Main menu

জেলিফিশের জগত/হারুকি মুরাকামি

জাপানী রাইটার হারুকি মুরাকামির দ্য ওয়াইন্ড আপ বার্ড ক্রনিকল উপন্যাসের অংশ এইটা।

এই গল্পটা উপন্যাসের বুক টু (বার্ড এজ প্রফেট; জুলাই টু অক্টোবর ১৯৮৪) এর ১১ নাম্বার অধ্যায়- হাঙ্গার এজ পেইন; কুমিকো’স লং লেটার; বার্ড এজ প্রফেট এর কিছু অংশ। জে রুবীনের ইংরেজী অনুবাদ থিকা এইটা আমি করছি। ওয়াইন্ড আপ বার্ড ক্রনিকল তিন খন্ডে প্রথম প্রকাশিত হইছিল টোকিওতে ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে। বইটার ইংরেজী সংস্করণ প্রকাশ করছে ভিনটেজ।

#

ইউ ওয়্যার রাইট, আই অ্যাম লিটল বিট সাইকো এন্ড আই লাভ টু ইট এন্ড আই লাভ টু ইট এলোন এন্ড…

মৃদুল শাওন

_____________________________

 

হঠাৎ কইরা চিঠি আসছে কিনা চেক করার কথা মনে হইল আমার। আমি যখন ডুব মাইরা ছিলাম কেউ হয়ত তখন আমারে লিখছে। আমি হলরুমে যাইয়া দেখলাম একটা চিঠিই আসছে। খামের পিছনে কোনো ঠিকানা ছিলনা চিঠিতে, কিন্তু খামের উপরের হাতের লেখা কুমিকো’র ছিল নিশ্চিত। প্রতিটা ছোট ছোট অক্ষর- আঁকানোর মত- একদম নির্ভুল, একটা ডিজাইনের মত। এইভাবে লিখতে অনেক সময় লাগে, কিন্তু ও শুধু এই স্টাইলেই লিখতে পারত। আমার চোখ সোজা পোস্টমার্কের দিকে গেল। এইটা এত অস্পষ্ট ছিল যে ঠিকভাবে পড়া যায়না, আমি শুধু দুইটা শব্দ আন্দাজ করতে পারলাম, ‘তাকা’ এবং সম্ভবত ‘মাতসু’; কাগাওয়া জেলার তাকামাতসু? আমি যতদূর জানি, কুমিকো তাকামাতসুতে কাউকে চিনেনা। আমরা দুইজন কখনোই ওখানে যাই নাই। আর সেও কখনো ফেরীতে শিকোকু যাওয়া বা নতুন ব্রীজটা পার হওয়ার ব্যাপারে কিছু বলে নাই। আমাদের দুইজনের কোনো কথায়ও কখনো তাকামাতসু নামটা আসে নাই। হয়ত এইটা তাকামাতসু না।[pullquote][AWD_comments][/pullquote]

যাই হোক, আমি চিঠিটা নিয়া রান্নাঘরে যাইয়া টেবিলের উপর বসলাম। কাঁচি দিয়া সাবধানে খামটা খুললাম যাতে ভিতরের কিছু আবার কাইটা না যায়। নিজেরে শান্ত রাখতে রাইখা যাওয়া বিয়ারটা এক চুমুকে শেষ করলাম।

“একদম কিছু না বলে হঠাত নিখোজ হয়ে যাওয়ায় তুমি নিশ্চয়ই অনেক শকড এবং উদবিগ্ন হয়ে আছো” কুমিকো লিখছে তার অভ্যাসমত মন্ট ব্ল্যাঙ্ক নীল-কালো কালিতে। কাগজটা ছিল চিঠি লেখার পাতলা কাগজ, সব জায়গায় পাওয়া যায় এমন।

আমি অনেক আগেই তোমারে লিখতে চাইছিলাম এবং সব কিছু ব্যাখ্যা করার কাজটা করতে চাইছিলাম। কিন্তু কিভাবে আমি আমার অনুভূতি ঠিকভাবে প্রকাশ করবো এবং আমার বর্তমান অবস্থা ব্যাখ্যা করবো যাতে তুমি বুঝতে পারো, তা নিয়ে বিষণ্ন থাকতে থাকতে অনেক সময় চলে গেছে। তোমার জন্য আমার খারাপ লাগছে।

এখন তুমি হয়ত সন্দেহ করা শুরু করছো যে আমি কারো সাথে প্রেম করছিলাম। আমি আসলে তার সাথে তিন মাস সেক্সুয়ালি ঘনিষ্ঠভাবে ইনভলবড ছিলাম। কাজের সূত্রে তার সাথে আমার দেখা হইছিল। তাকে তুমি একদম চিনো না। সে কে ছিল সেটা এখন কোনো ব্যাপার না। তার সাথে আমার আর দেখা হবে না। অন্তত আমার দিক থেকে এটা শেষ। এটা হয়ত তোমার ভালো লাগতে পারে অথবা হয়ত ভালো লাগবে না।

আমি কি তাকে ভালোবাসতাম? এর উত্তর আমি দিতে পারবো না। এ প্রশ্নটাকেই অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়। আমি কি তোমাকে ভালোবাসছি? আমি কোনো দ্বিধা ছাড়াই বলতে পারবো- হ্যাঁ। আমি সবসময় সাঙ্ঘাতিক খুশি ছিলাম যে আমি তোমাকে বিয়ে করছি। এবং এখনো আমার ওইরকমই মনে হয়। তুমি হয়ত জিজ্ঞেস করতে পারো, তাহলে কেন আমাকে একটা সম্পর্ক করতেই হইল, এবং সেই সম্পর্কের কারণে বাড়ি ছাড়তে হইল? একই প্রশ্ন আমি নিজেকে বারবার করছি, এমনকি যখন এইটা চলছিল তখনও- কেন আমাকে এটা করতে হবে?

আমার পক্ষে এটা ব্যাখ্যা করা সম্ভব না। আমার বিন্দুমাত্র ইচ্ছাও ছিলনা কোনো প্রেমিক বা কোনো সম্পর্কের প্রতি। তার সাথে যখন আমার দেখা হওয়া শুরু হইল তখন এই ধরনের চিন্তা আমার মনের ধারে-কাছেও ছিলনা। বিজনেসের কারণে আমাদের কয়েকবার দেখা হইছিল। যদিও পরে দেখা গেল আমাদের কথা বলতে কোনো সমস্যা হচ্ছেনা, শুধু একবারই ফোনে বিজনেসের বাইরে কথা হইছিল। সে আমার থেকে বয়সে বেশ বড় ছিল, তার বউ সন্তান ছিল। এবং একজন পুরুষ হিসাবে তারে আমার আলাদাভাবে আকর্ষণীয় মনে হয় নাই। আমার কখনোই মনে হয় নাই যে তার সাথে আমার কিছু হইতে পারে।

বলার কিছু নাই যে তোমার সাথে কিছু হওয়ার চিন্তা থেকে আমি মুক্ত ছিলাম। আমি এখনো যন্ত্রণা পাই যে তুমি একবার এক মেয়ের সাথে রাত কাটাইছিলা। তুমি যখন বলছিলা তুমি তার সাথে কিছু করো নাই, আমি তোমারে বিশ্বাস করছিলাম। স্রেফ সত্য হইল যে তার সাথে তোমার কিছু না করাটা ঘটনাটারে ঠিক বানায় না। জাস্ট আমি ওইভাবে ফিল করছিলাম। কিন্তু এখনো বলি, তোমার সাথে কিছু হওয়ার জন্যও আমার সম্পর্কের প্রয়োজন হইছিল না। মনে পড়তেছে, আমি একবার বলছিলাম, আমি অন্য সম্পর্ক করব, কিন্তু ওইটা শুধু একটা থ্রেট ছিল। আমি তার সাথে শুইছিলাম কারণ আমি তার সাথে শুইতে চাইছি। কারণ আমি তার সাথে না শুয়ে থাকতে পারতেছিলাম না। কারন আমি আমার সেক্সুয়াল ইচ্ছারে চেপে রাখতে পারি নাই।

একটা বিজনেস ম্যাটার নিয়ে যখন আমাদের দেখা করতে হইছিল, তার আগে আমাদের বেশ কিছুদিন দেখা হয় নাই। আমরা ডিনার করতে করতে কথা বললাম। তারপর অল্প ড্রিঙ্ক করার জন্য আমরা কোথাও গেছিলাম তখন। যেহেতু আমি ড্রিঙ্ক করতে পারিনা, শুধুমাত্র সামাজিকতার কারণে এক গ্লাস অরেঞ্জ জ্যুস নিছিলাম, এক বিন্দুও এলকোহল ছিলনা ওটাতে। সুতরাং যা হইছে তাতে এলকোহলের ভূমিকা নাই। আমরা খুব সাধারণভাবেই কথাবার্তা বলতে বলতে খাইতেছিলাম। কিন্তু তারপর হঠাৎ, অনেকটা অ্যাক্সিডেন্টালি আমার সাথে তার ছোঁয়া লাগছে, আর আমি তখন যা চিন্তা করতে পারতেছিলাম তা হল সে আমারে জড়ায়ে ধরুক। যখনই ছোঁয়া লাগছে, আমি বুঝে ফেলছি সে আমার শরীর চায় এবং তারেও মনে হল বুঝে ফেলছে আমি তারটা চাই। একটা ইরেশনাল, সাঙ্ঘাতিক ইলেক্ট্রিসিটি আমাদের মধ্য দিয়া পাস করছে এরকম। আমার মনে হইছিল আমার উপরে আকাশ ভেঙ্গে পড়ছে। আমার চিবুক জ্বলতেছিলো, হার্টবিট বেড়ে গেছিলো, আর কোমরের নিচে ভারী আর গরম লাগতেছিলো। বারের টুল এর উপর আমি অনেক কষ্টে বইসা ছিলাম। এত তীব্র ছিল ফিলিংটা। প্রথমে আমি বুঝতে পারি নাই আমার ভিতরে কি চলতেছে। পরে বুঝতে পারলাম আমি সেক্সুয়ালি চাইতেছি। এত তীব্রভাবে তারে কামনা করতেছিলাম যে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হইতেছিল। আমরা দুজনের কেউই সাজেস্ট করি নাই, কাছের একটা হোটেলে গেলাম আমরা। ফিজিক্যাল রিলেশন হইল আমাদের।

হারুকি মুরাকামি

হারুকি মুরাকামি

এইভাবে গ্রাফিক্যালি এত স্পষ্ট করে বলাটা সম্ভবত তোমারে কষ্ট দিচ্ছে, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, সামনের সময়ের কথা চিন্তা করলে, সত্য এবং পরিষ্কারভাবে বলাটাই সবচেয়ে ভালো। হয়ত এটা কঠিন, কিন্তু আমি চাই তুমি সহ্য করো, পড়তে থাকো।

আমি তার সাথে যা করছি তার সাথে ‘ভালোবাসা’র কোনো সম্পর্ক নাই। আমি শুধু চাইছি সে আমাকে জড়ায়ে ধরে আমার ভিতরে ঢুকতে থাকুক। আমার জীবনে কখনোই একজন মানুষের শরীরের প্রয়োজন এরকম দমবন্ধ করে দেওয়ার মত হয় নাই। ‘আনবিয়ারেবল ডিজায়ার’ এর ব্যাপারে আমি বইতে পড়ছি, কিন্তু ওই দিনের আগে আমি কল্পনা করতে পারি নাই এটার মানে কি হইতে পারে।

হঠাত করে এইটা কেন আমার মধ্যে জেগে উঠলো, এইটা কেন তোমার সাথে হইল না, কেন অন্য একজনের সাথে, আমার কোনও আইডিয়া নাই। কিন্তু আমার তখন যে ইচ্ছাটা হইছিল এইটা চেপে রাখা অসম্ভব ছিল, এমনকি আমি চেষ্টাও করি নাই। প্লিজ বুঝো: আমার এক মুহূর্তের জন্যও মনে হয় নাই আমি কোনোভাবে তোমার সাথে বিট্রে করতেছি। হোটেলের বেডে আমার যে ফিজিক্যাল রিলেশন তার সাথে হইছে এটা বলা যায় অনেকটা পাগলামি থেকে। খুব সৎ ভাবে যদি বলি, জীবনে আমার কোনো কিছু এত ভালো লাগে নাই। না, এটা এত সিম্পল না : এটা শুধু ‘ভালো লাগা’ ছিল না। আমার শরীর যেন গরম কাদার মধ্যে গড়াগড়ি খাইতেছিলো। আমার মন একদম চূড়ান্ত অবস্থায় সুখে ব্লাস্ট হয়ে যাইতেছিলো – এবং ব্লাস্ট হয়ে গেছিল। অলৌকিক ছিল। আমার জীবনে ঘটা সবচেয়ে দারুণ ব্যাপারগুলার একটা।

এবং, তারপর তুমি জানো, আমি এটা সবসময় গোপন রাখছিলাম। তুমি কখনো রিয়ালাইজ করো নাই, আমার একটা অ্যাফেয়ার ছিল। তুমি কখনো আমাকে সন্দেহ করো নাই, এমনকি আমি যখন দেরিতে বাড়ি ফিরা শুরু করলাম। আমি নিশ্চিত তুমি আমাকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করছিলা। তুমি ভাবছিলা আমি কখনো তোমার সাথে বিট্রে করতে পারবো না। এবং তোমার এই বিশ্বাস ভাঙার জন্য আমার কোনো অপরাধবোধ ছিল না। আমি হোটেল রুম থেকে তোমাকে কল করতাম আর তোমারে বলতাম, কাজ চলতেছে তাই আমার দেরি হচ্ছে। আমি একটার পর একটা মিথ্যা সাজাইছি কিন্তু আমি কোনো কষ্ট পাই নাই। মনে হইত, পৃথিবীর সবচেয়ে স্বাভাবিক কাজটাই আমি করতেছি। তোমার সাথে জীবন কাটুক তা আমি হৃদয় দিয়ে চাইতাম। যে বাড়ি আমি তোমার সাথে শেয়ার করতাম, সেই জায়গাটা আমার ছিল। এইটা যে জগত ছিল, আমার ছিল। কিন্তু আমার শরীরের তীব্র প্রয়োজন ছিল তার সাথে সেক্স করা। আমার অর্ধেক ছিল এখানে, আর অর্ধেক ওইখানে। আমি জানতাম, আগে অথবা পরে এর একটা শেষ আসবে। কিন্তু ওই সময়ে মনে হত, এই ডাবল লাইফ যেন চিরকাল এরকমই চলবে। এইখানে আমি তোমার সাথে শান্তিতে থাকতেছিলাম, আর ওইখানে তার সাথে তীব্র যৌনতা চালাচ্ছিলাম।

আমি চাই তুমি অন্তত একটা জিনিস বোঝো। এটা কখনোই তোমার তার প্রতি সেক্সুয়ালি হীনম্মন্য হওয়া বা যৌন আবেদন কম থাকা অথবা তোমার সাথে ফিজিক্যাল রিলেশনে আমার ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার ব্যাপার ছিলনা। ঠিক ওই সময়ে এটা আমার শরীরের তীব্র, দায়িত্বজ্ঞানহীন চাহিদা ছিল। এইটাতে বাধা দেওয়ার মত কিছুই আমি করতে পারতাম না। কেন এরকম হইল আমার কোনো আইডিয়া নাই। কয়েক সপ্তাহে যে অল্প কয়েকবার আমি তার সাথে শুইতেছিলাম, আমি তখন তোমার সাথে সেক্সের কথাও ভাবতাম। তোমার কসম, আমার কাছে এটা খারাপ মনে হইত, যে তার সাথে আমি শোব কিন্তু তোমার সাথে না। কিন্তু তুমি জড়ায়ে ধরলে আমি কোনোকিছু ফিল করা ছেড়ে দিছিলাম। তুমি অবশ্যই লক্ষ্য করছিলা। ওই দুই মাস তোমার সাথে সেক্সুয়াল রিলেশন এড়ানোর জন্য আমি যেকোনো অজুহাত তৈরি করছিলাম।

কিন্তু তারপর একদিন, সে আমাকে তার জন্য তোমারে ছাড়তে বলল। সে বলছিল, আমরা এত পারফেক্ট ম্যাচ যে আমাদের একসাথে না হওয়ার কোনো কারণ নাই। সে বলছিল, সে তার ফ্যামিলি ছেড়ে দিবে। আমি বলছিলাম আমাকে চিন্তা করার জন্য টাইম দিতে। কিন্তু সেই রাতে তার কাছ থেকে আসার পর, ট্রেনে আমি রিয়ালাইজ করছিলাম যে আমি তার জন্য কোনোকিছুই ফিল করি না। আমি নিজে নিজে এটা বুঝতে পারিনা, কিন্তু যে মূহুর্তে সে আমাকে তার সাথে যেতে বলছিল, আমার ভিতরের সেই বিশেষ ব্যাপারটা সরে গেল। যেন অনেক জোরে বাতাস আইসা এটাকে দূরে নিয়া গেল। তার প্রতি আমার কামনা কোনো চিহ্ন না রেখেই চলে গেছিল।

তখন আমি তোমার প্রতি আমি গিলটি ফিল করতে শুরু করলাম। আমি শুরুতে লিখছি, তার প্রতি আমার যখন তীব্র কামনা ছিল সেই পুরা সময়ে আমি এই ধরনের কিছু ফিল করি নাই। আমি শুধু ভাবতাম, তোমার কিছু বুঝতে না পারাটা কত সুবিধাজনক। আমি ভাবছিলাম যতদিন তুমি বুঝতে না পারবা, আমি কোনো একভাবে গোপন রাখতে পারব। তার সাথে আমার সম্পর্ক তোমার সাথে আমার সম্পর্কের থেকে   আলাদা এক জগতের ছিল। তার জন্য আমার কামনা একদম শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমি আর জানতাম না আমি কোথায় আছি।

আমি সবসময় নিজেকে একজন সৎ মানুষ ভাবছি। আমার দোষ আছে এটা সত্য। কিন্তু যেখানে গুরত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিল আমি সেখানে কারো সাথে কখনো মিথ্যা বলি নাই বা কাউকে ধোঁকা দেই নাই। আমি তোমার কাছে কখনো কিছু লুকাইনি। এইটা আমার অহংকারের ছোট একটা জায়গা ছিল। কিন্তু তারপর, কয়েকমাস আমি কোনো অনুশোচনা ছাড়াই তোমার সাথে মারাত্মক মিথ্যা বলে গেছি।

এই ব্যাপারটাই আমাকে যন্ত্রণা দিতে শুরু করছে। আমার মনে হইছে যেন আমি ফাঁকা, অর্থহীন, অযোগ্য একটা মানুষ। এবং, সম্ভবত আমি আসলে তাই। কিন্তু আরো একটা ব্যাপার আমাকে  ভাবাইছে, এবং তা হইল: কিভাবে আমি একজন মানুষের জন্য হঠাৎ করে এত তীব্রভাবে অস্বাভাবিক যৌনতা অনুভব করছিলাম, যাকে আমি ভালোও বাসতাম না? এটা আমি সিম্পলি মিলাইতে পারিনা। আমার যদি ওই ইচ্ছা না হইত, এখনো আমি তোমার সাথে সুখে জীবন কাটাইতে থাকতাম। এবং সেই লোক মাঝে মাঝে কথা বলার জন্য ভালো একজন বন্ধু হয়ে থাকত। কিন্তু সেই অনুভূতি, সেই অবিশ্বাস্য তীব্র চাহিদা, আমরা কয়েক বছরে যা গড়ে তুলছিলাম, সবকিছু নষ্ট করে দিছে। আমার যা কিছু ছিল সব এটা নিয়ে নিছেঃ তোমাকে নিয়ে নিছে, যে বাসাটা আমরা দুইজন সাজাইছিলাম সেটা, আমার কাজ, সব। এরকম কিছু কেন ঘটতে হইল?

তিন বছর আগে আমার অ্যাবরশনের পর আমি তোমাকে বলছিলাম যে আমার তোমাকে কিছু বলার আছে। তোমার মনে আছে? খুব সম্ভবত আমার বলা উচিত ছিল। এরকম হওয়ার আগে আমার মনের মধ্যে যা ছিল সবকিছু তোমাকে বলা উচিত ছিল। আমি যদি তা করতাম তাহলে এটা হয়ত ঘটত না। কিন্তু এখন যেহেতু এটা ঘটে গেছে- এমনকি এখনও- আমি বিশ্বাস করি না যে আমি তখন যা ফিল করতেছিলাম তা তোমাকে বলতে পারতাম। এবং এটা এই কারণে যে, আমার মনে হয় একবার আমি যদি মুখে বলতাম, তাহলে এখনকার অবস্থার চেয়ে ব্যাপারটা আরো বেশি খারাপ হইত। সে কারণেই আমার মনে হইছিল সবচেয়ে ভালো হয় সবকিছু নিজের ভিতরে রেখে আমি নিরুদ্দেশ হয়ে গেলে।

আমি স্যরি তোমাকে এই কথা বলার জন্য, কিন্তু সত্যি হলো আমি কখনোই তোমার সাথে সত্যিকার সেক্সুয়াল সুখ পাই নাই, বিয়ের আগেও না, পরেও না। যখন তুমি আমারে জড়ায়ে ধরতা, আমি এইটা ভালোবাসতাম। কিন্তু সবসময়ই এটা আমার কাছে অস্পষ্ট, দূরের একটা অনুভূতি মনে হইত। যেন এই অনুভূতি আমার না, অন্য কারো। এটা কোনোভাবেই তোমার দোষ না। এইটা সিম্পলি আমার রিসপনসিবিলিটি, এবং সত্যিকার অর্থে আমার ফিল করার অক্ষমতা। আমার ভিতরে কিছু বাঁধা ছিল, এবং এটা সবসময়ই আমার যেকোনো সেক্সুয়াল অনুভূতিতে সমস্যা করত। যখন, আমি বুঝতে পারিনা ঠিক কি কারণে, তার সাথে ফিজিক্যাল রিলেশনের কারণে আমার সেই বাঁধাগুলা চলে গেলো, আমার কোনো আইডিয়া ছিলনা আমার কি করা উচিত।

সবসময়ই আমাদের মধ্যে খুব ক্লোজ এবং মধুর কিছু একটা ছিল, তোমার আর আমার। একেবারে শুরু থেকেই ছিল। কিন্তু এখন এটা চিরদিনের জন্য হারাইয়া গেছে। পারফেক্টলি খাপে খাপে মিলে যাওয়া, সেই রূপকথার মত কিছু একটা, শেষ হয়ে গেছে। কারণ আমি নষ্ট করছি। অথবা আরো ভালোভাবে যদি বলি, একটা কিছু আমাকে দিয়ে নষ্ট করাইছে। আমি মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত যে এটা ঘটছে। তোমার সাথে আমি যেমন জীবন পাইছিলাম সবারই এরকম ভাগ্য হয়না। যা এরকম ঘটাইছে আমি সেটা ঘৃণা করি।

তোমার কোনো ধারণা নাই আমি কতটা ঘৃণা করি। আমি ভালোভাবে জানতে চাই এটা কি। আমাকে ভালোভাবে জানতে হবে এটা কি। আমাকে এটার মূল খুঁজে বের করে, বিচার করে, শাস্তি দিতে হবে। আমি নিশ্চিত হইতে পারিনা, আমার সে শক্তি আছে কিনা। কিন্তু একটা ব্যাপারে নিশ্চিত: এইটা আমার একার সমস্যা। তোমার সাথে এর কোনো সম্পর্ক নাই।

আমার তোমাকে শুধু একটাই কথা বলার আছে, আর তা হইল: আমার ব্যাপারে তুমি আর ভাইবো না। আমাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা কইরো না। জাস্ট আমাকে ভুলে যাও এবং নতুন একটা জীবন শুরু করার কথা চিন্তা করো। আমার ফ্যামিলি আমার চিন্তা করলে, আমি ঠিক কাজটাই করব। আমি তাদেরকে লিখব এবং সবকিছু ব্যাখ্যা করব যে সব আমার দোষ, কোনোভাবেই তুমি দায়ী নও। তারা আর ঝামেলা করবে না। ডিভোর্সের ফর্মাল প্রক্রিয়া তাড়াতাড়িই শুরু হবে, মনে করি। আমাদের দুইজনের জন্যই সেটা সবচেয়ে ভালো হবে। প্লিজ বাঁধা দিও না। ব্যাপারটার সাথে জাস্ট থাকো। একটা ঝামেলা যে যেসব কাপড় এবং জিনিসপত্র ছেড়ে আসছি, আমি স্যরি, কিন্তু ওইগুলা তুমি ফেলে দিও অথবা কোথাও দিয়ে দিও। এই সবকিছুই অতীতের। তোমার সাথে থাকাকালীন আমি যেসব কিছু ব্যবহার করছি, আমার তা ব্যবহার করার অধিকার এখন আর নাই।

বিদায়

 

আমি চিঠিটা শুরু থিকা শেষ পর্যন্ত আরো একবার পইড়া আবার খামে রাইখা দিলাম। তারপর ফ্রিজ আর একটা বিয়ারের ক্যান নিয়া খাইলাম।

যদি কুমিকো ডিভোর্সের প্রক্রিয়া শুরু করার কথা চিন্তা কইরা থাকে তার মানে ওর নিজেরে মাইরা ফেলার কোনো ইনটেনশন নাই। এইটা আমারে কিছুটা চিন্তামুক্ত করলো। কিন্তু তারপর আমার মাথায় এই ব্যাপারটা আসলো যে, প্রায় দুইমাস ধইরা আমি কারো সাথে সেক্স করি নাই। ও ওর চিঠিতে যেমন বলছে আমার সাথে শুইতে ও সবসময় বাঁধা দিয়া আসছে। ও বলছিল ওর ব্লাডারে ইনফেকশন হওয়ার লক্ষণ দেখা দিছে আর ডাক্তার নাকি ওরে বলছে কিছুদিন ফিজিক্যাল রিলেশন থিকা দূরে থাকতে। এবং অবশ্যই আমি ওর কথা বিশ্বাস করছিলাম। বিশ্বাস না করার কোনো কারণ ছিল না।

ওই দুইমাসে আমার স্বপ্নে মেয়েদের সাথে মেশা হইছে- বা ওইরকম জগতে। আমার ভাষাগত সীমাবদ্ধতার কারণে আমি একটা স্বপ্নের কথা মনে করতে পারি- ক্রেটা ক্যানোর সাথে এবং টেলিফোন-মেয়েটার সাথে। কিন্তু এখন আমি ব্যাপারটা নিয়া চিন্তা করলাম, দুই মাস আগে শেষ আমি বাস্তবে সত্যিকার একটা মেয়ের সাথে শুইছি। সোফায় শুইয়া, আমার বুকের উপরের হাত দুইটার দিকে তাকাইয়া থাকতে থাকতে আমি ভাবলাম শেষবার যখন কুমিকোর শরীর দেখছিলাম তখনকার কথা। আমার মনে পড়লো আমি যখন ওর কাপড় উপরের দিকে খুলতাম ওর পিঠের মোলায়েম কার্ভ, ওর কানের পিছনের পারফিউমের ঘ্রাণের কথা। ও চিঠিতে যা লিখছে তা যদি চূড়ান্ত সত্য হইত, যাই হোক, আমি কুমিকোর সাথে আর বেডে যাইতাম না। ও এমন পরিষ্কারভাবে আর চূড়ান্তভাবে লিখছে: এইটা নিয়তির মত সত্য ছাড়া আর কি বা হইতে পারে?

আমি যত বেশি ভাবি আমার আর কুমিকোর সম্পর্ক অতীতের একটা ব্যাপার হইয়া যাওয়ার সম্ভাবনার কথা, আমি ওর শরীরের সেই শান্ত উষ্ণভাব মিস করা শুরু করি, যেইটা একসময় আমার অধিকারে ছিল। আমার ওর সাথে শুইতে ভাল্লাগতো। অবশ্যই বেশি ভাল্লাগতো আমাদের বিয়ের আগে। এমনকি কয়েক বছর পার হওয়ার পর, প্রথম দিকের সেই ঘোর যখন হাল্কা হইয়া গেছে, আমি কুমিকোর সাথে সেক্স করাটা এনজয় করতাম। ওর মসৃণ গলা, ওর ঘাড়ের পিছন দিক, ওর পা, ওর বুক- আমি ওর শরীরের প্রতিটা পার্ট স্পর্শ করা একদম বাস্তবের মত মনে করতে পারলাম। আমাদের সেক্স করার সময় আমি ওর জন্য যা করতাম এবং ও আমার জন্য যা করত সব আমি মনে করতে পারলাম।

কিন্তু এখন কুমিকো শারীরিক সম্পর্ক করছিল কোনো একজনের সাথে যারে আমি চিনতাম না- আমি কল্পনা করতে পারিনা এমন তীব্রতার সাথে। এমন সুখের সন্ধান ও করতে পারছিল যেইটা আমার সাথে সেক্সে সে করতে পারে নাই। ও যখন তার সাথে এইটা করতেছিল, ও হয়ত এমনভাবে শরীর আলোড়িত করছে, মোচড়াইছে যাতে বিছানা খুব জোরে ঝাঁকি খাইছে। এবং এত জোরে গোঙানি দিছে, শীৎকার করছে, যাতে পাশের ঘর থিকা শোনা যায়। ও সম্ভবত যেভাবে কাজগুলা করছে তার সাথে, আমার সাথে ওইভাবে করে নাই। আমি উইঠা গেলাম এবং ফ্রিজ খুইলা একটা বিয়ার বাইর কইরা খাইলাম। তারপর  একটু পটেটো সালাদ খাইলাম। গান শোনার জন্য এফএম রেডিও চালু কইরা একটা ক্লাসিকাল স্টেশন টিউন করলাম। “আমি আজকে অনেক বেশি টায়ার্ড” কুমিকো বলত। “আজকে আমার জাস্ট মুড নাই, আমি স্যরি, রিয়ালি”; আমি উত্তর দিতাম, “ ঠিক আছে, ব্যাপার না”; যখন চাইকোভস্কির ‘স্ট্রিংস এর জন্য সেরেনাদ’ শেষ হইল, ছোট একটা পিয়ানো পিস শুরু হইল, অনেকটা শম্যানের কিছু একটার মত মনে হইতেছিল। এইটা পরিচিত ছিল, কিন্তু আমি টাইটেল মনে করতে পারলাম না। যখন শেষ হইল মহিলা উপস্থাপিকা বলল এইটা শম্যানের ফরেস্ট সিনসের সাত নাম্বার ট্র্যাক, নাম “বার্ড এজ প্রোফেট”; আমি কল্পনা করলাম কুমিকো ওই লোকটার ঠোঁট ওর ঠোঁট দিয়া চাইপা ধরছিল, ওর পা উঁচু করছিল, ওর আঙ্গুলের নখ দিয়া তার পিঠ খামচে ধরছিল, বিছানার চাদর টাইনা ধরছিল। উপস্থাপিকা ব্যাখ্যা করলো শম্যান একটা ফ্যান্টাসি ধরনের দৃশ্য তৈরি করছে, যেইটাতে একটা রহস্যময় পাখি বনে থাকে, আগেই ভবিষ্যত বইলা দেয়।

আমি কুমিকোর ব্যাপারে কি জানছিলাম? নিঃশব্দে আমি বিয়ারের খালি ক্যান হাত দিয়া মোচড়াইয়া ময়লার ঝুড়িতে ছুঁইড়া মারলাম। এইটা কি সত্য হইতে পারে, যে কুমিকোরে আমি বুঝছি বইলা ভাবছিলাম, যে কুমিকোরে আমার কাছে জড়াইয়া ধইরা রাখতাম- সে কুমিকোর একটা আবরণ ছাড়া আর কিছুই ছিলনা, যেমন এই পৃথিবীর বড় অংশটুকুই জেলিফিশের কল্পনার জগতে থাকে? তাই যদি হয়, তাহলে যে ছয় বছর আমরা দুইজন একসাথে কাটাইছি তার কি হবে? সে বছরগুলা কি ছিল? সেগুলার অর্থ কি ছিল?

যখন ফোন বাজতেছিল, আমি কুমিকোর চিঠি আবারও পড়তেছিলাম। রিং শুইনা আমি সোফা থিকা উইঠা গেলাম। এত রাতে কে ফোন করতে পারে? কুমিকো? না, ও আর কখনোই আমারে ফোন করবে না। সম্ভবত মে কাশারা। সে আমারে খালি বাসা রাইখা যাইতে দেখছিল তাই হয়ত আমারে একটা কল করার সিদ্ধান্ত নিছে। অথবা সম্ভবত ক্রেটা ক্যানো। সে  ব্যাখ্যা করতে চায় কেন সে নিরুদ্দেশ হইছিল। এটা টেলিফোন-মেয়েটাও হইতে পারত। সে হয়ত আমারে একটা মেসেজ পৌঁছাইয়া দেওয়ার চেষ্টা করতেছে। মে কাশারা ঠিক বলছিল- অল্প বেশি কয়েকজন মেয়ে আমার আশেপাশে আছে। আমি হাতের কাছে থাকা একটা টাওয়েল দিয়া মুখ মুছলাম। তারপর রিসিভার তুইলা বললাম –“হ্যালো”; ওই প্রান্ত থিকা ভয়েস আসলো “হ্যালো”; এইটা মে কাশারার ভয়েস না। এইটা ক্রেটা ক্যানোরও ভয়েস ছিলনা। অথবা সেই বিভ্রান্ত কইরা দেওয়া মহিলারও না। এইটা ছিল মাল্টা ক্যানো।

সে বলছিল “হ্যালো,আপনি কি মিঃ ওকাডা? আমার নাম মাল্টা ক্যানো। আমাকে চিনতে পারতেছেন?”

“অবশ্যই। ভালোভাবেই চিনতে পারতেছি।“ বললাম। তখনো আমার হার্টবিট জোরে হইতেছিলো। তাকে আমি কেমনে না চিনতে পারি?

“এত রাতে আপনাকে ফোন করার জন্য বিনীতভাবে ক্ষমা চাচ্ছি। যাই হোক, এটা জরুরি ব্যাপার। আমি পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারতেছি, কতটা বাজে ব্যাপার এই বিরক্ত করা, এবং আপনাকে কতটা রাগাইয়া দিতে পারে, কিন্তু তারপরও আমি কল করতে বাধ্য হইছি। আমি ভীষণ স্যরি”।

তার এত ভাবার কিছু নাই, আমি তারে নিশ্চিত করলাম। যাই হোক, আমার ধৈর্য কম ছিল, এবং এইটা না বলার মত কিছু না যে আমি একটু বিরক্ত হইছিলাম।

 

The following two tabs change content below.
Avatar photo

মৃদুল শাওন

জন্ম হইছে ১৯৯০ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর, টাঙ্গাইলে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছেন।
Avatar photo

Latest posts by মৃদুল শাওন (see all)

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →