল মাসরী ২ আগস্ট, ১৯৬২ সালে সিরিয়ার লাটাকিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। পড়ালেখা শেষ করেন দামাস্কাস ইউনিভার্সিটি থেকে, ইংরেজি সাহিত্যে। এরপরে ওনি আরব ম্যাগাজিনে ওনার লেখা ছাপাইতে শুরু করেন। বর্তমানে তিনি তাঁর প্রজন্মের সেরাদের মধ্যে অন্যতম প্রভাবশালী, বিদুষী, চিত্তাকর্ষক নারীকণ্ঠ হিসাবে বিবেচিত। তাঁর লেখা ফ্রান্স, জার্মান, ইংরেজি, ইতালিয়ান, স্পেনিশ, সার্বিয়ান, তার্কিশসহ প্রায় এগারোটি ভাষায় তরজমা হইছে।

ওনার লাস্ট বের হওয়া বই The Abduction(২০১৫)। বইটা মরম আল মাসরীর নিজের জীবনীরই ঘটনা। যখন, ২০১১ সালে দেশের চলমান অস্থিরতার কারণে একজন ইয়াং আরব মহিলা হিসাবে তিনি সিরিয়া ছেড়ে ফ্রান্সে থাকা শুরু করেন। আর ব্যক্তিগত কারণে সিদ্ধান্ত নেন যে নিজের হাজব্যান্ডের লগেও আর থাকবেন না, নিজের ছোট্ট ছেলেটারে নিয়েই থাকবেন। কিন্তু ছেলের বাপ বেড়াতে নেওয়ার নাম করে ছেলেরে কিডন্যাপ করে সিরিয়া চলে যায়। এদিকে আল মাসরী ১৩ টা বছর ওনার ছেলেরে আর দেখতে পান নাই। এইটাই ট্র্যাজেডি যে একজন মা, মায়ের অধিকার থাকা সত্ত্বেও সন্তানের বড় হওয়া নিজের চোখের সামনে দেখতে পাইলেন না। এগুলি হলো গা শিউরে ওঠা, দগদগে কবিতা, প্রেমের, হতাশার এবং আশার। এই বইটা সূক্ষ্ম, গভীর এবং শক্তিশালী অন্তরঙ্গতার বই যেখানে একজন মায়ের অধিকার, যুদ্ধ, নির্বাসন এবং স্বাধীনতাও বিষয় হয়ে উঠে।

মরম আল মাসরী সেইসব মা-বাবাদের ভয়েসটারে এক করছেন, যারা একদিন, যেকোন কারণে হোক, জোরপূর্বক তাদের সন্তান থেকে আলাদা থাকতে হইছে। তিনি নারীদের পদমর্যাদা নিয়েও লেখেন। তাদের ভূমিকা মনে করাইতে চান মা হিসাবে তার লেখা দিয়ে।

আমি তার কবিতা বাছাই করছি মূলত কবিতায় একজন সন্তানহারা মায়ের বেদনার সাবলীল উপস্থাপন দেখে। একটা যুদ্ধ খারাপ হওয়ার একটা কারণ ত এইটা যে মায়েরা তাদের সন্তানদের হারাইতে হয়। কিন্তু ব্যক্তিজীবনেও যখন যুদ্ধ যুদ্ধ অবস্থা বিরাজ করে, একটা সন্তান, একজন মা কিংবা বাবার দ্বন্দ্বের মাঝখানে পুতুল হয়ে যাইতে হয়। এই দূরত্বের কষ্ট এত সাবলীলভাবে প্রকাশ তো ঘটে না আসলে, গোমরায়ে মরা লাগে, যার যার ভিতর। গুগলে ঘাটতে ঘাটতেই যখন পেয়ে গেলাম ওনার কবিতা, মনে হইলো, তরজমা করা যাক।

 

বর্ণের রুটি

গাছেরে ব্লেইম করবে কে
যখন তারা তাদের পাতা হারায়ে ফেলে?
কে দরিয়ারে দোষারোপ করবে
বালিতে শামুক ফেলে যায় বলে?

আমি, মা-নারী, নারী-মা
ভোগসুখের জন্যে দুইটা ব্রেস্ট যার
আর মাতৃত্বের জন্যেও দুইটা ব্রেস্ট
যে দুধ পান করায় সুর করে
গল্প বলে
খেলতে শিখায়
অনুভূতি আর
চিন্তার মূলে শান দেয়
আমি, ফূর্তির নারী
আর মোহেরও
আমি পবিত্র আর পাপী
ম্যাচিউর এন্ড চাইল্ডলাইক
আমার মুখসহ
আমি রুটি খাওয়াই বর্ণের
স্বরবর্ণের আর ব্যঞ্জনবর্ণের
বাক্যের, সিনোনেইমস এন্ড কম্পারিজনের

কে আমারে দোষারোপ করবে
ভালোবাসার জন্যে আমার শরীরটারে
নজরানা বানাইলাম বলে?

 

লেখালেখি

এটা কি একটা জঘন্য কাজ না নিজেই?

লেখা হইতেছে
আমাদের সবচাইতে ঘনিষ্ট চিন্তাগুলারে জানতে শিখা

হ্যাঁ, আমি জঘন্য
কারণ আমি আমার সত্যরে শো করি
আর আমার নারীরূপি ছলাকলাহীনতারে

হ্যাঁ, আমি জঘন্য
কারণ আমি চিল্লায়ে বলি আমার দুঃখ আর আমার আশা
আমার আকাঙ্ক্ষা, আমার ক্ষুধা আর আমার পিপাসা

লেখা হইতেছে বর্ণনা করা
পুরুষের বহুরূপি চেহারা
সুন্দর আর বিশ্রী
আবেগপ্রবণ আর নিষ্ঠুর

লেখা হইতেছে
মারা যাওয়া অন্যের সামনে
যে তোমার দিকে তাকায়ে আছে, স্থির
কিংবা তোমারে খেয়াল না করেই পাশ কাটানো একটা নৌকার সামনে ডুবি যাওয়া

লেখা হইতেছে সেই নৌকাটাই হওয়া যা ডুবি যাওয়া থেকে বাঁচায়

লেখা হইতেছে
খাঁড়া পর্বতের চূড়ায় বাস করা
ঘাসের ফলায় ঝুলি থাকা

যখন আমি লেখি, আমি আরেকজন হয়ে উঠি
এই বিশ্বাসে যে
আমি মুক্ত
Continue reading

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →