হিস্ট্রিওগেরাফি এন্ড পলিটিকেল লয়ালটি
‘মুজিববাদ’ শব্দটা লাইক করি না আমি; তার বড়ো কারন, এইটা দিয়া আমি কিছু বুঝি না, বোঝার উপায়ও নাই আমার মতে! কেননা, একটা ‘বাদ/ইজম’ হইতে জেই ভাবনা-চিন্তার দরকার হয়, শেইটা শেখ শাহেবের নাই; মানে, ওনার কোন পলিটিকেল ডকট্রিন দেখতে পাই না আমি, তেমন কোন ডকট্রিন পাইতে ওনার কতক ভক্ত হইতে হয় বইলা মনে হয় আমার!
তবে, এইটাই না ছেরেফ, আরো কারন আছে।
মতি-মাহফুজ, তাদের মিডিয়া এবং ছিপিবি ইশকুল লইয়া একটু ভাবলে ব্যাপারটা খোলাশা হইতে পারে আরেকটু।
১৮ অক্টোবর ২০২৪, মরা আওমি লিগ নেতার পোলা মাহফুজ আনাম লিখলেন, ‘হাসিনার আকামের শাজা শেখ শাহেবকে দেওয়া জায় না।’। মতিউর রহমান বা ছিপিবি বা আওমি লিগের পজিশনও এই ব্যাপারে ছেম ছেম।
তাইলে হিশাব করেন, এনাদের ইতিহাশ মতে ‘বাকশাল’ একটা ইনোছেন্ট ঘটনা, শেখ শাহেবের ৭২-৭৫ শাশন হাসিনার শাশনের থিকা খুব তফাতের (গুড গভর্নেন্স খুব শম্ভব) ঘটনা; শেখ শাহেব তার নিজেরই আকামের ফল পাইতেছেন না জেন, শেখ হাসিনার আকামের দায় আমরা জেন শেখ শাহেবের কান্ধে দিতেছি!
এইখানে মনে করাই, হাসিনার শাশনকে জখন আপনারা ‘ফেছিজম’ কইয়া ডাকতেন হরদম, কুত্তার মতো আমরা কয়েকজন ঘেউ ঘেউ কইরা গেছি, ফেছিজমের বাংলা হিশাবে ‘বাকশাল’ ইউজ করতে কইতাম; কেন কইতাম এইটা? কেননা, ছেরেফ ফেছিজম কইলে দেশের ইতিহাশ এবং আমজনতার লগে কানেকশন পয়দা হয় না, শেখ হাসিনার আওমি লিগ আর তার খারাপ শাশনের শুরুটা হয় ২০১৩/১৪ শালে, কারো কারো মতে বড়ো জোর ২০০৮!
শেখ শাহেবের শাশন এবং দেশের ইতিহাশের কন্টিনিউটির ব্যাপারে আমাদের তাগিদ আপনারা আমলে না নেবার কারনে আমরা দরকারি হিস্ট্রিওগেরাফি বানাইতে পারি নাই 🙁 ! শেইটাই মতি-মাহফুজদের এমন মওকা বানাইয়া দিছে; এনাদের মিডিয়া, মুনতাসির মামুন-গোলাম মুরশিদ-শাহরিয়ার কবির গঙের বানানো ভুয়া হিস্ট্রিওগেরাফি দেশের কতোগুলা মানুশের মন এমনভাবে বানাইয়া রাখছে জে, শেখ শাহেবরে লইয়া মতি-মাহফুজদের অশৎ আর্তি এখনো কিছু অ্যাপিল পয়দা করতে পারতেছে।
৭২-৭৫, শেখ শাহেবের শাশনের শেই জামানা আমরা কতোটা ভুইলা আছি ভাবেন–খালেদার ১৫ ফেব্রুয়ারির ইলেকশন এখনো মনে করি আমরা, নিন্দা করি–বাস্তবে ঐটারে ছেরেফ বেহুদা খরচ কইতে পারেন, তার বাইরে ঐটা খমতা দখলে রাখার ব্যাপার আছিলো না, বরং শেই পার্লামেন্টে বানানি কেয়ারটেকার গভমেন্টের ইলেকশনে হাসিনা পিএম হইছে; কিন্তু দ্যাখেন, আজকে ৭ মার্চ বলতে ছেরেফ ১৯৭১ শালের ৭ মার্চ বুঝি, অথচ ১৯৭৩ শালের ৭ মার্চ শেখ শাহেব হাসিনার ১৮ ইলেকশনের মতোই একটা ইলেকশন কইরা পুরা পার্লামেন্ট দখল করছেন, শেই পার্লামেন্টই পরে বাকশাল পয়দা করছে। ইতিহাশ মাথায় রাখলে আমরা বরং ৭ মার্চকে ‘ভোট ডাকাতি’র দিন হিশাবে পালন করতে পারি, আমরা তাইলে এরশাদের ৮৬/৮৮, খালেদার মাগুরা, হাসিনার ১৪/১৮/২৪ ইলেকশনের ইতিহাশের বুনিয়াদ হিশাবে শেখ শাহেবের ৭ মার্চ ইলেকশনরে পাইতে পারতাম!
এখন ভাবেন তো, কেন এই দিকের বহু লোক বাকশালের ইতিহাশ ভুলাইয়া রাখা টার্ম ‘ফেছিজম’ কইতে থাকে কেবল, আর ঐ দিকে মতি-মাহফুজরা শেখ শাহেবের শাশন-বাকশালরে ইনোছেন্ট/মাছুম (এমনকি পজিটিভ!) ঘটনা হিশাবে দেখতে চায়!? এই দুই পক্ষের এই মিল কেমনে ঘটলো?
কিন্তু এই আলাপে জাবার আগে বাকশাল এবং তার লগে মতি-মাহফুজ-ছিপিবি-বুরোক্রেছি-কলোনিয়াল এডুকেশনের রিশতাটা ভালো কইরা খেয়াল করা দরকার। Continue reading