বিচারপতির স্কাইপি কনভারসেশন (২০১২) – পার্ট ২: বাবু হলো জেএসডি, আর ওই ঠাকুর হলো সিপিবি। আমরা আওয়ামী লীগ দিব।

পার্ট ১
…
তাঁর নাম হইল সোনা জাহাঙ্গীর
২৭ আগস্ট ২০১২
.
নাসিম: হ্যালো
জিয়াউদ্দিন: হ্যালো
নাসিম: কেমন আছেন?
জিয়াউদ্দিন: আছি আছি। আমি তো বুজতেছি না। আপনাদের ওইখানে কী হইতেছে। এই লোক এই যে, নাম আসছে এই লোকটা কে আসলে?
নাসিম: জাহাঙ্গীর।
জিয়াউদ্দিন: এ কি আপনার মানে… অ্যা… অ্যা… অ্যা…। এটা আমার তো কোনো ধারণাই নেই এই লোক সম্পর্কে।
নাসিম: আমাদের চয়েসও না, আমার জানা মতে ল’মিনিস্টারের চয়েসও না। কিন্তু তার নাম আইসা চিফ জাস্টিসের রিকোমেন্ডেশন হইয়া গেছে। সে হলো জজকোর্টে ল’ইয়ার ছিল। জজকোর্টের লেবেল থেকে মনে হয় হইছে। কামরুল-টামরুল করছে আর কি। যা-ই হোক, মনে হচ্ছে আমার। জজকোর্টে ল’ইয়ার ছিল। আপনার অ্যা… স্মাগলিং কোর্টের পিপি আছিলে। তাঁর নাম হলো সোনা জাহাঙ্গীর।
জিয়াউদ্দিন: হেয়… হে য়ে, ও মাই গড! এইটা হইল কী কইরা!
নাসিম: হেডা আমি জানি না। আমার সঙ্গে ল’মিনিস্টারের যে কথা, তাতে আওনের কথা বাবু (বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস বাবু। বর্তমান সরকারের আমলে বিচারপতি হওয়ার দুই দিন আগে পর্যন্ত যিনি খুনের মামলার প্রধান আসামি ছিলেন) বা গোবিন্দ (বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর), ল’মিনিস্টার তাই বলছেন। কালকে চিফ জাস্টিসের লগে দেখা হইলো। কালকে উনি এমন কিছু বলেন নাই। এসব আলাপ করেন নাই। উনি বলছেন যে, আপনাদের খুব সুনাম আছে এবং বায়-টায় কোনো বদনাম নাই, এইটা মেইনটেন করতেছেন। এটা খুব ভালো। কোনো ধরনের বদনাম আপনাদের নাই। আইজকে দেখলাম যে নাম দিছে। এখন যাক, কী আর করার।
জিয়াউদ্দিন: এইটা তো… তার মানে একটা করাপ্ট মানুষকে দেওয়া হইছে?
নাসিম: অন্ততপক্ষে হি ওয়াজ করাপ্ট—এটা বলা যাইবে।
জিয়াউদ্দিন: আরে এইটা কি এমন একটা জিনিস যে, কালকে ছিলেন করাপ্ট, আজকে ভদ্রলোক হয়া গেলেন?
নাসিম: হা… হা… হা… হা…। যা-ই হোক, কী কমু আমি?
জিয়াউদ্দিন: এটা আরেকটা ভেজাল, আরেক ভেজাল লেগে যাবে আমাদের।
নাসিম: ভেজাল লাগবে না। কারণ তারে বলা হইছে… বলা হইছে যে, চেয়ারম্যান যা কইবে, তুমি খালি ইয়েস কবা। এমনে সে লেখাপড়া জানে। এইডা আমি বলমু, বুঝলেন।
জিয়াউদ্দিন: হু?
নাসিম: লেখাপড়া জানে?
জিয়াউদ্দিন: লেখাপড়া জানে মানে! কোন সেন্স থেকে? পড়ালেখা কী করেছেন উনি?
নাসিম: না… এমনে কেইস-টেইস…। ল’ইয়ার, ভালো ছেলে। অ্যা.. কোর্ট পারফরম্যান্সও ভালো ছিল। এগুলা ঠিক আছে কিন্তু।
জিয়াউদ্দিন: জুডিশিয়ারিতে ছিলেন এর আগে?
নাসিম : না না, ল’ইয়ার।
জিয়াউদ্দিন: ও আচ্ছা তার মানে, এ ইয়ের কোটায় আসছে আর কি।
নাসিম : কামরুল কোটায়। আমার ধারণা, হে কামরুল কোটায় আসছে।
জিয়াউদ্দিন: এটা কীভাবে সম্ভব হইতেছে? এটা কি প্রধানমন্ত্রী কিছুই জানেন না!
নাসিম: প্রধানমন্ত্রী তো আবার হেদের খুব পছন্দ করেন। সাহারা খাতুন… টাতুন এদের বুঝেন না!
জিয়াউদ্দিন: আপনি কি জানতেন? ও জহির সাহেব ইয়ে করতেছে। উনি কিছু বলছেন টলছেন আপনাকে?
নাসিম: না না না, উনি ফাস্ট হাফে আমার লগে কোর্ট করছেন। কোর্ট কইরা নামছেন নিচে। নামার পরে উনি পট কইরা দশ মিনিট পর ফোন কইরা বলল, স্যার, আমি একটু ইমারজেন্সি…। আমি আসতেছি, স্যার। এই কথা কইয়া চইলা গেল। তখন নাকি তারে ল’মিনিস্টার ডাকাইয়া সেক্রেটারিয়েট নিছে। সে আইসা আমারে বলে, ‘আই এম নো মোর ইয়োর মেম্বার’। আমি কই মানে! কী বলছেন আপনে? উনি বললেন, আপনি কোর্টে উঠেন…। আপনার লগে দেখা করে যাব। তবে আমি কোর্টে উঠবো না, উঠতে পারতেছি না আমি। শ্যাষে আমি কোর্টে উঠলাম। কোর্ট সাইরা চারডার সময় দেখা করল। তখন আমাকে বলল যে, এ রকম ডাকাইল… ডাকাই নিয়া বলল যে, রিজাইন করেন। রিজাইন করলাম… রিজাইন দিয়ে আসলাম। আর আজকে স্বীকার পাইছেন উনি যে, পরশু দিন রাতরে উনারে মন্ত্রী ডাকাইছিলেন বাসায়।
জিয়াউদ্দিন: আইনমন্ত্রী?
নাসিম: এবং বাসায় নিয়া বলতেছে…, আপনারে আমরা ই তে নিব। ল’ কমিশনে নিব। আপনি রিজাইন দেন। আজকে ডাকাই নিয়ে একেবারে রেজিগনেশন রাইকখা দেছে এককেরে।
জিয়াউদ্দিন: ল’কমিশন দিলে খারাপ না, এটা একদিক থেকে।
নাসিম: এইডা আমার সঙ্গে আলাপ করছে সে। বলছে ওইখানেই দেবে।
জিয়াউদ্দিন: সো এইটা আইনমন্ত্রী বলেছেন।
নাসিম: হু আমারে আইন মন্ত্রীই কইছে।
জিয়াউদ্দিন: এটা ঠিক আছে। হ ওইটা ঠিক আছে। ইট উইল বি গুড। অ্যাট সট অব ওয়ার্ক। Continue reading