Main menu

শরিয়া জিনিসটা কি আসলে?

গত একসপ্তাহে নিজের কিউরিওসিটি থেকে আমি আমার পরিচিতদের মধ্যে বিভিন্ন ইকোনমিক ক্লাস, পেশা, বয়সের অন্তত ৫০জন মানুষকে জিজ্ঞেস করেছি, দেশে ইসলামী শাসন/শরিয়াহ চান কিনা? ৪৮ জন উত্তর দিয়েছে হ্যাঁ৷ আর দুজন মাত্র না বলছে। এই দুজনের একজন হচ্ছেন আমার বাবা; যিনি কিনা স্থানীয় মাদরাসার শিক্ষক এবং আমাদের মসজিদের ঈমাম। আর আরেকজন আমাদের বাজারের হিন্দু এক নাপিত, যার কাছে আমি চুল কাটাই বুঝ হওয়ার পর থেকেই।

যারা হ্যাঁ বলছে, তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞেস করেছি, ইসলামী শাসন/শরিয়াহ বলতে তারা আসলে কি বুঝেন?

১৫জনের মতো কোনো উত্তরই দেননি। আরো ১২জনের উত্তর খুবই অগুছালো এবং আগামাথাহীন। উদাহরণ দিয়ে বলি, একজন বললেন, ইসলাম প্রতিষ্টা মানে আল্লার আইন প্রতিষ্টা। আমি বললাম দশটা আল্লার আইন বলেন, বা আল্লার আইন আসলে কি? জবাবে উনি বললেন, আল্লার আইন মানে কোরআন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কোরআন থেকেই আপনি জানেন এমন পাঁচ-দশটা আইনের কথা বলেন। জবাব না দিয় তিনি বললেন, আমার কাজ নাকি খামোখা প্রশ্ন করে ভেজাল লাগানো।

বাকি যারা উত্তর দিয়েছেন, এদের প্রত্যেকের জবাব আমি একজায়গায় করে এই কয়েকটা বিষয় পাচ্ছি,

১. চুরি করলে হাত কাঁ/টা হবে। একই ভাবে খু/নের শাস্তি প্রকাশ্যে গ/র্দা/ন উড়ানো।
২. যে ছেলে বাবা-মায়ের কথা না শুনে বউয়ের কথা শুনবে, তাকে শাস্তি দেয়া হবে।
৩. নামাজ না পড়লে, শাস্তি প্রদান করা হবে।
৪. মেয়েরা বুরখা না পরলে শাস্তি দেয়া হবে।
৫. সিনেমা/গান এইগুলা বন্ধ করা হবে।
৬. কেউ চাইলেই ৪ বিয়ে করতে পারবে।
৭. বিভিন্ন সরকারি কাজে কোনো অন্যধর্মালম্বীদের চাকরি দেয়া যাবে না। তবে তারা দেশে শান্তি থাকার ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. নাস্তিক, সম/কামী, ট্রান্স এদের মৃত্যু/দণ্ড দেয়া হবে।
৯. ইফতারী, মিলাদকিয়াম, চল্লিশার সিন্নি এসব চিরকালের জন্য উঠায় দেয়া হবে। Continue reading

খলিফা হইয়া ওঠা

This entry is part 11 of 18 in the series রকম শাহ'র বয়ান

বহুদিন ধইরাই আমি ভাবি, বাংলায়, অন্তত বরিশালের দখিনে খলিফার অর্থ কেমনে দর্জি হইলো!? ঠিক ঠিক জবাব পাই নাই এখনো, তবে একটা আন্দাজ পয়দা হইছে মনে।

পটুয়াখালির মির্জাগন্জে ইয়ারউদ্দিন খলিফার দরগা আছে [শারা দেশের ঐটার দানবাকশো দেখেন খুব শম্ভব]। কতো বছর আগে উনি কই থিকা আশছেন বা কবে ওফাত হইছে ওনার জানি না, কিন্তু ওনার ব্যাপারে লোকের মুখের কাহিনি হইলো, উনি কাপড় শেলাই কইরা জিন্দেগি চালাবার কামাই করতেন।

খাইবারপাছের পুবে শেলাই করা কাপড়ের ইতিহাশ বেশি পুরানা না, এইটা খুব শম্ভব ইরানের লোকেরা লইয়া আশছিলেন পয়লা; তবে ততোদিনে ইরানের লোকেরা মোছলমান হইছে এবং ইরানের লোকেরাও খাইবারপাছের পুবের আমজনতার কাছে আরবের লোকই মোটামুটি। ফলে, শেলাই ব্যাপারটা একটা কালচারাল রেভলুশনও এইদিকে এবং শেলাইতে মুন্সি (এক্সপার্ট) তো ততো আছিলো না শেই জামানায়!

তো, আন্দাজ করি, এই জে ইয়ারউদ্দিন খলিফা, জিনি শেলাই করতেন এবং শেলাই তখন খুব কমন ঘটনা না হবার কারনে খলিফা আর শেলাইয়ের কামের অর্থ ছেম ছেম হইয়া পড়ে।

এই ব্যাপারটার পক্ষে আরেকটা ঘটনাও শুনছি আমি; এইটা আমার দাদা, মানে আমার বাপের বাপের ব্যাপারে। আমার বাপে বেশিদিন না বাচলেও আমাদের জেনারেশন বেশ লম্বা, দাদার ৬৩ বছর বয়শে আমার বাপ পয়দা হইছে, আমার দাদার জনম শেই ১৮৭৫ শালে! তো, দাদার বাপের নাম আছিলো ‘কমর আলি হাওলাদার’, শেইখান থিকা ছামহাউ দাদার নাম হইলো ‘ইবরাহিম খলিফা’! আমার গেরামের বুইড়াদের কাছে শুনছি, দাদার একটা ছাতা আছিলো, শেইটা ফুটা হইতো, আর দাদা শেইখানে পট্টি লাগাইতো; এইভাবে কয় বছর পরে অর্জিনাল ছাতাটা পুরাই নাই হইয়া গেলো, রঙ-বেরঙের পট্টি মারা একটা বাহারি ছাতা হইয়া উঠলো! এই কারনে লোকে তারে ‘খলিফা’ ডাকা শুরু করছিলো!

এখন এইখানে, দুই জনের বেলাতেই একটা ছাবটেক্সট বা তলের কথা আছে! শেলাই কইরা জেমন খাইতে হইতো না ইয়ারউদ্দিন খলিফার, উনি চাইলে তো পেরায় শেখ হাসিনার মতোই আরামে থাকতে পারতেন, তেমনি আমার দাদাও মোটামুটি ধনিই আছিলেন, কিপটাও আছিলেন না, তাইলে ওনাদের শেলাইয়ের অর্থ কি আশলে!

এই ব্যাপারটা বুঝতে শেই খলিফা উমর ইবনে খাত্তাবের একটা ঘটনা টানি। গত দুয়েক বছরের ভিতর ইউটিউবে এক বয়াতির বয়ানে খলিফা উমর ইবনে খাত্তাবের ব্যাপারে শুনছিলাম মনে পড়ে; তার আমলে জেরুজালেম ঘিরে রাখছে মোছলমানরা, ভিতরের খিরিস্টান রাজা কইলো, আমরা ছারেন্ডার করবো, কিন্তু ডাইরেক খলিফার কাছে করবো। খলিফা উমর ইবনে খাত্তাবের কাছে শেই খবর গেলে উনি জেরুজালেমের দিকে রওনা হইলেন। Continue reading

” ও ক্যাপ্টেন, মাই ক্যাপ্টেন”: বিডিআর হত্যাকাণ্ড ও ক্যাপ্টেন মাজহারের স্মৃতি

“বিডিআর হত্যাকাণ্ড”-এ শাহাদাত বরণকারী ক্যাপ্টেন মাজহারুল হায়দার আমাদের বন্ধু। এতো সুন্দর দেখতে ছিল সে! কোন ছেলে এতো সুন্দর হতে পারে, ভাবা যেত না। অমিত সম্ভবনাময় এই মানুষটি বিডিয়ার হত্যাকাণ্ডের শিকার সবচেয়ে কম বয়সী আর্মি অফিসার। বিয়ের মাত্র তিন মাস পর শহীদ হন মাজহারুল হায়দার। ওকে আমরা ডাকতাম রুবেল বলে। শিক্ষকরা মাজহার ডাকতো, কেউ কেউ রুবেলই ডাকত। তৎকালীন পুলিশের আইজি নূর মোহাম্মদ সাহেব ছিলেন রুবেলের শ্বশুর।

আমরা ক্লাস সেভেন পর্যন্ত একসাথে স্কুলে পড়েছি। এইচ এম আই ইন্সটিটিউট, করটিয়া, টাঙ্গাইলে। ও পরে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হয়। স্কুল জীবনে আমি ইংরেজিতে খুব ভালো ছিলাম ব’লে একটা প্রচার ছিল। রুবেল বিশ্বাস করতো, এ টি দেবের পুরো ডিকশনারি আমার মুখস্ত!! একটা বিহবল বোধ ছিল আমাদের একে অপরের প্রতি। শেষবার ওর সাথে যখন দেখা হয়, তখন সম্ভবত আমি নটরডেম কলেজে পড়ি বা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে পড়ি। ঠিক মনে নেই। তবে এতোটুকু মনে আছে, একবার একই সাথে আমরা সিএঞ্জি ক’রে করটিয়া এসেছিলাম, খুব সম্ভবত টাঙ্গাইল শহর বা কোথাও থেকে! আমাকে নিয়ে ওর পরম শ্রদ্ধাসূচক কিছু কথা আমাকে স্তব্ধ ক’রে রাখছিল। খুব সম্মান দিতে জানতো রুবেল সবাইকে, খুবই। আমি আর রুবেল সিক্স-সেভেন পর্যন্ত একসাথে একই বেঞ্চে পাশাপাশি বসতাম। রুবেলের বাবা ছিল সরকারি সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যাপক। আমার ছোট বোন সৈয়দা সামিরা, রুবেলের বোন মিমি ও বন্ধু সুমনের বোন সুমিও একই ক্লাসে ( প্লে গ্রুপে বা ক্লাস ওয়ানে সম্ভবত) পড়তো। তখন চাঁদ লিলিলিক নামের একটা স্কুলে পড়ত আমাদের বোনেরা। সা’দত কলেজের সাথেই ছিল স্কুলটি । এখনও আছে কি-না জানা নেই। যা বলছি, সেগুলো সবই কিন্তু গত শতাব্দীর কথা! Continue reading

আমাদের নিয়ত এবং বাংলাদেশের ফিউচার

বিপ্লব বা হাসিনা খেদানির পরে এখন হাসিনার কন্সটিটুশন লইয়া আলাপেরে অনেকে বেহুদা কইতেছেন; এই অনেকের ভিতর বেশিরভাগ খুব শম্ভব ফরহাদ মজহারের ধান্দা /ইনটেনশন /নিয়তের ব্যাপারে শন্দেহ রাখেন মনে; তার লগে এমন একটা ভাবনাও মালুম হয় আমার জে, একটা ইগোর ব্যাপার কাম করতেছে, এখন কন্সটিটুশন লইয়া আলাপ তাদের কাছে ফরহাদ মজহারের এজেন্ডার ভিতর, ডিছকোর্ছের ভিতর ঢুইকা পড়া ছেরেফ।

এখন ফরহাদ মজহারের নিয়ত লইয়া কতগুলা লোকের এমন শন্দেহ খোদ ওনারো জানা আছে, আই বিলিভ! হজরত মজহার তাইলে কি করবেন, ঐ শন্দেহে থাকা লোকগুলারে বাদ দিয়াই আগাইবেন, নাকি ওনার নিয়ত আরেকটু খোলাশা করবেন? ওদিকে, ওনার নিয়ত লইয়া শন্দেহ করার আদৌ কারন আছে কি?

আলাপটা আমি কন্সটিটুশন লইয়া আলাপের জরুরত দিয়াই শুরু করি। হাসিনার রাইখা জাওয়া কন্সটিটুশনের বুনিয়াদি/ফান্ডামেন্টাল এমেন্ড করার পার্লামেন্টারি কোন উপায় নাই, এইখানে দেশের জনগনের বাশনার কোন ছাপ পড়ার অপশন নাই। একমাত্র রাস্তা হইলো জুডিশিয়ারি! তার মানে, জুডিশিয়ারির কান্ধে বন্দুক দিয়া কন্সটিটুশন এমেন্ড করার হাসিনা-তরিকাতেই হাটা হইতেছে তাতে! এইটা আলবত বিপ্লবের ইস্পিরিটের লগে বেইমানি!

ওদিকে, এই জুডিশিয়ারি হাসিনার কন্সটিটুশনের আন্ডারে হাসিনারই বানানো জুডিশিয়ারি (জাস্টিজ মানিকের কথা মনে কইরা দ্যাখেন), কিন্তু দলিলে এইটা ইনডিপেন্ডেন্ট। খেয়াল করলে দেখবেন, বিপ্লবের পরে শবচে কম এফেক্টেড হইছে জুডিশিয়ারি। এই জুডিশিয়ারির কাছে বিপ্লবের/লিবারাল ডেমোক্রেটিক ভ্যালুজ আশা করার উপায় নাই এবং হাসিনার কন্সটিটুশন বহাল দশায় এই জুডিশিয়ারিতে আপনে কোনভাবে ইন্টারভেন করতেও পারবেন না।

এখন দলিল মোতাবেক, রাশ্টের শবচে পাওয়ারফুল পোতিশ্ঠানের নাম জুডিশিয়ারি, শেইটা হাসিনার কন্সটিটুশনের চেতনা ধারন করার মানে হইলো, এই বিপ্লব, শরকার, রদবদল–কোনটার লেজিটিমেছি নাই, অবৈধ এবং পানিশেবল। তাইলে দেখা জাইতেছে, জুডিশিয়ারিতে ইন্টারভেন করা, হাসিনার মতো গায়ের জোরে/রিক্রুটমেন্টের ভিতর দিয়া জুডিশিয়ারিকে ইউজ করা জেমন বিপ্লবের ইস্পিরিট-বিরোধি, তেমনি জুডিশিয়ারিকে রিফর্ম না কইরা হাসিনার মনের মতো রাখারও উপায় নাই! খোদ কন্সটিটুশনের একটা বিহিত করা বাদে এই মুশকিল কেমনে আছান করবেন আপনে? Continue reading

আমার ভিজুয়াল আর্টের পথ এবং তারপর

আমি কি আর্ট বুঝি? আর্ট কি আলাদা নাকি ইতিহাস, সমাজ, রাজনীতির সাথে এর কোনো যোগ আছে?

আমার রেগুলার ইন্টারমিডিয়েট এর ব্যাচ ছিলো ২০০৮। তো সেবার পরীক্ষার মধ্যে চিকেন পক্স হইছিলো। ৪ টা পরীক্ষা বেডে দিয়েই বুঝছিলাম যে পাশ করলেও রেজাল্ট ভালো হবে না। আসলে তাই-ই হইছিলো। বন্ধুরা সব ঢাকা চইলা গেলো এডমিশন এর প্রিপারেশন নিতে। আর আমি বাসায় বইসা থাকলাম আরেকবার পরীক্ষা দিতে হবে বলে।

তো ওই ফ্রি টাইমে প্রচুর গান শুনতাম, এলাকায় এভেইলেবল যেইসব কবিতা, উপন্যাসের বইপত্র পাওয়া যাইতো সেইগুলান কিনে পড়তাম। আর ছোটোবেলা থেকে ছবি আকতাম বইলা আবার ড্রয়িং করা শুরু করছিলাম। পত্রিকায় ভিজ্যুয়াল আর্ট রিলেটেড লেখাপত্র পড়তাম। মনে আছে ভ্যান গগ ও গগা রে নিয়া কার যেনো একটা লেখা এত ভালো লাগছিলো যে পত্রিকা থেকে কেটে রাখছিলাম। তো ঐ টাইমেই ডিসিশন নিয়া নিছিলাম যে চারুকলায় পড়বো।

২য় বার ইন্টারমিডিয়েট পাশ কইরা যখন ঢাকায় কোচিং করতে আসতে চাইলাম তখন বাসা থেকে চারুকলার জন্য রাজি না মোটেও। জোর কইরা যশোরে এ ইউনিটের(সাইন্স বেইজড সাবজেক্টের) এডমিশন কোচিং-এর জন্য ভর্তি করাইলো। যশোরে কাজিনের সাথে থাকতাম, কোচিং এ যাইতাম না। যাতায়াত এর টাকা আর কোচিং এ ভর্তির টাকা পুরোটা না দিয়ে সেই টাকা জমাইলাম। আরো কিছু টাকা আগেই জমানো ছিলো। সব মিলিয়ে হাজার ২০ এক টাকা নিয়ে বন্ধু নাজমুল এর কাছে এসে উঠলাম ঢাকায়। চারুকলার ভর্তি কোচিং এ ঢুকলাম। পরীক্ষার মাত্র ২৮ দিন বাকি আর। এপ্লিকেশন যশোর থেকে আগেই কইরা রাখছিলাম।

কোচিং এ আইসা হতাশ, সবাই ন্যাচারালিস্টিক ফিগার ড্রয়িং এর প্রিপারেশন নিচ্ছে। দুর্দান্ত আকে। আর আমি স্রেফ গ্রামের দৃশ্য আকা লোক। কোচিং এ এক কোনায় বইসা থাকতাম, বুঝার চেষ্টা করতাম আর ইম্প্রুভ করার ট্রাই করতাম। পরীক্ষার সপ্তাহ খানেক আগে থেকে খুব সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়া একা একটা মডেল ভাড়া কইরা ড্রয়িং করতাম। আর হতাশ হইতাম। কারণ বুঝতাম কিছুই হচ্ছে না। পরীক্ষার আগের দিন সনদ দা আমার একটা ড্রয়িং দেখে কইলো- এইটা তোমার আকা?
কইলাম হ্যাঁ ভাই।
উনি কইলেন এরকম আকতে পারলে টিকে যাবা। ভরসা পাইছিলাম ওনার কথায়।

তো পরীক্ষার দিন তত্ত্বীয়টা ভালো দিলাম। কিন্তু ড্রয়িং পরীক্ষায় আইসা দেখি কেল্লা ফতে। প্রশ্ন বেশিরভাগেরই কমন পড়ে নাই। মানে ফিগার ড্রয়িং তো আসে নাই।

প্রশ্নপত্রে লেখা: রেখাচিত্রের মাধ্যমে একটা নিসর্গ দৃশ্য আকো, যেখানে কমপক্ষে ৩টা মানব ফিগার থাকতে হবে।

কয়েকজন বন্ধু নিসর্গ দৃশ্য কি জিনিস বুঝতেছিলো না। কইলাম ল্যান্ডস্কেপ।
যাইহোক, বুঝলাম টিকে যাবো। টিকেও গেলাম। পেইন্টিং ডিপার্টমেন্ট ভর্তি হইলাম। ক্লাস শুরু হইলে হতাশার চরমে পৌছাইলাম। ঐ চারুকলার ভর্তি কোচিং যে স্টিল লাইফ, ফিগার, পার্টস ড্রয়িং যা শেখাইতো এখানেও দেখি তাই-ই শেখাচ্ছে। শুধু পেন্সিলের জায়গায় পরবর্তীতে মানে সেকেন্ড ইয়ারে (ওয়াটার কালার), থার্ড আর ফোর্থ ইয়ার(অয়েল কালার) আইসা মিডিয়ামগুলো চেইঞ্জ হইছিলো।

ফার্স্ট এনকাউন্টার হইলো এক মহান শিক্ষকের লগে। যিনি কাইন্ড অফ গডফাদার অফ চারুকলা। উনারে জিগাইলাম- স্যার যা দেখছি তা তো ফটোগ্রাফি কিংবা ট্রেসিং কইরাও আকা যায়। এইটা শিখে কি হবে?

উনি উত্তরে কইলেন- তাই? তো ফটোগ্রাফিতে ভর্তি হইতা। এখানে আসছো ক্যান? তারপর ঠান্ডা মাথায় আবার কইলেন নিয়ম ভাঙতে হইলে নিয়ম জানতে হয়। Continue reading

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
জীবিকার জন্য একটা চাকরি করি। তবে পড়তে ও লেখতে ভালবাসি। স্পেশালি পাঠক আমি। যা লেখার ফেসবুকেই লেখি। গদ্যই প্রিয়। কিন্তু কোন এক ফাঁকে গত বছর একটা কবিতার বই বের হইছে।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →