Main menu

দেবাশিসের ডিজিটাল ড্রয়িং

বাছবিচারের এই আয়োজনে জুলাই-আগস্টের সময়কালের ‘ছবি’ গুলিই আছে। চলমান নানান অকল্পনীয় ঘটনাপ্রবাহের রিফ্লেকশন আছে, সচেতন সিদ্ধান্ত আছে আবার অজ্ঞান বা আনকনসাসও হাজির আছে। অনেকক্ষেত্রে এই আনকনসাস শুধু ব্যক্তিগত না, যৌথও বটে। তবে আমি এখানে কালেক্টিভ আনকনসাস নিয়ে বিস্তারে যাব না। সচেতন সিদ্ধান্ত এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা  তুলে ধরতে কিছু বাক্যখরচ করবো। অজ্ঞানের বাছবিচারের কাজটা আপাতত দর্শক-রিডারের দরবারেই থাকুক। আবার গণঅভ্যুত্থানের বিস্তৃত তত্ত্বায়ন বা চিহ্নায়ন করার সাধও নাই। যদিও কিছু ইঙ্গিত থাকলেও থাকতে পারে।

জুলাইয়ের শুরুর দিকেই খেয়াল করছিলাম কোটা সংস্কারের জন্য দাবি উঠছে ঢাকায়। দাবিতো ঠিক না, দাবির মেজাজটা আবদারের। মনে মনে একটু হতাশ এবং রাগও হচ্ছিল। স্বৈরাচার-মাফিয়ার কাছে আবদার কিসের? এই মনঃক্ষুণ্ণ অবস্থায় নিজেকে সম্পৃক্ত করতে ভেতর থেকে সায় দিচ্ছিল না। মনে পড়ে জুলাইয়ের ৮ তারিখে ‘ফ্যাসিস্ট তাড়াও ন্যায্যতা পাও’ এবং ‘বাটপার হটাও সমতা পাও’ নামে দুইটা কাজ করি। শুধু কথার কথা না, কথার সাথে ছেলে মেয়েদের সংগ্রামী শরীরী ভাষাও কল্পনা করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু এই বিষয়ে আর আগাই নাই। কিন্তু জুলাইয়ের ১৫-১৬ তারিখ নাগাদ পরিস্থিতি ভিন্ন বাঁক নিয়ে সবকিছু বদলে দেয়। হাসিনাশাহীর সেই চিরাচরিত ডিহিউমানাইজিং স্টাইলে দেয়া বক্তব্যে সব বদলে যায়। রাজাকারের ট্যাগ শুনে মানুষের মাথার তার শেষ পর্যন্ত ছিঁড়ে যায়। “তুমি কে? আমি কে? রাজাকার রাজাকার। কে বলেছে? কে বলেছে? স্বৈরাচার স্বৈরাচার।”- স্লোগান শুনে টের পেলাম অবস্থা আগের মতন নাই। দ্রোহের আগুন জ্বলে গেছে। আমারও দ্বিধার বাঁধটা ভেঙ্গে গেলো। এই আন্দোলনের মধ্যে বৃহত্তর দ্রোহের শক্তি টের পাই আর নিজেও সম্পৃক্ত হয়ে যাই। কিন্তু দুই দিন না যেতেই জুলাইয়ের ১৮ তারিখে ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট কারণে বাংলাদেশের সাথে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো। শুরু হল অনিঃশেষ অনিশ্চয়তা, আশংকার দিন। এই পুরাটা সময় নিজের কাণ্ডজ্ঞানের উপর ভরসা রাখতে হয়েছে। সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে থাকা নানা শ্রেণী-পেশার প্রবাসী বাংলাদেশীরা ছাড়া কারো মাথা ব্যাথা ছিল না।  নানান উদ্যোগ-আয়োজন-সমাবেশের জন্য কিছু কাজ উন্মুক্ত করে দিতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্র আন্দোলনের সাথে প্রাথমিক অভিজ্ঞতা থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিছুটা হয়তো কাজে লেগেছে। ব্ল্যাক আউটের সময় অনেক টেমটেশন সামাল দিতে হয়েছে। কেউ কেউ অনেক স্বৈরাচারী আকাঙ্ক্ষা প্রচার করতে ফুসলিয়েছেন, কেউ কেউ হাসিনার বিকল্প নাই বলে ভয় দেখিয়েছেন। এসব প্রলোভন-টোপ-ফাঁদ সামাল দিতে হয়েছে। এমন দুর্বল সময়ে, অনিশ্চয়তার মধ্যে অনেকেই খারাপ আচরণ করেছেন। পরিচিত বর্গের কিছু মানুষ হুমকি ধামকি দিয়েছেন, আমি কেন হিজাবি বা মাথায় ঘোমটা দেয়া নারীদের ছবি আঁকছি! আমার কাজের সাথে পরিচয় নাই বোঝাই যাচ্ছে। তারা সকল আর্টিস্টকেই নাদান মনে করেন। যেন আন্দাজে করেছি। গণমানুষের আকুতিতে, গণঅভ্যুত্থানের কল্পনায় কি ‘গণের’ উপস্থাপনা থাকবে না? তাহলে গণঅভ্যুত্থান কোথায়? ৫ আগস্টের আগেই, যতদূর সম্ভব, সীমিত কারিগরি দক্ষতায় যা কল্পনা করেছি, সেটাই মূর্ত করার চেষ্টা করেছি। গণঅভ্যুত্থান শব্দটাও নানান মানুষের চেষ্টায় জন পরিসরে চাউর ছিল।  গণঅভ্যুত্থান যে হবে সেটা কে জানতো। আকাঙ্ক্ষায় হয়তো ছিল। তাছাড়া ঘটনাবহুল প্রায় ২০ দিনের গতিপ্রকৃতির ধাক্কা ছবিগুলিতে পড়েছে নিশ্চয়ই।   নানা শ্রেণী-পেশা-লিঙ্গের মানুষের বহুত্ববাদী কল্পনাটা শুধু কথার কথা না, এই গণঅভ্যুত্থানের চরিত্র একটু তত্ত্বায়ন বা বাছবিচারের চেষ্টা করলেই ব্যাপারটা বোঝা যাবে। আশা করি নানান পেশাজীবী এবং ডিসিপ্লিনের কামেল লোকজন কাজটা করবেন, নিয়তির কাছে সবটা ছেড়ে দিবেন না। Continue reading

মাজার ভাঙ্গা নিয়া কয়েকটা কথা

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

মজার ভাঙ্গা নিয়া কয়েকটা কথা

দেশে মন্দির ভাঙ্গার সময়ে যে অল্প সময়ের মধ্যে আমরা ভাঙ্গা ঠেকানোর একটা উদ্যোগ দেখলাম, সেইটা মাজার এর ক্ষেত্রে এখনো দেখা গেল না। এই ঘটনা এইটাই প্রমান করে যে, কালচারাল আর পলিটিকাল স্পেস হিসাবে মাজার এখনো গরীবের জায়গা হইয়াই হাজির আছে। মুসলমান এবং হিন্দু দুই গরীবেরই জায়গা। সেকুলার এবং ইসলামি দুই মিডিল ক্লাস এর কাছেই মাজার এর তেমন কোন ভ্যালু নাই। সেকুলারের জন্য এইটা শাড়ি পাঞ্জাবী পইড়া পুজা দেখতে যাওয়ার মত কোন ঘটনা না, ছবিও তো দেয়া যায় না নিজের চেহারার লগে গরিবের চেহারার, একই লগে। ইসলামী মিডিল ক্লাস তো ইদানিং ইউটিউব চ্যানেল বানাইয়া মাজারের আশে পাশে গিয়া হেনস্থা করে লোকজনরে যে তারা ইসলামের ব্যাপারে কিছু যানে কিনা। ফলে মাজারের মুসলমান আর হিন্দু দুই গরীব মেজরিটি হইয়াও, সোশ্যাল মিডিয়ায় এনাফ সমবেদনা উৎপাদনে ব্যার্থ হইয়া, নদী ভাঙ্গগনের মত ভাঙ্গগনের কবলে পড়ছে।

ইসলামী বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে একটা জিনিষ মাথায় না রাখলে ভ্যাজালে পড়তে হবে অনেক, সেইটা হইল পেরিফেরি বা স্পেসেফিক কোর এর বেসিসে ঠিক করা হয়। ফিকহি আলাপে এইগুলার জটিলতা নিয়া প্রচুর আলার হইয়া আছে আগে থিকাই। স্পেসেফিক যদি কোর এর আইডিয়া থিকা সইরা যায়, তাইলে স্পেসেফিক এর সাপোর্টে সহিহ হাদিস থাকলেও বুদ্ধিমানের কাজ হইতেছে কোর এর সাথে মিলাইয়া নেয়া। সাধারন মানুষের লাইগা এত কিছু করার টাইম না থাকার কারনে তারা ইস্তেখারা করতে পারে সন্দেহ হইলে। যেহেতু ফিতরা মানুষরে সত্যের দিকেই টানবে। বাকি কাজ আলেম-ওলেমাদের। যেহেতু ১৬ বছরে প্রচুর আওয়ামী আলেম তৈরি হইছে, ফলে এই কাজগুলা করার মত কামেল আলেম-ওলামারা সাইডে পইড়া গেছেন। আমাদের কাজ হইতেছে নতুন দেশে আলেম-ওলামাদের ও স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ আর সুযোগ কইরা দেয়া। নানা মতের আলেম ওলামারা যেন আলাপ করতে পারে, পাবলিকের সামনে তাদের মত নিয়া, সেই যায়গাগুলা তৈরি করা।

মাজার ভাঙ্গার এই ইস্যুতে ঝামেলা গুলা কি কি আসলে? ধইরা নিতেছি সমস্যা ইসলামিক লাইনেরই। ফলে ঐ লাইনের সমস্যা গুলা দেখার একবার চেষ্টা করি। পয়লা সমস্যা হইল অলি-আউলিয়া আসলেই আছে কিনা এই আইডিয়া নিয়া। বিশেষ কইরা মাজার ইস্যুতে, যেহেতু অনেকেই দাবি করেন যার মাজার সে আসলেই অলি-আউলিউয়া ছিল কিনা তার প্রমান কি? এই আলাপের বেইজ আপনি পাবেন কোরআনে, অনেক বার আল্লাহ্‌ বলতেছে আল্লাহ্‌ যারে ইচ্ছা তারে সম্মানিত করে, এবং কিছু লোককে বেশি করে অন্যদের থিকা। Continue reading

মীম ও অন্য কয়েকটা কবিতা

ইলিউশন

যে দৃশ্যই চোখে পড়ে, তোমরা বলো, স্বপ্ন — আল মাহমুদ

তাপমাত্রা ১৩। শৈত্যপ্রবাহ।
কিছু মেইনস্ট্রিম দুঃখ, সোয়েটার, মাফলার
আর ডান হাতে মোবাইল ফোন
(৯৯ পয়সা কলরেট, আনলিমিটেড ইন্টারনেট)
গরম রাখে আমাদের।

তোমার হাতে এরোসল আর
ফুসফুসের ভিতর দৌড়াদৌড়ি করতেছে একটা তেলাপোকা

রাস্তার আমকুড়ানিদের ঢিলটা গিয়া পড়লো
আর্মি অফিসারের বউয়ের উপর

এক পা। এক পা। এক পা।
ও আমার অবাস্তব পাখি তুমি চলিয়া গেলে বাস্তব পালক ফেলিয়া।
আর ঘড়ির মতো এক অনুভূতি
(এইটাকে ইলিউশনও বলতে পারো
যতক্ষণ না এইটা তোমাকে যন্ত্রণা দেয়)
আমার বুকের ভিতর তাপমাত্রার মতো ছড়াচ্ছে।

একটা প্যাশনেট ক্লাসরুমে
সাইকোপ্যাথের মতো নর্মাল হয়ে
বসে আছে একটা প্যাশনলেস ছেলে
ডিসাইড করতে পারতেছে না
পড়াশোনার বাইরে আর কি করা দরকার তার

প্রিটেনশান পছন্দ না বলে
কানে ইয়ারফোন লাগায়ে মনের কথা শুনতেছে কেউ কেউ

তোমার এজমা একটা মানুষ হয়ে
শ্বাস নিতেছে তোমার খুব কাছে

তুমি এই ইলিউশনকে ভেঙে দাও
যদি পারো
চোখ দিয়ে
কান দিয়ে
শরীর দিয়ে
হত্যা করো এই মনের পশুকে

.
মিউজিয়ামের
স্পষ্ট কাঁচের ভিতর অস্পষ্ট আয়না
হলুদছোপ, কালো দাগ, ময়লা
.

আমি যে তোমাকে ভালোবাসি
এটা সম্ভবত একটা আইরনি। পরিহাস।
কিন্তু আমি যদি জানতাম আমি তোমাকে কখনোই পাবো না,
তাইলে তো আমি তোমাকে কখনোই পাইতাম না।

তোমার মন তোমার ভিতরে
তোমার শরীর তোমার বাইরে
আর টিভি স্ক্রিনের মতো ব্রেইন ওয়েভগুলা
ধরে রাখে তোমার মনকে
শরীরকে
তোমাকে

এই নাটকের একমাত্র এক্টর তুমি
যে জেনুইন, বিলিভেবল, কনভিন্সিং (ট্রাস্ট মি ডার্লিং)
ঘুমভাঙা ফুলের উপর ভোরের হাওয়ার মতোন
তোমার চোখে সত্যিকারের পানি

আমাদের ভালোবাসার ফেরেশতা একে অপরকে
দেখার জন্য আমাদের যে চোখ উপহার দিছিলো
তা অন্ধ করে ফেলছিলো আমাদের। কিন্তু
অন্যরা তার আগেই দেখে ফেলছিলো,
আমি তোমার মতো হলেও
তুমি মোটেই আমার মতো ছিলা না।

কে তুমি?
(সে কি তুমি নও, ওগো তুমি নও)
[আমার চোখের পিক্সেলে, নার্ভের টিউবগুলায়
পারদের মতো উঠা নামা করতে থাকলা]

চোখ তোমার ইমাজিনেশনকে আহত করে কারণ
সমস্ত স্বপ্নই দুঃস্বপ্ন। কান তোমার সুরকে ভেঙে দেয়
কারণ সমস্ত কথাই তীক্ষ্ণ (যা আমরা শ্রবণ করিলাম ও
অমান্য করিলাম)। আর শরীরের ক্ষমতা অনেক,
সে নিজেকে চোখে চোখে রাখে সবসময়, আড়াল হইতে দেয় না।

“মানুষ যখন আমাকে রিল্যাক্স করতে বলে তখন মনে হয়
তারা চায় না আমি প্রোগ্রেস করি। আর মানুষ যখন আমাকে
চেষ্টা করতে বলে, আমি নিজেকে
আরো হেইট করি”
আমি তো একটা মেশিন
আমি তো একটা আত্না
.

ঘুমের ভিতর মাথাব্যাথার মতো
তুমি এখন তোমার রুমে
পকেটে থাকা ফোনের মতো
তুমি এখন আমার ঘুমে

এখন একটা ঢেউয়ের মতো আন্দোলিত কর আমাকে,
ভাসাও, ডুবাও, তারপর ভাসাও আবার। আকড়ায়ে ধরো আমাকে
নরম শুশুকের মতো, ধারালো হাঙরের মতো।
একটা দুর্ঘটনা যা ঘটতে পারে নাই কখনো,
বা একটা সুপষ্ট প্রমাণ যা এখনো পাঠানো হয় নাই আসমান থেকে,
সেই নিয়তির মতো বিন্ধা ফেল তুমি আমাকেও।

এখন আমার বন্ধ চোখের নীল শিরাগুলির উপর
কমলা রঙের কুসুম। যেন ভোরের মতো হালকা শরীর নিয়ে
(খাট নাই, পালং নাই) আমার চোখ জুড়ে বসছো তুমি,
আর আমি চোখ মেললেই চমকায় উঠবে ধান খাইতে আসা সব পাখি।

Continue reading

৩৬শে জুলাইয়ের এক মাস পরে একটা সকাল

সকালে বাইরে গেছিলাম, ভালোই লাগতেছিল সব মোটামুটি।

ইস্কুল-অফিসগামী গিট্টু লাগা জ্যাম ছাড়া আর কোথাও কোন প্রব্লেম পাইলাম না! ট্রাফিক ভাইজানেরা আর ২/৪ জন সার্জেন্ট আস্তে-ধীরে রিলাক্সে, ভুড়ি হেলায়ে-দুলায়ে ট্রাফিক ছাড়তেছেন, মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে এক ইয়াং বাইকারের বাইকে লাগায় দিলো এক মুড়ির টিন বাস। সেতো দিলো আটকায় বাসখান! আর পিছনে লাইগা গেলো গিট্টু! বাইকার চ্যাংড়া পোলা, শুকনা-পটকা কিন্তু একটা ছাত্র ছাত্র ভাব আছে চেহারায়, কন্ডাকটর মামা নাইমা আইসা মিউচুয়াল করতে লাগলো। স্টুডেন্ট ইমেজের বাইকারের মুখের ভাবও মনে হইল না খুব বেশি মারমুখি টাইপ কিছু! এইটা ছুইটা যাবে একটু পরেই।

আরেকটু আগাইতেই ২৭-এর কোনায় আমার অটোরিকশা তেছরা কইরা তার অটো রাখায়, পিছের কাভার্ড ভ্যান ড্রাইভার চিল্লাইতে লাগলো। আমাদের নেয়া অটো দেখি লড়ে-চড়ে না। পাশের আরেক আধা-বয়সী হোন্ডা সওয়ারী লাগাইলো ঝাড়ি, আমিও দিলাম হাল্কা ঝাড়ি- ‘আরে সরাও মিয়া, পিছেরটার রাস্তা আটকাইছো ক্যান, যাইতে দিবা না?’ সে সরাইলো।

এই কইরা কইরা বাচ্চাদেরে ইস্কুলে নামায়া দিয়া আইসা শাক কিনলাম। কি জানি নতুন নামের একটা, আখর না কাকর কি জানি! বুঝি নাই ভালো। শাকওয়ালা আমারে রেসিপিও বইলা দিলেন, কালিজিরা দিতে হবে বার বার কইলেন। মনোযোগ দিয়া মাথায় টুইকা নিলাম। এইটাই রান্না হবে আজকে বিকালে। ২ রকম শাক, ৫টাকা ছাড় দিয়া দিলেন!
Continue reading

‘সংখ্যা’ এজ আইডিওলজি

ফ্যাসিবাদের দিনে, ইতিহাস, সংখ্যা, এমন কি অধিকারও যে এজ আইডিওলজি ফাংশন করে, তারে আমি পড়ার চেষ্টা করেছি বিভিন্ন সময়।সর্বশেষ, কয়েকদিন আগে, বন্ধু স্বাধীন সেনের সোশাল মিডিয়ার একটা শেয়ারকে ঘিরে, এই পাঠটারে আবার মনে করার প্রয়োজন বোধ করলাম। স্বাধীন সেদিন হঠাৎ কী মনে কইরা ‘মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদ: মিথ না রিয়েলিটি’ নামে একটি লেখা শেয়ার এবং ট্যাগ করলেন আমাকে। দেখা যাচ্ছে, স্বাধীনের দেওয়া লেখাটার লেখক আরিফ রহমান। ১৫ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে, প্রতিচিন্তা নামের সাইটে প্রকাশিত হইছে।

সম্ভবত, আয়নাঘর থেকে ফেরা গোলাম আজমপুত্র ব্রিগ্রেডিয়ার আজমি সংবাদসম্মেলনে শহীদের সংখ্যা লইয়া আলাপ তোলায়, তিনি ‘প্রকৃত সংখ্যা’ জানাতে ব্রতি হলেন। যদিও এই আলাপ গোলাম আজমপুত্রেরও বহু আগের, দুই হাজার পনেরতে খালেদা জিয়া তুলছিলেন। আরো অনেকেই হয়ত তুলছেন, তার আগে পরে, কিন্তু আমার খালেদার এই ঘটনা মনে আছে একটি বিশেষ কারণে। সেই সময়ই খালেদার এই মন্তব্য নিয়া আমাদের বন্ধু পিনাকী ভট্টাচার্যর সাথে একটা তর্ক হইছিল, ফেসবুকে বা অফলাইনে। পিনাকী মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিরুপণ ও তালিকা প্রণয়নের খালেদার আহ্বানের ‘ঔচিত্য’ এবং ‘আস্পর্ধা’ নিয়া প্রশ্ন তুলছিলেন।

পরে, দুই হাজার পনেরতে তার একটি বইয়ের আলোচনায় পুরনো দিনের এই তর্কে তার রাজনৈতিক বোঝাপড়া ও পরে অবস্থান পরিবর্তনের ভ্রমণ ও স্মৃতি উল্লেখ কইরা আলাপ করছিলাম, তাই মনে আছে। তখন পিনাকীর বোঝাপড়া ও রাজনৈতিক অবস্থান, বর্তমানের যে রেডিক্যাল চেহারা দেখেন আপনারা, ইউটিউবে, তার চাইতে ঢের রক্ষণশীল ও পচা বাম চেহারার ছিল। তো, আজকে স্বাধীনকে যে কমেন্ট করলাম, পিনাকীকেও তখন, কাছাকাছি কথা বলছিলাম। পিনাকির বই এর সেই আলোচনা থেকে, আমার কমেন্টটা এখানে কোট করতে পারি:

‘খালেদার এই আহ্বান রাজনৈতিকভাবে সঠিক আছে। কারণ, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস নিয়ে আওয়ামীলীগের একটি জমিদারি ও নাগরিকদের প্রতি প্রজাসুলভ ভাব নির্মাণের প্রকল্প আছে, যারে নিয়ে একটা ধর্মভাব তৈরী করা হয়ে গেছে আমাদের মধ্যে। আওয়ামীলীগের এই ইতিহাস নামক ধর্মপ্রকল্পের বাইরে থাকা জরুরি। এই আওয়ামী ইতিহাস প্রকল্পের নৈতিক ভিত্তিগুলোরে প্রশ্ন ও গুড়িয়ে দেওয়া দরকার। কারণ এই ধরণের অসংখ্য মিথ ও ইতিহাস প্রকল্পের উপরে ভর করেই তাদের সব গুম-খুন-জননিপীড়ণ ও লুঠপাটের বৈধতা তৈরী হয়।’ Continue reading

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →