নট ইওর টিপিকাল মুক্তিজুদ্ধের গোসাঁই

কেন মুক্তিযুদ্ধ থেকে বের হইতে হবে আমাদের?
মুক্তিযুদ্ধের সম্যক ফলাফল বাংলাদেশ পাওয়ার পর বাংলাদেশপন্থিদের একটাই কামনা হওয়া উচিত, ‘মুক্তিজুদ্ধ’কে শেশ করে রাখা।
এরপরেও আমরা যে মুক্তিযুদ্ধ নিয়া বকবকাই, চেতি ও মুর্ছা যাই, এইটা মূলত ইন্ডিআর মুক্তি জুদ্ধখানি চালু রাখি। একাত্তরে ইন্ডিয়ার ইন্টারভেনশনের পর একটা বাংলাদেশ হইয়া ইন্ডিআর কি লাভ? শেইটা ঘটাইতে ইন্ডিআ ইন্টারভিন করবেই বা কেন? এখন তৎকালিন পাকিস্তানপন্থি ও অধুনা ‘বড় বাংলাপন্থি’ মজহারদের কাছে বাংলাদেশ দুধভাত জিনিশ হইতে পারে কিন্তু ইন্ডিআর কাছে বাংলাদেশ হওয়াই মানে পাকিস্তান ভাগ করাই একটা ফুল থ্রটল ইন্টারভেনশনের জন্য যথেষ্ট না, যদি না শেই বাংলাদেশ ইন্ডিআর অনুগ্রাহী উপগ্রহ হইয়া থাকে। ফলে ইন্ডিয়া একটা ‘মুক্তিজুদ্ধ’ বাংলাদেশে চায়, জেই মুক্তিজুদ্ধের লক্ষ্য একটা ইন্ডিআন আওতাধীন বাংলাদেশ।
এই ‘মুক্তিজুদ্ধ’এর লোকাল মার্ছেনারি হইলো আওয়ামি লিগ। ও প্রোগোবামস। প্রোগোবামদের একটা পক্ষকে মনে হবে খুব এন্টি আওয়ামি। জুলাইয়ের পর তারাও আওয়ামী লিগেরে ভোটে নামতে দিতে চায়না। কিন্তু তারা চায় জামাত ও আওমিলিগ দুইটারেই ভোট থেকে দূরে রাখতে। জামাতের জুলাইয়ে জেই অবদান, তারপরে জামাতরে ব্যান করতে চাওয়া কেমন চাওয়া? এই চাওয়ার শরুপ কি? এই চাওয়ার চেহারা ধরেন মুক্তিযুদ্ধের পর আওয়ামি লিগ ব্যান করতে চাইলো কেউ তেমন (অনেকে ছ্যাৎ কইরা উঠবেন এত বড় কেরডিট দিতাছি বইলা,কারন তারা মানেন মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লিগের বিরাট কেরডিট! আমি তা মানিনা)। তাইলে জারা জুলাইয়ের পর আওয়ামির লগে জামাতেরও একই ট্রিটমেন্ট চায়, তারা আসলে গানিতিক আরোহ পদ্ধতিতে আওয়ামি লিগের রিহ্যাবিলিটেশন চায় কিন্তু, যেহেতু বামেদের অভ্যাশ শব শময়ই ‘ইতিহাশের শঠিক দিকে থাকা’ এবং ভার্চু সিগনালিং করা ফলে জুলাইয়ের পর আওয়ামি রিহ্যাবের কথা জামাত পশ্ন শামনে রাইখা বলে।
মুক্তিজুদ্ধ জারি রাখার আরেক শমশ্যা হইলো, শুধু নিহতের সংখ্যা ধরলেই, এক মুক্তিযুদ্ধের পেটে হাজারটা জুলাই হাপিশ হইয়া যাবে তুলনায়। মানে বাংলাদেশের বর্তমান বইলা কিছু থাকে না আর। ফলে অন্তত জুলাইয়ের পর মুক্তিজুদ্ধরে তামাদি করে ফেলতে হবে।
এবং বাংলাদেশের রাজনিতি শুরু করতে হবে। জুলাইয়ের না। মানে জুলাইকেও পলিটিকালি সমাপনী অনুষ্ঠানের ভেতর দিয়া জাইতে হবে। যদি না জুলাইও তামাদি হওয়ার পয়েন্টে পৌছাইতে চায় মুক্তিজুদ্ধের মত। Continue reading