মুশকিলের নাম পিনাকি ইলিয়াস

জুলাই রেভলুশনের একটা এস্কেচ বানাবার খায়েশ আছিলো মনে, তা আর হইলো কই 🙁 ! এইখানে বেশ মাঝখান থিকা আতকা কতোগুলা কথা লেইখা রাখতে চাইতেছি, পরে কখনো ঐ খোয়াব পুরন করতে পারলে এই লেখাটা কামে লাগবে খুব শম্ভব!
রেভলুশনের এস্কেচ করার বেলায় একটা ছেন্ট্রাল রিছার্চ কোশ্চেন আছে আমার–আমি রেভলুশনের শহিদদের ‘ওয়াচলিস্ট’ জানতে চাই, মানে পেরাইভেছির উপর হামলা করতে চাইতেছি না, জাস্ট তাদের পলিটিকেল কনশাছনেছ বুঝতে চাইবো আমি এবং শেই কনশাছনেছের লগে তাদের ওয়াচ-লিস্টির একটা রিশতা আছে বইলা আন্দাজ করতেছি আমি! এই রিছার্চটা আর কেউও করতে পারেন, মুভমেন্টের গাজিদের ইন্টারভিউ এই ব্যাপারে কামে লাগতে পারে; মানে গাজিদের ওয়াচ-লিস্টি দিয়া শহিদদের ব্যাপারে আরেকটু মজবুত আন্দাজ করা জাইতে পারে!
এনিওয়ে, আবু সাইদ শহিদ হবার পরে, জুলাইতে হাসিনার কার্ফু শুরুর ঠিক আগে আমি বাড়িতে আইশা আটকা পড়ছিলাম, বরিশালে কাদানে গ্যাশও খাইয়া আশতে হইছে।
কার্ফু শুরুর পরে ঢাকা থিকা এক দোস্ত ফোন দিলো, মোহাম্মদপুরে ঐ দোস্ত রাস্তায় আছিলো মুভমেন্টে; বেশ আপছেট শে, এমন কইলো–ভাই, পারলাম না তো, শয়তানটা তো টিকা গেলো! আমি কইলাম, আমরা জানি না ওস্তাদ, এখনো ডিছিশন নেবার টাইম হয় নাই; এই কার্ফুর ব্যাপারে দেশের আমজনতা কেমনে রিয়েক্ট করে, তার উপর ডিপেন্ড করে বাকিটা!
ইন্টারনেট ফেরার পরে আরেক দোস্ত ফোন কইরা কইলো–ভাই, তুহিনেরে থামান, মাইনা নিতে কন জে, আমরা হাইরা গেছি 🙁 ! তারে কইলাম এমন: আমি আপনে জাই না, নামি না, ডরাই হয়তো, কিন্তু জারা ময়দানে গেলো, নামলো, এখনো আছে, তাদের এই থাকার অর্থ আছে ইতিহাশে; কেউ না কেউ মরবে, হাসিনা মারবেই, আমাদের চেনা লোকগুলারে বাচাবার বাড়তি ইচ্ছাও হবে আমাদের, কিন্তু নিজেদের না নামা জাস্টিফাই করতে ময়দানের লোকজন ডাইকা ঘরে তুলবো না! ওদের এই নামার কি অর্থ ইতিহাশে, আমরা এখনো জানি না, হয়তো হাইরা গেছি আমরা, কিন্তু থামাবার চেশ্টা করবো না আমি।
তো, ঢাকা ভার্ছিটির হল থিকা ছাত্রলিগ খেদাইলো ‘বৈশম্ম বিরোধি’ ইস্টুডেন্টরা; তারপর হাসিনা ঢাবি দখল করলো আবার, ইস্টুডেন্টদের বাইর কইরা দিলো হল থিকা। ঢাবি থিকা ছাত্রলিগ খেদাইয়া দেওয়া তক ইতিহাশ কিন্তু আগেই আগাইছে, শেই ২০১৮ শালেই নুরুরা ঐটা করতে পারছিলো, অতোটা শামাল দিতে পারে হাসিনা, ২০১৮ শালেই শেইটা পারার নজির আছেও তার। ফলে এইবার ইতিহাশ আরো আগাবার দরকার হবেই, নাইলে হাসিনার কিছু হবে না, নামাইতে পারবো না আমরা, হিশাব এইখানে বেশ শোজাই।
২০১৮ থিকা এইবারের তফাত হইলো, এইবার, এই ২০২৪ শালে ইস্টুডেন্টদের হাত থিকা ডিউটি নিজেদের হাতে নিয়া নিছে দেশের আমজনতা! এতোটাই নিছে জে, কার্ফু দিতে হইছে হাসিনার।
কিন্তু হাসিনার কার্ফু মানে নাই আমজনতা; ঢাকার জাত্রাবাড়ি, উত্তরা, বাড্ডা, মোহাম্মদপুর এবং চিটাগাঙের কথা এস্পেশালি কইতে হইলো আমার, ঠিকঠাক রিছার্চ আমার নাই বইলা দেশের বাকি এলাকার কথা আমার মাথায় নাই ততো, আপনারা আরো অনেক এলাকা/শহরের কথা জানেন আলবত। কিন্তু ঐ ৫টা এস্পটই কাফি, ছাত্রজনতার উপর পাইকারি গুলি চালাইছে হাসিনা, কিন্তু কার্ফু মানাইতে পারে নাই। আমার আগ্রহ হইলো, এরা কারা? কার্ফু ভাংগার এই হিম্মত, বেশুমার শহিদি জোশের জেই পলিটিকেল কনশাছনেছ, এইটা কেমনে পয়দা হইলো!? Continue reading