Main menu

তিনখানা নারীবাদ।। তিন নম্বরঃ দি গড অব স্মল থিংস বাই অরুন্ধতি রয়

এক।।  দুই।।

সাতানব্বুই সনের উপন্যাস দি গড অব স্মল থিংস গুরুত্বপূর্ণ বই নানাভাবেই গুরত্বপূর্ণ তবে নারীবাদী জায়গাটা প্রকট বলা যায় সন্দেহ ছাড়াইকালচারাল স্ট্রাগলের জায়গাটাও আসছে ভালোমতোই দি গড অব স্মল থিংসে বয়ানের নারীবাদী  ধারাখানি স্পষ্ট হয় মূলত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক লোকেশনগুলোতেই সেগুলাকে এই এই নাম দেয়া যাইতে পারেঃ পরিবার, বর্ণ সংকট, যৌন সংকট, উপনিবেশিকতাজাত মনঃস্তত্ত্ব ইত্যাদি মূলত এইকয়টা গল্পস্থানে অরুন্ধতি নারী সংকটগুলি চিহ্নিত করতে চাইছেন, এবং তার মাধ্যমে সমাজে সর্বব্যাপি শ্রেণী স্ট্রাগলটারে তুইলা ধরছেন [pullquote][AWD_comments][/pullquote]

উপন্যাসের কেন্দ্রে যে পরিবার, সেই পরিবারে রাহেল আর এস্থার আম্মুর স্ট্রাগলটারে সবচেয়ে পরিষ্কারভাবে দেখতে পাই আমরা স্বামী পরিত্যাক্তা অবস্থায় সে ফ্যামিলিতে ব্যাক করে দুই সন্তানসহ ফ্যামিলিতে এই নিয়া একটা চোরা অস্বস্তি আমরা দেখতে পাই শুধু রাহেলের আম্মুই না, ফ্যামিলিতে আরেকজন পরিত্যাক্তা আছেন; আম্মুর ভাই- চাকো বিদেশ থেকে ডিগ্রি-টিগ্রি নিয়া আসছেন বিয়া করছিলেন বিলাতেই বাচ্চাও হইছিল একটা তারপর ডিভোর্স হয়; দেশে ফিরা আসেন তারপর ঘরেই নানান রকম ফন্দিফিকির কইরা সময় কাটাইতেছেন আয়েমেনেমের কম্যুনিস্ট শাখায়ও নাম লেখাইছেন পুরা আউটফিটেই একটা লিবারেল লুক আছে চাকোর; পুরা ফ্যামিলিরই কমবেশি এইটা আছে সিরিয়ান খ্রিষ্টান ছিল তো! কেরালার শতকরা কুড়িভাগ লোকই ছিল এই সিরিয়ান খ্রিষ্টানঅরুন্ধতি রয় বলতেছিলেন যে, “পুরা ভারত রাইখা কেরালায় কম্যুনিষ্ট পার্টির সফল হওয়ার তো বিশেষ কারণ নাই, তারপরও তা হইছিল বোধয় এই বিপুল পরিমাণ সিরিয়ান খ্রিষ্টানদের কারণেই; মানে মার্ক্সিজম তাদের জন্য খ্রিষ্টমন্ডলের বদলে ছিল এক সরল বদলি, যেইখানে খোদারে মার্ক্স দিয়া, শয়তানরে পুঞ্জি দিয়া, বেহেশতরে শ্রেণীহীন সমাজ দিয়া এবং গীর্জারে পার্টি দিয়া সহজেই অদল-বদল কইরা ফালান যায় হিন্দু মনের তরে মিলনে মার্ক্সবাদরে যেরকম জটিল মোকাবিলার মধ্য দিয়া যাইতে হয় এইখানে তা অদরকারি“ তো বুঝা যায় এইভাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার ফলে ওইখানে মার্ক্সবাদ শ্রেণী  ও সমাজচেতনার ভেতরে আদৌতে কোন বিপ্লবই ঘটাইতে পারেনাই ফলে বুঝা যায় আর্যাবর্তের বর্ণসম্পাতের পুরাটাই ছিল ওইখানে; তাতে মার্ক্সিজমের প্লাষ্টার পড়ছে কেবল (আমি জানি এইখানে কেরালান মডেলের কম্যুনিজমের ফ্যান আছেন কিছু; কারণ সেইখানে স্থান ও কালের সাথে সংগতিপূর্ণ মার্ক্সিজম এপ্লাই করা হইছে বাখতিনীয় চিন্তা দ্বারা সিদ্ধ এই পদ্ধতি তবে মাঠের সত্য বোধয় অত ফ্যান হওয়ার মত ছিলনা) তো এইরকম একটা লিবারেল আউটলুক সমাজের কোন উপকারেই আসেনা, বরং এইরূপ আউটলুক ধারণকারীরে দিয়া থাকে এক চিরস্থায়ী এলিট মসনদ লিবারেল এলিটিজমের চেয়ে প্রশ্নাতীত আর কোন অবস্থান সমাজে নাই অতি আরামের মানুষের অধিকারের গাহেক হইয়া যান একবার, দেখবেন আপনার বুদ্ধিবৃত্তিক তৎপরতা নিয়া আর কোন প্রশ্ন নাই। চাকো ছিলেন ফ্যামিলির সেই রকম এক লিবারেল ফেইস; উপযুক্ত খ্রিষ্টান। ফ্যামিলিতে চাকোর লগে চাকোর বইনের অবস্থার তুলনামূলক পর্যালোচনা থেইকা বুঝতে পারি, চাকো তার জীবনে উদারময়তার এক যজ্ঞ চালু রাখতে চাইছিলেন ঠিকই (কারণ তাতে আছে বেহদ সোশ্যাল ডিভিডেন্ড), কিন্তু সমাজের সবখানে তা চর্চা করতে চাননাই। বেশ স্বাভাবিকভাবেই সামাজিক নিগ্রহব্যবস্থারে তিনি মাইনা নিছিলেন এবং তা ব্যবহারও করতেন নিয়মিত। যেমন ধরেন, যদিও দুইজনই (চাকো ও চাকোর বইন) ফ্যামিলির জন্য বোঝা হইয়া ওঠার কথা, কিন্ত চাকো হইয়া উঠলেন কর্তা। সঙ্গীহীন চাকোর যৌন ক্ষুধা মেটাইতে নিয়মিতই তার রুমে পাঠানো হইত অস্পৃশ্য নিচা বর্ণের পারাবান নারীদের; যারা কিনা তার আচারের ফেক্টরিতেই কাজ করতো। এবং তিনি তাদের গ্রহণও করতেন অবলীলায়; লিবারেল তাই স্পর্শ নিয়া তার সমস্যা থাকার তো কথা না! ওদিকে তার বইন ভেলুথার (পারাবান মিস্ত্রী) লগে শোয়ায়, ফ্যামিলির জাত যায় যায়! এইরকম সুবিধাজনক উদারবাদ ছিল চাকোর।


সুবিধাজনক উদারবাদী হওয়ার অর্থ সুবিধাজনক নারীবাদী হওয়াও তো কতক! তাও আমরা চাকোর মইধ্যে দেখছিলাম তার এক্স-ওয়াইফের প্রতি তার যে দরদ ও সম্মান, একটা অপটিমাম ফেমিনিস্ট ভ্যালু না থাকলে এক্স-ওয়াইফের  প্রতি অমন দরদ দেখানও যায় নাকি; তায় আবার ব্রিটিশ, সাদা মানে যে সংস্কৃতিতে যা চলে, কেবল সেই সংস্কৃতিতে তা চর্চা করতে তার আপত্তি নাই আর উত্তর-উপনিবেশকালে ধ্রুপদি অ্যাংলোফাইলেরা ব্রিটিশ সংসর্গে ব্রিটিশ হওয়ার জন্য তো এক পায়ে খাঁড়া থাকার কথা তাই পরিবারে যদিও নানা প্রকারের নারী নিগ্রহ চালু ছিল, তথাপি তার আদি বউয়ের ব্যাপারে তিনি ছিলেন অতি দরদী এই যে ইউরোপের সাংস্কৃতিক আধিপত্যের ছায়ায় উপমহাদেশের ঢাইকা যাওয়া সেইটারে উৎরানোর এটেম্পট দেখা যায় জিয়া হায়দার রহমানের ‘ইন দা লাইট অব হোয়াট উই নো’-তে ওইখানে দেখা যায়, আফগান এক মাইয়ার লগে নিয়মিত শোয় এক এমেরিকান সৈনিক তো এতে যে আফগান মাইয়ার লগে লগে আফগান সংস্কৃতির সম্মানও ভূলুণ্ঠিত হইতেছে দখলদারদের দ্বারা সেইটা বলার চেষ্টা করতেছিলেন উপন্যাসের নায়ক জাফর উপন্যাসের বিল্ড আপে দেখা যায়, জাফর তার ব্রিটিশ প্রেমিকা কাম হবুবউয়ের আচরণের ফলে কীরকম একটা মেন্টাল স্ট্রেসে থাকে অলওয়েজ! যেন ব্রিটিশ ওঁচা কালচারের ওজনটা সে ফিল করতেছিল পুরাটা; সেইখানে তার পৌরুষ মাইর খাইয়া যাইতেছিল কোন ডিফেন্স ছাড়াই; এই গুঢ়ৈষাটা ছিল ক্লাইমেক্সে এই সাংস্কৃতিক বাঁধা তার উৎরাইতে হয় হবু-বউরে রেইপ করার মধ্য দিয়া নারী যে সংস্কৃতি দ্বারা আত্তীকৃত হইয়া যায় তার অনুমোদন ছাড়াই, এগুলা তো সেইটারই সিম্পটম এইটা দিয়া বুঝা যায়, চাকো যে সম্মান তার আদি বউয়ের প্রতি দেখাইতেছিলেন, সেইটা তো আসলে তার বউরে দেখাইতেছিলেন না; দেখাইতেছিলেন ব্রিটিশ হাই-কালচাররে যদি ব্যক্তি নারীরে দেখাইতে পারতেন, তাইলে তার নিজের ফ্যামিলিতে সেই চর্চা করতে তার সমস্যা হইত না এইটার আসল প্রবলেমটা দেখতেছি আমরা ইন দা লাইট অব হোয়াট উই নো-তে, যেইখানে সেই ব্রিটিশ ওরফে ইউরোপীয় হাই কালচারের বিরুদ্ধে জাফররে বিপ্লব করতে হয় এক নারীরে(ব্রিটিশ) রেইপ করার মধ্য দিয়াই যুদ্ধে নারীদের রেইপ করাটা এই কারণেই একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, কারণ এইভাবে সংস্কৃতির দখল নেয়া যায়; সেইক্ষেত্রে মাইয়ারা হয় কোল্যাটারাল ড্যামেজ মাত্র

দি গড অব স্মল থিংসের  আরেকটা লক্ষণীয় ব্যাপার হইতেছে এইটার অবৈধ ও বক্র যৌন সম্পর্কগুলি উপন্যাসে  তিনটা অস্বীকৃত ও ‘অস্বাভাবিক’ যৌন ঘটনার উল্লেখ পাই প্রথমটা হইতেছে এস্থাপ্পেন ছোট থাকতে থিয়েটারের সেলসম্যান দ্বারা যে নিগ্রহের শিকার হয় সেইটা দ্বিতীয়টা দেখা যাইতেছে, রাহেল বড় হইয়া যখন আয়েমেনেমে ফিরা আসে তখন রাহেল আর এস্থাপ্পেন দুই ভাইবোনের মইধ্যেও এক প্রকার দৈহিক সংসর্গ লাভের ঘটনা ঘটে এবং আরেকটা তো বলা যায় সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেইটা, অর্থাৎ ভেলুথা আর আম্মুর যৌন সম্পর্কএগুলার সাথে তুলনায় গুণাগুণ বিচারে চাকো যে চাকরানিদের সাথে সেক্স করতেন সেইটাও যথেষ্ট অবৈধ এবং অস্বাভাবিক কিন্তু উপন্যাসে সেগুলার বিবরণ পাওয়া যায় না; বোধ করি পরিবার ও সমাজে সেগুলি স্বাভাবিক ও নৈমিত্তিক ঘটনা হিসেবে দেখা হইত বইলাই তার বিবরণে রয় সময় নষ্ট করেননা বেশি এইসব যৌন ঘটনার ঘনঘটা দেইখা আমরা বুঝতে পারি, যৌন ঘটনা অন্যান্য ঘটনার মতই অন্যান্য ঘটনার পাশাপাশি সমাজে সব সময়ই ঘটতে থাকে; সব সমাজেই মানে এইরকম তো আমরা শুনিই, যারা ইউরোপিয়ান সংস্কৃতির বিরুদ্ধে একটা বিপ্লবী অবস্থান নিতে চায়, তারা বইলা থাকেন- ইউরোপিয়ানরা সেক্স ক্রেজড, সেক্স ছাড়া ওদের জীবনে আর কিছুনাই এইরকম। ইউরোপিয়ান আধিপত্যের মইধ্যে ঢুইকা যাওয়ার মত, ইউরোপিয়ান লাইফরে এইভাবে সরল, একরৈখিক যাপন হিসেবে চিহ্নিত করাটাও একটা সমস্যা। দেখার ভঙ্গি হিসেবে এইটা আল্টিমেটলি ইউরোপিয়ানই। যৌন ঘটনা সব সমাজে, সকল সময়ই ঘইটা থাকে; সমাজ ভেদে তা নিয়া চুপচাপ থাকা হয় বা আলাপ-সালাপ হয় মাত্র। যেই সমাজে যৌন ঘটনাগুলি ঢাইকা রাখার প্রচলন আছে, সেই সমাজে নারীরেও ঢাইকা রাখার প্রবণতা দেখা যায়। নারীর জীবনই এইভাবে হইয়া ওঠে রহস্যে, ইঙ্গিতে ঠাসা এক গোপন যৌন টটেমনারীর ইতিহাস তাই গোপনীয়তার ইতিহাস। নারীবাদ বলা যায় এই অর্থে নারীর বস্তুলগ্ন ইতিহাসের সূচনা ঘটাইসে। যেটা কইতেছিলাম, এই চাপা পড়া  যৌন ঘটনাগুলির মইধ্যে যেগুলি ট্রমা হিসেবে দেখা দেয়, ভুক্তভোগীরে সেগুলা লাইফলং ক্যারি করার ঝুকির মইধ্যে থাকতে হয়। এস্থার ক্ষেত্রে যেটা হইসে, সেই গোপন ঘটনাটারে ঢাইকা রাখতে তার কথা কওয়াই বন্ধ কইরা দিতে হইসে; বলা যায় তার সমস্ত স্মৃতি ওই একটা ঘটনার মইধ্যে আটকা পইড়া গেছে; ফলে কথাও। কিন্তু এস্থা তো নারী না! ট্রমাটা তো যে কারুরই থাকতে পারে। তথাপি এইটা নারীর অবদমিত থাকার ইতিহাস এবং মুখ বুইঝা মাইনা নেয়ার যে ঐতিহ্য তারে ভালোমতোই ব্যাখ্যা করে।

অবদমিত নারীদের মইধ্যে এই চুপ করা অংশ বাদেও আরেকটা অংশ দেখা যায়; যারা তাদের সীমিত পরিসরের মইধ্যে যেভাবে সম্ভব সেইভাবেই ক্ষমতার চর্চা করতে চায়। মানুষ তো রাজনৈতিক প্রাণী; নারী যেহেতু মানুষ, নারীও রাজনৈতিক। সমাজে যে ছক তাদের জন্য নির্ধারিত থাকে, নারীকে তার পলিটিক্স সেই ছক ধইরাই করতে হয়। তো এইভাবে অবদমিত নারীদের রাজনীতিটা হয় প্রধানত নারীদেরই বিরুদ্ধে। এই কারণে আমরা দেখি আম্মুর মা যিনি নিজেও তার স্বামীর হাতে ননস্টপ মাইর খাইছে, তিনিও তার মাইয়ার সংসার ছাইড়া বাপের বাড়ি ফেরত আসাটারে ভালো চোখে দেখেন নাই। তারও আগে মাইয়ার ঘর ছাড়াটারেও তো মানতে পারেননাই। বেবী কোচাম্মা আরেকজন, যিনি পুরুষের কর্তৃত্বের নিঃশর্ত গাহেক মনে হয়, মাইয়া মাইনষের খুঁত খুঁজায় অগ্রগামী! দি গড অব স্মল থিংসে এইটারে ক্লাস স্ট্রাগলের জায়গা থেকেই দেখা হইছে এইটা বুঝতে  তৃতীয় যে আরেকধরণের অবদমিত নারী আমরা দেখতে পাই, যেইটা আম্মু নিজেই, তারে নিয়া আলাপ করা দরকারসে নারীর জন্য ঠিক কইরা দেয়া কো-অর্ডিনেটসের বাইরের স্ট্রাগলটা দেখতে পাইছিলেন। এবং সেইখানে সে দেখছিলেন নিচু বর্ণের পারাবনদের নিচু জীবন।  আম্মু যে ভেলুথার প্রেমে পড়লেন, তার তো কিছু মনস্তাত্ত্বিক কারণ আছে- কেন সে ভেলুথার প্রতি নৈকট্য বোধ করতে শুরু করল? সে দেখতে পাইতেছিল ভেলুথা লাল পতাকা নিয়া মিছিলে যাইতেছে। এবং এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া সে দেখছিল তার ব্রাদার ও মাদারদের ওপর। মানে অবস্থাপন্ন কেউ কম্যুনিস্ট রাজনীতি করলে সমস্যা নাই- তাতে এলিট দুগুণে ডাবল এলিট হওয়া যায়। কিন্তু যার স্ট্রাগল সে-ই যখন পলিটিক্সটা করা শুরু করে তখন টুপটাপ খইসা পড়ে মুখোশগুলা; তখন রিয়েলি এলার্ট হইবার সময়এবং আম্মু তো এও বুইঝা গেছিলেন এই সংস্কৃতিতে তার অবস্থান কই- বিদেশী ভাবীর লগে তুলনায় সে কই! স্ট্রাগলটা যে কালচারাল স্ট্রাগল এবং সেই স্ট্রাগলে তার পাশে তার মা, কোচাম্মা না বরং ওই পারাবনরাই যে আছে সেইটা তিনি বুঝতে পারছিলেন। এবং বলা যায় রয় এইটাই দেখাইতে চাইছেন নারীবাদী পলিটিক্সের শুরুটা ওই কালচারাল-ক্লাস স্ট্রাগলের মধ্য দিয়াই হইতে হবে আদারওয়াইজ বৃহত্তর পরিসরে রাজনৈতিক পরিভাষা সৃষ্টি সম্ভব হবে না নারীদের পক্ষে।

আবার ভেলুথার ক্লাসের মইধ্যেই আমরা দেখি ভেলুথা আর আম্মুর সম্পর্ক ফাঁস কইরা দেয় ভেলুথার বাপই (যেমন জ্যাঙ্গো আনচেইনড ছবিতে দেখা যায়, স্যামুয়েল এল জ্যাকসনের চরিত্রটা শেষ অব্দি তার সাদা মালিকরে রক্ষা করতে চায়; এমনকি তার হইয়া প্রতিশোধও নিতে চায়)। এইখানেও অরুন্ধতি রয় হালকা কারেকশন আনতে চাইছেন- ক্লাস স্ট্রাগলটা যে সকল সময় উচা আর নিচার মধ্যে, শ্রমিক আর মালিকের মইধ্যে, নারী আর পুরুষের মইধ্যে থাকবে তা না। সমাজে কালচারাল-ক্লাস স্ট্রাগল মূলত পরিলক্ষিত হয় একটা স্ট্যাটাস কোর বিরুদ্ধেই; প্রথা নামক স্ট্যাটাস কো বা সামাজিক স্থিতিবিদ্যার গাহেক শ্রেণী-লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলেই হইতে পারে। অর্থাৎ মানুষের শ্রেণী পরিচয় বা লিঙ্গ পরিচয় দিয়া সকল সময় ক্লাস স্ট্রাগলরে ঠিকঠাক মতো চিহ্নিত করা যাবে না। বরং ক্লাস-কালচারাল স্ট্রাগলরে বিচার করতে হবে স্ট্যাটাস কোর সাথে মানুষের সম্পর্কের সামগ্রিক বিন্যাস তথা তার পলিটিক্স বিচার করার মধ্য দিয়া।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →