Main menu

এডিটোরিয়াল: জৌন বাজার

মাঝে মাঝে নিজে নিজেই একটা পোশ্নের জবাব তালাশ করি, জৌন বাজারে আমার দাম কেমন?

খুব একটা আরাম লাগার মতো জবাব পাই না 🙁 ! বয়শ তো হইছে ভালোই, পেমে পড়তে উতলা মাইয়ারা তো আমার চাইতে ১৫/২০ বছর ছোট পোলাদের উপরই নজর দেবে! চেহারা ছুরতও ভালো না আমার, ১৫/১৬ বছর বয়শে তো পুরাই কুকড়ে থাকতাম নিজের ছুরত লইয়া, এখন অন্তত নিজের চেহারা ভুইলা থাকতে শিখছি! তার উপর আমি তো বিয়াতো পোলা, গরিব, দুইটা মাইয়াও আছে আমার!

কিন্তু এগুলা শব ছাপাইয়া আরেকটা বেপার মনে ভাশে আমার! আমারে বেশ গাইয়া, আনএস্মার্ট ভাবে মনে হয় মাইয়ারা! এইটার বড়ো কারন হয়তো, আমার বুলি! মানে, ঐ জেমন ধরেন, নিজের বেপারে কইলাম জে, আমি ‘বিয়াতো’, এইটা এস্মার্ট হয় নাই, ‘ম্যারিড’ কইতে হইতো, অন্তত বিবাহিত!

ঢাকায় ১৯৮০-৯০ জামানায় কলিকাতাই বাংলায় কথা না কইলে, আপনের এলাকার টান আপনের কথায় আইশা পড়লে, নিজের গেরামটারে ঠিকঠাক লুকাইতে না পারলে ঢাকার জৌন বাজারে দাম পাবার উপায় আছিলো না; এরশাদ খেদাইতে পারার পরে পরে ঐ বাংলার জোশ ধিরে কমতে থাকে, নয়া ঢাকাইয়া একটা বাংলা শিক্ষিতদের ভিতর জইমা উঠতে থাকে, এখন ঐটারই জোশ চলতেছে। কিন্তু খেয়াল করার বেপার হইলো, কেলাশের বেপারটা মোটামুটি একই থাইকা গেল, আরবার-রুরাল ভাগাভাগিটাও। ভাশার বেলায় এইটার মানে খাড়াইলো এমন: আপনে উপার্জন কইবেন না ঠিকাছে, কিন্তু কামাই কইলেই পইড়া গেলেই কেলাশের ফুটা দিয়া, অন্তত ইনকাম কইবেন। ‘দাসত্ত (দাসত্ব)’ কইবেন, গোলামি কইলে ছোটলোক এবং গাইয়া হইয়া পড়লেন কিন্তু। ইংরাজি থিকা আশা শব্দগুলার বেপারে হুশিয়ার থাকতে হবে খুব, গ্লাস কইবেন, গেলাশ জেন না হয়, রিকশা কইবেন, নট রিশকা, মাস্ক-রিস্কের বদলে জেন মাক্স-রিক্স কইয়া না বশেন! ‘কইয়া’ কইবেন না, ‘বইলা’ কইবেন অন্তত। স্মার্ট লেখা দেখলেই আপনার পড়তে পারতে হবে ‘এস্মার্ট’, না পারলে কিলিয়ার হইলো জে, ইংরাজির কেতা একটুও জানেন না আপনে। মানে হইলো, ঢাকাইয়া হইবেন, কিন্তু ছোটলোক হইবেন না, অশিক্ষিতের বা ৭০/৮০{855ff4e32ca5c8db0719e8f837cd158afce0d103a8821dfb7d995472b79aa6d7} বাংগালির শব্দগুলা আপনারে ছোটলোক বানাইয়া ফেলবে। নামের বেপারেও হুশিয়ার হবার দরকার আছে; আয়েজদ্দি হাওলাদার থাইকেন না, ‘হাওলা আদ্দিজ’ নামে লেইখেন কবিতা; মাইয়ার নাম মর্জিনা রাখলে কিন্তু ধরা খাইবেন, অন্তত ‘মারজানা’ রাখেন।

আমি ঢাকা আইছিলাম ১৯৯৪ শালে, আইশা ঢাকার শবচে নামি কলেজে ভর্তি হইতে পারছিলাম; তখন নিজের অনেক কিছুই লুকাইতে চাইতাম, কেননা, ঐগুলা তো এস্মার্ট না; ২/৩ বছরের ভিতরই ঐগুলা একটু একটু বোঝা শুরু করি, আরো ভালো বুঝতে আরো অনেক বছর লাগছে। কিন্তু ফেল টেল কইরা কোন মতে একটা পাবলিক ভার্ছিটিতে ভর্তি হইতে পারছিলাম! শেইখানে আমার এক কেলাশমেট, হলিক্রস কলেজের এক মাইয়া, শে একদমই একিন করতে পারে নাই জে, আমি নটরডেমের ছাইন্সে পড়া পোলা, এমন আনএস্মার্ট লাগছে আমারে, নটরডেমের পোলারা নাকি অন্য রকম!

শেই ‘অন্য রকম’ হইতে আমার জে কখনো লোভ হয় নাই, তা না, কিন্তু চাইলেও পারতাম না! ১ নাম্বার কারন, আমি গরিব, শত্যই গরিব! মানে, মনে হইতো, জামা-জুতা কেনা দরকার দুই-চারটা, একবারে শব কিনতে চাইতাম, পারতাম না, এখনো পারি না; পুরাটা পারতাম না বইলা কিছুই করতাম না 🙂 ।

আরো আরো বোঝার পরে আরো অনেক কিছু ছাইড়া দিছি। এস্পেশালি বুলি/ভাশার বেপারে; খাশ বাংলায় কই কথা, টান ইত্যাদি লুকাই না, শব্দের বেপারে শমাজে শবচে বেশি জেই শব্দটা আছে, জেই ভংগিমাটা আছে, তারেই লই, লইতে চাইছি, একদম পাক্কা ডিছিশন! আর আমার গলাও বেশ চিকন, এক উবার-ডাইভার একবার ফোনে কয়, কই জাইবেন মেডাম?

তো, এইভাবে জৌন বাজারে আমার দাম একদমই নাই বইলা মালুম হয়! তাতে আফছোস হইলেও এইটাই আমি, এমন হওয়া উচিত বইলা হইছি, থাকতেছি, পাক্কা পলিটিটিকেল ডিছিশন একদম।

ওদিকে, এখন তো লিখি কত কি, কবিতাও লিখি মাঝে মাঝেই। কিন্তু মার্কেটে বেইল নাই, অনেক অনেক কঠিন শব কেতাবের নাম থাকে না আমার লেখায়, পড়িও তো না! চাকরিও করি না ভালো, ভালো তো দুর, চাকরিই নাই, কামাইও নাই পেরায়।

জৌন বাজারের কিছু কানুন আছে, খুবই অটো, বেখেয়ালে ঘটতে থাকে। জৌন বাজারে জদি আপনে আনএস্মার্ট হন, তাইলে দাম থাকবে না; আবার পোলা হিশাবে মাইয়াদের ভিতর জদি আপনের দাম না থাকে, অন্য পোলারাও আপনার লাইনে হাটবে না, আপনের মতো হইতে চাইবে না কেউ। আখেরে আপনের বেইল থাকবে না!

হিশাবগুলা খুবই শোজা। আপনের দিকে একটা এস্মার্ট মাইয়া ইন্টারেস্ট দেখাইলে অন্য পোলারা অটোমেটিক বুইঝা ফেলে জে, তার কেমন হওয়া দরকার! এস্মার্ট মাইয়াদের কাছে হট কি কি? এস্মার্ট মাইয়া অবশ্য হরেক কিছিমের! আলাপের শুবিধার জন্য একটা লোকেশন ঠিক করি: দুই চারটা বাংলা লিটারেচার পড়া মাইয়ারা, পাবলিক ভার্ছিটির মাইয়ারা, এনজিও-মিডিয়ায় চাকরি করা মাইয়াদের ধরলাম লোকেশন, হালকা ছায়ানটি, হালকা হিন্দি-ইংরাজি-কোরিয়ান-ইরানি ছিনামা দেখা মাইয়ারাও।

এমন মাইয়াদের কাছে হট পোলা কারা? ভাশা-পয়শা-গায়ের রঙ বাদেও দুই চারটা বেপার আছে; একটিভিজম জেমন একটা (এইটাও নাই আমার 🙁 ) । বহু রেফারেন্স দিতে পারা, বিদেশি ভাবুকদের নাম-কোটেশন বেশ হট, একটু বাম/পোগতিশিল, গ্লোবাল ওয়ার্মিং লইয়া হয়রান একটু, একটু ফেমিনিজমেরও বেশ কাটতি আছে জৌন বাজারে। মাইয়ারা জে এগুলারে হট ভাবে, টার্ন অন ঘটে, তা পোলারা আলগোছে বুঝতে পারে, একদম অটোমেটিক! তাই এগুলাই পোলাদের এস্মার্টনেস; তাই পোলারা অমন হইতে চায়, হইয়া নিজেরে জৌন বাজারে হাজির করে।

এখন, ওগুলা তো হবার দরকার নাই আশলে, ফিচার হিশাবে নিজের ভিতর রাখতে পারলেই হইলো! মানে, দেখাবার মামলা কেবল!

পেমে পড়ার বেলায় মানুশ মনে হয় দেখে কম, শোনে বেশি; বা দেখলেও এক্ট দেখার বদলে এক্টিভিজম দেখে বেশি! পোবলেম হইলো, এইটা পোলাদের জন্য খুব একটা বড়ো ঘটনা না, মাইয়াদের বেলায় জতো বড়, অন্তত আমাদের দেশে/শমাজে!

আমার দেখা বেশিরভাগ মাইয়ার কথা ভাবলে মন খারাপ হয় আমার! একটা পোলার পেম হইলে তার আগের দোস্তদের লগে খাতির কমে না মোটেই, কখনো বা বাড়ে! তার পেমিকা জোগ হয় পোলার ছার্কেলে, দোস্তরা তারে আরো বেশি পাত্তা দেওয়া শুরু করে পেরায়ই! কিন্তু বহু মাইয়ারে দেখছি, পেম হইলে পরে তার নাগরই তার দুনিয়া হইয়া ওঠে! নিজের আগের ছার্কেল-দোস্তদের লগে আর খাতির রাখে না ততো, টাইম দেয় না! এর আলটিমেট ভিকটিম হয় ঐ মাইয়াই! আবার বিয়াও একটা মাইয়ার জিন্দেগিতে জতো বড়ো ঘটনা, একটা পোলার জন্য ততো না! পেমের হবার পরেও বেশিরভাগ পোলা জৌন বাজার থাইকা জায়, মাঝে মাঝেই নিজের দাম জাচাই করে, কিন্তু বেশিরভাগ মাইয়া জৌন বাজার থিকা বাইরাইয়া জায়!

তাই একটা পেম/বিয়া ভাংলে একটা পোলার তেমন পোবলেম হয় না (অতি ফলেন হইলে তো এই হিশাব মিলবে না), কিন্তু একটা মাইয়ার জন্য পেরায়ই পুরা ওলটপালট হইয়া জায়, জিন্দেগি মেছমার হইয়া জায় পেরায়ই, ধাক্কা শামলাইতে পারে না পেরায়ই!

ফেছবুকে এখন এক এক্টিভিস্ট কাপলের পেমের ভাংগন লইয়া আলোচনা চলতেছে। একটা এস্মার্ট পোলার ফিচার হিশাবে জেইগুলা কইলাম উপরে, তার অনেকগুলাই আছে ঐ পোলার। তাই পেমে পড়া মনে হয় কঠিন হয় নাই মাইয়ার!

কিন্তু একটা ধুরন্ধর পোলা তো ঐ ফিচারগুলা নিজের ভিতর দেখাবারই কথা! এইগুলা একটা পোলার ভিতর দেখতে পাওয়াই কি পরমান করে জে, পোলাটা ভালো? আমার মনে হয়, ঐ শব হট, টার্ন অন ঘটাবার মতো ফিচারের বাইরে ‘ভালো’ বইলা একটা বেপার আছে এবং শেইটা একটু খেয়াল করলেই বোঝা জায়, শম্ভব! এই দেশে একটা মাইয়ার আর জাই হোক বেকুব হওয়া চলবে না; একটা মাইয়ারে খুবই ধুরন্ধর হইতে হবে, তাকে চিনতে পারতে হবে মানুশ, একটা পোলা নিজের জেই শব ফিচার এক্সিবিট করে, তার বাইরে ‘ভালো’ নামের একটা গুন বুঝতে পারতে হবে!

পেমিক/নাগরকে নিজের দুনিয়া বানাইয়া ফেলা ঠিক হবে না, ভাতারকেও না, বরং নিজের দুনিয়ার একটা ফিচার মাত্র আপনার নাগর! নিজের ছার্কেল-দোস্তদের ছাইড়া দেওয়া ভুল, বেশি লাগে না, একটু টাইম দিলেই হয়, একটু দরদি হইলেই হয়, দোস্তের বিপদে আপনারে জেন একটু হইলেও পায়! দুনিয়ায় দোস্তদের মতো অল্পে খুশি আর কোন রিশতা নাই, দোস্তদের ছাড়া নিজেরে পুরাটা কাউকেও দেখাইতে পারবেন আরামে, মা-বাপ-নাগর, কারো কাছেই না!

ভালোর পেমে পড়েন; হট বা টার্ন অন, এগুলা বেহুদা জিনিশ অনেকটাই! আপনে জদি ভালোর পেমে পড়েন, তবু হট-টার্ন অন ঘটানো পোলারে তো ভাবতে পারতেছেন আপনে, ভালোর লগে থাকতে থাকতে হটের ফ্যান্টাছাইজ করতে পারতেছেন; কিন্তু ভাবেন, হটের মধ্যে তো ভালোরে পাইতেছেন না, ভালোর ফ্যান্টাছি কইরা লাভ নাই, ভালো দরকার আপনের রিয়েল লাইফে! এই শমাজে একটা ভালো পোলা হয়তো ভালো থাকার দরকারেই অনেক কিছু শিখতে পারে নাই, আপনে তারে শিখাইয়া দেন! আপনের কোথায় কেমনে ধরলে ভালো লাগে, কইয়া দেন, একটা ভালো পোলা নিজের শুখের বাইরেও আপনারে শুখি করতে না পারলে ভালো থাকতে পারে না, মন খারাপ হয় তার।

মানে ভালো চেনা কঠিন না আদৌ! দুই তিনটা জিনিশ খেয়াল করেন মাত্র; ভালোরা দরদি, অন্যরে খুশি করতে পারলে তাগো চেহারায় একটা রোশনাই দেখতে পাইবেন, ধান্দাবাজরা অন্যরে খুশি কইরা একটা গোপন ফুর্তি পায়, কিছু একটা হাছিল হবার গোপন শুখ! ভালোরা কথা দিয়া কথা রাখে, রাখতে না পারলে মন খারাপ করে, টের পাইবেন কাছে থাকলে; হিউমার/মশকরার বাইরে ছিরিয়াস মিছা কথা কইবে না একটা ভালো পোলা; বিছানায় বা পয়শাপাতির মামলায় (জেমন জুয়ায়) খেয়াল করলে ভালো চিনতে পারবেন; ভালোর ভিতর ছ্যাডিজম পাইবেন না। কিন্তু এই টিপস আশলে বেহুদা, আপনে ছেরেফ ঐ ফিচারগুলার বাইরে ‘ভালো’ নামে কিছু একটা আছে, এইটা মানতে রাজি হইলেই আপনে বুঝবেন মনে হয়, মাইয়ার উপর শেই ভরশা আছে আমার!

ভালোর পেমে পড়েন, আপনারা ভালোর পেমে না পড়লে, ভালোরে না চাইলে ভালোরা ভালো থাকারে একটা ফালতু জিনিশ ভাবা শুরু করে! তাতে দুনিয়ায় ভালো কমে এবং তার কুফলে আমরা শবাই ভুগি, আর আপনেই তার পয়লা ভিকটিম!

 

The following two tabs change content below.
Avatar photo

রক মনু

কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →